Daily Sunnah

Daily Sunnah সুন্নাহর আদর্শে উজ্জীবিত হোক জীবন। স?
(1)

17/11/2022

বিশ্বকাপ উন্মাদনা : মুমিনের করণীয়

ভিডিও কার্টসী : Jadid Media

12/09/2022

আমরা কি প্রচলিত গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ইসলামি দলগুলোকে কাফের মনে করি?

আলোচক : Ali Hasan Osama

09/09/2022

দেখুন, আমরা মেরুকরণ চাই না। ভাগাভাগিও চাই না। চাই যুক্তিতর্কের আলোকে সমাধান। সর্বোচ্চ বুদ্ধিবৃত্তিক আলাপ-আলোচনা। ভুল হলে শুধরে যাব, সঠিক হলে বলে যাব - এ-ই তো আমাদের পণ। কিন্তু এই যে মিথ্যা অপপ্রচার, গালিগালাজ, ট্যাগাট্যাগি এগুলো কীসের নিদর্শন? এভাবে আমাদের দমিয়ে দেবেন ভেবেছেন? আপনারাও চুপ থাকলে আমরাও চুপ থাকতাম। কিন্তু এক হাজার আঘাত করে একটা প্রতিঘাত খাবেন না, তা তো আর হয় না। আর বাতিলের ভিত সবসময় দুর্বলই থাকে। না হলে একজন ক্ষুদ্র ব্যক্তির দুই-তিন প্যারার লেখায় কেন কোটি মানুষের বৃহৎ দলের পুরো প্রাসাদ কেঁপে উঠবে আর দিনরাত গালাগালি চলতে থাকবে? ভদ্র লোকের সম্বল হয় যুক্তি ও দলিল আর ইতরের সম্বল হয় গালি ও অপবাদ।

আপনারা কি আজ থেকে বলছেন? যে একবছর আমরা জেলে ছিলাম, তখনো কি চুপ থেকেছিলেন? এখন দুই-তিনটা পোস্টই সামলাতে পারছেন না! অনেক কিছু দিলে কিছু তো পাবেন। আপনাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড যেসব অপব্যাখ্যা করেছে ও গালাগালি দিয়েছে, শুধু এ নিয়ে বলতে শুরু করলেই তো অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে। আমরা তো দুদিন আগেই নীরব হতে চেয়েছিলাম। এরপরও আপনাদের আচরণ তো দেখতেই পাচ্ছি।

মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর লানত। আরজাবাদ মাদরাসা কোথায়, তা-ই এখনো আমি চিনি না। কিন্তু ভাই রফিকির এডমিন কী প্রচার করল? ২০১৬ তে আমি দাওরা ফারেগ, এই অদ্ভুত তথ্যও তো সেই বলল। মিথ্যাবাদী ছাগীর বলল, আমি নাকি সরকারি ঈদগাহে ইমামতির জন্য দরখাস্ত করেছি। কেয়ামত পর্যন্ত সময় দিলাম এই দাবির পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য। আমরা কুরআন-সুন্নাহর হকটা বললেই চরম উত্তেজিত হয়ে পড়ো, ঐক্য গেল রে বলে তেড়ে আসো, আর এখন এসব বানোয়াট কেচ্ছা সাজিয়ে আসলে কী বার্তা দিতে চাচ্ছ? 'সামনে নির্বাচন তাই আমি বিরোধিতা করছি' এই থিওরির প্রবক্তারা কি আমার গত অর্ধ যুগের জীবনী জানে? আমি তো রাতারাতি গজাইনি, বন্যার সাথে ভেসেও আসিনি, আমার পুরো জীবনটাই তো জাতির সামনে। লেখাপড়ার শুরু থেকে শেষ, পরীক্ষার ফলাফল থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতা ও উস্তাদদের মূল্যায়ন এ সবকিছুর হাজারো সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী এখনো বর্তমানই আছে। আল্লাহর লানত মিথ্যাবাদী ও মিথ্যাচারীদের ওপর।

তোমাদের যদি মনে হয়, এভাবে মিথ্যা ছড়িয়ে জিতে যাবে, তাহলে লেটস গো। গত চার বছরে কম তো করোনি। সব ইতিহাস আমাদের সংরক্ষণ করা আছে। তো ঠিক আছে, করতে থাকো। সময়ই বলে দেবে, হক বিজয়ী হয় নাকি বাতিল। আর হ্যাঁ, নদীর তীরের লোকেরা, খেলতে যখন এসেছ শুধু নিজেরাই খেলো, ইস্যু অন্যদিকে ঘোরানোর দরকার নেই। অপ্রাসঙ্গিক কাউকে টানারও দরকার নেই। তোমাদের যত পুঁজি আছে, তা নিয়ে নেমে পড়ো। আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ। আমরাও তোমাদের শেষ দেখব, যদি না সব ভণ্ডামি ছাড়ো। কঠিন কথাই বলতে বাধ্য হলাম। তবে যা করার, সদর দরজা দিয়েই করো। পেছনের দরজা দিয়ে কাপুরুষের খেল খেলার দরকার নেই। ফায়সালা এ দেশের জনগণই (উলামা ও আওয়াম) করবে ইনশাআল্লাহ

11/08/2022

আমাদের গতকালের পোস্টের ওপর ভাই আবু ত্বহা আদনানের পক্ষ থেকে একটা ব্যাখ্যা এসেছে। আমার ইনবক্স ভরে গেছে। তার ঘনিষ্ঠ ও পরিচিত বহুজন একটা বাংলা বইয়ের ছবি পাঠিয়ে তার দাবির পক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন এবং আমার আগের পোস্টটা ডিলেট করতে বলেছেন। তাদের একাধিকজনের বক্তব্য, নিজ দাবির পক্ষে এই ছবিটা স্বয়ং আবু ত্বহা আদনান তাদেরকে দিয়েছেন। দাওয়াহ আলাদা আর তাহকিক আলাদা। সাহাবিগণের বিষয়টা যদি আমাদের আকিদার সঙ্গে সম্পর্কিত না হতো, তাহলে এ নিয়ে আমিও এত সিরিয়াস হতাম না। কিন্তু আমরা তো দীনের প্রহরী। সুতরাং এটা আমাদের জন্য ফরজ দায়িত্ব হিসাবে বর্তায়। আর ভাই আবু ত্বহা আদনানের জন্য দীনের এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে কেবলই দুয়েকটা বাংলা/ইংলিশ বই দেখে আলোচনা করা কোনোভাবেই সংগত হবে না। যেহেতু তিনি টুকটাক আরবি জানেন, সুতরাং তার করণীয় হবে তাহকিকের উসুল ও তরিকা (গবেষণার মূলনীতি ও পদ্ধতি) জেনে যথাযথ পন্থায় তাহকিক করা, জটিল বিষয়গুলোতে প্রয়োজনে কোনো মুহাক্কিকের সাহায্য নেওয়া, এরপর উম্মাহর সামনে তা উপস্থাপন করা। অন্যথায় এসব সেনসিটিভ বিষয় এভোয়েড করে ইসলামের সর্বজনবিদিত বিষয়গুলোর মধ্যে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখা। যেহেতু তার অধিকাংশ শ্রোতা জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের, সুতরাং এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন না করলে শ্রোতাদের বড় একটা অংশের ইমান-আকিদাই ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।

তার পক্ষ থেকে যে বাংলা বইয়ের রেফারেন্স অসংখ্যজন আমার নিকট পৌঁছিয়েছেন, এর দ্বারাও তার দাবি প্রমাণিত হয় না। মূলত বইয়ের একটা বাক্য বুঝতে তাদের কমন মিসটেক হয়েছে। সে আলোচনায় যাওয়ার আগে প্রথমে আমরা মূল বিষয়টা ক্লিয়ার করে নিচ্ছি; যাতে সব সন্দেহ-সংশয় কেটে যায় এবং ভুল ও বিকৃত ইতিহাস দ্বারা কারও আকিদা ধ্বংস না হয়।

ইমামুল হারামাইন জুওয়াইনি রাহ. লেখেন,
إن معاوية وإن قاتل علياً فإنه لا ينكر إمامته ولا يدعيها لنفسه ، وإنما كان يطلب قتلة عثمان ظناً منه أنه مصيب ، وكان مخطئاً
মুয়াবিয়া রা. যদিও আলি রা.-এর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন, কিন্তু না তিনি আলি রা.-এর খিলাফাহকে অস্বীকার করেছেন আর না নিজের জন্য খিলাফাহর দাবি করেছেন। তিনি শুধু উসমান রা.-এর হত্যাকারীদের বদলা চাচ্ছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল, এ দাবিতে তিনি সঠিক এবং আলি রা. ভুল। [লুমায়ুল আদিল্লাহ ফি কাওয়ায়িদি আকায়িদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআহ ¬: ১১৫]

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা রাহ. লেখেন,
بأن معاوية لم يدّع الخلافة ولم يبايع له بها حتى قتل علي ، فلم يقاتل على أنه خليفة ، ولا أنه يستحقها ، ويقرون له بذلك، وكان يقر بذلك لمن يسأله .
মুয়াবিয়া রা. খিলাফাহর দাবি করেননি, আবার আলি রা.-এর শাহাদাত অবধি তিনি তাঁকে এর বাইয়াতও দেননি। তিনি এ কারণে যুদ্ধ করেননি যে, তিনি একজন খলিফা বা খিলাফাহর হকদার; বরং তিনি আলি রা.-এর খিলাফাহ স্বীকার করতেন। অন্যদের প্রশ্নের জবাবেও এর স্বীকারোক্তি দিতেন। [মাজমুউল ফাতাওয়া : ৩৫/৭২]

ইমাম ইবনু হাজার হাইতামি রাহ. লেখেন,
ومن اعتقاد أهل السنة والجماعة أن ما جرى بين معاوية وعلي رضي الله عنهما من الحرب ، لم يكن لمنازعة معاوية لعلي في الخلافة للإجماع على أحقيتها لعلي .. فلم تهج الفتنة بسببها ، وإنما هاجت بسبب أن معاوية ومن معه طلبوا من علي تسليم قتلة عثمان إليهم لكون معاوية ابن عمه ، فامتنع علي .
আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আকিদা হলো, মুয়াবিয়া ও আলি রা.-এর মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল, তা এ কারণে হয়নি যে, মুয়াবিয়া রা. আলি রা.-এর খিলাফাহর বিরোধী ছিলেন। কারণ, আলি রা. খিলাফাহর অধিক হকদার হওয়ার বিষয়টা সর্বসম্মত।... সুতরাং এ নিয়ে ফিতনা দেখা দেয়নি; বরং ফিতনা দেখা দিয়েছে এ জন্য যে, মুয়াবিয়া রা. উসমান রা.-এর চাচাতো ভাই হওয়ার কারণে তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা উসমান রা.-এর হত্যাকারীদেরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। আর আলি রা. তাদের দাবি পূরণ করা থেকে বিরত থেকেছেন। [আস-সাওয়ায়িকুল মুহরিকাহ : ৩২৫]

এমনকি বর্ণনায় এসেছে, সাহাবি আবু দারদা ও আবু উমামা রা. একদিন মুয়াবিয়া রা.-এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞেসও করেছিলেন,
يا معاوية ! علام تقاتل هذا الرجل ؟ فوالله إنه أقدم منك ومن أبيك إسلاماً ، وأقرب منك إلى رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم وأحق بهذا الأمر منك .
হে মুয়াবিয়া, তুমি কিসের ভিত্তিতে এই ব্যক্তির (আলি রা.) সঙ্গে যুদ্ধ করছ? আল্লাহর কসম, নিঃসন্দেহে সে ইসলাম গ্রহণে তোমার চাইতে ও তোমার বাবার চাইতে অগ্রবর্তী, তোমার তুলনায় আল্লাহর রাসুল ﷺ-এর অধিক নিকটবর্তী এবং খিলাফাহর ব্যাপারে তোমার থেকে অধিক হকদার।
তখন মুয়াবিয়া রা. জবাবে সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন,
أقاتله على دم عثمان ، وأنه آوى قتلة عثمان، فاذهبا إليه فقولا : فليقدنا من قتلة عثمان ثم أنا أول من أبايعه من أهل الشام .
উসমানের রক্তের দাবিতে আমি তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করছি। তিনি উসমানের হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছেন। আপনারা দুজন তাকে গিয়ে বলুন, তিনি যেন আমাদের পক্ষ হয়ে উসমানের হত্যাকারীদের থেকে কিসাস নেন। তখন শামবাসীদের মধ্য থেকে আমিই তাঁকে সর্বপ্রথম বাইয়াত দেবো। [আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইমাম ইবনু কাসির : ৭/৩৬০]

এ যুগের সুপ্রসিদ্ধ ইতিহাসবিদ ড. আলি সাল্লাবি লিখেছেন,
إن الخلاف الذي نشأ بين أمير المؤمنين علي من جهة، وبين طلحة والزبير وعائشة رضي الله عنهم من جهة أخرى، ثم بعد ذلك بين علي ومعاوية رضي الله عنهما؛ لم يكن سببه ومنشؤه أن هؤلاء كانوا يقدحون في خلافة أمير المؤمنين علي وإمامته، وأحقيته بالخلافة والولاية على المسلمين، فقد كان هذا محل إجماع بينهم، قال ابن حزم: ولم ينكر معاوية قط فضل عليّ، واستحقاقه الخلافة، ولكنَّ اجتهاده أدّاه إلى أن رأى تقديم أخذ القود من قتلة عثمان رضي الله عنه على البيعة، ورأى نفسه أحق بطلب دم عثمان.
একদিকে আমিরুল মুমিনিন আলি রা. এবং অন্যদিকে তালহা, জুবায়ের ও আয়িশা রা. এবং পরবর্তীতে মুয়াবিয়া রা.-এর মধ্যে যে বিরোধ হয়েছিল, এর কারণ বা উৎস এটা ছিল না যে, তারা আমিরুল মুমিনিন আলি রা.-এর খিলাফাহ বা ইমামাতের ব্যাপারে এবং তিনি মুসলমানদের খিলাফাহ ও নেতৃত্বের অধিক হকদার হওয়ার ব্যাপারে আপত্তি করেছিলেন। বরং এ নিয়ে তাদের সকলের ইজমা (ঐকমত্য) ছিল। ইমাম ইবনু হাজম রাহ. বলেন, মুয়াবিয়া রা. কখনো আলি রা.-এর শ্রেষ্ঠত্ব অস্বীকার করেননি। তিনি খিলাফাহর অধিক হকদার হওয়ার বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেননি। কিন্তু তাঁর ইজতিহাদ তাঁকে এ মতে পৌঁছিয়েছে যে, বাইয়াত দেওয়ার আগে উসমান রা.-এর হত্যাকারীদের থেকে কিসাস নিতে হবে। তিনি নিজেকে উসমানের রক্তের দাবি আদায়ের সবচে বেশি হকদার মনে করেছেন।

এ বিষয়ে আরও অসংখ্য উদ্ধৃতি উল্লেখ করা যাবে। কিন্তু এর আর প্রয়োজন নেই। অযথা কলেবর দীর্ঘ হবে। এবার আসি ভাই আদনানের বাংলা বইয়ের উদ্ধৃতি সম্পর্কে। ড. ইবরাহিম শারিকি প্রণীত ‘ইসলামের ইতিহাস’ বইয়ের বঙ্গানুবাদের ১১৯ নম্বর পৃষ্ঠা। এতে মুয়াবিয়া রা.-এর জীবনী আলোচনা প্রসঙ্গে মাত্র একটা বাক্য এমন রয়েছে, ‘উসমান রা.-এর শাহাদাতের পর তিনি নিজেকে স্বাধীন শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন এবং আপোসচুক্তির পর খিলাফাতের দায়িত্ব পেয়ে খিলাফাতকেন্দ্র দামেশকে স্থানান্তর করেন’। এই এক বাক্যের ভিত্তিতে ভাই আদনান তার আলোচনায় দাবি করে বসেছেন, ‘আলি রা. ছিলেন মক্কা ও মদিনার খলিফা আর শাম অঞ্চলের খিলাফাতের দাবি করেছিলেন মুয়াবিয়া রা.।’ লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

স্বাধীন শাসক মানে এমন আমির, যিনি কোনো খলিফার বাইয়াতভুক্ত নন। তিনি কেন্দ্রীয় খিলাফাহর অধীনতা ছাড়া স্বাধীনভাবে রাজ্য পরিচালনা করেন। পূর্বেই আমরা আলোচনা করেছি, উসমান রা.-এর হত্যাকারীদের কিসাসের দাবিতে মুয়াবিয়া রা. সাময়িক বাইয়াত প্রদান থেকে বিরত ছিলেন। তবে আলি রা.-এর খিলাফাহ নিয়ে তাঁর কোনো আপত্তি ছিল না। বরং দাবি পূরণ হলে তিনি শামের সকলের আগে বাইয়াত দেওয়ার আগ্রহও ব্যক্ত করেছেন। এর দ্বারা নিজের জন্য খিলাফাহর দাবি কীভাবে প্রমাণিত হলো? উপরন্তু সব মাজহাবের ইমামগণ যেখানে আহলুস সুন্নাহর আকিদা হিসাবেই এটা উল্লেখ করেছেন যে, মুয়াবিয়া রা. নিজের জন্য খিলাফাহর দাবি করেনি, সেখানে এই বাক্যকে অবলম্বন করে এর বিপরীত দাবি করা কি চরম মাত্রার ভুল হবে না?

বাংলা অনুবাদের ‘স্বাধীন শাসক’ শব্দকে ইমাম ও খলিফার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা থেকেই মূলত এই ভুলের সূত্রপাত হয়েছে; যেটাকে নিজের ভাষায় বিস্তরভাবে বর্ণনা করতে গিয়ে আরও কয়েকটা ভুল এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। যাহোক, মানুষমাত্রই ভুল করে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে ভুলের ওপর অবিচলতা কাম্য নয়। আশা করি, তিনি অযথা বিষয়টা দীর্ঘ না করে উদারচিত্তে ভুলটা শুধরে নেবেন। আগামীতেও এসব ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন। আর শুধু জেনারেল ভাইদের নিয়ে চলাই যথেষ্ট নয়, তাঁর উচিত হবে প্রবীণ অভিজ্ঞ মুহাক্কিক আলিমগণের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে পরামর্শ করে নেওয়া। এতটুকু বিনয়ের পরিচয় দিলে তাঁর খেদমতগুলো ইনশাআল্লাহ উম্মাহর জন্য অনেক উপকারী হবে।

24/07/2022

জরুরি ঘোষণা

আগামী ৪ আগস্ট আমাদের মাদরাসার দ্বিমাসিক ইসলাহি (আত্মশুদ্ধিমূলক) মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ সভাপতি, হাফেজ্জি হুজুরের খলিফা শাইখুল হাদিস আল্লামা আবদুল হক সাহেব প্রধান অতিথি ছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মাহফিলকে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আমাদের মাদরাসার পক্ষ থেকে রাজবাড়ীতে কখনোই কোনো প্রোগ্রামের আয়োজন করতে দেওয়া হবে না। সুতরাং যারা এই ইসলাহি মাহফিলে শরিক হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, তাদেরকে না আসার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে।

না, দুনিয়ার কারও কাছে আমার কোনো অভিযোগ নেই। কাউকে কোনো কষ্টের কথা বলবও না। যাকে বলা দরকার, রাতের শেষ প্রহরে একমাত্র তাঁকেই বলব। তিনিই মুমিনদের জন্য যথেষ্ট।

24/07/2022

জরুরি ঘোষণা

আগামী ৪ আগস্ট আমাদের মাদরাসার দ্বিমাসিক ইসলাহি (আত্মশুদ্ধিমূলক) মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ সভাপতি, হাফেজ্জি হুজুরের খলিফা শাইখুল হাদিস আল্লামা আবদুল হক সাহেব প্রধান অতিথি ছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মাহফিলকে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আমাদের মাদরাসার পক্ষ থেকে রাজবাড়ীতে কখনোই কোনো প্রোগ্রামের আয়োজন করতে দেওয়া হবে না। সুতরাং যারা এই ইসলাহি মাহফিলে শরিক হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, তাদেরকে না আসার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে।

না, দুনিয়ার কারও কাছে আমার কোনো অভিযোগ নেই। কাউকে কোনো কষ্টের কথা বলবও না। যাকে বলা দরকার, রাতের শেষ প্রহরে একমাত্র তাঁকেই বলব। তিনিই মুমিনদের জন্য যথেষ্ট।

আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ তারিখের সফর...।
11/07/2022

আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ তারিখের সফর...।

01/07/2022

একজন জিজ্ঞেস করল, শরিয়াহর জন্য জীবন নাকি জীবনের জন্য শরিয়াহ?

বললাম, শরিয়াহর জন্য জীবন। আল্লাহ কুরআনে বলেন, 'আমি জিন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু আমার ইবাদত করার জন্য।' অন্যত্র তিনি বলেন, 'আমি পৃথিবীতে খলিফা (প্রতিনিধি) বানাতে যাচ্ছি।'
-
এই দুই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানবসৃষ্টির উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন, তাঁর ইবাদত করা এবং তাঁর খিলাফাহ (প্রতিনিধিত্ব) বাস্তবায়িত করা। সুতরাং এই দুটো হলো মানবজীবনের মূল লক্ষ্য। এ কারণেই তো আল্লাহর জমিনে আল্লাহর শরিয়াহ বাস্তবায়ন করার জন্য ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে অসংখ্য অগণিত মুসলিমের রক্ত ঝরেছে এবং দাজ্জাল ধ্বংস হওয়া অবধি এভাবে ঝরতেই থাকবে। শরিয়াহই যদি যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত না থাকে, তাহলে মানবজীবনই অর্থহীন হয়ে যায়। এ জন্যই তো আবু বকর সিদ্দিক রা. বলেছিলেন, 'আমি জীবিত থাকতে কি ইসলামে কোনো হ্রাস ঘটতে পারে?'
-
যেহেতু শরিয়াহর জন্য জীবন, তাই যে ব্যক্তি শরিয়াহর সামনে নিজেকে সমর্পণ করে, সে বেঁচে থাকার অধিকার পায়। তার প্রাণ, সম্পদ ও সম্ভ্রম নিরাপদ হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যে শরিয়াহকে প্রত্যাখ্যান করে, সে বেঁচে থাকার অধিকারই হারিয়ে ফেলে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শরিয়াহ মেনে নিলে চুক্তির দ্বারা সাময়িকভাবে নিরাপত্তা পেতে পারে; যদিও সমস্তরের সম্মান ও মর্যাদা পাবে না। আর যদি চুক্তিতেও সম্মত না হয়, তাহলে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণেরই অধিকার নেই। এককথায়, যে আল্লাহর গোলাম হয়ে যায়, গোটা পৃথিবী তার গোলাম হয়ে যায়। আর যে আল্লাহর গোলাম হতে পছন্দ করে না, আল্লাহ তাকে তার গোলামদের গোলামে পরিণত করে দেন।
-
যেহেতু শরিয়াহর জন্য জীবন, তাই যতদিন শরিয়াহবিরোধী কার্যকলাপ জারি থাকবে এবং কুফরের অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন কিতালের বিধানও ফরজ থাকবে। যারা শরিয়াহবিরোধী তাদের স্তর অনুযায়ী তাদের সঙ্গে আচরণ করা হবে। যেমন : জিম্মি, মুআহিদ বা মুস্তামিন আর হারবির বিধান এক নয়। আসলি কাফির আর মুরতাদ, জিন্দিক বা শাতিমের রাসুলের বিধান এক নয়। যাহোক, এটা অন্য প্রসঙ্গ।
-
মোদ্দাকথা, শরিয়াহর জন্য জীবন; জীবনের জন্য শরিয়াহ নয়। তাই শরিয়াহ প্রতিষ্ঠিত থাকলে জীবনের অর্থ আছে আর শরিয়াহ প্রতিষ্ঠিত না থাকলে এবং তার সর্বাত্মক প্রচেষ্টাও না থাকলে জীবনই তখন অর্থহীন। এ কারণেই দারুল হারব থেকে দারুল ইসলামে হিজরতের বিধান দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসেবে হত্যাদণ্ডের বিধান জারি করা হয়েছে। জীবনকে লক্ষ্য এবং শরিয়াহকে গৌণ বা উপলক্ষ বলে আখ্যায়িত করা গলদ মানহাজের অধিকারী বা নিতান্ত অথর্ব অর্বাচীন কারও পক্ষেই কেবল সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বান্দার ওপর অনুগ্রহবশত কিছুক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন। এর অর্থ এটা নয় যে, বান্দার জন্য এখন তার শরিয়াহর অবমূল্যায়ন করা বৈধ হয়ে গেছে।

2020 | May | 09

আলিম ও তালিবুল ইলমদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এবং তা ধরে রাখা দীনের জন্য বেশ উপকারী। এজাতীয় পদক্ষেপ বিশেষভাবে প্রশংসনীয়...
29/06/2022

আলিম ও তালিবুল ইলমদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এবং তা ধরে রাখা দীনের জন্য বেশ উপকারী। এজাতীয় পদক্ষেপ বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। ১৫ জুলাই রাতে নরসিংদীতে একটা প্রোগ্রাম ফিক্সড আছে। কিন্তু যখন এ মহাসম্মেলনের উদ্যোক্তারা এহেন প্রশংসনীয় প্রোগ্রামের দাওয়াত করল, তখন এতে অংশগ্রহণ করতে পারাকে নিজের জন্য বরকতের উপায় মনে হলো। এ কারণে মাগরিবের পর উপস্থিত থাকার কথা দিলাম। এখানে আলোচনা শেষ করে রাত দশটায় রায়পুরা উপস্থিত থাকব ইনশাআল্লাহ।

আজকের হেফাজত আন্দোলনে মাওলানা মামুনুল হকের শূন্যতা সবাই গভীরভাবে অনুভব করার কথা। তার মতো কণ্ঠস্বর এখনো অদ্বিতীয়। আন্দোল...
09/06/2022

আজকের হেফাজত আন্দোলনে মাওলানা মামুনুল হকের শূন্যতা সবাই গভীরভাবে অনুভব করার কথা। তার মতো কণ্ঠস্বর এখনো অদ্বিতীয়। আন্দোলনের সুষ্ঠু পরিচালনায় মুফতি আমিনির যেমন বিকল্প দেখা যায় না, জাতিকে জাগাতে ও অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়াতেও তেমনি মাওলানা মামুনুল হকের বিকল্প হয় না। মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবের শূন্যতাও অনুভব করার মতো। সত্তরের কাছাকাছি বয়সেও তাকে দেখে মনে হয় চিরতরুণ। কণ্ঠেও যেন গর্জে ওঠে অমিততেজা শার্দূল। মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন রাজি দেখতে-শুনতে সাধারণ হলেও অত্যন্ত ধীমান ও যথেষ্ট দূরদর্শী। তাঁর একনিষ্ঠতাও বিতর্কের ঊর্ধ্বে। মুফতি আমিনির কিছু ছায়া তাঁর মধ্যে দেখা যায়।

এই তিনজনের উল্লেখ স্রেফ দৃষ্টান্তস্বরূপ। মুফতি হারুন ইজহার, মুফতি আজহারুল ইসলাম এবং মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ আরও অনেকজন এখনো বন্দিদশায়ই আছেন। কতকাল পেরিয়ে গেল। মানুষগুলো কারাগারে কেমন আছে? কেমন কাটছে তাদের প্রাত্যহিক জীবন? কারাগারেও তো তাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। যাদের সময় কাটার কথা ছিল কুরআনের দরসে ও হাদিসের মসনদে, তাদের জীবন কাটছে কারাগারের অতি সংকীর্ণ প্রকোষ্ঠে। আজ তারা বাইরে থাকলে দৃশ্যটা হয়তো খানিকটা অন্যরকম হতো। নবিগণের উত্তরাধিকারীরা যে পরিস্থিতির শিকার, তাতে জাতি হিসাবে আমাদের কি কোনো দায় নেই? আমরা কি এ সম্পর্কে মোটেও জিজ্ঞাসিত হব না? আজাব-গজব নিয়ে কত দুশ্চিন্তিত আমরা; অথচ এগুলো আসার হাজারো পথ কি আমরা নিজেরাই খুলে রাখিনি?

যাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সম্মানিত ঘোষণা করেছেন, যখন তাদের শুধু সম্মানই নয় বরং জীবনই হুমকির সম্মুখীন থাকে, তখন তাদের ভুলে যাওয়া কি আমাদের জন্য কোনোভাবে সাজে? আমরা ভালো আছি; তবে এভাবে কি বেশিদিন ভালো থাকতে পারব? আল্লাহ নারাজ হলে কেউ ভালো থাকতে পারে না। ইসলামকে তো অসংখ্য সেক্টর থেকে বহু আগেই বিদায় করা হয়েছে; ইসলামের কণ্ঠস্বরগুলোর সঙ্গেও যা করা হয়েছে, তাতে এ জাতির জন্য উত্তম পরিণতি আশা করা দুষ্করই বোধ হয়। দুয়া করি, ক্ষমতাসীনদের পাপে ক্ষমতাহীনরাও ধ্বংসপ্রাপ্ত না হোক। রাজনৈতিক স্বার্থের চিপায় পড়ে পুরো জাতির অস্তিত্ব বিলীন না হোক।

আজ অনলাইনে ও অফলাইনে বহুজন জিজ্ঞেস করলেন, আপনি নাকি আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজ...
02/06/2022

আজ অনলাইনে ও অফলাইনে বহুজন জিজ্ঞেস করলেন, আপনি নাকি আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন? প্রতিবারই আমি বিস্ময়ভরা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, এই গুজব কে ছড়াল? উত্তর আসল, কিছুদিন আগে মাওলানা রেজাউল করিম আবরার এ অনুষ্ঠানের দাওয়াত নিয়ে গিয়েছিলেন ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসির কাছে। সে সময় আপনিও আবরার ভাইয়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন, অনলাইনে ছবিসহ এমনটাই প্রচার হয়েছে।

যাহোক, কে কী প্রচার করেছে, তা মুখ্য নয়। মুখ্য হলো, বাস্তবে কী হয়েছিল। এখানে সংক্ষেপে বাস্তবতার ওপর সামান্য আলোকপাত করছি; যাতে করে সংশয় দূর হয় এবং বিষয়টা পরিষ্কার থাকে।

ক. আমি এখনো পর্যন্ত সচেতনভাবে সকল ধরনের রাজনৈতিক দল এড়িয়ে চলি এবং তাদের বা তাদের শাখা-সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত যেকোনো ধরনের কার্যক্রম থেকে নিজেকে দূরে রাখি। তাই এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

খ. গণকমিশণের সমালোচিত শ্বেতপত্রে দেশের প্রসিদ্ধ ১১৬ জন বক্তার তালিকা দেওয়া হয়েছে, যারা সারাদেশে ওয়াজ-মাহফিল করে থাকেন। এতে প্রায় সব ঘরানার বক্তাই রয়েছেন। এই ১১৬ বক্তা নিয়ে গণকমিশনের আপত্তি নেই। তাদের সব আপত্তি ও অভিযোগ হলো ৩৫ জন বক্তা নিয়ে; যাদের অনেকের নাম এই ১১৬ জনের মধ্যে আছে; আবার কয়েকজনের নাম এই ১১৬ জনের মধ্যে নেই, কিন্তু তাদের ওপর বেশ বড় ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল এই প্রসিদ্ধ ১১৬ জন বক্তা নিয়ে; অভিযুক্ত ৩৫ জনকে নিয়ে নয়। অর্থাৎ, অভিযুক্তদের নিয়ে তাদের কোনো দরদ বা গরজ আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। আর সবাই জানেন, ১১৬ জন প্রসিদ্ধ বক্তার মধ্যে আমার নাম নেই। কারণ, আমি খুব বেশি প্রসিদ্ধ কেউ না। তবে ৩৫ জনের মধ্যে বেশ বড় করেই আমার নাম আছে। কিন্তু যেহেতু এই ৩৫ জনকে নিয়ে তাদের সম্মেলন নয়, তাই এতে আমার অংশগ্রহণেরও কোনো কারণ নেই।

তাছাড়া এই একই কারণে আমাকে তাদের কেউ দাওয়াতও দেয়নি আর দেওয়ার কথাও নয়। তাদের আমন্ত্রিতদের তালিকা আমি জেনেছি। আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ থেকে শুরু করে তাহেরি তারা আমন্ত্রিত ছিলেন এবং তারা অংশগ্রহণ করবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন, এমনটাই শুনেছি মাওলানা আবরার ভাইয়ের থেকে।

গ. ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসির সঙ্গে সেদিন আমার সৌজন্য সাক্ষাত্‌ হয়েছিল। আমার বই নিজ হাতে তাকে উপহার দেওয়াও সাক্ষাতের একটা কারণ ছিল। প্রকাশ হওয়া ছবিতে অনেকে হয়তো দেখেছেন, তিনি 'কুফর ও তাকফির' বইটা মনোযোগের সঙ্গে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যে 'জীবন থেকে শিক্ষা' বইটিও তাকে দেওয়া হয়েছে। আর ইতিপূর্বে আমার সব বইই তিনি পেয়েছেন। তো সেদিন এশার পর থেকে টানা তিন ঘন্টা তার সঙ্গে কথা হয়েছে। শেষ সময়ে হঠাত্‌ আবরার ভাই এসে উপস্থিত। তার আগমনের ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। মূলত পার্শ্ববর্তী এলাকায় তার মাহফিল ছিল। বয়ান শেষে তিনি এসেছেন ড. আব্বাসির সঙ্গে দেখা করে তাকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য। যদিও সে সময় ড. আব্বাসি তাদের দাওয়াতে সাড়া দেওয়ার ন্যূনতম আগ্রহও প্রকাশ করেননি এবং তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এমন কোনো দূরবর্তী ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। তো সেখানে কাকতালীয়ভাবে আমার সঙ্গে আবরার ভাইয়ের সাক্ষাত্‌ হয়ে যায়। পড়ালেখার বিবেচনায় তিনি আমার দু-ব্যাচ সিনিয়র হলেও তার সঙ্গে শুরু থেকেই বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক। তবে তিনি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে আর তেমন কথা হয়নি। সেদিন ঘটনাক্রমে তার সঙ্গে সাক্ষাত্‌ হওয়ার পর তিনজন মিলেই কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। এরপর আমি চলে আসি।

এই অল্প সময়ের মধ্যেই তার কোনো সঙ্গী ছবি তুলে আমার অজান্তেই সেটা ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টা হয়তো কেউ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। যার কারণে কারও কারও ভুল ধারণা হয়। মূলত সেদিন তিনজন মিলিত হওয়ার বিষয়টা সম্পূর্ণ কাকতালীয়। আর আগামীকালের প্রোগ্রামের বিষয়টাও একান্ত তাদের। আর আমি এটা কোনোদিন কল্পনাও করি না, এজাতীয় রাজনৈতিক দল কখনো আমাকে কাছে টানবে; যাদের নেতৃবৃন্দই কিনা একসময় আমার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত বিষোদগার করেছে। তাছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে কোনো ধরনের ঐক্যও সচেতন কারও চোখে ভালো ঠেকে না। আর আদর্শিক ঐক্য না হলে কসমেটিক ঐক্য মোটেও টেকসই হয় না। তবে এটা ঠিক, আমি তাদের ভালো কার্যক্রমগুলো সমর্থন করি এবং আমি কখনোই কোনো মুসলিমের ক্ষতি চাই না। তারা আমার বিরুদ্ধে যা-ই করুক না কেন, আমার দ্বারা তাদের কোনো ধরনের ক্ষতিই হবে না ইনশাআল্লাহ।

এই হলো হাকিকত। অবশ্য কিছুক্ষণ আগে শুনলাম, কালকের সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। এরপরও কথাগুলো জানিয়ে রাখলাম; যাতে করে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করে।

29/05/2022

গত জুম্মার বয়ানের খন্ড অংশ

ভিডিও টি কোনো এক অজানা ভাই এডিট করেছেন...
ভাইকে জাযাকাল্লাহ

সম্পূর্ণ বয়ানের লিংক কমেন্টে ↓

হকের তাঁবু ও বাতিলের তাঁবুhttps://youtu.be/AOB8g8914Kc
27/05/2022

হকের তাঁবু ও বাতিলের তাঁবু

https://youtu.be/AOB8g8914Kc

Watch Islamic Bangla Waz Mahfil and get any kind of life solution from Islamic Waz. Islam is the complete code of life. You will know important information a...

27/05/2022

আলহামদুলিল্লাহ, একদিকে আগামীকাল 'জীবন থেকে শিক্ষা' বইয়ের অনানুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন। আরেকদিকে গতরাতে 'দ্রোহের তপ্ত লাভা' বইয়ের কাজ সমাপ্ত করে পাঠিয়ে দিয়েছি প্রকাশকের কাছে। ইতোমধ্যে এর প্রচ্ছদ করতে দেওয়া হয়েছে। আজ বই যাবে প্রুফ রিডারের টেবিলে। আল্লাহ চাইলে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এটা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। আপাতত এতটুকুই জানালাম। প্রচ্ছদ আসার পর বিস্তারিত জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।

এ দুটো বইয়ের পরে ইনশাআল্লাহ সিরিয়ালে আসবে 'স্বপ্নের ব্যাখ্যা' (১ম খণ্ড)। আর ঈদের পরে 'জান্নাতি হুর'। আল্লাহ তাআলাই উত্তম তাওফিকদাতা।

আগামীকালই মোড়ক উন্মোচনের পর 'জীবন থেকে শিক্ষা' বইয়ের প্রথম সৌজন্য কপিটি চলে যাবে ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসি ও সিদ্দিকি সাহেবের করকমলে। আর সম্মানিত প্রকাশকের তথ্য অনুসারে, পরশুদিন থেকেই প্রি-অর্ডারের বইগুলো লেখকের অটোগ্রাফসহ কুরিয়ার করা হবে অর্ডারকারী পাঠকদের উদ্দেশে।

22/05/2022

আলিম-উলামার তালিকাসহ গণকমিশনের শ্বেতপত্র : ইসলামবিরোধী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র

ভিডিও পাবেন আগামীকাল, ইনশাআল্লাহ।
20/05/2022

ভিডিও পাবেন আগামীকাল, ইনশাআল্লাহ।

16/05/2022

ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসি। নাজিবুত তরাফাইন। একদিক থেকে তিনি মুরতাদদের ত্রাস সিদ্দিকে আকবার সায়্যিদুনা আবু বকর রা.-এর বংশধর। আরেকদিক থেকে তিনি রাসুলুল্লাহ সা.-এর সম্মানিত চাচা আব্বাস রা.-এর বংশধর। ইসলামের ইতিহাসে আব্বাসিদের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়। তাদের রয়েছে অনেক আলোকিত ইতিহাস ও ঐতিহ্য, গৌরব ও মর্যাদা। যদিও আব্বাসিদের শাসনামলে এমন কিছু অথর্ব শাসকও রাজতান্ত্রিক ধারায় ক্ষমতার গদি দখল করে বসেছিল, যারা ছিল পুরো বংশের জন্য কলঙ্ক। তবে অতীত থেকে বর্তমানে ইসলামের খেদমতে আব্বাসিদের অসামান্য অবদান নির্দ্বিধ স্বীকার্য।

ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসির উপস্থাপনা চমৎকৃত করার মতো। বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, উপযুক্ত শব্দচয়ন ছাড়াও সবচে বেশি যে জিনিসটা আমাকে আকর্ষণ করে, সেটা হলো তার আত্মমর্যাদাবোধ। গায়রত বা আত্মমর্যাদাবোধ এক উপেক্ষিত সুন্নাহ। অথচ আল্লাহ তাআলা স্বয়ং আত্মমর্যাদাবান, রাসুলুল্লাহ সা.-ও আত্মমর্যাদাবান। আর মুমিনের ইমানের দাবি হলো, সে-ও হবে আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন। যে আত্মমর্যাদাবোধ হারিয়ে ফেলে, সে ক্রমশ ইমানও হারিয়ে ফেলে।

তথ্য ও বিষয়বস্তুর বিবেচনা করলে অথবা ইলম ও তাহকিকের নজরে দেখলে কিছু বিষয়ের ব্যাপারে বলতে হয়, এগুলো আরও সুন্দর ও মার্জিত হতে পারত। তবে মূর্খরা গর্দভের মতো। তাদের পিঠে জ্ঞানের বোঝা চাপিয়ে খুব বেশি লাভ নেই। এটা অনেকটা উলু বনে মুক্তো ছড়ানোর মতো হতে হবে। বিতর্কে জ্ঞানের চাইতেও বেশি প্রয়োজন প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব। বাংলাদেশের হিসাবে দেখলে এক্ষেত্রে আলিমগণের মধ্যে ড. আব্বাসি প্রথম সারিতে স্থান পাওয়ার উপযুক্ত। তিনি যেভাবে তাঁর প্রতিপক্ষকে নির্বাক ও স্তব্ধ করে দেন, তা বিশেষ প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার।

ড. আব্বাসি ও তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে আমার রয়েছে আত্মার সম্পর্ক ও হৃদয়ের বন্ধন। আমার সনদ ও তাঁর সনদ যেখানে গিয়ে মিলে যায়, তিনি হলেন আমিরুল মুমিনিন সায়্যিদ আহমদ শহিদ রাহ.। আমি অত্যন্ত ক্ষুদ্র হওয়া সত্ত্বেও ড. আব্বাসি আমার প্রতি বা আমার বাবার প্রতি যে সশ্রদ্ধ ভালোবাসা লালন করেন ও মন খুলে দুয়া করেন, এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার নেই। ড. আব্বাসিকে আল্লাহ হেফাজত করুন। অসহায় বাঙালি মুসলমানদের জন্য এমন মূল্যবান বিদগ্ধ আলিমুল লিসান (বাকপটু) বিতার্কিক একান্ত প্রয়োজন। পুরো বাংলায় ইসলাম ছড়াতে তাঁর মহান পূর্বপুরুষ যে রকম অসামান্য অবদান রেখেছেন, একই বাংলায় ইসলামের ক্রান্তিকালে ইসলামবিরোধী শক্তির ইলমি মোকাবিলায় তাঁর অবদানগুলোও ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা ড. আব্বাসিকে রুহুল কুদস দ্বারা সাহায্য করুন। তাকে হক ও হক্কানিয়্যাতের তারজুমান (মুখপাত্র) হিসাবে কবুল করুন। তাওহিদ ও সিরাতে মুসতাকিমের ওপর আমৃত্যু অবিচল রাখুন। মারিফাতের ইমাম ও সুন্নাহর অতন্দ্র প্রহরীর মর্যাদা দান করুন। সর্বোপরি তাঁকে সিদ্দিকে আকবারের মতো রিদ্দাহর অবাধ প্রবাহ রুখে দেওয়ার মতো শক্তি ও সামর্থ্য দান করুন। সালামুন আলাইকা ইয়া নাজলা আমিরিল মুমিনিন।

পরিশেষে তাঁর একটা উক্তি উল্লেখ করেই লেখার ইতি টানি, 'মাসলাক যার যার, দীন ইসলাম সবার'।

04/05/2022

ইদুল ফিতর - ২০২২

দীর্ঘকাল পর পরিবারের সবার একসঙ্গে যাপিত ইদ। জানি না, আগামীতেও আবার কতকাল পর এই সুযোগ হবে। খতিব সাহেবরা সবার মধ্যে ইদ আনন্দ বিলিয়ে দেন; কিন্তু তাদের জীবনে ইদ আসে না। অনেকের এ দিনটা কাটে বাড়ির পথে, গাড়িতে বা নৌযানে।

ভিডিওতে ইদপূর্ব আকস্মিক সংক্ষিপ্ত আলোচনার একাংশ। ভিডিওর সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো ছিল না। ভিডিও কে ধারণ করেছেন, তা-ও জানি না।

ইদুন সায়িদুন কুল্লা আম ওয়া আনতুম বি খাইর। ইদুন মুবারাকুন আলাইনা ওয়া আলাইকুম। তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।

02/05/2022

ইদ ছিল আনন্দের বারতা। কিন্তু এখন অনেকক্ষেত্রে ইদ হয়ে গেছে নিরানন্দের বারতা। এমনকি কারাগারও এর আওতার বাইরে থাকেনি। প্রতি ইদেই সেখানে চলে দু-পক্ষের তুমুল কাদা ছোড়াছুড়ি। চাঁদ নিয়ে দু-ধরনের মত রয়েছে৷
-
(ক) পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে খলিফার নির্দেশে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা একই দিনে রোজা রাখবে এবং একই দিনে ইদ করবে। যখন মুসলিমবিশ্বের একক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থাকবে এবং সকলে সুপ্রিম লিডারের শাসনক্ষমতার অধীন থাকবে, তখন পুরো দারুল ইসলামে এভাবে রোজা ও ইদ পালন করা যেতে পারে।
-
(খ) চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা আমলে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রচলিত ভৌগোলিক কাঁটাতার মানদণ্ড নয়; বরং মানদণ্ড হলো উদয়স্থল এক হওয়া বা ভিন্ন হওয়া। যেমন, অখণ্ড হিন্দুস্তান বা খোরাসানের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সেখানকার অধিবাসীরা এবং তাদের নিকটস্থ প্রতিবেশীরা এর আলোকে রোজা ও ইদ পালন করতে পারে।
-
উভয় মতের পক্ষেই দলিল রয়েছে। বরেণ্য ইমামগনের মধ্যেও দু-ধরনের মতাবলম্বীই রয়েছে। সুতরাং মাসআলাটা ইখতিলাফি। আর ইখতিলাফি মাসআলার ক্ষেত্রে ইমাম বা কাজির সিদ্ধান্ত আসলে ইখতিলাফ বাতিল হয়ে যায় এবং তার মতই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়৷ উদাহরণস্বরূপ, এখন যদি সারা পৃথিবীতে একক ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে মুসলমানদের ইমাম উক্ত যেকোনো মতের আলোকে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। উভয় ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে এবং তা-ই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। কেউ এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এ ধরনের ইমামের ফায়সালা না আসবে, ততদিন ইখতিলাফ আপন অবস্থায় বহাল থাকবে।
-
কারাগারে দেখেছি, দাওলা ও জেএমবির ছেলেরা গ্লোবাল মুনকে আমলে নেয় আর বাকি সবাই-ই লোকাল মুনের ওপর আমল করে। যারা গ্লোবাল মুনের ওপর আমল করে, তাদের বড় একটা অংশ মাওলানা জসিম উদ্দীন রহমানি (ফাক্কাল্লাহু আসরাহু) দ্বারা প্রভাবিত। রামাদানের ইদে আমি রিমান্ডে ছিলাম; তবে কোরবানির ইদ কারাগারে করেছি। সেখানে ইদের নামাজ পড়িয়েছি। কারাগারে ইদের দিনটা বেশ আনন্দেই কাটে। ঘরবাড়ির চাইতে সে আনন্দ মোটেও কম নয়। সেদিন হেফাজতের অনেক আলিম ও তালিবুল ইলমও ইদের নামাজে উপস্থিত ছিলেন। আমাদের পাশের ভবনে মাওলানা জসিম উদ্দীন রহমানি সাহেবও সে দিনই ইদ করেছেন।
-
এখানে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে৷ এক যুবক আমাদের এক দিন আগেই ইদ করে ফেলেছে। এরপর আমাদের ইদের দিন সে রীতিমতো উপহাস করতে থাকে। জাতীয়তাবাদী ইদ, কাফিরদের আদর্শ মেনে চলা ইদ, মুনাফিকদের ইদ ইত্যাদি বলে ট্রল করতে লাগল। একজন তাকে বলল, আচ্ছা, আপনি যে একদিন আগে ইদ করলেন; সেটা কেন করেছেন? সে তখন বিভিন্ন যুক্তি দেখাল। জিজ্ঞেস করা হলো, এগুলো আপনি কীভাবে জেনেছেন? সে বলল, শায়খ রহমানির বই পড়ে এবং তার লেকচার শুনে। এবার তাকে বলা হলো, রহমানি সাহেবই তো এ দিন ইদ করছেন। তাহলে আপনি কি তার সাথে কথা বলে ক্লিয়ার হতে চান? এবার সে বলল, আমি যাওয়া তো দূরের কথা; তিনি নিজেও যদি এসে আমার সামনে এ বিষয়ে ভিন্ন কোনো বক্তব্য দেন, তাহলে আমি কস্মিনকালেও তার বক্তব্য মানব না। এরপরও তাকে জানালা দিয়ে দেখানো হলো, ওই দেখুন, মাওলানা রহমানি সাহেবও এই দিনই ইদ করছেন। এবার সে স্পষ্ট ঘোষণা দিলো, দীর্ঘদিন জেল খেটে তিনি গোমরাহ হয়ে গেছেন। এ কারণে এতদিন তিনি মুরতাদ (?) মামুনুল হকের ইমামতিতে নামাজ আদায় করেছেন! নিজেও হানাফিদের মতো নামাজ পড়েন! বিষয়টা নিয়ে এতদিন ভেবে দেখিনি। আজ বুঝেছি আসল রহস্য।
-
ইদ যদি ঐক্যেরই প্রতীক হয়, তাহলে এমনভাবে ইদ পালন করার ফায়দা কী, যার দ্বারা ঐক্য বিনষ্ট হয়? আজকাল তো ইখতিলাফি বিষয়গুলোতে ভিন্নমত গ্রহণ করার ব্যাপক হিড়িক চলছে। ছেলেমেয়ে পালিয়ে বিয়ে করার সময় হানাফি আর কিছুদিন পর ঝগড়াঝাটি করে তিন তালাক দিয়ে সালাফি সাজার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। নিজেকে হানাফি পরিচয় দিয়েও ইখতিলাফি বিষয়ে ছাড়ের অজুহাত দেখিয়ে আট রাকআত তারাবিহ, এক রাকআত বিতিরসহ ওজু ছাড়া কুরআন স্পর্শের মতো অগণিত মাসআলায় সুবিধা অনুসারে মত গ্রহণ করতে অনেককেই দেখা যায়। তাহলে চাঁদের বিষয়টাও যেহেতু ইখতিলাফি; সুতরাং নিজের মত যা-ই হোক, অন্তত ঐক্যের খাতিরে তো এক্ষেত্রে এখানকার সকলে মিলে একই দিনে ইদ উদযাপন করা যায়। তাছাড়া আমিরুল মুমিনিন যদি লোকাল মুনের মতাবলম্বী কেউ হন, তখন তো এ ছাড়া কোনো গত্যন্তরও থাকবে না। এমন তো নয় যে, তখন হারাম হালাল হয়ে যাবে; বরং ঐক্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে দুটো মতের কোনো একটা মত সকলের ওপর কার্যকর করা হবে।
-
আর যদি এমন হয়, পৃথিবীতে একাধিক শাসন চলছে; তখন তো প্রত্যেক অঞ্চলে সেখানকার আমিরের সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত হবে৷ যেমন, নজদিরা যখন আরবের কিছু এলাকায় নিজেদের শাসন জারি করল, পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা তখন উসমানি সালতানাতের অধীন ছিল। এখন উসমানিরা যদি লোকাল মুনকে আমলে নেয় আর ওয়াহাবি বা নজদিরা গ্লোবাল মুনের আলোকে সিদ্ধান্ত আরোপ করে, তাহলে উভয় অঞ্চলের লোকদের জন্য কোন বিষয়টা প্রাধান্য পাবে? আগে আমিরের আদেশ মানা নাকি আমিরের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অন্য অঞ্চলের সাথে ইদ করা?
-
ইতিহাসে তো এমনও হয়েছে, একই সময়ে পৃথিবীতে তিন তিনটি শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল। বাগদাদে আব্বাসি, স্পেনে উমাইয়া এবং মিশরে ফাতিমি শাসন জারি ছিল। তখনো এজাতীয় ইখতিলাফি বিষয়ে তিনও শাসকের মত অভিন্ন হবে, বিষয়টা অস্বাভাবিকই ছিল। এখনো আফগানে মোল্লাদের শাসন চলছে, আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় যোদ্ধাদের শাসন জারি রয়েছে। ইদ আদায়ের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
-
মোদ্দাকথা, ইখতিলাফি বিষয় নিষ্পত্তি হবে দলিল ও উসুলের আলোকে। এজাতীয় ফিকহি ইখতিলাফকে ইমান ও কুফরের মানদণ্ড বানানো বা ওয়ালা-বারা'র মাপকাঠি মনে করা কোনোভাবেই সংগত নয়। শয়তানের সফলতা এখানে, সে সর্বদাই মুমিনদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের বীজ রোপন করতে সচেষ্ট থাকে। আল্লাহ আমাদের সুবোধ জাগ্রত করুন। ঐক্য প্রতিষ্ঠার নামে অনৈক্য চাষ থেকে হেফাজত করুন।

22/04/2022

বর্তমানে ইতিকাফ একটি অবহেলিত সুন্নাহ...
সম্পূর্ণ বয়ান : https://youtu.be/xrckLFIxk8o

12/04/2022

বাসায় আসার পর বেশিরভাগ দিনই বাইরে ইফতার করতে হয়েছে বিভিন্ন ভাইয়ের মন রক্ষা করতে গিয়ে। তবে বাসায় হোক বা বাইরে, বাহারি ও রকমারি ইফতারের পসরা দেখলেই সবার আগে মনে পড়ে যায় কারাবন্দি মানুষগুলোর কথা। যাদের টাকাপয়সা আছে, তারা কারাগারে বসেও ভালোমন্দ কিছু কেন্টিন থেকে কিনে খেতে পারে। কিন্তু সেখানে অধিকাংশ মানুষই অসহায়। নিরপরাধ লোকদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। পৃথিবীতে যাদের দেখার তেমন কেউই নেই। অনেকের অবস্থা তো এমন, তারা নিজেরাই ছিল পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী। তাদের অবর্তমানে পুরো পরিবারের অবস্থাই বড় করুণ। এজাতীয় নিরপরাধ বন্দিদের মুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা-পরিশ্রম করা যেখানে গোটা উম্মাহর ওপর অবশ্যকর্তব্য ছিল, সেখানে নিদেনপক্ষে তাদের খোঁজটাই বা কে রাখে! এই রামাদান মাসের কথাই ধরি। যেখানে আমাদের দস্তরখানে এত খাবার থাকে, যা সবাই মিলে খেয়েও ফুরানো যায় না; সেখানে তাদের অনেকে পুরো মাস পেরিয়ে গেলেও একদিন পেট পুরে মন ভরে ইফতার খেতে পারে না।

গত রামাদানের শেষ দশক ও ঈদের দিন আমার কেটেছে রিমান্ডে। কারাগারের খাবারের তাও তো একটা পর্যায় আছে; কিন্তু সেই দিনগুলোর খাবারের কথা স্মরণ এলে এখনো ভীষণ খারাপ লাগে। না খেয়ে খেয়ে ওই দিনগুলোতে এসিডিটির এত বেশি কষ্ট হয়েছিল, যা সারাজীবনে কখনোই হয়নি। আর সেখানে তো ক্যান্টিন থেকে কিনে খাওয়ারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। যখন আপনার চোখের সামনে ডিউটিরত অফিসার-সিপাহিরা আকর্ষণীয় সব খাবার দ্বারা ইফতারি করছে আর আপনার হাতে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র একটা পলিথিনের পোটলা, যার ভেতরে আছে কোনোরকম বেঁচে থাকার জন্য অতি সামান্য ইফতার। তাও আবার এমন উন্নত তেল দ্বারা রান্না করা, ক্ষুধার তাড়নায় যা খাওয়ার সাথে সাথেই মনে হবে, এই বুঝি কেউ পেটে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তখন বিষয়টা কেমন লাগবে? হ্যাঁ, সেখানে সবার অভিজ্ঞতা এক ধরনের নয়। আর কষ্টসহিষ্ণুতাও সবার সমান থাকে না। তবে এটা ঠিক, এখন দস্তরখানে এত এত আইটেম দেখে দিলে যতটুকু তৃপ্তি জাগে, তার চাইতে অনেক বেশি তৃপ্তি কাজ করে সেখানে রবের উদ্দেশে সাজদা, জিকির, তেলাওয়াত ও মুরাকাবায়। আল্লাহর কসম, সেই দিনগুলোতে ইবাদতে আমি যে স্বাদ পেয়েছি, তা আর কখনোই পাইনি। তবে এটা ঠিক, কারাগার অনেককে ইবাদতকারী বানায়, আবার হতাশা ও নৈরাশ্যের দ্বারা কিছু লোকের ইমানটাও কেড়ে নেয়।

দীর্ঘদিন বন্দি থাকলে সবারই কিছু রোগব্যাধির সমস্যা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। ব্যাকপেইন, হাঁটুব্যথা, চুল পড়ে যাওয়া, স্মৃতিবিভ্রম ঘটা এগুলো কমন সমস্যা। আমার বাবরি চুলকেও বিসর্জন দিতে হয়েছে চুলের পতন ঠেকানোর আবশ্যিক প্রয়োজনে। জামিন অর্ডার হওয়ার পরও আমার বের হতে প্রায় চল্লিশ দিন লেগে গেছে। প্রথম ইচ্ছা ছিল, বের হয়ে রামাদান পর্যন্ত বিশ্রাম করব। রামাদান থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরব। পরে যখন বেরোতেই পহেলা রামাদান পেরিয়ে গেল, তখন ভেবেছিলাম, ইদ পর্যন্ত বিশ্রাম করব। এরপর কাজে নামব। শেষ পর্যন্ত তাকদিরে যা লেখা ছিল, তা-ই ঘটল। পূর্ণ একটা দিনও আর বিশ্রাম করা গেল না। প্রথমদিকে মন চললেও দেহ কেমন চলতে চাচ্ছিল না। তবুও না চলেও উপায় ছিল না। এটাকে খ্যাতির বিড়ম্বনা বলা যায়। শত ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু এড়ানো যায় না। এখন অবশ্য শরীরে সয়ে গেছে। পূর্বের উদ্যম ও স্বাভাবিকতা অনেকটাই ফিরে এসেছে। তবে স্বাভাবিক হতে হয়তো আরেকটু সময় লাগবে। এখন দুটো ব্যাপারে পার্থক্য লক্ষ করছি।

আগে যেখানে লাগাতার প্রায় ছয় মাসই কেটে যেত সফরে। গড়ে প্রতিদিন শত শত কিলো পথ ছুটে চলতে হতো স্বাভাবিক শিডিউলের অংশ হিসেবেই। এত কিছুর পরও বিষাদ ও ক্লান্তি তেমন ছুঁত না। সেখানে এখন সামান্য সফরেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। এছাড়া আগে যেখানে দুই-আড়াই ঘন্টা বয়ান করতাম স্বাভাবিক গতিতেই। সচরাচর দেড় ঘন্টার নিচে তো বয়ান হতোই না বলা যায়। সেখানে এখন একঘন্টা কথা বলতেই হাঁপিয়ে উঠছি। গত জুমআর আলোচনা দ্বারা বয়ানে ফিরলেও আজই ছিল মুক্তজীবনের প্রথম মাহফিল। একটি মাদরাসায় আয়োজিত এই ইসলাহি মাহফিলে বয়ান শুরু করলাম রাত এগারোটায়। শেষ করতে করতে বেজে গেছে রাত একটা। অন্যসময় এটা স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, বিশাল পাহাড়সম পরিশ্রম করা হয়ে গেছে। যাহোক, এরপরও আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর বান্দাদের দুয়া ও ভালোবাসাই আমার পরম কাম্য।

আশা করছি, আল্লাহ চাইলে খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক হয়ে উঠব। জীবন নামক এই রেলগাড়ি তো অবিরলভাবে ছুটে চলছে শেষ স্টপেজের উদ্দেশে। মাঝে যাত্রাশেষের সুখের জন্য উপার্জন যা করে নেওয়া যায়, তা-ই তো গনিমত। মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত তো দীর্ঘ বিশ্রামের সুযোগ রয়েছেই। কিন্তু চোখ বন্ধ হয়ে গেলে আখিরাত কামানোর সুযোগ আর কোথায়! এই অন্ধকার জাহিলি পৃথিবীতে দীর্ঘজীবনের চিন্তা করাও তো অর্বাচীনতা। তাই হায়াতের প্রতিটি মুহূর্তকে গনিমত মনে না করে উপায়ই বা কী! আল্লাহ তাআলাই উত্তম তাওফিকদাতা। অবশ্য এতকিছুর পরও রামাদানে তুলনামূলকভাবে খুব কম প্রোগ্রামেই অংশগ্রহণ করব। গত এক বছরে যেসব বই বেরিয়েছে, সবার আগে সেগুলো পড়ে নেওয়া ছাড়া অন্তরে অতৃপ্তি কাজ করবে। আজ সিলেট মাকতাবাতুল আজহার, শামস ও মাআরিফের আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানের পর সালমান ভাই ও জুনায়েদ শামসি বেশ কয়েকটা নতুন বই উপহার দিলেন। গত কয়েকদিনে বেশ কিছু নতুন বইই সংগ্রহে এসেছে। বাকিগুলোও সংগ্রহ করব ইনশাআল্লাহ। আগে পড়া, তারপর অন্য কাজ। এখন প্রয়োজন সুস্থতা, নিরাপত্তা ও অবসর। আপাতত এর জন্য সবচে বেশি দুয়া দরকার।
|

Address

Dhaka
Gazipur
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Sunnah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Daily Sunnah

সুন্নাহ মানে হলো অনুসৃত পথ। দীনের অনুসৃত পথকে এককথায় সুন্নাহ বলা হয়। মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে আপনাদের প্রত্যাশিত চ্যানেল Daily Sunnah । সুন্নাহর বাণী নিয়ে আমরা পৌঁছে যেতে চাই প্রতিটি মুসলিমের কাছে। সুন্নাহর দাওয়াতই হোক আমাদের জীবনের অভীষ্ট লক্ষ্য এবং লালিত স্বপ্ন। উম্মাহর ক্রান্তিকালে এবং ভয়াবহ ফিতনার যুগে পূর্ণাঙ্গ ইসলাম এবং তার সৌন্দর্যকে মুসলিমদের সামনে তুলে ধরা, ইসলামের বিধানাবলির ব্যাপারে উত্থাপিত ও আরোপিত আপত্তি-সংশয় দূর করা এবং প্রিয়নবি সা. ও মহান সালাফে সালেহিনের আদর্শকে এই উম্মাহর মাঝে পুনরুজ্জীবিত করাই Daily Sunnah-এর মিশন এবং ভিশন।

Nearby media companies


Other Media/News Companies in Gazipur

Show All

You may also like