বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ

  • Home
  • Bangladesh
  • Fulbaria
  • বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ

বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ কওমীর স্বকীয়তা রক্ষা, ফিকরে দেওবান্দের আলোকে কওমী ছাত্রদের গঠণে বদ্ধ পরিকর৷

মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি’পালন করুন,বিপদের মুহূর্তে মানুষের পাশে  দাঁড়ানো দাঁড়াতে পা...
12/10/2024

মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি’পালন করুন,বিপদের মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানো দাঁড়াতে পারেন।……...............জনাব সাজ্জাদুর রহমান
যুগ্ম পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট

সিলেট শহরের অন্তর্গত ৪ নং ওয়ার্ড হাউজিং এস্টেট এলাকায় উম্মুল কুরা একাডেমিতে চেতনা যুব পরিষদের আয়োজনে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালন হয়েছে।

আজ শনিবার 14 অক্টোবর সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় প্রায় ২ শতাধিক ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় করা হয়েছে, শিক্ষার্থী অভিভাবক শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ জানিয়ে দেয়া হয় এবং রক্তের গ্রুপ সংগ্রহ করে একটি ডেটাবেজ তৈরি করা হয়।
চেতবা যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কাউসার আহমদের পরিচালনায় এই ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কালামে পাক তেলাওয়াত করেন একাডেমি শিক্ষার্থী সমায়ুন আহমেদ।

আজকের অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি জনাব সায়েফ বখত চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে বছরে রক্তের চাহিদা আনুমানিক ৮-১০ লাখ ব্যাগ। দেশের জনসংখ্যার তুলনায় এ চাহিদা একেবারেই নগণ্য। তবে এখনো স্বেচ্ছা রক্তদানে ঘাটতি রয়েছে। ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই স্বেচ্ছা রক্তদাতা বৃদ্ধি করে এ চাহিদা মেটানো সম্ভব।

সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব আব্দুল হাসিব সাহেব বলেন, নিয়মিত রক্তদানে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি কমে যায়। তার পরেও রক্তদানে অনাগ্রহী বেশির ভাগ মানুষ। তবে প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা আমরা এখনো মেটাতে পারছি না। অথচ রক্তদানের জন্য ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। ধর্মীয়ভাবেও রক্ত দান অত্যন্ত পুণ্যের কাজ।

উম্মুল কুরা ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমাদুল উমামা বলেন রক্তদানের ব্যাপারে জনসচেতনতা সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। একটি জনগোষ্ঠীর অল্প কিছু অংশ মানুষ যদি নিয়মিত রক্তদান করেন তাহলেই রক্তের অভাবে কোনো মানুষের মৃত্যু হবে না। আমাদের ছোট্ট একটু ত্যাগ স্বীকার হাসি ফোটাতে পারে লাখো মানুষের জীবনে

“মানবতার টানে সদা প্রস্তুত মোরা রক্তদানে’ এই স্লোগান ধারণ করে “চেতনা যুব পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার লক্ষে লিফলেট বিতরণ মাইকিং এবং রক্ত গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনটি।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংগঠনটি মানুষকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ জানানো, স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, বিনামূল্যে রক্ত জোগাড় করে দেয়া, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তাসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।

আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট শাখার যুগ্ন পরিচালক জনাব সাজ্জাদুর রহমান সাহেব বলেন, যে মহৎ উদ্যোগ নিয়ে এ কর্মসূচি গ্রহণ করলাম সেখানে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
একটি মানুষও যাতে রক্তের অভাবে মারা না যান সে বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যপরিধি ক্রমান্বয়ে বাড়ানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

, এ কর্মসূচির মুখ্য উদ্দেশ্যই হলো মানবতার সেবায় নিজেকে এগিয়ে আনতে সচেতনতা তৈরি করা।

এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যে ভূমিকা রাখছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
, এ ধরণের মহতি উদ্যোগ ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের সকল ধরণের সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে যাতে যেকোন সংকটে শিক্ষার্থীরা রক্তের যোগান নিশ্চিত করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর ৯ কোটি ২০ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। আর বাংলাদেশে বছরে ৮ থেকে ৯ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন যেখানে পাওয়া যায় ৬ থেকে সাড়ে ৬ লাখ মাত্র। অতিরিক্ত রক্তের জন্য সর্বস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি ও রক্তদানের উপকারিতার কথা তুলে ধরার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞগণ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সরকারিভাবে ২২৩ টি রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র (ব্লাড ব্যাংক) রয়েছে।

রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হাউজিং এস্টেট সোসাইটির সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক জনাব ওলায়েত হোসেন লিটন, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা ও হার্ট ফাউন্ডেশন এর ফাউন্ডার জনাব আজাদ আলী।

উম্মুল কুরা একাডেমি শিক্ষক ইস্ট পয়েন্ট কলেজের ইংরেজি প্রভাষক হাফেজ মাওলানা সৈয়দ হোমহাম সাহেব একাডেমির শিক্ষক সুলতান আহমেদ স্যার
চেতনার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হাকিম আফরোজ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবী বসুন্ধরা মটরস এর পরিচালক তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল মুকিত অপি এডভোকেট, আব্দুল সুবহান আজাদ, সহ সভাপতি চেতনা, সাইফুল করিম চৌধুরীর হায়াত, মুক্তা আহমদ, লুতফুর রহমান, আখলাকুল আম্বিয়া, প্রিন্সিপাল উম্মুল কুরা একাডেমি মাওলানা আহমদ নাজি প্রমুখ

অন্তরের অন্তস্থল থেকে বলি আলহামদুলিল্লাহ।  গতরাত এমন সময় তীব্র গরমে  অস্থিরতায় পোষ্ট দিয়েছিলেন।তীব্র গরমে  লোহিত আবহা...
21/09/2024

অন্তরের অন্তস্থল থেকে বলি আলহামদুলিল্লাহ।
গতরাত এমন সময় তীব্র গরমে অস্থিরতায় পোষ্ট দিয়েছিলেন।তীব্র গরমে লোহিত আবহাওয়ার কারণে ঘুমাতে পারিনি। গরমে অতিষ্ঠ ছিলেন সবাই। ফ্যানের নিচে বসে শরীর থেকে ঘাম ঝরছে।

আজ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শীতল ঠান্ডা বাতাস বৃষ্টি প্রেরণ করে করে পৃথিবীকে শান্ত শীতল করে দিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
ولو ان اهل القرى امنوا واتقوا
এই শহর নগর গ্রামবাসী প্রকৃত ঈমানদার হয় এবং সমাজের মানুষগুলো আল্লাহর ভয় অন্তরে কেঁপে ওঠে।
( পরকালে আল্লাহর আদালতে জেরায় জবাবদিহি করতে হবে এই এজন্য অপরাধ গোনাহ বর্জন করে)
لفتحنا عليهم بركات من السماء

তাহলে আমি আল্লাহ তায়ালা এই জনপদে আসমান থেকে অনেক বারাকাত দিয়ে ভরপুর করে সুখী সমৃদ্ধ একটা জনপদ বানিয়ে দিব।

তাই আমাদের উচিত সকল তন্ত্র মন্ত্র মতবাদ বাদ দিয়ে ব্যক্তি ও দুনিয়ার স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আল্লাহর পথে ফিরে আসা
কুরআন এবং সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালিত করা। সুখের সমৃদ্ধ শান্ত সমাজ বিনির্মাণে আল্লাহ প্রদত্ত সমাজ বিনির্মাণে আমাদের প্রকৃত ঈমানদার হতে হবে।


আল্লাহ যেভাবে এই অশান্ত পৃথিবীকে মুহূর্তের মাধ্যই ঠান্ডা বাতাস দিয়ে শান্ত করে দেন, জীবন পরিবার-পরিজন আত্মীয় সংসার সবকিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বরকত দ্বারা ভরপুর করে দিবেন।
এই সমাজ শান্তির সমাজ হবে। যদি আমরা আমাদের ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিধি বিধান আইন কানুন মেনে চলা শুরু করি আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করেন।

আহমদুল হক
উম্মুল কুরা একাডেমি সিলেট

আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়া পর্যন্ত,দুনিয়ার জীবনে মুমিন মুসলমানদেরকে দৈহিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক, একটু মছিবত কষ্ট  পেরেশান...
19/09/2024

আল্লাহর সাথে মিলিত হওয়া পর্যন্ত,দুনিয়ার জীবনে মুমিন মুসলমানদেরকে দৈহিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক, একটু মছিবত কষ্ট পেরেশানিতে পড়তে হয়।
আল হাদিস

গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ এক বৃহস্পতিবার। উসমানকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম এখন আমার বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি।দুটি অপারেশন হয়েছে। শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গিয়েছে দুটি অপারেশনের ধকল সইতে হবে। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ফিরতে আবার অনন্ত পথের পথিক হতে হবে।

আলহামদুলিল্লাহ  অত্যন্ত আনন্দের সাথে  জানাচ্ছি এই প্রথম আমরা সীমিত পরিসরে একটি আয়োজন করতে যাচ্ছি। আজ  আমাদের উম্মুল কুর...
18/09/2024

আলহামদুলিল্লাহ অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি এই প্রথম আমরা সীমিত পরিসরে একটি আয়োজন করতে যাচ্ছি। আজ আমাদের উম্মুল কুরা একাডেমির শিক্ষার্থীদের হাতে নবীজির সিরাত বিষয়ক প্রতিযোগিতার জন্য ১৩১টি প্রশ্ন উত্তর সম্মিলিত শীটের প্রিন্টকপি ক্লাসে ক্লাসে পৌঁছে দিয়েছি।

আমাদের অভিভাবক বৃন্দের প্রতি বিশেষ নিবেদন, আপনারা এই শীট থেকে তাদেরকে প্রশ্ন উত্তরগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়তে দিবেন।
সন্তানরা যেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার অর্জন করতে পারে। বিজয়ী হতে পারে।
পাশাপাশি জীবন চরিত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
নবীজির ভালোবাসা তাদের অন্তরে গেঁথে উঠবে ইনশাআল্লাহ।
এবং যদি আপনাদের প্রয়োজন হয় আমাদেরকে জানান তাহলে আমরা, সিরাত বিষয়ক প্রশ্নোত্তর সম্বলিত পিডিএফ কপিটি আমরা আপনাদের কাছে দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ
আগামীতে বিশাল আকারে সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিজয়ীদের মধ্যে উমরাহ সফর সহ আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সীরাত সেমিনারের আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

সিরাত বই সংগ্রহ পাঠপ্রতিযোগিতা, সিরাত বিষয়ক সেমিনার , কুইজ প্রতিযোগিতা, সিরাত বিষয়ক মিডিয়া সেন্টার,সীরাত বিষয়ক ত্রৈমাসিক সাময়িকি, নবীজির জীবনী সীরাত বিষয়ে রচিত আরবি বাংলা ইংলিশ উর্দু ভাষায় রচিত সিরাত গ্রন্থগুলো দিয়ে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী

সীরাত বিষয়ে আলোচনা সভা ও নানা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ইনশাআল্লাহ একটি সিরাত ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনা রয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। নবীজির শাফায়েত লাভ ও নবীজির ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে আমাদের এই পরিকল্পনাগুলো আল্লাহ তায়ালা বাস্তবায়ন করার তৌফিক দান করুন। আমরা সকলেই মিলে নাবিজির মিশন সাকসেস করতে আমরা কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

এক মাস পূর্ণ হল, বিজয়ী ছাত্র-জনতার সাথে গনভবনে আসরের নামাজ শেষে দোয়া শেষে স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম। ইতিহাসের অমর...
06/09/2024

এক মাস পূর্ণ হল, বিজয়ী ছাত্র-জনতার সাথে গনভবনে আসরের নামাজ শেষে দোয়া শেষে স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম। ইতিহাসের অমর এই দিনে ভাবছিলাম ক্ষমতা কি জিনিস, হাতছাড়া হয়ে গেলে সবকিছু মাটির সাথে মিশে যায়। দুনিয়ার জীবনেই ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি শুরু হয়ে যায়. আপন জান বাঁচা, যেন কোরআনের আয়াতগুলো পাঠ করছি,

ما اغنى عني ما ليه
ধন সম্পদ শক্তি সমর্থক কী প্রয়োজনে আসলো
اهلك عني سلطاني
রাজত্ব ক্ষমতা সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে

সাথে ছিলেন মুজাহিদ তালুকদার। তার চাচাতো ভাই ছোট্ট একটি মেয়ে রেখে উত্তরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিত শহিদ হয়েছেন।

দেশজাতির কথা ভাবনা রত অবস্থায় মামাতো ভাই মরগুব আহমদ ছবিনিয়ে আমার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তখন আর ছবিটি দেখার সুযোগ হয় নাই আজকে হঠাৎ করে হিস্টোরি খুঁজতে গিয়ে পাইলাম ছবিটি।

16/08/2024

অনেক সুখের অভিজ্ঞতা - অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো

মা মারা গিয়েছেন। ছেলে কারাবন্দি আছেন।
মায়ের মৃত মুখ ছেলে দেখবে এই ব্যবস্থা করতে
গতকাল ১২:০০ টা, আমার কাছে ফোন আসলো কিছু একটা করে প্যারালো মুক্তি ব্যবস্থা করতে। সেই রাত ১২ টা থেকে বৃষ্টিতে ভিজে সেনা অফিসার ও পুলিশের ওসি, সহকারী পুলিশ কমিশনার, ডিসি সিলেট সহকারী ডিসি অফিস ও বাসা দৌড়ঝাপ করতে করতে রাত শেষ করে। আবার সকাল আটটা থেকে বিভিন্ন অফিসে।

বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে দলের বড় বড় সিনিয়র নেতাদের সাথে ফোনের ওপরে ফোন কথা বলতে বলতে রাত-দিন পার করে অবশেষে আমার এক মুসল্লী ভাই ডিসি অফিসারের কর্মকর্তা। উনার ধ্যমেই মায়ের মৃত চেহারা দেখার অনুমতি মিলে।।

কাউন্সিলর নির্বাচনের পরিচয়, রাজনৈতিক সামাজিক পরিচয়। উপরের লিংক এর পরিচয় দিতে হয়েছে এ সামান্য একটা বিষয়ের জন্য। অথচ দেশ থেকে জুলুমের শাসন চলে গিয়েছে বলে আমরা এখনো আনন্দ উল্লাসে বিজয় উদযাপন করছি । অথচ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ জেলের অফিসের কর্মকর্তা সাধারণ সদস্য সহ কেউই আমাদের নয়। আমাদের প্রতি দরদী নয় সম্মান। আমাদের সাথে পরিচয় নেই। যোগাযোগ নেই। সম্পর্ক নেই। আন্তরিকতা নেই।
তো কারো কারো রয়েছে চরম বিদ্বেষ। জেলের ভেতর আমার মোবাইল নিয়ে ভিতরে ঢোকার কারণে, তাদের ধারণা তো আমি আমার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলছি, সামান্য বিষয় নিয়ে আমার সাথে কিছু ঘটে যেত ।।

মোবাইল চেক করে পিকচার পিকচার তুলছি প্রমাণ পাইতো । আর যদি জুলুম করার ক্ষমতা থাকতো, তাহলে হয়তো আমাকে জেলে আটকে দিত ।।

গতকাল রাত এগারোটা থেকে নিয়ে আজ বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ধারাবাহিক প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিটা মিনিট জাগায় জাগায় দরনা দেওয়া যোগাযোগ আলেম-ওলামা সবার সাথে যোগাযোগ করে দল-মত নির্বিশেষে অবশেষে মায়ের মৃত চেহারা বন্দী মাওলানা হাফিজ সৈয়দ সাহেব ।

১৬ বছর যাবত কারাগারে। এক সময় জিহাদের নামে অনেক আবেগ ছিল। সেই আবেগের কারণে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন । মাথা গরম ছিল, উত্তেজনা ছিল টগবগে রক্ত ছিল। মাইক পাওয়ার পরে ভাষণে কাজে কর্মে বিরোধীদের প্রতি বাকবিতণ্ডা ও নানান হুমকি ধামকি দিয়েছেন।
সেটাকেই বিরোধীপক্ষ রাম বামরা পুুঞ্জি করে দলিল বানিয়ে। মিথ্যা ও রাজনৈতিক কিবরিয়া হত্যা মামলায় জঙ্গি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। এরপর থেকেই কারাগারে বন্দি আছেন।

আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি ফেসবুকে আবেগ যে কোন বিষয়ে অনলাইনে কামড়াকামড়ি প্রতিক্রিয়া দেখানো এবং দেখেনি আর হুমকি দেয়া। রাজপথে শুধু মাইক নিয়ে চিল্লাপাল্লা করা। কোন লাভ হবে না। এসব করে পায়ের তলার মাটি গুলো আরো নড়বড়ে হয়ে যায়। প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের কোন মূল্যই থাকেনা।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়া জনবল ছাড়া যোগ্য মেধাবী লোক ছাড়া পর্যায়ে আসলে কোন পাওয়ার নেই। বন্দী মুক্তি করতে যে পরিমাণ উপরের লিঙ্ক, অর্থ ব্যয় ও যোগ্য ব্যক্তির প্রয়োজন তা আমাদের নেই

পরিকল্পনা ছাড়া ফেসবুক নির্ভর কয়েকটি পোস্ট ও সামান্য কিছু সাময়িক উত্তেজনা দেখিয়ে এভাবে আর চলবে না।
দীর্ঘমেয়াদি কাজ করা এবং ভবিষ্যৎ জেনারেশনের জন্য কিছু করে যেতে হলে ঐক্য প্রক্রিয়া সমর্থন করতে হবে। স্বার্থ পদ পদবী ও দুনিয়ার সামান্য কিছু লোভ লালসা এবং ফেস ভ্যালু এবং পরিচিতি বাড়ানোর ভাবনা এগুলাতে যদি এখনোও পর্যন্ত জলাঞ্জলি না দেওয়া যায়। উম্মতের দরদ এবং ভালোবাসার নিজেদেরকে আবৃত না করতে পারি। তাহলে আমাদের ভবিষ্যত খুবই অন্ধকার।

এদেশে আমাদেরকে হয়তো পরগাছা হয়ে থাকতে হবে, সংখ্যালঘু হয় যদি আমরা সচেতন না হয়।

এই কিশোরটির নাম আমজাদ।  আহত হয়েছিলো ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে। পুলিশের গুলিতে মুখ বুক ও মাথা ঝাঝরা হয়ে গেছে। পায়ে গুলি লেগেছে...
14/08/2024

এই কিশোরটির নাম আমজাদ। আহত হয়েছিলো ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে। পুলিশের গুলিতে মুখ বুক ও মাথা ঝাঝরা হয়ে গেছে। পায়ে গুলি লেগেছে এবং অপারেশন করতে হয়েছে। আবারও অপারেশন লাগবে।

তার সাথে দেখা করলাম ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ৩ তলায় ৩০১ নাম্বার ওয়ার্ডে। ৪ নাম্বার বেডে শুয়ে আছে।

পিতৃহীন এবং অস্বচ্ছল এই আহত কিশোরের পক্ষে অপারেশন ও চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা অসম্ভব। কয়েকজন এসে তাকে নিয়ে ফেসবুক লাইভ করে চলে গেছে। কিন্তু সে তার ভাইকে নিয়ে হসপিটালে পড়ে আছে।

কেউ কি সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এই পোস্ট পৌঁছাতে পারবেন? খুবই উপকার হত আমজাদের৷
মুহতারাম
সাইমুম সাদী

সারাজীবনের বয়ে বেড়াবে স্মৃতি।  নিষ্ঠুর নির্মম গণহত্যার ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়ার ইতিহাস বলে যাবে অনন্তকাল। ছবিতে দেখুন বর্ব...
12/08/2024

সারাজীবনের বয়ে বেড়াবে স্মৃতি। নিষ্ঠুর নির্মম গণহত্যার ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়ার ইতিহাস বলে যাবে অনন্তকাল।

ছবিতে দেখুন বর্বরোচিত হামলার শিকার ছেলেটার কি অবস্থা। বরিশাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বরিশাল হাতেম আলী কলেজ এর ছাত্র রবিউলকে অর্থিক সহায়তা করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। পাশাপাশি প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অন্যান্য ছাত্রদের মাঝেও অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

ছাত্রনেতা Ridwan Majharee Kawsar Ahmad সহ
ছাত্র জমিয়ত নেতা কর্মী সমর্থক ভাইদের এই কর্মতৎপরতা আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন।

10/08/2024

দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ইসলামের সৌন্দর্য ও
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আদর্শ জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে

দল মত নির্বিশেষে যে সকল শিক্ষার্থীরা দেশের সেবা কার্যক্রম করতেছে, তাদেরকে উৎসাহ দিন।পুরস্কৃত করুন।
তাদেরকে আর্থিক - মানসিক সহযোগিতা করুন।

এসব কাজ করতে হলে অর্থ লাগে। দিনরাত পরিশ্রম তারা ফ্রি করতেছে। তারা যদি এই কাজ না করতো, তাহলে আমরা তখন গর্বিত হয়ে বলতে পারতাম না যে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে আমাদের সন্তানদের ছেলেদের অবদান রয়েছে।

গত পরশু ঢাকা মেডিকেলে ঘুরে ঘুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আহত হাসপাতালে চিকিৎসারতদের আর্থিক সহযোগিতা। গতকাল পঙ্গু হাসপাতালে এবং ঢাকার বিভিন্ন হসপিটালে ঘুরে ঘুরে আর্থিক সহযোগিতা । ঢাকা সহ সহ সারাদেশের বিভিন্ন শহর গ্রামে পয়েন্টে রাস্তায় দায়িত্ব পালনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি পালন করতে হয় আলহামদুলিল্লাহ

এই যে প্রচন্ড রোদে পুড়ে রাস্তায় বের হয়ে সামাজিক কাজকর্মে মাদ্রাসা ছাত্র সাধারণ স্কুল কলেজের ছাত্রেদর সমন্বয় সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। ভালোবাসার ইতিহাস সৃষ্টি করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। অর্থ না থাকলে একদিন কাজ করে বসে তাকতে হয়। কাজের ধারাবাহিকতা তাকে না ৃ তখন আমরা দূর থেকে মনে করি কেন কাজ করে না।

মাদ্রাসার ছাত্ররা রাজপথে নেমে এসেছে, এরা আর্থিক সহায়তা সহযোগিতা করি। তারা অর্থ নিয়ে মাঠে নামবে কাজ করতে ইনশাআল্লাহ ওলামায়ে কেরামের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা রত শিক্ষার্থীদের তাদের ঘুরে ঘুরে খবর নিচ্ছে। সহায়তা করতেছে। অর্থ না থাকলে মনোবল হারিয়ে যায়। তাদের স্পিড কমে যায়।
এজন্য আমাদের সিনিয়রদের তাদেরকে সহযোগিতা করা উচিত । আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা, মানসিকভাবে সহযোগিতা করা, উৎসাহ দেয়া। স্নেহের ছোট ভাইয়েরা কাজ তাদের একটু ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিলে আনন্দিত হয়।

ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে নাস্তা বিতরণ সকাল ১১ টা থেকে রাত ১০ টা, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মিরপুর মাজাররোড, মিরপুর ১, ২, ১০, , কাজিপাড়া, টেকনিক্যাল, মুহাম্মাদপুর, সাইন্সল্যাবরেটরী, ধানমন্ডি সহ বিভিন্ন পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজে থাকা ছাত্রদের মাঝে পানি, বিস্কুট, কেক, স্যালাইন, নাস্তাসহ দুপুরের খাবার বিতরণ করে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ।

ছাত্র জমিয়ত সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী Ridwan Majharee ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার Kawsar Ahmad রাতদিন মেহনত পরিশ্রম পেরেশানি দরদ ভালোবাসা আন্তরিক চেষ্টা করছে।

ছাত্র আন্দোলন ছাত্র শিবির ছাত্র মজলিস সাধারণ ছাত্র পরিষদ সাধারণ আলেম সমাজ নামে বে নামে বিভিন্ন মানুষের কাজ করে যাচ্ছে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সেবামূলক কার্যক্রম করতেছে আল্লাহ তায়ালা কার্যক্রমকে কবুল করুন উত্তম বিনিময় দান করুন।

উল্লেখ্য–গত ৫ আগষ্ট তারিখে স্বৈরশাসকের পতনের পরে ট্রাফিক পুলিশ তাদের দায়িত্বে আসা বন্ধ করে দেয়। তখন থেকেই রাষ্ট্র মেরামতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা এ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। শিক্ষার্থীদের দায়িত্বে বদলে গেছে চিরচেনা রাস্তার রূপ। এ যেন এক নতুন ঢাকা। অস্থায়ী ভাবে তৈরী করা হয়েছে রিক্সার আলাদা লেন, রাখা হয়েছে এ্যাম্বুলেন্স বা জরুরী পরিষেবার বাহনের জন্য ফাঁকা লেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র  আন্দোলনের সৈনিক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পঙ্গুত্ব বরণ করে নিয়েছে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক...
10/08/2024

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সৈনিক
ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পঙ্গুত্ব বরণ করে নিয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নেতৃবৃন্দ এবং বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। বিশেষ করে এই ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে কৃত্তিম পায়ের ব্যবস্থা করে সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিন।
প্রয়োজনে তাকে বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার দায়িত্ব নিন।

আমাদের একটি প্রতিনিধি টিম তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছে। এবং সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতা করেছে আলহামদুলিল্লাহ

15/04/2024

আজ তেলাওয়াত করার সময় এই আয়াতে গিয়ে চোখ আটকে যায়। একটি আয়াতই আপনার জীবন পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট!

কেন দুনিয়া বাদ দিয়ে দ্বীনি ও সামাজিক খেদমত ও আখেরাতের কাজে রাত দিন ব্যয় করি। এর উত্তর এই আায়াতে পেয়ে যাবে।।
مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ حَرۡثَ الۡاٰخِرَۃِ نَزِدۡ لَهٗ فِیۡ حَرۡثِهٖ ۚ وَ مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ حَرۡثَ الدُّنۡیَا نُؤۡتِهٖ مِنۡهَا وَ مَا لَهٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنۡ نَّصِیۡبٍ ﴿۲۰﴾من کان یرید حرث الاخرۃ نزد لهٗ فی حرثهٖ ۚ و من کان یرید حرث الدنیا نؤتهٖ منها و ما لهٗ فی الاخرۃ من نصیب ﴿۲۰﴾
সুরা আশ শুরা আয়াত ২০

যে আখিরাতের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য তার ফসলে প্রবৃদ্ধি দান করি, আর যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাকে তা থেকে কিছু দেই এবং আখিরাতে তার জন্য কোন অংশই থাকবে না। আল-বায়ান

যে লোক পরকালের ক্ষেত করতে চায়, আমি তার জন্য তার ক্ষেতে বৃদ্ধি দান করি। আর যে লোক দুনিয়ার ক্ষেত চায়, আমি তাকে তাত্থেকে দেই, কিন্তু পরকালে তার অংশে (বা ভাগ্যে) কিছুই নেই। তাইসিরুল

যে কেহ আখিরাতের প্রতিদান কামনা করে তার জন্য আমি তার ফসল বর্ধিত করে দিই এবং যে দুনিয়ার প্রতিদান কামনা করে আমি তাকে ওরই কিছু দিই। কিন্তু আখিরাতে তার জন্য কিছুই থাকবেনা। মুজিবুর রহমান

Whoever desires the harvest of the Hereafter - We increase for him in his harvest. And whoever desires the harvest of this world - We give him thereof, but there is not for him in the Hereafter any share. Sahih International

২০. যে কেউ আখিরাতের ফসল কামনা করে তার জন্য আমরা তার ফসল বাড়িয়ে দেই এবং যে কেউ দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমরা তাকে তা থেকে কিছু দেই। আর আখেরাতে তার জন্য কিছুই থাকবে না।(১)

(১) একজন ঈমানদারের উচিত আখেরাতমুখী হওয়া। যে আখেরাতমুখী হবে সে দুনিয়া আখেরাত সবই পাবে। পক্ষান্তরে যে দুনিয়াকে প্রাধান্য দিবে সে দুনিয়াও হারাবে আখেরাতও পাবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মহান আল্লাহ্‌ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতের জন্য নিজকে নিয়োজিত কর; আমি তোমার বক্ষকে অমুখাপেক্ষিতা দিয়ে পূর্ণ করে দেব। তোমার দারিদ্রতাকে দূর করে দেব। আর যদি তা না কর আমি তোমার বক্ষ ব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেব। আর তোমার দারিদ্রতা অবশিষ্ট রেখে দেব।” [মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৪৪৩, তিরমিযী: ২৪৬৬] অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ জাতিকে সুসংবাদ দাও আলো, উচ্চমর্যাদা, দ্বীন, সাহায্য, যমীনের বুকে প্রতিষ্ঠার। তবে এ উম্মতের মধ্যে যে কেউ আখেরাতের কাজ দুনিয়া হাসিলের জন্য করবে, আখেরাতে সে কিছুই পাবে না। [মুসনাদে আহমাদ: ৫/১৩৪]

তাফসীরে জাকারিয়া
(২০) যে ব্যক্তি পরলোকের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য পরলোকের ফসল বর্ধিত করে দিই[1] এবং যে কেউ ইহলোকের ফসল কামনা করে, আমি তাকে তারই কিছু দিই,[2] আর পরলোকে এদের জন্য কোন অংশ থাকবে না। [3]

[1] حَرْثٌ এর অর্থ বীজ বপন অথবা ফসল। এখানে রূপকার্থে আমলের ফলাফল এবং তার উপকারিতার জন্য তা ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নিজের সমস্ত আমল ও চেষ্টা-চরিত্র দ্বারা আখেরাতের নেকী ও সওয়াব লাভের আশা করবে, তার আখেরাতের ফসলকে আল্লাহ বাড়িয়ে দিবেন। একটি নেকীর প্রতিদান দশ থেকে সাতশগুণ পর্যন্ত বরং তার থেকেও বেশী গুণ দান করবেন।

[2] অর্থাৎ, দুনিয়া কামনাকারী দুনিয়া তো পায়। তবে ততটা নয়, যতটা সে চায়; বরং ততটা, যতটা আল্লাহ চান ও তাঁর লিখিত তকদীরে নির্ধারিত থাকে।

[3] এটা সেই বিষয়ই যা সূরা বানী ইসরাঈলের ১৮নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। অর্থাৎ, দুনিয়া তো আল্লাহ প্রত্যেককেই ততটা অবশ্যই দেন, যতটা তিনি তার ভাগ্যে নির্ধারিত করে রেখেছেন; যে দুনিয়া চায় তাকেও এবং যে আখেরাত চায় তাকেও। কেননা, তিনিই সকলের রুযীর দায়িত্ব নিয়ে রেখেছেন। তবে যে আখেরাত কামনা করে অর্থাৎ, আখেরাতের জন্য পরিশ্রম ও মেহনত করে, তাকে কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً (বহুগুণ) নেকী ও সওয়াব দান করবেন। পক্ষান্তরে দুনিয়া কামনাকারীর জন্য আখেরাতে জাহান্নামের আযাব ব্যতীত কিছুই থাকবে না। এখন মানুষের চিন্তা-ভাবনা করে দেখা দরকার যে, তার লাভ দুনিয়া কামনা করাতে, না আখেরাত কামনা করাতে।আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করেন

আহমদুল হক উমামা
উম্মুল কুরা একাডেমি
হাওজিং এস্টেট সিলেট

আপনি হয়তো ভাবছেন!ইনি আরবের কোন বিশাল শাইখ!! ইউনিভার্সিটির বয়োবৃদ্ধ  প্রফেসর!!নাহ, তিনি আরব মুলুকের কেউ নন। বরং বঙ্গদেশের...
23/02/2024

আপনি হয়তো ভাবছেন!
ইনি আরবের কোন বিশাল শাইখ!! ইউনিভার্সিটির বয়োবৃদ্ধ প্রফেসর!!

নাহ, তিনি আরব মুলুকের কেউ নন। বরং বঙ্গদেশের এক হীরকখণ্ড!

কে তিনি!?
তিনি কানাইঘাটের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
জালালাবাদের দীপ্তিমান এক সূর্য।
দারুল উলুম কানাইঘাটের রত্ন।
দারুল উলুম দেওবন্দের আলোকময় চন্দ্র।

তিনি হাজারো আলেমের উস্তাদ!
তিনি আলেম গড়ার কারিগর।
তিনি একজন দরদী মালী।
তিনি একজন আদর্শ রাহবার।

তিনি একজন প্রাজ্ঞ হাদীস বিশারদ।
তিনি একজন বিজ্ঞ মুফাসসিরে কুরআন।
তিনি একজন বিদগ্ধ আরবি সাহিত্যিক।

তিনি একজন গুমনাম বুযু্র্গ।
তিনি একজন একজন প্রচারবিমুখ সুফী।তিনি তৃষ্ণার্ত কলবের পিপাসা নিবারণ করেছেন শাইখ নুরুদ্দীন গহরপুরীর কাছে।
তিনি আধ্যাত্মিকতায় রিয়াজত-মুজাহাদা করতে করতে ইজাযত পেয়েছেন তাঁর কাছ থেকে।

তিনি পড়েছেন শতাব্দীর স্মারক দারুল উলুম কানাইঘাট, উম্মুল মাদারিস মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, ও চেতনার বাতিঘর দারুল উলুম দেওবন্দে।

তাঁর উস্তাদদের মধ্যে অন্যতম হলেন; দারুল দেওবন্দের শাইখুল হাদীস মাওলানা নাসির খান সাহেব রাহিমাহুল্লাহ, দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক শাইখুল হাদীস মাওলানা সাঈদ আহমদ পালনপুরী রাহিমাহুল্লাহ, আমীরে হেফাজত মাওলানা শাহ আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহ, মুসলিম উম্মাহর অবিসংবাদিত রাহবার মাওলানা সায়্যিদ আরশদ মাদানী হাফিযাহুল্লাহর, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বরেণ্য বুজুর্গ, মাওলানা মুহাম্মদ বিন ইদরীস হাফিযাহুল্লাহ, বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন ও অকুতোভয় সৈনিক মাওলানা আলীমুদ্দীন শাইখে দূর্লভপুরী হাফিযাহুল্লাহ।

তিনি মুহসিনিয়া সুরইঘাট, দারুল উলুম কানাইঘাট, জামিআ আঙ্গুরা, নয়াসড়ক মাদরাসা, নাজির বাজার মাদারাসা সহ অনেক মাদরাসার মুহাদ্দিস/শাইখুল হাদীস /মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। করে চলছেন!

তিনি ছিলেন জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ ঢাকার স্বনামধন্য মুহাদ্দিস। সেখানে হাদীস অধ্যাপনা করেছে অত্যন্ত দক্ষতা সুনামের সাথে।

যাকে কাজী মুতাসিম বিল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন "কিতাবের পোকা"।
যাকে মাওলানা নূর হুসাইন কাসিমী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন জামে তিরমিজির অসম্পূর্ণ ব্যাখ্যাগ্রন্থ "মাআরিফুস সুনানে"র তাকমিলা লেখার যোগ্যতাে অধিকারী ব্যাক্তিত্ব।

তার যোগ্য ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন।
জামিআতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকার মুহাদ্দিস, বিদগ্ধ হাদিস বিশারদ ও লেখক
মাওলানা শাইখ আবদুল মতিন হাফিযাহুল্লাহ

মালিবাগ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ,

মাওলানা ডক্টর মুশতাক আহমদ হাফিযাহুল্লাহ, ঢাকা

মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ প্রমুখ।

তিনি আশির দশকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মালিবাগ মাদরাসার অধ্যাপনা ছেড়ে নিজ এলাকায় কাফিয়া পর্যন্ত একটি মাদরাসায় চলে এসেছেন;শুধু এলাকায় ইলম ও দ্বীন চর্চার কথা ভেবে।
কাফিয়া থেকে মাদরাসাটিকে দাওরায়ে হাদীসে উন্নীত করেছেন। ইলমপিপাসুরা এখন এখানে ভীড় জমাচ্ছে। মুহসিনিয়া সুরইঘাট নামে আজ যেটি গর্বের সাথে দাড়িয়ে আছে।

কে তিনি
তিনি উস্তাযুল আসাতিযা, খলীফায়ে গহরপুরী, শাইখুল হাদীস মাওলানা শফীকুল হক সুরইঘাটী হাফিযাহুল্লাহ। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সুরইঘাট এলাকায় তাঁর বাড়ী।

আমরা জীবিত থাকতে যোগ্যদের কদর করি না। তাদের থেকে উপকৃত হই না। উল্টো বিরোধিতা করি। সমালোচনা করি। গালাগালি করি। কিন্তু, মৃত্যুর পর ঠিকই হাহুতাশ করি।আফুসস করি।লেখালেখি করি। তখন আফসুস করে লাভ কী.!?

আসুন!
এই বরেণ্য আলেমের কাছ থেকে জীবিত থাকতে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করি। যথোপযুক্ত কদর করি।

আল্লাহ তাকে পূর্ণ সিহহত, ইফফত ও আফিয়াত দান করুন।
দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন। তাঁর ইলম থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন।

ট্রা ন্স* জেন্ডার একটি মানসিক বিকৃতি।বাংলাদেশের হাজার বছরের চর্চিত ইসলাম বিধৌত বাঙালি বোধ-বিশ্বাস ও সংস্কৃতি এবং প্রকৃতি...
20/01/2024

ট্রা ন্স* জেন্ডার একটি মানসিক বিকৃতি।
বাংলাদেশের হাজার বছরের চর্চিত ইসলাম বিধৌত বাঙালি বোধ-বিশ্বাস ও সংস্কৃতি এবং প্রকৃতি বিরোধী একটি এজেন্ডা।

অতএব আসুন এর বিরুদ্ধে সচেতন হই এবং সম্মিলিত আওয়াজ তুলি। জনসচেতনতায় সিয়ানাহ ট্রাস্ট
সোমবার বিকেলে, সুলেমান হলে, সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।সচেতন অবিভাবক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

ট্রা ন্স* জেন্ডার( সম কামী তার আরেক নাম)। যা সম্পর্কে কুরআনে অনেক আয়াত এসেছে। কওমে লুত এই জঘন্য ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত ছিল। যার শাস্তি ছিল তাদের জমিন উপর থেকে নিচে নিক্ষেপ করা ও পাথর বৃষ্টি বর্ষণ। আস্তাগফিরুল্লাহ।

আল্লাহ তা'আলা বলেন, "আর (প্রেরণ করেছি) লূতকে। যখন সে তার কওমকে বলল, 'তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সৃষ্টিকুলের কেউ করেনি'?"

"তোমরা তো নারীদের ছাড়া পুরুষদের সাথে কামনা পূর্ণ করছ, বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী কওম'।"

"আর তার কওমের উত্তর কেবল এই ছিল যে, তারা বলল, 'তাদেরকে তোমরা তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। নিশ্চয় তারা এমন লোক, যারা অতি পবিত্র হতে চায়'।"

"তাই আমি তাকে ও তার পরিবারকে রক্ষা করলাম তার স্ত্রী ছাড়া। সে ছিল পেছনে থেকে যাওয়া লোকদের অন্তর্ভুক্ত।”

"আর আমি তাদের উপর বর্ষণ করেছিলাম বৃষ্টি। সুতরাং দেখ, অপরাধীদের পরিণতি কিরূপ ছিল।"

(সূরা আরাফ: ৮০-৮৪)

Itiqad Academy

10/12/2023

কুরআন ও হাদিসের আলোকে মুনাফিকের আলামত।
🍂🍂🍂🍂🍂🍂

▪︎১. মুনাফিকরা সব দলেই থাকতে চায়।
(সূরাহ বাকারা: ১৪)

▪︎২. মুনাফিকরা সুযোগ সন্ধানী।
(সূরাহ আন নিসা: ১৪১)

▪︎৩. মুনাফিকরা ঈমানদারদের নির্বোধ মনে করে।
(সূরাহ বাকারা: ১৩)

▪︎৪. মুনাফিকরা ইসলামের জন্য কষ্ট স্বীকার করতে রাজি না।
(সূরাহ আনকাবুত: ১০)

▪︎৫. ইসলামপন্হীদের কল্যান মুনাফিকদের কষ্ট।
(সূরাহ আত তাওবা: ৫০)

▪︎৬. মুনাফিকরা সত্যের বিনিময়ে মিথ্যা কিনে নেয়।
(সূরাহ বাকারা: ১৬)

▪︎৭. মুনাফিকরা ইসলামপন্হীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে।
(সূরাহ আল-আহযাব: ৬০)

▪︎৮. মুনাফিকরা চিন্তা ও আর্দশের দিক দিয়ে অপবিত্র।
(সূরাহ আত তাওবা: ৯৫)

▪︎৯. মুনাফিকের বৈশিষ্ঠ ৪টি:
রাসুল সা. বলেন মুনাফিক হল যারা-
ক. কথায় কথায় মিথ্যা বলে।
খ. ওয়াদা দিলে ভঙ্গ করে।
গ. আমানতের খেয়ানত কর।
ঘ. ঝগড়া হলে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে।

▪︎১০. মুনাফিকদেরকে নামাজ খুবিই কঠিন মনে হয়।
(সূরাহ আত তাওবা: ৫৪)

▪︎১১. মুনাফিকরা প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে নামাজে আসে।
(সূরাহ আন নিসা: ১৪২)

▪︎১২. মুনাফিকরা কাফিরদের স্বার্থে কাজ করে।
(সূরাহ আল হাশর: ১১)

▪︎১৩. মুনাফিকরা কোরআন ও হাদীসের কথা শুনে কিন্তুু মানে না।
(সূরাহ আন আনফাল: ২১)

▪︎১৪. মুনাফিকরা সৎকাজে বাধা দেয়।
(সূরাহ আত তাওবা: ৬৭)

▪︎১৫. মুনাফিকরা বিচারের রায় নিজেদের পক্ষে চায়।
(সূরাহ আন নুর: ৪৯)

▪︎১৬. মৃত্যুর পরে মুনাফিকদের জানাজা নিষেধ।
(সূরাহ আত তাওবা: ৮৪)

▪︎১৭. মুনাফিকদেরকে জন্য দোয়া করা যাবে না।
(সূরাহ আত তাওবা: ৮০)

▪︎১৮. মুনাফিকরা কাফিরদের কথা অনুযায়ী চলে।
(সূরাহ মুহাম্মদ: ২৬)

▪︎১৯. মু'মিনরা মুনাফিকদের অনুসরন করে চলে না।
(সূরাহ আল-ই ইমরান: ১৪৯)

▪︎২০. মু'মিনদের বিরুদ্ধে মুনাফিকরা ষড়যন্ত্র করে।
(সূরাহ আন নিসা: ১৩৯)

▪︎২১. মুনাফিকরা অমুসলিমদের বন্ধু বানায়।
(সূরাহ আন নিসা: ১৩৯)

▪︎২২. মুনাফিকদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না।
(সূরাহ আন নিসা: ৮৯)

▪︎২৩. মৃত্যুর সময় মুনাফিকদের কঠিন শাস্তি দেবে।
(সূরাহ মুহম্মদ: ২৭)

▪︎২৪. জাহান্নামে মুনাফিকদের স্থান সর্ব নিন্মস্থরে ।
(সূরাহ আন নিসা: ১৪৫)

▪︎২৫. রাসুল সা.কে নবী হিসাবে সাক্ষ্য দেওয়ার পরেও মুনাফিক।
(সূরাহ মুনাফিকুন: ১)

▪︎২৬. তাদের চেহারা ও কথাবার্তা সুন্দর হবে।
(সূরাহ মুনাফিকুন: ৪)

কুরআনের আয়াতগুলো পড়ে চিন্তা করে দেখুন, আমার ও আপনার আশেপাশে কাদের মধ্যে মুনাফিকি চরিত্র আছে? যদি থাকে তাহলে পরিহার করুন এবং যাদের মধ্যে এই দোষগুলো আছে তাদেরকেও পরিহার করুন।

https://www.alkawsar.com/bn/গাজা*য় ইসরা-ইলের বর্বরতা গা*জা*বাসীর জন্য দুফোঁটা অশ্রু!মাসের শুরুতেই পাঠকের হাতে আলকাউসার ...
18/11/2023

https://www.alkawsar.com/bn/

গাজা*য় ইসরা-ইলের বর্বরতা গা*জা*বাসীর জন্য দুফোঁটা অশ্রু!
মাসের শুরুতেই পাঠকের হাতে আলকাউসার তুলে দিতে আগের মাসের ২১ তারিখেই পত্রিকা প্রেসে চলে যায়। মাঝে মাঝে এর ব্যত্যয় ঘটলেও সাধারণত এই নিয়ম রক্ষার চেষ্টা করা হয়। সেই হিসেবে অক্টোবরের শুরু থেকেই নভেম্বর ২০২৩ সংখ্য…

গবেষণামূলক উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা-এর মুখপত্র

আমরা অন্যের জীবনে উকিঝুকি মেরেই জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় কাটিয়ে দিই।সমাজকে বদলানোর প্রয়োজন নেই।নিজে বদলান তাহলেই হবে।...
15/11/2023

আমরা অন্যের জীবনে উকিঝুকি মেরেই জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় কাটিয়ে দিই।
সমাজকে বদলানোর প্রয়োজন নেই।নিজে বদলান তাহলেই হবে।আমার আপনাদের মত মানুষদের নিয়েই সমাজ।

আর নিম্নোক্ত বিষয়গুলো তারাই করে যাদের নিজেদের জীবনে কোনো উদ্দেশ্য থাকেনা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যের জীবনে উকিঝুকি মারা।তুলনা করা।ভালো কিছু করলে হিংসা করা।,খারাপ কিছু করলে সমালোচনা করা।ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব করেই কাটিয়ে দিই।
কার জীবনে কি হচ্ছে, কার ডিভোর্স হলো, কার ব্রেকআপ হলো, কার চাকরি হলো না, রাজনীতি নিয়ে রাতদুপুর ঝগড়াঝাটি ,কে কি কথা বললো, কে কি করলো সেই নিয়ে আমাদের খুব মাথাব্যথা।আর এসব করতে গিয়ে নিজেরাই জীবনে কিছু করতে পারিনা।

যাদের ভিডিও দেখি তারা সেটা বানিয়ে রোজগার করে।
আর আমরা সেখান থেকে খারাপটুকু নিয়ে সমালোচনা করি।ভালো ভিডিও শেয়ার হয়না কিন্তু খারাপ কিছু মুহূর্তে ভাইরাল। কারা করে?আমরাই করি।যে সময়টা এসবের পিছনে দিয়ে থাকি সেই সময়টা নিজের পিছনে দিলে জীবনে অনেক কিছু করা যেত।

অন্যের ভালো বা খারাপ দেখতে পারেন না তো দেখবেন না। খোঁচানোর কি দরকার?আর সবকিছুর মধ্যেই খারাপ খুঁজে বেড়ানো একটা প্রবণতা হয়ে গেছে।
তবে এটাও ঠিক খারাপ জিনিসের বাড়বাড়ন্ত বেশি কারণ মানুষ খারাপ দেখতে চাইছে তাই দেখানো হচ্ছে। আবার খারাপ দেখানো হচ্ছে তাই মানুষ দেখছে এবং করছেও।
তো সবাই একে অপরের উপর নির্ভরশীল।

শুধু আপনি কি করবেন সেটা আপনার চয়েজ।

16/10/2023

আমি ডটডট মজুমদারের বক্তব্যকে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনই মনে করছি না; আমি জাস্ট শাইখ তারিফির একটা জবাব উল্লেখ করতে চাই—
শায়খ আব্দুল আজিজ আত তারিফির কাছে একজন প্রশ্ন করেছিল, শায়েখ, এ যুগে আমরা মুনাফিক চিনব কিভাবে?

শায়েখ তারিফী উত্তর দিয়েছিলেন—
তাদের আলামত হলো, ইসলামের ওপর আঘাত এলে তারা নিরব থাকে, আর মুসলিমরা কোনো ভুল করলে তারা সমালোচনার জন্য বেরিয়ে আসে।

"وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَٰكِنَّ اللَّهَ رَمَىٰ  ۚ وَلِيُبْلِيَ الْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ بَلَاءً حَسَنًا ۚ إِنَّ ال...
08/10/2023

"وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَٰكِنَّ اللَّهَ رَمَىٰ
ۚ وَلِيُبْلِيَ الْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ بَلَاءً حَسَنًا ۚ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ"
ان ينصركم الله فلا غالب لكم

الله أكبر الله أكبر ولله الحمد 🤲

কোরআনের একটি আয়াত এবং বুখারী শরীফের একটি হাদিস। যারা আরবি জানেন বুঝেন এ আয়াতের মর্মার্থ ও আজকে এর উদ্দেশ্য বুঝতেছেন।
যারা আরবি জানেন না তারা কোরআন ও হাদিসের অর্থ একটু আগ্রহের সাথে জেনে নিবেন।

06/10/2023

মিশন হলো এমন কিছু, যা আমার দৈনন্দিন শারীরিক প্রয়োজনের বাহিরে। আমার নিজ দেহজ চাহিদা ছাড়া স্রেফ মানসিক তাড়না থেকে যা আমি করি সেটা আমার মিশন। যার সাথে সরাসরি আমার জীবিকার সম্পর্ক নেই, কিন্তু সেই চিন্তাটা, সেই লক্ষ্যটা আমাকে ঘুমোতে দেয় না। অনেকে এই চিন্তা থেকে অনেক কিছু করে, দেখবেন। একটা কিছু করে রেখে যেতে চায়।

নিষ্ঠুর এই দুনিয়ায় আমার সামান্য শক্তি দিয়ে যতটুকুই পারি পরিবর্তন রেখে যেতে চাই। I want to make a change। সেই কাজে দিনের পর দিন সময় দিচ্ছি, এ জন্য কেউ আমাকে বেতনও দেয় না, যাতে আমার পার্থিব ভোগের সরাসরি সম্পর্ক নেই, যা আমি ইহজীবনে ভোগের আশা করিও না। একুশ শতকে এসে সেটা হল- ইসলামের বিজয়ের জন্য কিছু না কিছু করা।

বাপ-বেটা মিলে বাজার করে এনেছে। চার বছরের বাচ্চা ব্যাগের একপাশে ধরে বলছে: মা; বাজার করে নিয়ে এলাম। বাচ্চার এই আধো আধো কথা শুনে বাবা মায়ের কলিজার ঠাণ্ডা হচ্ছে। তেমনি আল্লাহ আমাদের এই দ্বীনের জন্য দৌড়ঝাঁপ, দুআ, উম্মতের জন্য পেরেশানি দেখে খুশি হন। আমাদের কাজ ব্যাগের কোণা ধরে রাখা, ব্যাগটা উঠানোর চেষ্টা করা, আধো আধো কাজ করে যাওয়া, আর গড়াগড়ি করে কাঁদা। ব্যস।

মিশন: ইসলাম/ ২১
লুকমান হাকিম ভাই লিখেছেন

*সাল্লাল্লাহু-আলাইহি-ওয়া-সাল্লাম * صلى الله عليه وسلم* আপনার টেবিলে সব সময় একটি সিরাতগ্রন্থ রাখুন। বাসা কিংবা অফিসের টেব...
29/09/2023

*সাল্লাল্লাহু-আলাইহি-ওয়া-সাল্লাম * صلى الله عليه وسلم*
আপনার টেবিলে সব সময় একটি সিরাতগ্রন্থ রাখুন। বাসা কিংবা অফিসের টেবিলে চা খাওয়ার ফাকে, অলস বা ব্যস্ততার সময় কেউ পাতা উল্টিয়ে দেখবে, দুই তিন পাতা পড়বে, এবং হেদায়েত পাবে।
জীবন্ত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখে যেভাবে মানুষ প্রভাবিত হত, তার ইন্তেকালের পরও সিরাত পাঠ করে হেদায়েত পাবে ইনশাআল্লাহ।
(আলহামদুলিল্লাহ আমার বাসায় এবং অফিসে দুই জায়গায় এই সিরাত গ্রন্থটি রেখে দিয়েছি যখনই মন চায় দুই এক পৃষ্ঠা আমি পড়ি। মাঝেমধ্যে পরিবারের সদস্যরা পড়বে. তাদেরকে উৎসাহ দিবেন পড়ার জন্য।)
আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করেন কবুল করেন।
মুহতারাম সাইমুম সাদী

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মুহাব্বাত করা ও তার মুহাব্বাতকে সমস্ত মাখলুকের মহাব্বাতের ওপর প্রাধান্য দেও...
28/09/2023

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মুহাব্বাত করা ও তার মুহাব্বাতকে সমস্ত মাখলুকের মহাব্বাতের ওপর প্রাধান্য দেওয়া ঈমানদার পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ
عن أنس وأبي هريرة رضي الله عنهما مرفوعاً: «لا يُؤْمِنُ أحدُكم حتى أَكُونَ أَحَبَّ إليه مِن وَلَدِه، ووالِدِه، والناس أجمعين».
[صحيح] - [حديث أنس -رضي الله عنه-: متفق عليه. حديث أبي هريرة -رضي الله عنه-: رواه البخاري]

আনাস ও আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা, তার সন্তান ও সব মানুষ অপেক্ষা অধিক প্রিয়পাত্র হই।সহীহ -বুখারী

এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জানিয়েছেন যে, কোনো মুসলিমের ঈমান পরিপূর্ণ হবে না এবং এমন ঈমান অর্জন করতে পারবে না যার দ্বারা সে আযাব ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশ করবে, যতক্ষণ না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুহাব্বত তার পিতা-মাতা এবং সব মানুষের অপেক্ষা অগ্রগামী হবে। তার কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত মানেই হচ্ছে আল্লাহর মুহাব্বত। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে মুবাল্লিগ এবং তাঁর দীনের দিকে আহ্বানকারী। প্রকৃত প্রস্তাবে শরী‘আতের আদেশ পালন ও তার নিষেধসমূহ বর্জন করাই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের মুহাব্বতের সত্যিকার প্রমাণ।

নিশ্চয় আমলসমূহ ঈমানের অন্তর্ভুক্ত। কারণ, মহব্বত হলো অন্তরের আমল। আর যে ব্যক্তির কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা উল্লিখিত বস্তু থেকে অধিক প্রিয় না হবে, তার থেকে ঈমানকে না করা হয়েছে।
ঈমান নেই বললে ইসলাম থেকে বহিষ্কারকে বুঝায় না।
সত্যিকার ঈমানের প্রভাব ঈমানদারের ওপর থাকা চাই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুহাব্বাতকে তার নিজের জান, সন্তান, পিতা মাতা এবং সমস্ত মানুষের ওপর প্রাধান্য দেয়া ওয়াজিব।
জান ও মালসহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য উৎসর্গ হওয়া। কেননা তার মুহাব্বাতকে তোমার জান ও মালের ওপর প্রাধান্য দেওয়া ওয়াজিব।
একজন মানুষের ওপর ওয়াজিব হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে সাহায্য করবে, এ জন্য জান মাল ও সর্ব শক্তি ব্যয় করবে। কারণ, এটি হলো রাসূলের মুহাব্বাতর পূর্ণতা। এ কারণে কতক আহলে ইলম আল্লাহর বাণী সম্পর্কে বলেন, {إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ} “নিশ্চয় তোমাকে ঘৃণাকারীই হলো নির্বংশ।“ অনুরূপভাবে যে তার শরী`আতকে ঘৃণা করে সে অবশ্যই কর্তিত (বিচ্ছিন্ন), তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।
দয়া, সম্মান এবং ইজ্জতের কারণে যে মহাব্বত করা হয় তা বৈধ। কারণ, তিনি সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তার পিতা মাতা ও সন্তান থেকে অধিক প্রিয়“- এতে তাদের জন্য আসল মুহাব্বাত সাব্যস্ত করা হয়েছে। এটি একটি স্বভাবগত মুহাব্বাত; একে কেউ অস্বীকার করতে পারে না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথাকে সমস্ত মানুষের কথার ওপর প্রাধান্য দেওয়া। কারণ, প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে তার অধিক প্রিয় হওয়ার আবশ্যিক বিষয় হচ্ছে, তার কথাকে প্রত্যেকের কথার ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া। এমনকি তোমার জীবনের ওপরও।
আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Nearby media companies