17/06/2023
মাইজভান্ডার দরবার শরীফ | ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
YouTube Link: www.youtube.com/ptubebangla
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানির বংশ ও উক্ত তরিকার খেলাফত প্রাপ্ত সৈয়দ আবু শাহামা মুহাম্মদ সালেহ আল কাদেরী লাহোরি নিকট বায়েত গ্রহণের মাধ্যমে বেলায়ত অর্জন করেন। তিনি দিনে দ্বীনি শিক্ষাদান এবং রাতে ইবাদত, রেয়াজতের মাধ্যমে সময় কাটাতেন। বলা হয়, এভাবে কঠোর সাধনার ফলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বোচ্চ বেলায়ত অর্জন করেছিলেন।
#মাইজভান্ডারি_দরবার_শরীফ
পরবর্তীতে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি তার পীরের নির্দেশে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন। আধ্যাত্মিক সাধক আর দোয়া প্রত্যাশীদের ভীড়ে কালক্রমে তার বাসগৃহ আধ্যাত্মিক দরবারে পরিণত হয় আর লোক সমাজে পরিচিতি পাই, "মাইজভান্ডারী দরবার শরীফ" হিসেবে।
মাইজভান্ডারি তরিকা কুরআন ও হাদিস ভিত্তিক ইসলামের মৌলিক ভাবাদর্শের অনুসরণে প্রতিষ্ঠিত একটি ত্বরিকা। অন্যান্য ত্বরিকার বৈশিষ্টগুলো মাইজভান্ডারি তরিকায় একত্রিত হয়েছে। এই ত্বরিকা কাদেরিয়া তরিকার সাথে সম্পর্কিত। তাই এই ত্বরিতকার বায়াত প্রদানকালে কাদেরিয়া উসুল অনুসরণ করা হয়। এই তরিকার বিশেষ বৈশিষ্টগুলো হচ্ছে, ইসলামী ভাবাদর্শকে পরিপূর্ণভাবে আত্বস্থ করার পাশাপাশি একই সাথে অসাম্প্রদায়িক, উদার ও সংস্কারমুক্ত, নৈতিক ও ধর্ম-প্রধান্যসম্পন্ন, শ্রেণী-বৈষম্যহীন ও মানব দরদী।
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি ৭৯বছর বয়সে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে পার্থিব জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান। প্রতি বছর ৮, ৯ ও ১০ মাঘ তার ওফাত দিবস উপলক্ষে ৩দিন ব্যাপী ওরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ আশেক ভক্তের সমাগম ঘটে এখানে। আগত ভক্ত জনতারা রওজা শরীফে জিয়ারত, জিকির, কুরআন তেলোয়াত, রওজায় গিলাফ চড়ানো, দোয়া ও মিলাত মাহফিলে শামিল হয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ ও আপন মুর্শিদের করুণাধন্য হবার লক্ষ্যে অশ্রুসিক্ত আকুতি ফরিয়াদ করে থাকে।
Ptube Bangla #মাইজভান্ডারি_দরবার_শরীফ
