ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব

ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব ইসলামের প্রচার ও দাওয়াত

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব একটি দাওয়াতি, গবেষণাধর্মী ও শিক্ষামূলক পেজ। এর লক্ষ্য হচ্ছে– ইসলাম সম্পর্কিত প্রশ্নাবলির গবেষণানির্ভর, দলিলভিত্তিক এবং যতদূর সম্ভব বিস্তারিত ও সহজভাষায় উত্তর প্রদান। এ পেজ মুসলিম-অমুসলিম সকল প্রশ্নকারীর ইসলামি শরিয়া সম্পর্কিত কিংবা মনস্তাত্বিক ও সামাজিক যে কোন প্রশ্নকে স্বাগত জানায়।

ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব
18/07/2023

ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব

জুমার দিন কাবলা জুমুআ নামে কোন সুন্নত নামাজ নেই ? সহি হাদিস কি ?
06/09/2022

জুমার দিন কাবলা জুমুআ নামে কোন সুন্নত নামাজ নেই ? সহি হাদিস কি ?

14/02/2022

অসম্ভব সুন্দর বয়ান। আলহামদুলিল্লাহ ❤️❤️❤️।

13/02/2022

যুবকদের উদ্দেশ্যে নসীহা । আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান

13/02/2022

প্রত্যেক মেয়ে এই লেকচারটি শুনবেন | আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান

13/02/2022

দ্রুত বিয়ে করে ফেলুন।। আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান

08/02/2022

৪০টি মহামূল্যবান উপদেশ যা হাদিস কোরআনের বিভিন্ন জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছে

16/01/2022
16/01/2022

ইমাম সাহেবকে সিজদায় পেলে আমি কি করব । জামাতে নামাজ ছুটে গেলে ।

16/01/2022

খতনা করার সঠিক নিয়ম এবং খতনাতে কোন ধরনের গিফট বা অনুষ্ঠান করা যাবে কি না।

16/01/2022

যেনার অপরাধ থেকে কিভাবে আমরা আল্লাহর কাছে তওবা করব

16/01/2022

ম্যাথ পড়তে গিয়ে সুদের অংক শিখতে হয়- সুদের অংক শেখা ও শেখানো কি গুনাহ?

16/01/2022
16/01/2022
16/01/2022

মেয়ে সন্তান ও ছেলে সন্তানের মধ্যে সমান ভাবে অধিকার ও সমতা বজায় রাখতে রাসুল স. এর কড়া নির্দেশ, কোন ভাবেই ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তানের মধ্যে তফাৎ করা যাবে না। এমনকি আদরের সহিত একটি চুম্বন করলে পর্যন্ত ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তানের মধ্যে সমান ভাবে সমতা বজায় রেখে চুম্বন করতে হবে ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহি আজীম। কত চমৎকার ইনসাফ ইসলামের।
عَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ أبَاهُ أتَى بِهِ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلاَماً كَانَ لِي، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا ؟» فَقَالَ: لاَ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: فَأَرْجِعهُ
وَفي رِوَايةٍ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَفَعَلْتَ هذَا بِوَلَدِكَ كُلِّهِمْ ؟ قَالَ: لاَ، قَالَ: اِتَّقُوا الله وَاعْدِلُوا فِي أَوْلاَدِكُمْ فَرَجَعَ أَبِي، فَرَدَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ .
وفي روايةٍ : فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «يَا بَشيرُ أَلَكَ وَلَدٌ سِوَى هَذَا ؟» فَقَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «أكُلَّهُمْ وَهَبْتَ لَهُ مِثْلَ هذَا ؟» قَالَ: لاَ، قَالَ: فَلاَ تُشْهِدْنِي إِذاً فَإِنِّي لاَ أَشْهَدُ عَلَى جَوْرٍ
وفي روايةٍ : «لاَ تُشْهِدْنِي عَلَى جَوْرٍ» .
وفي رواية : «أَشْهِدْ عَلَى هذَا غَيْرِي !» ثُمَّ قَالَ: «أَيَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِي البِرِّ سَواءً؟» قَالَ: بَلَى، قَالَ: «فَلا إِذاً» . متفق عليه
নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তাঁর পিতা তাঁকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে হাজির হয়ে বললেন, ‘আমি আমার এই সন্তানকে একটি গোলাম দান করেছি। (কিন্তু এর মা আপনাকে সাক্ষী রাখতে বলে।)’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমার সব সন্তানকেই কি তুমি এরূপ দান করেছ?’’ তিনি বললেন, ‘না।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তাহলে তুমি তা ফেরৎ নাও।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘তোমার সব সন্তানদের সঙ্গেই এরূপ ব্যবহার দেখিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ‘না।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা কর। সুতরাং আমার পিতা ফিরে এলেন এবং ঐ সাদকাহ (দান) ফিরিয়ে নিলেন।’’
আর এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘হে বাশীর! তোমার কি এ ছাড়া অন্য সন্তান আছে?’’ তিনি বললেন, ‘জী হ্যাঁ।’ (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘তাদের সকলকে কি এর মত দান দিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ‘জী না।’ (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘‘তাহলে এ ব্যাপারে আমাকে সাক্ষী মেনো না। কারণ আমি অন্যায় কাজে সাক্ষ্য দেব না।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘আমাকে অন্যায় কাজে সাক্ষী মেনো না।’’
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘এ ব্যাপারে তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সাক্ষী মানো।’’ অতঃপর তিনি বললেন, ‘‘তুমি কি এ কথায় খুশী হবে যে, তারা তোমার সেবায় সমান হোক?’’ বাশীর বললেন, ‘জী অবশ্যই।’ তিনি বললেন, ‘‘তাহলে এরূপ করো না।’’
ফুটনোটঃ
(সহীহুল বুখারী ২৫৮৬, ২৫৮৭, ২৬৫০, মুসলিম ১৬২৩, তিরমিযী ১৩৬৭, নাসায়ী ৩৬৭২-৩৬৮৫, আবূ দাউদ ৩৫৪২, ইবনু মাজাহ ২৩৭৫, ২৩৭৬, আহমাদ ১৭৮৯০, ১৭৯০২, ১৭৯১১, ১৭৯৪৩, মুওয়াত্তা মালিক ১৪৭৩)
রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৭৮২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
ﺣﺪﺛﻨﺎ اﻟﺤﺴﻦ ﺑﻦ ﻳﻌﻘﻮﺏ ﺑﻦ ﻳﻮﺳﻒ، اﻟﻌﺪﻝ، ﺛﻨﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻮﻫﺎﺏ، ﺃﻧﺒﺄ ﺟﻌﻔﺮ ﺑﻦ ﻋﻮﻥ، ﺃﻧﺒﺄ ﺃﺑﻮ ﻣﺎﻟﻚ اﻷﺷﺠﻌﻲ، ﻋﻦ ﺯﻳﺎﺩ ﺑﻦ ﺣﺪﻳﺮ، ﻋﻦ اﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ، ﻗﺎﻝ: ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ: §«ﻣﻦ ﻭﻟﺪﺕ ﻟﻪ ﺃﻧﺜﻰ ﻓﻠﻢ ﻳﺌﺪﻫﺎ ﻭﻟﻢ ﻳﻨﻬﻬﺎ ﻭﻟﻢ ﻳﺆﺛﺮ ﻭﻟﺪﻩ - ﻳﻌﻨﻲ اﻟﺬﻛﺮ - ﻋﻠﻴﻬﺎ، ﺃﺩﺧﻠﻪ اﻟﻠﻪ ﺑﻬﺎ اﻟﺠﻨﺔ» ﻫﺬا ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ اﻹﺳﻨﺎﺩ ﻭﻟﻢ ﻳﺨﺮﺟﺎﻩ "K7348 - ﺻﺤﻴﺢ
اﻟﻤﺴﺘﺪﺭﻙ ﻋﻠﻰ اﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ للإمام الحاكم رحمه الله-ﻛﺘﺎﺏ اﻟﺒﺮ ﻭاﻟﺼﻠﺔ-ﻭﺃﻣﺎ ﺣﺪﻳﺚ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ-
رقم الحديث-7348, رقم الجزء-4, رقم الصفحة-196,
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সে যদি তাকে জীবন্ত কবর না দেয় এবং তাকে অবজ্ঞা না করে এবং তার পুত্র সন্তানকে তার উপর প্রাধান্য না দেয় তাহলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
ইমাম হাকিম রাহিমাহুল্লাহ এর আল-মুস্তাদরাক আলাস-সাহীহাঈন (মুস্তাদরাকে হাকিম) হাদীস নং.৭৩৪৮, পৃষ্ঠা নং.১৯৬, খন্ড নং.৪,
হাদীসের সনদের মানঃ- সহীহ। ইমাম হাকিম রাহিমাহুল্লাহ ও ইমাম যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ তাঁরা সহীহ বলেছেন।
ﻭﻋﻦ ﺃﻧﺲ «ﺃﻥ ﺭﺟﻼ ﻛﺎﻥ ﻋﻨﺪ اﻟﻨﺒﻲ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻓﺠﺎء اﺑﻦ ﻟﻪ ﻓﻘﺒﻠﻪ ﻭﺃﺟﻠﺴﻪ ﻋﻠﻰ ﻓﺨﺬﻩ، ﻭﺟﺎءﺗﻪ ﺑﻨﻴﺔ ﻟﻪ ﻓﺄﺟﻠﺴﻬﺎ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻳﻪ، ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ -: " ﺃﻻ ﺳﻮﻳﺖ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ» ".
ﺭﻭاﻩ اﻟﺒﺰاﺭ ﻓﻘﺎﻝ: ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺑﻌﺾ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻭﻟﻢ ﻳﺴﻤﻪ، ﻭﺑﻘﻴﺔ ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺛﻘﺎﺕ
ﻣﺠﻤﻊ اﻟﺰﻭاﺋﺪ ﻭﻣﻨﺒﻊ اﻟﻔﻮاﺋﺪ-34 - ﻛﺘﺎﺏ اﻟﺒﺮ ﻭاﻟﺼﻠﺔ-ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎء ﻓﻲ اﻷﻭﻻﺩ- للإمام أبي اﻟﺤﺴﻦ ﻧﻮﺭ اﻟﺪﻳﻦ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺑﻜﺮ ﺑﻦ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ اﻟﻬﻴﺜﻤﻲ رحمه الله
رقم الحديث- 13489, رقم الصفحة-156, رقم الجزء-8,
ﻣﺴﻨﺪ اﻟﺒﺰاﺭ اﻟﻤﻨﺸﻮﺭ ﺑﺎﺳﻢ اﻟﺒﺤﺮ اﻟﺰﺧﺎﺭ]
ـ
اﻟﻤﺆﻟﻒ: ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﺨﺎﻟﻖ اﻟﺒﺰاﺭ رحمه الله, رقم الحديث-6361, رقم الجزء-13, رقم الصفحة, 45,
و قال رحمه الله ﻭﻫﺬا اﻟﺤﺪﻳﺚ ﻻ ﻧﻌﻠﻤﻪ ﺭﻭاﻩ ﻋﻦ ﻣﻌﻤﺮ ﺇﻻ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﻮﺳﻰ، ﻭﻛﺎﻥ ﺻﻨﻌﺎﻧﻴﺎ ﺗﺤﻮﻝ ﺇﻟﻰ ﻣﻜﺔ.
বিখ্যাত সাহাবী আনাস বিন মালিক রাদিআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নিশ্চয় একজন ব্যক্তি রাসুল স. এর নিকটে ছিলেন, অতঃপর (ঐ ব্যক্তির) একজন ছোট ছেলে আসলো, অতঃপর সে তাঁর ছেলেকে চুম্বন করলো এবং সে তাঁর ছেলেকে তাঁর উরুর উপর বসালো, এরপর তাঁর ছোট মেয়ে আসলো,অতঃপর সে তাঁর ছোট মেয়েকে ধরে সামনে বসালো (কিন্তু ছেলের মত মেয়েকে আদর সোহাগ করে চুম্বন করলো না) অতঃপর রাসুল স. তাঁকে বললেন তুমি কেন তাঁদের উভয়ের (ছেলে মেয়ের) মাঝে সমতা করলে না???? (ছেলেকে আদর সোহাগ করে চুম্বন করে বসালে করলে অথচ মেয়েকে শুধু বসালে আদর সোহাগ করে চুম্বন করলে না কেন? সাবধান ছেলে মেয়ের ক্ষেতে সমতা প্রতিষ্ঠা কর?)
ইমাম হাইছামী রাহিমাহুল্লাহ এর মাজমাউয যাওয়াইদ ওয়া মামবাউল ফাওয়াইদ, পৃষ্ঠা নং.১৫৬, খন্ড নং.৮, হাদীস নং.১৩৪৮৯,
হাদীসের সনদের মানঃ- তিনি রাহিমাহুল্লাহ ও এই হাদীস উল্লেখ করার পর একে দ্বয়ীফ বলেছেন।
ইমাম বাযযার রাহিমাহুল্লাহ এর মুসানাদে বাযযার, হাদীস নং.৬৩৬১, পৃষ্ঠা নং.৪৫, খন্ড নং.১৩,
হাদীসের সনদের মানঃ- তিনি রাহিমাহুল্লাহ এই হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন যে, একটি দূর্বল হাদীস কারণ সহ। তবে এখানের দূর্বলতা খুব মারাত্মক নয়, অনেকটা সহনশীল আল্লাহু আলাম।
কিন্তু এই মর্মের হুবহু হাদীসটিকে আলবানী রাহিমাহুল্লাহ তিনি সহীহ বলেছেন যে,
اﻟﻌﺪﻝ ﺑﻴﻦ اﻷﻭﻻﺩ اﻟﺬﻛﻮﺭ ﻭاﻹﻧﺎﺙ ﺣﺘﻰ ﻓﻲ اﻟﺘﻘﺒﻴﻞ!
3098- (ﻓﻬﻼ ﻋﺪﻟﺖ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ؟! ﻳﻌﻨﻲ: اﻻﺑﻦ ﻭاﻟﺒﻨﺖ) .
ﺃﺧﺮﺟﻪ اﻟﻄﺤﺎﻭﻱ ﻓﻲ "ﺷﺮﺡ اﻟﻤﻌﺎﻧﻲ " (2/246) ، ﻭاﺑﻦ ﻋﺴﺎﻛﺮ ﻓﻲ "اﻟﺘﺎﺭﻳﺦ " (4/601 - ﻣﺼﻮﺭﺓ اﻟﻤﺪﻳﻨﺔ) ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻘﻴﻦ ﻋﻦ ﻳﻌﻘﻮﺏ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﺑﻦ ﻛﺎﺳﺐ ﻗﺎﻝ: ﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﻌﺎﺫ ﻋﻦ ﻣﻌﻤﺮ ﻋﻦ اﻟﺰﻫﺮﻱ ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﻗﺎﻝ:
ﻛﺎﻥ ﻣﻊ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﺭﺟﻞ، ﻓﺠﺎء اﺑﻦ ﻟﻪ ﻓﻘﺒﻠﻪ ﻭﺃﺟﻠﺴﻪ ﻋﻠﻰ ﻓﺨﺬﻩ، ﺛﻢ ﺟﺎءﺕ ﺑﻨﺖ ﻟﻪ ﻓﺄﺟﻠﺴﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﺟﻨﺒﻪ، ﻗﺎﻝ ... ﻓﺬﻛﺮﻩ.
ﻗﻠﺖ: ﻭﻫﺬا ﺇﺳﻨﺎﺩ ﺣﺴﻦ؛ ﻣﻌﻤﺮ ﻭاﻟﺰﻫﺮﻱ ﺛﻘﺘﺎﻥ ﻻ ﻳﺴﺄﻝ ﻋﻨﻬﻤﺎ.
ﻭﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﻌﺎﺫ ﻭﻳﻌﻘﻮﺏ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﺻﺪﻭﻗﺎﻥ ﻛﻤﺎ ﻓﻲ "اﻟﺘﻘﺮﻳﺐ "؛ ﺇﻻ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ ﻓﻲ اﻟﺜﺎﻧﻲ ﻣﻨﻬﻤﺎ:
" ﺭﺑﻤﺎ ﻭﻫﻢ ":
ﻭﻫﺬا ﻻ ﻳﻀﺮ ﻓﻲ ﺣﺪﻳﺜﻪ، ﻭﻻ ﻳﻨﺰﻟﻪ ﻋﻦ ﻣﺮﺗﺒﺔ اﻟﺤﺴﻦ؛ ﻛﻤﺎ ﻻ ﻳﺨﻔﻰ ﻋﻠﻰ ﺃﻫﻞ اﻟﻌﻠﻢ ﺑﻬﺬا اﻟﻔﻦ اﻟﺸﺮﻳﻒ.
ﺳﻠﺴﻠﺔ اﻷﺣﺎﺩﻳﺚ اﻟﺼﺤﻴﺤﺔ ﻭﺷﻲء ﻣﻦ ﻓﻘﻬﻬﺎ ﻭﻓﻮاﺋﺪﻫﺎ-للألباني رحمه الله, رقم الحديث-3098, رقم الصفحة-263, رقم الجزء-7,
তিনি তাঁর সিলসিলাতুস সাহীহাহ এর ২৯৯৪,৩০৯৮,২৮৮৩ নাম্বারে হাদীসে তিন জায়গায় তিনবার সহীহ বলেছেন, অর্থাৎ ছেলে মেয়ের সমতার ও বৈষম্য বিরোধী ও সমান অধিকার এর ক্ষেত্রে অনেক সহীহ হাদীস এসেছে আলহামদুলিল্লাহ।
হাদীসটি নিম্নে দেওয়া হয়েছেঃ-
বিখ্যাত সাহাবী আনাস বিন মালিক রাদিআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নিশ্চয় একজন ব্যক্তি রাসুল স. এর নিকটে ছিলেন, অতঃপর (ঐ ব্যক্তির) একজন ছোট ছেলে আসলো, অতঃপর সে তাঁর ছেলেকে চুম্বন করলো এবং সে তাঁর ছেলেকে তাঁর উরুর উপর বসালো, এরপর তাঁর ছোট মেয়ে আসলো,অতঃপর সে তাঁর ছোট মেয়েকে ধরে সামনে বসালো (কিন্তু ছেলের মত মেয়েকে আদর সোহাগ করে চুম্বন করলো না) অতঃপর রাসুল স. তাঁকে বললেন তুমি কেন তাঁদের উভয়ের (ছেলে মেয়ের) মাঝে সমতা করলে না???? (ছেলেকে আদর সোহাগ করে চুম্বন করে বসালে করলে অথচ মেয়েকে শুধু বসালে আদর সোহাগ করে চুম্বন করলে না কেন? সাবধান ছেলে মেয়ের ক্ষেতে সমতা প্রতিষ্ঠা কর?)
হাদীস নং.২৯৯৪,৩০৯৮, ও ২৮৮৩
হাদীসের সনদের মানঃ- সহীহ। সম্পূর্ণ সহীহ। যদিও এই মর্মে দ্বয়ীফ বা দূর্বল আছে, কিন্তু তবুও একাধিক সহীহ হাদীস আছে আলহামদুলিল্লাহ।
ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ তিনি তাঁর সিলসিলাহ সহীহাতে ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তানের মধ্যে সমতা বজার রাখার সহীহ হাদীস উল্লেখ করার আগে চমৎকার একটি অধ্যায় দিয়েছেন তার নাম হচ্ছেঃ- ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তানের মধ্যে সমতা বজায় রাখা এমনকি চুম্বন দেয়ার ক্ষেত্রেও ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তানকে সমান চুম্বন করা, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহি আজীম।
ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ এর সিলসিলাতু আহাদীসিস সাহীহাহ, হাদীস নং.৩০৯৮, পৃষ্ঠা নং.২৬৩, খন্ড নং.৭,
হাদীসের সনদের মানঃ- সহীহ।
নোটঃ- ছেলে মেয়ের সমতার মর্মে সহীহ হাদীস আমরা উল্লেখ করছি আলহামদুলিল্লাহ, ছেলে মেয়ের সমতার ও বৈষম্য বিরোধী সহীহ হাদীস কিন্তু এর আগে আমরা উল্লেখ করছি আলহামদুলিল্লাহ।
ﺤﺪﻳﺚ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﻓﻌﻪ ﺳﻮﻭا ﺑﻴﻦ ﺃﻭﻻﺩﻛﻢ ﻓﻲ اﻟﻌﻄﻴﺔ ﻓﻠﻮ ﻛﻨﺖ ﻣﻔﻀﻼ ﺃﺣﺪا ﻟﻔﻀﻠﺖ اﻟﻨﺴﺎء ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻨﺼﻮﺭ ﻭاﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻣﻦ ﻃﺮﻳﻘﻪ ﻭﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺣﺴﻦ
ﻓﺘﺢ اﻟﺒﺎﺭﻱ للأمام اﺑﻦ ﺣﺠﺮ العسقلاني رحمه الله-رقم الجزء-5, رقم الصفحة- 268 (ﻗﻮﻟﻪ ﺑﺎﺏ اﻟﻬﺒﺔ ﻟﻠﻮﻟﺪ)
বিখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল স. বলেছেন যে, তোমরা সন্তানদের মধ্যে সমানভাবে হাদিয়া (উপহার, উপঢৌকন, সম্পদ ইত্যাদি ) দাও। আমি (নবী) যদি কাউকে বেশী দিতাম তাহলে অবশ্যই নারীদেরকে বেশী দিতাম।
নোটঃ- রাসূল স. বলেছেন তোমরা তোমাদের সন্তানদের মধ্যে সমতা এবং সমানভাবে সব কিছু (উপহার, সম্পদ, ভরণপোষণ দায়,দায়িত্ব যত্ন স্নেহ) দাও। কারণ ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তানের মধ্যে হতে কাউকে যদি অগ্রাধিকার দিয়ে দেয়া জায়িয হত তাহলে আমি মেয়েদেরকেই বেশি বা অগ্রাধিকার দিতাম,কিন্তু ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তানের মধ্যে কাউকে কারো উপর প্রাধান্য দেয়া তো জায়িয নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজীম!!! এই হাদীস থেকেও বুঝা গেলে ছেলে মেয়ের মধ্যে মা-বাবারা অবশ্যই অবশ্যই সমতা ও সমান অধিকার, দায়িত্ব যত্ন, মমতা আদর সোহাগ ইত্যাদি রাখতেই হবে। আল্লাহু আলাম।
ইমাম ইবনে হাজার আল-আসক্বালানী রাহিমাহুল্লাহ এর ফাতহুল বারী, খন্ড নং.৫, পৃষ্ঠা নং.২৬৮, অধ্যায়ঃ- পিতা সন্তানকে দান/উপহার করা,
হাদীসের সনদের মানঃ- ইমাম ইবনে হাজার আল-আসক্বালানী রাহিমাহুল্লাহ তিনি তাঁর ফাতহুল বারীতে এই হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন এর সনদ হাসান (সহীহ)। আল্লাহু আলাম।

Address

Trishal
Mymensingh
2220

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Broadcasting & media production in Mymensingh

Show All