আমার কক্সবাজার-Amar Cox's Bazar

আমার কক্সবাজার-Amar Cox's Bazar Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from আমার কক্সবাজার-Amar Cox's Bazar, News & Media Website, Cox's Bazar.

চকরিয়ায় জলমহালে অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে অভিযানচকরিয়ায় সরকারিভাবে ইজারাকৃত জলমহাল থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে ৬ যুবকক...
29/09/2024

চকরিয়ায় জলমহালে অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে অভিযান

চকরিয়ায় সরকারিভাবে ইজারাকৃত জলমহাল থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে ৬ যুবককে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এর দায় শিকার করে আর মাছ ধরবে না মর্মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইরফান উদ্দীনের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় তারা। শনিবার উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইলিশিয়া জলমহালে এ অভিযান চালানো হয়। ইলিশিয়া জলমহাল সরকারিভাবে ইজারাকৃত হলেও স্থানীয় কিছু যুবক দিনরাত জলমহালটি থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ চুরি করে আসছিল বলে জানায়।

টেকনাফে ৮০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের বাম্পার ফলনটেকনাফে ৮০ হেক্টর জমিতে  আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যা ইতোমধ্যে পাকতে শুর...
29/09/2024

টেকনাফে ৮০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের বাম্পার ফলন

টেকনাফে ৮০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যা ইতোমধ্যে পাকতে শুরু করেছে। চাষিরা জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। ধান কাটা শেষ হলে একই জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ করা হবে। উপজেলার ইউনিয়নগুলোর মধ্যে হোয়াইক্যংয়ে ৪১ হেক্টর, হ্নীলায় ১২ হেক্টর, সদরে ৯ হেক্টর ও সাবরাং ইউনিয়নে ৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে উপজেলায় আউশ ধানের চাষ বন্ধ থাকায় এ চাষের সাফল্যের কথা জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকিরুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের আউশ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ট্রাফিক জ্যামচট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে ট্রাফিক...
29/09/2024

অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ট্রাফিক জ্যাম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে ট্রাফিক জ্যাম ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সে কারণে দূরপাল্লার যাত্রীদের দূর্দশা এখন আরো বেশি করে চরমে উঠেছে।

দেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে সঙ্গত কারণে যানবাহন চলাচল বেশি করে। দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজার বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বর্তমানে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর, কোলপাওয়ার প্লান্ট বাঁশখালীতে কোলপাওয়ার প্লান্ট।

অন্যদিকে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে মাল্টিলেন টানেল ও দোহাজারী ঘুনদুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে এতে চলাচল করছে ট্রেন ও যানবাহন।

সম্প্রতি জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রায় সাড়ে সাত শ’ কোটি টাকা ব্যয় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি ব্রিজ নিমার্ণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে যানবাহন ও পথযাত্রীদের চলাচলে কিছুটা স্বস্তি মিললেও। মহাসড়কের বেশিরভাগ স্থানেই সড়ক ও প্রশস্ত হওয়ার কারণে যানজটে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এছাড়া কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায়, নির্মাণ সামগ্রীর মালামালবাহী যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে।

এর ফলে সঙ্গত কারণে ক্রমান্বয়ে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে ট্রাফিক ভলিউম বেড়েই চলছে। অন্যদিকে, এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে শতশত অবৈধ পার্কিং স্পট গড়ে উঠেছে, তাছাড়া জেলা উপজেলার কয়েক শতস্থানে মহাসড়কের সাথে এ সকল সড়কের সংযোগ থাকায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ট্রাফিক জ্যাম। বর্তমানে আনোয়ারা ওয়াইজনশন থেকে কক্সবাজার নগর পর্যন্ত ১৩৬ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিদিন কমপক্ষে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৬৮ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার এবং মহাসড়কের অবশিষ্ট অংশে (চট্টগ্রামের) গড়ে ২৫ থেকে ২৬ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এর পাশাপাশি মহসড়কের বিভিন্ন স্পটে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মালামাল বহনে নিয়োজিত ট্রাক মিনি ট্রাকের পাকিং স্পট গড়ে উঠেছে। এছাড়া মহাসড়কে সোল্ডার ব্যবহার করে একাধিক স্থানে অবৈধভাবে হাটবাজার গড়ে উঠেছে। এসব কারণে প্রতিদিন যানজটের তীব্রতা আরো বাড়ছে।

অন্যদিকে, সদ্য নির্মিত টানেল খুলে দেয়ার পড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম আনোয়ারা পিএবি আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাফিক ভলিউম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে অপ্রশস্ত মহাসড়ক আরো প্রশসস্ত করা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে টানেলকে ঘিরে যানজটের চাপ কমাতে আনোয়ারা প্রান্তে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে, গাছবাড়িয়া থেকে আনোয়ারা কালবিবির দীঘি পর্যন্ত প্রায় ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয় ২১ কিলোমিটার প্রশস্তকরণের কাজও খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে।

এদিকে আনোয়ারা কালা বিবি প্রান্ত থেকে বাঁশখালী টইটং হয়ে চকরিয়া ঈদ মনি পর্যন্ত ১৫০০ শত কোটি টাকা ব্যয় প্রায় ৪৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩৪ ফুটে প্রশস্তকরণের প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে।

এছাড়া সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ে প্রায় পাঁচ হাজার আট শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ফোর লেনে উন্নীতকরণে চূড়ান্তভাবে ডিপিপি তৈরীর কাজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাদামতলা থেকে আনোয়ারা ওয়াইজনশং পর্যন্ত এবং বাদামতলা হয়ে কেরানিহাট পর্যন্ত চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ককে ইতোমধ্যে ৩৪ ফুটে প্রশস্তরকরণের কাজ অংশবিশেষ ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণ সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, যানজট নিরসনে সড়ক ও জনপদ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাঁশখালী আনোয়ারা পটিয়া পিএবি সড়ক, চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া আনোয়ারা হয়ে কালা বিবি মোড় পর্যন্ত অপসস্ত সড়ক প্রশস্তকরণের প্রণয়নকৃত প্রকল্পগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলোর মুখ না দেখায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আমিও হয়ে উঠেছে ট্রাফিক জ্যাম। সে কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের প্রশস্ততা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৬৮ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার এবং মহাসড়কের অবশিষ্ট অংশে (চট্টগ্রামের) গড়ে ২৫ থেকে ২৬ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এর পাশাপাশি মহসড়কের বিভিন্ন স্পটে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মালামাল বহনে নিয়োজিত ট্রাক মিনি ট্রাকের পাকিং স্পট গড়ে উঠেছে। এছাড়া মহাসড়কে সোল্ডার ব্যবহার করে একাধিক স্থানে অবৈধভাবে হাটবাজার গড়ে উঠেছে। এসব কারণে প্রতিদিন যানজটের তীব্রতা আরো বাড়ছে।

অন্যদিকে, সদ্য নির্মিত টানেল খুলে দেয়ার পড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম আনোয়ারা পিএবি আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাফিক ভলিউম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে অপ্রশস্ত মহাসড়ক আরো প্রশসস্ত করা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে টানেলকে ঘিরে যানজটের চাপ কমাতে আনোয়ারা প্রান্তে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে, গাছবাড়িয়া থেকে আনোয়ারা কালবিবির দীঘি পর্যন্ত প্রায় ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয় ২১ কিলোমিটার প্রশস্তকরণের কাজও খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে।

এদিকে আনোয়ারা কালা বিবি প্রান্ত থেকে বাঁশখালী টইটং হয়ে চকরিয়া ঈদ মনি পর্যন্ত ১৫০০ শত কোটি টাকা ব্যয় প্রায় ৪৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩৪ ফুটে প্রশস্তকরণের প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে।

এছাড়া সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ে প্রায় পাঁচ হাজার আট শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ফোর লেনে উন্নীতকরণে চূড়ান্তভাবে ডিপিপি তৈরীর কাজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাদামতলা থেকে আনোয়ারা ওয়াইজনশং পর্যন্ত এবং বাদামতলা হয়ে কেরানিহাট পর্যন্ত চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ককে ইতোমধ্যে ৩৪ ফুটে প্রশস্তরকরণের কাজ অংশবিশেষ ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণ সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, যানজট নিরসনে সড়ক ও জনপদ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাঁশখালী আনোয়ারা পটিয়া পিএবি সড়ক, চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া আনোয়ারা হয়ে কালা বিবি মোড় পর্যন্ত অপসস্ত সড়ক প্রশস্তকরণের প্রণয়নকৃত প্রকল্পগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলোর মুখ না দেখায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আমিও হয়ে উঠেছে ট্রাফিক জ্যাম। সে কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের প্রশস্ততা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণের সময় বাড়ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরেফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বাড়ানো হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। বর্...
29/09/2024

ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণের সময় বাড়ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে

ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় বাড়ানো হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। বর্তমানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই বিমানবন্দরে উড্ডয়ন ও অবতরণের শেষ সময়সীমা রয়েছে। এটি বাড়িয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমাদের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই যা কার্যকর করা হবে।’

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার গোলাম মোর্তুজা হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অক্টোবরের শেষে আমরা এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবো।’

তিনি বলেন, ‘আগামী শীতকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সুবিধার জন্যই আমাদের এ নতুন ব্যবস্থা। অক্টোবরের শেষের দিক থেকে কার্যকর হয়ে এই সিডিউল চলতে থাকবে।’

বেবিচকের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের (এটিএম) প্রধান (সদস্য) এয়ার কমোডর জিয়াউল হক বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতের গর্বিত মালিক কক্সবাজার। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ভ্রমণকারীদের কাছে কক্সবাজার ব্যাপক জনপ্রিয়। পর্যটকদের ভ্রমণ আরও সহজ করতে কক্সবাজার বিমানবন্দরের সময়সীমা বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপ পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

বেবিচকের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দেশের পর্যটন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। নতুন সময়সীমার কারণে ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়বে। বিদেশি পর্যটকদের জন্যও এটি একটি বিশেষ সুবিধা। কক্সবাজারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে উঠবে।’

বেবিচক সূত্র বলছে, ওয়াচ আওয়ার বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তি স্থাপন এবং পর্যটন অঞ্চলের উন্নয়নে দেশের বিমান খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে বেবিচক। এই পদক্ষেপগুলো শুধুমাত্র দেশের বিমান চলাচলের আয় বাড়তেই সহায়তা করবে না, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সাহায্য করবে। সিভিল এভিয়েশনের পদক্ষেপগুলো বিমান চলাচলের কার্যক্রমকে আরও নির্ভরযোগ্য করে তুলবে, যা দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় ভিত্তিতে দাঁড় করাবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হেড অব অব সেলস অব মার্কেটিং আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন কোনও কোনও দিন ২টি আবার কোনেও দিন ৩টি ফ্লাইট অপারেট করছে।

তিনি বলেন, আগামী শীতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আমাদের ফ্লাইট বাড়বে। ওই সময় প্যাসেঞ্জারের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ে। যেহেতু সময় আরও বাড়ছে আমরা ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়াবো।

এদিকে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলার জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘দিনে ৭/৮টি ফ্লাইট অপারেট করে ইউএস বাংলা। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই শেষ ফ্লাইট অপারেট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়। বেবিচকের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে।’

তিনি বলেন, সময়সীমা রাত ১০টা পর্যন্ত হলে আমাদের যাত্রী আরও বাড়বে। কেননা, অনেকে সকালে গিয়ে সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে আবারও ব্যাক করতে পারবে। নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য এটি একটি ভালো দিক।’

নভোএয়ারের হেড অব সেলস এ্যান্ড মার্কেটিং মেসবাউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরা ৩/৪টি ফ্লাইট অপারেটর করছি। যেহেতু আগামীতে সময় বাড়ানো হচ্ছে, আমরা যারা এয়ারলাইন্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারা যেমন উপকৃত হবে, তেমনই যাত্রীদেরও অনেক কাজে আসবে।

টেকনাফে বিদেশি জি-থ্রি রাইফেল ও গুলিসহ অস্ত্র পাচারকারি আটকশনিবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এ ...
29/09/2024

টেকনাফে বিদেশি জি-থ্রি রাইফেল ও গুলিসহ অস্ত্র পাচারকারি আটক

শনিবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. সিয়াম-উল-হক।

আটক মো. শহিদ (৩৭) টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার সৈয়দ আহমদের ছেলে।
লেফটেন্যান্ট সিয়াম-উল-হক বলেন, টেকনাফের সাবরাংয়ে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সংঘবদ্ধ অস্ত্র পাচারকারি চক্রের সক্রিয় থাকার তথ্য কোস্টগার্ডের ছিল। চক্রটি পাচার করে আনা অস্ত্র বিভিন্ন ডাকাতদলের কাছে সরবরাহ করতো। শনিবার ভোর রাতে পাচার হয়ে আসা অস্ত্রের একটি চালান জনৈক ব্যক্তির বাড়ীতে মজুদের খবর পায় কোস্টগার্ড। পরে কোস্টগার্ডের একটি দল সন্দেহজনক বসত ঘরটিতে অভিযান চালায়। এতে কোস্টগার্ড সদস্যরা বাড়ীটি ঘিরে ফেললে এক ব্যক্তি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
“ বসত ঘরটি তল্লাশী চালিয়ে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় বিদেশি একটি জি-৩ রাইফেল, ৮ টি গুলি ও একটি দা পাওয়া যায়। “

কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা বলেন, “ আটক ব্যক্তি একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে সংঘবদ্ধ পাচারকারি চক্রের সদস্য। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের নানা অভিযোগ রয়েছে। “
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট সিয়াম-উল-হক।

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিতআন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ...
29/09/2024

কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।

“ কর্তৃপক্ষের সকল দ্বার, খুলে দেবে তথ্য অধিকার “ এর প্রতিপাদ্যে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যাগলয়ের শহিদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই আলোচনা সভা।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিীন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক, সরকারি দপ্তরে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণে সংশ্লিস্ট সকল দপ্তরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার আহবান জানান।

এ ছাড়া রাষ্ট্রের অতি গোপনীয় বিষয় ছাড়া তথ্য পেতে সুনির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করারও অনুরোধ করেন সংশ্লিস্টদের।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত-আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন দেশ পেয়েছি তাই, এই দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইয়ামিন হোসেন, সিভিল সার্জন ডাক্তার আসিফ আহমেদ হাওলাদার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নাছির উদ্দিন, জেলা তথ্য কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার,প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিস্টরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সরকারি বিভিন্ন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণকে নিজ নিজ দেশের সব ধরনের তথ্য জানার অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসটি পালন করা হয়।

রামু সহিংসতার ১২ বছর আজরামু সহিংসতার ১২ বছর আজ। ঘটনার পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ইন্ধনে দায়ের করা মামলায় পুলিশ আসামী ...
29/09/2024

রামু সহিংসতার ১২ বছর আজ

রামু সহিংসতার ১২ বছর আজ। ঘটনার পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ইন্ধনে দায়ের করা মামলায় পুলিশ আসামী করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য নিরীহ লোকজনকে। ঘটনার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রকৃত আসামীদের মামলায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। এ কারণে এসব মিথ্যা মামলা নিয়ে ঘটনার পর থেকে জনমনে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। জনরোষের মুখে ওই সময় এসব সহিংস ঘটনায় বিভাগীয় মামলা শুরু হয়। তবে শুরুতেই মামলার তদন্ত কার্যক্রমের নথি ফাঁস হলে তাও থমকে যায়। এসব কারণে মামলার বিচারপ্রক্রিয়া থমকে আছে প্রাথমিক পর্যায়েই।
পরবর্তীতে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিলে তাতেও বিএনপি-জামায়াতের আরও নেতাকর্মীসহ অসংখ্য নিরীহ লোকজনকে আসামী করায় হয়রানির শিকার লোকজনের তালিকা আরও দীর্ঘ হয়। এ কারণে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়ার পরও ১২ বছরেও একটি মামলা নিষ্পত্তি হয়নি।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামু, ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধ বিহার, বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা ও অগ্নিসংযোগে ১৯ বৌদ্ধ বিহার, ৪১ বসতঘর পুড়িয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় আরো ৬টি বৌদ্ধ বিহার সহ অর্ধশত বৌদ্ধ বসতঘরে। এতে কয়েক শত বছরের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পুড়ে যায়। ঘটনার পরপরই পোড়া মন্দিরে তৈরী হয়েছে নান্দনিক স্থাপনা। এ ঘটনার পর মামলা দায়ের করা হলেও নারকীয় হামলার বিচারপ্রক্রিয়া ১২ বছরেও শেষ হয়নি। এসব মামলা নিয়ে চরম বিতর্ক থাকায় স্বাক্ষীরাও স্বাক্ষী দিতে অনিহা প্রকাশ করছে। ফলে সাক্ষীর অভাবে এ বিচার প্রক্রিয়া থমকে আছে। অপরদিকে বিতর্কিত এসব মামলায় বছরের পর বছর বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে নিরীহ লোকজন।
ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধদের আক্ষেপ ও অভিযোগ হলো- মামলার আসামী, সাক্ষীর সাক্ষ্য দেয়া নিয়ে। বৌদ্ধরা মনে করেন, মামলার আসামী এবং মামলার সাক্ষী হিসেবে যাদের নাম দেয়া হয়েছিলো, তাদের নাম যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় জড়িতদের পরিবর্তে নিরীহ লোকজনকে রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রেক্ষাপটে আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে। এখন যাদের নাম সাক্ষীর তালিকায় আছে, তাদের অনেকেই জানে না সাক্ষীর তালিকায় তাদের নাম রয়েছে।

বার বছরে বৌদ্ধদের মাঝে ফিরেছে সম্প্রীতি। দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাশৈলীতে পূণ্যার্থীদের পাশাপাশি বেড়েছে পর্যটক আকর্ষণ। ক্ষতিগ্রস্থরা পেয়েছেন নতুন ঘর। পুজাপার্বন, ধর্মীয় উৎসবে অন্যধর্মালম্বীর সরব উপস্থিতে মুখরিত হয় এখন বিহার প্রাঙ্গন। সম্প্রীতিতে ফিরতে পারায় খুশি বৌদ্ধরা। তবে বিচারপ্রক্রিয়ার অচলাবস্থা নিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মাঝে রয়েছে এখনও অসন্তোষ।
রামু সহিংসতার সেই কালো রাতের ঘটনা স্মরণ করে রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের পরিচালক শীলপ্রিয় থের বলেন, ‘২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের বৌদ্ধ বিহারগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সম্পদ ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। সেই সময়ে কিছু দুর্বৃত্তের একটি রাত ছিলো। ঘটনাটি স্মরণ করলে এখনও চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। কঠিন সময় গেছে আমাদের। দূর্বৃত্তরা আমাদের বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ পল্লী পুড়িয়ে দিয়ে অনেক ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, আমরা হারিয়ে যাওয়া দিনের চেয়ে, বর্তমানে অনেক সম্প্রীতি ভোগ করছি। এখন আমাদের সম্প্রীতি অনেক বৃদ্ধি হয়েছে। আমরা রামুবাসি সম্প্রীতিতে আছি। আগামী দিনেও আমাদের এ সম্প্রীতি ধরে রাখতে হবে’।

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর ১২ বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘর, পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া ও টেকনাফে ৭টি বৌদ্ধ বিহার, ১১টি বসতঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পুড়ে যায় এসব মন্দিরে থাকা হাজার বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক সব নিদর্শন। লুটপাট ও ভাংচুর করা হয় আরো ৬টি বৌদ্ধ বিহার, অর্ধশত বৌদ্ধ বসতঘরে। এ ঘটনার পর দায়ের করা হয় ১৯টি মামলা। এর মধ্যে রামুর আটটি মামলায় ৪৫৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে রামু থানায় জনৈক সুধাংশু বড়ুয়ার করা মামলাটি দু’পক্ষের আপস মীমাংসার ভিত্তিতে প্রত্যাহার করা হয়।
কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। তিনি বলেন, রামু সহিংসতার ১২ বছরে ফিরে এসেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। রামুর বৌদ্ধরা পেয়েছে দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ বিহার। কিন্তু রামুর ঘটনার ১২ বছরেও মামলার কার্যক্রম প্রাথমিক পর্যায়ে থমকে আছে। পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র আদালাতে জমা দিলেও একটি মামলাও নিষ্পত্তি হয়নি। সেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা সংশয়।
বৌদ্ধদের অভিযোগ, ২০১২ সালের ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর রামু ও উখিয়া-টেকনাফে বৌদ্ধপল্লীতে চালানো নারকীয় হামলার ১৮ মামলার একটি বিচারও শেষ হয়নি। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় দায়ীরা কেউ শাস্তি পায়নি এখনও। ঘটনারপর বিভিন্ন মামলায় ৯৯৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় আটকরা সবাই এখন জামিনে। ঘটনার পরপরই ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ বিহার ও ঘরবাড়ি পুণনির্মাণ করে দিয়েছে সরকার। দীর্ঘ দশ বছরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আবারও ফিরে এসেছে বলে জানান রামুর বৌদ্ধরা। কক্সবাজার জেলা যুবদলের সহ তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক রোকনুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন- বৌদ্ধ মন্দির হামলার সাথে তিনি বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ত নন। অথচ বিএনপি নেতা হওয়ায় তাকে আসামী করা হয়ছে। শুধু তিনি নন-তৎকালীন বিরোধীদলীয় অসংখ্য নেতাকর্মীকে এভাবে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রেজাউর রহমান জানান, তিনি আড়াইমাস আগে দায়িত্ব গ্রহনের প্রসিকিউশন টিমের সাথে এ ব্যাপারে বৈঠক করেছেন। মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিছু মামলা স্বাক্ষী পর্যায়ে আছে, আর কিছু মামলা নিষ্পত্তির দিকে যায়নি। কয়েকটি মামলা পিবিআই এর কাছে পূণঃতদন্তাধিন রয়েছে। অসংখ্য আসামী এবং স্বাক্ষী না আসা মামলার দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম কারণ। মামলা ৩ শতাধিক স্বাক্ষীয় রয়েছেন, যাদের অনেকে নিয়মিত স্বাক্ষ্য দিতে আসছেন না। আবার অনেক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশংকায় স্বাক্ষ্য দিতে চায় না বলেও ধারনা করছেন তিনি।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামু ট্র্যাজেডির ঘটনায় ফেইসবুকে কোরআন অবমাননার ছবি ট্যাগকারী সেই উত্তম বড়ুয়া কোথায়, কি অবস্থানে আছে জানেনা আইনশৃংখলা বাহিনী। বৌদ্ধদের অনেকে সন্দেহ, নিখোঁজ উত্তম বড়ুয়া আজও বেঁচে আছে তো? যে উত্তম কুমারকে কেন্দ্র করে লঙ্কাকান্ড ঘটে গেছে রামু, টেকনাফ, উখিয়া ও পটিয়ায়। বেঁচে থাকলে তার হদিস এখনো পাইনি কেন পুলিশ? উত্তম কোথায় আছে সেই বিষয়েও নিশ্চিত কোন তথ্য জানা নেই পুলিশের। অথচ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে দরকার উত্তমকে। কে, কিভাবে তার ফেইসবুকে এই ছবি ট্যাগ করলো সেটি জানতেও দরকার উত্তম বড়ুয়ার স্বীকারোক্তি। কিন্তু ঘটনার একযুগ পার হলেও পুলিশ তার অবস্থান সর্ম্পকে নিশ্চিত হতে না পারায় ক্ষুদ্ধ রামুর সাধারণ মানুষ। রামুতে বৌদ্ধ বিহার পোড়ানোর দিনই পালিয়ে যায় উত্তম বড়ুয়া।
॥ শান্তি ও সম্প্রীতি র্যাষলী আজ ॥
রামু সহিংসতার ১২ বছর উপলক্ষ্যে আজ রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর শান্তি ও সম্প্রীতি র্যাালীর আয়োজন করেছে রামু উপজেলার সর্বস্তুরের জনসাধারণ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দুপুর আড়াইটায় রামু চৌমুহনী স্টেশন চত্বর থেকে এ র্যারলী শুরু হবে।

৮৫ বাংলাদেশী ফিরছে আজ, মিয়ানমার ফিরবে ১২০ বিজিপি ও সেনা সদস্যমিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ৮৫ বাংলাদেশী ফিরছে আজ রবিবার। মিয়ানম...
29/09/2024

৮৫ বাংলাদেশী ফিরছে আজ, মিয়ানমার ফিরবে ১২০ বিজিপি ও সেনা সদস্য

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ৮৫ বাংলাদেশী ফিরছে আজ রবিবার। মিয়ানমারে সংঘাতের জের ধরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া ১২০ বিজিপি ও সেনা সদস্যরা ফিরবে একই দিন।

মিয়ানমারের রাখাইনে অবস্থিত সিতওয়ে বন্দর থেকে শনিবার ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ায় দলটি রবিবার সকালে সাড়ে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ ঘাটে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন।
তিনি জানিয়েছেন, এর আগে ৩ দফায় অনুষ্ঠিত প্রত্যাবসন প্রক্রিয়ার মতোই এবারও হবে। ৮৫ বাংলাদেশীকে নিয়ে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি দুপুরের মধ্যে ১২০ বিজিপি ও সেনা সদস্যদের নিয়ে ফেরত যাবেন। পুরো প্রক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব মো. রাহাত বিন কুতুব উপস্থিত থাকবেন।
এর মধ্যে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছেন, শনিবার মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ ৮৫ বাংলাদেশীকে নিয়ে কক্সবাজরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। রবিবার সকালে এটি কক্সবাজারে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রত্যাগত ৮৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকারীদের কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার।

ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আরও একবার বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৫ মাসে মিয়ানমারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সর্বমোট ৩৩২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
এর আগে গত ৯ জুন ৪৫ বাংলাদেশী কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেন। ওই দিন মিয়ানমার ফেরত যান ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য, ২৫ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরে ছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। একই সঙ্গে ওইদিন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

টেকনাফে দুই মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ সম্পন্নটেকনাফে দুই মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ উপজেলা পরিষদ পাবলিক হল মিলনায়তনে শেষ ...
24/09/2024

টেকনাফে দুই মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

টেকনাফে দুই মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ উপজেলা পরিষদ পাবলিক হল মিলনায়তনে শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার বিকেলে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন দপ্তরটির উপ পরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীরা আত্মনির্ভরশীল ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আদনান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে ৫০ জন নারী প্রশিক্ষনার্থীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

উখিয়ায় বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টি বিষয় কুইজ প্রতিযোগিতাউখিয়ায় বিদ্যালয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য...
24/09/2024

উখিয়ায় বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টি বিষয় কুইজ প্রতিযোগিতা

উখিয়ায় বিদ্যালয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২৪ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ডাব্লিউএফপি শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সোমবার উপজেলার রত্না পালং ইউনিয়নের তেলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা শিরিন আকতার । এ সময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে ইউশা নুর, দ্বিতীয় ফাবলিয়া নুর তিশা ও তৃতীয় হয়েছে মো. রিফাত। প্রতিযোগিতায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

টেকনাফে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিতটেকনাফে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক...
24/09/2024

টেকনাফে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

টেকনাফে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের হল রুমে কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে সদর ইউনিয়ন ও বেসরকারি সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র। পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদের সভাপতিত্বে এতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দুর্যোগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের ধারণা দেওয়া হয়েছে।

পার্বত্যবাসীর পক্ষে বাংলাদেশের মানুষ নিবেদিতপার্বত্যবাসীর পক্ষে সারা বাংলাদেশের মানুষ নিবেদিত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পার্ব...
24/09/2024

পার্বত্যবাসীর পক্ষে বাংলাদেশের মানুষ নিবেদিত

পার্বত্যবাসীর পক্ষে সারা বাংলাদেশের মানুষ নিবেদিত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষের কিছু হলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা এবং সমগ্র বাংলাদেশের জনতা সোচ্চার হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম। তাই পার্বত্য মানুষের কল্যাণে মানবিকতার মূল্যবোধ সবারই জেগে ওঠে। এটা পার্বত্যবাসীদের জন্য অত্যন্ত সুখের ও আনন্দের।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে পার্বত্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সমাজকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এ দেশটা আমার ও বাংলাদেশটা আমার প্রিয় দেশ। এখানে ভেদাভেদ বলতে কিছু নাই। আমরা সবাই সমান ও সমতার ভিত্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অর্থ দিয়ে ও নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে শক্তিশালী করতে চাই। পরিবেশ রক্ষায়, ইকো ট্যুরিজম এবং বাংলাদেশিদের আধুনিক ও সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, সবার মধ্যে কনফিডেন্স গড়ে তোলাই হলো আমাদের প্রধান কাজ। সবার মনে ইকুইটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের শিক্ষার প্রতি বেশি নজর দিতে হবে। ডিজিটালাইজড ফর্মে পার্বত্য অঞ্চলের সব ছাত্রছাত্রীদের আনা হবে।

তিনি বলেন, যেহেতু জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পার্বত্য দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছানো এ মুহূর্তে সম্ভব নয়, তাই আমরা সেখানে আপাতত সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে সেনাবাহিনীছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প...
24/09/2024

১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে সেনাবাহিনী

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত আগস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার দেশের প্রধান প্রধান খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এমন অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের এই সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

‘যাই হোক না কেন’ সরকারকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না জানিয়ে তিনি বলেছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ হতে হবে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এসব কথা বলেন বলে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া প্রধান প্রধান সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন করতে সাহায্য করার জন্য ‘যাই হোক না কেন’ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, যাতে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

রয়টার্স বলছে, গত আগস্টের শুরুতে হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সেনাবাহিনী কোনও বাধা দেয়নি। আর এতেই শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায় এবং ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর স্বৈরাচারী এই শাসক পদত্যাগ করে প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান।

এমন অবস্থায় সোমবার রাজধানী ঢাকায় নিজের কার্যালয়ে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল ওয়াকার বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

এছাড়া সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্তি দেওয়ার একটি রূপরেখাও দিয়েছেন তিনি।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “আমি তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) পাশে থাকব। যাই হোক না কেন। যাতে তিনি তার মিশন সম্পন্ন করতে পারেন।”

বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের অগ্রদূত ড. ইউনূস ১৭ কোটি মানুষের দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির কয়েক সপ্তাহ আগে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, সংস্কারের পর গণতন্ত্রে উত্তরণ এক বছর থেকে দেড় বছরের মধ্যে করা উচিত। তবে এই সময়ে ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব— এই সময়সীমার মধ্যেই আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।”

রয়টার্স বলছে, অবশ্য বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল হাসিনার আওয়ামী লীগ এবং তার সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল উভয়ই গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছিল।

জেনারেল ওয়াকার বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং তিনি (সেনাপ্রধান) প্রতি সপ্তাহে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অশান্তির পর দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে— আমরা যদি একসাথে কাজ করি তবে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনও কারণ নেই।”

গত জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর তৎকালীন সরকারের ব্যাপক দমন-পীড়নে ও হিংসাত্মক সংঘর্ষে এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হন। একপর্যায়ে এই আন্দোলন বিস্তৃত সরকারবিরোধী বিদ্রোহে পরিণত হয়, যা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন।

গণঅভ্যুত্থান ও বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ঘনবসতিপূর্ণ মহানগরী ঢাকার জমজমাট রাস্তায় শান্তি ফিরে এসেছে, কিন্তু হাসিনার প্রশাসনের নাটকীয় পতনের পর সিভিল সার্ভিসের কিছু অংশ এখনও সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশের পুলিশের প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সদস্য এখনও বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি কাজ করছে সেনাবাহিনী।

শাস্তি এবং সংস্কার

রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান থেকে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সামরিক শাসনের অধীনে আসে। এরপর ১৯৯০ সালে দেশের সামরিক শাসক হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন, যার ফলে গণতন্ত্র ফিরে আসে।

এরপর ২০০৭ সালে সামরিক বাহিনী আবার একটি অভ্যুত্থান ঘটায় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন জানায়। দুই বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ওই সরকার শাসন করেছিল।

দীর্ঘ কর্মজীবনে একজন পদাতিক অফিসার হিসেবে এই অশান্তির সময়গুলোতে দায়িত্ব পালন করেছেন জেনারেল ওয়াকার। তিনি বলেছেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনৈতিকভাবে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

তিনি বলেছেন, “আমি এমন কিছু করব না যা আমার সংস্থার (সেনাবাহিনী) জন্য ক্ষতিকর হয়। আমি একজন পেশাদার সৈনিক। আমি আমার সেনাবাহিনীকে পেশাদার রাখতে চাই।”

হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে প্রস্তাবিত ব্যাপক সরকারি সংস্কারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও তার সদস্যদের ইতোপূর্বে করা অন্যায়ের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছে এবং ইতোমধ্যে কিছু সৈন্যকে শাস্তিও দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে আরও বিশদ কোনও বিবরণ দেননি জেনারেল ওয়াকার।

বাংলাদেশ সেনাপ্রধান বলেছেন, “যদি (সেনাবাহিনীর) কোনও কর্মরত সদস্য দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নেব। কিছু সামরিক কর্মকর্তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী (হাসিনা) বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরাসরি নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলোতে কাজ করার সময় অন্যায় কাজ করতে পারেন।”

এদিকে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী জোরপূর্বক “গুম” করা হতে পারে এমন প্রায় ৬০০ জনের রিপোর্ট তদন্তের জন্য হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

যাইহোক দীর্ঘ মেয়াদে জেনারেল ওয়াকার সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখতে চান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সৈন্য রয়েছে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম প্রধান সেনা প্রেরণকারী হচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, “এটি (সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা) কেবল তখনই ঘটতে পারে যখন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার কিছুটা ভারসাম্য থাকে, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে।”

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। আর এই মন্ত্রণালয় সাধারণত প্রধানমন্ত্রী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জেনারেল ওয়াকার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় এই বিষয়টিতে সম্ভাব্যভাবে সংশোধনের দিকে নজর দিতে পারে।

বাংলাদেশের এই সেনাপ্রধান বলেন, “সামগ্রিকভাবে সামরিক বাহিনীকে কখনোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন সৈনিকের রাজনীতিতে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।”

রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টারোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয় নয়- বলেছেন...
24/09/2024

রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয় নয়- বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তার ভাষ্য, মিয়ানমার যে সংকটের সম্মুখীন হয়েছে, তা আশেপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে কমনওয়েলথ মন্ত্রীদের বৈঠকে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। মঙ্গলবার (২৪‌ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।

কমনওয়েলথ মন্ত্রীদের বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়। এখন মিয়ানমারের জনগণ যে সংকটের সম্মুখীন হয়েছে, তা আশেপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ ইস্যুতে কাজ করা।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এদিকে নিউইয়র্কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক ক‌রেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বৈঠ‌কে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হ‌য়ে‌ছে।

Address

Cox's Bazar
4700

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আমার কক্সবাজার-Amar Cox's Bazar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share