14/04/2024
প্রিয়ব্রত অস্ফুটে বলে উঠলাে, “কি সুন্দর বুক তােমার মণীষা!” আর তােমার এই সােনারকাঠিটাও কম সুন্দর নয় প্রিয়ব্রত, দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে আমার স্বামীরটার থেকে দ্বিগুণ, যেকোনাে মেয়ের কাছে এটা লােভনীয়।
প্রিয়ব্রতর সারা শরীর টান-টান হয়ে উঠেছে। সত্যিকার পুরুষমানুষ। উপযুক্ত শৃঙ্গার আবিষ্কার করতে চায় প্রিয়ব্রত। টের পেয়েছে মণীষার তৃপ্তি-সাধন খুব সহজ নয়। তাই শৃঙ্গারে ওকে অবশ না করলে শুধু সােনারকাঠির স্পর্শে ওর রাগমােচন হবে না। ওর দেহ বেয়ে খানিকটা নামলাে প্রিয়ব্রত মণীষার বুকের অগ্রভাগে মণ্ডলীকার কালাে দাগযুক্ত জায়গায় মুখ রাখলাে, লেহন করলাে বুক, উৎফুল্ল বুকের খানিকটা মাংস দুই পাটির সবগুলাে দাঁত দিয়ে বৃত্তাকারে গ্রহণ করে মৃদু চাপ দিলাে।
এক বুক থেকে প্রিয়ব্রতর মাথাটা তুলে আর এক বুকে আনলাে মণীষা এবং বললাে, এটাকেও একুট দেখাে! মণীষার নিঃশ্বাসে হাল্কা, নাকের পাটা ফুলছে, কথা জড়িয়ে আসছে, কোমল নীচের অংশ আদ্র হচ্ছে। মণীষার নাভিমূলে হাত বুলােলাে প্রিয়ব্রত। একটু একটু করে আরও নিচে উরুসন্ধিতে উত্তাপ অনুভব করলাে, হাতের স্পর্শে দুই উরু প্রসারিত করলাে মণীষা।
আবেগকম্পিত গলায় বললাে, আর পারছিনে। নিতম্ব ওপর দিকে বার বার ঠেলে তুলতে মণীষা ওর ত্রিভুজে বিদ্ধ করাতে চাইছে প্রিয়ব্রতর সােনার কাঠি, দু’হাতে ওর পুরুষকঠিন পশ্চাদভাগ টেনে আনছে নিজের কাকালের দিকে। প্রিয়ব্রত বেশ বুঝতে পারছে মণীষার চোখ মুখ উগ্র সঙ্গমেচ্ছায় বিস্তারিত, স্নায়ুমণ্ডলী উত্তেজিত। উত্তুঙ্গ উত্তেজনার মুহূর্তে দু’হাত মণীষার কোমর জড়িয়ে ধরেচাপ দিয়ে ওকে ওপরের দিকে টানলাে প্রিয়ব্রত, যুক্ত হলাে দেহে দেহে প্রবিষ্ট হলাে মণীষার মধ্যে। মণীষা অধীর আনন্দে বলে উঠলাে, ‘আ’!
কি সুন্দর তােমার ত্রিভুজ মণীষা।
ভাল লাগছে? আরও জোরে…।
কিন্তু প্রিয়ব্রত তাড়াহুড়াে করছে না, দেহে দেহে দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে নিস্ক্রিয় প্রিয়ব্রত আবেশে চোখ বুজে উপভােগ করছে। ওদিকে মণীষা আর স্থির থাকতে পারছে না। কেমন নির্লজ্জের মতাে বললাে, “ওঃ আর একটু, আর একটু…’
এবার সক্রিয় হলাে প্রিয়ব্রত এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই ওর উত্তাপে জারকরস বিন্দু বিন্দু হয়ে ঝরে পড়তে থাকলাে মণীষার দেহের অভ্যন্তরে। দুজনেরই এক সঙ্গে রাগমােচন হলাে। আর অবসন্ন দুটি দেহে ওই অবস্থায় পড়ে রইলাে আরও কিছুক্ষণ। মণীষার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে টয়লেট গিয়ে ঢুকলাে প্রিয়ব্রত, মণীষাও অনুসরণ করলাে ওকে। এ ওর মিলনজনিত সমস্ত ক্লেদ, ময়লা ধুয়ে মুছে সাফ করে দিলাে। টয়লেট থেকে বেরিয়ে এসে প্রিয়ব্রত ঘড়ির দিকে তাকালাে, সাড়ে দশটা। বললাে, ‘তােমার ছেলের ফেরার সময় হয়ে এলাে, এবার যাই।
‘আবার কবে দেখা হবে?’ মণীষার চোখে আকুতির ছায়া পড়ে।
‘আবার দেখা কেন, এই তাে ভালাে, মৃদু হেসে প্রিয়ব্রত বললাে, পথের দেখা পথেই তো শেষ হলে ভালাে হয়, তাই না।
মণীষা ফ্যালফ্যাল করে প্রিয়ব্রতর গমন পথের দিকে তাকিয়ে রইলাে। কি উত্তর দেবে ও? এই মুহূর্তে ওর সারা দেহ-মনে প্রিয়ব্রতর সুখ-স্মৃতি জড়িয়ে আছে, অন্য কথা ভেবে সেটা ও মুছে দিতে চাইলাে না।
(সমাপ্ত)