অভিযান নিউজ টিভি

অভিযান নিউজ টিভি গভ:রেজি:0133
বিজ্ঞাপন /যোগাযোগ করুনঃ [email protected]
অথবা ফোন করুনঃ 01772-163976
স্বাগতম আপনাকে অভিযান নিউজ টিভিতে।
(2)

বাজারে শীতের পোশাক, ফুটপাতে বিক্রি জমজমাটমোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টার বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানেও চলে এ...
25/11/2024

বাজারে শীতের পোশাক, ফুটপাতে বিক্রি জমজমাট

মোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টার
বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানেও চলে এসেছে শীতের পোশাক। দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। ইতোমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বইছে শীতের হিমেল হাওয়া। খুলনায় শীতের আমেজ এখনও তেমন না থাকলেও শেষ রাতের শীতল আবহাওয়া গায়ে কাঁথা বা চাদর জড়াতে বাধ্য করছে। শীতের সঙ্গে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। দাকোপ উপজেলায় বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানেও চলে এসেছে শীতের পোশাক। সপ্তাহখানেক আগে থেকে বেচাবিক্রিও শুরু হয়েছে। শপিং মলে এখনও তেমন বেচাবিক্রি চোখে না পড়লেও ফুটপাতে শীতের কাপড়ের আগাম বেচাকেনা ভালোই চলছে। ফুটপাতে শীতের কাপড়ের আগাম বেচাকেনা ভালোই চলছে বিকাল থেকে রাত অবধি বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে উঠেছে দাকোপের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দাকোপের বাজুয়াসহ বিভিন্ন বাজারের ফুটপাত ও দোকানে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরাও শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন। শীতের জ্যাকেট, চাদর, গেঞ্জি, হুডি, মাফলার, পুরনো কমফোর্টার, হাতমোজা, কান-টুপিসহ সবধরনের শীতবস্ত্রই মিলছে এসব দোকানে। অনেক দোকানে আবার শুধুই শিশুদের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। বাজুয়া বাজার এলাকায় ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রি করতে এসে হাকমত বলেন, ফুটপাতে কাপড় বিক্রি করেই সংসার চালাই। সামনে শীতের মৌসুম, তাই শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু করেছি। গতবছরের অনেক শীতের কাপড় রয়ে গেছিল। এখন সেগুলো কম দামে বিক্রি করছি। ফুটপাতের অনেক দোকানে শুধু শিশুদের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে এই বিক্রেতা আরও বলেন, এ বছর নতুন করে যেসব কাপড় আসবে সেগুলোর দাম আগের তুলনায় একটু বেশি। এখন সব ১০০ টাকা করে বিক্রি করছি। নতুন কাপড়ের দাম আরেকটু বেশি হবে। পুরনো কাপড় বিক্রি শেষ হয়ে গেলে নতুন কাপড় বিক্রি করবো। গতবারের তুলনায় এবার এক লটে দু'আড়াই হাজার টাকা বেশি দিয়ে কাপড় কিনতে হয়েছে। ফুটপাতে জমজমাট বেচাকেনা জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি। এছাড়াও দাকোপের সকল হাট বাজার এলাকা জুড়ে জমজমাট বিক্রি দেখা গেছে। বাজুয়া খেয়াঘাটের সামনে শিশুদের শীতের পোশাক বিক্রি করছেন শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতের পোশাক পাইকারি হিসেবে বেশি দরে কিনতে হয়েছে। বেচাবিক্রিও মোটামুটি ভালো। শীত বাড়লে বেচাবিক্রি আরও বাড়বে।
ফুটপাত থেকে সন্তানের জন্য শীতবস্ত্র কিনতে এসেছেন রাহিমা আক্তার নামের একজন গৃহিণী। তিনি বলেন, শীত শুরুর আগেই বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক নিয়ে নিচ্ছি। শীত বাড়লে আবার দাম বেড়ে যাবে। তাই আগেভাগেই কিনে ফেলছি। সাতশো টাকার মধ্যে তিন বাচ্চার শীতের পোশাক কিনে ফেলেছি। ফুটপাত থেকে নিজের জন্য সোয়েটার কিনতে আসা ননী নামে একজন ভ্যানচালক বলেন, দিনে শীত না পড়লেও রাতে ভ্যান চালাতে ঠান্ডা লাগে। তাই একটা সোয়েটার কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম চাইছে তিনশ’ টাকা। দুইশ’ টাকা বলছি, কিন্তু দোকানদার কোনোভাবেই দিচ্ছে না।বিক্রেতাদের আশা, শীত বাড়লে বেচাবিক্রি আরও বাড়বে এখনও জমে উঠেনি বেচাকেনা ইতোমধ্যে বড় বড় বিপণিবিতান,শপিং মল ও ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে শীতের পোশাক আসলেও বেচাকেনা এখনও তেমন জমে উঠেনি। বিপণিবিতান ও শপিং মলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নভেম্বরের শুরুতেই শীতের পোশাক চলে এসেছে দোকানে। তবে শীতের পোশাক ক্রয়ে ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ নেই। বাজুয়া চড়ার বাঁধে পোশাক বিক্রেতা দেবাশীষ বলেন, ১৫-২০ দিন আগে শীতের পোশাক দোকানে এসেছে। কিন্তু বেচাকেনা হচ্ছে না। দিনে দুই-চারটা কাস্টমার পাই। তাও দামাদামি করে চলে যায়। গতবছরও বেচাকেনা তেমন ভালো হয়নি। প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল পড়ে ছিল। আশা করছি এবার ভালো বেচাকেনা হবে। বড় বিপণিবিতান বা শপিং মলে বেচাকেনা তেমন দেখা না গেলেও ইজি ফ্যাশনের দোকানে গিয়ে ক্রেতাদের মোটামুটি ভালো উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। শরিফ আহমেদ নামে একজন ক্রেতা বলেন, অন্যান্য জায়গা থেকে চড়া মূল্যে কেনার চেয়ে ব্র্যান্ডের দোকানে একদামে পণ্য কেনাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এখানকার প্রোডাক্টগুলো মানসম্মত। শিমুল নামে ইজি ফ্যাশনের একজন কর্মকর্তা জানান, শো রুমে শীতের পোশাক এসেছে আরও দুই সপ্তাহ আগে। বেচাবিক্রিও হচ্ছে মোটামুটি, তবে এখনও তেমন জমেনি। এখন কেবল অগ্রহায়ণ মাস চলছে। পৌষ মাসের শুরুতে বিক্রি ভালো হয়। তখন ক্রেতাদের চাপে দম ফেলার সুযোগ থাকে না। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই শীতের পোশাক চলে এসেছে। তবে বেচাবিক্রি তেমন না থাকায় অধিকাংশ বিক্রেতা অবসর সময় পার করছেন। দোকানদার লাবনী বলেন, ব্যবসা করতে বরাবরই ধৈর্য দরকার। শীতের পোশাক আনছি, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না। কিন্তু ধৈর্য হারাচ্ছি না। কারণ আমরা জানি, শীত বাড়লে বিক্রি বাড়বে। এখন শীত কম পড়ছে। তাই দামও তুলনামূলক কম। তবে শীত বাড়লে দামও বাড়বে বলে জানান এই বিক্রেতা।

ক্রীড়ামোদী দর্শকের স্বতস্ফূর্ত উচ্ছ্বাসে মাতলো জেলা স্টেডিয়াম: বর্ণাঢ্য আয়োজন ছিলো জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টেমোঃ শামীম হো...
25/11/2024

ক্রীড়ামোদী দর্শকের স্বতস্ফূর্ত উচ্ছ্বাসে মাতলো জেলা স্টেডিয়াম: বর্ণাঢ্য আয়োজন ছিলো জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে

মোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টার
হাত নেড়ে দর্শকদের ভালোবাসা গ্রহণ করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি, জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল হক। রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টা। খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী পর্বের মাহেন্দ্রক্ষণে ঘটে এমনি আনন্দঘন মুহুর্ত। দুই পাশে জার্সি গায়ে উদ্বোধনী ম্যাচে অংশগ্রহণকারী খুলনা বিভাগের লাল ও সবুজ দলের খেলোয়াড়। মাঝে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, দেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি, জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সালমা খাতুন ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল। উদ্বোধনী মঞ্চ অলংকৃত করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু ও সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, খুলনা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিনসহ নেতৃবৃন্দ। বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এসময়ে অতিথির সাথে মঞ্চে ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ঢাকার আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে শহীদ হামিদ শেখের পিতা তেরখাদার পানতিতা গ্রামের জাফর শেখ। শুরুতেই জাসাস খুলনা মহানগর শাখার পরিবেশনায় জাতীয় সঙ্গীত এবং শহীদ জিয়ার উপরে প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শন করে। এসময়ে গ্যালারি থেকে শহীদ জিয়া সম্পর্কিত নানান স্লোগান ভেসে আসে হাজারো দর্শকের কণ্ঠধ্বনি হয় স্টেডিয়াম এলাকা। শুরুতেই টসে জিতে ব্যাট করতে নামেন খুলনা সবুজ দল। খুলনা লাল দলের মনোমুগ্ধকর বলিং আক্রমনের মুখেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৮ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় সবুজ দল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলছিল। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘নাইস টু বি ব্যাক। অনেক অনেক দিন পর খুলনায় এসেছি। খুলনার অনেক ইতিহাস, অনেক স্মৃতি। খুলনাকে ক্রিকেটের আঁতুরঘর বললেও ভুল হবে না। খুলনা অনেক জাতীয় ক্রিকেটারের জন্ম দিয়েছে। আজকের এই টুর্নামেন্টের আয়োজনে আমি খুবই খুশি। এখানে স্পোর্টস প্রমোট করা হবে। আমরা যাঁরা খেলোয়াড়, আমরা সব সময় সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করবো কীভাবে স্পোর্টসকে সঠিকভাবে প্রমোট করা যায়। বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক সাফজয়ী ফুটবলার মোঃ আমিনুল হক বলেন, শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনন্য একটি আয়োজন। যত বেশি টুর্নামেন্ট আয়োজন হবে, তত বেশি ভালো খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে। প্রতিবছর এ টুর্নামেন্টের আয়োজন হবে; ভবিষ্যতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আমরা এ আয়োজনকে ছড়িয়ে দিতে পারবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগেই লাল ও সবুজ নামে দু’টি করে দল নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ১০ ম্যাচের ১০ জয়ী দলের সঙ্গে মূল পর্বে যোগ হবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দল। বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাগুলো বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে হলেও ১৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় মূল পর্ব শুরু হবে। ১৯ জানুয়ারি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি’র সহযোগিতায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বিগত সময়ে ক্ষমতাসীনরা ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন চায়নি। নিজেদের উন্নয়ন ও লুটপাটে ব্যস্ত ছিলেন। এক সময়ে খুলনা থেকে সর্বাধিক খেলোয়াররা অংশ নিলেও এখানে খেলোয়ারদের সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। সর্বক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ করায় ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশ সংস্কারের পাশাপাশি জনগনকে সাথে নিয়ে বিএনপি ক্রীড়াঙ্গণ সংস্কারের কাজ করবে বলে প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেছেন তিনি। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, খুলনার ম্যাচটিকে কেন্দ্র করে খুলনা অঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বতস্ফূর্ত প্রাণচাঞ্চল্যের প্রকাশ পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর এখানকার দর্শকরা জাতীয় দলের সাবেক ও দেশসেরা সব ক্রিকেটারদের সম্মিলন দেখতে পেয়ে খুলনাবাসী ধন্য। ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকার খুলনাসহ দেশের স্টেডিয়ামগুলোকে চরণভুমিতে পরিণত করেছে। সেগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা দেশের তরুণ সমাজের হাতে বল ও ব্যাট না দিয়ে তাদের হাতে মাদক তুলে দিয়েছেন। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও মাদকের অভায়ারণ্যে পরিণত করেছিল। যুব সমাজকে তারা ধব্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল সরিয়ে দিতে হবে। ছাত্র ও যুব সমাজকে খেলাধুলার দিকে ধাবিত করে সুন্দর খেলা উপহার দিয়ে মাদক মুক্ত খুলনা শহর গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।

নিলাম না করেই ডুমুরিয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন বিক্রয়ের অভিযোগ, সরকারী বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎমোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টারখুল...
25/11/2024

নিলাম না করেই ডুমুরিয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন বিক্রয়ের অভিযোগ, সরকারী বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ

মোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টার
খুলনার ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিলাম না করে বিদ্যালয়ের ভবন এবং আসবাবপত্র বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মাসাৎ এবং ভর্তি বানিজ্যসহ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক সালমা রহমান এবং শিক্ষক রতন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা এসকল অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতা থেকে পরিত্রান পেতে চান এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবী জানান। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কিন্তু বর্তমানে তার কর্ম অবহেলা এবং অনিয়মের কারনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্যরা এবং অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দের অর্থ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে আত্মাসাৎ করা হচ্ছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ ভর্তি বানিজ্য হচ্ছে বিদ্যালয়টিতে। এ নিয়ে ডুমুরিয়ার সাধারন মানুষরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। শুধু প্রধান শিক্ষক নন। প্রধান শিক্ষককে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক রতন বিশ্বাস নানান অনিয়মে সহযোগিতা করেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের মাঠের পশ্চিম দিকে একটি বিজ্ঞান ভবন এবং একটি টিনশেড বিল্ডিং প্রধান শিক্ষক সালমা রহমান এবং শিক্ষক রতন বিশ্বাস কোনরূপ নিলাম ছাড়া গোপনে বিক্রয় করেছেন। কিন্তু নিয়ম বিধি মোতাবেক ভবন দুটি কোনরুপ টেন্ডার ছাড়া বিক্রয় যোগ্য নয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিক্রয়কৃত বিজ্ঞান ভবনটি সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। ভবনটি সম্পূর্ন ব্যবহার উপযোগী ছিলো। বিজ্ঞান ভবনের একটি রুমে পদার্থ বিজ্ঞানের ক্লাস ও অন্য রুমে রসায়ন ও জীব বিজ্ঞানের ক্লাস করানো হতো। অন্যদিকে, টিনশেড বিল্ডিংয়ের টিনের ওপরে হালকা মরিচা পড়েছিল এবং দেওয়ালে রং উঠে গিয়েছিল। যার কারণে ওই কক্ষ রুমে ক্লাস নেয়া হতো না। টিনশেড বিল্ডিং ভবনের কক্ষ দুটির একটিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সরকারি বই রাখার জন্য ব্যবহার করতো। অন্য কক্ষটি মেয়েদের কমন রুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নিলাম ছাড়া বিক্রয় করা ভবন দুটির রড ও গ্রিলের বাজার মূল্য প্রায় লক্ষ্য টাকার অধিক। গ্রিল, কলাপসিবল গেট এবং কাঁঠের দরজা উন্নত মানের ছিলো। বিজ্ঞান ভবনের সাথে স্থায়ীভাবে বসানো কাঠের আলমারি এবং টেবিল ছিল। এসকল টেবিলে ব্যবহারিক ক্লাসের রাসায়নিক দ্রব্য রাখা হতো। ব্যবহৃত আলমারি এবং তাকগুলো গোপনে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাপ্ত অর্থ রাজস্ব খাতে জমা না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। স্কুলের বর্তমান মেইন গেটের স্থলে একটি লোহার গেট ছিলো। সেই লোহার গেট বিক্রয় করেও অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। স্কুলে নির্মানাধীন ছয়তলা ভবনের জায়গায় দুটি নারকেল গাছ, চারটি মেহগিনি গাছ, একটি বহুবর্ষী শিরিষ গাছ এবং কয়েকটি আমগাছ ছিলো। এ সকল গাছ কোনো টেন্ডার ছাড়া বিক্রয় করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। অন্য একটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা রহমান ১৯৮৮ সাল থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এবং পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এই স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিন স্কুলে কর্মরত কারনে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা এবং অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। যা নিয়ে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে তৈরী হয়েছে অনাস্থা। স্কুলের সরকারি বরাদ্দের অর্থে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় না করে নকল ভাউচার করে বরাদ্দের টাকা উত্তোলোন করা হয়েছে। স্কুলের ল্যাপটপ এবং দামি দূরবীন যন্ত্র প্রধান শিক্ষক এবং রতন বাবু নিজ বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন। রতন বাবু ২০১৭ সাল থেকে এই স্কুলে কর্মরত আছেন। এছাড়াও ভর্তি বাণিজ্য, ফরম বিক্রির টাকা নিয়ম অনুযায়ী ৫০% শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ভাগ করে দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা কাউকে দেয়া হয়না। স্কুলের প্রশাসনিক কার্যক্রম সরকারি নিয়মে পরিচালিত হয় না। শিক্ষক রতন বিশ্বাস বিদ্যালয়ে না পড়িয়ে নিজের বাসায় কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করেন এবং শিক্ষার্থীদের তার কোচিং সেন্টারে পড়ার জন্য নানান কৌশলে চাঁপ প্রয়োগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে এখন কোন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতি নেই। একচ্ছত্র স্বেচ্ছাচারিতায় চলছে বিদ্যালয়। গুটি কয়েক লোকের মাধ্যমে কোন জবাবদিহিতা ছাড়াই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। ভর্তি বানিজ্যের কারনে বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ভর্তি বানিজ্যের কারনে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রায়ই বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বিদ্যালয়ে গন্ডগোল লেগেই থাকে। আমরা সন্তানদের সুশিক্ষা নিশ্চিতের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাই কিন্তু এ ধরনের সমস্যা লেগে থাকলে বিদ্যালয়ের সঠিক পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে , একটা প্রসেস করে বিল্ডিং ভাঙ্গা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। শিক্ষক রতন বিশ্বাস এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। প্রধান শিক্ষক সালমা রহমানও কৌশলে এসব বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে এড়িয়ে যান। নিয়মানুযায়ী প্রধান শিক্ষক বেসরকারি বিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের ডিজি প্রতিনিধি থাকেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিয়োগ বোর্ডে রতন বাবুই মূলত নিয়োগ বাণিজ্য পরিচালনা করে যাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক প্রতিটা নিয়োগ বোর্ডে ঠুঁটো জগন্নাথের মত নীরব বসে থাকেন বলে অভিযোগ আছে। বিদ্যালয়ের জুনিয়র শিক্ষকদের রতন বাবু প্রায়ই বিভিন্নভাবে হুমকি -ধামকি দিয়ে থকেন। এবং বিদ্যালয়ের অফিস স্টাফদের সাথে প্রায়ই বিরুপ আচরণ করে থাকেন। বিভিন্ন ধরণের শিক্ষক প্রশিক্ষণে নিজের নাম এবং দু একজন পছন্দের শিক্ষকের নাম পাঠিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। প্রশিক্ষণ থেকে যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নাম বাদ দেওয়ারও নজির আছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব দেবাশীষ বাবুর সহায়তায় তিনি এ কাজগুলো সম্পন্ন করেন।রতন বাবু সাবেক ভুমি মন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় সাবেক প্রভাবশালী এই মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তিনি এরকম অনেক অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে এসকল কাজ করতেন। বিদ্যালয়ের ওখঈ ল্যাবের দায়িত্বে রতন বাবু থাকলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, তিনি কখনও ল্যাবে ক্লাস নেন না। প্রায়ই ল্যাবে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে। তিনি প্রায়শই বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজে ও করণিক কাজেই ব্যস্ত থাকেন। বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্ন প্রধান শিক্ষকের নিয়ন্ত্রণে অন লাইন থেকে বের করার কথা থাকলেও রতন বাবু এ কাজটিও করে থাকেন। একাধারে নিজ বাসায় কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করা একজন শিক্ষক কিভাবে বোর্ড প্রশ্নের গোপনীয়তারক্ষা করেন সেটিও নিঃসন্দেহে প্রশ্ন সৃষ্টি করে। বিদ্যালয়ের দক্ষিণপার্শ্বে একটি পুকুর আছে। পূর্বে এ মাছ শিক্ষকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হলেও বিগত কয়েক বছর ধরে এ মাছগুলো শুক্রবার জুম্মার নামাজ চলাকালীন সময়ে জনাব রতন বাবু প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে মেরে নিয়ে যান বলে জানা যায়।০৮.২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ১,০০০০০/-এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। পুরো টাকাটি তুলে প্রধান শিক্ষক ও রতন বাবু আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা কমিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও প্রধান শিক্ষক এটিকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ন্যায় রতন বাবু সর্বস্ব কমিটি করে রেখেছেন। অথচ অনেক যোগ্য শিক্ষক বছরের পর বছর চাকরি করেও কমিটিতে থাকতে পারছেন না। এ সব কিছু সম্পন্ন হয় রতন বাবুর পরিকল্পনায় ও পরামর্শে। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডুমুরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, আমি ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদানের পর এ ধরনের কাজ বিদ্যালয়ে হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে নিয়ম অনুসারে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

পঞ্চগড় অসহায় দুস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ মোঃ শহিদুল ইসলামব্যুরো চিফ রংপুর বিভাগ পঞ্চগড়ে অসহায় দুস্থ,প্রতিবন্ধী ও গর...
24/11/2024

পঞ্চগড় অসহায় দুস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

মোঃ শহিদুল ইসলাম
ব্যুরো চিফ রংপুর বিভাগ

পঞ্চগড়ে অসহায় দুস্থ,প্রতিবন্ধী ও গরিব শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে।রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে বিতরন করা হয়।সহযোগিতা করেন দূর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তর।

শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী উপস্থিত থেকে অসহায়দের মাঝে একটি করে কম্বল তুলে দেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান,কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন
পঞ্চগড়ে অসহায় দুস্থ,প্রতিবন্ধী ও গরিব শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে।রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে বিতরন করা হয়।সহযোগিতা করেন দূর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তর।

শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী উপস্থিত থেকে অসহায়দের মাঝে একটি করে কম্বল তুলে দেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান,কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন

খুলনায় বর্ণিল আয়োজনে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ‘জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ লড়াই করলো লাল-সবুজ দলমোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্...
24/11/2024

খুলনায় বর্ণিল আয়োজনে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ‘জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ লড়াই করলো লাল-সবুজ দল

মোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টার
বর্ণিল আয়োজনে লাল-সবুজের লড়াইয়ে মধ্য দিয়ে খুলনায় ‘জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ অনুষ্ঠিত হয়। যুব সমাজকে মাদকমুক্ত ও ক্রীড়ামুখী করতে বিএনপি উদ্যোগে এই টুর্নামেন্টের একদিনের ম্যাচ আজ খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার ক্রিকেটারদের নিয়ে লাল ও সবুজ দল গঠন করে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। মনোজ্ঞ আয়োজনে খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, সাবেক ক্রিকেটার মেহবার হোসেন অপি, নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সালমা খাতুন। এ সময় জাতীয় ফুটবলা দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আমিনুল হক, টুর্নমেন্টের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, মহানগর বিএনপির সদস্য শফিকুল আলম তুহিন উপস্থিত ছিলেন। এই ম্যাচের বিজয়ী দলসহ ঢাকায় ১২টি দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

24/11/2024

যাএাপুরে অষ্ট প্রহর নিলা কীর্তন।
#সুনামগঞ্জ
#শাল্লা

১৫ দিনের কঠিন আল্টিমেটাম দিয়ে নরসিংদী আমিরগন্জ রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন...
24/11/2024

১৫ দিনের কঠিন আল্টিমেটাম দিয়ে নরসিংদী আমিরগন্জ রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন।

মোঃ আল আমিন অভিযান নিউজ টিভি, ক্রাইম রিপোর্টার নরসিংদী জেলা।
নরসিংদীর আমিরগঞ্জ রেলস্টেশনে দীর্ঘ আড়াই থেকে তিন বছর ধরে স্টেশন মাস্টার না থাকার কারণে সিগন্যাল সমস্যায় নানাবিধ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। স্টেশনের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ২৩ই নভেম্বর ২০২৪ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে বক্তারা উল্লেখ করেন যে, সিগন্যাল না থাকার কারণে ট্রেন চলাচলের সময় অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী এবং কর্মজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আমিরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান (বাদল), সাবেক চেয়ারম্যান এম. মোজাম্মেল, মনিরুজ্জামান মৃধা এবং ডাঃ মোঃ ইউনুছ। তারা সবাই একত্রে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান, ১৫ দিনের মধ্যে আমিরগঞ্জ স্টেশনে স্টেশন মাস্টার নিয়োগ দিতে হবে অন্যাথায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেশন মাস্টার নিয়োগ না করা হয়, তবে তারা আরও বড় এবং কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রেলওয়ে স্টেশন অবরোধ করারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, স্টেশন মাস্টারের অভাবে সিগন্যাল ব্যবস্থার নিয়মিত তদারকি হচ্ছে না, যা ট্রেন দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তারা অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চেয়ে রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এলাকাবাসীর দাবি যদি উপেক্ষা করা হয়, তবে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেই।
মানববন্ধনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর ঐক্য ও সমস্যার প্রতি সচেতনতা তুলে ধরা হয়েছে। তারা আশা করছেন, রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত - ৩   অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান:বান্দরবা...
24/11/2024

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত - ৩ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান:
বান্দরবানে রুমায় সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৩ কুকি চীন সদস্য নিহত, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার।বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএফ) ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

২৪ শে নভেম্বর রোববার দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। কেএনএ’র ওই আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে রুমার দুর্গম ১ নং পাইন্দু ইউনিয়ন ০৬ নং ওয়ার্ড কুক্টা ঝিড়ি মুননংম পাড়া এলাকায় কেএনএফ এর আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন কেএনএফ সদস্যরা কুক্টা ঝিড়িতে অবস্থান করছেন তার ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।এ সময় কেএনএফ ০৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে,বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে পার্বত্য জেলার পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বম জনগোষ্ঠীর কিছু বিপথগামী যুবক কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলে। এদিকে তাদের সশস্ত্র কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নিমূর্লে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়।

24/11/2024

হিমাল বিনোদন পার্কে,, বাংলাদেশ ইউনিয়ন এসোসিয়েশন কর্তৃক পঞ্চগড় জেলার ৪৩টি ইউনিয়নের সম্মিলিত দ্বি বার্ষিক সম্মেলন।
#পঞ্চগড়

24/11/2024

সলিমপুরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,
মানিক নগর মডেল কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের,বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
#পাবনা

সেনা জোন কর্তৃক অসহায় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান:সুশিক্ষা গ্রহণে পাহাড়ি জনপদ  যেন পিছ...
24/11/2024

সেনা জোন কর্তৃক অসহায় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ

জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান:
সুশিক্ষা গ্রহণে পাহাড়ি জনপদ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবান সেনা জোন কর্তৃক অসহায় গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে একাদশ শ্রেণীর বই বিতরণ করা হয়েছে।

২৪ শে নভেম্বর রবিবার বান্দরবান সেনা জোনের মাল্টিপারপাস শেডে আবেদনকৃত ১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একাদশ শ্রেণীর বিভিন্ন বিভাগের বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর সারোয়ার জাহান তূর্য, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বান্দরবান সেনা জোন। এছাড়াও জোনাল স্টাফ অফিসার লে: মোহাম্মদ মোস্তাহিদুর রহমান মৃধা উপস্থিত ছিলেন।

বই বিতরণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর সারোয়ার জাহান তূর্য বলেন, সেনাবাহিনী সর্বদা দেশের জন্য নিবেদিত এক নাম। পার্বত্য অঞ্চলে সুশৃংখল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও মানবিক কার্যক্রম প্রতিনিয়ত জারি রেখেছে। শিক্ষা দীক্ষায় পাহাড়ে যেন কেউ পিছিয়ে না থাকে এ লক্ষ্যে কাজ করছে বান্দরবান সেনা জোন। আপনাদের মাঝে এই বই বিতরণের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এই যে, আপনারা যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জনগণের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। বান্দরবান সেনা জোন বর্তমানে মত ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রাখবে।

বান্দরবানের লামায় পুকুর সংস্কার কাজে ইউএনও নিজে ঠিকাদার ব্যুরো চীফ চট্টগ্রাম:বান্দরবানের লামায় সরকারি জায়গায় প্রকল্পবিহী...
24/11/2024

বান্দরবানের লামায় পুকুর সংস্কার কাজে ইউএনও নিজে ঠিকাদার

ব্যুরো চীফ চট্টগ্রাম:
বান্দরবানের লামায় সরকারি জায়গায় প্রকল্পবিহীন পুকুর সংস্কারের নামে একপক্ষকে বিনা নোটিশে রাতের আধাঁরে উচ্ছেদ ও আরেক পক্ষকে সমোঝতার মাধ্যমে সরকারি জায়গা দখলে রাখতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,গত একমাস ধরে পুকুর খননের কাজটি করছেন খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই। এর মধ্যে অজানা কারণে সরকারি পুকুরের জায়গা দখলমুক্ত না করে আওয়ামিলীগ নেতা ও প্রভাবশালীদের গাইডওয়াল করতে অনুমতি দিয়েছেন ইউএনও। শুধু তাই নয় গাইডওয়াল নির্মাণের সব সিমেন্ট সরবরাহ করেছেন ইউএও
তারা আরও বলেন,ইউএনও আমাদের রান্নাঘর উচ্ছেদ না করতে সমঝোতায় আসতে বলেছে,তবে কি ধরনের সমঝোতা তা বলেনি। কোন প্রকার নোটিশ ও দেয়নি।

এক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করে বলেন,তাকে ইউএনও বলেছেন পুকুরের চারপাশে সবাই দখল করে রেখেছে। সবাই সমঝোতায় এসেছে,আমাকেও সমঝোতা করতে ,না হলে উচ্ছেদ অভিযান করা হবে। পরে কি কারণে একপাশে উচ্ছেদ না করে,আরেকপাশে হঠাৎ করে উচ্ছেদ করেছে।ভেকুর চালক সাদ্দাম হোসেন বলেন,এ পুকুর খনন ও সংস্কারের কোন লিখিত অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি। সরাসরি ইউএনও কাজটি করছেন। তিনিই নিজেই ঠিকাদার। যা কথা বলার ইউএনও স্যারের সাথে বলুন।পৌরসভা,প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস,এলজিইডি ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,পুকুর খননে বর্তমানে সরকারি কোন প্রকল্প নেই।

লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,সরকারি টাকা বাঁচাতে দখলদারদের গাইডওয়াল নির্মাণ করতে বলেছি,আমি নিজেও সিমেন্ট দিয়ে সহযোগিতা করেছি। সরকারি ছোট ছোট প্রকল্প দিয়ে কাজটি শেষ করা হবে। এখনও কোন প্রকল্প নেওয়া হয়নি তবে নেওয়ার জন্য পৌরসভা প্রকৌশলীর সাথে আলাপ চলছে বলে জানান। এবিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ বলেন,ঘটনাটি শুনেছি বিষয়টি আমি দেখছি।

বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠনমোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টারঃ- শনিবার বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাবের নিজস্ব কার...
24/11/2024

বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন
মোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টারঃ- শনিবার বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে সাধারণ সাভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি কবির আহমেদ খান, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক এনায়েত আলী বিশ্বাস। সভার প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনায়েত আলী বিশ্বাস, তিনি বলেন আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নির্বাচনকালীন একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। সভায় ২১ জন সদস্যের উপস্থিতিতে আহবায়কের পক্ষে প্রস্তাব করেন প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ্য তরিকুল ইসলাম, কণ্ঠ ভোটে সকলের সর্বসম্মতিতে আহবাত নির্বাচিত হন এ্যাডঃ সোহেল রানা মোল্লা। সদস্য সচিবের পক্ষে আলআমিন গোলদার কে প্রস্তাব করেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন মুন্সী, সকলের কণ্ঠভোটে সম্মতিক্রমে সদস্য সচিব নির্বাচিত হন। এ সময় ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। যুগ্ন আহবায়ক আব্দুর রব, মোঃ সোহরাব হোসেন মুন্সী, তরিকুল ইসলাম, সদস্য রতন কুমার সাহা,অমলেন্দু বিশ্বাস, বিপ্রদাস রায়, উজ্জল হোসেন, মোহাব্বাত আলী খান, বাকের হোসেন। এসময়ে থানা পুলিশ ও ডিএজবি, ডিজিএফআই সহ গোয়েন্দা সংস্থার অন্যন্য কর্মকর্তা গন উপস্থিত ছিলেন।

দুর্গাপুরে জমি দখলের জন্য সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৪বেলাল হোসেন,  রাজশাহী রাজশাহী দুর্গাপুরের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত...
24/11/2024

দুর্গাপুরে জমি দখলের জন্য সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৪

বেলাল হোসেন, রাজশাহী

রাজশাহী দুর্গাপুরের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলায় দুই ভাইসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার(২৩ নভেম্বর) সকালে জয়নগর ইউনিয়নের চকজয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন শাকির(৬০), হালিম(৫০), আব্দুল হাকিম(৭০), মরিয়ম বেগম। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শাকির ও হালিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। আর বাকি দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, চকজয়নগর বিলে দুই বিঘা ফসলি জমি শাকির ও হালিমের বাপ দাদার ওয়ারিশ সূত্রে ওই সম্পত্তির মালিক। তারা দীর্ঘদিন জমিতে আবাদ করে আসছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই এলাকার রেন্টু, আজাদ, জাহাঙ্গীর, জালালসহ বেশ কয়েকজন জমি দখল করে নিয়েছিলো। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পরে পুনরায় ওই জমি শাকিরসহ সকল ওয়ারিশগণ দখলে নিয়ে ৩২ টি আমগাছ ও ফুলকপি চাষ করেন।

হাসপাতালে ভর্তি আহত শাকির বলেন, আমাদের জমিতে ফুলকপি চাষ করি আজ সকালে জমি থেকে ফুলকপি উঠিয়ে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাব এমন সময় রেন্টু, আজাদ, রিদয়, জাহাঙ্গীর, জাহিদ জালালসহ ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের উপর হামলা করে।

আহত হালিম বলেন, বাপ-দাদার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ২ বিঘা জমি দীর্ঘদিন থেকে আমরা চাষাবাদ করে আসছি। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এই জমি রেন্টুসহ এলাকার কয়েকজন জমিটি তাদের দাবি করে তারা দখলে নিয়ে নেই। পরবর্তীতে সে জমি আমরা পুনরায় দখল নিয়ে চাষাবাদ করি। আজ সকালে সেই জমিতে আমার ভাই সহ কয়েকজনের ওপর রেন্টু ভাড়াটিয়া ২০-২৫ জন লোক হামলা করে। পরবর্তীতে তারা জমিতে থাকা ৩২ টি আমগাছ ও ফুলকপি নষ্ট করে দেয় এতে আমাদের প্রায় চার লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আহত শাকিরের ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী সাগর আলী বলেন, আমার বাবা ও চাচাসহ ৪ জনকে রেন্টুর ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনীরা হামলা করেন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আমি এই সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রেন্টুকে মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরে কলটি কেটে দেন। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)নুরুল হুদা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

23/11/2024

বগুড়ার নন্দীগ্রামে গত ২২ নভেম্বর ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
#নন্দীগ্রাম
#বগুড়া

৩ দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের 'কৃষক সমাবেশ'মাহিদুল ইসলাম মাহিন জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম গতকাল ২২ নভে...
23/11/2024

৩ দফা দাবিতে কুড়িগ্রামে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের 'কৃষক সমাবেশ'

মাহিদুল ইসলাম মাহিন জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম

গতকাল ২২ নভেম্বর শুক্রবার কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জের হাজিরমোর নতুন স্লুইস গেটে বিকাল ৩টায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের উদ্যোগে 'কৃষক সমাবেশের আয়োজন' করা হয়। সমাবেশে তাদের দাবি ছিল ৩টি দুধকুমার নদের তীর সংরক্ষণ দ্রুত বাস্তবায়ন,হাট-ঘাটের খাজনা বাতিল ও স্বাধীন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা।

জানা যায়, গণকমিটির আন্দোলনের ফলে গত কয়েক বছর ধরে দুধকুমার নদের ভাঙ্গন প্রতিরোধে তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ২০২৫ সালের জুন মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা দ্রুত শেষ করার তাগিদ কতৃপক্ষের ।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার প্রচার সমন্বয়ক মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য-নাহিদ হাসান নলেজ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আপনাদের সন্তানেরা দেশে ৭১ লড়াইয়ের মত আর একটা লড়াই করেছে। যে লড়াইটা কেবল তারা একটা সরকারের পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি। তারা বলেছে সরকারকে যেতে হবে হাসিনাকে যেতে হবে। এবং আর যেন কোনো হাসিনা তৈরি না হয়। সেজন্য শ্বৈরাতন্ত্রের পিলার বদলায় দিতে হবে। শ্বৈরাতন্ত্রের পিলার হচ্ছে দেশের সংবিধান,আইন,সংসদ,আদালত।"

তিনি আরো বলেন,আপনারা চেয়েছেন পাকিস্তানিরা যাবে, তারা গেছে। বাংলাদেশ হয়েছে। কিন্তু এই ভূ-খন্ডে প্রত্যেকবার শাসক গেছে কিন্তু আইন পরিবর্তন হয় নাই। ৫৩ বছর গেছে আইন বদলায় নাই। এবার তা বদলাতে হবে। ওরা সংসদে বসে টাকা চুরির আইন করবে আর বলবে, হ্যা জয়যুক্ত হয়েছে তা হবে না। জনগণকে প্রতিটি টাকার হিসাব দিতে হবে। আপনারা যদি আওয়াজ তোলেন, আপনার পক্ষে আইন চান,তাহলে তাহলে এ সরকারকে দিয়েই আইন করে নিবো। যুদ্ধ শুরু হয়েছে সেই লড়াই চালু রাখতে হবে। আপনাদের জয় অনিবার্য যদি আপনারা লড়াই করেন।"

হাট-ঘাটের খাজনা বাতিলের বিষয়ে নাহিদ হাসান নলেজ তাঁর বক্তব্য বলেন, জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে ১৯৫০ সালে। জমিদাররা সরকারের কাছে জমি ইজারা নিত আর আমরা কৃষকরা তাদের কাছে খাজনা দিয়ে জমি আবাদ করতাম। এখনও হাট ও ঘাট সরকারের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয় আর আমরা ইজারাদারদের খাজনা দিয়ে হাটে সদাই বেচা-কিনা করি,নদ-নদীতে নৌকা চালাই,যাত্রীরা খাজনা দেই। কিন্তু হাট ও ঘাট থেকে জমিদারী নিয়ম বাতিল না হওয়ায় সরাসরি সরকারকে হাট ও ঘাটের খাজনা দিতে পারি না। সড়কে গাড়ি চালাতে খাজনা দিতে হয় না, অথচ সড়ক মেরামতে সরকারকে খরচ করতে হলে নদনদীতে সরকারের কোনও খরচ নেই। তবুও নদনদীতে কেন খাজনা দিব? মুক্তিযুদ্ধের পরপরই হাট ইজারাদারি তুলে দেওয়া হয়েছিল। ২/৩ বছর জনগণ নিজেদের হাট নিজেরা পরিচালনা করেছে। হাট কমিটি হাট পরিচালনা করায় খাজনা তেমন ছিল না। তারপর আবারও বৃটিশের ইজারাদারি প্রথা চালু হয়। ৫৩ বছর ধরে লীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টি ও জামাত এই ইজারাদারি প্রথার সুবিদা ভোগ করছে। তারাই হয়ে উঠেছে নতুন জমিদার। তাই তারা কেউ হাট-ঘাটের ইজারা তুলে দেওয়ার পক্ষে কথা বলবে না। ১৭৬৩ সালের ফকির সন্ন্যাসীদের বিদ্রোহ থেকে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে ২৪'র গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত আমরা এই ইজারাদারীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমাদের শহীদেরা কি এই জন্য জিবন দান করেছেন!"

স্থানীয় সরকারকে নিয়ে আরিফুর ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৭২ এর সংবিধানে স্থানীয় সরকার বলতে কিছু নেই। স্থানীয় সরকারের বদলে 'স্থানীয় শাসন' লেখা আছে। মানে কেন্দ্র ঢাকার প্রতিনিধিরা আমাদের শাসন করছে। আমাদের জেলা ও উপজেলা কেমন করে গড়ে তুলব তা ঠিক করে দেয় এমপি-ডিসিরা। অথচ এমপিদের কাজ ছিল আইন প্রণয়ন করা আর ডিসি-এমপিরা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অধীনে পরিচালিত হওয়ার। কথা ছিল,প্রতিটি জেলা থেকে ভ্যাট বাবদ প্রতিবছর গড়ে যে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঢাকায় জমা হয়, তা জেলার টাকা জেলায় ফেরত আসার। প্রতিবছর ১৫ হাজার কোটি টাকা ফেরত এলে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকায় ১শটি ১শ কোটি টাকার কারখানা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তখন কুড়িগ্রাম জেলাকেই ইউরোপের মত উন্নত করা সম্ভব। অন্যদিকে স্থানীয় সরকারের অধীনে ডিসি ও এসপিরা থাকলে আর স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের যেকোন সময় জনগণ দ্বারা অপসারণের ক্ষমতা থাকলে জনগণের উপর আমলা ও পুলিশেরা দাপট দেখাতে পারতো না। ইউরোপ-আমেরিকার মত জনগণকেই অফিসাররা স্যার বলে সম্বোধন করতো। -এই জন্যই তো মুক্তিযুদ্ধে ও গণঅভ্যুত্থানে জীবন দান করেছি।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ন্যায়পাল,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য-এডভোকেট রায়হান কবীর,জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-কনক রহমান এবং কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সহ - সমন্বয়ক শাহ মোমেন রিপন প্রমূখ।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অভিযান নিউজ টিভি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অভিযান নিউজ টিভি:

Videos

Share

Nearby media companies