Alor path

Alor path Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Alor path, Video Creator, Kuliar Char.

26/11/2023

❑. দ্বীনে প্রবেশের অর্থই হলো একটা যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া। সেই যুদ্ধটা জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত বলবৎ। সেই যুদ্ধটা নিজের সাথে। নিজের নফসের সাথে।

শয়তানের ওয়াসওয়াসার সাথে। এই যুদ্ধে লড়তে গিয়ে আমরা বারবার পিছিয়ে পড়তে পারি। ভেঙে পড়তে পার। আশাহত হতে পারি। তাই এরকম অবস্থাতেও যেন আমাদের পদ্খলন না ঘটে, যাতে আমরা সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ থেকে বিচ্যুত না হই, এজন্যই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দুআ আমাদের শিখিয়ে দিছেন।

❝ ইয়া মুকাল্লিবাল ক্কুলুব, সাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিক। ❞
অর্থঃ ""হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমাদের অন্তরকে দ্বীনের ওপর দৃঢ় রাখুন'।

26/11/2023

◍" PSC 'তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি পরে বুঝতে পারলো হুদায় এটা,কিছুই ছিলনা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র ll

◍" JSC ' তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি জানতে পারলো, JSC রেজাল্ট নাম মাত্র, সত্যিকারের খেলা হবে SSC তে ?

◍" SSC ' তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি জানতে পারলো, মুল খেলা নাকি HSC তে হয় ?

এদিকে HSC চলমান পরীক্ষা দেয়া ছেলেটা জানে, মুল খেলা হয় Admission এ!

ওই দিকে সদ্য গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করা ছেলেটি জানে, মুল খেলা তো সবেমাত্র শুরু...

❑. এভাবে হঠাৎ করে মৃত্যু এসে তাকে গ্রাস করে ফেলে। আর মৃত্যুর যন্ত্রণা আসবেই,কুরআন ও হাদিসে সাকারাতুল মাউত সম্পর্কে বিবরণ এসেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَجَاءتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ
মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই আসবে। এ থেকেই তুমি পালাতে চাচ্ছিলে। [ সুরা ক্বাফ : ১৯ ]

মৃত্যুর ফেরেশতা যখন উপস্থিত হয়, মৃত্যুপথযাত্রী তাকে দেখতে পান। রাসূল সা. আমাদের বলেন, এর ব্যপ্তি হবে মিলি সেকেন্ডের মতো। যখন ব্যক্তি জীবিত থাকবে। ফেরেশতাকে তার সামনে উপস্থিত দেখতে পাবে। মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তি তখনো এই দুনিয়ার অংশ। কিন্তু মৃত্যুর ফেরেশতা উপস্থিত এবং আপনি তা দেখতে পাবেন। আল্লাহ তাআলা এ সময় সম্পর্কে কুরআনে বলেন,
لَقَدْ كُنتَ فِي غَفْلَةٍ مِّنْ هَذَا فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ

তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে পর্দা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি প্রখর। [ সুরা ক্বাফ ৫০:২২ ]

01/10/2023

ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম রহি'মাহুল্লাহ বলেন,
"অন্তরের ব্যাধির লক্ষণঃ

(১) যখন কোন ব্যক্তি গুনাহ বা খারাপ কাজ করে, তখন সে অন্তরে কোনপ্রকার দুঃখ বা কষ্ট অনুভব করে না।
(২) গুনাহ করার সময় আনন্দ অনুভব করে, গুনাহ করার পরে তার মন্দ কাজ তাকে শান্তি ও তৃপ্তি দেয়।
(৩) যখন কোন ব্যক্তি কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেশি মনোযোগী হয়, আর অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবহেলা করে।
(৪) হক্ক কথা শুনতে খারাপ লাগে, হক্ক কথা গ্রহণ করতে ও মেনে নিতে কষ্ট পায়।
(৫) নেককার লোকদের সাথে অস্বস্তি বোধ করে, পাপাচারী লোকদের সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
(৬) খুব সহজেই ভ্রান্ত ধারণা ও সন্দেহের শিকার হয়।
(৭) দ্বীন নিয়ে তর্ক বা ঝগড়া করতে উতসাহী, ক্বুরআন তিলাওয়াত ও নেক আমল করতে মন চায় না।
(৮) নাসীহাত শুনে তার উপর কোন প্রভাব পড়ে না।

[ ইগাসা আল-লাহফানঃ ১/৫৪৮ ]

01/10/2023

জান্নাতি মৃত্যুর ১২টি লক্ষন...!

১. মৃত্যুর সময় কালেমা পাঠ করতে পারা। ~সহীহ আবু দাউস-২৬৭৩
২. মৃত্যুর সময় কপালে ঘাম বের হওয়া।~তিরমিজি -৯৮০
৩. জুমার রাতে বা দিনে মৃত্যু বরণ করা। ~তিরমিজি-১০৭৪
৪. আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধরত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করা। ~সহিহ মুসলিম-১৯১৫
৫.প্লেগ রোগে মৃত্যু বরণ করা।~বুখারী-২৮৩০/ মুসলিম-১৯১৬
৬.যে কোনো পেটের পীড়াতে মৃত্যু বরণ করা। ~ সহিহ মুসলিম-১৯১৫
৭. কোনো কিছু ধ্বসে পড়া বা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা। ~সহিহ বুখারী-২৮২৯
৮.গর্ভবতী নারীর মৃত্যু বরণ করা।
~আবু দাউদ-৩১১১
৯. আগুনে পুড়ে বা যক্ষা রোগে মৃত্যু। ~সহিহ তারগিব ওয়াত তারহীব-১৩৯৬
১০.নিজের ধর্ম সম্পদ ও জীবন রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু।
~তিরমিজ ১৪২১/মুসলিম-১৪১
১১.আল্লাহর রাস্তায় প্রহরীর দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যু।
১২. নেক আমল রত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা।

17/09/2023

সন্তানের প্রতি পিতার উপদেশ
__________________________
জগৎবাসীর মাঝে মানুষের প্রতি সবচেয়ে বেশি মমতাময়ী এবং কল্যাণকামী হচ্ছে পিতা-মাতা। ক্বুরআন, হাদীস এবং সীরাত গ্রন্থে সন্তানের প্রতি পিতার দরদমাখা যে অসীয়ত বা উপদেশ পাওয়া যায়, নিম্নে এমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী বর্ণনা করা হলো।
__________________________
(১) পিতা-মাতার উচিত সন্তান জন্মের পূর্ব থেকেই তাদের সন্তান যেন নেককার হয়, তার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুয়া করা।
যেমন ইব্রাহীম আ’লাইহিস সালাম দুয়া করেছিলেন,
رَبِّ هَبۡ لِي مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ١٠٠
“হে আমার রব্ব! তুমি আমাকে একটি সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করো।” সুরা সাফফাতঃ ১০০।

যাকারিয়া আ’লাইহিস সালাম দুয়া করেছিলেন,
رَبِّ هَبۡ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةٗطَيِّبَةًۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ
“হে আমার রব্ব! আমাকে তোমার পক্ষ হতে একটি সুসন্তান দান করো, নিশ্চয় তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।” সুরা আলে-ইমরানঃ ৩৮।
__________________________
(২) পিতা-মাতার সবচেয়ে বড় চিন্তা হবে, তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানেরা যেনো আল্লাহকে মাবূদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, আল্লাহর গোলামী করে, তাঁর প্রতি অনুগত থাকে, তাঁকে ছাড়া অন্য কোনো মাবূদের পূজা না করে। একারণে নবী রাসুলগণ তাঁদের সন্তানদেরকে নসীহত করতেন।
যেমন নূহ আ’লাইহিস সালামের মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে তিনি তাঁর দুই ছেলেকে ডেকে বললেন, আমি তো অক্ষম হয়ে পড়েছি। তাই আমি তোমাদেরকে অসিয়ত করে যাচ্ছি। আমি তোমাদেরকে দুইটি বিষয়ে আদেশ করছি এবং দুইটি বিষয় থেকে নিষেধ করছি। আমি তোমাদেরকে শিরক এবং অহংকার থেকে নিষেধ করছি। আর যে দুটি বিষয়ে আদেশ করছি তার একটি হলোঃ “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”। কেননা সমস্ত আসমান ও যমীন এবং এর মাঝে যা কিছু আছে সব কিছু যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” রাখা হয়, তাহলে কালেমার পাল্লাই ঝুলে যাবে (ভারী হবে)। আর যদি সমস্ত আসমান-যমীন (সাত আকাশ ও সাত যমীন) এবং এর মধ্যকার যা কিছু আছে, একটি হালকা বা গোলাকার করে তার উপর এই কালেমাকে রাখা হয়, তাহলে ওজনের কারণে তা ভেঙ্গে যাবে। আর আমি তোমাদেরকে আদেশ করছি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহা’মাদিহি’ (পাঠ করার জন্য), কেননা এটা প্রত্যেক বস্তুর তাসবীহ, এর দ্বারাই প্রত্যেক বস্তুকে রিযিক্ব দেওয়া হয়।” মুসনাদে আহমাদঃ ৬৫৮৩, মুস্তাদরাক হাকিমঃ ১৫৪, হাদীসটি সহীহ।
__________________________
(৩) একজন পিতার উচিত সমস্ত গুনাহর মাঝে তাঁর সন্তানদেরকে বিশেষভাবে শিরক থেকে সতর্ক করা। যেমন লুক্বমান আ’লাইহিস সালাম তার ছোট্ট ছেলেকে অত্যন্ত আদরমাখা কন্ঠে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেনঃ
يَٰبُنَيَّ لَا تُشۡرِكۡ بِٱللَّهِۖ إِنَّ ٱلشِّرۡكَ لَظُلۡمٌ عَظِيمٞ ١٣
“হে আমার প্রিয় বৎস্য! তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না। নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলম।” সুরা লুক্বমানঃ ১৩।
__________________________
(৪) পিতা-মাতার উচিত তাদের সন্তানদেরকে তাক্বওয়ার ব্যাপারে অসীয়ত করা, পরকালের জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য উপদেশ দেওয়া।
যখন আল্লাহ তাআ’লা ক্কুরআনের এই আয়াত নাযিল করলেন,
(‏وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ ‏)
“(হে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি আপনার নিকটাত্মীদেরকে সতর্ক করে দিন।” সুরা শুআ’রাঃ ২১৪।
তখন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়ালেন এবং ক্বুরাইশ গোত্রকে, আবদে মানাফ গোত্রকে, তাঁর চাচা আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহুকে, তাঁর ফুফু সাফিয়া রাদিয়াল্লাহু আ’নহাকে নাম ধরে ডেকে ডেকে সতর্ক করেন। অতঃপর তাঁর প্রাণপ্রিয় কন্যা ফাতিমাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন,
“হে মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাহ! আমার ধন-সম্পদ থেকে তুমি যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। (শেষ বিচারের দিন) আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে আমি তোমার কোন উপকার করতে পারবো না।” সহীহ বুখারীঃ ২৭৫৩।
__________________________
(৫) মানুষ যতই চেষ্টা করুক না কেনো, তার দ্বারা গুনাহ হবেই। এ কারণে বুদ্ধিমান এবং কল্যাণের অধিকারী তারাই, যারা গুনাহ হয়ে গেছে বুঝার পর বারবার তাওবা করে। সেইজন্য পিতা-মাতার উচিত সন্তানদেরকে তাওবা এবং ইস্তিগফার করার জন্য খুব বেশি নসীহত করা।
যেমন লুক্বমান আ’লাইহিস সালাম তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন, “হে আমার বৎস! তুমি আস্তাগফিরুল্লাহ (হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করো - এই দুয়া) অনেক বেশি পরিমাণে বলো। কেননা, নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে এমন কিছু সময় রয়েছে, যখন তিনি কোন ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দেন না।” শুআ’বুল ঈমানঃ ১১৩, ইমাম বায়হাক্বী রহি’মাহুল্লাহ।
__________________________
(৬) পিতা-মতা যতই আশা এবং চেষ্টা করুক না কেনো, তারপরেও কিছু কিছু সন্তান পথভ্রষ্ট, দ্বীন বিমুখ থেকে যায়। এমন ক্ষেত্রে মুমিনদের উচিত হতাশ না হওয়া। আল্লাহ তাআ’লা ইতিপূর্বে অনেক বড় বড় কাফির, ইসলামের দুশমনদেরকেও হেদায়েত দিয়েছেন। সুতরাং সন্তানের নাফরমানির জন্য তাদের হেদায়েতের ব্যাপারে আল্লাহ রহমত হতে হতাশ হওয়া ঠিক না, কিংবা তাদেরকে বদ দুআ করা ঠিক না। কেননা সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার দুআ এবং বদ দুআ; দুটোই কবুল হয়।
এ কারণে নূহ আ’লাইহিস সালাম তাঁর এক কাফির সন্তানের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার হেদায়েতের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা গেছেন। অনুরূপভাবে, খারাপ সন্তান নিয়ে পরীক্ষায় নিপতিত মুমিনের উচিত তার সন্তানকে বারবার উপদেশ দেওয়া, দ্বীনের দিকে আহবান করা। তাদের হেদায়েতের জন্য দুআ কবুলের মুহূর্তগুলোতে বেশি বেশি দুআ করা।

মহাপ্লাবনের ঠিক পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নূহ আ’লাইহিস সালাম ‘ইয়াম’ নামক তাঁর এক সন্তানকে কুফুরী থেকে তোওবা করে ঈমান আনার দাওয়াত দিয়েছিলেন,
وَهِيَ تَجۡرِي بِهِمۡ فِي مَوۡجٖ كَٱلۡجِبَالِ وَنَادَىٰ نُوحٌ ٱبۡنَهُۥ وَكَانَ فِي مَعۡزِلٖ يَٰبُنَيَّ ٱرۡكَب مَّعَنَا وَلَا تَكُن مَّعَ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٤٢
“পর্বত সদৃশ তরঙ্গমালার মধ্য দিয়ে তা তাদেরকে নিয়ে বয়ে চলল। তখন নূহ তার পুত্রকে, যে কিনা তাঁদের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল, তাকে ডাক দিয়ে বলল, “হে আমার পুত্র! আমাদের সঙ্গে আরোহণ কর, কাফিরদের সঙ্গে থেক না।” সুরা হুদঃ ৪২।
তাঁর সন্তান যখন দাওয়াত কবুল না করে হঠকারি প্রদর্শন করে তখন তিনি তাকে আল্লাহর রহমতের আশা এবং শাস্তির ভয় দেখান। কিন্তু সে ছিলো চরম হতভাগাদের একজন।
قَالَ سَ‍َٔاوِيٓ إِلَىٰ جَبَلٖ يَعۡصِمُنِي مِنَ ٱلۡمَآءِۚ قَالَ لَا عَاصِمَ ٱلۡيَوۡمَ مِنۡ أَمۡرِ ٱللَّهِ إِلَّا مَن رَّحِمَۚ وَحَالَ بَيۡنَهُمَا ٱلۡمَوۡجُ فَكَانَ مِنَ ٱلۡمُغۡرَقِينَ ٤٣
“সে (অর্থাৎ নূহের পুত্র) বলল, “আমি এক্ষুণি পাহাড়ে আশ্রয় নেব; যা আমাকে পানি থেকে রক্ষা করবে।” নূহ বলল, “আজ আল্লাহর হুকুম থেকে কোন কিছুই রক্ষা করতে পারবে না, অবশ্য আল্লাহ যার প্রতি দয়া করবেন সে রক্ষা পাবে।” অতঃপর ঢেউ তাদের দু’জনার মাঝে আড়াল করল আর সে ডুবে যাওয়া লোকেদের মধ্যে শামিল হয়ে গেল।” সুরা হুদঃ ৪৩।
__________________________
(৭) পিতা-মাতার উচিত তাঁদের সন্তান যেন হেদায়েতের উপরে টিকে থাকে, শিরক থেকে বেঁচে থাকে, নেক হায়াত পেয়ে সৌভাগ্যবান হয় তার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুআ করা।
যেমন আল্লাহর বন্ধু ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ দুআ করেছিলেন,
رَبِّ ٱجۡعَلۡ هَٰذَا ٱلۡبَلَدَ ءَامِنٗا وَٱجۡنُبۡنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعۡبُدَ ٱلۡأَصۡنَامَ
“হে আমার রব্ব! আপনি এই (মক্কা) শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।” সুরা ইব্রাহীমঃ ৩৫।
__________________________
(৮) মুমিনদের সফলতা এবং কল্যাণ নিহিত আছে ক্বুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করা, এর বিধি-বিধান অনুসরণ করা, এক কথায় ক্বুরআনকে আঁকড়ে ধরার মাঝে। একারণে পিতা-মাতার উচিত, ছোটবেলা থেকেই সন্তানদেরকে ক্বুরআনওয়ালা বানানোর জন্য চেষ্টা করা এবং ক্বুরআন তিলাওয়াত করার জন্য উপদেশ দেওয়া।
যেমন, আল-আব্বাস বিন আসবাগাহ রহি’মাহুল্লাহ বলেন, মুহাম্মদ বিন ক্বাসিম রহি’মাহুল্লাহ আমাকে বলেছেন, “আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আমার পিতা! আমাকে অসীয়ত করুন।” আমার পিতা বললেন, “আমি তোমাকে আল্লাহর কিতাবের ব্যাপারে অসীয়ত করছি। ক্বুরআন থেকে তোমার সৌভাগ্য অর্জনের ব্যাপারে তুমি ভুল করো না এবং প্রতিদিন ক্বুরআন থেকে অন্তত এক পারা তিলাওয়াত করা তোমার নিজের জন্য অত্যাবশ্যক করে নাও।” তারিখ ইলমা’আ আল-আন্দালুসঃ ১/৩৯৮।
__________________________

05/08/2023

আল্লাহুম্মা লা তুআখিযনী বিমা ইয়াকূলূন, ওয়াগফিরলী মা লা ইয়া‘লামূন)।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তারা যা বলছে সে ব্যপারে আমাকে পাকড়াও কর না এবং যে বিষয়ে তারা জানে না, সে বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করে দাও’। জনৈক ছাহাবী এ দো‘আটি পাঠ করতেন’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৭৬১, সনদ ছহীহ)।

স্মর্তব্য যে, প্রশংসাকৃত ব্যক্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে এবং এতে তার কল্যাণের সম্ভাবনা থাকলে প্রশংসা করা যেতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৬/১২৪)। তবে সামনে হৌক বা পিছনে হৌক কারো ব্যাপারে অতি প্রশংসা করা উচিৎ নয়। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে জনৈক ছাহাবী অপর এক ছাহাবীর উচ্চ প্রশংসা করলে তিনি বলেন, আফসোস! তুমি তো তোমার সাথীর গর্দান কেটে ফেললে (কথাটি তিনি তিনবার বললেন)। অতঃপর বললেন, যদি কারো প্রশংসা করতে হয়, তবে সে যেন বলে, আমি তার ব্যাপারে এমন এমন ধারণা পোষণ করি। কারণ তার প্রকৃত হিসাব আল্লাহ জানেন...(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৮২৭)।

05/08/2023

🔰রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ
তিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেনঃ
১) যে মদ তৈরী করে।
২) যে মাতা-পিতার নাফরমানী করে এবং
৩) ঐ চরিত্রহীন ব্যক্তি(দাইয়ুস) যে নিজ স্ত্রীকে অশ্লীলতা ও ব্যভিচার করতে সুযোগ দেয়।

(আহমাদঃ ৫৮৩৯।)

31/07/2023

◾কি ব্যাপার ভুলে গেলে নাকি !

🌀 হে আমি কবরের কতা বলছি ❞

◾ কবর সাদ ইবনে মুয়াজ কে ছাড় দেয় নি, হে !
তাকে ও কবরে তাকে চাপা দেওয়া হয়েছিলো ।

◾সাদ ইবনে মুয়াজ মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেপেঁ উঠেছিলো আসমানের দরজাসমূহ খুলে গেছিলো এবং তাঁর জানাযায় এমন ৭০ হাজার ফিরেশতা যোগদান করেছে যারা এর আগে আর কখনও পৃথিবীতে আসেনি।

29/07/2023

💠 : - এই দুনিয়ার উপমা হলো এমন এক মুসাফিরের মতো, যে তার ভ্রমণ বের হয়েছে !
পথিমধ্যে ক্লান্ত লাগছিল বলে সে একটা গাছের ছায়ায় একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার পথ চলা আরম্ভ করছে ।

💠 : - পথিকের দীর্ঘ সফরটা কিন্তুু দুনিয়ার জীবন নয়। সেই সময়টা আরও বহু মাএায় প্রলম্বিত। কেবল গাছের ছায়ার নিচে সে যে সময়টুকু ব্যয় করেছে ! ওইটুকুই সময় হলো দুনিয়ার জীবন । মানে,

এই সুদীর্ঘ সময়ের যাএায় কেবল খুব অল্প সময় বিশ্রামের নামই হলো দুনিয়া ✅

📖 :- তুমি যদি দেখতে পেতে যখন তাদেরকে দোযখের পাশে দাঁড় করানো হবে এবং তারা বলবে, ‘হায়! যদি আমাদের (পৃথিবীতে) প্রত্যাবর্তন ঘটত, তাহলে আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনকে মিথ্যা বলতাম না এবং আমরা বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
সুরা আনআম :- ৬/২৭

📖 : - সুরা ফরজ :- ৮৯/২৪

28/07/2023

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,হিদায়াত প্রকাশিত হওয়ার পর যে রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের বিপরীত পথে চলে, সে যেদিকে চলতে চায়, আমি তাকে সেদিকেই প্রত্যাবর্তিত করব এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর এটা নিকৃষ্টতর প্রত্যাবর্তন স্থল’ (সূরা আন-নিসা : ১১৫)।

উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা সালাফদের মানহাজকে আঁকড়ে ধরা আবশ্যক করেছেন। যে তাঁদের নীতিকে প্রত্যাখ্যান করবে সে কুফরী করবে। ইমাম ত্বাবারী (রহ:) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,

ويتبع طريقًا غير طريق أهل التصديق، ويسلك منهاجًا غير منهاجهم، وذلك هو الكفر بالله، لأن الكفر بالله ورسوله غير سبيل المؤمنين وغير منهاجهم.

‘যে ব্যক্তি সালাফদের তরীক্বা ছাড়া অন্য কোন তরীক্বার অনুসরণ করবে এবং তাদের মানহাজের বিরোধী কোন মানহাজে পরিচালিত হবে, সেটা আল্লাহর সাথে কুফরী হিসাবে সাব্যস্ত হবে। কারণ সালাফদের রাস্তার বাইরে চলা এবং তাদের মানহাজের বিপরীত চলাই হল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করা’।(তাফসীরে ত্বাবারী, ৯ম খ-, পৃ. ২০৪)

অতএব পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুসরণের ক্ষেত্রে ঐভাবে বুঝতে হবে, যেভাবে রাসূল (ﷺ) ও ছাহাবায়ে কেরাম বুঝেছেন। কারণ তাঁরাই হলেন প্রথম সারির আমলকারী।সংকলিত(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী

17/07/2023

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
ইন্নালহামদা লিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ ।

📖 হে মানুষ! কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম প্রতিপালক হতে প্রতারিত করল ?
সুরা : আল ইন্ ফিতার আয়াত ৬ ।

🔰 আমাদের আজ কি হলো আমরা আখিরাত কে ভুলে দুনিয়ার মুখে আচ্ছন্ন হয়ে আছি ! অথচ রাসুল স : আমাদের দুনিয়ায় আচ্ছন্ন হওয়া থেকে সতর্ক করছেন।
রাসুল স : বলেছেন নিশ্চয়ই দুনিয়ায় হচ্ছে সবুজ শ্যামল চাকচিক্যময় পুণ্যঁ, আল্লাহ তায়ালা তুমাদেরকে প্রতিনিধি দান করছেন তুমি দুনিয়াতে কি করো দুনিয়াতে এসে কেমন আচরণ করো। অতঃপর রাসুল স: বলেছেন দুনিয়া ব্যাপারে সতর্ক থাকো সাবধান থাকো।

🔰 হায় আফসোস, আমরা চিরস্থায়ী আখিরাত ভুলে গিয়ে ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মুখে আচ্ছন্ন হয়ে আছি এই তুচ্ছ দুনিয়ায় উদাহরণ দিতে গিয়ে রাসুল স: বলেছেন এই দুনিয়ার মুল্যে যদি আল্লাহ তায়ালা কাছে একটি মাছি ডানার সম পরিমাপ হতো তাহলে আল্লাহ তায়ালা কোনো কাফের কে এই দুনিয়ার হতে এক ডুক পানি খাওয়ার সুযোগ দিতেন না। আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বিলাসীতা করা ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে বের করে এনে বলবেন তুমাকে যদি বলা হয় জাহান্নাম থেকে বাচাঁর জন্য এই দুনিয়ায় সকল সম্পদ দান করে দাও তখন তুমি কি করবে......!
তখন সে বলবে হে আমার প্রতিপালক আমি দান করে দিবো।
তখন আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা তাকে ধমক দিয়ে বলবে আমি তুমার কাছে তার কম কিছু চেয়েছিলাম।

📖 " নিশ্চয়ই যারা কুফরি করে, তাদের মাল -সম্পদ ও সন্তান সন্ততি আল্লাহ আজাব থেকে কখনো কোনো কাজে আসবে না এবং তারাই হলো আগুনের জ্বালানী।

সুরা : আল ইমরান আয়াত ১০

🔰 আখিরাত তুলনায় দুনিয়ায় হচ্ছে বিশাল সমুদ্রের থেকে আঙ্গুল ডুবিয়ে আসা এক ফুটা পানির মতো।
রাসুল স : এরশাদ করেন দুনিয়া মুমিনদের জন্য জেলখানা, কাফের জন্য ভোগবিলাস জায়গা ।

রাসুল স: বলেছেন : তুমি দুনিয়া একজন অপরচিত মুসাফির ন্যায় বসবাস করো এবং নিজেকে কবর অধিবাসী মনে করো। রাসুল স: এই দুনিয়ায় ধন সম্পদকে দুনিয়ার ফেতনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রাসুল স: বলেছেন : নিশ্চয়ই প্রত্যেক জাতি উম্মতের জন্য কিছু ফিতনা সমগ্রী ছিলো আমার উম্মতের জন্য ফেতনা সামগ্রী হলো হচ্ছে এই ধন সম্পদ।
রাসুল স : বলেছেন : এই দুনিয়ায় আমাদের ধংসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রাসুল স : বলেছেন : যেনে রাখ এই দিরহাম, স্বণঁ রৌপ্য, টাকা পয়সা তুমাদের পুবঁ বতীদের ধংস করেছে, এগুলো তুমাদের ধংস করে ছাড়বে।

📖 তার ধন সম্পদ এবং সে যা অজঁন করলো তা কোনো কাজে আসবে না।

সুরা লাহাব আয়াত : ২

🔰 হায় আফসোস আজকে আমরা এই সামান্য বিলাসীতা জন্য আমরা আমাদের প্রতিপালকে ভুলে গেছি,প্রতিপালকের অবাধ্য করছি।
মৃত্যু একদিন অবশ্য আসবে , যা থেকে তোমরা পলায়ন করতে পারবে না ! যে দুনিয়ার ভোগ বিলাসীতা মগ্ন ছিলো সেই বিলাসীতা ছেড়ে যেতে হবে। দুনিয়ায় সকল কমেঁর হিসাব দিতে হবে।

📖 '' কেউ অণু পরিমাণ ভালো কাজ করলে, সে তা দেখতে পাবে।
কেউ অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে, তাও সে দেখতে পাবে
সুরা : আল যিল্ যাল আায়াত ৭ এবং ৮ ।

🔰 মৃত্যু একদিন অবশ্যই আসবে যে দুনিয়ার ভোগ বিলাসীতা মগ্ন ছিলে। দুনিয়ার সমস্ত আনন্দ ফুতিঁ শেষ হয়ে যাবে। তুমার ধন সম্পদ তুমার থেকে পৃথক হয়ে যাবে।
ধংস সেইই দুনিয়ার জন্য যে দুনিয়ার ভোগ বিলাস কখনো চিরস্থায়ী হয় না ।

🔰 আমাদের কি হলে দিন রাত , সকাল সান্ধায় সারাখন এই তুচ্ছ দুনিয়া কে নিয়ে ভাবছি। এই দুনিয়াকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখছি অযছ বাস্তবতা হচ্ছে আমারা এই দুনিয়ার একজন মুসাফির। আমরা সকলে মৃত্যু স্বাদ গ্রহন করবো।

📖 আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে এরশাদ করেন : হে দুনিয়ার মানুষ দুনিয়ার লোক সকল নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য সুতারং দুনিয়ার জীবন যাতে তুমাদেরকে কিছুইতে প্রতারিত না করে। দুনিয়ার জীবন যাতে ধোঁকা না ফেলে।

সময় থাকতে অবশ্যই ফিরে আসতে হবে রবের দিকে, সবো-ওঁম সেই ব্যক্তি যে নিজের রবের দিকে ফিরে এসেছে। আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা তওবাকারীদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।

📖 তবে এরপর যারা তওবা করে ও নিজেদেরকে সংশোধন করে, সে ক্ষেত্রে আল্লাহ অবশ্যই বড় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [১]

সুরা : আন নিসা আয়াত ১১০

📖 সফলকাম সেই যে নিজেকে তওবা করে ফিরে এসেছে আল্লাহ তায়ালা দিকে। তার জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মাগফিরাত।

📖 সফল তো সে-ই,যে নিজেকে শুধরে নিয়েছে।"

- সূরা আস-শামস,আয়াত:০৯

" আর যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে, তার জন্য রয়েছে দু’টি (জান্নাতের) বাগান।
সুরা আর রহমান আয়াত : ৪৬

17/07/2023

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
ইন্নালহামদা লিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ ।

📖 প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাধন করবে, তারপর আমার কাছে তোমার প্রত্যাবতিত হবে। '
সুরা আনকাবুত : ৫৭

📖 এই দুনিয়ায় জীবন নিছক খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয় !
সুরা আনআম : ৩২

🔰কে আপনার প্রকৃত সাথী, কে শেষ পযন্ত আপনার সাথে থাকবে ?
হয়তো ভাবছেন মৃত্যু ! মৃত্যু তো শেষ নয় বরং শুরু মাএ।
আখিরাত জীবন প্রকৃত সাফল্যের জীবন, যার শুরু আছে কিন্তুু শেষ নেই।
আখিরাত সাফল্যই হলো প্রকৃত সাফল্য ' আখিরাত ব্যথঁতাই হলো প্রকৃত ব্যথঁতা।
আমরা পরিবার, আন্তীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব প্রিয়জনদের সাথী হিসাবে ভেবে নিই। মনে করি তারা আমাদের সঙ্গে শেষ পযন্ত থাকবেন। তাদের সুখে রাখার জন্য আমরা কত হারাম উপায়ে টাকা উপার্জন করি। ধন-সম্পদ, পরিবার কেউ আমাদের প্রকৃত সাথী নয় !

🔰 তাহলে আমাদের কে এই প্রকৃত বন্ধু !
কে সেই ওয়াদার বিশ্বস্ত সঙ্গী !
কোন সেই চিরবন্ধু ?
যে আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকবে। জীবন সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোতে আমাদের সঙ্গ দিবে।
সহীহ বুখারীর এসেছে আল্লাহ রাসুল স: বলেছেন।

" মৃত ব্যক্তি পিছু পিছু তিনটি বস্তু যায় সেখান থেকে দুইটি বস্তু ফিরে আসে কেমন একটি তার সঙ্গে থেকে যায়।
মৃত্যু ব্যক্তি পিছু পিছু যায় তার পরিবার, তার সম্পদ, তার আমল। পরিবার ও সম্পদ তাকে রেখে ফিরে আসে কেবল তার আমল তার সঙ্গে থেকে যায় "
সুবহানাল্লাহ
আমল আপনার প্রকৃত সাথী।
যে শেষ পযন্ত আপনার সঙ্গে থাকবে।


🔰 রাসুল স : এরশাদ করেন আপনি যদি নেককার মুমিন হন তাহলে মুনকার নাকীর প্রশ্নের উত্তর শেষ হওয়ার পর সুন্দর পোষাক পড়া এক ব্যক্তি আসবে তার শরীর থেকে সৌগন্ধ বের হতে থাকবে, তিনি বলবেন আপনি আনন্দের সুসংবাদ গ্রহণ করুন। এটি সেই দিন যার ওয়াদা আপনাকে করা হয়েছে।

আপনি তাকে তখন জিগ্যেস করবেন কে আপনি ?
আপনার চেহেরা আমি কল্যাণ দেখতে পাচ্ছি। তখন বলবে আমি হচ্ছি আপনার নেক আমল।
তারপর মানুষ রুপি সেই নেক আমল আপনার পাশে এসে বসবে, কবরের সেই অন্ধকার নির্জনতা আপনাকে সঙ্গ দিবে।
তার সান স্নিগ্ধ এত স্বস্তির ও মধুর হবে কবরের শত বছরের সময় আপনার একদিন, অধেঁর দিন বেশি মনে হবে না।

📖 আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এরশাদ করেন : -
" যেদিন তারা তা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন তাদের মনে হবে, যেন তারা পৃথিবীতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক প্রভাতকাল অবস্থান করেছে।
সুরা : আন নাযিআত "


🔰 রাসুল স : এরশাদ করেন : সওম ও কুরআন বান্দার জন্য কিয়ামত দিন সুপারিশ করবে, সওম বলবে হে আমার রব আমি তাকে দিনে বেলা পানাহার ও জৈবিক চাহিদা মেটাতে দেয় নি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন কুরআন বলবে : আমি তাকে রাতে ঘুমাতে দেয়নি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন তাদের উভয়ই সুপারিশ কবুল করা হবে।

🔰 প্রখ্যানন্তরে আপনি যদি বদ আমল করেন দুনিয়াতে বটে কবরের আপনার পিছু ছাড়বে না এমনকি :-
হাশর, মিজান,পুলসিরাত সে আপনার পিছনে লেগে থাকবে আপনাকে জাহান্নামে না পৌছিয়ে সে ক্ষান্ত হবে না।

🔰মুসনাদে আহম্মেদ হাদিস এসেছে :

মুনকার নাকীর প্রশ্ন পবঁ শেষ হওয়া পড় একজন কুৎসিত চেহেরা বিচ্ছিরি কাপড় পড়া লোক মৃত বৃক্তি কাছে আসবে তার শরীর থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ বের হতে থাকবে সে বলবে তুমার দুঃখের সংবাদ গ্রহণ কর এটি সেই দিন যার ওয়াদা তুমাকে দেওয়া করা হয়েছিল।
তখন পাপী বান্দা বলতে থাকবে তুমি কে তুমার চেহেরা আমি অকল্যাণ দেখতে পাচ্ছি। সে বলবে আমি তুমার বদ আমল।

এখন সময় আছে আপনার আমার তওবা করে ফিরে আসার। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন এরশাদ করেন :

📖 "সফল তো সে-ই,যে নিজেকে শুধরে নিয়েছে।"

- সূরা আস-শামস,আয়াত:০৯

🔰 তওবা করার পড় আরো বলেন :

📖 তবে যারা তওবা করে, বিশ্বাস ও সৎকাজ করে[১] আল্লাহ তাদের পাপকর্মগুলিকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন।[২] আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সুরা ফুরকান আয়াত : ৭০

20/03/2023
দোয়া কুনুত বাংলা অর্থ :“হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমরা আপনারই সাহায্য কামনা করি এবং আপনার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করি ও আপনাকে বিশ্ব...
20/03/2023

দোয়া কুনুত বাংলা অর্থ :

“হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমরা আপনারই সাহায্য কামনা করি এবং আপনার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করি ও আপনাকে বিশ্বাস করি, আপনারই উপরই ভরসা করি এবং আপনার নিকট মঙ্গল কামনা করি । আমরা আপনার শোকর করি, যারা আপনার অবাধ্য তাদের নিকট হতে দূরে থাকি । হে আল্লাহ! আমরা আপনারই উপাসনা- আরাধনা করি এবং আপনার কাছে মস্তক অবনত করি, আপনারই এবাদতের জন্যে সচেষ্ট থাকি এবং আপনারই অনুগ্রহের প্রত্যাশী ও আপনার আযাবকে ভয় করি । নিশ্চয়ই আপনার শাস্তি কাফেরদের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে।”

বৃষ্টির সময়   দোয়া কবুল হয় । বৃষ্টির পানি স্পর্শও করতে পারেন (সুন্নত)।❖ বৃষ্টির সময়ের দোয়া ফেরত দেয়া হয় না [আবু দাউদঃ ২৫...
20/03/2023

বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয় । বৃষ্টির পানি স্পর্শও করতে পারেন (সুন্নত)।
❖ বৃষ্টির সময়ের দোয়া ফেরত দেয়া হয় না [আবু দাউদঃ ২৫৪০]।
❖ আয়েশা [রা.] বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বৃষ্টি হতে দেখলে বলতেন,
◉ বৃষ্টি দেখলে দোয়াঃ
اللّٰهُمَّ صَيِّباً نَافِعاً
► উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সায়্যিবান নাফিয়া
► অর্থঃ হে আল্লাহ! মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। [বুখারীঃ১০৩২]।
❖ আনাস [রা.] বলেন, 'আমরা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সঙ্গে থাকাকালে একবার বৃষ্টি নামল। রাসুলুল্লাহ ﷺ তখন তাঁর পরিধেয় প্রসারিত করলেন, যাতে পানি তাকে স্পর্শ করতে পারে। আমরা বললাম, আপনি কেন এমন করলেন? তিনি বললেন, কারণ তা তার রবের কাছ থেকে মাত্রই এসেছে।' [মুসলিমঃ ৮৯৮]।

"( আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু )""(-স্বামীর জন্য ত্যাগ স্বিকার -)"রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নবুওয়্যাত...
20/03/2023

"( আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু )"

"(-স্বামীর জন্য ত্যাগ স্বিকার -)"

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নবুওয়্যাতের শুরুর দিকে হেরা গুহায় অবস্থান করতেন এবং জিব্রাইল (আঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করতেন তখন উম্মুল মু'মিনীন খাদিজা (রাঃ) তাঁর জন্য খাবার ও পানীয় প্রস্তুত করে বাড়ি থেকে হেরা পর্বতের উপরে গুহায় সেই খাবার-পানি পৌঁছে দিতেন।।
যারা হজ বা উমরায় গিয়েছেন তারা দেখেছেন হেরা পর্বত কতটা খাড়া এবং দূর্গম একটি পাহাড়।। উম্মুল মূ'মিনীন খাদিজা (রাঃ) স্বামীর ভালোবাসায় তার সেই ৪০ বছর বয়সে খাড়া পাহাড় বেয়ে স্বামীর খেদমত করতেন (সুবহানআল্লাহ)। কুরআনের প্রথম আয়াত ওহি হিসেবে নাজিল হওয়ার পর যখন রাসূল (ﷺ) ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তখন আম্মাজান খাদিজা (রাঃ) স্বামীকে ইতিহাস শ্রেষ্ট সান্তনাবাণী শুনিয়েছিলেন। স্বামীর ভালোবাসায় করেছেন বহু ত্যাগ স্বীকার, উজার করে দিয়েছেন নিজের ধনসম্পদ, সবকিছু।
স্বামীর প্রতি এই ভালোবাসায় এবং মেহনতে তিনি দুইটি বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত হন -
১. জীবদ্দশায়-ই তিনি জান্নাতে একটি মুক্তা দিয়ে প্রস্তুত, শান্ত নিরিবিলি বাড়ির সুসংবাদ পান।[1]
২. উম্মুল মু'মিনীন খাদিজা (রাঃ) কে জিবরাইল (আঃ) মারফত আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং নিজের পক্ষ থেকে সালাম জানানো হয়।[2]
প্রিয় বোন,
শিক্ষাগ্রহণ করুন...

( দলিলঃ )
[1] সহিহ বুখারী - ৩৮২০।)
[2] সহিহ মুসলিম - ৬১৬৭ )
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

যারা বৃথা কথাবার্তায় নিমজ্জিত থেকে খেল-তামাশা করছে, সে দিন যখন তাদেরকে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে জাহান্নামের আগুনের দিকে নিয়ে যা...
18/03/2023

যারা বৃথা কথাবার্তায় নিমজ্জিত থেকে খেল-তামাশা করছে, সে দিন যখন তাদেরকে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে জাহান্নামের আগুনের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।সে দিন যখন তাদেরকে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে জাহান্নামের আগুনের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।

-সূরা আত্ব তূর ১২-১৩

তুমি নামাজ পড়োনি কেন?= অসুস্থ তাই!তুমি কি হযরত আইয়ুব (আঃ) এর চেয়েও অসুস্থ?তুমি নামাজ পড়োনি কেন?= দায়িত্ব কর্মভার থাকার ক...
18/03/2023

তুমি নামাজ পড়োনি কেন?
= অসুস্থ তাই!
তুমি কি হযরত আইয়ুব (আঃ) এর চেয়েও অসুস্থ?

তুমি নামাজ পড়োনি কেন?
= দায়িত্ব কর্মভার থাকার কারণে!
তোমার কি হযরত সুলাইমান (আঃ) চেয়েও বড় রাজত্ব নাকি?
যে দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নামাজ পরতে পারনি।

তুমি নামাজ পড়োনি কেন?
= স্বামীর অত্যাচারের কারনে!
তোমার স্বামী কি বিবি আছিয়ার স্বামী ফেরআউন এর চেয়েও বেশী অত্যাচারী?

তুমি নামাজ পড়োনি কেন?
= সাংসারিক কাজকর্মের কারণে!
তুমি কি মা ফাতেমার চেয়েও বেশী সংসারী?

নাহ! নামাজ না পরার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো অজুহাত চলবে না।
সমুদ্রে হাবুডুবু খেলেও তখন ওয়াক্ত হলে নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাস এর জন্য আমরা আল্লাহর কাছে ঋণী!
বিনা কারণে এক ওয়াক্ত নামাজ কাযা করলে লক্ষ লক্ষ বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। সে ক্ষেত্রে এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি শাস্তি হতে পারে? একবার ভাবো.......
দুনিয়ার আগুনের চেয়ে ৭০গুন তেজোদৃপ্ত জাহান্নামের আগুন থেকে যদি বাঁচতে চাও, নামাজে কখনো অবহেলা করোনা।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন -

আমীন..

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতهُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ ال...
18/03/2023

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ (22) هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ (23) هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ [الحشر:22-24]

উচ্চারণ : হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাদি, হুয়ার রাহমানুর রাহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লাহি আম্মা য়ুশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বা-রিউল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।

অর্থ : তিনিই আল্লাহ তাআলা, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।’ (২২) ‘তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা' আলা তা থেকে পবিত্র।’ (২৩) ‘তিনিই আল্লাহ তাআলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়। (সুরা হাশর, আয়াত : ২৪)

জেনে নিন সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত কত ফজিলত পূর্ণ এবং কিভাবে আমল করবেনঃ"কোনো একদিন হযরত জিবরাঈল (আঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর কাছ...
18/03/2023

জেনে নিন সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত কত ফজিলত পূর্ণ এবং কিভাবে আমল করবেনঃ
"কোনো একদিন হযরত জিবরাঈল (আঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে বসে ছিলেন। হঠাৎ প্রচন্ড একটি শব্দ শোনা গেলো । হযরত জিবরাঈল (আঃ) নিজের মাথা উচু করে বললেন, এটা আকাশের সেই দরজা খোলার শব্দ যা আজকের পূর্বে আর কখনো খোলা হয়নি। উক্ত দরজা দিয়ে একজন ফিরিশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন, যিনি ইতোপূর্বে আর কখনো পৃথিবীতে আগমন করেননি ।
সে ফিরিশতা নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে এসে বললেন, আপনার জন্যে দুটো নূরের সুসংবাদ রয়েছে। সূরাতুল ফাতিহা এবং সূরাতুল বাকারার শেষ দুটো আয়াত উক্ত দুটো নূর । যা আপনার পূর্বে অন্য কোনো নবীকে প্রদান করা হয়নি। সূরা ফাতিহা এবং সূরাতুল বাকারার শেষ দুটো আয়াত থেকে একটি অক্ষরও পড়ে আল্লাহ তা'য়ালার কাছে আপনি যা কিছু প্রার্থনা করবেন তা প্রদান করা হবে ।”
(মুসলিম, হাদীস নং- ৮০৬)
নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা আসমান-যামীন সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে একটি কিতাব লিখেছেন। সেই কিতাব হতে তিনি দু‘টি আয়াত নাযিল করছেন। সেই দু‘টি আয়াতের মাধ্যমেই সূরা আল-বাক্বারা সমাপ্ত করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এ দু‘টি আয়াত তিলাওয়াত করা হয় শাইতান সেই ঘরের নিকট আসতে পারে না।
(তিরমিজি— ২৮৮২)
আয়ফা' ইবনু ‘আবদিল কালা‘ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আরয করল,হে আল্লাহর নাবী(ﷺ)! কুরআনের কোন্ আয়াত এমন, যার বারাকাত আপনার ও আপনার উম্মাতের কাছে পৌঁছতে আপনি ভালবাসেন? তিনি (ﷺ) বললেন, সূরা আল বাকারাহ্’র শেষাংশ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ‘আরশের নীচের ভাণ্ডার হতে তা এ উম্মাতকে দান করেছেন। দুনিয়া ও আখিরাতের এমন কোন কল্যাণ নেই যা এতে নেই।
(মিশকাত— ২১৬৯)
জুবায়র ইবনু নুফায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সূরা আল বাকারাকে আল্লাহ তা‘আলা এমন দু’টি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর ‘আরশের নীচের ভাণ্ডার হতে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এ আয়াতগুলোকে শিখবে। তোমাদের রমণীকুলকেও শিখাবে। কারণ এ আয়াতগুলো হচ্ছে রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের উপায়। (দীন দুনিয়ার সকল) কল্যাণলাভের দু‘আ।
(মিশকাত— ২১৭৩)
হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, এটা আমার জানা নেই, উপযুক্ত বয়সের এবং জ্ঞান-বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন কোনো মুসলমানদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছে যে, রাতে ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী এবং সূরাতুল বাকারার শেষ দুটো আয়াত তিলাওয়াত করে না। (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৭৩৫)
বাদ্রী সাহাবী আবূ মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, সূরা বাকারার শেষে এমন দু’টি আয়াত রয়েছে যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াত দু’টি তিলাওয়াত করবে তার জন্য এ আয়াত দু’টোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাত্রে কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করার যে হক রয়েছে, কমপক্ষে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত তেলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট।
(সহিহ বুখারী— ৪০০৮)

সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮৫

ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ

উচ্চারণঃ আ-মানাররাছূলু বিমাউনঝিলা ইলাইহি মির রাব্বিহী ওয়াল মু’মিনূনা কুল্লুন আ-মানা বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুছুলিহী লা-নুফাররিকুবাইনা আহাদিম মির রুছুলিহী ওয়া কা-লূ ছামি‘না ওয়াআতা‘না গুফরা-নাকা রাব্বানা-ওয়া ইলাইকাল মাসীর।

সূরা আল বাকারা (البقرة), আয়াত: ২৮৬

لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

উচ্চারণঃ লা-ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-উছ‘আহা-লাহা-মা কাছাবাত ওয়া ‘আলাইহা-মাকতাছাবাত রাব্বানা-লা-তুআ-খিযনা ইন নাছীনা-আও আখতা’না-রাব্বানা ওয়ালা-তাহমিল ‘আলাইনা-ইসরান কামা-হামালতাহূ আলাল্লাযীনা মিন কাবলিনা-রাব্বানা-ওয়ালা তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লানা-বিহী ওয়া‘ফু‘আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-‘আলাল কাওমিল কা-ফিরীন।

জুম্মা গুনাহ মাফের দিন :1️⃣ বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ2️⃣  সূরা কাহাফ পাঠ 3️⃣ আসর থেকে মাগরিব এর মধ্যবর্তী সময় দোয়া করা ।...
17/03/2023

জুম্মা গুনাহ মাফের দিন :

1️⃣ বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ

2️⃣ সূরা কাহাফ পাঠ


3️⃣ আসর থেকে মাগরিব এর মধ্যবর্তী সময় দোয়া করা ।

আল্লাহ আমাদের সকলের নেক আমল গুলো কবুল করুক এবং কবীরা সগীরা সকল গুনাহ গুলো ক্ষমা করে দিক আমিন 🖤

🕋পবিত্র জুম্মা🕋আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ(ﷺ)দীর্ঘ এক বছর পর আবারো রমজানের সুগন্ধি পাওয়া যাচ...
17/03/2023

🕋পবিত্র জুম্মা🕋
আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ(ﷺ)
দীর্ঘ এক বছর পর আবারো রমজানের সুগন্ধি পাওয়া যাচ্ছে! আলহামদুলিল্লাহ🌙

মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। আর মাত্র কয়েক দিন পেরুলেই শুরু হবে রমজান। এখনই রমজানের প্রস্তুতিতে বিশেষ কিছু আমলের বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। তাহলে রমজান শুরুর আগের মুমিন মুসলমানের সেই প্রস্তুতি ও করণীয়গুলো কী?

মুমিন মুসলমানকে মনে রাখতে হবে, রমজান ভোগ, পণ্য মজুত বা বাড়তি মুনাফায় ব্যবসা-বাণিজ্যের মাস নয়, বরং রমজান হলো কোরআন নাজিলের মাস, সংযমের মাস এবং ত্যাগের মাস। এ মাস ইবাদত-বন্দেগির মাস। আল্লাহর রহমত বরকত মাগফেরাত নাজাত ও যাবতীয় কল্যাণ লাভের মাস। তাই এ মাসের আগমনের আগে মুমিন মুসলমানের বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে। সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

হজরত মুয়াল্লা ইবনে ফজল রাহমাতু্ল্লাহি আলাইহি নামে এক বিখ্যাত তাবেয়ি বলেন, ‘সালাফে সালেহিনগণ রমজানের ৬ মাস আগে থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন-

'হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করেন। আর রমজান শেষে তারা বাকি ৬ মাস দোয়া করতেন- হে আল্লাহ! রমজানে যা আমল করেছি; তা আপনি কবুল করে নিন।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো বান্দা যে কোনো ভালো কাজ বা আমল যদি যথাযথভাবে উত্তম উপায়ে করে; তবে সে আমল বা কাজ আল্লাহ তাআলা পছন্দীয় হিসেবে গ্রহণ করেন।’ (তাবারানি)

১. তাওবাহ-ইসতেগফার করা

রমজানের আগের সব গোনাহ থেকে তাওবাহ ইসতেগফার করতে হবে। কোনো অন্যায়কারী যদি ভাবে যে, রমজান চলে এসেছে, আর আমার সব গোনাহ এমনিতেই ক্ষমা হয়ে যাবে। বাস্তবে বিষয়টি এমন নয় বরং আগে থেকে তাওবাহ-ইসতেগফার করে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। আর তাতে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার আগের সব গোনাহ মাফ করে দিয়ে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ দিয়ে জীবন সুন্দর করে দেবেন। এ জন্য বান্দা বেশি বেশি পড়বে-

> اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ : আল্লাহুম্মাগফিরলি,
হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন।

২. রমজানের সব উপকারিতা স্মরণ করা

বরকতময় মাস রমজান সম্পর্কে কোরআন-সুন্নায় যেসব ফজিলত মর্যাদা ও উপকারিতার বর্ণনা রয়েছে, রমজান শুরু হওয়ার আগেই সেসব সম্পর্কে জেনে নেওয়া। সেসব উপকার পেতে কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনাগুলো মেনে চলার প্রস্তুতি নেওয়া। মাস রমজান আসছে, মানসিকভাবে বারবার এ কথার স্মরণ ও নেক আমলের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে এ দোয়াটি বেশি বেশি করা-

> اَللَّهُمَّ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ : আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান।

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন।’

৩. রমজানের রোজার মানসিক প্রতিজ্ঞা নেওয়া

রমজান মাসে পরিপূর্ণ সাওয়াব ও ক্ষমা পেতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। জীবনভর যত গোনাহ করেছি এ রমজানে সেসব গোনাহ বা অন্যায় থেকে পরিপূর্ণ ক্ষমা পেতে হবে। সবচেয়ে বেশি সাওয়াব পেতে হবে। রমজান শুরু হওয়ার আগে এ প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা জরুরি।

আফসোসের বিষয়! অনেক সময় পূর্ব প্রস্তুতি না থাকার কারণে রমজান পেয়েও মুমিন মুসলমান পরিপূর্ণ সাওয়াব ও ক্ষমা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।

প্রতিজ্ঞা এমনভাবে করা যে, চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য বা নিজের কাজ যেমনই হোক, আমি আমার বিগত জীবনের সবে গোনাহ থেকে নিজেকে মাফ করিয়ে নেবো। আমার প্রতি আল্লাহকে রাজি-খুশি করিয়েই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।

৪. রমজান শুরু আগেই আগের কাজা রোজা আদায় করা

রমজান শুরু হওয়ার আগে বিগত জীবনে অসুস্থ হওয়ার কারণে বা সফরের কারণে রমজানের ফরজ রোজা কাজা হয়ে থাকলে তা যথাযথভাবে আদায় করে নেওয়া। বিশেষ করে মা-বোনদের ভাঙতি রোজা থাকতে পারে। তাই রমজানের আগে শাবান মাসের এ সময়ে কাজ রোজা আদায় করে নেওয়া। এতে দুইটি ভালো আমল বাস্তবায়িত হবে-

প্রথমটি : রমজানের ফরজ আমলের প্রতি আগ্রহ বাড়বে

বিগত জীবনের কাজা রোজা আদায় হবে। রমজানের রোজা পালনের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

দ্বিতীয়টি : সুন্নাতের অনুসরণ হবে।

রমজানের আগের মাস শাবানে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে। কাজা রোজা আদায় করার মাধ্যমে সুন্নাতের অনুসরণও হয়ে যাবে।

৫. যাবতীয় গুনাহ থেকে সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার চেষ্টা করা

আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে অনেক মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। তবে এ সাধারণ ক্ষমা সবার ভাগ্যে জোটে না। কেননা এ ক্ষমা পেতে হলে দুইটি কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্ষমা প্রার্থনা করে তা থেকে ফিরে আসতে হবে। তাহলো-

> শিরক থেকে মুক্ত থাকা।

আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শিরক না করা। কেউ ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায়, ছোট বা বড় শিরক করে থাকলে রমজান আসার আগেই তা থেকে তাওবাহ-ইসতেগফারের মাধ্যমে ফিরে আসা।

> হিংসা থেকে মুক্ত থাকা।

কারো প্রতি কোনো বিষয়ে হিংসা না করা। কারণ হিংসা মানুসের সব নেক আমলকে সেভাবে জালিয়ে দেয়; যেভাবে আগুন কাঠকে জালিয়ে দেয়। তাই হিংসা পরিহার করে মনকে ক্ষমা লাভে স্বচ্ছ রাখা।

৬. রমজানের ফরজ রোজার নিয়ম-কানুন জেনে নেয়া

রমজান মাস আসার আগে রোজা পালনের মাসআলা-মাসায়েল তথা নিয়ম-কানুনগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। আর তাতে রমজানের রোজা নষ্ট হওয়া থেকে বা মাকরূহ হওয়া থাকে বা অন্যান্য বিষয়গুলো জেনে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

৭. বিগত রমজানের অসমাপ্ত কাজ চিহ্নিত করা

রমজান মাস আসার আগে বিগত রমজানের নেক আমলগুলো করতে না পারার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করা। যেমন-

> কেন নিয়মিত কোরআন অধ্যয়ন করা হয়নি?

> কেন তারাবিহ পড়া হয়নি?

> কেন দান-সহযোগিতা করা হয়নি?

> কেন ইতেকাফ করা হয়নি?

> কেন রোজাদারকে ইফতার করানো হয়নি?

> কেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা সম্ভব হয়নি?

> কেন কোরআন-সুন্নার আলোচনায় বসা হয়নি?

> কেন রমজানের পরিবারের লোকদের হক আদায় করা হয়নি?

> কেন রমজানের পাড়া-প্রতিবেশি বা আত্মীয়দের হক আদায় করা হয়নি?

এ বিষয়গুলো চিহ্নিত করে নেওয়া। এ বছর রমজান আসার আগে আগে চিহ্নিত কারণগুলো থেকে নিজেকে বিরত রেখে কিংবা প্রস্তুতি গ্রহণ করে কল্যাণকর সব নেক আমল করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

৮. চলতি শাবান মাসজুড়ে রমজানের মহড়া চালু রাখা

Address

Kuliar Char

Telephone

+8801737244300

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alor path posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Alor path:

Share

Category


Other Video Creators in Kuliar Char

Show All