AK Ajoy Kumar

AK Ajoy Kumar personal page

দুইদিন টিউশনি করানোর পর তৃতীয় দিন ছাত্রীর মা আমায় ডেকে আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বললো,- কাল থেকে তোমার আর আমার মেয়েকে পড়াত...
28/07/2023

দুইদিন টিউশনি করানোর পর তৃতীয় দিন ছাত্রীর মা আমায় ডেকে আমার হাতে একটা খাম দিয়ে বললো,
- কাল থেকে তোমার আর আমার মেয়েকে পড়াতে হবে না। তুমি দুই দিন আমার মেয়েকে পড়িয়েছো। আমি তোমাকে ১ মাসেরই টাকা দিলাম।
আমি অবাক হয়ে ছাত্রীর মাকে বললাম,
-- আন্টি কিছু মনে না করলে জানতে পারি আমার অপরাধটা কি?
আন্টি অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বললো,
- না, তোমার কোন অপরাধ নেই। এমনিতেই তোমাকে আসতে হবে না।
আমি তখন ছাত্রীর মাকে বললাম,
-- আন্টি আমি আপনার মেয়েকে ১ মাস পড়াই। তারপর যদি আপনার মনে হয় আমি আপনার মেয়েকে ঠিক মত পড়াতে পারছি না; তখন না হয় আমাকে বাদ দিয়ে দিবেন। আমার আপত্তি থাকবেনা।
এইবার ছাত্রীর মা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- আসলে আমার মেয়ে তোমার কাছে পড়তে চাচ্ছে না। শুধু ভালো পড়ালেই হয় না একটু দেখতে শুনতেও ভালো হতে হয়। তোমায় দেখলে না কি আমার মেয়ে ভয় পেয়ে যায়...
আমি আন্টির হাতে খাম দিয়ে বললাম,
-- টিউশনি করাতে হলে যে ফর্সা ভালো চেহারার অধিকারী হতে হয় তা আগে জানতাম না। যদি জানতাম তাহলে বিশ্বাস করেন আমি আপনার মেয়েকে পড়াতে আসতাম না...
ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটছি আর কলেজ জীবনের কথা ভাবছি। কলেজে একবার একটা অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য স্যার ভালো একজন উপস্থাপক খুঁজছিলেন। আমি সবার সামনে হাত তুলে বলেছিলাম,
- স্যার, আমি ভালো উপস্থাপনা করতে পারি। স্কুলে পড়ার সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি উপস্থাপনা করতাম..
স্যার আমার ভালো করে দেখে হাসতে হাসতে বলেছিলো,
-- তোর মত কাউয়া(কাক) যদি উপস্থাপনা করে তাহলে অনুষ্ঠানে যে কয়জন মানুষ আসবে সেই মানুষগুলোও পালাবে...
স্যারের এই এক কথাতে রাতারাতি আমার নাম আবুল বাশার পিয়াস থেকে "কাউয়া বাশার পিয়াস" হয়ে গিয়েছিলো। তখন আর কেউ আমায় আবুল বাশার পিয়াস নামে চিনতো না। সবাই চিনতো "কাউয়া পিয়াস" নামে...
কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। আমার পাশের সিটে বসেছিলো সুন্দরী একটা মেয়ে। আমি যখন আমার সিটে বসতে যাবো তখনি মেয়েটা নাক মুখ ওড়না দিয়ে চেপে ধরলো। বাস কিছু দূর যাবার পরেই মেয়েটা বাসের কন্ট্রাক্টরকে ডেকে বললো,
- আমায় এই সিটটা পাল্টে দেন তো। আমি অন্য কোথাও বসবো।
বাসের কন্ট্রাক্টর আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকালো। তারপর মেয়েটাকে বললো,
-- আপা, এই লোকটা কি আপনার সাথে অসভ্যতামি করেছে? যদি কোনোরকম কিছু করে থাকে তাহলে বলেন। আমি এখনি লোকটাকে বাস থেকে নামিয়ে দিতেছি। কন্ট্রাক্টরের মুখ থেকে এমন কথা শুনে বাসের অন্য সব যাত্রীরা আমার উপর ক্ষেপে উঠলো। একজন লোক চিৎকার করে বললো,
~ অবশ্যই নোংরামি করেছে। তা না হলে আপা সিট ছেড়ে উঠতে যাবে কেন।
এক ভদ্রমহিলা মুখ বাঁকিয়ে বললো,
~ চেহারা দেখেই বুঝা যায় বদমাইশ টাইপ। এইসব কুলাঙ্গারদের জন্য মেয়েদের রাস্তাঘাটে চলাচলই এখন দায় হয়ে পড়েছে।
এমন একটা অবস্থা হয়ে পড়েছিলো যে বাসের সবাই মিলে এখন আমায় মারতে আসবে। আমি বহু কষ্টে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে মেয়েটাকে বললাম,
-- আপনি আমার ছোট বোনের মত। আমি কি আপনার সাথে কোন নোংরামি করেছি?
মেয়েটা মাথা নিচু করে বললো,
- না।
আমি তখন বাসের যাত্রীদের বললাম,
-- ভাই আমার অপরাধ কি জানেন? আমার অপরাধ হলো আমি দেখতে কালো। আপনাদের মত সাদা চামড়ার কিছু মানুষ মনে করে আমাদের মত কালো মানুষের গা থেকে গন্ধ বের হয়। আপনাদের ধারণা পৃথিবীর সমস্ত খারাপ মানুষ কালোই হয়৷
যে ভদ্রমহিলা আমায় বদমাইশ, কুলাঙ্গার বলেছিলো সেই মহিলার কাছে গিয়ে বললাম,
-- আপনি আমার চেহারা দেখেই বুঝে গেলেন আমি বদমাইশ। বিশ্বাস করেন আমি কোনো বদমাইশি করছি তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকাছি পর্যন্ত না। কিন্তু কেন জানি না এই মুহূর্তে আপনার সাথেই আমার বদমাইশি করতে ইচ্ছে করছে...
|
|
নিউমার্কেট এসেছিলাম কিছু শপিং করতে। এমন সময় আমার রুমমেট রাকিব ফোন দিয়ে বললো,
- মেসে আসার সময় দোকান থেকে আমার জন্য একটা ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম ক্রিম নিয়ে আসিস তো। আমি তোকে পরে টাকা দিয়ে দিবো।
রাকিবের কথা মতন কসমেটিকসের দোকানে গিয়ে ক্রিমের কথা বলতেই দোকানের ছেলেটা আমায় দেখে মুচকি হাসলো। তারপর আমার হাতে ক্রিমটা দিতে দিতে বললো,
- শুধু শুধু ভাই টাকা গুলো জলে ফেলবেন। আপনার যে কালার আপনাকে যদি ৩ দিন ৩ রাত হুইল পাউডার দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়; তবুও আপনার কালারের বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হবে না।
দোকানের ছেলেটার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো ওর গালে একটা সজোরে থাপ্পড় মারি কিন্তু ওরই বা কি দোষ। দোষ তো আমার বাবা মার। কারণ উনারা আমাকে জন্ম দিয়েছে।
দোকান থেকে বের হয়েই মাকে ফোন দিলাম। মা ফোনটা রিসিভ করতেই আমি মাকে বললাম,
-- মা, শুনেছি বাবা মা কোনো পাপ করলে তার দায়ভার কিছুটা সন্তানের উপর এসে পড়ে৷ তোমরা কি কোনো পাপ করেছিলে যার ফল স্বরূপ তোমাদের ঘরে আমার মত একটা কালো ছেলে জন্ম নিলো।
মা আমার কথা শুনে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-তুই আবার তোর গায়ের রঙ কালো দেখে মন খারাপ করছিস? তুই কালো দেখে কি হয়েছে। তুই আমার কাছে সোনার টুকরো ছেলে।
মা কেঁদে দিয়েছিলো দেখে আমি মাকে হাসানোর জন্য বললাম,
-- দেখলে মা তুমিও আমায় তেমন ভালোবাসো না। যদি ভালোবাসতে তাহলে সোনার টুকরো না বলে হীরের টুকরো বলতে।
আমার কথা শুনে মা হাসতে হাসতে বললো,
- তুই আমার কোহীনূর হীরার টুকরো ছেলে...
|
|
সবাই আমাকে কালো বলে দূরে সরিয়ে রাখলেও মা বাবার দোয়া সবসময় আমার সাথেই ছিলো। আর সে জন্যই হয়তো আমি খুব ভালো একটা চাকরি পেয়েছি। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই আমার উপর বাবা মা অত্যাচার করা শুধু করলো বিয়ের জন্য। আমিও বিয়ে করবো বলে রাজি হয়েছি তবে একটা শর্ত দিয়েছি। বিয়ে করলে আমি কালো কোন মেয়েকেই করবো।
আজ মেয়ে দেখতে যাবো। মাকে ডেকে বললাম,
- মেয়ে কালো তো?
মা বললো,
-- আমি মেয়েকে এর আগেও দেখেছি। মেয়ের গায়ের রঙ কালোই। কিন্তু আজ আমরা দেখতে যাবো বলে মেক-আপ করে হয়তো সুন্দরী হয়ে যাবে। তবে চিন্তা করিস না। মুখ ধোঁয়ার পর মেয়ে আবার কালো হয়ে যাবে...
আমরা ড্রয়িং রুমে বসে আছি মেয়ে দেখার জন্য। কিছুক্ষণ পর মেয়ে আসলো। মেয়েকে দেখেই কয়েক মিনিটের জন্য আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। একটা মেয়ে কি করে এত সুন্দর হতে পারে। ভালো করে মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি মুখে কোন মেকাপ নেই। শুধু চোখে হালকা একটু কাজল আছে। মেয়ে দেখা শেষ হলে আমি মাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বললাম,
-- মা, তুমি না বলেছিলে মেয়ে কালো। এই মেয়ে তো দেখছি বেজায় সুন্দরী। শুধু সুন্দর না ভয়ংকর রকম সুন্দরী। তোমায় আগেই বলেছিলাম আমি, নিজে যেমন ঠিক তেমন মেয়েই বিয়ে করবো।
আমার কথা শুনে মা বললো,
-আরে মেয়ে সুন্দর না। মেক-আপ করেছে তো তাই সুন্দর লাগছে।
আমি মায়ের হাতটা ধরে বললাম,
-- কেন শুধু শুধু মিথ্যা বলছো মা। মেয়ে কোনো মেক-আপ করে নি। এত সুন্দর একটা মেয়ে।হয়তো ও চাইবে ওর হাজবেন্ড যেন খুব সুদর্শন হয়। আমার সাথে বিয়ে হলে দেখা যাবে মেয়েটার লাইফটাই নষ্ট হয়ে গেছে। আমার সাথে একটা সেলফি তুলতে পারবে না। বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লজ্জা পাবে। একসাথে ঘুরতে লাজ্জা পাবে।
আমার কথা শুনে মা কাঁদতে কাঁদতে বললো,
- তুই কালো হয়েছিস দেখে কি একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে পারবি না?
আমি মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
-- না পারি না মা। একটা সুন্দরী মেয়ে কখনোই একটা কালো ছেলেকে বিয়ে করতে চায় না। যদি কখনো বিয়ে করতে রাজি হয় তাহলে ভেবে নিবে হয় মেয়েটা বাবা মায়ের চাপে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। নয়তো কালো ছেলেটার খুব ভালো ক্যারিয়ার আছে সেজন্য রাজি হয়েছে...
দুপুরে অফিসে বসে কাজ করছি। এমন সময় একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে একটা মেয়ে বললো,
- আমি শ্রাবণী। কাল আপনারা যে মেয়েটাকে দেখতে গিয়েছিলেন আমিই সেই মেয়ে।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
--আপনি আমায় হঠাৎ ফোন দিলেন যে?
মেয়েটি তখন বললো,
- আমি আপনার অফিসের নিচে। দয়া করে একটু আসবেন? আপনার সাথে আমার জরুরী কিছু কথা আছে....
একটা রেস্টুরেন্টে আমি আর মেয়েটি বসে আছি। রেস্টুরেন্টের অনেকেই আমাদের হা করে দেখছে। আমি চেয়েছিলাম রেস্টুরেন্ট বাদে অন্য কোথাও বসতে কিন্তু মেয়েটিই আমায় জোর করে এইখানে নিয়ে আসলো।
কফির মগে মেয়েটি চুমুক দিতে দিতে আমায় বললো,
-- সত্যি বলতে আপনাকে আমার প্রথম দেখাতে ভালো লাগে নি। কিন্তু আড়লে যখন আপনি আপনার মায়ের সাথে কথা বলছিলেন আমি আপনার সব কথা শুনে নিয়েছিলাম। তারপর থেকেই আপনাকে প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছি। ১ মিনিটের কথা শুনে যে কাউকে ভালোবেসে ফেলা যায় সেটা যদি আমার সাথে না ঘটতো তাহলে আমি হয়তো কখনোই বিশ্বাস করতাম না।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- তারমানে আপনি আমায় করুণা করছেন?
মেয়েটি কফির মগটা রেখে আমার হাতধরে বললো,
- আমায় একটাবার সুযোগ দাও। আমি তোমায় এতটাই ভালোবাসবো যে মেয়েদের সম্পর্কে তোমার ধারণাটাই পাল্টে দিবো....
ডাক্তারের চেম্বারের সামনে বসে আছি। এমন সময় দেখি ডাক্তারের চেম্বার থেকে আমার ছাত্রী পিহু আর ওর মা বের হচ্ছে। আমি আন্টিকে সালাম দিয়ে বললাম,
-- আন্টি আমায় চিনতে পেরেছেন? আমি আপনার মেয়েকে দুইদিন পড়িয়েছিলাম। কিন্তু ৩ দিনের দিন আমায় বের করে দিয়েছিলেন।
আন্টি তখন বললো,
- হ্যাঁ। চিনতে পেরেছি..
এমন সময় রুম থেকে শ্রাবণী এসে বললো,
- সরি সরি, আজ রোগীর খুব চাপ ছিলো তাই দেরি হয়ে গেলো। অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছো। তাই না?
আমি তখন আন্টিকে বললাম,
--আন্টি, আমার স্ত্রী শ্রাবণী।
আর শ্রাবণীকে বললাম,
- ও হলো পিহু। একসময় আমার ছাত্রী ছিলো।
শ্রাবণী মুচকি হেসে বললো,
-- হ্যাঁ আমি জানি ওর নাম পিহু। আমিও ওর ট্রিটমেন্ট করছি।
আন্টি আর পিহু আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো। আমি হেঁটে যেতে যেতে শ্রাবণীকে বললাম,
-- পিহুর কি হয়েছে?
শ্রাবণী বললো,
- এক টিচারের সাথে ওর শারিরীক সম্পর্ক ছিলো। পরে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়। কোন ক্লিনিকে যেন এভরসন করিয়েছে। এখন বিয়ের পর আর বাচ্চা হচ্ছে না...
হঠাৎ শ্রাবণী দাঁড়িয়ে বললো,
- ঐ, এই টিচারটা তো কোনোভাবে তুমি নাতো?
আমি রেগে গিয়ে বললাম,
-- আমি কেন হতে যাবো?আমি কালো বলেই তো আমাকে ৩ দিনের দিন বের করেই দিয়েছিলো।
আমার কথা শুনে শ্রাবণী হাসতে হাসতে বললো,
- নীল শার্টে তোমায় খুব সুন্দর লাগছে।
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- কাউয়ার মত লাগছে...
আমার কথা শুনে শ্রাবণী আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বললো,
- যে ছেলে নিজে নিজেকে সম্মান করে না;তাকে মানুষে কিভাবে সম্মান করবে..
শ্রাবণী রাগ করে একা একা হাঁটছে। আর আমি ওর পিছু পিছু যাচ্ছি আর ভাবছি, কালো কলঙ্কের দাগ হলেও মাঝে মধ্যে কালোকে বাদে সাদাকে অসম্পূর্ণ লাগে..

মাত্র কয়েক মিনিট আগে আমি আমার স্ত্রী তুলিকে হত্যা করলাম। নিজের হাতে বিষ মিশানো দুধ খাইয়েছি ওকে।অবাক করা বিষয় কি জানেন? ...
19/07/2023

মাত্র কয়েক মিনিট আগে আমি আমার স্ত্রী তুলিকে হত্যা করলাম। নিজের হাতে বিষ মিশানো দুধ খাইয়েছি ওকে।
অবাক করা বিষয় কি জানেন? তুলি জানতো আজ আমি ওকে খুন করবো। এমনকি ও এটাও জানতো যে দুধে বিষ আছে। তারপরও ও আমার হাত থেকে
দুধটা হাসি মুখে খেয়ে নিলো। দুধ খেয়ে বললো আমি তোমাকে ‌শেষ বারের মত জড়িয়ে ধরে তোমার চোখে একটা চুমো খাবো? আমি কিছু বলতে পারিনি। কি বলবো? শুধু ওকে শক্ত করে বুকের মাঝে জড়িয়ে
ধরেছিলাম। ও আমার চোখে একটা চুমো দিলো। তারপর আমার বুকে ঘুমিয়ে পরলো। আমি ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আসলাম।

এখন আমি লিখছি। কি লিখছি জানেন?
জীবনের কিছু কথা লিখছি। তুলিকে খুন করার কোন কারন আমার কাছে নাই। কারন তুলির মত স্ত্রী পাওয়া যে কোন পুরুষের জন্য ভাগ্যের বিষয়। যে মেয়ে
তার সবটা দিয়ে তার স্বামীকে
ভালোবাসে, শ্বশুর শ্বাশুরির সম্মান করে , নিজের সংসারটা কে মন্দিরের ন্যায় পুজ্যনীয় মানে সে মেয়েকে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। তাহলে কি তুলির কোন পরকিয়া ছিলো ?
ছিঃ এ কথা মুখে আনাও পাঁপ। কারন তুলি ছিলো যথেষ্ট ধার্মিক মেয়ে। ওর পুরো পৃথিবী জুড়ে ছিলাম শুধু আমি আর আমাদের সংসার।
তাহলে আমি তুলিকে মারলাম কেন? হুম শুনলে আপনাদের বুক কেঁপে উঠবে।
তুলিকে মেরেছি কারন আমার মা বলেছে। এখন আপনারা বলবেন মা বলেছে বলে আমি তুলিকে মেরে কেন ফেললাম? কারন মা তুলিকে ঘৃনা করতো আর আমি আমার মাকে খুব
ভালোবাসি। মা কখনোই তুলিকে
পছন্দ করতেন না। তার একমাত্র কারন হচ্ছে তুলি অনাথ। ওর জন্ম পরিচয়ের ঠিক নাই। ছোট বেলা থেকে অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছে। নিজের অভিজ্ঞতা আর কঠিন প্রচেষ্টায় তুলি অনার্স
কমপ্লিট করেছে।ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম আমরা। আমাদের ভালোবাসাটা বাবা মা কখনোই মেনে নেয়নি। তবুও তাদের অমতে জোড় করে আমি তুলিকে বিয়ে করি। তুলিও তাদের অমতে বিয়ে করতে
চায়নি কিন্তু আমার জেদের কাছে হার মানতে হলো।
আমাদের বিয়ের পর তুলি আমাদের বাড়ির সবার খুব খেয়াল রাখতো। বিশেষ করে বাবা মায়ের। কিন্তু তবুও
মা পান থেকে চুন খসলেই তুলিকে যা তা বলে গালি দিতো। মাঝে মাঝেতুলিকে অবৈধ পাঁপও বলতো। তুলি কখনোই তাদের মুখের উপর কোন কথা
বলতো না। চুপচাপ নিচের দিকে
তাকিয়ে থাকতো। ওর কষ্টটা আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে ভুলাতে চেষ্টা করতাম। তুলিকে আমি কয়েকবার বলেছিলাম চলো আমরা আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে উঠি! কিন্তু ও বলতো বাবা মা যতই বকা দিক তারা কিন্তু বাবা মাই। জন্মের পর থেকে তুলি কখনো বাবা
মায়ের স্নেহ ভালোবাসা পায়নি।
ভেবেছিলো বিয়ের পর সেটা পুরন হবে। কিন্তু কথায় আছে না তৃষ্নার্ত যেখানেই যায় সাগর শুকিয়ে যায়।

তখন যদি তুলি আমার কথামত আলাদা বাড়িতে যেতে রাজি হতো তাহলে ওর মৃত্যু হতো না।
কিছুদিন থেকে মা খুব অসুস্থ ছিলেন। তুলি মাকে খুব সেবা যত্ন করতো। সেদিন মা আমায় রুমে একা ডাকলেন। আমি যাওয়ার পর মা বললো
মাঃ= বাবা তোর কাছে কিছু চাইবো দিবি? আমার শেষ চাওয়া। শেষ ইচ্ছা। মায়ের কথায় খুব কষ্ট হচ্ছিলো। শত
হলেও নিজের মা তো?
আমিঃ হ্যা বলো মা।
মাঃ আগে আমাকে ছুয়ে প্রতিজ্ঞা কর যে আমি যা বলবো তাই শুনবি।
আমিঃ ঠিক আছে মা প্রতিজ্ঞা
করলাম। ( মাকে ওয়াদা করাটাই আমার জীবনের চড়ম কাল হয়ে দাড়ালো। )
মাঃ তুই ঐ পাঁপকে বিদায় কর। নয়তো মেরে ফেল। ও যতদিন থাকবে আমি মরেও শান্তি পাবো না।
মাকে কিছু বলতে চাইছিলাম কিন্তু মাবলতে দিলো না। মা বললেন দেখ তুই আমাকে ছুয়ে প্রতিজ্ঞা করছিস। এখন
বল তোর মা বড় না বৌ।
আমি কোন কথা না বলে ঘর থেকে চলে আসছিলাম।
দেখলাম তুলি জল হাতে দাড়িয়ে আছে। ওর চোখ থেকে জল পড়ছে। মানে ও সবটা শুনেছে।
আমি কোন কথা না বলে ঘরে চলে আসলাম। সেদিন রাতে তুলি নিজে থেকেই আমায় অনেক আদর করলো।
ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলো আমার মনটাকে। আমায় পরিপূর্ন করলো ওর রাঙানো ভালোবাসায়। শেষ রাতে আমায় বললো
তুলিঃ তোমার জায়গায় আমি থাকলে আমি আমার মায়ের কথা মানতাম।
আমি অবাক দৃষ্টিতে তুলির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমার চোখ দুটো দিয়ে জল পড়ছিলো।
তুলি আমার চোখের নিচে চুমো দিয়ে আমার চোখের জল গুলোকে মুছে দিলো। গত দুদিন তুলি আমায় এত ভালোবাসা
দিয়েছে যা কল্পনার বাইরে। হয়তো এটাই ওর শেষ ভালোবাসা। আর আজ আমি তুলিকে মারলাম।
তুলি এটাতো জানতো যে আমি ওকে মারবো কিন্তু ও কি এটা বুঝতে পারেনি যে আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। ও কি ভেবেছে আমি মায়ের কথা শুনবো আর আমার ভালোবাসার মান রাখবো না? হুমমম তা কি হয়? আমি মায়ের কথায় যেমন তুলিকে মেরে ফেললাম। তেমনি তুলির ভালোবাসার মান রাখতে তুলির সাথে এক হয়ে এক সাথে দুজন পরপারে পাড়ি জমাবো।
জানি উপরওয়ালা আমায় মাফ করবে না। তুলিকে খেতে দেয়া অর্ধেক পরিমান দুধ আমি নিজের জন্য রেখেছিলাম। সেটা এইমাত্র খেলাম।

মাকে কিছু কথা বলার আছে-----
মা তুমি জানো, মায়ের স্থান কাউকে দেয়া যায় না। ঈশ্বরের পর মায়ের স্থান। কিন্তু মা , মা যদি বক্ষ্য হয়, স্ত্রী তবে হৃদয়। বক্ষ্য ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনি হৃদয়
ছাড়াও বাঁচতে পারে না। দুজনই
জীবনের অবিছেদ্দ অংশ। আমি
তোমার কথা রাখলাম। সাথে আমার ভালোবাসার মর্যাদাও রাখলাম। মা তোমার শেষ ইচ্ছা তো আমি পূরন করলাম। এবার তুমি আমার শেষ ইচ্ছা পূরন করবে মা? মা আমাকে আর তুলিকে এক জায়গাই পাশাপাশি একই চিতা তে দাহ কোরো।
আর হ্যাঁ মা তিনজনের শ্রাদ্ধ কোরো। তিন জন কে সেটা ভাবছো তো? আমি,তুলি আর আমাদের অনাগত সন্তান।
হ্যাঁ মা তুলি সেদিন তোমায়
বলেছিলো না মা আপনাদের নাতি নাতনি থাকলে কেমন হতো? সেদিন তুমি তুলিকে বলেছিলে তোর সন্তান তোর মতই পাঁপ হবে।
না মা আমাদের সন্তান পাঁপ না।
ও আমার নিজের সন্তান। আমার রক্ত ছিলো।

মা আমি জানি কাল তুমি খুব কাঁদবে। তোমার আর্তনাতে পুরো বাড়ি কেঁপে উঠবে। কিন্তু মা তোমার সন্তান মরেছে বলে তুমি এত কষ্ট পাবে, তাহলে আমার সন্তানের জন্য আমার ঠিক কতটা কষ্ট হচ্ছে তা তুমি বুঝতে
পারছো?
জানো মা আজ তুলিকে মারার পর আমি বিছানার নিচ থেকে
একটা কাগজ পাই। সেটা থেকেই আমি জানতে পারি আমি বাবা হতে চলেছি।
"না বাবা হতে চলেছিলাম।"
রিপোর্ট টা দুদিন পুরোনো। মানে
তুলি জানতো বেবির কথা বললে ওকে আমি মারতে পারবো না।

মা জানো
তুলি মরার সময় কি বলেছে?
মায়ের খেয়াল রেখো। পাগলিটা
জানতেও পারবে না যে , মায়ের
খেয়াল রাখার জন্য আমি থাকবো না।
মা জানো আজ শুধু তিনটা মানুষের মৃত্যু হলো না মৃত্যু হলো ভালোবাসার, বিশ্বাসের, ভরশার,
স্নেহের , মমতার, মায়ার বাঁধনের আর সম্পর্কের। মা তুমি ভালো থেকো নিজের খেয়াল রেখো। আমার ঘুম পাচ্ছে। খুব ঘুম পাচ্ছে। যাই তুলির পেটে একটা চুমো দেবো। কারন এতক্ষনে ওর
ভিতরে থাকা আমাদের ছোট্ট
সোনার হয়তো হ্যার্টবিট বন্ধ হয়ে
গেছে। তারপর তুলিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরবো। শান্তির ঘুম।

আর হ্যাঁ।। আমার আর তুলির মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমরা নিজেদের ইচ্ছায়
দুনিয়া ছাড়লাম।(সমাপ্তি)))
হ্যা এটা গল্প হলেও বাস্তবে এমন হাজারো ঘটনা হচ্ছে,
অনেক শাশুড়ির কারনে দেশে অনেক অনেক বউকে অত্যাচার,হত্যা,মানসিক নির্যাতন করতাছে স্বামী, সংসারে অশান্তি হচ্ছে, আর কিছু কিছু বউয়ের কারনেও শাশুড়ী অত্যাচার,কষ্ট পাচ্ছে 🙄🙄
গল্পটি কেমন লাগলো সবাই জানাবেন 🙄

#সংগৃহীত

সে ঘুমাচ্ছে না তার চোখ বন্ধ কিন্তু সে ঘুমন্ত নয়। বেবিকে খাওয়াচ্ছেন। তার হাত ভুল অবস্থানে আছে, এটি ব্যাথা করে, কিন্তু তি...
26/06/2023

সে ঘুমাচ্ছে না
তার চোখ বন্ধ কিন্তু সে ঘুমন্ত নয়। বেবিকে খাওয়াচ্ছেন। তার হাত ভুল অবস্থানে আছে, এটি ব্যাথা করে, কিন্তু তিনি এটি নড়াচড়া করে না, কারণ শিশুটি আরাম পাচ্ছে। মনে হচ্ছে সে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু আসলে সে ঘুমাচ্ছে না। সে ক্লান্ত, সে তার চোখ বন্ধ করে আছে ঠিকই কিন্তু সে তার শিশুর প্রতিটি নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। আজ রাতটাও সে এভাবেই কাটাবে, সেই একই অবস্থায়, কারণ বেবিকে না জাগানোর জন্য সে নড়াচড়া করে না। সে ঘুমিয়ে পড়তে চায় কিন্তু সে ঘুমায় না। সতর্ক থাকে যেন বেবি আঘাত না পায়। মায়েদের রাত হল দিনের বাকি অর্ধেক।
সকল মাকে সালাম ও শ্রদ্ধা জানায় ❤️

- প্রত্যেক মেয়ের জীবনে একটা....         - ভালো ছেলে বন্ধু থাকে, 💗💗💗
17/06/2023

- প্রত্যেক মেয়ের জীবনে একটা....

- ভালো ছেলে বন্ধু থাকে, 💗💗💗

20/05/2023

মায়ের মন্দির⛪

#নরসিংদী

ফুলের চেয়ে সুন্দর উপহার কোনদিন কিছু হতে পারেনা!🌻📷 🙃
16/03/2023

ফুলের চেয়ে সুন্দর উপহার কোনদিন কিছু হতে পারেনা!🌻
📷 🙃

❤️❤️জয় মা কালী❣️❣️ 🙏খার্হ্রা মনিপাড়া  থেকে 💖শ্রী শ্রী মা রক্ষা কালী পূজোর অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন💞💓💕💚 আসছে বাং ১৮  পৌ...
19/11/2022

❤️❤️জয় মা কালী❣️❣️

🙏খার্হ্রা মনিপাড়া থেকে 💖শ্রী শ্রী মা রক্ষা কালী পূজোর অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন💞💓💕💚 আসছে বাং ১৮ পৌষ ১৪২৯💐🌷 , ইং ৩ জানুয়ারি ২০২৩ 🙏🙏🙏🙏

#মায়ের_প্রনাম_মন্ত্রঃ
ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী ।
দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোঽস্তুতে ।।
া_মহাকালী🙏🌺🌺

12/07/2022
28/06/2022

আর অল্প কয়েকদিনের অপেক্ষা,
জয় শ্রী জগন্নাথ 🌿❤🙏

19/06/2022

হরেকৃষ্ণ ❤

দাদা ধর্মীয় বিষয়ে কিছু উপদেশ , এবং কথা ❤🙏

হরেকৃষ্ণ🙏❤🙏

রাধিকাঃ- এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?কৃষ্ণঃ- আমায় দেখার জন্য দুনিয়া পাগল আর আমি তোমায় দেখার জন্য পাগল।🌿🌺আমার সব কিছুই তোমায় ঘি...
12/04/2022

রাধিকাঃ- এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
কৃষ্ণঃ- আমায় দেখার জন্য দুনিয়া পাগল আর আমি তোমায় দেখার জন্য পাগল।🌿🌺
আমার সব কিছুই তোমায় ঘিরে রাধে। যে আমায় পেতে চাইবে, তাকে সর্বপ্রথম তোমার কৃপা লাভ করতে হবে।🌿

কি সুন্দর লাগছে এই সুন্দর যুগলকে।🌿🌺রাধে রাধে। 🌿
22/03/2022

কি সুন্দর লাগছে এই সুন্দর যুগলকে।🌿🌺
রাধে রাধে। 🌿

ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে।🌿🌺সবার নতুন বছর শুরু হোক কৃষ্ণ ভাবনায়।🌿🌺       🌻  Happy New Year.... 😍
01/01/2022

ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে।🌿🌺
সবার নতুন বছর শুরু হোক কৃষ্ণ ভাবনায়।🌿🌺

🌻 Happy New Year.... 😍

28/05/2021

😞🥀

Address

Munshiganj

Telephone

+8801404257792

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AK Ajoy Kumar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to AK Ajoy Kumar:

Videos

Share

Category