Sourav Tabrizi

Sourav Tabrizi Time Traveller
(3)

12/06/2024

গণক্ষমা কর্মসূচি 🤣

24/05/2024

১.
মা আমাকে একটা গল্প বেশ কয়েকবার বলেছে। তখন আমি নিতান্তই বাচ্চা; ২০০০ সালের দিকে হবে। দাদার মৃত্যুর আগে-আগে উনি আমার সব খাবার লুকিয়ে খেয়ে ফেলতেন। খাবার রাখা হতো 'বয়ামে', আমরা এখন জার বা ডিব্বা-ডুব্বা বলি। দাদা নাকি চকলেটও বাদ দিতো না। মা মনে করতো, মৃত্যুর আগে মানুষ বেতাল হয়ে যায়, বাচ্চাদের মতো আচরণ করে।

২.
আমি যখন হাইস্কুলে পড়ি, টিফিনে আমাকে পরোটা-ডিমভাজি কিংবা পাউরুটি-ডিমের bread omelette বানিয়ে দিতো মা। কখনও আটার মধ্যে চিনি আর কলা মেখে তেলে ভেজে ছোট পিঠা বানিয়ে দিতো। কিন্তু আমি খাবার নিজে বেশিরভাগ সময় খেতাম না। ফাহিমকে আমার বক্স দিয়ে আমি ফাহিমের রুটি-আলুভাজি খেতাম, কারণ আমার আসলেই কাকির আলুভাজিটা পছন্দ হতো।

ক্লাসে বিভিন্নজন (শাওন, শামিম, তুষারও সম্ভবত*) মজা করে আমার খাবার খেয়ে ফেলতো। শাওন আবার 'মনোয়ারের দোকানে' গেলে আমাকে দোকানের খাবার কিনে দিতো।

সম্ভবত, আমরা Aristocrat বলতে বুঝতাম শাওনকে। শিকদার পাম্পের কাছে দোকান ছিল শাওনের বাবার। ঢাকা-চিটাগং হাইওয়েতে মেঘনা ব্রিজের কঠিন জ্যাম থাকায় দোকানের বেচাবিক্রি ছিল তুঙ্গে। শাওন নিজে দোকানে বসতো। তাই আমাদের 'মামু টাইগার খান' বলে অল্পকিছু টাকা খরচ করা ছিল মামুলি ব্যাপার। পরবর্তীতে শাওনের বাবার একচেটিয়া সে ব্যাবসায় ধ্বস নামে (সম্ভবত)। কারণ পরবর্তীতে সেখানে চারটা দোকান হয়ে যায়।

৩.
একদিন সকালে সানজিদা মিস আমাকে বললেন, স্যার আপনি তো নিচে ক্লাস নেন। আমি বললাম, হ্যাঁ। ম্যাম বললো, ক্যান্টিন থেকে আমার নাম বলে কিছু খেয়ে নিবেন। আমি বললাম, মিস ক্যান্টিনে খাবো না। আপনার বাসায় দাওয়াত দিলে খেতে যাবো। আর যদি কখনও একই সময়ে ক্যান্টিনে যাই, তাহলে কিছু একটা আপনার কাছ থেকে খেয়ে নিবো। সমস্যা এটা না, সমস্যা হলো, সানজিদা মিসের খাবার অফারের পর আমি 'খাবার সংক্রান্ত' ভালো রকমের 'বিপাকে' পড়েছি। এখন মনে হচ্ছে আসলে কি সানজিদা মিস আমাকে খাবারের কথা বলেছে, নাকি আমি ভুল শুনেছি, নাকি মিস আমাকে কিছুই বলে নাই! এই সমস্যাটা কি deja vu?

৪. আমার ক্লাসে অ্যাঞ্জেলকে প্রতিদিন স্ন্যাকস আওয়ারে সারা'র পেছনে দৌড়াতে দেখি। সে কিছু একটা সারাকে শেয়ার করতে চায়, কারণ সারা তার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। কিন্তু সারা প্রতিদিন নিতে নারাজ। আমি তখন ধমক দিয়ে বলি, 'নাও! তুমি ওর বন্ধু দেখেই তোমাকে দিচ্ছে।’

৫. একদিন সকালে তিনজন টিচার দাঁড়িয়ে আছি। একবাচ্চা কেক নিয়ে এসেছে। নিন প্লিজ। কিন্তু একজন টিচার নিতে নারাজ। কেন নিবেন না, তার পেছনে হয়তো বহুদিনের কোনো গল্প আছে। আরেকজন টিচার বললেন, 'না, আমরা আজকে নিই, আজ ওর বার্থডে।' কেক নিয়ে খেলাম, না খেলে মন খারাপ করবে, বাচ্চা মানুষ।

এরপরদিন আরেকজন বাচ্চা আসলো— নিকো। আমাকে বক্স দিয়েছে খুলে দেওয়ার জন্য। খুলে দিলাম। ভেতরে Chicken nugget টাইপ কিছু। আমাকে বললো, স্যার আপনি একটা নেন। আমি বললাম, না বাবা তুমি খাও। স্যার প্লিইজজজ। নিলাম। খেতে খেতে তিনতলায় অফিসরুমে চলে গেলাম।

বসে আছি, নিচ থেকে কল আসলো। স্যার আপনার ক্লাসে নিকো'র খাবার সাইমন আর লিয়াম খেয়ে ফেলেছে। তাড়াতাড়ি আসেন। ওদের গার্ডিয়ানকে কল দেন। কী এক মুসিবত! গিয়ে দেখি মাশাআল্লাহ, ক্লাসে হুলস্থুল কাণ্ড। বাবা-মা আসবে ভয়ে দুজন কান্না করছে। আরেকজন সুন্দরমতো বলে দিচ্ছে, কীভাবে বন্ধুরা তার খাবার নিয়ে নিয়েছে। আমার পাশে আরেকজন মিস। আমি ভয়ে আছি, কখন বলে দেয়—স্যার একটা খেয়েছে। ব্যাপারটা বিব্রতকর হবে আমার জন্য।

তাও বাচ্চাদের কোনোরকম বুঝ দিয়ে উপরে চলে গেলাম। পরে আবার নিচে ক্লাস নিতে এসে মনে হলো, মিসকে বলে দিই, আমাকেও একটা দিয়েছে। মিসকে বললাম। মিস বললো, হ্যাঁ স্যার, ও বলেছে। আপনাকে দিয়েছে ১টা, ও খেয়েছে ৪টা, বাকি ৩টা দুজন নিয়ে নিছে। যা ভয় পাচ্ছিলাম, তা-ই হলো। বলে দিয়েছে মিসকে, আমি যে ১টা খেয়েছি।

চোখ-মুখ লাল হয়ে আছে। ক্লাস এইটে গেলাম একটা প্রক্সি ক্লাস নিতে। নতুন ক্লাস, মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, নিকো তো বাচ্চা মানুষ। বাসায় গিয়ে যদি একই স্টাইলে হিসাব দেয়— স্যার খেয়েছে ১টা, আমি ৪টা, ওরা ৩টা 🤣

এরপর থেকে বাচ্চারা খাবার অফার করলে বলি, বাবা আমার গ্যাস্ট্রিক। এজন্য দেখো না ম্যাংগোমিল্ক খাচ্ছি। ভাজাপোড়া খাবো না।

৬. বাচ্চাদের দেওয়া খাবার খাবেন না, খাইলে আপনি কট! বাচ্চাদের দেওয়া খাবার খাবেন, না খাইলেও আপনি কট! 🤣

আমার দাদা মরার আগে বয়সের ভুলে আমার খাবার খেয়ে ফেলতো। মা এখনও সেই গল্প বলে 😐

26/04/2024

বিসিএসে হয়ে গেলে কি সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে, দুঃখ-মনস্তাপ কমে যাবে, শরীর ঘামবে না, টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না, যৌনশক্তি বৃদ্ধি পাবে, বউয়ের ফাও প্যাঁচাল শুনতে হবে না, রাতে ভালো ঘুম হবে, গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে—এমন কিছু?

কোনোদিন আমি বিসিএস ক্যাডার হতে পারবো না, এই বিশ্বাস আমার দৃঢ়। অনেকে মনে মনে বলবেন, 'আঙুর ফল টক।' তবে আমার সামনে বাস্তবতা হলো— বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য কত কি.মি, আদমশুমারি কোন মাসের কত তারিখে হয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করা আমার পক্ষে কোনোদিন সম্ভব না।

পরিবার-পরিজন মনে করে জিনিসটা সোজা, কিন্তু আমি সহজ মনে করি না। ৬ মাস পড়তে পারলেও হতো, ৬ মিনিট ধৈর্য নাই আমার। আর এত বহুমুখী তথ্য মুখস্থ রাখার জন্য গুগল আছে, হোয়াই মি?

কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকার বই কিনেছি প্রিলির, ভার্সিটি ভর্তির পর থেকে, কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, সর্বমোট ১৫টা পৃষ্ঠাও আমি ঠিকঠাক শেষ করতে পারি নাই গত সাড়ে সাত বছরে।

১৩২০০ টাকা দিয়ে 'বিসিএস কনফিডেন্সে' ভর্তি হয়ে ৭ দিনও ক্লাস করি নাই। টাকা উশুল করার জন্য ২টা অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে শিটগুলো বাসায় এনে রেখেছি। একবার কারণ উল্লেখ করেছি, থিসিসের কারণে ৪ মাস অনুপস্থিত, আরেকবার ডেঙ্গুজ্বরের প্রেসক্রিপশন অ্যাটাচ করে অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছি। আমাকে বিশ্বাস করে শিটগুলো দিয়ে দিয়েছে ওরা।

আজিমপুরে যাওয়া, ঢাকায় থাকা পুরোটাই এক অর্থে লস প্রজেক্ট। তবে মনে হয়, আমার ঢাকাতে থাকার প্রয়োজন ছিল খুব। বেলাল আহমেদ রাজুর মতো কর্পোরেট একজন লোক সব ক্যাডারদের জন্ম দিচ্ছে, ভাবতেই অবাক লাগে। নেতিবাচক অর্থে না, ইতিবাচকভাবেই নিই বিষয়টাকে।

কিন্তু, কোচিং-এ যে ৭ দিন গিয়েছি, মনে হতো কারা পড়াচ্ছে এখানে? অনেকে ক্যাডার। তাহলে কোচিং-এ মাস্টরি করে কেন? ক্যাডার হলে তো তবে জীবন বদলে যায় না। আর যে লোকটা মুখস্থ লিখে যাচ্ছে, চর্যাপদের পদ সংখ্যা ৪৬.৬ টি (সাড়ে ৪৬ না), এই চুলচেরা বিশ্লেষণের কাজ সাহিত্যেরও না, সাহিত্যতাত্ত্বিকেরও না। তারপরও যদি নতুন কিছু শিখতে পারি, এই আশায় গেলাম কতবার৷ আমার মন টানলো না।

মাঝেমাঝে টেবিলের বইগুলো দেখলে মনে হয়, শুরু করি। আবার মনে হয়, সব কাজ সবাইকে দিয়ে হয় না। যতদিন চাপার জোর আছে, মাস্টরি করে কয়টা টাকা ইনকাম করবো। বউ বেশি ঘ্যাংঘুং করলে বলবো, বেশি টাকা লাগলে কামাইয়া খা। আমি এর বেশি দিতে পারি না।

25/04/2024

BSL is engaging in a country-wide tree planting initiative across Bangladesh. Despite it not being the rainy season, we remain hopeful that they will properly nurture the young trees. It's admirable that they are emerging from the darkness, and we should acknowledge their efforts.

#ছাত্রলীগ

21/04/2024

"When you love you should not say, ‘God is in my heart, ‘but rather, ‘I am in the heart of God.’

তুমি যখন ভালোবাসো তখন ‘বিধাতা আমার হৃদয়ে আসীন’ এ কথা না বলে, তুমি বরং বলো, ‘আমি বিধাতার হৃদয়ে আসীন’।

কবিতা: তাবরিজিলেখা: Sourav Tabrizi  লোকে বলতো তাবরিজি জামানার শ্রেষ্ঠ কবিযদিও জঙ্গম, স্থাবর ও সঙ্গমেরপার্থক্য তার জানা ছ...
18/04/2024

কবিতা: তাবরিজি
লেখা: Sourav Tabrizi

লোকে বলতো তাবরিজি জামানার শ্রেষ্ঠ কবি
যদিও জঙ্গম, স্থাবর ও সঙ্গমের
পার্থক্য তার জানা ছিল না;
তার কবিতা কখনো শায়েরি
হয়ে ওঠেনি— হয়ে ওঠেনি গজল;
মহাকাব্য না লিখেও তিনি ছিলেন
হোমারের চেয়ে বড়
কিন্তু ফেরদৌসী আর জামীর চেয়ে ছোট।

আব্দুল আজিজ লেনের কোনো
ঘিঞ্জি বারান্দায় সিগারেট ফুঁকতে
দেখা যায়নি কবিকে।
তবু লোকে বলে তিনি মদ্যপ
কবিরাজ হতে গিয়ে যিনি
কবি হয়েছেন, ডাক্তারি করতে না পেরে
খুলে বসেছেন দাওয়াখানা
অথচ সাইনবোর্ডে লেখা—
অটোমোবাইল সার্জারি— মোটর মেকানিক।

কোন বৃষ্টির ফোঁটা স্থান পায়নি কবিবাক্যে
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে
মেঘ নেমে এলে
টোলপ্লাজায় জমা caution
বারবার কানে কানে বলে যেতো
Drive slowly, Live Happily
অথচ ড্রাইভার জানতেন না
ওয়েস্ট-জার্মানিক ভাষা।
তার পুরোনো রেকর্ডে কেবল
খেই হারাতো গালিবের গান
‘য়া রব, জামানা মুঝকো মিটাতা হেই কিসলিয়ে’
খোদা, সময় আমাকে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে।

শায়িত নগণ্য কার্পেট
ইরানের কোনো নির্মল ফ্লোরে
এক করুণ মখমল, তুমি তো জানো
জামানার শেষপ্রান্তের প্রাচীরে
শেষ ইট গাঁথতে গেলে
শেষতম বালুকণাও জানে— তাবরিজি বলে
কিছু নেই
আছে মহাপ্রভু, সত্যনিত্য।

হাওয়ায় ঘনমেঘ
কেন বিদীর্ণ-বিশুষ্ক লেন
গেয়ে ওঠে অচেনা সন্ধ্যা
মুক্তি নেই আজিজ লেন, কে কবে পেয়েছে মুক্তি
সব ব্যর্থ কবিবিলাস!

Wow! My review got shared by Vicky! Remember to catch 'Rumi'!
14/04/2024

Wow! My review got shared by Vicky! Remember to catch 'Rumi'!

ঈদ মানে সম্ভবত এই ছবিটা!
11/04/2024

ঈদ মানে সম্ভবত এই ছবিটা!

ঈদসংখ্যা! অথচ ঈদের কোনো ছাপ কাভারে খুঁজে পাবেন না। তাদের মগজ-মস্তিস্ক কিছু একটাতে নিবদ্ধ; পেঁচা-পাখি-টিপ-লতাপাতা-নকশার ব...
10/04/2024

ঈদসংখ্যা! অথচ ঈদের কোনো ছাপ কাভারে খুঁজে পাবেন না। তাদের মগজ-মস্তিস্ক কিছু একটাতে নিবদ্ধ; পেঁচা-পাখি-টিপ-লতাপাতা-নকশার বাইরে এরা চিন্তা করতে পারে না। ঈদ মানে যে সেমাই-ফিরনি, ঈদ মানে যে কোলাকুলি-জায়নামাজ, ঈদ মানে যে খুশবো-আতর, ঈদ মানে যে ঈদগাহ-পাঞ্জাবি, ঈদ মানে যে উল্লাস, এগুলোর কিছুই নাই। কিছু বিক্ষিপ্ত মগজ শাহবাগের মণিকুট্টিমে কেন যে গড়াগড়ি করে, আমি এখনও জানি না।

এরা কী চায়? ওদের ছোটমাথা কি সংস্কৃতির মানে জানে? কেউ ওদেরকে বলুক, বাঙালি মুসলমানের ঈদ মানে কী! আমার বয়স নিতান্ত অল্প। আমার ২৬ বছর বয়স বলে, ওদের প্রচ্ছদে যা থাকে, তা আমাদের ঈদ না, আমাদের সাহিত্যও না। এগুলো নতুন প্রডাক্ট!

10/04/2024

'এই দিন না সেই দিন, রাত পোহাইলে ঈদের দিন'— এই স্লোগান দিতে দিতে পুরো পাড়ায় টহল দেয়া ছিল আমাদের ঈদ! টিভির অ্যান্টেনায় তৈরি বো-ম্ব, আর সাইকেলের চাকার শিক দিয়ে বানানো পটকা, লা-দেন বো-মা ফোটানো-ই ছিল নতুন চাঁদের প্রতি আমাদের প্রধান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।

ঈদের আগে নতুন জামা কয়বার ট্রায়াল দিতাম, হিসেব নাই। কিন্তু প্রতিবার মনে হতো শার্ট আর জুতা বড়। একই জামা-কাপড়ে কুরবানির ঈদ পালন করার জন্য মায়ের সুদুরপ্রসারী চিন্তা প্রতিবারই আমাকে ঝামেলায় ফেলে দিতো!

ঈদের সকালে নামাজের জন্য মায়ের চিল্লাচিল্লি শোনা আর নারকেল কোরানো আমার একমাত্র দায়িত্ব। সেমাই কবে নুডলস হয়ে গেছে, মনে নেই। নুডলস ভালো লাগে এখনও, বড়বেলায়।

ঈদগাহ-তে ভ্রাম্যমাণ দোকান আর 'খালার আচার', ঠাস ঠাস রঙিলা আইস্ক্রিম আমাকে টানতো খুব। ১০/২০ টাকা ফকিরদের দিতে পারলে নিজেকে খুব বড়লোক মনে হতো। নামাজ পড়ে জাহিদের বাসায় যাওয়া, রাজুদের বাসায় আনা, এখনও মনে পড়ে।

আরেকটু বড় হওয়ার পর যখন পথঘাট চিনি, তখন নানুবাড়িতে যাওয়া ছিল ঈদের দিনের অন্যতম আকর্ষণ! আন্টিরা সবাই নতুন টাকার নোট দিতো, খুশিমনে আরসি আর জুস খাওয়া যেতো। দাদির কথা না বললে হয়তো পাপ হবে! আমি সবচেয়ে বেশি সালামি পেতাম এই মানুষটার কাছে। আমাকে লুকিয়ে বড় নোট দেয়া ছিল, তার খরচের প্রধান মাধ্যম। দাদি এখন কোন কবরে ঘুমিয়ে আছে, আর আমি তার খাটে শুয়ে লিখছি পুরোনো আখ্যান।

লটারি আমি তেমন বেশি জিতিনি, ৫/১০ টাকার চাকতি ঘুরিয়ে সারাজীবন টাকা হারিয়েছি। তবে মাঝে মাঝে হুইল সাবান পেতাম, টাইগার পেতাম।

হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার পর 'মেঘনা ভিলেজ পার্কে'র সামনে শতশত মানুষের ভিড় ঠেলে মাগনা ঢুকতে পারাটা ছিল আনন্দের। শাওন-শামিমরা এন্ট্রি টিকেটের টাকাটা বাঁচিয়ে দিতো।

ভার্সিটিতে সালামি চাইতাম। টাকা পেতাম কিনা, মনে নেই। তবে একটু সিনিয়র হওয়ার পর টাকা রেডি রাখতে হতো। যারা সালামি চাইতো, তারাও এখন বড় হয়ে গেছে। অনেকের পড়াশোনা শেষ পর্যায়ে।

এখনকার সময়টা অন্যরকম। এখন মাথায় আসে সবচেয়ে ছোট স্টুডেন্টদের কথা, ওদেরকে কীভাবে উইশ করা যায়। যারা ভয়েসরেকর্ডে উইশ করে, কী রিপ্লাই দিবো, ভেবে কূল পাই না। ওরা কী বোঝে, কী বোঝে না, এটা বুঝতেই লেগে গেছে অনেকদিন।

ক্লাস ওয়ানে একদিন গিয়েছি। স্যার একটা গান শোনাতে হবে। আমি তব্দা মেরে আছি। ওরা যে টাইপ গান বোঝে, আমি ওসব জানি না। সাপোর্ট টিচার বললেন, স্যার যেকোনো একটা অল্প করে গেয়ে শোনান। আমি বলি, কী মুসিবত! অনেক কষ্টে সামলে নিয়েছি। একজনকে বললাম, বাবা তুমি আজ গেয়ে শোনাও, স্যার কাল গাইবে। 'ঝিকমিক ট্রেন চলে রে...' টাইপ কিছু একটা গেয়ে শোনালো! আমি চিন্তা করি, কী দারুণ ওরা! এই বয়সীরা ভয়েসনোট দিলে কী উত্তর দিবো, তব্দা খাই।

ক্লাস ফোরে একদিন প্রক্সি দিতে গেলাম। মাশাআল্লাহ তিনজোড়া মারামারি। তিনজন তিনজনকে ফ্লোরে শুইয়ে দিয়েছে চোখের সামনেই 🫤 ওদের মনস্তত্ত্ব বোঝা কঠিন। ঈদ ওদের কাছে কী, তা জানি না। তবে নিশ্চয়ই নতুন জামার সাথে সানগ্লাসে ঈদ জমে ক্ষীর!

একজন ফোনে বললো, স্যার আমাদের বাসায় আপনার দাওয়াত। এই দাওয়াতের প্রত্যুত্তরে কী বলবো জানি না।

আসসালামু আলাইকুম স্যার, ঈদ মোবারক! আমিও বাতাসে বলে ফেলি, তোমাদেরকেও ঈদ মোবারক! এরপর কী বলতে হয় জানি না। ঈদ মানে ঈদ। এটা জানি, একদিন সবাই বড় হলে ঈদ থেমে যাবে বেডরুমে। তারপরও বাইরে কিছু লা-দেন বো-ম্ব ফাটুক। আমি চাই আমার পাড়ায় নেমে আসুক মিছিলের বৃষ্টি, “এই দিন না সেই দিন, রাত পোহাইলে ঈদের দিন!”

শব্দ কথা বলে। শব্দের অনুভূতি এক একটা শিশিরের মতো। পলিথিনে মোড়ানো তাঁবুর নিচে, জমজমাট বরফের কাঁথায় শুয়েই কেবল টের পাওয়া য...
30/03/2024

শব্দ কথা বলে। শব্দের অনুভূতি এক একটা শিশিরের মতো। পলিথিনে মোড়ানো তাঁবুর নিচে, জমজমাট বরফের কাঁথায় শুয়েই কেবল টের পাওয়া যায়। মহলের বাসিন্দারা টের পায় না। এই কবিতাটা পড়তে গেলে আমার অবসন্ন লাগে।

আমি যখন লিখে ফেলি, 'দূরচারী, তার ঘ্রাণ', এই ঘ্রাণ আমাকে ব্যাকুল করে ফেলে। প্রেয়সীরা জড়ো হয় আমার আঙিনায়। আমার স্মৃতিতে মিশে যায় প্রতিবিন্দু ঘামের ব্যাকুলতা। 'নদীপাড়ে টুকরো ব্যথা' যে ঠিক কী, আমি কখনও জানতে পারি না। শুধু মনে হয়, আমার কিশোরবেলার পানকৌড়িটা এখনও ডুবছে, ভাসছে, আবার ডুবছে, আবার ভাসছে। 'কসম' আঁকড়ে বেঁচে থাকি, কথা দেয়া-নেয়ার মাঝে। আমি কি নদীকে ভালোবাসি, না তোমাকে? আজো জানতে পারি না! কিন্তু বিশ্বাস করো, 'কসম, আজও ভালোবাসি....'

৩০ মার্চ, ২০২৪
দূরচারী, তার ঘ্রাণ- এখনও কি ভেসে আসে
নদীপাড়ে টুকরো ব্যথার মতো?
এখনও কি ঠায় বসে থাকা বিবর্ণ বিকেল
মৃতপ্রায় স্মৃতি হয়ে গল্প ভাসে
নোনা জলে?

এখনও কি ডুবসাঁতারে হেরে গেলে
জলচোখে সাঁতারু তীব্র বিষে
পানকৌড়ি ঠোঁট, নীরব বেদনা- আক্ষেপ জমে
তীর ছুঁয়ে বসে থাকে?

এখনও কি কসম, কথা দেয়া-নেয়া
হাতে রাখা হাত
শরীরের মৃদু ঘ্রাণ
বিস্মৃত জীবন— উপকূলে আছড়ে পড়ে?

সাঁতারু ভালোবাসে আজো জল
আজো নোনাচোখে অতীতি সুর
আজো আকণ্ঠ জুড়ে জলের ঘ্রাণ
আজো এপাড়ে বসে ওপাড়ের গান!

নদী, তোমারে আজো ভালোবাসি, কসম।
(সম্ভবত ২০২০/২১ সালের লেখা)

24/03/2024

Japan-Bangladesh Exchange Program-2024

এই ঘুম ঘুম খেয়ালি চোখেবোকা রেস্তোরাঁ, ফিনফিন সাদা দুঃখে,ভরপেট জ্যোৎস্না নিয়ে হাপিত্যেশ করি;এ শহর হাওয়া হয়ে যায়, ঈগলের নখ...
08/03/2024

এই ঘুম ঘুম খেয়ালি চোখে
বোকা রেস্তোরাঁ, ফিনফিন সাদা দুঃখে,
ভরপেট জ্যোৎস্না নিয়ে হাপিত্যেশ করি;
এ শহর হাওয়া হয়ে যায়, ঈগলের নখ এসে ছিঁড়ে নেয় রাতের ঘুম।

ঝিমঋম বোকা দেয়ালে, জানলার ফাঁকে
দেখা যায় মৃতনগর,
সরলরেখা চিরে এঁকে যায় কতো খেয়ালি তীর
কতো ক্রুশ-যীশু সৌরভ গোমেজ এই সোনালি রাতের শেষে
কি জানি কি ভীষণ অভিশাপে
ন্যারো গলিতে খোঁজে মহান ঈশ্বর!

আমি ভেবে না পাই, দুঃখ ছুঁয়ে ইতস্তত
ল্যাম্পপোস্ট সাজাই, সারি সারি দূর আলো; আলো পথ
হেঁটে যাই আকাশের মেঘে
যদি পাই, শুনতে পাই অমোঘ প্রফেসি।

আমি হেঁটে যাই এইসব নীল মাঠ, ইরাকি বিকেল
ইডেন অথবা স্বর্গের সিঁড়ি
ব্যাকপেইন অথবা স্ট্রেইন পেছনের জানালায় এসে
কতো ভ্রান্তি, কতো ব্যথা ফিকে হয়ে
বিকেল গড়িয়ে ধূসর রাত হয়ে যায়। আমি খুঁজি
পুরোনো বই, গন্ধের ভিড়ে খুঁজি পিঁপড়ের দল
তবু চাঁদ ডুবে যায়। তবু জেগে থাকে এই নিঃসীম সড়ক,
টেল অব টু সিটিজ।

06/03/2024

মার্কেসের 'নিঃসঙ্গতার একশ বছর' উপন্যাসের প্রথম লাইনটা আমার মাথায় হুট করে চলে আসে। কেন নোবেল পেলেন মার্কেস—এই কথনভঙ্গির জন্যই তো?

“বহু বছর পর, ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়িয়ে কর্নেল অরেলিয়ানো বুয়েন্দিয়ার মনে পড়ে যাবে সেই দূর বিকেলের কথা, যেদিন তাকে সঙ্গে নিয়ে বরফ আবিষ্কার করেছিল তার বাবা।”

'ফায়ারিং স্কোয়াডে' দাঁড়িয়ে একজন কর্নেলের (মানুষের) 'বাবার সাথে ছোটবেলায় বরফ দেখতে যাওয়া'র কথাও যে মনে হতে পারে— এটাই হলো জীবন। আমাদের কখন কোন স্মৃতি মনে পড়বে, আমরা জানি না। জীবনের বিশেষ কোনো মুহূর্তে মানুষের মনে বিশেষ স্মৃতি আঘাত করে।

আমি তখন সিক্স কি সেভেনে পড়ি। বাচ্চা মানুষ। মিজান নামে আমাদের স্কুলে একজন নতুন স্যার আসেন। ওনাকে আমি অনেক আজগুবি প্রশ্ন করতে থাকি। 'স্যার, উড়োজাহাজের আবিষ্কারক কে? স্যার, ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত কয়টা '১' আছে? ১০ সেকেন্ডে সময়, এর মধ্যে বলতে হবে৷'

স্যার বিব্রত হয়ে পড়েন। আমি খুশি, কারণ স্যার প্রশ্নগুলোর উত্তর জানেন না। স্যার হতে হলে সব জানতে হয়, যেভাবে ছোট মেয়ের কাছে তার বাবাই 'একমাত্র সবজান্তা' মানুষ। কিন্তু আমি দেখলাম, সব স্যাররা সবকিছু জানেন, একমাত্র মিজান স্যার অনেককিছু জানেন না। তখন এমনই ছিল আমার ধারণা।

মিজান স্যার আমাকে তখন বলেছিলেন, মনে হচ্ছে তুমি আমার মাথায় বন্দুক রেখে বলছো, 'বলেন, নয়তো গুলি করবো।' মিজান স্যারকে আমি ফায়ারিং স্কোয়াডে রেখেছিলাম আমার অজান্তেই। স্যার অবশ্য সরকারি চাকরি পেয়ে স্কুল থেকে চলে যান। খুব বেশি ক্লাস পাইনি।

এখন মাঝে মাঝে আমি নিজেকে ফায়ারিং স্কোয়াডে আবিষ্কার করি। স্যার, আপনি এইটা কী কাটিং দিলেন? স্যার, আপনি কি ভ্রুও কেটে ফেলেছেন? স্যার আপনাকে কি 'ভাইয়া স্যার' বলবো? স্যার....

আর অভিভাবক ফোন দিয়ে বলেন: 'স্যার, ওই দুজন আমার বাচ্চা'। একজন থ্রিতে, একজন ইলেভেনে।' ওরা কেমন স্যার? ক্লাসে কেমন পারফর্ম করে?’ আমি থ' মেরে যাই। আমি তো আসলেই জানি না। এই প্রশ্নের উত্তর তো আমার কাছে নাই। 😓 কারণ আমি এদেরকে চিনি না। চিনলেও নাম জানি না। নাম শুনলেও ইনস্ট্যান্ট শতজনের মধ্যে সর্টআউট করতে পারি না। একজনকে চিনতে পারলে আরেকজনকে খুঁজে পাই না।

'স্যার, আমার ছেলেটা পরীক্ষায় কেমন করেছে আজকে?' প্রায় শ'খানেকের মধ্যে কে কেমন করেছে, এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন আমার জন্য। আমি ইনিয়ে বিনিয়ে কীসব বলি। 'হ্যাঁ হ্যাঁ, সব বাচ্চারাই ভালো'। এখন তো নতুন কারিকুলাম। সবাই গ্রুপ-ওয়ার্ক করছে... পরীক্ষা নিয়ে এত চিন্তা করবেন না। যা শিখছে, আলহামদুলিল্লাহ!'

শিক্ষকতায় নামলে দেখবেন একঝাঁক উৎসুক জনতা আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনি নিয়মিতভাবে নিজেকে ফায়ারিং স্কোয়াডে আবিষ্কার করবেন। আপনার মনে পরে যাবে দূর অতীতের কথা...

নতুন স্যার, 'ষাট গম্বুজ মসজিদ' টাইটেলটা বোর্ডে লিখেন। ৫ মিনিট পড়ান—

'Shat Gambuj Mosque
Shhat Gonbuj Mosque
Shat Gambuz Mosque
Shat Gombuz Mosque
Shat Gombooz Mosque
Shat Gambuz Masjid
Shatt Gombuz Mosjid
Sixty Dome Mosque 🫤

২৯ জানুয়ারি ২০২১ সালে এই কবিতাটা লিখি৷ আঙ্কেল মালয়েশিয়াতে মারা যান। কফিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা। চারদিন হয়ে গেছে, কোনো খব...
29/02/2024

২৯ জানুয়ারি ২০২১ সালে এই কবিতাটা লিখি৷ আঙ্কেল মালয়েশিয়াতে মারা যান। কফিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা। চারদিন হয়ে গেছে, কোনো খবর নাই। চন্দনা মেসেজ দিলো, ‘ভাইয়া, মনে হইতাছে মহাকাশে আছি, সময় ফুরায় না।’ তখন মনে হলো মেয়ের জবানিতে বাপের নামে একটা কবিতা হইতে পারে। কিন্তু, আজকে মনে হচ্ছে, বাপের জবানিতে ছেলের নামে একটা কবিতা হওয়া দরকার। মেহেরাব মারা গেছে, আমাদের কলেজ-ছাত্র। ক্লাস করে ফেরার সময় অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে৷ কিন্তু কারো কোনো অনুভূতি নাই। আমার মনে হচ্ছে ছেলের বাবা বুঝতে পারবে, মহাকাশে থাকার মানেটা কী! সময় তারও ফুরাবে না। আমরা কিছু বলবো না। চুপ! অপ্রকৃতিস্থ লাগছে সব।
শতাব্দী দীর্ঘায়িত!
আকাশের বা' কোণে উড়ে যায় কতক পাখি
তারাদের কালো মুখে বৃষ্টি
ধুয়ে যায় চেনা জনপদ,
শীতল মেঝেতে অনুভূতিহীন পা
আলুলায়িত; চমকে উঠি রক্তের প্রবাহ সুরে।

নড়েচড়ে ওঠে পোষক পরজীবি
থেমে যাওয়া দেহের আড়ালে
সময় বেড়ে যায় প্রান্তর ছাড়িয়ে-
কালের সীমারেখা পিছু ফেলে
চলে যায় মহাকাশে।

পাহাড় ছুঁতে পায় না মেঘ
নদী বহুদূরে, সমুদ্র একা
খসে পড়া তারাদের লঙ্ঘিত আসন
শূন্য পড়ে থাকে- শূন্যতা প্রান্তরে।

ঘরে ফেরে কলের মানুষ
ফেরে আদিমতম কৃষক,
শিশুদের সান্ধ্য উচ্ছ্বাস ঘরে ফেরে
আর যারা হারিয়ে গেছে বহুকালের পুরোনো মেলায়
ফিরে আসে রাত্রিরও আগেভাগে।
বাবা ফেরে না
মৃত বাবাও ফেরে না
দূর প্রবাস, অপেক্ষা, অপেক্ষা!
একটি কফিন, ঘুমন্ত বাবার বাড়ি ফেরা!

নিয়ম করে বেঁচে থাকা, আর—দিনাত্যয় হিশেব-নিকেশ, যদি এলোমেলোচেপে ধরে শ্বাস- এক বোবা জ্বিনকোহেকাফ থেকে আসে আমারই ঘরে।চিৎকারে...
28/02/2024

নিয়ম করে বেঁচে থাকা, আর—
দিনাত্যয় হিশেব-নিকেশ, যদি এলোমেলো
চেপে ধরে শ্বাস- এক বোবা জ্বিন
কোহেকাফ থেকে আসে আমারই ঘরে।

চিৎকারে মৃত ব্যথা, আর যতো শোককথা তিমির-কালো ছায়া, শুকনো পিচে,
নগরীর দেহে-দেহে, ভরে গেছে সব
জ্বিনেদের স্বর; কেউ নেই আশপাশে।

ভাঙা বাড়ি চিরে মুঘল-ব্রিটিশ
দেয়াল শ্যাওলা জমে চুপসানো বুকে,
হৃদয় চিরে প্যাঁচানো বটগাছ—
শেষ পাখি উড়ে যায় ডাল ছেড়ে।

কি জানি যন্ত্রণা, কি পেলে সান্ত্বনা
চেপে দেখি মন্ত্রণা- মিছে আশ্বাসে,
ভুল হয় কবিগানে, শায়েরের অপমানে
চল জ্বীন নিয়ে চল, কোহেকাফ কোনখানে?

লাল পাহাড়, বিবশ হাত, নীল জলের থেকে দূরেপরিধির তেপান্তর-অন্তর, মন্ত্রনা ছুঁড়েক্রমশ দূরে যাই,হারাই, ফেলে আসা রাস্তা-পিচ যা...
27/02/2024

লাল পাহাড়, বিবশ হাত, নীল জলের থেকে দূরে
পরিধির তেপান্তর-অন্তর, মন্ত্রনা ছুঁড়ে
ক্রমশ দূরে যাই,
হারাই, ফেলে আসা রাস্তা-পিচ যায় সরে। সুরকি-অভিমান অবক্ষয় নিয়মে
হারাতে হারাতে একদিন
এ পথে আর আসা হবে না ফিরে।

এই সব স্থিতি ধ্রুব ছিল না কোনোদিন
ধ্রুপদী যত সুর সত্য নয়— মিথ্যের মতো
ঠুনকো গানে কেবলই আশা মেখে
হতাশার নগরী, বিলবোর্ড এনে দেয়।

আমি মেঘ ছুঁয়ে প্রার্থনা করি
আকাশ যেন হয়।
কেন মিছে সব ঘন অন্ধকার রাত্রির মতো
ঘোলা জলে যায়, ভাসে হলদে পাতার মৃত্যু ছুঁয়ে।

একদিন ফিরে যাই যদি শীত ভোরে
নগ্ন হৃদয়ে আমার আমি; কান্না ভীষণ
ফুল নেই, পাতা নেই
বিপন্ন গাছে— শিশিরে ভেজা কাক
নেমে আসে, শুষ্ক স্বরে কয়ে চলে
যেও না, থেকে যাও
মিনতি তোমার রক্ত-পায়ে।

খাঁচায় না ডালে?
22/02/2024

খাঁচায় না ডালে?

21/02/2024

সকালের শীতে বের হওয়া, আর প্রভাতফেরির ভিডিও করা শেষে ঘেমে যাওয়া প্রহর! জীবন একটা জার্নি। চলো! এরপর নতুন দিনের জন্য অপেক্ষা করো...

২০২০ সালের ভিডিও; আমি, মিজান, মাহমুদুল মিলে করেছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি না, এটা ভাবতেই কত শূন্যতা। দিন তো চলেই যায় কতভাবে! তবু, একটা কিন্তু রয়ে যায়...

একুশ!
21/02/2024

একুশ!

বাংলা পরিবার ❤️(শোকসভায় হাসির অপরাধে আমার ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি)
21/02/2024

বাংলা পরিবার ❤️
(শোকসভায় হাসির অপরাধে আমার ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি)

—স্যার, আপনাকে আমি দেখি!—কোথায় দেখো?—স্যার হাঁটতে দেখি।—আচ্ছা।—স্যার, একটা কথা!—বলো।—ললিপপ; পেছনে লাইট জ্বলে। চেনেন?—হ্য...
12/02/2024

—স্যার, আপনাকে আমি দেখি!
—কোথায় দেখো?
—স্যার হাঁটতে দেখি।
—আচ্ছা।
—স্যার, একটা কথা!
—বলো।
—ললিপপ; পেছনে লাইট জ্বলে। চেনেন?
—হ্যাঁ চিনি (আন্দাজেই)।
—স্যার আমি না আজকে লাইট জ্বালাতে পারছি। আগে অনেকবার চেষ্টা করে পারিনি।
—আরেহ বাহ 😐

আমার ঘরে শো-কেসের উপরে মা অনেককিছু রাখতো। সেই সাদাকালো টিভি। ওয়াল-ক্লথের নিচে টাকা; নাগাল পেতাম না। চিন্তা হতো, কবে বড় হবো? একটু যখন হাইট বাড়লো, শোকেসের নিচের বেজেলে পা দিয়ে উপরে দেখতাম, মায়ের টাকা নিয়ে যেতাম।

তারপর নিজেকে নিজেই অবাক করে দিয়ে বড় হয়ে যাওয়া, শোকেসের উপরটা দেখতে পাওয়া— সেদিন হয়তো আমার ললিপপের পেছনে লাইট জ্বালাতে পারার অনুভূতি হয়েছিল। সেই শোকেস এখনও আছে— আমার পায়ের চাপে বেঁকে যাওয়া স্টিল এখনও ঠিকঠাক গ্লাসটাকে লাগতে দেয় না।

আমি বাচ্চাদের অবাক করে দিতে পারি না, কিংবা পারি। তবে প্রতিনিয়ত অবাক হই। কীভাবে তারা চিন্তা করে, কীভাবে এক্সপ্রেস করে, কীভাবে তারা অনুভব করে।

'স্যার, গতকাল আমার বার্থডে ছিল, আপনার জন্য চকলেট', 'স্যার আমার ভাই হয়েছে, মিষ্টি', 'স্যার আমার সাথে খাবেন প্লিজ', 'স্যার, কখন খেলতে যাবো', 'স্যার টিফিন দিবেন না', 'স্যার, আপনি তো মেয়েদেরকেই বলতে দেন', 'স্যার, আমি বলবো', 'নুনুতে লাথি দিছে, স্যার', 'স্যার, আমাকে গু বলেছে', 'স্যার আমাকে একটা লাঠি দেন, ওরা আমার কথা শুনছে না, পিটাইয়া ঠিক করে ফেলবো'।

ছোট এক বাচ্চা প্যান্ট খুলতে না পেরে ডাকে, 'স্যার, আপনি আমার প্যান্টটা একটু খুলে দেন না।'
তুমি কোন ক্লাসের বাবা? স্যার আমি ক্লাস ওয়ানে। সেকশন কোনটা? ক্লাস টিচার কে? এসব প্রশ্ন করতে করতে মনে হলো, এখনই প্যান্ট ধ্বংস করে ফেলবে।
—আচ্ছা বাবা, খুলে দিচ্ছি।
—স্যার, আপনি একটু থাকেন। আমার প্যান্ট পরতে হবে 😒

বড়রা এদের চেয়ে আলাদা। ক্লাসে যখন বলি, 'হে মানবজাতি, হট্টগোল করিও না।' ওরা হয়তো বোঝে, কিংবা বোঝে না। জিজ্ঞেস করে? স্যার, আপনিও তো মানবজাতি। হ্যাঁ, আমরা সবাই।
'আমরা কীসে বিশ্বাসী?'
'স্যার, আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী।'

লেকচার দেয়া, আর বিটিএস বান্দাদের বড় করা দুটো আলাদা জিনিস। বড়দের পড়ানো আর ছোটদের পড়ানোতে তফাত। একবারে প্লে-নার্সারির বাচ্চাদের দেখলে আমি দাঁড়াই। টানা ১০/১৫ টা সালাম আর গুড মর্নিং শুনতে ভালো লাগে।

বড়দের ক্লাসে 'গুড বায়' কখন হুমায়ূন আহমেদের 'মারলেঙ্গি' হয়ে যায় আর কখন 'তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা'র 'তোমাকে' নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে, সেসব উপাখ্যান আলাদা। আর.কে নারায়ণের Under the Banyan Tree'র গল্প কোন মুগ্ধতায় বড়রা শোনে, তা জানি না। কিন্তু আমার ভাঙা গলার ফাঁকে, এটাই হয়তো বলি— যতদিন পাই ভাঙা গলায় প্রাণের স্বর, সব কথা জেনো, কথার বর; এই সুন্দরের গান—

“It is the Mother who gives the gifts; and it is she who takes away the gifts. Nambi is a dotard. He speaks when the Mother has anything to say. He is struck dumb when she has nothing to say. But what is the use of the jasmine when it has lost its scent? What is the lamp for when all the oil is gone? Goddess be thanked… These are my last words on this earth; and this is my greatest story.”

নারায়ণকুল, গাজীপুর
এই শীতে...

07/02/2024

রোজকার নিয়ম | সৌরভ তাবরিজি

ইজতেমা ২০২৪
04/02/2024

ইজতেমা ২০২৪

মহাজীবন, কত মুখ, কত চলার পথ, কত পথের চলা...
01/01/2024

মহাজীবন, কত মুখ, কত চলার পথ, কত পথের চলা...

মানুষ যার প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করে, তাকে সুপার-হিউম্যান ভাবতে শুরু করে। কিন্তু দিনশেষে সে-ও মানুষ। কাছে গেলেই দেখবেন সব দৌ...
29/12/2023

মানুষ যার প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করে, তাকে সুপার-হিউম্যান ভাবতে শুরু করে। কিন্তু দিনশেষে সে-ও মানুষ। কাছে গেলেই দেখবেন সব দৌর্বল্য, অহম, হিংসা, দ্বেষ, ঘৃণার বেড়াজালে জড়িয়ে আছে সে! এমনকি রুলস অব বিহেভিয়ার তার আয়ত্তে নয়। তখন আর তাকে রেসপেক্ট করতে ইচ্ছে করবে না।

আমি বিশ্বাস করি, আমি এ জীবনে কারো ফ্যান হতে পারবো না, কারণ আমি 'মহাপুরুষ' প্রতীতির পক্ষপাতী নই।

10/12/2023

ব্যথার ডাস ক্যাপিটাল
লেখা: সৌরভ তাবরিজি

18/08/2023

প্রতিমন্ত্রী পলক তার জায়গা থেকে কিছু ভালো কাজ করছেন। গ্রামপর্যায়ে পাবলিকের সাথে সকল জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি কথা বললে, সমস্যা-সংকট সমাধান করলে তাদের ইমেজ ফিরবে।

17/08/2023

লো বাজেটে বুড়িগঙ্গা দেখতে চাইছিলাম। এরপর কপালে যা জুটলো।

খুব ইচ্ছা ছিলো বুড়িগঙ্গা দেখবো। আজ বিকেলে রুমে বন্দি বন্দি লাগছিলো। ভাবলাম, ঘুরে আসলে ভাল্লাগবে। মেসের নয়া ফ্রেন্ড নাসিম-আল আমিনকে বললাম, সদরঘাট ছাড়া বুড়িগঙ্গা দেখার ওয়ে নাই? তারা দুজন বললো, বিজিবি সিনেমা হল ধরে সোজা হাঁটলে শিকসন হয়ে, সামনে বুড়িগঙ্গা।

হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে বুড়িগঙ্গা পাইলাম 🫤
আমার লাভ-লস নাই, জীবনডাই লস!

08/08/2023

গান ১০০ বার শুনে গজল বানালেই কনফার্ম জান্নাত!

প্রিয়তমা গানের সুরে গজল #গজল

Address

Cumilla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sourav Tabrizi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sourav Tabrizi:

Videos

Share


Other Cumilla media companies

Show All

You may also like