11/02/2023
❄️জি আই(GI) কী?
🌐জি আই (GI) হল ভৌগোলিক নির্দেশক চিহ্ন(Geographical Indication) যা কোনো পণ্যের একটি নির্দিষ্ট উৎপত্তিস্থলের কারণে এর খ্যাতি বা গুণাবলী নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। একটি GI তে সাধারণত উৎপত্তিস্থলের নাম (শহর, অঞ্চল বা দেশ) অন্তর্ভুক্ত থাকে। GI এর পূর্ণরূপ হলো: Geographical indication ভৌগোলিক নির্দেশক। জি আই পণ্যের স্বীকৃতি দানকারী প্রতিষ্ঠান হলো WIPO (world intellectual property organization)।
সহজ করে বললে, কোনো একটা দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) পণ্য।
শুধু বাংলাদেশেই উৎপাদিত হয় এমন ১১টি পণ্য আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ (WIPO) থেকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য কোনো দেশে নয়, এই পণ্যগুলো শুধু বাংলাদেশেই উৎপাদন করা সম্ভব।
🌐 বাংলাদেশের জিআই পণ্য
২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিআই পণ্য সর্বমোট ১১ টি। যেমন: জামদানি, ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারীভোগ, কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, বাগদা (চিংড়ি) এবং সর্বশেষ ফজলি আম।
🔹 বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হচ্ছে "জামদানি"। এটির আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (BSCIC)।
নিবন্ধিত হয়: ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫।
সনদ প্রাপ্তি: ১৭ নভেম্বর, ২০১৬।
🔹 দ্বিতীয় ভৌগোলিক নিদের্শক (জিআই) পণ্য হলো "ইলিশ"। এটির আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো: মৎস্য অধিদপ্তর।
নিবন্ধিত হয়: ১৩ নভেম্বর, ২০১৬।
সনদ প্রাপ্তি: ১৭ আগষ্ট, ২০১৭।
🔹 তৃতীয় ভৌগোলিক নিদের্শক (জিআই) পণ্য হলো "চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম"। এটির আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI)।
নিবন্ধিত হয়: ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭।
সনদ প্রাপ্তি: ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯।
🔹 চতুর্থ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য "বিজয়পুরের সাদা মাটি"। এটির আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নেত্রকোনা।
নিবন্ধিত হয়: ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭।
সনদ প্রাপ্তি: ১৭ জুন, ২০২১।
🔹 পঞ্চম ভৌগোলিক নিদের্শক (জিআই) পণ্য "দিনাজপুর কাটারীভোগ"। এটির আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI)।
নিবন্ধিত হয়: ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭।
সনদ প্রাপ্তি: ১৭ জুন, ২০২১।
🔹 ষষ্ঠ ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য 'কালিজিরা'। এটির আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI)।
নিবন্ধিত হয়: ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭।
সনদ প্রাপ্তি: ১৭ জুন, ২০২১।
🔹 সপ্তম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য "রংপুরের শতরঞ্জি"। আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প।
নিবন্ধিত হয়: ১১ জুলাই, ২০১৯।
সনদ প্রাপ্তি: ১৭ জুন, ২০২১।
🔹 অষ্টম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য "রাজশাহী সিল্ক"। আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড (BSDB)।
নিবন্ধিত হয়: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
সনদ প্রাপ্তি: ১৭ জুন, ২০২১।
🔹 নবম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য "ঢাকাই মসলিন"। আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড (BHB)।
নিবন্ধিত হয়: ২ জানুয়ারি, ২০১৮।
সনদ প্রাপ্তি: ১৭ জুন, ২০২১।
🔹 দশম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য "বাগদা চিংড়ি"। আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: মৎস অধিদপ্তর।
নিবন্ধিত হয়: মে, ২০১৯।
সনদ প্রাপ্তি: ২৪ এপ্রিল,২০২২।
🔹 "ফজলি আম" সর্বশেষ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জিআই পণ্য। আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহী।