Choukidar - চৌকিদার

Choukidar - চৌকিদার Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Choukidar - চৌকিদার, News & Media Website, Dhaka.

সকল শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ অংশ নিয়েছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লড়াইয়ে। তারা একই সাথে লড়েছে, প্রার্থনা করেছে ও রক্ত দিয়েছে। আমরা ‘চৌকিদার’ হিসেবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উদ্দীপনা ও মর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

🌍 Webinar: Envisioning Restorative-Transitional Justice in Post-Conflict Bangladesh🇧🇩  🗓 When: Saturday, December 7, 202...
26/11/2024

🌍 Webinar: Envisioning Restorative-Transitional Justice in Post-Conflict Bangladesh🇧🇩

🗓 When: Saturday, December 7, 2024, at 10:00 AM (EST) / 9:00 PM (Dhaka Time)

🔗 Register: https://forms.gle/g2rzQ6fq2d754YHY6

📌 Zoom Link: https://uregina-ca.zoom.us/j/94315164463

🔑 Keynote Speaker:
Dr. Kerry Clamp, Associate Professor of Criminology, University of Nottingham

🌟 Special Guests:
•⁠ ⁠Asaduzzaman Sarder, Assistant Resident Representative, UNDP Bangladesh
•⁠ ⁠Ahmed Samran, Representative from Choukidar

⭐️ Moderator:
Nousheen Sharmila Ritu, University of Warwick, UK

Join us as we explore pathways to peace and reconciliation following the July Massacre in Bangladesh. This webinar will highlight innovative justice frameworks that could shape the future of post-conflict Bangladesh. We would be honoured to have you join this critical conversation.

🌍 Webinar: Envisioning Restorative-Transitional Justice in Post-Conflict Bangladesh 🇧🇩 🗓 When: Sunday, November 17, 2024...
16/11/2024

🌍 Webinar: Envisioning Restorative-Transitional Justice in Post-Conflict Bangladesh 🇧🇩

🗓 When: Sunday, November 17, 2024, at 10:00 AM (EST) / 9:00 PM (Dhaka Time)

🔗 Register: https://forms.gle/g2rzQ6fq2d754YHY6

📌 Zoom Link: https://uregina-ca.zoom.us/j/94315164463

🔑 Keynote Speaker:
Dr. Amr Abdalla, Professor Emeritus, University for Peace (UPEACE)

🌟 Special Guests:
•⁠ ⁠Sharmin Ahmad, Founder and President, One Light Institute
•⁠ ⁠Taj Ibn Munir, Johns Hopkins University
•⁠ ⁠Pushpi Weerakoon, United Nations
•⁠ ⁠Representative from Choukidar

⭐️ Moderator:
Harun Rashid, Kent State University, USA

Join us as we explore pathways to peace and reconciliation following the July Massacre in Bangladesh. This webinar will highlight innovative justice frameworks that could shape the future of post-conflict Bangladesh. We would be honoured to have you join this critical conversation.

Envisioning Restorative-Transitional Justice in Post-Conflict Bangladesh🗓 When: November 10th, 10–11:30 AM (EST) / 9–10:...
07/11/2024

Envisioning Restorative-Transitional Justice in Post-Conflict Bangladesh

🗓 When: November 10th, 10–11:30 AM (EST) / 9–10:30 PM (Dhaka Time)
🔗 Register: https://forms.gle/g2rzQ6fq2d754YHY6
📌 Zoom Link: https://uregina-ca.zoom.us/j/94315164463

🔑 Keynote Speaker:

Dr. Tatsushi Arai, Associate Professor, Peace and Conflict Studies, Kent State University (KSU), Ohio, USA

🌟 Special Guests:
•⁠ ⁠Barrister Shyikh Mahdi, Prosecutor, International Crimes Tribunal, Bangladesh
•⁠ ⁠Representative from Choukidar

⭐️ Moderator: Nousheen Sharmila Ritu, University of Warwick, UK

Join us as we explore pathways to peace and reconciliation following the July Massacre in Bangladesh. This webinar will highlight innovative justice frameworks that could shape the future of post-conflict Bangladesh. We would be honoured to have you join this critical conversation.

জুলাই বিপ্লবের তৃতীয় মাস উদযাপন করতে Choukidar - চৌকিদার সোশ্যাল মিডিয়া আর্কাইভের বেটা সংস্করণ প্রকাশ করছে: julyuprisi...
05/11/2024

জুলাই বিপ্লবের তৃতীয় মাস উদযাপন করতে Choukidar - চৌকিদার সোশ্যাল মিডিয়া আর্কাইভের বেটা সংস্করণ প্রকাশ করছে: julyuprising.org

বিজয়ের ১১ দিনের মধ্যে আমাদের টিম আর্কাইভিং শুরু করে। প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ফেসবুক ও টেলিগ্রামের পোস্টের একটি সুশৃঙ্খলভাবে ট্যাগ সংযোজিত, সম্পূর্ণ সার্চযোগ্য আর্কাইভ তৈরি করেন। আমাদের লক্ষ্য ছিল তথ্য সংগ্রহের rigour নিশ্চিত করা, যাতে সাংবাদিক ও গবেষকরা এই ১০০০+ ডাটা পয়েন্টের ডাটাবেসটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষিত তিনজন একাডেমিক মিলে তথ্য সংগ্রহের প্রটোকল তৈরি করেছে, যা snapshot ও systematic data দ্বৈত ক্যাটাগরিতে বিভক্ত।

বিপ্লবের স্মৃতিকে চিরঞ্জীব রাখতে এই ডাটাবেসকে দীর্ঘমেয়াদে আরও কার্যকর করার জন্য আপনার সকল পরামর্শ শুনতে আমরা আগ্রহী। যোগাযোগ করুন choukidar2024 [at] gmail [dot] com

July Uprising Social Media Archive

২৪ বিপ্লবের ওরাল হিস্টোরি নথিভুক্ত করার জন্য 'চৌকিদার' কৌতূহলী, উদ্যমী ও দক্ষ লেখক খুঁজছে। আদর্শ প্রার্থীদের বাংলা ভাষায়...
27/10/2024

২৪ বিপ্লবের ওরাল হিস্টোরি নথিভুক্ত করার জন্য 'চৌকিদার' কৌতূহলী, উদ্যমী ও দক্ষ লেখক খুঁজছে। আদর্শ প্রার্থীদের বাংলা ভাষায় চমৎকার লিখিত ও কথ্য দক্ষতা থাকতে হবে এবং লিখিত গল্প বলার ক্ষেত্রে প্রমাণিত সাফল্য থাকা আবশ্যক। কোয়ালিটেটিভ সাক্ষাৎকার নেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। যদি সময়মতো উচ্চমানের কাজ প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ লেখক হন, দ্রুত আপনার সিভি এবং একটি বাংলা লেখা (যা সামাজিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় পূর্বে প্রকাশিত - আমাদের সাথে লিংক বা স্ক্রিনশট শেয়ার করতে ভুলবেন না) [email protected]এ ইমেইল করুন। আবেদনের শেষ সময়: অক্টোবর ৩১, রাত ১২টা

Join us for an expert-led webinar on Envisioning Restorative-Transitional Justice Approaches in Post-Conflict Bangladesh...
18/10/2024

Join us for an expert-led webinar on Envisioning Restorative-Transitional Justice Approaches in Post-Conflict Bangladesh

When: October 18 at 10 - 11:30 am (EST) / 8 - 9:30 pm (Dhaka Time)
Zoom link to join: https://uregina-ca.zoom.us/j/95152641360

Speakers:

•⁠ ⁠Carl Stauffer, United States Institute of Peace (USIP)
•⁠ ⁠Sebastiaan Verelest, Office of the UN High Commissioner for Human Rights (UN OHCHR)
•⁠ Choukidar representative who was an organiser and activist during the student movement

The discussion will explore pathways for peace and reconciliation following the July Massacre, focusing on innovative justice frameworks that could shape the future of post-conflict Bangladesh.

We would be honoured to have you join us for this critical conversation.

"এ যেন আন্দোলন না, যুদ্ধক্ষেত্র - ফ্রন্টলাইনের সৈন্যরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পিছনে ফিরে আসছে, এবং তাদের শূণ্যস্থান পূরন করতে প...
26/09/2024

"এ যেন আন্দোলন না, যুদ্ধক্ষেত্র - ফ্রন্টলাইনের সৈন্যরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পিছনে ফিরে আসছে, এবং তাদের শূণ্যস্থান পূরন করতে পরের সারির সৈন্যরা অবিলম্বে এগিয়ে আসছে।"

"১৬ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগের হামলার পর আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আর ঘরে থাকতে পারিনি৷ পরের দিনই আমার এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে ও আর ওর হাজব্যান্ডের সাথে আন্দোলনে নেমে পড়ি। ১৮ তারিখ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে উত্তরা বিএনস সেন্টারের দিকে রওনা দিই। আমি একটা রিক্সা নিয়ে তখন বিএনএস সেন্টারের কাছাকাছি গিয়ে দেখি পুলিশ অনবরত টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ছে শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে। সংঘর্ষস্থল থেকে একের পর এক শিক্ষার্থী আহত হয়ে আসছিল। আমার বন্ধুর হাজব্যান্ড টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে।"

"প্রথম প্রথম রিক্সওয়ালারা সামনে এগোতে সাহস পাচ্ছিল না। কিন্তু সময়ের সাথে তারাও ঝুঁকি নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ বাংলাদেশ মেডিকেলে দিয়ে আসে। ক্রমশই আহতের সংখ্যা বাড়ে। আন্দোলন যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র ছিল যেখানে বারবার ফ্রন্ট লাইনের সৈন্যরা এগিয়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পিছাচ্ছে, এবং বারবার পরের সারির সৈন্যরা অবিলম্বে তাদের শূন্যস্থান পূরণ করে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষও আমাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে। কেউ খাবার পানি দিয়ে যায়, কেউ দোকানে টাকা দেয়। আবার আশপাশের ওয়াইফাইগুলোও ফ্রি করে দেয়। যে যেভাবে পারছিল সাহায্য করছিল।"

"দুপুর ১টা-২টা পর্যন্ত রাবার বুলেট আর টিয়ারশেল ছুঁড়লেও, এরপর পুলিশ ভারী বুলেট ব্যবহার করে। গুলির আওয়াজও পরিবর্তন হয়ে যায় তখন। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে বিকাল ৩-৪ টার ভেতরে ৪-৫ টা লাশ চলে আসে। একটা লাশ দেখলাম গুলিতে যার কাঁধের একটা অংশের মাংস উড়ে গেছে। পরিষ্কার বুঝলাম এটা রাবার বুলেটের ক্ষত না, পুলিশ নির্বিচারে ভারী অস্ত্রই ব্যবহার করছে। একজনের লাশ ছিল রিক্সাওয়ালা বা কোনো শ্রমজীবী মানুষের। আরও একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা হলে, শেষমেশ ওকে বাঁচানো যায়নি। আমরা ধারণা করেনি পুলিশ আন্দোলন দমনে এতো নৃশংস ও নিষ্ঠুর হতে পারে।"

আবদুল্লাহ আল তানজির
ঘটনা - ১৮ জুলাই, উত্তরা বি.ন.স

"যথারীতি খতিব সাহেবকে পাওয়া গেলে এরেস্ট করা হবে বলে পুলিশ ঘোষণা দিয়ে দেয়।""তখন ভোলা কলেজের আশপাশের সব বাসাতেই পুলিশ রেইড...
23/09/2024

"যথারীতি খতিব সাহেবকে পাওয়া গেলে এরেস্ট করা হবে বলে পুলিশ ঘোষণা দিয়ে দেয়।"

"তখন ভোলা কলেজের আশপাশের সব বাসাতেই পুলিশ রেইড দিচ্ছিলো আর আন্দোলনকারী সন্দেহ হলে, টর্চার করতে, কলেজের প্রাঙ্গণেই ধরে নিয়ে যাচ্ছিলো। আমার বাসার সাথে একটা কোচিং সেন্টার চালাই। সেখানে বেশ কিছু ছেলে-মেয়েকে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় দেই যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেয়ায় গুরুতর হুমকির সম্মুখীন ছিল। তবে ব্যাপক ধরপাকড়ের কারণে আমি নিজেও খুব ভীতসন্ত্রস্ত ছিলাম। ১৯ জুলাই শুক্রবারের সেই কঠিন সময়ে, খতিব হাবিবুর রহমান বায়েজিদের জুম্মার সাহসী খুৎবা আমার মনোবল বাড়িয়ে দেয় - তিনি মুসুল্লিদের উদ্ধুদ্ধ করেছিলেন ন্যায়ের পক্ষে রাস্তায় নামার জন্য।"

"যথারীতি খতিব সাহেবকে পাওয়া গেলে এরেস্ট করা হবে বলে পুলিশ ঘোষণা দিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পুলিশের প্রকাশ্য হুমকি উপেক্ষা করে ২৬ জুলাই জুম্মায়ও উপস্থিত ছিলেন। সেই খুৎবায় তিনি বাংলাদেশের গণহত্যার প্রেক্ষাপটে কারবালার ঘটনা আলোচনা করেন। মসজিদ কমিটিও ঘোষণা করেছিল যে খতিবকে আটক করলে ভোলাতে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

"পরের জুম্মায় অবশ্য খতিব সাহেব বাসস্ট্যান্ড মসজিদে আসননি। জানতে পারি তিনি মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী বোরহানউদ্দিন মসজিদে জ্বালাময়ী খুৎবা দেন সেদিন। তিনি ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন এবং সেখানকার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। এমনকি যখন তার বাসার প্রধান ফটকে দুর্বৃত্তরা অবস্থান নেয়, তখনও তিনি নিজ অবস্থানে অনড় ছিলেন। এমন অনন্য সাহসিকতা ও ঐক্যের দৃষ্টান্ত আমাকে আরো অভয় দিয়েছিলো ছাত্রদেরকে সরাসরি সাহায্য করে যেতে।"

মোঃ তায়েব হোসেন (রনি)
ঘটনা - ১৯ জুলাই- ০২ আগস্ট, ভোলা, বরিশাল

18/09/2024

"ছাত্রলীগ আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গভীর কোপ মারে।"

কোপা আমেরিকার ফাইনাল দেখতে গিয়ে ১৫ তারিখ আন্দোলনে লেটে আসি। তবে যোগদানের ঠিক দশ মিনিটের মাথায়ই তিন দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ আক্রমণ করে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের তারা জঘন্যভাবে পেটায়। দৌড়ে পালাতে গিয়ে, অসংখ্য শিক্ষার্থীর সাথে, আমিও একটা গলিতে আটকা পড়ি। আক্রমণকারীরা আমাকে এলোপাথাড়ি মারে - মিনিমাম ২০-৩০টা লাঠির আঘাত লাগে। মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়েও গভীর কোপ মারে। মারের চোটে এক পর্যায়ে সেন্সলেস হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। যখন সেন্স ফিরে পাই, উঠে দৌড়াই, তবে মাথা থেকে প্রচন্ড বেগে রক্ত বের হওয়ায় অল্প কিছুদূর গিয়েই বসে পড়ি। কেউ একজন আমার মাথা বেঁধে রিক্সায় করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়। পৌঁছে দেখি সেখানে দুই-তিনশ আহত শিক্ষার্থী পড়ে আছে।

আমাকে রক্ষাকারী সহৃদয় ভাইটি হঠাৎ খবর পান ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হাসপাতালেও হামলা করতে আসছে। যেহেতু আমি প্রচন্ড আহত, দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন, আমাকে তাৎক্ষনিক একটা ক্লিনিকে নেয়। সেখানেও চিকিৎসা মিলছিল না, কারণ আমার মার খাওয়া নাকি পুলিশ কেইস! এই ধরনের রোগেীর চিকিৎসা করলে হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন ধরে টান দেয় সরকার!! কী যে অসহায় লাগছিল... বোঝাতে পারব না।

সেদিন শত অনুরোধের পরে চিকিৎসা পাই। ডাক্তার বলেছিল তিনদিন পরপর ড্রেসিং লাগবে, কিন্তু আমি আসলে ড্রেসিং-এ যেতে ভয় পাই, কারণ মোড়ে মোড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চেক করত। আন্দোলনকারী সন্দেহ হলে মারত। আমার মাথায় ব্যান্ডেজ থাকায় পরিচয় লুকানো কঠিন ছিল তাই বড় চাদর পেঁচিয়ে যেতাম। তাও পুরো আন্দোলনের সময়ে আতঙ্কিত ছিলাম কারণ পুলিশ বাসায় বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কাউকে আন্দোলনকারী মনে হলেই ধরে নিয়ে যেত। মাথার এত বড় ব্যান্ডেজ কিভাবে লুকাবো ভেবে কুল পেতাম না।

মাহমুদুল হাসান রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঘটনা - ১৫ জুলাই, বেলা তিনটা, ঢাবি

সকল শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ অংশ নিয়েছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লড়াইয়ে। তারা

16/09/2024

'কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ওরা জিজ্ঞেস করে, "তোমার ইচ্ছা কী?"'

প্রায় ১ সপ্তাহ বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকার পর, জুলাইয়ের ২৮ তারিখ পুলিশ আমাকে বাসা থেকে ধরে, থানা হয়ে, মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরেরদিন আমাকে একটা গাড়িতে উঠিয়ে সোজা কপালে লোড করা পিস্তল ধরে। আমি শান্ত ছিলাম, ভয় পাইনাই। শুধু চিন্তা হচ্ছিল বাবার জন্য।

এর আগেই কয়েক দফায় আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় আর বিরক্তিকর একঘেয়ে প্রশ্ন বারবার। একটা ছিল আন্দোলনে নেমেছি কেন? "আন্দোলনে নামসি কারণ রংপুরের সাঈদকে, ফেনীর শান্তকে গুলি করে মারা হইছে। গুলি করে আহত করা হইছে শতশত স্টুডেন্টকে।" এই সহজ কথা ওরা মানতে চায় না।

এক পর্যায়ে ভাবলাম আমাকে ক্রসফায়ারে দিবে। কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে জিজ্ঞেস করে, "তোমার ইচ্ছা কী?" আমি চুপ ছিলাম। খুব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আর হাস্যকর বিষয়ে আফসোস হচ্ছিল। যেমন, এক বন্ধুকে বার্গার না খাওয়ানোর আফসোস; পালিয়ে থাকা কালে এক বড় ভাইয়ের দেয়া প্যান্ট ফেরত দিতে না পারার আফসোস। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে মানুষ আসলে কী ভাবে? শুনেছি কোন এক আসামীকে ফাঁসি দেয়ার আগ মুহূর্তে তিন মিনিট সময় দেয়া হলে, সে নাকি তার পুরো জীবনকে দেখে ছিল। আমি এত পারি নাই।

আমাকে অবশ্য তখন মেরে ফেলেনি, বরং ডিবি কার্যালয় থেকে আমাকে নেয় কেরানীগঞ্জ কারাগারে। পৌঁছে দেখি বাবাকেও ধরে এনেছে। বাবা থাকত পদ্মায়, আমি মেঘনায়। শুধু বাবার না, সেখানে আরও খোঁজ পেয়েছিলাম আমার নানার এক বন্ধুকে, ফাহাদ ভাইকে, আমাদেরই মতো আরেক বাবা-ছেলেকে, সদ্য বিয়ে হওয়া এবং বিয়ে পেছানো দুই বরকে।

জেলে খাতা-কলম ম্যানেজ করে লিখেছিলাম অনেক কিছু। ভেবেছিলাম ১৫ আগস্ট কিছু না কিছু হবে। ছাত্ররা নিশ্চয়ই সেদিন কিছু একটা করবে। ৫ তারিখ বিজয়ের খবর পেলাম বেলা তিনটার দিকে। খবর শুনেই কিছু কয়েদী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে, কিছু কয়েদী নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। সেদিন রাত দুইটা পর্যন্ত সবাই গান গেয়েছিলাম। ৬ তারিখ রাত বারোটায় খবর এলো আমাদের খালাস দিবে। জেল থেকে বের হই একটার দিকে আর রাত দেড়টায় আমি আমার বাবার সাক্ষাৎ পাই।

আহমেদ সামরান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
ঘটনা - ২৮ জুলাই, উত্তরা

সকল শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ অংশ নিয়েছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লড়াইয়ে। তারা

"পোলাটা মা বইলা চিৎকার দিসিলো, কিন্তু ডাকটা শেষ করতে পারে নাই""১৯ তারিখ বাসা থেকে বের হব কি হব না দুশ্চিন্তায় ছিলাম। একে...
09/09/2024

"পোলাটা মা বইলা চিৎকার দিসিলো, কিন্তু ডাকটা শেষ করতে পারে নাই"

"১৯ তারিখ বাসা থেকে বের হব কি হব না দুশ্চিন্তায় ছিলাম। একে তো ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউটে হঠাৎ সব যোগাযোগ বন্ধ তার ওপর যেহেতু জুমাবার ছিল, আশংকা হচ্ছিল বড় কিছু হতে পারে। নামাজের পর শুনলাম গুলিস্তান, বাইতুল মোকাররম, প্রেস ক্লাব, ফকিরাপুলে সংঘর্ষ চলছে - তখন ঘরে বসে থাকতে অপরাধীই লাগছিল। আগের দিন শান্তিনগরে গোলাগুলিতে পড়ে দৌড়াতে গিয়ে পা মচকে গিয়েছিল। তাই পায়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ জড়িয়ে, কেডস পড়ে, কোনোভাবে তৈরী হলাম। সাথে ক্যামেরা আর হেলমেট নিলাম কেননা ধাওয়া খেলে এই পা নিয়ে পালাতে পারব না।"

"রিক্সায় গেলাম ফকিরাপুল। দেখি আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে, ওদিকে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি আর টিয়ারশেল ছুড়ছে। রাস্তায় খুব কমই সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেখলাম, বেশীরভাগ লোকই ছিল ফকিরাপুল, আরামবাগ ও আশেপাশের এলাকার প্রেসের শ্রমিক। হাঁটতে হাঁটতে ফকিরাপুল পানির ট্যাংকির দিকে গেলাম। হাতে ক্যামেরা দেখে হঠাৎ কিছু মানুষ হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসল। সাংবাদিক ভেবে একজন কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বলল, “আপনি এতক্ষণ পরে আসলেন! পাশের গলিতেই পুলিশ একজনের মাথায় বন্দুক ঠেকায় গুলি মারল। পোলাটা মা বইলা চিৎকার দিসিলো, কিন্তু ডাকটা শেষ করতে পারে নাই, তার আগেই গুলি। লাশটা পাশের গলিতেই পইড়া আছে। প্লিজ এডা নিউজে আইনেন, সরকার কিছুই দেখাইতেছে না“ – তখন হঠাৎ আবার টিয়ারশেল পড়া শুরু হলে, সবাই যে যার মত ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। উল্টো দিকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ছুটতে ছুটতে একবার ভাবলাম পাশের গলিতে গিয়ে দেখে আসব কিনা। মনটা কেঁদে উঠল, শরীরে শক্তি পেলাম না। ওদিকে ফোনে মা কল দিচ্ছে, ধরতে পারছি না, বারবর মনে ভাসতেছে একটা ডাক ”মাআআআ___”। একটা অসম্পূর্ন ডাক যেটা আর শেষ হতে পারে না, তার আগেই চিরতরে শেষ হয়ে যায়। যে মুখটা আর কোনো দিনই মা ডাকবেনা, সেই না দেখা মুখটা আমার কল্পনায় ভাসে।“

আম্মার বিন আসাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ঘটনা - ১৯ জুলাই, দুপুর আড়াইটা-তিনটা, ফকিরাপুল

08/09/2024

"আন্দোলনে এক দিকে যেমন ছিল নৃশংসতা, অন্যদিকে ছিল আপামর জনসাধারণের অসীম ভালোবাসা। ১৮ তারিখে হঠাৎই পুলিশ ও ছাত্রলীগ রাবার বুলেট ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসলে, আমার এক চোখে রাবার স্প্লিন্টারের আঘাত লাগে। ব্যথার মাত্রা এতো বেশি ছিলো যে খানিকক্ষণ আমি কিছুই অনুভব করতে পারছিলাম না, কিছুই দেখতে পারছিলাম না।"

"চোখের স্প্লিন্টার বের করার পর ডাক্তারকে ফি দিতে চাইলে তিনি বলেন উনারা আমাদের সাথে নামতে পারছেন না ঠিকই, কিন্তু ফি দিয়ে যাতে লজ্জিত না করি! এরপর এক অপরিচিত ভাই নিজেই দৌড়ে সব ঔষধ কিনে নিয়ে আসেন - শত অনুরোধ সত্ত্বেও কোন টাকা দিতে দেননি। ঘন্টাখানেক বিশ্রাম শেষে, আমি আবারো উত্তরার বি.এন.এস. সেন্টারে আন্দোলনে যাচ্ছিলাম। মাঝপথে এক আখের রস বিক্রেতা আমার রিকশাকে থামান - উনিও বিনামূল্যে আখের রস না খাইয়ে কোনোক্রমেই ছাড়বেন না! কেমন এক অদ্ভুত সুন্দর আন্তরিকতা। একই ভাবে পুরো আন্দোলনের একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা হচ্ছে একটা দিনও আমি খাবারের অভাব দেখিনি। এই অনুভূতিটা মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব না। প্রতিদিন মায়েরা-বোনেরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার দিয়েছেন। যার বাসায় একটা ফল ছিলো, সে সেটাই দিয়েছেন।"

"এটা খুবই দুঃখজনক ও বিব্রতকর যে এক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মহল আন্দোলনেকে একক দল বা শ্রেণীর বলে প্রচার করছে। কিন্তু আন্দোলন আমাদের সবার; সব শ্রেণী পেশার মানুষ আমরা এক কাতারে নেমে এসেছিলাম দেশের টানে। সেই আখের রস বিক্রেতা, সেই ওষুধ কিনে দেয়া অপরিচিত ভাই বা বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া ডাক্তার, কেউ আমরা কারও দলীয় পরিচয় বা মতাদর্শ জানতাম না। এই জাতীয় ঐক্যকে যদি আমরা কোনো মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে হারিয়ে ফেলি, তবে সামনের দিনগুলোতে দেশের স্বার্থে আবারো পুরো জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়া সংকটময় হয়ে পড়বে।"

(আলহামদুলিল্লাহ, এখন মিনহাজের চোখ ৯০% সুস্থ।)

আবদুল্লাহ আল মিনহাজ, ঢাবি আলামনাস
ঘটনা- ১৮ জুলাই, বেলা ১১ টা থেকে ১২ টার মাঝে, উত্তরা বি.এন.এস. সেন্টার, ঢাকা

সকল শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ অংশ নিয়েছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লড়াইয়ে। তারা

“তখন আল্লাহকে ডাকছিলাম, 'আল্লাহ এখান থেকে বের হব কীভাবে।'”"১৫ তারিখ সমাবেশ ছিল রাজুতে। তার আগের রাতে শেখ হাসিনার বক্তব্য...
07/09/2024

“তখন আল্লাহকে ডাকছিলাম, 'আল্লাহ এখান থেকে বের হব কীভাবে।'”

"১৫ তারিখ সমাবেশ ছিল রাজুতে। তার আগের রাতে শেখ হাসিনার বক্তব্যের বিরুদ্ধে “আমি কে তুমি কে, রাজাকার রাজাকার” স্লোগানে মিছিল করায় আমরা ভাল ভাবেই সরকারের সরাসরি চক্ষুশূল হয়ে পড়েছি। তাই অবাক হইনি খবর পেয়ে যে ছাত্রলীগের বাঁধায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল থেকে সমাবেশে আসতে পারছেনা। তাদের সাহায্য করতে হল পাড়ায় মিছিল নিয়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগ প্রথমে বিচ্ছিন্নভাবে আমাদের উপর ইট পাটকেল ছুঁড়ে এবং পরে ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও টোকাই বাহিনী দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় দিশেহারা হয়ে আমি দৌড়ে একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিই, কিন্তু এত ইটের মুখে আমি সেখানে থাকতে পারিনি। ছুটে মল চত্বরে গিয়ে দেখি একটা আপু সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে। তবে প্রবল ধাওয়ায় সেখানেও দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না।"

"আমরা অনেকেই তখন ভিসি চত্বরে গেলাম। লাঠি, হকিস্টিক, রডসহ দেশীয় অস্ত্রধারী গুন্ডাদের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র আমরা কোথাওই পালানোর সুযোগ পাচ্ছিলাম না। রাস্তার পাশে তখন ভার্সিটির দুটো দোতলা বাস পার্ক করা ছিল, আমরা কয়েকজন মেয়ে সেটার আড়ালে আশ্রয় নিই। ছাত্রলীগাররা সেখানেই আমাদের বাঁশ, লাঠি ও রড দিয়ে নির্বিচারে মারতে থাকে। মারার সময় ওরা মাথা টার্গেট করে মারে। চারদিকে তখন শুধু আর্তচিৎকার আর কান্নার শব্দ।"

"কিছু ভাইয়ারা দুহাত দিয়ে আমাদের আঘাত থেকে আড়াল করে রাখছিলেন, তাতে তাদের উপরও সমানে আঘাত পড়ছিল। মুহুর্মুহু ইট আসছিল এবং বাসের গ্লাসগুলো ভেঙে যাচ্ছিল - আমি অনবরত আল্লাহকে ডাকছিলাম, 'আল্লাহ এখান থেকে বের হব কীভাবে।' এরপর মারামারি একটু ধীর হলে আমি দৌড়ে নীলক্ষেতের আবাসিক কোয়ার্টারের ভেতরে আশ্রয় নিয়ে কান্নায় ভেঙেচুড়ে পড়লাম। আমার হাত-পা শুধুই কাঁপছিল, কোনোভাবেই নিজেকে স্বাভাবিক করতে পারছিলাম না।“

মিতু আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঘটনা - ১৫ জুলাই দুপুর, ঢাবি ক্যাম্পাস

ফটো: আমার সংবাদ।

“১৯ তারিখ জুমার নামাজের পর মোহাম্মদপুর এলাকায় বড় রকম একটা প্রতিরোধ জমায়েত তৈরী হয় যাদের লক্ষ্য করে পুলিশ আর লীগের সন্ত্র...
06/09/2024

“১৯ তারিখ জুমার নামাজের পর মোহাম্মদপুর এলাকায় বড় রকম একটা প্রতিরোধ জমায়েত তৈরী হয় যাদের লক্ষ্য করে পুলিশ আর লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়তে থাকে। ফলত বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষ আশেপাশের এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। আমার বাসা মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি; আমি জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম সেসব।“

“সংঘর্ষের একসময় দেখলাম আন্দোলনকারীদের একটি দল প্রাণ বাঁচাতে আমাদের গলিতে ঢুকেছে এবং আমাদের বিল্ডিঙয়ের গেটের কোণায় আশ্রয় নিয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেখানে একদল পুলিশ এসে মানুষের জটলার ভেতর জিরো ডিসট্যান্স থেকে একজনের শরীর লক্ষ্য করে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করল। অন্যরা সাথে সাথে এদিক ওদিক পালিয়ে যেতে পারলেও গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ সেখানে পড়ে থাকে। পরে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ লাশটি নিয়ে যায়। গেটের ১০০ গজের মধ্যে আরও একজন সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এই ঘটনার পর অনেকদিন চলে গেছে। সেদিনের কোনো রক্তের চিহ্নও আর অবশিষ্ট নেই। শুধু এক খাঁ খাঁ করা বীভৎস শূন্যতা, যেই শূন্যতার ভেতর আমি নিহতের কথা ভুলতে পারি না।“

**ঘটনাটির সিসি টিভি ভিডিও লিঙ্ক কমেন্টে দেয়া হল

মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী
ঘটনা - ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর, মোহাম্মদপুর

Photo: Zabir Ibn Ali

"আইডি কার্ড আছে না তোর? তার মানে তুই স্টুডেন্ট"“সেদিনের মত আন্দোলন শেষে সিএনজিতে করে বাসায় ফিরছি, হাতে মেডিকেল রিপোর্ট। ...
05/09/2024

"আইডি কার্ড আছে না তোর? তার মানে তুই স্টুডেন্ট"

“সেদিনের মত আন্দোলন শেষে সিএনজিতে করে বাসায় ফিরছি, হাতে মেডিকেল রিপোর্ট। রিপোর্টটা কিছুক্ষণ আগেই হাসপাতালে একজন নার্স ধরিয়ে দিয়েছেন৷ আমরা মিরপুর ১০ এ আহতদের নিয়ে আশেপাশের হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছিলাম। বলা বাহুল্য, হাসপাতালও এটাক থেকে রক্ষা পাচ্ছিলো না। ডেলটা হাসপাতালে তখন ভাঙচুর চলছে, আমি ১১ নম্বরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছি এমন সময় নার্সের এপ্রোন পরা এক আপু আমাকে হাতে রিপোর্টটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “আপনারা যে স্টুডেন্ট বলবেন না। এটা সাথে রাখেন, রাস্তায় জিজ্ঞেস করলে বলবেন আত্মীয়কে দেখতে এসেছেন।“

“সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের কাছে এসে হঠাৎ হট্টগোল শুনলাম - লীগের গুন্ডারা একটা যাত্রিবাহী লেগুনা থামিয়ে চেক করছে। একটা বাক্য স্পষ্ট কানে আসল, “আইডি কার্ড আছে, আইডি কার্ড আছে না তোর? তার মানে তুই স্টুডেন্ট।” কিছু বোঝার আগেই আমার সিএনজিটাকেও থামানো হল৷ সামনে দেখি স্কুল বা কলেজের ড্রেস পরা একটা ছেলের দেহ লেগুনার আড়াল থেকে তারা টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। ছেলেটার সাদা শার্টটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে, ওর দেহটা একটুও নড়ছেনা৷ ওদিকে কিছু দূরেই দাঁড়ি-টুপি ওয়ালা এক ব্যক্তিকে 'হুজুর', 'জামাত', ইত্যাদি বলে নির্দয়ভাবে মারছিল গুন্ডারা৷ সব কিছু খুব দ্রুত হচ্ছিল, আমার শরীর হিম হয়ে যাচ্ছিল৷ আমার সম্ভিত ফিরল একটা ডাকে, “আপনি কি স্টুডেন্ট?” মনে পড়ল আমার গলায় তো কিছু ঝুলানো নেই, আইডি কার্ডটা এক বন্ধুর কাছে রয়ে গেছে। আমি স্বয়ংক্রিয়ের মত মেডিকেল রিপোর্টটা দেখালাম। ওরা আমাকে ছেড়ে দিল।“

“আইডি কার্ডটা থাকলে কী হতো, কিংবা নার্স যদি নকল রিপোর্টটা না দিতেন, বা ঐ ছেলেটার কী হলো শেষমেশ? বেঁচে আছে কি আদৌ? বা মারা গেলে তার পরিবার কি জানতে পেরেছে তার খবর? শুনেছি শত শত পরিবার আপনজনদের এখনও খুঁজে পাচ্ছে না৷ ছেলেটা তাদের দলে নেই তো? এতদিন পরেও এই অনিশ্চয়তা আমার মনকে তাড়িয়ে বেড়ায়৷“

তানিয়া আক্তার, গ্রীন ইউনিভার্সিটি
ঘটনা - ১৮ জুলাই, সন্ধ্যা, মোহাম্মদপুর শেখেরটেক, সুচনা কমিউনিটি সেন্টারের কাছে।

Photo: Tania Akter

04/09/2024

জুলাই এর গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অন্যন্য অধ্যায়। স্বৈরাচারকে রুখে দেয়ার এ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে সকল শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ। শোষকের বিরুদ্ধে তারা একই সাথে লড়েছে, প্রার্থনা করেছে ও রক্ত দিয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের অংশিদার আমরা সবাই, এই অভ্যুত্থান জনমানুষের।

আমরা ‘চৌকিদার’ হিসেবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উদ্দীপনা ও মর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেন আর কোনো সময়ে কোনো অত্যাচারী এদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

গণঅভ্যুত্থানের এক মাস উপলক্ষে সকল শহিদ ও আহতদের স্মরনে এই পেইজটি খোলা হল। আপডেট পেতে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Choukidar - চৌকিদার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share


Other News & Media Websites in Dhaka

Show All