17/07/2022
আজ ১৩ জুলাই প্রখ্যাত বাগ্মী সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর জন্মদিন। তিনি ১৮৮০ সালে সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখা ও বক্তৃতার প্রধান বিষয়বস্ত্ত ছিল বাংলার অনগ্রসর মুসলিম সমাজকে জাগিয়ে তোলা। তিনি একাধারে ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক ও রাজনীতিবিদ। ব্রিটিশদের রোষাণলে পড়ে তাঁকে বহুবারই দীর্ঘমেয়াদে কারাভোগ করতে হয়। ১৯০০ সালে তিনি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ অনল প্রবাহ রচনা করেন, গ্রন্থটি ইংরেজ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী একই সাথে বেশ কিছু সংগঠন ও দলের সদস্য ছিলেন, যেমন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, আঞ্জুমান-ই-উলামা-ই-বাঙ্গালা, জামিয়াত-ই-উলামা-ই-হিন্দ, স্বরাজ পার্টি ও কৃষক সমিতি। শিবলী নোমানী (১৮৫৭-১৯১৪) ও মুহম্মদ ইকবালের (১৮৭৬-১৯৩৮) প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছিল সিরাজীর ওপর। তাঁদের মতো তিনিও অনুভব করেছিলেন যে ধর্মীয় ও সেক্যুলার চিন্তার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে একদিকে যেমন ভারতীয় মুসলমান সম্প্রদায়কে জাগিয়ে তোলা সম্ভব, অন্য দিকে তেমনি সম্ভব অবনতিশীল হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের উন্নয়ন।
ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাব্য গ্রন্থগুলি হচ্ছে অনল প্রবাহ (১৯০০), আকাঙ্ক্ষা (১৯০৬), উচ্ছ্বাস (১৯০৭), উদ্বোধন (১৯০৭), নব উদ্দীপনা (১৯০৭), স্পেন বিজয় কাব্য (১৯১৪), সঙ্গীত সঞ্জীবনী (১৯১৬), প্রেমাঞ্জলি (১৯১৬)। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হচ্ছে রায়নন্দিনী (১৯১৫), তারাবাঈ (১৯১৬), ফিরোজা বেগম (১৯১৮) ও নূরুদ্দীন (১৯১৯)।
উল্লেখ্য যে, তিনি ছিলেন আমার নানী মরহুমা কবি সৈয়দা নূর মহল সিরাজীর পিতা এবং আমার মা মরহুমা জান্নাত মহলের নানা।