25/05/2024
সংবাদ সম্মেলন
স্থানঃ মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ তারিখঃ ২৪/০৫/২০২৪ বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।
প্রিয় সাংবাদিকগণ,
আজ ২৪শে মে রোজ শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর হিন্দু মহাজোট, যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোটের সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের বিভিন্ন শ্লানঘাট স্থাপনা ও নদীর জল সকল বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি। লিখিত বক্তব্য পাঠ করছি, আমি এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, মহা সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রিয় কমিটি। আজকের সম্মেলনে উপস্থিত আছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি- এডভোকেট প্রদিপ কে. পাল, সভাপতি- এডভোকেট দীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি অভয় কুমার রায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি এডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র দে, সাধারন সম্পাদক- এডভোকেট সন্তু নাথ সাহা সৈকত, মহানগরের সভাপতি- বাবু প্রদীপ রায়, সভাপতি যুব মহাজোট- গৌতম সরকার অপুর, সাধারন সম্পাদক- ইঞ্জি: মৃণাল কান্তি মধু, প্রচার সম্পাদক : রথীন মধু অন্তর , ছাত্র মহাজোট সভাপতি- সজিব কুন্ড তপু, এডভোকেট গৌরঙ্গ নাথ, জতিন্দ্র সাহা, নিরঞ্জন দাস, সন্তু নাথ দে, বিশ্ব নাথ রায়, সদস্য কেন্দ্রিয় কমিটি- খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক- পলাশ চন্দ্র বীর, প্রচার সম্পাদক- সুমন কর্মকার, অর্থ সম্পাদক- স্মৃতি পাল, সভাপতি যুব মহাজোট নারায়ণগঞ্জ জেলা- রবিন সরকার, সাধারন সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা- আকশ ঘোষ, ছাত্র মহাজোট সভাপতি- সুজন দাস, সাধারন সম্পাদক- প্রান কৃষ্ণ ভৌমিক..
প্রিয় সাংবাদিকগণ,
আপনারা অবগত যে ২০১৫ সালে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দে শ্লান উৎসবের দিন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১০ জন তীর্থযাত্রী পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান, আমরা তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা, আত্মার সদগতি ও শান্তি কামনা করছি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
(পাতা-০১)
আপনারা জানেন ও দেখছেন যে, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান এলাকার উন্নয়ন নামে মঠ, মন্দির ও মঠ, মন্দিরে থাকা বিগ্রহ গুলোকে ভেঙ্গে কীভাবে ব্রহ্মপুত্র নদে নিক্ষেপ করা হয় এবং ব্রহ্মপুত্র নদে ঘাট নির্মাণ নামে কতগুলো বিশাল আকৃতির লম্বা লম্বা আর,সি,সি পিলার তৈরী করে রাস্তার পাশে ও নদের তীরে ফেলে রেখেছেন, ফলে বেশ কয়েক বছর যাবত সেখানে সেবা ক্যাম্প স্থাপন করা যাচ্ছে না। স্নান ঘাট কোনো নির্মাণ করা হয় নাই এবং ফেলে রাখা পিলারগুলো সরানো হয়নি। মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব পরিষদ নামে একটি অস্থায়ী কমিটি থাকলেও তাহার নেই কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং সনাতনী সম্প্রদায় সঠিকভাবে তা জানে না। এই কমিটি স্নান উৎসব উপলক্ষ্যে প্রশাসন আর স্থানীয় সাংসদ কে খুশি করার লক্ষ্যে চাউল বরাদ্ধ নিয়ে কৌশলে চাউল বিক্রি করাই তাদের কাজ। উল্লেখ থাকে যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক ডিসি বাবু শ্রী মনোজকান্তি বড়াল'কে খুশি করানোর জন্য মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান এলাকাস্থ প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক দেবী মাতা পাষাণকালী নামক স্নানঘাটটি'র পরিবর্তে মনোজকান্তি বড়াল নামক স্নানঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। যাহা ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করার সামিল। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই যে, অতিস্বত্ত্বর স্নান ঘাটের নাম পরিবর্তন করে ঐতিহাসিক দেবী পাষাণকালী স্নানঘাট নামে রুপান্তর করা হোক। চাটুকারগণ মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসবকে একটি পর্যটনে রুপান্তর করার মত একটি ঘৃনিত কাজে লিপ্ত। যেখানে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব একটি আন্তর্জাতিক তীর্থ ক্ষেত্রে রূপ লাভ করার কথা অথচ তীর্থটিকে বিকৃত করা হচ্ছে দিনের পর দিন। তাছাড়া মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ একটি বিশ্ব বিখ্যাত তীর্থ হিসেবে পরিচিত থাকার পরেও ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার ভগবান পরশুরাম নামে কোনো স্নানঘাট নেই। এই রকম ব্যক্তি নামে আরো স্নান ঘাট আছে, শুধুমাত্র ব্যক্তি বিশেষ'কে খুশি করানোর জন্য। ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেষে শিল্পকারখানা তৈরী করে প্রায় ৭/৮ বছর যাবত ব্রহ্মহ্মপুত্র নদের জলকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে সে বিষয়ে নেই কোনো প্রতিকার।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আপনারা জানেন মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নানের সময় প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তিগণ বিভিন্ন সভা ও মিটিং করা হলেও স্নানে আগত পুণ্যার্থীদের লাঙ্গলবন্দ স্নান এলাকায় আসার বিষয়ে কথা বলা হয়নি, রাস্তাঘাট ঠিক করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশাসনের লোকজন দিয়ে নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে অর্ধেক রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়ে তীর্থযাত্রীদের প্রায় ২ কিলোমিটার হাঁটিয়ে হয়রানি করা হয়। আপনারা অবগত আছেন যে, আগত তীর্থযাত্রীদের মধ্যে বয়স্ক, অসুস্থ্য, নারী ও শিশু থাকে তাদের বিষয়ও বিবেচনা করা হয় না। ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের হয়রানী করা হয় যাতে করে ভবিষ্যতে এখানে স্নান করতে না আসেন।
সাংবাদিক ভাইয়েরা,
(পাতা- তা-০২)
আপনারা অবগত আছেন যে, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান এলাকার উন্নয়ন নামে হিন্দু ধর্মীয় মঠ মন্দিরগুলো ভাঙ্গা হয়েছিল এগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় ২০১৭ এগুলো ভাঙ্গার পর প্রায় ১০ বছর অতিক্রান্ত হলেও অদ্যবধি একটি মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। হিন্দু ধর্মীয় তীর্থক্ষেত্রে হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরী না হলেও অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরী হচ্ছে। লাঙ্গলবন্দ স্নান এলাকায় ভূয়া ও জাল কাগজপত্র সৃজিত করে একটি দুষ্টচক্র ধীরে ধীরে নষ্ট করে দিচ্ছে তীর্থটিকে। যাতে এই তীর্থক্ষেত্রটি ধ্বংস হয়ে যায় বা বিলীন হয়ে যায়। তাই মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল সনাতনী সংগঠন কে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। চট্টগ্রামের চন্দ্রনাথ ও দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরের মত মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ তীর্থক্ষেত্রেও শকুনের দৃষ্টি পরেছে, তাই এই তীর্থক্ষেত্র কে রক্ষায় সকল সনাতনী সম্প্রদায় এগিয়ে আসুন। আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, গেল ২০২৪ সালের অষ্টমী স্নানে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নানে বাংলাদেশ সমাজ সংস্কার সমিতির স্নানঘাটে একটি ৯ বছরের শিশু ডুবে মৃত্যুবরণ করেন, এটি'কে ধামাচাপা দেয়ার লক্ষ্যে স্নান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নামধারী যিনি স্নানঘাটে স্বেচ্ছাসেবক টিম নিয়োগ না করে তার ব্যক্তিগত প্রটোকল সাজিয়ে ১০ জন যুবককে নিয়ে এক সেবা ক্যাম্প থেকে অন্য সেবা ক্যাম্পে ঘুরেছেন। কিন্তু লাঙ্গলবন্দ রাজঘাট ছাড়া আর কোনো স্নানঘাটেই স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিল না বিধায় শিশুটি স্নান করতে তার মায়ের হাত থেকে জলের ঢেউয়ের ধাক্কায় ছুটে পড়ে যায় এবং নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থল আসতে দেরি হলে পড়ে শিশুটি পানিতে তলিয়ে গেলে উদ্ধারকারী টিম শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পানির তল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ উন্নয়নের নামে ১২ শত কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প আছে বলে আমরা বিশেষ সূত্রমতে জানতে পারলাম তারপরও সেটি দু'বার পরিবর্তন হবার পর প্রকল্পটি শেষ পর্যায় একশত চল্লিশ কোটিতে এসে পৌঁছায় যাহা নানাহ ঝটিকামুখী হয়ে অবশেষে তাহার মেয়াদ ৩০ জুন, ২০২৪ খ্রিঃ উত্তীর্ণ হবে। কিন্তু আপনারা সকলেই জানেন ২০২৪ খ্রিঃ জুন মাস আসন্ন, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ উন্নয়ন কাজের আমরা কিছু দেখতে পাচ্ছি না। মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে একটি মন্দিরও হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে কি হবে? উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এখন কেউ কেউ এমনও বলতে শুনছি যে, এখানে এতো মঠ, মন্দির ও আশ্রম দরকার কি। তাহার মানে নানাহ বাহানা দিয়ে মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে। মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নান এলাকা উন্নয়নের নামে তীর্থ স্থানকে নষ্ট করা হয়েছে। তীর্থক্ষেত্রের ভূমি দখল করে কারা? লাঙ্গলবন্দে মন্দির তৈরীতে বাঁধা দিচ্ছে কারা? তাহাদের সকলকে দেশের জনগণ চিনে ও জানেন। সময় ও সুযোগমত সকল তথ্য উপাত্ত জনগণের জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ থাকে যে, রোডস এন্ড হাইওয়ে কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণের ফলে বর্তমান রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত ১২টি মন্দির অধিগ্রহণের আওতায়। কথা হলো লাঙ্গলবন্দ সনাতনীদের ধর্মীয় বিষয়ে কোনো সুদৃষ্টি না দিয়ে তারা রাস্তা সম্প্রসারণ করণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করছে এবং ইতোমধ্যে ৩০ টি অধিগ্রহণ বিল পরিশোধ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে সনাতনীদের ধর্মীয় বিষয়টি কে গুরুত্ব না দিয়ে তারা রাস্তা সম্প্রসারণের মহা পরিকল্পনায় মাতোয়ারায় মত্ত, এহেন ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
প্রশাসন সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আপনাদের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাস নিকট আবেদ বদন জানাচ্ছি যে, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের উন্নয়ন কার্য্যক্রম সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে পুনরায় পরিকল্পনা
করে ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী স্নানঘাট, মন্দির ও চেঞ্জিংরুম এবং রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে নির্দিষ্ট দূরত্ব পা পর কয়েকটি শেড নির্মাণ করে তাতে প্রতিটি শেডে ৫০টি করে শৌচাগার নির্মাণ ও বেশ কিছু যাত্রী নিবাস তৈরীর জোর দাবি জানাচ্ছি। বর্তমান প্রকল্পে যে পরিকল্পনা আনীত হয়েছিল তাহা সনাতনীদের স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি বাস্তবায়ন বা চাহিদা সম্পন্ন না! মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নান এলাকায় যে সমস্ত মঠ
মন্দির ও দেবালয় স্থাপিত দেবদেবীর মূর্তি ভেঙ্গে রাতের অন্ধকারে ব্রহ্মপুত্র নদে নিক্ষেপ করা হয়েছে সে সমস্ত মঠ, মন্দির ও দেবালয় স্থাপিত করে দেবদেবীর মূর্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ তীর্থক্ষেত্রের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার আহবান জানাচ্ছি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সহ সকল সনাতনী সম্প্রদায়ের পক্ষে দাবি জানাচ্ছি যে, অতিশীঘ্রই মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ তীর্থ ক্ষেত্রের উন্নয়ন, ভেঙ্গে ফেলা মঠ, মন্দির, আশ্রম ও দেবালয় দেবদেবীর মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ব্যক্তি নামে তৈরী করা বিভিন্ন স্নানঘাটের নাম পরিবর্তন করে স্নান ঘাটের নাম ভগবানের পরশুরাম ও ভগবান বিষ্ণুর দশ অবতারের নামে করণ করতে হবে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে এই লাঙ্গলবন্দ হিন্দু মুসলিম সকলেই খাবার ও রান্নার কাজে সরাবছর ব্যবহার করত কিন্তু কতক শিল্পকারখানার দূষিত বর্জ্যে আজ তা মারাত্মক দূষণের কবলে। সাধারণজনক সহ সরাবছর যাহাতে ব্রহ্মপুত্র নদের জল দূষণ মুক্ত থাকে সে আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তীর্থক্ষেত্রের সম্পত্তি জাল ও ভূয়া কাগজ সৃজিত করে তৈরীকারী চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি শ্রী শ্রী পাষাণকালী মন্দিরের সম্পত্তি যাহাতে স্পষ্ট আর এস পর্চায় মন্দির উল্লেখ থাকা স্বত্ত্বেও স্থানীয় ভূমি অফিস কিভাবে নামজারির অনুমোদন দেয়। এরকম আরো অনেক সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমরা সমগ্র বাংলাদেশের সনাতনীদের পক্ষে দাবি জানাচ্ছি যে, সরকারীভাবে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নানস্থ সম্পত্তি অধিগ্রহণের মাধ্যমে অধিগ্রহণ করে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে তীর্থক্ষেত্রের সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ মনিটরিং সেন্টার তৈরী করে নিয়মিত মনিটরিং করব। ভবষিতে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ রক্ষায় জাতীয় ও আন্তঝাতিক পর্যায়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পরিশেষে সকল সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক
মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটি