13/09/2024
নিম্নোক্ত লিখার মধ্যে শিরক্ কথাগুলো কমেন্টে লিখুন!!👉পৃথিবীর কোনো মানুষের-ই পক্ষে কোনো দিনই সম্ভব নয়, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,খাতামুন্ নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, রহমতে আলম, শাফিউল মুজনাবিন, শাফিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা, রসূলুল্লাহ, নবীউল্লাহ, হাবীবুল্লাহ, দোজাহানের বাদশাহ্,তাজেদারে মদিনা, নূর নবী হজরত মুহাম্মদ, আহ্মাদ, হামেদ, মাহ্মুদ, কাসেম, আকেব, ফাতেহ, খাতেম, হাশের, মাহি, দাঈ, সিরাজ, রাশীদ, মুনীর, বাশীর, নাযীর, হাদি, মাহদী, রাসূল, নবী, ত্বা-হ, ইয়াসীন, মুযাম্মিল, মুদ্দাচ্ছির, শাফী, খলীল, কালীম, হাবীব, মুস্তফা, মুরতাজা, মুজতাবা, মুখতার, নাসের, মানসুর, ক্বায়েম, হাফেজ, শহীদ, আদেল, হাকীম, নূর, হুজ্জাত, বুরহান, আবতাহী, মুমেন, মুতী, মুযাক্কের, ওয়ায়েয, আমীন, সাদেক, মুসাদ্দেক, নাতিক, সাহেব, মাক্কী, মাদানী, আরাবী, হাশেমী, তেহামী, হেজাযী, নাযারী, কুরাইশি, মুদারী, উম্মী, আযীয, রাউফ, রাহীম, ইয়াতীম, গণী, জাওয়াদ, ফাত্তাহ, আলেম, তাইয়েব, তাহের, মুতাহহার, খাতীব, ফাসীহ, সাইয়েদ, মুনতাকা, ইমাম, বা-র, মুতাওয়াচ্ছেত, সাবেক, মুতাসাদ্দেক, হাক্ব, মুবীন, আওয়াল, আখের, যাহের, বাতেন, রহমত, মুহাল্লিল, মুহাররিম, আমের, না-হী, শাকুর, কারীব, মুনীব, মুবাল্লিগ, ত্বা-সীন, হা-মীম, আওলা, আব্দুল্লাহ, মুত্তাকী, ইশতিয়াক, ইফতিখার, আফতাব, ই'জায, আশরাফ, ইহতেশাম, আসিফ, ইহসান, আখলাক, ইরশাদ, আজমাল, জ্বাহুক, নিয়ামত, মুবাশশির, নাজির, দায়ি ইলাল্লাহ, সিরাজুম মুনিরা, রাউফুর রহিম, রাহমাতুল-লিল-আলামিন, খাতামুন-নাবিয়্যিন, মাসুম, আন-নাবিয়্যুল উম্মি, সাহিবু খুলুকুল আজিম, কায়িমুন আলাল-হাক, কারিম, মুকাফফা, সাইয়িদু উলদি আদম, হাবিবুল্লাহ, সাদিক, মাসদুক, সাহিবুল মিরাজ, সাইয়িদুল মুরসালিন, সাহিবু কাউসার ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পূরিপূর্ণ প্রসংশা, শান মান, আজমত বর্ণনা করা।
মহান আল্লাহর যত সৃষ্টি আছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে মর্যাদার সৃষ্টি হলেন আল্লাহর প্রিয় হাবিব ﷺ। তার মর্যাদা সম্পর্কে আমরা যতই বলি, যতই লিখি, যতই শুনি তা কখনই শেষ হবে না, পরিপূর্ণ হবে না।
এজন্য কবি বলেন-
খোদা কি আজমত কিয়া হ্যায়, মোহাম্মাদ মোস্তফা জানে
মাকামে মোস্তফা কিয়া হ্যায়, মোহাম্মাদ কা খোদা জানে।’
অর্থাৎ, ‘মহান আল্লাহর বড়ত্ব-মহত্ত্ব শুধু মোহাম্মদই (সা.) ভালো জানেন।
আর মোহাম্মদ (সা.)-এর শান-মানও আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।’
আমাদের মতো স্বল্প জ্ঞানের মানুষের পক্ষে প্রিয় নবীজি হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রকৃত শান-মান বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আর কতটুকুই বা আমরা বলব, তা মূলত মহাসমুদ্রের এক বিন্দু পানির চেয়ে অনেক কমই বলা হবে। তাইতো শেখ সাদি (রহ.) বলেছেন, ‘বাদ আজ খোদা বুজুর্গ, তুই কিচ্ছা মুখতাছার’। অর্থাৎ, ‘হে সরকারে কায়েনাত, আপনার মর্যাদা আর কতটুকুই বলতে পারব, সংক্ষেপে এতটুকই বললাম, আল্লাহর পরেই আপনার স্থান।’
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘একদিন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) এসে বললেন, ‘হে মোহাম্মাদ (সা.)! পূর্ব থেকে পশ্চিম, সমগ্র ভূখণ্ড আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি, কিন্তু আপনার মতো মর্যাদাসম্পন্ন আর কাউকে পাইনি। আপনার সম্মানে আপনার বংশ হাশিমকে এত মর্যাদা দেওয়া হয়েছে যে, হাশিম বংশের পিতার চেয়ে কোনো মর্যাদামণ্ডিত পিতা আমি পৃথিবীর বুকে পাইনি।’ (মাদারিজুন নবুওয়াত)। একদিন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) প্রিয়নবী (সা.)-এর শান ও মান বর্ণনা করছিলেন। তিনি বললেন, ‘আল্লাহতায়ালা অন্য সব নবী (আ.) থেকে হুজুর পাক (সা.)-কে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।’ একজন প্রশ্ন করল, ‘কীভাবে, ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিন।’। ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, ‘অন্যসব নবী (আ.) সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আমি কোনো রসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষাছাড়া প্রেরণ করিনি।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪)। আর হুজুর (সা.) সম্পর্কে বলেছেন, আপনাকে সব মানুষ ও জাতির জন্যই রসুল করে পাঠিয়েছি।’ (সুরা সাবা, আয়াত : ২৮)।
ইমাম আবুল কাসিম ইবনু জুজাই কালবি রহ: যথাযথই বলেছেন : আমার কী সামর্থ্য আছে; আমি সমুদ্র পরিবেষ্টন করব—যে সমুদ্র টইটম্বুর?
আমায় কে সাহায্য করবে তারকারাজি আর কঙ্করমালা গণনা করতে?
আমার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যদি জিহ্বার ন্যায় কথা বলতে শুরু করে, তবুও তার প্রশংসার কিঞ্চিৎ পরিমানও আমি শেষ করতে পারব না।
যদি সমগ্র বিশ্বজগত তাঁর প্রশংসায় কিতাব রচনা করে তবুও জরুরি সামান্য পরিমানও পূর্ণ করতে পারবে না।
ফলে আমি ভয়ে ও আদব রক্ষার্থে, আশংকা ও শ্রদ্ধার্থে নিরবতা অবলম্বন করেছি।
কেননা, অনেক সময় নিরবতাতেও পূর্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়; আবার কথাতে থাকে তিরস্কার।’