Dream Trip

Dream Trip ভ্রমণ করতে ভালোবাসি, বিশ্ব ভ্রমণ করার স্বপ্ন দেখি।
(17)

03/12/2023

কি হয় এমন জীবন দিয়ে?!?
আমার বাড়ির ঠিক সামনে এমন একটি বাড়ি দেখে যার শোরগোল আস্তে আস্তে অস্তমিত হতে দেখেছি! 😭
এমন জীবন বড় ভাবায় আমাকে। এক একটা এমন বাড়ী দেখি আর ভাবি। চোখ ভেসে যায়।

ভাবতে পারেন এই বাড়িতে একসময় হইচই এ মেতে থাকতো পুরো পরিবার। তারপর ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে চলে যায় যে যার মতো প্রতিষ্ঠিত হতে। থেকে যায় বাবা মা অথবা পরিবারের ব্যয়োজৈষ্ঠরা। ছেলেমেয়েরা প্রথমে প্রতি সপ্তাহে আসতো তাদের সঙ্গে দেখা করতে। তারপর সেটা বেড়ে গিয়ে হলো মাসে একবার। তারপর সংসার আর কর্ম জীবনে প্রবেশ করে সেটা গড়ায় বছরে একবার সেটা শুধু ঈদের দিন দেখতে আসা । এক ঈদ বাবার বাড়ী এক ঈদ শশুর বাড়ী।এভাবেই বাড়তে থাকে দুরত্ব।এই আসা যাওয়ার অপেক্ষায় একসময় বাবা মায়ের সময় শেষ হয়ে যায়। বাবা মা জীবিত থাকতে এই হলো আসা যাওয়ার গল্প। আর যখন তারা মারা গেলো তখন সেখানে ঝড়া পাতা আর পোকামাকড়ের বসতি এখন আর কয়েকবছরে ও হয়তো আসেনা।। জীবন বড় অদ্ভুত।।। এমন জীবন দিয়ে কি হয়?

লেখাটি: বাস্তবতা

শেখরদা কি বলতে চাচ্ছে? ওরে সাকিব তুই কামডা কি করলি! করিস খেলাধুলা ক্যান রাজনীতিতে আইসা মোরে খেলে দিলি!
02/12/2023

শেখরদা কি বলতে চাচ্ছে?
ওরে সাকিব তুই কামডা কি করলি!
করিস খেলাধুলা ক্যান রাজনীতিতে আইসা মোরে খেলে দিলি!

❤️💐🚙🎒
02/12/2023

❤️💐🚙🎒

সূলভ মূল্যে নমিনেশন কোথায় পাওয়া যায়?কেহ মোরে ঠিকানা দেন
30/11/2023

সূলভ মূল্যে নমিনেশন কোথায় পাওয়া যায়?
কেহ মোরে ঠিকানা দেন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আহ্বানেজাতীয় সংলাপে অংশগ্রহণকারী দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ!🔷 বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরম...
28/11/2023

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আহ্বানে
জাতীয় সংলাপে অংশগ্রহণকারী দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ!

🔷 বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরম্নল ইসলাম খান
🔷 জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার
🔷 বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড সাইফুল হক
🔷 রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসানাত আব্দুল কাইয়ূম
🔷 ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান নিজু
🔷 এবি পার্টির মহাসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু
🔷 গণসংহতি আন্দোলনের জননেতা বাচ্চু ভুইয়া
🔷 বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল
🔷 গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরম্নল হক নূর
🔷 বিএফইজে’র সভাপতি এম. আব্দুলস্নাহ
🔷 সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার
🔷 বিশিষ্ট গবেষক ড. গোলাম মাওলা রনি
🔷 নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার
🔷 জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন
🔷 সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানি
🔷 গণঅধিকার পরিষদের যগ্ম আহ্বায়ক কর্ণেল অব. মিয়া মশিউজ্জামান
🔷 গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী
🔷 জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান
🔷 বাংলাদেশ এনডিপির মহাসচিব ড.শাহাদাত হোসেন সেলিম
🔷 পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম
🔷 নাগরিক ঐক্যের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম কায়সার
🔷 খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল
🔷 এনপিডির চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহের. ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

খুবই হৃদয়বিদারক!মাওলানা আমির হামযাহ্ ও ছোট্ট মেয়ের এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে খুবই কষ্ট পেলাম। অন্তত পরিবার ও সন্তানদের স...
27/11/2023

খুবই হৃদয়বিদারক!

মাওলানা আমির হামযাহ্ ও ছোট্ট মেয়ের এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে খুবই কষ্ট পেলাম। অন্তত পরিবার ও সন্তানদের সাক্ষাৎ করতে দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতো। বিচার দিবসের অপেক্ষায় থাকুন, এই ছোট্ট মেয়ের যে হক্ব নষ্ট করা হলো তার জবাবদিহি করতেই হবে।

27/11/2023

চরমোনাই মাহফিলে আগত জাহাজ সমূহ

24/11/2023

গভীর রাতে তান্দুরী চা

23/11/2023

চরমোনাই

চরমোনাইর পথে আলহামদুলিল্লাহশততম মাহফিলের স্বাক্ষী হতে
22/11/2023

চরমোনাইর পথে আলহামদুলিল্লাহ
শততম মাহফিলের স্বাক্ষী হতে

চরমোনাই বাৎসরিক মাহফিলের কার্যক্রম শুরু
22/11/2023

চরমোনাই বাৎসরিক মাহফিলের কার্যক্রম শুরু

 #সাকিবালহাসান স্বয়ং তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সন্তান যাতে জন্মসূত্রে বাংলাদেশী না হতে পারে, সে জন্য দ্বিতীয় সন্...
20/11/2023

#সাকিবালহাসান স্বয়ং তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সন্তান যাতে জন্মসূত্রে বাংলাদেশী না হতে পারে, সে জন্য দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ানো হয়।
যা বুঝিয়ে দেয়, নিজ দেশের প্রতি তার আস্থা কতোটা তলানিতে।
এখন তিনি চাচ্ছেন, রাজনৈতিক নেতা হতে।
কোনো একটা বিশ্বকাপ ঘরে তোলার চেষ্টা করেনি বরং ম্যাচ ফিক্সিং করেছে।
যেসব মানুষ দেশটাকে শুধু একটি ব্যবসায়িক কারখানা ভাবে।
তাদের হাতেই বারবার দেশকে তুলে দেয়ার ব্যপারটা বেদনাদায়ক।


দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে খুলনার মাহফিল
16/11/2023

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে খুলনার মাহফিল

16/11/2023

তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল। ১৫ নভেম্বর ২৩' রোজ বুধবার বিকেল ৩টা জমায়েত: বাইতুল মোকারর...
15/11/2023

একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল।

১৫ নভেম্বর ২৩' রোজ বুধবার বিকেল ৩টা
জমায়েত: বাইতুল মোকাররম উত্তর গেইট।

সংবাদ সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন-আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে কার্যত উগ্রবাদী দলে পরিনত হয়েছে!দেশের চলমান সংকটজনক রা...
12/11/2023

সংবাদ সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন-
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে কার্যত উগ্রবাদী দলে পরিনত হয়েছে!

দেশের চলমান সংকটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন

সাংবাদিক বন্ধুগণ,
খুবই দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। দেশের পরিস্থিতি আপনারা জানেন। স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পরে এসে এ ধরণের পরিস্থিতি আমাদের কারোই কাম্য ছিলো না। একজন নেতা এবং একটি দলের গোয়ার্তুমির কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ভয়াবহতা আমরা ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছিলাম। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে আমরা কিছু যৌক্তিক দাবীও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনরুপ কর্ণপাত করেনি। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল ও দেশের গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও করণীয় নিয়ে আপনাদের অবহিত করতেই আজকের এই আয়োজন।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
বিদ্যমান রাজনৈতিক সমস্যাকে গভীরভাবে দেখলে এর কিছু ভয়াবহ চিত্র আমরা দেখতে পাইঃ-

১. রাষ্ট্রীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারী দল আওয়ামী লীগের সীমাহীন গোয়ার্তুমি।
নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে সরকার পরিবর্তনে জনমতের মুখাপেক্ষি হওয়া আধুনিক বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত একটি রীতি। এই রীতি বাস্তবায়নে নির্বাচনকে অবাধ-নিরপেক্ষ করা অতীব জরুরী। বোধহীন নিম্নস্তরের স্বৈরাচার ছাড়া আর কেউ-ই এই প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কর্যকর করা যায় নাই। যারফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাড়ায়। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সার্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সার্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই তারা ক্ষ্যান্ত হয় নাই বরং এই ইস্যুতে তাদের আচরণ, কথাবার্তা চুড়ান্তমাত্রায় অমার্জিত, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও নির্লজ্জ। যে কারণে আজকে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২. স্বাধীনতা আক্ষরিক অর্থেই পরাহত।
আধুনিক রাষ্ট্রে স্বাধীনতার অর্থ হলো, রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে তা নির্ভর করে জনগণের রায়ের উপর। এখানে সংবিধান পর্যন্ত বৈধতা পায় “জনগনের পরম অভিপ্রায়” থাকার কারণে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের পরিস্থিতিকে এ পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে, জনগণের সেই ক্ষমতা আর নাই। এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে সেই প্রশ্নে বিদেশি শক্তির অবস্থানই প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। অবস্থা কতটা খারাপ হয়েছে যে, আমেরিকা-ভারতের মতো দু’টি দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেই আলোচনা রাজনীতিতে গুরুত্ববহণ করে। স্বাধীনতার জন্য এরচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি আর কিছু হতে পারে না। এদেশকে পরাধিনতার কালো মেঘে আচ্ছন্ন করার এ দায় আওয়ামী লীগকে বহন করতে হবে।

৩. সমঝোতার সকল পথ রুদ্ধ
রাজনীতিকে বলা হয় “আর্ট অফ কম্প্রোমাইজ”। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে সেই কম্প্রোমাইজেশন ও বোঝাপড়া, সমঝোতার জায়গা রুদ্ধ হয়ে গেছে। এর দায়ও বর্তমান সরকারের। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, জানোয়ারদের সাথে কোন আলাপ-আলোচনা নাই, যখন দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশকে গ্রেফতার করা হয়, যখন প্রতিবাদ-সমাবেশে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় তখন রাজনীতির প্রধান উপাদান আলাপ-আলোচনা, বোঝাপড়া ও সমঝোতার পথ আর খোলা থাকে না। তাদের ক্ষমতার স্বার্থে বিরোধী দলসমূহকে তাদের সব একগুঁয়েমী মেনে নিতে হবে। কোন বিষয়ে আলোচনা করা যাবে না। ইতিহাস সাক্ষি! আলোচনার পথ রুদ্ধ হলেই “পঁচিশের কালো রাত” তৈরি হয়।

৪. আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে কার্যত উগ্রবাদী দলে পরিনত হয়েছে।
বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মসূচির সাথে তাল মিলিয়ে আওয়ামী লীগও কর্মসূচি দিচ্ছে এবং সেইসব কর্মসূচির নামের সাথে “শান্তি” থাকলেও কার্যত তা সন্ত্রাসের কর্মসূচিতে পরিনত হয়েছে। লাঠি নিয়ে মহড়া, যাকে তাকে তল্লাশি করা, আতংক তৈরি করার যে কাজ আওয়ামী লীগ করছে তা ৭১ এর শান্তিবাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়।

৫. কলংকের নিন্মস্তরে পৌছে গেছে নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশ অতীতেও বিভিন্ন সময়ে লজ্জা ও বিবেক বর্জিত নির্বাচন কমিশন দেখেছে। কিন্তু বর্তমান কমিশন লজ্জা, বিবেক ও মেরুদণ্ডহীণতার সাপেক্ষে অতীতের সকল মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের এহেন পরিস্থিতিতেও তারা তফসিল নিয়ে এগুচ্ছে। তারা ক্ষমতাসীনদের মনোরঞ্জনে কাজ করছে।

৬. স্বকীয়তা ও আদর্শ হারানো জনপ্রশাসন
জনপ্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী কোন দলের হয় না, এমনকি কোন সরকারেরও হয় না। তারা হয় রাষ্ট্রের। তারা সরকারের অধিনে কাজ কবে বটে তবে নিজেদের সততা, নীতি ও আদর্শ দিয়ে সর্বদা জনতার স্বার্থেই তারা কাজ করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা এক হতাশাজনক চিত্র দেখতে পাচ্ছি। তারা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের অন্যায় নির্দেশ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

৭. দেশের অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্য ও সুশাসনের চুড়ান্ত অবনতি
এ বিষয়ে নতুন করে আর কিছু বলতে চাই না। রিজার্ভ পরিস্থিতি, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের দুর্নীতি, লুটপাট, দ্রব্যমূল্য, টাকা পাচার, অদক্ষতা ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর আলাপ আলোচনা হয়েছে। আমরাও বারংবার এসব নিয়ে আন্দোলন করেছি। এখন নতুন করে এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। এক কথায় বলতে গেলে সুশাসনের অভাবে দেশের অর্থনীতি আজ চরম বিপর্যস্ত।
এই যখন পরিস্থিতি, তখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়েছে। আমরা দেশের আইন-শৃংখলা মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এসেছি। নানাভাবে আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছি, চাপপ্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আপনারা এক গণবিস্ফোরণ দেখেছেন। সেখানে আমরা সরকারকে সতর্ক করে ১০ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করার আহবান করেছিলাম। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা ত্যাগের কথা বলেছিলাম। আপনারা জানেন, ইসলামের রীতি হলো, কোন শক্ত অবস্থান নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সতর্ক করতে হয়, সময় দিতে হয়। আমরাও তা দিয়েছিলাম।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
গাজীপুর, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গার্মেন্টস শ্রমিকগণ ন্যায্য বেতন-ভাতার দাবীতে আন্দোলন করছেন। সরকার শ্রমিকদের রুটি-রুজির ন্যায্য আন্দোলন দমনেও র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি দিয়ে গুলি চালাচ্ছে। কাদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ করছে। মামলা-হামলা ও গ্রেফতার করছে। এমনকি দলীয় ক্যাডার দিয়েও শ্রমিকদের নির্যাতন করছে। পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত ৩জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং বহু শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের এহেন নির্যাতন ও হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সরকার বলছে তারা শ্রমিকদের ৫৬% বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির নিরিখে হিসাব করলে দেখা যায় শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি বরং আরো কমেছে।
৫বছর পূর্বে ২০১৮ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী সমন্বয় করে সর্বনিম্ন মজুরী করা হয়েছিল ৮৫০০/- টাকা। তখন প্রতি মার্কিন ডলারের মূল ছিল ৮৩ টাকা। ডলারের হিসাবে শ্রমিকরা তখন বেতন পেত প্রায় ১০৩ ডলার। এখন সর্বনিম্নমজুরী ঘোষণা করা হয়েছে ১২,৫০০/- টাকা। বর্তমান বাজারে (গত কালকের প্রত্রিকায় প্রকাশিত) মার্কিন জলার ১২৭ টাকা। অতএব ডলারের হিসাবে শ্রমিকরা এখন পাবেন মাত্র ৯৮ ডলার। তার মানে ৫ বছর আগে শ্রমিকরা যে বেতন পেতেন সার্বিক বিবেচনায় এখন পাবেন তার চেয়ে প্রায় ৫ ডলার কম। অতএব এটা কিছুতেই ইনসাফ হতে পারে না। আমরা শ্রমিকদের নির্যাতন বন্ধ করে সরকার এবং মালিক পক্ষের প্রতি ইনসাফপূর্ণ মজুরী ঘোষণার আহবান করছি।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমরা আগেও বারংবার বলেছি যে, বর্তমান সরকারের অধিনে কোন জাতীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। কারণ নির্বাচনকালীণ সরকার হিসেবে যে আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকার দরকার তা এই সরকারের নাই। এবং এটা বারংবার প্রমানিত হয়েছে। আমরা বিগত সময়গুলোতে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে তাদের শঠতা, প্রতারণা ও সহিংসতা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগের চরিত্র যে পরির্বতন হবে না সর্বশেষ লক্ষীপুর ও বি-বাড়িয়ায় হয়ে যাওয়া দু’টি উপ-নির্বাচনও এর প্রমান।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
সরকার জনমত উপেক্ষা করে বারংবার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু আমরা জানি, সংবিধানের গ্রহণ ও মান্যতা তৈরিই হয় “জনগনের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি” এর কারণে। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা অংশে যা বলা হয়েছে তাতে এই সংবিধানের যে অংশে যাই থাকুক না কেন, কোন অবস্থাতেই জনগনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করার ইখতেয়ার এই সংবিধান কাউকে দেয় না। তারপরেও সংবিধানের দোহাই দেয়া নির্লজ্জ মতলববাজি ছাড়া আর কিছু না।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরনের জন্য নির্বাচনকালীন “জাতীয় সরকার” এর ধারণা পেশ করেছে। জাতীয় সরকারের ধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যমান সংবিধানের মান্যতাও রক্ষা করা যাবে একই সাথে চলতি সংকট থেকেও উত্তরণ হওয়া যাবে। আর জনগনের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন ঘটাতে যদি সংবিধানের কোন সংশোধনীও প্রয়োজন হয়, সে সুযোগও রয়েছে। অতীতে কারণে অকারণে ১৭ বার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
রাষ্ট্রপতি এবং নির্বাচন কমিশন কোন দলীয় বা সরকারী প্রতিষ্ঠান নয়। এগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সরকার সংবিধানের জপ করে, অথচ এই দুই প্রতিষ্ঠানকে সংবিধান যে ক্ষমতা দিয়েছে তারও যদি অনুসরণ করা হয় তাহলেও জাতি সংকট থেকে মুক্তি পেতে পারে। অথচ আমরা কি দেখলাম? সিইসি রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো করেই কথা বলছেন।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
দলা›দ্ধ নির্বাচন কমিশন ক্ষমাতাসীনদের চাহিদামত তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে একটি নির্বাচনী তফসীল ঘোষণার পায়তারা করছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে দিয়ে পরিস্কার করে বলেতে চাই, আপনারা জাতীয় নির্বাচনের কোন তফসিল ঘোষণা করবেন না। আপনাদের প্রতি দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং ভোটারদের কোন আস্থা নেই। আপনারা দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আর বাড়াবেন না। তফসিল ঘোষণা করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় আপনাদেরকেই নিতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমের মালিক-সম্পাদকগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নিজেই বলেছেন, দেশে নির্বাচন করার মতো কাঙ্খিত পরিবেশ তৈরী হয়নি,
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের কাঙ্খিত পরিবেশ কখনোই হবে না। অতএব আপনারা পদত্যাগ করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরীর সুযোগ সৃষ্টি করুন।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমরা আমাদের ৩ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে দাবী করেছিলাম, বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসুন। তিনি সেই দাবীর প্রতি কর্ণপাত করেননি। বর্তমান রাষ্ট্রপতির নিয়োগের সময় তিনি যে ধরণের কথাবার্তা বলেছেন, তাতে তার আওয়ামী আনুগত্য প্রকাশিত হয়েছে। তারপরেও দেশের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল পদের অধিকারী হয়ে তার এই দলান্ধতা অন্ধকারকে আরো নিকষ করেছে। আমরা জাতিকে অন্ধকারে পথ হারাতে দিতে পারি না।

সেজন্য আমরা আবারো দাবী করছি যে,

১. অনতিবিলম্বে চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সকল প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
২. রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলের সকল নেতা-কর্মী এবং ওলামায়ে কেরামকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
৩. দলান্ধ এই নির্বাচন কমিশনকে বাতিল করতে হবে।
৪. রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আগে কোন অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।

কর্মসূচী
১. নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।
২. তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল।
৩. আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন।
৪. জাতীয় সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধিগণকে নিয়ে আগামী ২০ শে নভেম্বর’২৩ সোমবার ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

বাইকাররা দয়া করে সাবধানে চলাচল করিয়েন। দিনশেষে সকলেই সুস্থভাবে স্বজনের কাছে ফিরুক। আল্লহ রহম করুন।
11/11/2023

বাইকাররা দয়া করে সাবধানে চলাচল করিয়েন।
দিনশেষে সকলেই সুস্থভাবে স্বজনের কাছে ফিরুক।
আল্লহ রহম করুন।

ছাত্রকে পড়াতে পড়াতে একটু রাত হয়ে গেলো।ছাত্রের মাকে যখন যখন বললাম- ভাবী, কাউকে দিয়ে আমাকে একটু গলির মোড় পর্যন্ত এগিয়ে দিত...
07/11/2023

ছাত্রকে পড়াতে পড়াতে একটু রাত হয়ে গেলো।ছাত্রের মাকে যখন যখন বললাম- ভাবী, কাউকে দিয়ে আমাকে একটু গলির মোড় পর্যন্ত এগিয়ে দিতে পারবেন? আসলে এই গলিতে কিছু বখাটে ছেলেরা বসে আড্ডা দেয়, তাই যেতে একটু ভয় লাগে।

আমার কথা শুনে ছাত্রের মা হাসতে হাসতে বললো- তুমি ভয় পাও, নাকি তোমাকে দেখে গলির ছেলেগুলো উল্টা ভয় পায়?

কিছুটা অবাক হয়ে বললাম- মানে!

উনি হেসে বললো- না কিছু না! তোমার গায়ের রঙ যে পরিমাণ কালো, তুমি অন্ধকারে হাঁটলে তোমাকে তো কেউ দেখার কথা না!

ছাত্রীর মায়ের কথার ইঙ্গিতটা ঠিকই বুঝতে পারলাম। তাই কিছু না বলে চুপচাপ বাসা থেকে একাই বের হয়ে গেলাম!

মাঝে-মধ্যে সৃষ্টিকর্তারকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে- হে খোদা, মানুষ রুপে যেহেতু পাঠিয়েছো, তাহলে গায়ের রঙটা একটু ফর্সা বানিয়ে পাঠালে কি এমন ক্ষতি হতো? মানুষের এতো লাঞ্চনা আর সহ্য হয় না!

রাতে যখন খাবার খাচ্ছিলাম, তখন মা কিছুটা ভয়ে ভয়ে বাবাকে বললো- কাল যে ছেলেটা রিতাকে দেখতে আসবে, শুনেছি সেই ছেলেটা নাকি আগেও একটা বিয়ে করেছিলো?

বাবা খেতে খেতে কর্কশ গলায় বললেন- হুম করেছিলো বিয়ে!

-সেই সংসারে নাকি ৬ বছরের একটা সন্তানও আছে?

-হুম আছে!

-জেনে-শুনে এমন একটা ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে আমাদের উচিত হবে?

বাবা প্লেটটা দূরে সরিয়ে মায়ের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললো- তোমার মেয়ের জন্য এমন ছেলে পছন্দ করবো না তো রাজকুমার পছন্দ করবো? কে তোমার এই মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে শুনি? মেয়ে পেটে থাকাকালীন কি কয়লা খেতে যে এমন একটা মেয়ে জন্ম দিয়েছো!
একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো, লুলা, ল্যাংড়া,কানা যে-ই মেয়েকে পছন্দ করবে, আমি তার সাথেই মেয়েকে বিয়ে দিবো। কোনরকম দায়মুক্ত হতে পারলেই বাঁচি।

বাবার কথা শুনে মায়ের চোখের জল ফেলা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। আর নিজের চোখের জলের কথা বাদেই দিলাম…
পরদিন পাত্রপক্ষ যখন আমাকে দেখতে আসলো, তখন মা নিজ হাতে আমাকে সাজিয়ে দিচ্ছিল। বাবা তড়িঘড়ি করে রুমে ঢুকে মাকে বললো- যেভাবে পারো মেকাপ-টেকাপ দিয়ে হলেও মেয়েকে সাজিয়ে দাও। মেয়েকে কোন রকম পছন্দ করলেই বাঁচি।

এই মুহুর্তে নিজেকে মানুষ না, সজিয়ে-গুজিয়ে কোরবানির হাটে তোলা গরু মনে হচ্ছিলো। গরুকে সুন্দর করে সাজালে ক্রেতাদের যেমন আকর্ষণ বাড়ে, তেমনি আমাকে সাজানো হচ্ছে যেন ছেলে পক্ষ পছন্দ করে।

ছেলে পক্ষ আমাকে দেখে খুব একটা পছন্দ করলো না। বাবার কাছে অনেক টাকা যৌতুক চাইলো, যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে হবে!

পাত্রপক্ষ চলে যাবার পর বাবা আমার কাছে এসে বললো- বাজারে তো বিষ পাওয়া যায় নাকি? খেয়ে মরে যেতে পারিস না?
আমি কিছু না বলে শুধু পাথরের মতো বসে রইলাম --

সৃষ্টিকর্তা বান্দাকে একদিকে অপূর্ণ রাখলে, অন্যদিকে পূর্ণতা বাড়িয়ে দেন। দেখতে অসুন্দর হলেও পড়াশোনায় মোটামুটি ভালোই ছিলাম।

নিজ কানে আশেপাশের মানুষ ছাড়াও, জন্মদাতা বাবার অনেক আপমানসূচক কথা শুনেছি, নিজ চোখে মাকে নিরবে চোখের জল ফেলতে দেখেছি!

নিজেও চোখের জল ফেলেছি, আর পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়েছি। বছর খানেক পর আমি সফলও হয়েছি। আজ আমি উর্দ্ধতন সরকারী কর্মকতা।

একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখি, ছাত্রের মা এসেছে তার ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে!

এটা শুনে মুচকি হেসে উনাকে বললাম- ভাবী, আপনার ভাই আমাকে অন্ধকারে খুঁজে পাবে তো? আমাকে দেখে কি ভয় পাবে না? যা হোক, বাসায় যখন এসেছেন চা-নাস্তা খেয়ে চলে যান। কথাগুলো শুনে উনি কিছু না বলে মাথা নিঁচু করে চলে গেলো…

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, যে পাত্র আমাকে যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে করতে চেয়েছিল। সে পাত্র বাসায় এসে হাজির।

বাবাকে বলছে সে কোন কিছু চায় না, শুধু আমাকে বিয়ে করতে চায়। বাবা কিছু বলার আগেই আমি ছেলের দিকে তাকিয়ে বললাম- ঠিক আছে, আমি বিয়ে করতে রাজি। কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে, আমি বিয়ের পর চাকরি করবো না!

আমার কথা শুনে ছেলেটা অবাক হয়ে বললো- কেন, চাকরি করলে সমস্যা কি?

আমি তখন বললাম- আমি বিয়ের পর শুধু সংসারে মন দিবো। স্বামীর সেবা-যত্ন করবো, বাইরে চাকরি-বাকরি করতে পারবো না!

ছেলেটা অবাক হয়ে বললো- এতো বড় চাকরিটা না করলে তো হবে না!

রাগী চোখে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বললাম- বাইরে যাওয়ার দরজাটা ওই দিকে, তুই আর এক মিনিটও দাঁড়ালে থাপ্পড় মেরে তোর সবকটা দাঁত ফেলে দিবো! ছেলেটা কিছুটা ভয় পেয়েই বাসা থেকে দ্রুত পায়ে বের হয়ে গেলো।

বাবা আমার কাছে এসে বললো- তুই কি বিয়ে করবি না?

আমি বললাম- অবশ্যই বিয়ে করবো, যদি কোন ছেলে আমাকে চামড়া দেখে বিবেচনা না করে, আমার চাকরির প্রতি লোভ না করে, তাকেই বিয়ে করবো।

-কিন্তু মা…

বাবাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম- বাবা, আমি দেখতে কালো হই আর যেমন-ই হই না কেন, আমি তো তোমারই মেয়ে!
মানলাম বাবা হিসেবে আমাকে নিয়ে তোমার টেনশন হতো এবং হওয়াটা স্বাভাবিকও। তবুও তুমি কি করে পারতে, নিজের মেয়েকে এতোটা কষ্ট দিয়ে কথা বলতে?
বাবা, সৌন্দর্য্য বা শারীরিক গঠন মানুষের হাতে থাকে না, তবুও ঘরে-বাইরে সব জায়গায় প্রতিনিয়ত অপমানিত হয়েছি।
বাবা কালো মানুষের শরীর থেকে কি পঁচা গন্ধ বের হয় নাকি যে, ওদের দেখলে সভ্য সমাজের মানুষ নাক ছিঁটকায়?

আমার কথা শুনে বাবা যখন চুপ করে রইলো, আর আমি বাবার সামনে থেকে নিজ রুমে চলে গেলাম। জানি, বাবা কান্না করবে। করলে করুক, তবুও বাবা যদি আমার কষ্টটা একটু উপলব্ধি করতে পারে…

#চামড়ার_রঙ
©

06/11/2023

আসুন আমরা আমাদের ছোট্ট পেজগুলোকে বড় করে তুলতে একে অপরকে ফলো দিয়ে সাহায্য করি।
Follow to Follow
Please dont ignore the page

মোবাইলে এখন এমবি অফার, মিনিট অফার, কলরেট অফারের পরিবর্তে শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য আসে সব অফার তুলে নিয়ে জনগণের পকেট কাট...
06/11/2023

মোবাইলে এখন এমবি অফার, মিনিট অফার, কলরেট অফারের পরিবর্তে শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য আসে সব অফার তুলে নিয়ে জনগণের পকেট কাটা পয়সা দিয়ে সাফল্য দেখায়! পেটে ভাত না থাকলে কি সাফল্য খাবো?

বঙ্গনেতা পীর সাহেব চরমোনাই
05/11/2023

বঙ্গনেতা পীর সাহেব চরমোনাই

ইডা আমাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীউনি উস্কানি দিচ্ছেন!  এজন্যই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে  না! উনারা সম্ভবত গাড়ি চালকদের বলে দ...
04/11/2023

ইডা আমাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
উনি উস্কানি দিচ্ছেন!

এজন্যই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না! উনারা সম্ভবত গাড়ি চালকদের বলে দিয়েছে তোরা ইচ্ছেমত গাড়ি চালাবি, সড়কে বেপরোয়া হবি, কোনো আইন তোদের জন্য নেই।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
03/11/2023

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

02/11/2023

Follow to Follow
Md. Nazmul Islam85 Md.monirul islam Shathi,S Recipe

02/11/2023

01/11/2023


দেশি নগদ বেশি চিটার এজেন্টদের ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সবাইকে নগদে করা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ
31/10/2023

দেশি নগদ বেশি চিটার
এজেন্টদের ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও
সবাইকে নগদে করা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ

31/10/2023
29/10/2023

আজকে বিএনপি-জামাত আলীগের ট্রাপে পা দিয়েছে একটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত
28/10/2023

আজকে বিএনপি-জামাত
আলীগের ট্রাপে পা দিয়েছে
একটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত

🌆🌇এই নগ্ন নগরীতে ঈমান বাঁচিয়ে রাখা বড্ড কঠিন! 😝
28/10/2023

🌆🌇এই নগ্ন নগরীতে ঈমান বাঁচিয়ে রাখা বড্ড কঠিন! 😝

Today’s Best picture
25/10/2023

Today’s Best picture

24/10/2023

follow to follow
Md. Nazmul Islam85
Dream Trip

নানাকে আটকে যেভাবে তাঁর নাতনিকে বিয়ে করেছিলেন আমার দাদা পল্লী কবি জসিমউদদীন জসীম উদ্​দীনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউ...
23/10/2023

নানাকে আটকে যেভাবে তাঁর নাতনিকে বিয়ে করেছিলেন আমার দাদা পল্লী কবি জসিমউদদীন জসীম উদ্​দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল্লাহ সাহেবের সঙ্গে এক দাওয়াতে গেলেন কবি জসীমউদ্​দীন। সেখানে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়লেন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর।

কবির বয়স যেন হুট করেই কুড়ি বছর কমে গেল। হৃদয়ে আনচান শুরু হলো। এ পর্যায়ে নানাভাবে মমতাজ বেগম নামের ওই কিশোরীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেন তিনি। মমতাজের পিত্রালয় ফরিদপুর, কিন্তু তখন তিনি ঢাকায়, নানাবাড়ি থেকে পড়াশোনা করেন।

মমতাজের প্রেমে জসীমউদ্​দীন যখন দেওয়ানা, তখন কিশোরী মেয়েটি কি তা বোঝে? অগত্যা মমতাজের নানা মৌলভি ইদ্রিস মিয়াকে নানাভাবে বশে আনার চেষ্টা চালালেন কবি। বিভিন্ন অজুহাতে ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করলেন। মৌলভি সাহেব কাব্যপ্রেমী মানুষ ছিলেন। তাই তাঁর বাড়িতে কবির আনাগোনাকে স্বাভাবিকভাবেই নিলেন। এভাবে এক দিন, দুই দিন করে মমতাজের ঘর অবধি পৌঁছে গেলেন জসীমউদ্​দীন এবং তাঁকে অবাক করে দিয়ে টেবিল থেকে খাতা নিয়ে লিখলেন:

‘আমারে করিও ক্ষমা
সুন্দরী অনুপমা
তোমার শান্ত নিভৃত আলয়ে
হয়তো তোমার খেলার বাসরে
অপরাধ রবে জমা
আমারে করিও ক্ষমা।’

মমতাজ এবার কবির আকুতি বুঝতে পারলেন। নিজের অজান্তেই তাঁর প্রেমে ডুবে গেলেন। এ প্রসঙ্গে নিজের স্মৃতিকথায় বেগম মমতাজ লিখেছেন, ‘ভদ্রলোক তো আমারে দেখার পর নানা দিক থেইকা আমার নানাভাইকে হাত করার জন্য লাইগা গেল। অনেককে দিয়া সুপারিশ করতে লাগল। ওই যে আমারে দেখল, আমার রূপ তার মনে ধইরা নিল। কবি তো!’

কিছুদিন যেতে না যেতেই নানা মৌলভি ইদ্রিসের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন জসীমউদ্​দীন। এরপর মৌলভি সাহেব যখন বুঝলেন এ বিয়েতে তাঁর নাতনিও রাজি, সে সময় তাঁর রাজি না হওয়ার তো কোনো কারণই নেই, মিয়া-বিবি রাজি তো কিয়া করেগা কাজি।

কিন্তু বাদ সাধলেন মমতাজের বাবা মোহসেনউদ্দিন। তিনি কিছুতেই এই ভবঘুরে কবির কাছে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না। একে তো তাঁর বয়স বেশি, তার ওপর চেহারাও কৃষ্ণবর্ণ। এ অবস্থায় দীর্ঘ এক চিঠি লিখলেন তিনি মৌলভি ইদ্রিসের কাছে, ‘আপনি কি পাগল হইয়া গেলেন! এই লোকটা (জসীমউদ্​দীন) পাগল। চরে ঘুরে বেড়ায়। গান গেয়ে বেড়ায়। ভাবের গান, আধ্যাত্মিক গান, মুর্শিদি গান। গানের মজলিশে সারা রাত কান্নাকাটি করে মাটিতে গড়াগড়ি খায়। এই রকম ছেলের সাথে বিয়া দেবেন? তার চাইতে নাতিনকে পদ্মায় ফালাইয়া দেন।’

চিঠি পাওয়ার পর উভয়সংকটে পড়লেন ইদ্রিস সাহেব। তাঁর নিজেরও কবিকে খুব পছন্দ হয়েছিল। তা ছাড়া পাত্র তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকও বটে।

অতঃপর পাত্র সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে বের হলেন ইদ্রিস সাহেব। কিন্তু নিউমার্কেট এলাকায় কবির মেসের সামনে গিয়ে ‘ধরা’ খেয়ে গেলেন তিনি, তাঁকে ঘরে নিয়ে গিয়ে খুব আপ্যায়ন করলেন জসীম। পরে বললেন, ‘আমার কাছে নাতিন বিয়া দিবেন কি না, কথা দিয়া যাইতে হইব। নইলে আইজকা আপনাকে ছাড়ুম না।’ একবেলা আটক থাকার পর নাতনি বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মুক্তি মিলল মৌলভি ইদ্রিসের।

ছাড়া পেয়ে বিয়ের বন্দোবস্ত শুরু করলেন ইদ্রিস সাহেব, ১৯৩৯ সালে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো জসীমউদ্​দীন ও বেগম মমতাজের বিয়ে। রবীন্দ্রনাথসহ সব বড় সাহিত্যিকই সেই বিয়েতে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র: শতবর্ষে জসীমউদ্​দীন বইয়ে প্রকাশিত বেগম মমতাজ জসীমউদ্​দীনের লেখা ‘আমার কবি’

পত্রিকাসূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা- ২২ জুলাই ২০২২ প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করন

ইসলামপন্থীদের এই দৃশ্যটি ভালো লেগেছে
21/10/2023

ইসলামপন্থীদের এই দৃশ্যটি ভালো লেগেছে

সুখী পরিবার
15/10/2023

সুখী পরিবার

13/10/2023

We are in favor of revolutionary Palestine from Bangladesh

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

Address

Khulna City
Khulna
9000

Telephone

+8801711433182

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dream Trip posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dream Trip:

Videos

Share


Other Digital creator in Khulna

Show All