Okaaaay? ツ

Okaaaay? ツ আঁধারে ভয় পেওনা আলো আছে আড়ালে
অন্ধকার পালিয়ে যাবে তুমি উঠে দাঁড়ালে। Books and Magazing
(2)

- আগামীকাল থেকে হয়তো সেনাবাহিনী নামার নির্দেশ দিয়েছে। সেনাবাহিনী দেখলে ভয় পাবেন না, কারন সেনাবাহিনী কোনো শিক্ষার্থীর উপর...
18/07/2024

- আগামীকাল থেকে হয়তো সেনাবাহিনী নামার নির্দেশ দিয়েছে।

সেনাবাহিনী দেখলে ভয় পাবেন না, কারন সেনাবাহিনী কোনো শিক্ষার্থীর উপর হা'ম'লা করতে পারবে না। যদি হা'ম'লা করে তাহলে sanction(নিষেধাজ্ঞা) খাবে। আর যদি সেনাবাহিনী sanction(নিষেধাজ্ঞা) খায় তাহলে ওদের UN mission (জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মি'শ'ন) বন্ধ হয়ে যাবে, যার ফলে দেশে সেনাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে।
প্লিজ সবাই শেয়ার দেন এ নিউজ টা বা কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে দেন অনেক এর মনে ভয় ঢুকে গেছে এ নিউজ দেখার পরে তারা আবার তাদের মনের ভয় দূর করে রাজপথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।



16/07/2024

বাচার জন্য যদি বিচ্ছিন্ন হই আমরা কেউ বাঁচতে পারবো না। কিন্তু মরার জন্য যদি ঐক্যবদ্ধ হই ইনশাআল্লাহ আমাদের কেউ মারতে পারবে না।

এ দৃশ্য দেখে কাঁদে মোর দেহ প্রাণ কেমন করে পারলিরে পাষাণ হাত তুলিয়া করলি নারীরে অসম্মান কেমন মায়ের সন্তান তুই কেমন মায়...
15/07/2024

এ দৃশ্য দেখে কাঁদে মোর দেহ প্রাণ
কেমন করে পারলিরে পাষাণ
হাত তুলিয়া করলি নারীরে অসম্মান
কেমন মায়ের সন্তান তুই কেমন মায়ের সন্তান।

14/06/2024

আরাফার দিনের দোয়ার বিশেষ গুরুত্বের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আরাফাতের দিনের দোয়াই শ্রেষ্ঠ দোয়া। দোয়া-জিকির হিসেবে সর্বোত্তম হলো ওই দোয়া,
যা আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ করেছেন।

তা হলো— لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ:- ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদির।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তারই জন্য, আর তিনি সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।

(জামে তিরমিজি: ৩৫৮৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকি: ৩৭৭৮)

14/06/2024

লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইক ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলুক লা-শরীকা লাক্‌”

হে আল্লাহ লাখো কন্ঠে যারা আপনার আনুগত্য প্রকাশ করছেন! তাদের সাথে আমাদেরকেও কবুল করে নিন!'
আমিন!🤲

23/05/2024

আগেরকার নারী রিজিক নিয়ে আসতো❤️‍🩹👸

এখনকার নারী রিজিক দেখে আসে,🥲

03/05/2024

আলহামদুলিল্লাহ্

অবশেষে কারামুক্ত হলেন
মাওলানা মামুনুল হক সাহেব,

02/05/2024

যে শহরে নয় বছরের শিশু বাচ্চাকে ধ*র্ষ*ণের পর হত্যা করা হয়!
সেই শহরে বোন তুমি কোন বিশ্বাসের উপর ছেলে বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে যাও?

26/04/2024

জীবনের অদ্ভুত একটা সময় পার করছি। হঠাৎ করেই প্রচ'ন্ড হ.তা-শ হয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ করেই নতুন উদ্দীপনা পাচ্ছি। নিজের কি হবে, তার ঠিক নাই। সম্ভবত একা একাই বাঁ.'চতে হবে।

কেউ কারো না, জীবনের গতি বাড়াতে নিজেকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। হ্যাঁ, একদিন সব হবে। ইনশাআল্লাহ্‌।'❤️

22/04/2024

ইসলামের দৃষ্টিতে জীবনের লক্ষ্য

পৃথিবীতে বিচরণশীল প্রত্যেকটি মানুষের একটা লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে এবং থাকে- এটাই স্বাভাবিক। তবে তার ধরন ভিন্ন হতে পারে। যেমন- একজন ছাত্রকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাহলে সে বলবে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইন বিশেষজ্ঞ অথবা একজন আলেম কিংবা শিক্ষক। একজন শিক্ষা সমাপনী ব্যক্তিকে যদি একই প্রশ্ন করা হয়, তাহলে সে বলবে, ভালো একটা চাকরি অথবা ব্যবসা। তদ্রুপ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষ একটা লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে। কেউ রাজনীতিবিদ আবার কেউ জনসেবক হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে থাকেন।

অধিকাংশ মানুষের উদ্দেশ্য যখন দুনিয়াবি, তার মাঝে প্রকৃত মুমিন-মুসলমানের জবাব হবে, দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে মহান মালিক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে অনন্ত সেই পরকালে মহাপ্রলয়ের সন্ধিক্ষণে জান্নাত লাভ করা এবং অবর্ণনীয় মহাকঠিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আখেরাতের দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মানুষের জন্য তার মূল উদ্দেশ্যে কি নির্ধারণ করা উচিত এবং সর্বোচ্চ সফলতা প্রাপ্তি কোথায় নিহিত আছে। তা মহান আল্লাহতাআলা সুস্পষ্ট করেছেন।

সাধারণত সবার ধ্যানধারণা ক্রিয়াকলাপ চিন্তাভাবনা সবকিছু অস্থায়ী পৃথিবীর অত্যন্ত স্বল্পকালীন আয়ুর ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের ধ্যানধারণাভিত্তিতে পরিচালিত জীবনের সংখ্যা অতি নগণ্য। যার প্রমাণ জীবনের উদ্দেশ্য জাগতিক ভিত্তিক। পরলৌকিক ভিত্তিক নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রত্যেক মুমিন মুসলিমের প্রতিটি কার্যকলাপ, ধ্যানধারণা হওয়া উচিত চিরস্থায়ী জীবন সামনে রেখে। সেক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ, অসৎ কাজগুলো থেকে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়। অথচ বর্তমান সময়ে সে অবস্থান খুব একটা ইতিবাচক নয়। বিশ্বের বেশির ভাগ মুসলিম ক্রমেই মেতে উঠেছে কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থি কার্যকলাপে। অথচ মুমিনের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি হবে, সে ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহতাআলা ইরশাদ করেন,

মহান আল্লাহ বলেন,
নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন (এর বিনিময়ে) যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। অতএব তারা মারে ও মরে। তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে এ সম্পর্কে সত্য ওয়াদা রয়েছে। আর নিজ ওয়াদা পূরণে আল্লাহর চেয়ে অধিক কে হতে পারে? সুতরাং তোমরা (আল্লাহর সংগে) যে সওদা করেছ, সে সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং সেটাই মহাসাফল্য।
[সূরা আত-তাওবাহ আয়াত ১১১]

প্রত্যেকটি মুমিন তার জীবনের লক্ষ্যকে একমাত্র দ্বীনের লক্ষ্য হিসেবেই নেবেন এবং আল্লাহর কাছে চিরস্থায়ী জান্নাতের বিনিময়ে বিক্রি করে দেবেন। দ্বীনকে জমিনে স্তিমিত রাখার জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা করবে। দ্বীনের জন্য তারা মারবে এবং দ্বীনের জন্যই মরবে। এর চেয়ে বড় সফলতা আর কি হতে পারে?

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, প্রকৃত মুমিনরা বলবে,

‘নিশ্চয় আমি নিবিষ্ট করেছি আমার চেহারা একনিষ্ঠভাবে তাঁর জন্য, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’।
[সূরা আল আন'আম আয়াত ৭৯]

লক্ষ্য যেরূপভাবে আল্লাহ মুখি হবে, তদ্রুপ তার দুনিয়ার সব কার্যকলাপেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রত্যাশা থাকবে। যারা সত্যিকারের মুমিন তাদের হৃদয়ে সদা আল্লাহর ভয় থাকবে এবং তারা দ্বীনের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে সর্বদা ।

মহান আল্লাহ বলেন,
তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক তাকওয়া সম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।
[সূরা আল হুজুরাত আয়াত ১৩]

উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী সে ব্যক্তি আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় করবে, যার মাঝে পরকাল নিয়ে ভাবনা আছে।

প্রত্যেক মুমিনের যথাযথ সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর যে পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে আল্লাহভীতি আসবে, তারা সে পথেই নিজেকে পরিচালিত করবে। সত্যিকার মুমিন হওয়ার পূর্বশর্ত হলো, সত্যিকার অর্থে আল্লাহভীরু হওয়া। অতএব যারা মুসিবত আসার পরও দ্বীনের ওপর ইসতেকামাত থেকে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত মুসলিম।

মুমিনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পবিত্র কুরআনের পাশাপাশি হাদিসেও অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।

আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা, তার সন্তান ও সব মানুষের অপেক্ষা অধিক প্রিয়পাত্র হই।
[সহীহ বুখারী ১৫]

আমাদের কাছে যখন দুনিয়া অতি প্রিয় হয়ে গেছে, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পরিবর্তনের ছাপ প্রকাশ পেয়েছে, ঈমানের পূর্ণতা নেই, ইসলামের পূর্ণতা বিলীন। ক্রমেই ধাবিত হচ্ছি পশ্চিমা কালচারের দিকে। সীমালঙ্ঘন হওয়ার উপক্রম, ভুলে গেছি সৃষ্টিকর্তাকে, দুনিয়ার লোভ-লালসায় মত্ত হয়ে বুলে গেছি চিরস্থায়ী পরকালকে। অস্থায়ী সুখ-শান্তি ভোগবিলাসে গা ভাসিয়ে দিয়েছি। যশ সম্মান খ্যাতির পিছু ছুটছি প্রতিনিয়ত। ভুলেই গেছি আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল এক ফোঁটা নাপাক পানি থেকে। সাময়িক সময়ের জন্য এসব ভোগ, এরপরই পাড়ি জমাতে হবে চিরস্থায়ী গন্তব্যের পথে।

মানুষের দায়িত্ব হলো জগতের সকল কিছুর মালিক আল্লাহর ইবাদত করা। কিছু মানুষ মনে করে জীবনের উদ্দেশ্য হলো কেবল ধন-সম্পদ অর্জন, ক্রীড়া-কৌতুক, যশ-খ্যাতি ও সন্তান-সন্ততির প্রতিযোগিতা করা। তারা জীবনকে উপভোগ করেই আনন্দ পায়। প্রকৃত পক্ষে মানবজীবনের মূল উদ্দেশ্য সেটি নয়। বরং জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর পরিচয় লাভ করা। ঐ সমস্ত মানুষ গুলো সেটি ভুলে গিয়ে পার্থিব জীবনে ভোগ বিলাসেই মগ্ন থাকে।

মহান আল্লাহ বলেন,
অবশ্যই তোমাদেরকে তোমাদের ধন-সম্পদ ও তোমাদের নিজ জীবন সম্পর্কে পরীক্ষা করা হবে। আর অবশ্যই তোমরা শুনবে তোমাদের পূর্বে যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে এবং মুশরিকদের পক্ষ থেকে অনেক কষ্টদায়ক কথা। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে নিশ্চয় তা হবে দৃঢ় সংকল্পের কাজ।
[সূরা আল ইমরান আয়াত ১৮৬]

ক্ষণস্থায়ী জীবনধারণ করে চিরস্থায়ী জগতের চিরস্থায়ী বা অনন্ত জীবনকে আমরা যেন ভুলে না যাই।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া মুমিনের জেলখানা (কারাগার) এবং কাফেরের বেহেশতখানা (জান্নাত)।
[সুনান ইবনে মাজাহ ৪১১৩]

অর্থাৎ কাফেরদের অবাধ বিচরণে শতভাগ স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতা। পক্ষান্তরে মুমিনগণের জীবন, ধর্মীয় বিধানে আবর্তিত ও সীমিত; যেমনি জেলখানায় কয়েদিদের জীবন নির্ধারিত পরিধির মধ্যে সীমাবদ্ধ ও স্বাধীনতাহীন। জেলখানায় কয়েদি কখনো আরাম আয়েশে জীবনযাপন করতে পারে না, কিন্তু আমার জীবনধারা দেখে এটা বোঝার উপায় নেই। এটা আমাদের জন্য জেলখানা। কাজেই আমাদের উচিত হবে, ক্ষণস্থায়ী জীবনের আরাম-আয়েশ পরিত্যাগ করে, চিরস্থায়ী জীবনের ভাবনায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখা। তাহলেই কেবল ভয়ানক সেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রত্যাশা করা যাবে।

মহান আল্লাহ বলেন,
যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবন ও তার জৌলুস কামনা করে, আমি সেখানে তাদেরকে তাদের আমলের ফল পুরোপুরি দিয়ে দেই এবং সেখানে তাদেরকে কম দেয়া হবে না।
এরাই তারা, আখিরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই এবং তারা সেখানে যা করে তা বরবাদ হয়ে যাবে আর তারা যা করত, তা সম্পূর্ণ বাতিল।
[সূরা হুদ আয়াত ১৫-১৬]

মুমিন দুনিয়াতে দীর্ঘদিন থাকার ইচ্ছা পোষণ করতে পারে না। কেননা দুনিয়াতে দীর্ঘদিন থাকার ইচ্ছা পোষণ করার মাধ্যমে বিভিন্ন লোভ লালসা তাকে গ্রাস করে ফেলে। যেহেতু আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য তাই আমাদের যাবতীয় কর্মকান্ড তারই নির্দেশ মোতাবেক হওয়া জরুরী।

আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আমার দু’ কাঁধ ধরে বললেনঃ তুমি দুনিয়াতে থাক যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী।

আর ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলতেন, তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে সকালের আর অপেক্ষা করো না এবং সকালে উপনীত হলে সন্ধ্যার আর অপেক্ষা করো না। তোমার সুস্থতার সময় তোমার পীড়িত অবস্থার জন্য প্রস্তুতি লও। আর তোমার জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি লও।
[সহীহ বুখারী ৬৪১৬]

মানুষ দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত, তারা সমস্যায় জর্জরিত এই ব্যাপারে আল্লাহতাআলা বহু বছর আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনের ছোট্ট একটি সুরা যেখানে আল্লাহতাআলা সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ বলেন,
সময়ের কসম,
নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ,
কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।
[সূরা আল-আছর]

এই আয়াতের ব্যাখ্যাতে মুমিনের জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সঙ্গে তাদের কি কি গুণাগুণ থাকবে তাও। পরিশেষে বলতে হয়, প্রত্যেক মুমিনের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় ইসলামের বিধিনিষেধ মেনে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে পরকালীন চিরস্থায়ী জীবনে কঠিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত হাসিল করা। আল্লাহতাআলা আমাদের সেই তওফিক দান করুন।

22/04/2024

"কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত"

অর্থ:- প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
{ সূরা আল ইমরান, আয়াত-১৮৫ }।

অতএব কাউকে কষ্ট দিচ্ছেন ? আঘাত করছেন ? নিয়মিত কাঁদাচ্ছেন ? ক্ষমতা অপব্যবহার করছেন ? আপনি কি জানেন ? আপনার এই অহংকার, রাগ জেদ, ক্ষোভ, ক্ষমতা, বিলাসবহুল গাড়ী, বাড়ি সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু যা আমল করবেন তাই সাথে যাবে। আর কিচ্ছু যাবে সাথে।🥲

20/04/2024

– হঠাৎ করেই একদিন দেখবেন আপনার অশ্রুসিক্ত দোয়াগুলো কবুল হয়ে গেছে!

সেদিন ফিসফিস করে বলে উঠবেন; "হে আমার রব আপনাকে ডেকে আমি কখনো নিরাশ হইনি _🖤✨

[সূরা মারইয়াম ১৯:৪]

19/04/2024
বাস্তবে ডিপ্রেশন বলে কিছুই নেই। সবটাই শয়তানের ধোকা। আমরা যারা ডিপ্রেশনে ভুগি, প্রত্যেকেই ইবলিস শয়তান দ্বারা পরিচালিত।য...
19/04/2024

বাস্তবে ডিপ্রেশন বলে কিছুই নেই। সবটাই শয়তানের ধোকা। আমরা যারা ডিপ্রেশনে ভুগি, প্রত্যেকেই
ইবলিস শয়তান দ্বারা পরিচালিত।

যারা মহান আল্লাহর রহমত থেকে দুরে সরে যায়,
মূলত তারাই ডিপ্রেশনে ভুগে........

খাদিজা (রাঃ) খুব ধনী ঘরের মেয়ে ছিলেন। বিলাসিতার মধ্যেই বড় হওয়াটাই স্বাভাবিক ।

নবিজী (সাঃ) এর ইসলাম প্রচারের কারণে অন্যান্য গোত্র যখন কুরাইশদের অবরোধ দিলো, তখন
নবিজী (সাঃ) আর খাদিজা (রাঃ) এর গোত্রের শিশুদের আড়াইবছর তীব্র কষ্টে থাকতে হয়েছিলো।

এমনকী খিদের তাড়নায় গাছের পাতা পর্যন্ত খেয়েছিলেন তারা।

বিলাল (রা) ছিলেন হাবশী ক্রীতদাস।
ইসলাম কবুলের অপরাধে তাকে মরুভূমির রোদে ফেলে রাখা হতো, তার গায়ের চর্বি গলে যেতো।

তারপরও তার মুখে লেগে থাকতো প্রশান্তি, রোদের তেজ তাঁর কালিমার তেজের কাছে পরাজিত হতো।

ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ তাঁর জীবনে আট বছর জেল খেটেছেন। জেলেই মৃত্যু বরন করেছেন।
অথচ তিনি কী বলেছিলেন, জানেন? বলেছিলেন, দুনিয়াতেও একটা জান্নাত আছে, আমি আমার হৃদয়ে সে জান্নাতের খোঁজ পেয়েছি।

গান শোনা, মুভি দেখা, মোটিভেশনাল বই পড়া বা মানুষের সাথে আড্ডা দিয়েই যদি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া যেত, তাহলে গান গাওয়া সংগিত শিল্পি, সিনেমার অভিনেতা, সেলিব্রিটি গন বাস্তব জিবনে ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত নয় কেন.......?

আল্লাহ্ তাআলা, ইসলাম, ইমান আর ডিপ্রেশন এক অন্তরে একসঙ্গে থাকতে পারে না। যদি আপনার মনে বিন্দুমাত্র ডিপ্রেশন থাকে, তার মানে আপনার হৃদয়ে আল্লাহ্ নাই, বরং ওখানে শয়তান বাসা বেঁধেছে।

যারা ডিপ্রেশনে পড়ে বা আত্মহত্যা করে,
এরা হয় অজ্ঞেয়বাদী না হয় অবিশ্বাসী।
কোনো মুসলিম যদি ডিপ্রেশনের স্বীকার হন, তাহলে আপনার ইমান নিয়ে ভেবে দেখার সময় এসেছে।

এবার অনেকেই তেড়ে এসে বলবেন_
আমার পরিস্থিতি আপনি বুঝবেন না, আমার ফ্যামিলি প্রবলেম, মানি প্রবলেম, স্ত্রী/স্বামী প্রবলেম.....

আরে ভাই থামেন তো!!

কোন পরিস্থিতির গল্প শোনান আপনি? বউ ভালো না? হযরত লূত (আঃ) এর স্ত্রীও ভালো ছিলো না।
হযরত আছিয়া (আঃ) এর স্বামী ছিলেন কে জানেন? ফেরাউন।
ফেরাউনকে রব না মানার অপরাধে তাঁকে টুকরো করে কেটে গরম তেলের ডোবানো হয়েছিলো।

আরও শুনবেন? চেষ্টা করেও কিছু হচ্ছে না,
তাই ডিপ্রেশন?

হযরত নুহ (আঃ) প্রায় হাজার বছর দাওয়াত দিয়ে আশি জনকে দাওয়াত কবুল করাতে পেরেছিলেন।

আপনজন কষ্ট দিয়েছে? অপবাদ দিয়েছে?

ইউসুফ (আঃ) এর ভাইয়েরা তাকে কুয়ার মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গেলো। জুলেখার সাথে ব্যভিচার না করায় উল্টো অপবাদ দিয়ে সাত বছরের জেল দেওয়া হলো!!

এরপরও আপনি আমাকে কোন পরিস্থিতির গল্প শোনাবেন?

যারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় তাদেরকে বলা হলো পথভ্রষ্ট!! এরপরও আপনি আমাকে ডিপ্রেশনের গল্প শোনাবেন?

গান বাজনা বা মুভি, বই আপনাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিতে পারবে না। ডিপ্রেশনের একমাত্র চিকিৎসা হলো আল্লাহর দিকে ফেরত আসা। আপনার শয়তান যখন আপনাকে বলছে তোর অনেক কষ্ট, তোর চেয়ে কষ্টে কেউ নাই, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলছেন_

"কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে। অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে।"
[সূরা আলাম নাশরাহ (৯৪) : ৫-৬]

তাহলে সমাধান কী.......?
"জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমেই অন্তরের সত্যিকারের প্রশান্তি লাভ করা যায়।"
[১৩:২৮]

আল্লাহ্ তাআলা যেন আমাদের সঠিক বুঝ দান করেন.....

আমিন,

15/04/2024

শিরক থেকে সাবধান

শিরক মানে অংশীদারিত্ব স্থাপন করা। বিশ্ব জাহানের একচ্ছত্র অধিপতি মহান আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করার নাম শিরক।

মহান আল্লাহ বলেন,
যারা ঈমান এনেছে এবং নিজ ঈমানকে যুলমের সাথে সংমিশ্রণ করেনি, তাদের জন্যই নিরাপত্তা এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত।
[সূরা আল আন'আম আয়াত ৮২]

আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি . (সূরা আল আন‘আম আয়াত ৮২)। তখন তা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের কাছে গুরুতর মনে হলো। তারা বললেন, আমাদের মাঝে এমন কে আছে যে তার ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করে না। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা অবশ্যই এমনটা নয়, তোমরা কি লুকমানের কথা শ্রবণ করনি? শিরকই বিরাট জুলুম। (সীমালঙ্ঘন)- (সূরা লুক্বমান আয়াত ১৩)।
[সহীহ বুখারী ৬৯১৮]

ইবাদতের প্রকারসমূহ থেকে কোনো কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য সম্পাদন করাকে শিরক বলে। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নিকট দু‘আ করা, গাইরুল্লাহর জন্য কুরবানী করা, মানত করা এবং এমন বিষয়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যের নিকট উদ্ধার কামনা করা, যা থেকে উদ্ধার করার ক্ষমতা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ রাখে না। আর তাওহীদ হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য ইবাদতকে নির্দিষ্ট করা।

আল্লাহর কর্তৃত্ব ও ক্ষমতায় অন্য কাউকে অংশীদার বলে বিশ্বাস করা। আল্লাহর কাজে অন্যকে শরীক করা। যেমন: সৃষ্টি করা, জীবন-মৃত্যু দেয়া, বিপদ থেকে উদ্ধার করা, আইন দেয়া, আসমান জমিন পরিচালনা করা ইত্যাদি একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত। এ সমস্ত বিষয়ে অন্য কাউকে আল্লাহর সাথে শরিক করা হলো আল্লাহর রুবুবিয়্যাতের ক্ষেত্রে শিরক।

শিরকে আকবার বা বড় শিরক কাকে বলে :

আল্লাহর সাথে কাউকে তাঁর সমকক্ষ মনে করা। এর মাধ্যমে মুমিন ঈমান থেকে বের হয়ে চিরজাহান্নামী হয়ে যায়। তাওবা ব্যতীত তার মুক্তির কোনো উপায় থাকে না। যেমন: মাজার-কবর ও মূর্তি কেন্দ্রিক শিরক, গায়রুল্লাহর নামে জবাই করা ও মানত করা, গায়রুল্লাহ্কে ডাকা, গায়রুল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা, গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা।

ভয়, আশা, তাওয়াক্কুল ও মুহাব্বতের ক্ষেত্রে শিরক, আইন প্রণয়ন, আনুগত্য ও দুনিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে শিরক, জাদু বিদ্যা ও জাদুকর, জ্যোতিষ, কু-লক্ষণে বিশ্বাস, নক্ষত্রের প্রভাবে বিশ্বাস, বিপদ-আপদ থেকে বাঁচার জন্য তাগা, তাবিজ, সুতা, আংটি, ইত্যাদি ব্যবহার করা। নবী-রাসূল বা ওলীগণ সর্বত্র হাজির হতে পারেন বলে বিশ্বাস।

শিরকে আসগার বা ছোট শিরক কাকে বলে :

ছোট শিরকের উদাহরণ হলো: রিয়া বা লোক দেখানো ‘আমল, সুম’আ বা সুখ্যাতি অর্জনের জন্য ‘আমল, দুনিয়া লাভ করার উদ্দেশ্যে ‘আমল,

মহান আল্লাহ বলেন,
জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই। আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব।
[সূরা আল আ'রাফ আয়াত ৫৪]

মহান আল্লাহ বলেন,
আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ হয়ে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করে। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে যেন আকাশ থেকে পড়ল। অতঃপর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল কিম্বা বাতাস তাকে দূরের কোন জায়গায় নিক্ষেপ করল।
[সূরা আল হজ্জ আয়াত ৩১]

আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন : এক ব্যক্তি যার মনিব অনেক, যারা পরস্পর বিরোধী; এবং আরেক ব্যক্তি, যে এক মনিবের অনুগত, এ দু’জনের অবস্থা কি সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর; কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
[সূরা আয-যুমার আয়াত ২৯]

মহান আল্লাহ বলেন,
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে।
[সূরা আন-নিসা আয়াত ৪৮]

মানুষকে শিরক জাহান্নামে নিয়ে যাবে।

মহান আল্লাহ বলেন,
অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলেছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ হচ্ছেন মারইয়াম পুত্র মাসীহ’। আর মাসীহ বলেছে, ‘হে বনী ইসরাঈল, তোমরা আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর ইবাদাত কর’। নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
[সূরা আল মায়িদাহ আয়াত ৭২]

পূর্বের আমল সমূহ বিনষ্ট করে দেয় :

আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সৎ কাজগুলোকে বৃদ্ধি করে দেন। কিন্তু শিরক বান্দার ভাল আমলগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।

মহান আল্লাহ বলেন,
যদি তারা শিরক করত, তবে তারা যা আমল করছিল তা অবশ্যই বরবাদ হয়ে যেত।
[সূরা আল আন'আম আয়াত ৮৮]

মহান আল্লাহ আরো বলেন,
আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী পাঠানো হয়েছে যে, তুমি শিরক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
[সূরা আয-যুমার আয়াত ৬৫]

সবচেয়ে বড় গুনাহ :

তথা বড় গুনাহের একটি হ’ল শিরক।

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তা'আলা বলেন, আমি অংশীস্থাপনকারীদের হতে সম্পূর্ণ মুক্ত। যে লোক কোন আমলে (ইবাদতে) আমার সাথে অন্যকে শরীক করে, আমি তাকেও তার সেই শিরকসহ বর্জন করি।
[মিসকাত হাদিস ৫৩১৫]

আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। সাহাবীগন বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেগুলো কি? তিনি বললেন, (১) আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা। (২) যাদু (৩) আল্লাহ তাআলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়ত সম্মত ব্যতীরেকে তাকে হত্যা করা (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল প্রকৃতির সতী মুমিন নারীদের অপবাদ দেওয়া।
[সহীহ বুখারী ২৫৭৮]

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আল্লাহর রাসুল! কোন গুনাহ সবচেয়ে বড়? তিনি বললেনঃ কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা, অথচ তিনই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।
[সহীহ বুখারী ৫৫৭৫]

তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনার ফযীলত এবং বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তা'আলার দয়া ও অনুগ্রহ প্রসঙ্গে

আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছিঃ বারাকাতময় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে আদম সন্তান! যতক্ষণ আমাকে তুমি ডাকতে থাকবে এবং আমার হতে (ক্ষমা পাওয়ার) আশায় থাকবে, তোমার গুনাহ যত অধিক হোক, তোমাকে আমি ক্ষমা করব, এতে কোন পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহর পরিমাণ যদি আসমানের কিনারা বা মেঘমালা পর্যন্তও পৌছে যায়, তারপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, এতে আমি পরওয়া করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি সম্পূর্ণ পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়েও আমার নিকট আস এবং আমার সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করে থাক, তাহলে তোমার কাছে আমিও পৃথিবী পূর্ণ ক্ষমা নিয়ে হাযির হব।
[সূনান আত তিরমিজী ৩৫৪০]

শিরক ব্যতিরেকে সকল পাপ মার্জনীয়। তাহলে শিরক সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা অত্যাবশ্যকীয় নয় কি?

মুসলমান হিসেবে আমরা মনে করি ইহুদী,খ্রীস্টান, হিন্দু, বৌদ্দ সহ পৃথিবীর সকল ধর্মালম্বীরা কেবলমাত্র শিরকে লিপ্ত থাকে,তারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করেনা,আল্লাহর স্ত্রী সন্তান হিসেবে মরিয়ম ঈসাকে শরীক করে, আল্লাহর সত্ত্বার বিকল্প হিসেবে একাধিক দেব দেবীর পূজা করে, আল্লাহকে স্বল্পভাবে মানে বা একদম মানে না বলে তারা শিরকের অন্তর্ভূক্ত হবে। আমরা মুসলমান এক আল্লাহকে বিশ্বাস করি সুতারাং তার সাথে আমাদের শিরক করা হয়না। দেখা যাক কুরআনে কি বলা আছে,

মহান আল্লাহ বলেন,
আর আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে ডেকো না, যা তোমার উপকার করতে পারে না এবং তোমার ক্ষতিও করতে পারে না। অতএব তুমি যদি কর, তাহলে নিশ্চয় তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
[সূরা ইউনুস আয়াত ১০৬]

মহান আল্লাহ বলেন,
আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালবাসার মত ভালবাসে। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহর জন্য ভালবাসায় দৃঢ়তর। আর যদি যালিমগণ দেখে- যখন তারা আযাব দেখবে যে, নিশ্চয় সকল শক্তি আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আল্লাহ আযাব দানে কঠোর।
[সূরা আল বাক্বারাহ আয়াত ১৬৫]

কিছু মুসলিম নামধারী অজ্ঞ,মূর্খতা বা একতরফার কারনে কুরআন হাদিস সঠিক চর্চ্চা না করে কিংবা একদম না পড়ে শুধুমাত্র শোনা কথায় অন্যের উপর নিভরশীল হয়ে পীর,আউলিয়া,দরবেশদের শানে অতিমাত্রা ভক্তি প্রদর্শনের নামে মহান আল্লাহকে তুচ্ছ করে শিরকী করে যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে মুক্তি দেয়ার মালিক আল্লাহ।

আমরা মুসলমানদের ভিতরে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টিতে প্রচলন রয়েছে সেটি হচ্ছে পীর আউলিয়া, দরবেশরা হাজির নাজির, তারা মৃত অথবা জীবিত অবস্থায় গায়েবী জানেন। সেকারনে কোনো সমস্যাজণিত কারণে তাদের সাহায্য চাওয়া হয়। এমনকি কবর বা মাজারে হাত উত্তোলন করে সাহায্য যাওয়া হয়, মাজারে সিজদা দেয়া হয়।

মহান আল্লাহ বলেন,
তাঁর কাছে রয়েছে গায়েবের চাবিসমূহ, তিনি ছাড়া এ বিষয়ে কেউ জানে না।
[সূরা আল আন'আম আয়াত ৫৯]

এমনকি রাসূল (সাঃ) গায়েব জানতেন না। তার কাছে সব খবর আসতো ওহীর মাধ্যমে।

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় রবকে দেখেছেন, সে মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলছেন, চক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানেন, সেও মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেন, গায়িব জানেন একমাত্র আল্লাহ।
[সহীহ বুখারী ৭৩৮০]

সুতারাং আদম (আঃ) থেকে অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরিত হয়েছেন যাদের মধ্যে কেউ গায়েব জেনেছেন এমন প্রমান কুরআন হাদিসে মেলেনি এমনকি যেখানে রাসূল (সাঃ) স্বয়ং গায়েব জানতেন না, কোনো কিছু জানার জন্য প্রতীক্ষা করতে হতো জিব্রাইল (আঃ) না আগমন পর্যন্ত।

আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কথা বললেন, আর আমি একটি বললাম। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে তাঁর সমকক্ষ হিসেবে আহবান করা অবস্থায় মারা যায়, সে জাহান্নামে যাবে। আর আমি বললাম, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে সমকক্ষ হিসেবে আহবান না করা অবস্থায় মারা যায়? (তিনি বললেন) সে জান্নাতে যাবে।
[সহীহ বুখারী ৪৪৯৭]

তওবা সম্পর্কে আলোচনা

আবূ উবায়দা ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গুনাহ থেকে তওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতুল্য।
[সূনান ইবনে মাজাহ ৪২৫০]

মহান আল্লাহ বলেন,
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে।
[সূরা আল বাক্বারাহ আয়াত ২২২]

অতএব খালেছ তাওহীদ বিশ্বাস ও শিরক থেকে বেঁচে থাকা ব্যতীত জান্নাত হাসিল করা সম্ভব নয়। সেকারণে আমাদেরকে আক্বীদার ক্ষেত্রে শিরক মুক্ত তাওহীদ পন্থী এবং আমলের ক্ষেত্রে বিদ‘আত মুক্ত সুন্নাতপন্থী হ’তে হবে।

একজন মুসলিম বা বিশ্বাসী ব্যক্তি যখন জেনে বা না জেনে শিরক করে ফেলে তখন তা ঈমান ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের সব সময় সচেতন থাকতে হবে। কোনো ভাবে যাতে আল্লাহর ও তাঁর সাথে শরিক হয় এমন কোনো কাজ আমরা না করে ফেলি।

আমার সবাই হিংসা-দ্বন্দ্ব, ভুল বুঝাবুঝি, সর্বপ্রকার জাহেলিয়াত পরিহার করে শিরকমুক্ত জীবন গড়ি। আল্লাহ আমাদের সে তাওফীক দান করুন।

15/04/2024

“আপনি তো শয়তানের চেয়ে নিকৃষ্ট নন। আমরা যা-ই করি না কেন, শয়তানের চেয়ে আমরা বেশি খারাপ নই—যদিও আমাদের পাহাড়সম পাপ থাকে। যে আল্লাহ শয়তানের দু’আ ফিরিয়ে দেননি, তিনি কি আমাদের দু’আ ফিরিয়ে দেবেন?”

Astagfirullah-আস্তাগফিরুল্লাহ

14/04/2024

হতাশ?
ভাবছেন দুআ করা ছেড়ে দিবেন??.
অভিমান হচ্ছে?
কান্না পাচ্ছে!!?

রবের প্রতি অভিযোগ করছেন দোয়া কবুল হবে না দেখে_ভাবছেন আপনি অসম্ভব কিছু চাচ্ছেন যা কবুল হচ্ছে না৷

তবে_মনে রাখুন...
আপনি ভুলে যাচ্ছেন আপনার রবের ক্ষমতা সম্পর্কে!!

যেই রব আদম (আঃ) মা বাবা ছাড়া বানালেন৷
যে আল্লাহ মুসা (আঃ) কে তার শত্রুর ঘরে বড় করলেন৷
যে আল্লাহ মরিয়ম (আঃ)কে স্বামী ছাড়া সন্তান দিলেন৷
যে আল্লাহ আর কত কত অসম্ভবকে সম্ভব করলেন৷
সেই আল্লহ আপনার দোয়া কবুল করতে পারেন না?

ভুলে যাবেন না_ আরশের মালিক আপনার রব৷
তার কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই৷
সঠিক সময়ে সব পেয়ে যাবেন, ইনশাআল্লহ৷
আপনার রব জানেন আপনার জন্য কখন কি মঙ্গলজনক...!!!

থেমে যাবেন না!!..
হতাশ হবেন না!!_
দোয়া করতেই থাকুন...
ওয়াল্লাহি শেষ হাসিটা আপনিই হাসবেন ❤

13/04/2024

আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও!

[সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫৫]

12/04/2024

তুমি নারী। তুমি নারী হিসেবেই সুন্দর। তুমি কেন পুরুষদের অনুকরন করতে যাবে। কঠোর পরিশ্রম পুরুষদের সৌন্দর্য। তার বিপরীতে কোমলতা নারীদের সৌন্দর্য। তুমি শাড়িতেই সুন্দর শার্টে নয়, তুমি বাড়িতেই সুন্দর বাজারে নয়!

"Women" বললে কি-বা আসে যায়। তুমি তো নারীইই। দূর্বলতাই তোমার প্রকৃত সৌন্দর্য। দিনশেষে নারীকে আগলে রাখতে পারে এমন পুরুষকেই নারীরা পছন্দ করে। উপহাসকারীকে নয়।❤️

- নারী আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর!🌸

বিয়ের প্রথম রাত কিভাবে কাটাবে, সেটা তুমি ১০ বছর আগে থেকেই ভাব।। কিন্তু কবরের প্রথম রাত কিভাবে কাটাবে এটা কি ভেবেছো কখনো,...
11/04/2024

বিয়ের প্রথম রাত কিভাবে কাটাবে, সেটা তুমি ১০ বছর আগে থেকেই ভাব।। কিন্তু কবরের প্রথম রাত কিভাবে কাটাবে এটা কি ভেবেছো কখনো, 🥺🥺

11/04/2024

দেখবেন দাঁড়িওয়ালা ঠিকই বেড়েছে কিন্তু সুন্নতওয়ালা দাঁড়ি বাড়েনি। তেমনি বোরকাওয়ালী ঠিকই বেড়েছে কিন্তু পর্দাশীল বোরকা বাড়েনি।

দ্বীন মানুন পরিপূর্ণ ভাবে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।।

11/04/2024

প্রায়োরিটির জায়গায় নিজেকে প্রথমে রেখো!
জীবনে হয়তো অনেক কিছুই পাবে কিন্তু
তোমাকে বুঝার মতো কাউকে পাবে না!🌼🙂

10/04/2024

দোয়াটি সবাইএকবার পড়ুন -

"আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম।’
"লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনায জোয়ালিমীন"
"রাব্বি ইন্নি জালামতু নাফছী ফাগফিরলী'"
”রাব্বি ইন্নি লিমা আনযালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাক্বীর”
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন জান্নাতুল ফেরদাউস"
"আল্লাহুমা ইন্নাকা আফুওন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি"
"সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযীম"
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন জান্নাতুল ফেরদাউস

দোয়াটা পড়ে আমিন লিখে দিবেন অনুরোধ রইল।

10/04/2024

প্রবাস নামক জেলখানায় তৃতীয় ঈদ,
মায়ের হাতের রান্না মিস করতেছি অনেক 🥲
এ প্রবাসে কেউ না খেয়ে থাকলেও কেউ
জিজ্ঞেস করে না খেয়েছি কিনা,

10/04/2024

ঈদ মোবারক,🌙

তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম

সবাইকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা🇸🇦

09/04/2024

আঁধারে পেওনা ভয় আলো আছে আড়ালে
অন্ধকার পালিয়ে যাবে
তুমি উঠে দাঁড়ালে।

Address

Cumilla
3350

Telephone

+8801631338715

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Okaaaay? ツ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Digital creator in Cumilla

Show All