01/12/2023
সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড.........
স্বাস্থ্যখাত ডিজিটাল করার লক্ষ্যে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা আরও সহজতর করতে, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে অন্যান্য উন্নত দেশের ন্যায় এবার বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে রোগীদের জন্য হেলথ আইডি সম্বলিত হেলথ কার্ড। জাতীয়পরিচয়পত্রে ব্যাক্তিগত তথ্যের ন্যায়, এই কার্ডে থাকবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা তথ্য।
সকল সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাস্থ্য তথ্য আদান প্রদান এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষণের একক প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করার লক্ষ্য নিয়ে "শেয়ারড হেলথ রেকর্ড" বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
বর্তমানে ঢাকা মহানগরের মধ্যে National Institute of Traumatology and Orthopaedic Rehabilition (NITOR) এবং ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জের সকল সরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান/ হাসপাতালে রোগীদের হেলথ আইডি প্রদান কার্যক্রমের পাইলটিং শুরু হয়েছে।
প্রথম ধাপ, হেলথ আইডি প্রাপ্তির জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকালে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর (১৮ বছরের নিম্নে) এর কপি সহ হাসপাতালে যেতে হবে। পরবর্তীতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা হাতে পেয়ে যাবেন এই কার্ডটি।
এছাড়া খুব শীঘ্রই দেশের অন্যান্য সকল সরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালে শুরু হবে এই ডিজিটাল পদ্ধতি। বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসাপাতালগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ডিজিটাল পদ্ধতির আওতাভুক্ত হবে।
কেন এই হেলথ কার্ড?
১। বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশনের আওতাভুক্ত করা।
২। "শেয়ারড হেলথ রেকর্ড"এর মাধ্যমে সকল প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ভাবে সংযুক্তীকরণ।
৩। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে নিজস্ব "হেলথ আইডি" নম্বর।
৪। সুনির্দিষ্টভাবে রোগ নির্ণয় করা
৫। চিকিৎসাসেবার গুণগত মান বৃদ্ধি
৬। নাগরিকদের অর্থ ও সময় সাশ্রয়
৭। চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সুশৃঙ্খল
৮। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
কি থাকবে এই কার্ডে?
১। রোগীদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল স্বাস্থ্য সেবার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে এই ডিজিটাল ডাটাবেজে
২। পূর্বের চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাগজ হারানোর ভয় থাকবে না।
৩। রোগীর বহন করে নিতে হবে না কোন কাগজ। অনলাইনেই থাকবে সব তথ্য।
৪। শুধু হেলথ কার্ডের বদৌলতেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা।
৫। সকল পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্ট চলে যাবে আপনার ইমেইল এড্রেসে।
৬। অনলাইনে ঘরে বসেই রোগীরা হাসপাতালে এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।
তথ্য নিরাপত্তা?
সমগ্র সম্ভাব্য প্রক্রিয়ায় আপনার তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
রোগীর বেসরকারি হাসপাতালের সেবা তথ্য কি থাকবে?
হ্যাঁ, অবশ্যই থাকবে। রোগী দেশের, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত যে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকেই সেবা গ্রহণ করবেন, সকল তথ্যই থাকবে এই হেলথ কার্ডে।
কিভাবে পাব এই স্বাস্থ্য কার্ড?
সরকার কর্তৃক খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য কার্ডের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। যেখানে আপনি যে কোন সময় যে কোন জায়গা থেকে অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কার্ড পেয়ে যেতে পারেন।
যারা অনলাইনে নিজে নিবন্ধন করতে পারবেন না তারা ?
চিকিৎসা গ্রহণকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত যে কোন সরকারী-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন পত্র দেখালেই, উক্ত প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন কাউনটার কিংবা বুথে গেলেই স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনার কার্ডটি তৈরি করতে সাহায্য করবে তারা।
কি কি লাগবে এই কার্ড পেতে?
১। ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে- তাদের লাগবে শুধু সঠিক জাতীয়পরিচয়পত্র
২। ১৮ বছর বয়স নিম্নে- তাদের লাগছে জন্মনিবন্ধন পত্র।
কার্ড কি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে?
হ্যাঁ।
* স্বাস্থ্য কার্ড নিয়ে পর্যায়ক্রমে আরও তথ্য জানতে লাইক-কমেন্ট-শেয়ার দিয়ে সাথেই থাকুন বাংলাভূমি টিভির।
----তথ্যসূত্র : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
To verify Please follow this post https://www.facebook.com/dghsbd/posts/700099708887695