11/12/2023
খুলনায় মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি
তথ্য বিবরণী
মহান বিজয় দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। ঐদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। একই স্থানে সকাল আটটা ৪০ মিনিটে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লসগাইড এর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
ঐ দিন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল ও কাবাডি খেলার আয়োজন করা হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিনেমা হলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি’র আয়োজনে শহিদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ও ফুলতলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে। বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান এবং ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও শিশু পরিবারসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দুইটা হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উম্মুক্ত রাখা হবে। বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র মহান বিজয় দিবসের সাথে সংগতিরেখে অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
১৬ ডিসেম্বর বাদজোহর বা সুবিধাজনক সময়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা-বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য-দীর্ঘায়ু, জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে বিকাল তিনটায় নারীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা এবং বিকাল সাড়ে তিনটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি বনাম জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ মাগরিব জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ঐদিন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য-সাময়িকী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হবে। বিআইডব্লি¬উটিএ লঞ্চ ঘাটে স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজ সজ্জিত করা হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গিলাতলা শিশুপার্ক, বয়রা শিশুপার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক বিনাটিকেটে শিশুদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে। ১৬ ডিসেম্বর সুবিধাজনক সময় শহিদ হাদিস পার্ক, শিববাড়ি মোড় এবং দৌলতপুর শহিদ মিনার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৬ডিসেম্বর সুবিধাজনক সময়ে খুলনা কালেক্টরেট স্কুলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর খুলনা শিশু একাডেমি শিশুদের চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ১৬ ডিসেম্বর সকাল নয়টায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ঐদিন সুবিধাজনক সময়ে পূর্ব রূপসাঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের মাজার প্রাঙ্গণে তাঁর বীরত্ব ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।