02/09/2021
বান্দরবনের সব থেকে সুন্ধর এবং ভয়ঙ্কর জাইগা যা আপনি এখনো জানেন না...
রুংরাং এবং কির্স তং :
রুংরাং এবং কির্স তং দুটি পাহাড়ের নাম। যা বান্দরবান জেলার অালীকদম উপজেলায় পড়েছে। রুংরাং অর্থ ধনেশপাখি। পাহাড়ীরা ধনেশপাখিকে রুংরাং বলে। রুংরাং পর্বতে অাগে প্রচুর ধনেশপাখি ছিলো। এখন খুব একটা চোখে পড়ে না।কির্স তং চিম্বুক রেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত এবং এবং কির্স তং চিম্বুক রেঞ্জের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়।উচ্চতার দিক দিয়ে কির্স তং প্রায় ৩০০ ফিট উঁচু রুংরাং এর চেয়ে। কির্স তং এর আনুমানিক উচ্চতা ২,৯৫০ ফিট এবং রুংরাং এর উচ্চতা আনুমানিক ২,৬৫০ ফিট।যাবার পথ অতি দুর্গম এবং কষ্টকর। দুর্বল, অসুস্থ্য এবং ভীতু লোকদের জন্য এই ট্যুর না। কারণ টানা ৩/৪ দিন হাঁটতে হবে। ভীতুদের জন্য না, কারণ একেবারে খাড়া কিছু পাহাড় পাড়ি দিতে হবে, যেখানে অসংখ্য টাইগার জোক (বড় অাকৃতির ডোরাকাটা জোক) কিলবিল করতে থাকে। তবে শীতকালে জোঁক অনেক কমে যায়।যেভাবে যাবেন-ঢাকার গাবতলী থেকে সরাসরি দুটি বাস অালিকদম যায়। হানিফ এবং শ্যামলী। যেকোনো একটিতে উঠে পড়বেন।অালিকদম নেমে সেখান থেকে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন গাইড নিতে হবে। সে-ই রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে যাবে।তিন রাত পাহাড়ীদের ঘরে থাকবেন। শুধু রাতের বেলা ভারি খাবার খাবেন। সকাল এবং দুপুরের জন্য অবশ্যই শুকনা খাবার যেমন: চিড়া, খেজুর, বাদাম কিশমিশ ইত্যাদি সাথে রাখবেন। #চলুন_প্রতিজ্ঞা_করি, অামরা কোথাও ময়লা অাবর্জনা ফেলবো না। প্রকৃতি নষ্ট করবো না। পরিবেশ ঠিক রেখে চলবো।
সাইংপ্রা! নামটা প্রথম শুনি বড় ভাইদের কাছ থেকে। একটা ছবি দেখে মনে হয়েছে সরচরাচর বান্দরবানে যেসব জলপ্রপাত দেখি সেগুলো থেকে এটা একটু ভিন্ন আর বুনো। ছবিটা ছিল কোন একটা ভ্যালী থেকে তোলা; দেখা যাচ্ছে অনেক উঁচু একটা পাহাড় থেকে বড় একটা জলপ্রপাত উপর থেকে পড়তে পড়তে জঙ্গলে হারিয়ে গেছে, কোথায় শেষ বোঝা যাচ্ছে না; সাথে আবার ছোট আরেকটা। বান্দরবানের কোথাও এমন দৃশ্য আমার চোখে পড়েনি। পরবর্তীতে জানা গেল ঐ পাহাড়টার নাম কির্স তং; যেটা চিম্বুক রেঞ্জের সব থেকে উঁচু পাহাড়।গত তিন বছর সাইংপ্রাকে নিয়ে শুধু গল্পই শুনে গেছি! জলপ্রপাতটা কির্স তং জঙ্গলে পড়েছে বলে এর নিচে যাওয়া খুব কঠিন ও ঝুঁকির। এসবই আসলে ইচ্ছেটাকে প্রবল থেকে প্রবলতর করে তোলে। সেই যা-ই হোক, ২০২০ সালের জুলাই মাস। প্রথমবারের মত আলীকদম ঢুকবো; প্রধান উদ্দেশ্য অবশ্যই সাইংপ্রা। ঢাকা থেকেই অভিজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে পথ পরিকল্পনা ঠিক করে ফেললাম। ছয়-সাত জনের দল হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলটা নয় জনে গিয়ে ঠেকে।কির্স তং সামিট করে এসে সাইংপ্রার কাছের একটা মুরং পাড়ায় থাকি, সেই রাতে পাড়ার দাদাদের সাথে গল্প করে জানতে পারলাম সাইংপ্রার ৪-৫ টা ধাপ আছে, পাড়ার এক দাদা ভাল্লুক শিকার করতে গিয়ে নিচের ধাপগুলো দেখেছিলেন, কিন্তু কেউই উপরের ধাপ থেকে নিচে নামেননি। দাদা বললেন ‘রাস্তা অনেক খারাপ, তোমরা যাইতে পারবে না।’ পাহাড়িরা যখন বলে রাস্তা খারাপ, তখন আমি সবসময়ই বুঝে নেই রাস্তা ভালো রকমেরই খারাপ। রাতেই আমাদের দলটাকে ছোট করার সিদ্ধান্ত হয়; নয় জনের ভিতর থেকে তিন জন যাবে। কারণ এ ধরনের অভিযানে বড় দল নিয়ে গেলে বেড়ে যায় ঝুঁকি, কমে যায় সফল হবার সম্ভাবনা। আর এজন্যই একটা ভালো টিম নির্বাচন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তো বাকী ছয় জন দলের সাফল্যের কথা চিন্তা করে নিজেদের যাওয়ার ইচ্ছা বিসর্জন দেয়। নিজেদের ভিতর বোঝাপড়া না থাকলে এটা কঠিন।
#রুংরাং
#ক্রির্সতং
#সাইপ্রা
https://youtu.be/3pVFMzkqRWw
বান্দরবনের সব থেকে সুন্ধর এবং ভয়ঙ্কর জাইগা যা আপনি এখনো জানেন না...রুংরাং এবং কির্স তং : রুংরাং এবং কির্স তং দুটি পা.....