24/04/2024
👉 মিলিবাগ পোকা দমনে করণীয়।
পোকা চেনার উপায় : চুনের মত সাদা বর্ণের এবং মোম জাতীয় পাউডার দ্বারা নরম দেহ আবৃত থাকে।
ক্ষতির ধরণ : এরা কচি ফল, পাতা ও ডালের রস চুষে নেয়, ফলে গাছ দুর্বল হয়। পোকার আক্রমণে পাতা, ফল ও ডালে সাদা সাদা তুলার মত দেখা যায়। অনেক সময় পিঁপড়া দেখা যায়।এর আক্রমণে পাতা ঝরে যেতে থাকে এবং ডাল মরে যায়।এভাবে এক সময় পুরো গাছই মরে যায়।
✅ ব্যবস্থাপনা :
আক্রান্ত গাছ টি, প্রথমেই অন্যান্য গাছ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে ফেলতে হবে।
আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন: ইমিটাফ বা, এডমায়ার বা, টিডো বা, নাইট্রো )
১ লিটার পানিতে ২ মিলি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে আক্রান্ত স্থানে।
ওষুধ স্প্রে করার সঠিক সময়: বিকাল/সন্ধ্যা বেলায়।
(রোদের ভেতরে কখনো কীটনাশক স্প্রে করা যাবে না।এতে পাতা বার্ন হয়ে যাবে।)
যে ডাল গুলো বেশি মিলিবাগ আক্রান্ত সেই ডাল গুলো গাছ থেকে কেটে ফেলে দিতে হবে।
✅ পূর্ব-প্রস্তুতি :
নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করুন।গাছের ডাল গুলো রেগুলার চেক করুন।সাদা সাদা মতো কিছু দেখলে সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।
প্রতি ১০ / ১৫ দিন পর পর নিম তেল স্প্রে করুন সব গাছে।
✅ মিলিবাগ দমনে ঘরোয়া উপায়:
সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় (ডিটারজেন্ট বা লিকুইড ভিম বা স্যাম্পু মেশানো পানি বেশি ভালো হয়)
অথবা নিম তেল আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুঁড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
আক্রান্ত অংশ পোকাসহ তুলে ধ্বংস করতে হবে।
খুব জোরে পানি স্প্রে করেও প্রাথমিক অবস্থায় এ পোকা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
✅ বি.দ্রঃ একদম কম আক্রান্ত হলে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলেই হয়, কিন্তু আক্রান্ত বেশি হলে গাছ ফেলে দিতে হবে অথবা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক দিতে হবে।
©Green Care Service
care service