26/06/2020
অবশ্যই মন দিয়ে পড়বেনঃ-
#যারা খুব বেশি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন না, তাদের জন্য সহজ একটি আমল:
----
(১) সুরা ইখলাস তিনবার পড়লে একবার কুরআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়ঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা ক্বুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।”
(সহীহ মুসলিমঃ ৮১২, তিরমিযীঃ ২৮৯৯।)
(২) সুরা ইখলাস দশবার পড়ার ফযীলতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস দশ বার পড়বে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে বিশ বার পড়বে তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরী করবেন, যে ত্রিশ বার পড়বে তার জন্য আল্লাহ তিনটি প্রাসাদ তৈরী করবেন।”
(দারিমীঃ ৩৪৯২, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৮৯।)
(৩) রাতের বেলা সুরা ইখলাস পড়া মুস্তাহাবঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, “তোমরা কি রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে পারনা?” প্রস্তাবটি সাহাবাদের কাছে কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! আমাদের মধ্যে এই কাজ কে করতে পারবে?” নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহা’দ, আল্লাহুস স্বামাদ (সুরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।” (অর্থাৎ, এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।) (সহীহ বুখারীঃ ৫০১৫, নাসায়ীঃ ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১।)
(৪) যে ব্যক্তি সুরা ইখলাসকে ভালোবাসবে, এই ভালোবাসা তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ
এক সাহাবী এসে বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আমি এই (সুরা) ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহা’দকে ভালবাসি।” আল্লাহর রাসুল বললেন, “এই ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”
(সহীহ বুখারীঃ ৭৭৪, তিরমিযীঃ ২৯০১, মুসনাদে আহমাদঃ ১২০২৪।)
(৫) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন
যে ব্যক্তি একবার ‘সূরা কাফিরূন’ পড়বে তার জন্য এক চতুর্থাংশ কুরআনের সওয়াব লেখা হবে।
(তিরমিযী , হাদীস নং ২৮৯৩)
(৬) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেছেন যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় সূরা কাফিরূন পড়বে সে শিরক থেকে মুক্তি পাবে। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৫০৫৫)
(৭) সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া – ১ বার।
ঘুমানোর আগে সুরা বাক্বারার শেষ ২ আয়াত (২৮৫+২৮৬) পড়ার ফযীলতঃ
ক. রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে
খ. বালা-মুসিবত ও যেকোনো ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে।
গ. জিন ও শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ঠ হবে।
ঘ. আয়াতগুলো পড়ে শেষ “আমিন” বললে আয়াতগুলোতে যেই দুয়া আছে সেইগুলো আল্লাহ তাআ’লা কবুল করে নেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে”।
সহীহ বুখারিঃ ৫০১০, সহীহ মুসলিমঃ ৮০৭।
#সংগ্রহীত
ভাল লাগলে শেয়ার করেন।