Maoa Jannat

Home
Bangladesh
Chittagong
Maoa Jannat

FINDING FRAMES EVERYWHERE 📸
TRAVEL | LIFESTYLE | DOCUMENTARY
(3)

19/12/2023

১৯৮০ দ্শকে চট্টগ্রাম এর রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী পাট কল ও কার্পেট ফ্যাক্টরীর সাইন বোর্ড।
ফটোগ্রাফার: Michael Dr Gumtau

18/12/2023

১৯২৬ সালের Chittagong Engineering & Electric Supply Co. Ltd এর শেয়ার সার্টিফিকেট (x3 of 1920s-1940s with Revenues)

সংগৃহীত

17/12/2023

চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার জন্ম।

১৯৬৪ সাল।
ভাংগুটনা গ্রাম। পশ্চিমের গোল পাহাড় থেকে সেই পুবে সায়েস্থা খাঁ'র পাহাড়, দক্ষিণের মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালের হাল্কা পাহাড় শ্রেণী, উত্তরে প্রবর্তক পাহাড়।

মাঝখানে বিস্তৃন সমতল অঞ্চল বা ভ্যালীতে ছাঁচি মিয়াঁ, হাচি মিয়াঁদের পৈত্রিক আদি নিবাস।
বেশ কয়েক ঘর বসতী, খেত খামার,একচালা টিনের ছোট্ট একটি মসজিদ ও কবরস্থান। এই সমতল আঞ্চল নিয়েই ভাংগুটনা গ্রাম।

উত্তরে, চট্টলার একমাত্র পানশালা ইস্টার্ন বার এর মালিক এবং জমিদার সৈয়দ মিয়াঁদের হিন্দু অনাথাশ্রমকে দানকৃত সম্পুর্ন পাহাড়টিতে গড়ে উঠা প্রবর্তক সংঘ ও বিদ্যাপীঠ।

সবই ছন্দবদ্ধ হয়ে দোয়েল,শালিখের কল কাকলীতে ভরে ছিল। সন্ধ্যা নামতে কেন? দিনে- দুপুরে ও শিয়ালের ঐকতান, সাথে চিত্রা হরিনের ক্যুঁ ক্যুঁ আওয়াজ, বাগদাশা-শজারুদের দৌড় ঝাপের শব্দে মুখরিত থাকত। মাঝে মাঝে পথ ভুলে কি ব্যঘ্র মহাশয়েরও আগমন ঘটতো কখনো কখনো?

হঠাতই ফিতা হাতে সার্ভেয়ার ইঞ্জিনীয়ার আর শহুরে জনগনের আনাগোনায় ছন্দ পতন হলো শান্তির গ্রামটিতে।

এক সাথে গর্জে উঠলো আনেকগুলো ক্যাটারপিলার ড্রেজার।
চারিদিক ধুয়ায় আচ্ছন্ন করে সকাল-সন্ধ্যা অক্লান্ত গর্জনে মুখে মাটির চাঙ নিয়ে ছুটা ছুটি করে চারিদিক সমান করতে লেগে গেলো।

পুকুর ডোবা ভরাট হলো, সুন্দর নক্সায় রাস্তা তৈয়ার হলো,

এই ভাবেই জেনারেল আইউবের আমলে জন্ম নিলো একটি নতুন জনপদ, আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্যে একটি আবাসিক এলাকা, "পাঁচলাইশ"!

সম্ভবত: চৌষট্টি সাল আথবা পয়ষোট্টির প্রারম্ভ হবে সময়কাল।
রবিবার শীতের সকাল।

এক রাশ বাল্যবয়সের উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে উত্তেজনায় টকবগ করে ফুটছি।
আমাদের নতুন কেনা ঝকঝকে Ford Prefect গাড়িটাতে চড়ে বসেছি।

বাড়ী বানানোর কাজ চলছে,তাই দেখতে যাচ্ছি।

তখন শনি-রবি ছুটির দিন। এমনিতেই চট্টগ্রাম ছোট্ট শহর, সাকুল্যে এক-আধ 'শ প্রাইভেট কার আছে হয়তো রাস্তায়। তার উপর ছুটির সকাল বলে একদম ফাকা রাস্তা।

আগের কালো কচ্ছপ মার্কা অস্টিন বা বেন্টলী না, সুন্দর ঝক ঝকে আইভরী সাদা, রাজ হংশীর মত ফোর্ড গাড়ীটি এগিয়ে চলছে। কালো টিনের উপর সাদা লিখায় "EBC 2876" রেজিস্ট্রেশন নম্বরটা একদম চক চক করছে ।

কোরবানীগঞ্জ-অন্দরকিল্লাহর ব্যবসায়ীক কোলাহল ছেড়ে নতুন বাণিজ্যিক এলাকা চন্দনপুরা মসজিদ পেরুনোর পর, চট্টগ্রাম কলেজ, স্কুল গুলি পেরুলেই বিক্ষ্যাত বেকারী
"লীগ স্টোর"।

এর পর যেই ওয়ালী খাঁ মসজিদ পাড় হলো, সেই যেন ঝপ করে গন্ড গ্রামের শুরু।
বামে দূ চারটা ডাক্তার কোয়ার্টারের হলুদ দালান, ডানে গভীর জংলে একটা মন্দিরের চুড়া দেখা যায়।

গাড়ির চাকা যাবার মত তিন চারটি করে ইট বিছানো দুই সারি ইটের কাঁচা রাস্তা চলে গেছে মেডিক্যাল কলেজের সামনে দিয়ে প্রবর্ত্তক সংঘের পাহাড় ডানে ফেলে উত্তরে জালালাবাদ পাহাড়, বায়জিদ বোস্তামি আর সেনানিবাসের দিকে।
শুধু সেনানিবাসের জন্যেই নিশ্চই দু সারি ইটের এই সরু কাঁচা রাস্তা।

হাতের বায়ে মেডিকেল কলেজ ও হাস্পাতালের হ্লুদ দোতলা দালান।
উল্টো দিকে বিপ্লবী সুর্য সেনের সাথী সংগ্রামী ডক্টর বিশ্বাসের নিবাস তাঁর পাহাড় আর জংগল।

হাস্পাতাল গেটের ঠিক উলটো দিকে সরু রাস্তায় উত্তরে ঢুকেই অবাক কান্ড। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরিত্যক্ত অস্থায়ী সৈন্য বের‍্যাকের যায়গায় নতুন বসতী পাকিস্তান সরকারের এলিট আবাসিক এলাকা "পাচঁলাইশ"।

বিশাল ধু ধু প্রান্তর। হলুদ যন্ত্র দানব ক্যটারপিলার গাড়ী গুলো দিয়ে এখানে সেখানে মাটি কেটে সমান করা হচ্ছে। গাড়ীর চাকা গুলির বেড় তিন ফিটের বেশি, উচ্চতায় ঠিক আমার সমান।

জিবনে প্রথম এমন ভিশন শব্দ আর কালো ধুয়া বেরুনো রুপকথার দানবাকৃতী যন্ত্র দেখে শিশু আমি ভয় পেতাম। কেমন লালচে হলুদ বালি মাটি মুখে নিয়ে এদিক সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছে।

এখানেই আমাদের নতুন ঠিকানা, শুনে ভয়ে একটু থমকে গেলাম। আর নতুন বেড়ার ঘরের মিস্ত্রিদের ঝুপড়ীতে ডুকে আরো ভিতকর দু:সংবাদ শুনে ভয়ে একেবারে সিটিয়ে গেলাম।
এ কোন জংলে বাড়ি বানাচ্ছেন বাবা?

রাজমিস্ত্রি আর জোগালিরা কাজ করবেনা, সকালে দল বেধে ভয়ে পালিয়েছে, কারন পাহাড় কাটা নরম বালি মাটিতে ওরা নাকি সকালে উঠে বাঘের পায়ের ছাপ পেয়েছে!

এই নিয়ে কত দেন দরবার! প্রবর্তক সংঘের উপড়ে সাধুরা থাকেন, অনাথ শিশু তাদের মাস্টার মশাইরা থাকেন, এখানে বাঘ আসবে কোথা থেকে?

হেড মাস্টার নীরুদ দাদামনির প্রতিনিধি এসে বুঝিয়ে গেলেন, নিশ্চিই শেয়ালের পায়ের দাগ, যেটা ওরা দেখে ভয় পেয়েছে।

প্রতিটি প্লট এক বিঘা করে সর্ব সাকুল্যে মুল্য ছিল সম্ভবত ১২ হাজার রুপিজ ।
লটারী দেয়া হয়েছিল কিন্তু প্লট সমান ক্রেতা ছিল না বলে সবাইকেই বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

প্রায় ৭০/৮০ ভাগ অবাঙালীদের মাঝে আমরা গুটি কতক বাঙালী পরিবার।
তার মাঝে বাবা-আব্দুল হাকিম মিয়া, ডাঃ ইসলাম, কেপ্টেন ইউসুফি, কেপ্টেন ডঃ সাফা, জজ হাবিবুর রহমান সাহেব অন্যতম।
সবাই এক সাথে নতুন বাড়ী করা শুরু করেছেন,
শুরু হচ্ছে একটি নতুন জনপদ।
পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা।

সবই এখন রুপকথার স্মৃতির মত মনে হয়।

"পাঁচলাইশ নামকরণের ঐতিহাসিক পটভূমিঃ"

১৬০০ শতাব্দীর মাঝামাঝি সম্রাট আওরংগজেবের আমলে ইরাক বা তুরস্ক থেকে আগত চট্টগ্রাম-হাটহাজারি এলাকা সমুহের তৎকালীন জমিদার হামজা খাঁর সাত পুত্রের মধ্যে পাঁচ সুদর্শন পুত্রের আবাসস্থল হিসাবে লোকমুখে এলাকাটি কথিত হয় পাঁচলাইশ নামে। আরবি-ফারসি ভাষায় "লাইশ" শব্দের আর্থ সিংহ।
অর্থাৎ পাঁচ সিংহের আবাসস্থল।

16/12/2023

মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যারা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে পরাধীনতার আধার ঘুচিয়ে এনেছিলো বিজয়ের আলো।
সকলকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ❤️‍🩹🌺
#বিজয়দিবস

15/12/2023

১৯৭৪ সালে জয় পাহাড় হাউজিং এস্টেট এ তৎকালীন সোলস ব্যান্ড এর সদস্যদের ফটো সেশন।

রুদী থমাস, তাজুল ইসলাম, সুব্রত বড়ুয়া রনী, আহমেদ নেওয়াজ ও সাজেদ উল আলম

ফটোগ্রাফারঃ Taslim Uddin
কার্টেসীঃ Sazed Ul Alam

14/12/2023

৬০দশকে কক্সবাজারে Vintage Renault Gordini sports গাড়ি
Courtesy: Shahid Rizvi

13/12/2023

শুরুতে কেউ আপনাকে সাপোর্ট করবে না, তাই শুরুটা নিজে সাহস নিয়ে করে ফেলবেন ❤️
Always remember, it will be tough but not impossible ♥️

13/12/2023

গ্রামবাংলার একসময়ের জনপ্রিয় এই ফলটিকে কে কে চিনেন?🥰

11/12/2023

২০০৪ সালে হযরত গরীব উল্লাহ শাহ মাজার গেট

10/12/2023

কলেরার টিকা প্রদান

সময় (১৯৬৪)

10/12/2023

শীতহালে বেইন্না ফজরত
উরুম মোলা চারা
কিসু ন’খুজে ফরানত।

09/12/2023

শীতের রোদ আলতো করে এসে আমায় বললো, ‘কাউকে মিস করছো?’

09/12/2023

১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম ক্যান্টনম্যান্ট পাব্লিক স্কুল ও কলেজের (CPSC) সামনে সহপাঠিরা

কার্টেসী: Sarjeel Islam

08/12/2023

১৯৪৫ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে চ্ট্টগ্রামের হাটহাজারী বিমান ঘাটিতে Norton 16 H, 500 cc side valve মোটর সাইকেল এর উপর operational map দেখছেন ব্রিটিশ RAF ও অস্ট্রেলিয়ান RAAF এর সদস্য: Flying Officer Don Wilson (RAAF) (বামে) আর Operations Officer, Flight Lieutenant Duncan Robertson (RAF).
সুত্র: Australian War Memorial

07/12/2023

১৯৮৩ সালের শামসুন্নাহার হলের বিদায়ী প্রীতিভোজ...

ছবিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পেইজ থেকে
সময়কালঃ- ১৯৮৩
স্থানঃ- শামসুন্নাহার হল,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়.

05/12/2023

চট্রগ্রামের বিখ্যাত জায়গায় তোলা কিছু ছবি
ছবি - সংগৃহীত

05/12/2023

চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাইস্কুলের মেগাজিন

04/12/2023

২০১৬ সালের কর্ণফুলী রিভার ভিউ....
২০১৩ সালে কর্ণফুলী নদীর ওপর ব্লক দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এটি সংরক্ষণ ও দর্শনীয় করার জন্য এখানে বসার স্থান করে দেয়।
ছবি সংগ্রহঃ মুক্তিযোদ্ধা রিভার ভিউ

03/12/2023

১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি
হওয়া ছাত্রীরা।

ফটোগ্রাফার :- Zaman Fakhruzzaman Bhuiyan
সময় :- ১৯৭৩ সাল

একই ছবি অ্যাপসের মাধ্যমে রঙিন করা হলো।

02/12/2023

১৯৫২-১৯৫৭ সাল "কাপ্তাই বাঁধ" তৈরির সময়।

বিদেশি এবং এই দেশের শ্রমিকদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণতা এবং উভয়ের মিলিত প্রচেষ্টার ফসল আমাদের এই "কাপ্তাই বাঁধ"।

সোর্স ঃবাংলাদেশের পুরানো ছবি সংরক্ষণাগার
স্থানঃ কাপ্তাই, রাঙামাটি, চট্টগ্রাম।

01/12/2023

জীবনে ভালো থাকার জন্য অনেক মানুষের প্রয়োজন হয় না। অল্প কিছু মানুষ ই যথেষ্ট। আর তাদের একটু কেয়ার, একটু কুশল বিনিময় অনেক সময় আমাদের ভালো থাকতে সাহায্য করে,মনে একটা শক্তি দেয় কিছুটা ভালো লাগা দেয়, কিছু সুন্দর মুহুর্ত পাওয়া যায়। তাই তাদেরকে শুধু কৃতজ্ঞতা জানালে হয় না তাদের প্রতি অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে চাই।
আমি বলবো তারা আমার ছোট জীবনে অনেকগুলো সুন্দর অনুভূতির কারণ হয়ে আছে।
আমি সত্যিই বুঝি নি এত ভালবাসা পাবো। এক জীবনে ভালো থাকতে অনেক কিছুর প্রয়োজন নেই। সফলতা কাকে বলে আমি জানি না, কিন্তু নিজেকে সফল মনে হচ্ছে এতো ভালোবাসা পেয়ে থ্যাংকস এতো কষ্ট করে এতো জিনিস পাঠানোর জন্য❤️❤️❤️❤️❤️

01/12/2023

১৯৭৮-৭৯ সালে চবি শিক্ষার্থীদের দূর্লভ একটি ছবি।

ছবিঃ- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইজ থেকে
সময়কালঃ- ১৯৭৮/১৯৭৯
স্থানঃ- চট্টগ্রাম

30/11/2023

৯০ দশকে ঈদ উপলক্ষে পত্রিকায় ডিস্কো রেকর্ডিং ও প্যাসিফিক ইলেকট্রনিক এর বিজ্ঞাপন, তখন ছিল ক্যাসেট এর যুগ, প্রিয় শিল্পীদের গানের এলবাম ক্যাসেট এ বের হত আর রংগিন পোস্টার, এই পোস্টার কেনার জন্য রিতীমত হিরিক পরে যেত। পত্রিকাটির নাম ঠিক মনে নেই কিন্তু পত্রিকাটি কেনা হয়েছিল লাইসিয়াম নামের দোকান থেকে যেটি ততকালীন চট্টগ্রাম এর নাসিরাবাদ এ মিমি সুপার মার্কেট এ ছিল।

ছবি ও তথ্য - সংগৃহীত

29/11/2023

🎉 Facebook recognized me as a top rising creator this week!

29/11/2023

১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি যেতে হত বেশ চড়াই উৎরাই পার হয়ে, মাঝে ছিল ফেরী এখন যেখানে চেংগী ব্রিজ, সেখানে পৌছানোর প্রধান মাধ্যম ছিল চান্দের গাড়ি। একবার এক চান্দের গাড়ি থেকে নামার পর হেলপার কে ভাড়া দিতে গিয়ে জেনেছিলেন একজন টগবগে তরুন সরকারী কর্মকর্তা যে তাকে ছাড়াই সে ৪৬ জনের ভাড়া নিয়েছে।

১৯৮৩ সালে ২৯ আগস্ট বিকেল ৫ টায় মাটিরাংগা থেকে এমনই এক চাঁদের গাড়ি/ চান্দের গাড়ি তে রওয়ানা দিয়ে রাত ৮ টায় খাগড়াছড়ি বাজারের দক্ষিনে ফেরিঘাটে পৌছান তারা। তিন ঘন্টায় ১৮ কিলোমিটার, এর মধ্যে ১০ কিলোমিটার আলুটিলায় উঠন্তি-নামন্তি, চড়াই-উৎরাই, কিছু অংশ তখনো কাঁচা। তখনো চেংগী ব্রীজ হয় নাই আর সন্ধ্যার পর ফেরি চলতো না। সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে নদীর পার ধরে হেটে বাজারের পেছনে এসে ডাকাডাকি করে একটা নৌকা জোগাড় হলে নদী পাড় হয়ে পায়ে হেটে রাত ৯ টায় সিএইচটিডিবি রেস্টহাউজ এ পৌছান।

কার্টেসী: Jalal Ahmed

28/11/2023

"চাটগাঁ'র ঐতিহ্যঃ অ'ত্তোর দানার ভাত"🥰

চট্টগ্রাম পুরো বাংলাদেশের তুলনায় মুসলিম কালচার স্ট্রংলি ধারণ করে। ১০ মহরম তথা পবিত্র আশুরার দিনে চট্টগ্রামে আয়োজন করা হয় অ'ত্তোর দানার ভাত' নামক একটি বিশেষ খিচুড়ি খাদ্যপদের।

বাংলায় সংখ্যা সত্তর (৭০) কে চাটগাঁইয়া ভাষায় অ'ত্তোর বলা হয়ে থাকে। সাধারণত অ'ত্তোর দানার ভাত বলতে সত্তর (৭০) প্রকার দানাদার শস্যপদের দ্বারা তৈরি খাবার বোঝানো হয়। মূলত চাটগাঁইয়া ভাষায় সংখ্যার আধিক্য বোঝাতে অ'ত্তোর (সত্তর) বোঝানো হয়।

আশুরার দিনে চট্টগ্রামের মায়েরা অ'ত্তোর দানার ভাত নামের খিচুড়ি রান্না করেন। এই খিচুড়িতে নানা রকমের, নানা পদের দানা (নানা শস্যের বীজ) যোগ করা হয়। প্রায় সকল প্রকারের বীজ সংবলিত বীজ সম্ভার চট্টগ্রামের দোকান গুলো থেকে সহজে সংগ্রহ করা যায়। খিচুড়িতে প্রায় সকল প্রকার বীজের পাশাপাশি দুধ, গরুর মাংস, মুরগির মাংস যুক্ত করা হয়।

রান্নার পরে সমাজের প্রতিষ্ঠিত পরিবার গুলো পুরো পাড়ায়, মসজিদ-খানকায় পাঠান। অবশ্য ধনী-গরীব সমস্ত পরিবারই আশুরার অ'ত্তোর দানার তাদের মেয়ের বাড়িতে পাঠান। আশুরাতে সমগ্র চট্টগ্রামে দুয়েক পদের খাবার রান্না করা হয়ে থাকে।

মূল লেখাঃ কুতুব উদ্দিন চৌধুরী ইশতি।

27/11/2023

শেখ রাসেল স্মৃতি নার্সারি’ দীর্ঘদিন ধরে নগরীর অন্যতম নান্দনিক এলাকা জামালখান মোড়ের প্রতীকি পদ্মাসেতুর নিচে চলছিলো অবাধে শৌচকার্য। মারাত্মক দুর্গন্ধ সত্ত্বেও এই পথ দিয়ে দম আটকে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছিলেন পথচারীরা। এ নিয়ে চলতি বছরের ১৩ জুলাই সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকায় ‘শৌচাগার থাকার পরও রাস্তায় শৌচকার্য’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ১৫ অক্টোবর এই দুর্গন্ধময় জায়গাটিতে পরিষ্কার করে সেখানে ‘শেখ রাসেল স্মৃতি নার্সারি’ গড়ে তোলা হয়।

27/11/2023

১৯৭০ দশকে প্রগতী ইণ্ডাস্ট্রিজ এর ভক্সহল ভিভা গাড়ীর একটি বিজ্ঞাপন।

আমরা যারা বাংলাদেশি গাড়ি ব্যবহারকারী তারা সবাই জানি বাংলাদেশের সব গাড়িই ইম্পোর্টেড। যার দরুণ আমদানী শুল্কের কারণে দাম আকাশ ছোঁয়া। অনেকই স্বপ্ন দেখে একদিন বাংলাদেশে গাড়ি তৈরী হবে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা আজ থেকে বহু বছর আগে তৎমাকালীন সময়ে দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক মানের গাড়ি তৈরী ও রপ্তানী হতো।

১৯৬০ সালে এমআর হাবিবুল্লাহ নামের এক পাকিস্তানি পশতুন রিটায়ার্ড মেজর জেনারেল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে একটি মোটর গাড়ী কোম্পানী খুলে। নাম 'গান্ধারা ইন্ডাস্ট্রিজ।' এই কারখানা মূলত বিদেশ থেকে আমদানী করা সিকেডি বা নির্মিত মোটর গাড়ীর পার্টস সংযোগ করে সম্পূর্ণ গাড়ী ও অন্যান্য গাড়ীর স্পেয়ার স্পার্টস তৈরী করতো। নিজেদের ব্র্যাণ্ড প্রোডাক্ট না থাকলেও বিশ্বমানের অন্যান্য গাড়ী কোম্পানীর অনুমতি নিয়ে আমেরিকান ও ইউরোপীয়ান গাড়ী তৈরী করতো। প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মাঝেই আমেরিকার বিখ্যাত 'জেনারেল মোটরস্‌ কর্পোরেশন',ফোর্ড এই কারখানার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চারে কাজ শুরু করে। জেনারেল ও ফোর্ড মোটরসের সাথে থাকায় বহু বাঘা বাঘা কোম্পানীর গাড়ী তৈরী করার সুযোগ পায়।

সে সময় এই কোম্পানী প্রায় কয়েক হাজার ইউনিট গাড়ী নির্মান করে যা দেশীয় অর্থনীতিতে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কমার্শিয়াল যানবাহন যেমন বাস, ট্রাক, ট্রাক্টর, লরি, পিকআপের পাশাপাশি বিলাশবহুল সেডান, এসইউভি ও এম্বুলেন্সও তৈরী করে। এই কারখানা দেশিয় কারেন্সীর পাচার রোধ ও বিশাল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে।

ট্রাক বললেই যে হলুদ দানবের কথা আমাদের চোখে ভেসে ওঠে তা মূলত ব্রিটিশ 'বেডফোর্ড কোম্পানী'র ট্রাক যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সৈন্য পরিবহনে ব্যবহৃত হতো। নানা প্রতিকূলতার কারণে ১৯৬৭ সালে বেডফোর্ড কোম্পানী দেউলিয়া হয়ে যায়। যাবার আগে সেই মডেলটির পেটেন্ট কিনে নেয় গান্ধারা যা আজতক বানাচ্ছে আর রাস্তায় চলাচল করছে। উক্ত সময়ে পাকিস্তানের সাথে পশ্চিমাদের ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে বাঘা কোম্পানির সাথে চুক্তি থাকায় গাড়ির কোয়ালিটি ছিলো অনেক উন্নত। প্রতিবেশী ভারতও সেই সময় জাপানিজ বাদে অন্য কোন কোম্পানির সাথে চুক্তি ছাড়া পশ্চিমা দেশের সাথে কোন চুক্তি করতে পারেনি।

আরেক ব্রিটিশ সেডান কোম্পানী ভক্সহল। আমাদের দেশীয় কোম্পানীটি লাইসেন্স নিয়ে ভক্সহল ভিভা ও ভক্সহল ভিক্টর নামের দুটি বিলাশবহুল গাড়ী বানাতো যা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ধনী ব্যক্তিরা ব্যবহার করতো। একসময় উক্ত প্রতিষ্ঠানটি নিজেরাই দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজস্ব প্রযুক্তিতে উন্নতমানের গাড়ি তৈরি করতো।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে গান্ধারা ইন্ডাস্ট্রিজ সরকারের কাছে আবেদন করে তারা কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে বেঙ্গল মোটরস্‌ কর্পোরেশন মানে আর লগো ছিলো রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হিংস্র মুখের ছবি। কিন্ত সরকার সিদ্ধান্তের ভুলে সেটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে নতুন নাম হয় 'প্রগতী ইন্ডাস্ট্রিজ।' এখন শুধু মাত্র কিছু গাড়ীর পার্টস সংযোগের মাধ্যমে এটি টিকে আছে। সরকারী কাজে প্রয়োজনীয় মিৎসুবিশি এসইউভি ও কিছু ভারতীয় গাড়ীর ফিট করে কারখানাটি। অথচ এটি একটি প্রমিজিং সেক্টর ছিলো এককালে।

কার্টেসীঃ Alamgir Kabir, Car Feed BD

26/11/2023

জেনে নিন চট্টগ্রামে কোন মার্কেট কোন দিন বন্ধ থাকে ।
১)নিউ মার্কেট:শুক্রবার পূর্নদিবস বন্ধ|| শনি অর্ধদিবস
২)সানমার: মঙ্গলবার || বুধবার দুপুর ২টার পর খুলে।
৩)সেন্ট্রাল প্লাজা: শুক্রবার ও শনিবার অর্ধদিবস
৪)মিমি সুপার মার্কেটঃ রবিবার পূর্নদিবস বন্ধ || সোমবার ২:৩০ খোলা হয়
৫) আফমি প্লাজা:রবিবার পূর্নদিবস বন্ধ || সোমবার ২:৩০ খোলা হয়
৬)আমিন সেন্টার: রবিবার == সোমবার অর্ধদিবস
৭)এপোলো শপিং কমপ্লেক্স: রবিবার
৮)আক্তারুজ্জামান সেন্টার: রবিবার|| সোমবার অর্ধদিবস
৯)চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স: শুক্রবার || শনিবার অর্ধদিবস
১০)কেয়ারী: শুক্রবার
১১)লাকি প্লাজা: শুক্রবার ||শনিবার অর্ধদিবস
১২)খুলশি টাউন সেন্টার: সোমবার
১৩)ফিনলে স্কয়ার: বুধবার
১৪)ইউনেস্কো সেন্টার: বৃহস্পতিবার পূর্ণদিবস - শুক্রবার অর্ধদিবস
১৫)অলংকার শপিং কমপ্লেক্সঃ রবিবার
১৬)পাহাড়তলি সিডিএ মার্কেটঃ শনিবার
১৭)সিংগাপুর ব্যাংকক মার্কেটঃ শনিবার। রবিবার দুপুর ২টা থেকে খোলা।
১৮)বহদ্দারহাট স্বজন সুপার মার্কেট: শনিবার
১৯)হকার্স মার্কেটঃ শুক্রবার
২০) VIP টাওয়ারঃ শনিবার
২১) ঝনক প্লাজাঃরবিবার
২২) সিংগাপুর ব্যাংকক মার্কেটঃ শনিবার
২৩) বহদ্দারহাট স্বজন সুপার মার্কেট: শনিবার
২৪) চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটঃরবিবার
২৫)শাহ্ আমানত মার্কেটঃশুক্রবার
২৬)গুলজার টাওয়ারঃশনিবার
২৭)মতি টাওয়ারঃশুক্রবার
২৮)আগ্রাবাদ সাউথল্যান্ড সেন্টারঃরবিবার
২৯) বিনিময় টাওয়ারঃ শুক্রবার বন্ধ
৩০) বে শপিং সেন্টারঃ শনিবার বন্ধ
৩১) টেরীবাজারঃ শুক্রবার বন্ধ
৩২) চট্টগ্রামে আড়ং সমূহঃ হালিশহর আড়ং বন্ধ শনিবার || ষোলশহর আড়ং রবিবার বন্ধ
৩৩) বালি আর্কেডঃ সোমবার বন্ধ
৩৪) কাজি ষ্টোরঃ শুক্রবার বন্ধ
৩৫) সাফ আমিনঃ শনিবার বন্ধ
৩৬) পুলিশ প্লাজাঃ শুক্রবার বন্ধ
৩৭) সজন মার্কেট: শনিবার বন্ধ

26/11/2023

চাটগাঁইয়া শৈশব।
ছোটকালে আমরাও স্নাইপার চালাতাম🥰

25/11/2023

ছবিটি চট্টগ্রাম পাবলিক স্কুলে তোলা '৭৫ সালে- বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠানের।মাঠে এক সময়ের সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল আতিক- বিজয়ীদের পুরস্কৃত করছেন। আরও আছেন জোহরা কবির ও প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী দিলারা জামান।
ছবিঃ নাইমা সেহেলী ম্যাডাম

24/11/2023

এটাকে চিটাইঙ্গে ভাষায় কি বলে?

[মাছ ধরার ফাঁদ বিশেষ]

23/11/2023

বাহ নষ্ট সমাজ পরিবর্তনের অসাধারণ সিদ্ধান্ত। প্রতিটি গ্রামে,শহরে বা প্রতিটি পাড়া মহল্লায় চালু হোক এমন কিছু❤️

23/11/2023

আন্তাশা পাক্কোন উত্তর চট্টগ্রামের খুব জনপ্রিয় নাস্তা।একটা সময় ছিল হাটহাজারী ফটিকছড়ি রাউজান রাঙ্গুনিয়ার মানুষেরা বিয়ে মেজবান মেয়ে নায়ুর মানে সব অনুষ্ঠানে আন্তাশা পাক্কোন ছাড়া যেন চলতো না।আবার কয়েক পিস নয়,কয়েক লায় আন্তাশা পাক্কোন নিত।আমরা ছোট বেলায় দেখছি আমার আন্টি মামা সবার বিয়েতে আম্মুর নানুর বাড়ি থেকে মাস্ট ২-৩ লায় আন্তাশা পাক্কোন আনতো।কিন্তু বর্তমানে এমন রীতি প্রায় বিলুপ্ত।এই নাস্তা তৈরি ব্যয়বহুল এবং শ্রমবহুলও।

গরুর গোশত বা নলার ঝুল দিয়ে আন্তাশা পাক্কোন খুব মজার😋😋

22/11/2023

চেঙ্গী ব্রীজ উদ্বোধনের ছবি...
সম্ভবত ১৯৮৫ সাল।
খাগড়াছড়ি, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম

ছবিঃ- জালাল আহমেদ

21/11/2023

জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরী কে ১৯৬৮ সালে অস্তায়ী রাস্ট্রপতি হিসাবে গহিরা স্কুলে সম্বর্ধনা প্রদান করে মানপত্র পাঠ করছেন শহীদ নতুন চন্দ্র সিংহ,কুন্ডশরি ফাউন্ডেশন এর প্রতিস্টাতা।

ছবি ও তথ্য - সংগৃহীত

20/11/2023

Indian visa Application center(IVAC)
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র এখন নাসিরাবাদ সিডিএ এভিনিউতে ভারতীয় ভিসা প্রত্যাশীদের সুবিধার্থে অত্যাধুনিক ও নান্দনিক পরিবেশে ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের (আইভেক) নতুন কেন্দ্রটি চালু হয়েছে। এটি চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন জানায়, এখন থেকে নগরের খুলশী আইভেক সেন্টারে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এর পরিবর্তে নতুন আইভেক সেন্টারে (নাসিরাবাদ, দুইনাম্বার গেইট) সকল সুযোগ সুবিধা মিলবে।

20/11/2023

১৯৭৮ সাল - কক্সবাজার শহরের একটি কাঁচা বাজার।
স্থানঃ- কক্সবাজার

19/11/2023

There will be always some people to judge & talk behind your back they will gossip they will spread rumours about your life or success or your everything but they will never known all the sacrifices you made in your life,the hard works you did to turn your dream into a reality 🙂 Alhamdulliah for everything ❤️

Address

Chittagong

Website

https://instagram.com/maoajannatofficial

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Maoa Jannat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Maoa Jannat:

Videos

toxic friend jokhon tissu churi kore

কার কার ফ্রেন্ড এমন mention করে ফেলুন🤣🤣🤣 #toxicfriend #funnyvideo #memes

MeiN Agar kahu✨ Follow me on Instagram: https://instagram.com/maoajannatofficial #foryoupage #trending #trend #viralpost #lyric #lyrics #lyricsvideo #aesthetic__ari #reels #reelsinstagram #reelitfeelit #reelkarofeelkaro #reelsindia #foryou #foryoupage #explore #fyp