Chittagong Lovers

Chittagong Lovers just fun & reality

 #ছবির_বিশাল_গরুটি২০০১_সালের_ঢাকার_নয়া বাজারের কুরবানীর পশুর হাটের। এই গরুটির দাম হাঁকানো হয় দেড় লাখ টাকা! তাই বড় দামের...
16/06/2024

#ছবির_বিশাল_গরুটি২০০১_সালের_ঢাকার_নয়া বাজারের কুরবানীর পশুর হাটের। এই গরুটির দাম হাঁকানো হয় দেড় লাখ টাকা! তাই বড় দামের এই গরু কেউ কিনতে পারেনি।

২৩-বছর পর ২০২৪-সালে কোটি টাকার দামের সম্ভ্রান্ত এবং উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বংশের কুরবানীর গরু বিক্রি হয়েছে!

#তাহলে_কি_দেশের_মানুষের_জীবন_যাত্রার_মানের কি ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে? মানুষ এই ২৩ বছরে ব্যাপক স্বাবলম্বি হয়েছে? স্বচ্ছল হয়েছে?আমি বলবো না!!

এই ২৩-বছরে কিছু মানুষ বিশেষ করে যারা সরকারি চাকরিতে কর্মরত ছিল কিংবা রাষ্ট্রীয় সংস্থা গুলোর পাশাপাশি ছিল, বা ক্ষমতার কাছাকাছি (মেম্বার, চেয়ারম্যান, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী ইত্যাদি) ছিল বা আছে তারা বিবেক ও সততাকে, নীতি নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়েছে, শিক্ষিতদের মধ্যে বেশি অংশ প্রতারনা করছে।

রাজনীতি দুর্নীতিবাজদের আর মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী দের হাতে চলে গেছে।
শিক্ষক সমাজ শিক্ষার নামে ব্যাবসায় নেমেছে।
অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের প্রবনতা বেড়ে গেছে।
চিকিৎসকদের অধিকাংশই অমানবিক ধান্ধাবাজ হয়ে গেছে,,, অপারেশন থিয়েটারে রুগী ডুকিয়ে বাহিরে অপেক্ষায় থাকা রুগীর আত্মীয় স্বজনদের ভয়ভিতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

২৩-বছর আগে মানুষ অনেকটা সৎ আর নীতিবান ছিলো। তাই দেড় লাখ টাকা দামের গরু কুরবানী দিতে পারেনি!!
আর এখন লাখ টাকা।কোটি টাকা দামের গরু ও লোক দেখানো জবাই দিচ্ছে কিন্তু কুরবানী হচ্ছে না।

*Collected*

14/06/2024
14/06/2024

অতিথি পাখির অভয়ারণ্য খ্যাত লেক ভরাট করে ভবন তুলছে জাবি

10/06/2024

যত বড়ই প্লেয়ার হোক না কেন (সাকিব,শান্ত, লিটন) পারফর্ম করতে না পারলে দল থেকে বাদ দেওয়া উচিত। বিশ্ব কাপের মঞ্চে আবেগের কোন স্থান নেই।

10/06/2024

আইইএলটিএসে ৯-এর মধ্যে ৯ পেলেন যশোরের আজমাইন মুজতাবির

 #পার্শ্ববর্তী_দেশ_মিয়ানমার_থেকে_চোরাই_পথে_আনা ৪/৫ লাখ টাকা দামের গরুকে ১ বছর লালন-পালন করে কোটি টাকা দাম হাঁকান ফেরাউন ...
10/06/2024

#পার্শ্ববর্তী_দেশ_মিয়ানমার_থেকে_চোরাই_পথে_আনা ৪/৫ লাখ টাকা দামের গরুকে ১ বছর লালন-পালন করে কোটি টাকা দাম হাঁকান ফেরাউন এগ্রো ফার্ম।

#টেক্সাসের_বংশীয় গরু দাবী করে যে ব্রাহামাগুলো বিক্রি করা হচ্ছে তা মিয়ানমারের রেঙ্গুনে KN Rance নামের একটি ফার্ম থেকে সংগ্রহ করে তারা। এ গরুগুলো মূলত থাইল্যান্ড থেকে পাচার হয়ে আসা। পরে নাইক্ষংছড়ি সিমান্তে দিয়ে এগুলো চোরাই পথে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়ার বিভিন্ন খামার থেকেও তারা চোরাই গরু সংগ্রহ করে তা বিদেশি উচ্চবংশীয় গরু বলে বিক্রি করছে। মিয়ানমার থেকে আনা এসব গরু ঢাকায় নিয়ে গিয়ে গরুর শরীরে চামড়ায় গরম লোহা দিয়ে নাম্বার বসিয়ে তা আমেরিকার বিভিন্ন উন্নত জাতের খামারের গরুর মতো টেগ দেয়া হয়।

#মূলত_ফেরাউন এগ্রো ফার্মের মালিক আন্তর্জাতিক গরু চোরাকারবারী দলের সদস্য। মিয়ানমারের চোরাই গরুকে আমেরিকার টেক্সাসের গরু দাবী করে প্রতারনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করছে তারা। প্রশাসন এ বিষয়ে তদন্ত করলে আরও অনেককিছু বের হয়ে আসবে।

Courtesy :- Nurul Azim Rony

🚨OFFICIAL: Chelsea in,Arsenal,Manchester United and Barcelona out ..This are the teams that have qualified so far for th...
10/06/2024

🚨OFFICIAL: Chelsea in,Arsenal,Manchester United and Barcelona out ..This are the teams that have qualified so far for the 2025 CLUB WORLD CUP:

🇦🇷 RIVER PLATE.
🇧🇷 Flamengo.
🇧🇷 Palmeiras.
🇧🇷 Fluminense.
🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿 Manchester City.
🏴󠁧󠁢󠁥󠁮󠁧󠁿 Chelsea.
🇪🇸 Real Madrid
🇪🇸 Atlético Madrid.
🇩🇪 Bayern Múnich.
🇩🇪 Borussia Dortmund.
🇮🇹 Inter.
🇮🇹 Juventus.
🇫🇷 PSG.
🇵🇹 Benfica.
🇵🇹 Porto.
🇦🇹 Salzburgo.
🇪🇬 Al Ahly.
🇲🇦 Wydad Casablanca.
🇿🇦 Mamelodi Sundowns.
🇹🇳 Esperánce.
🇸🇦 Al-Hilal.
🇯🇵 Urawa Reds Diamonds.
🇰🇷 Ulsan Hyundai.
🇲🇽 Monterrey.
🇲🇽 León.
🇺🇸 Seattle Sounders.
🇳🇿 Auckland City.

Note that Barcelona did not qualify for this tournament given their poor performances in recent years in Europe

“গুনে গুনে ৮টা চুল ওয়ালা একটা লোককে গতকাল সেলুনে দেখলাম। সেলুনে যেহেতু মোটামুটি কাস্টমার ছিল তাই নাপিত মহাশয়ের তখন মেজাজ...
08/06/2024

“গুনে গুনে ৮টা চুল ওয়ালা একটা লোককে গতকাল সেলুনে দেখলাম। সেলুনে যেহেতু মোটামুটি কাস্টমার ছিল তাই নাপিত মহাশয়ের তখন মেজাজ খারাপ। লোকটি চুলের দিকে ইঙ্গিত করতেই নাপিত জানতে চাইলেন, কী ভাই, কাটবো না গুনবো?
লোকটি তখন হেসে উত্তর দিলেন, নারে ভাই ওইসব না, চুলগুলো রাঙ্গিয়ে দিন প্লিজ।

সেলুনের সবাই একটু মজা নিলেও আমি মোটেও মজা পাইলাম না কারন আমার কাছে '"জীবন উপভোগ করার বিষয়'"। তাই জীবনে যতটুকু আছে তা নিয়েই হাসিমুখে উপভোগ করতে হয়। কোন একটা ক্লাসে আমার শিক্ষক একবার বলেছিল যাদের মাথায় চুল কম তাদের পকেটে চিরুনি থাকে কেননা "" হারিয়ে খুঁজি তাকে" ছন্দটি ওনার জন্যই প্রযোজ্য।

আসল কথায় আসি, যদি আপনি কখনো STRESSED ফিল করেন তবে সবকিছু থেকে সাময়িক বিরতি নিবেন, আইস্ক্রিম, চকলেট, মিস্টি, বগুড়ার দই, টাঙ্গাইলের চমচম, পেস্ট্রি বা ফালুদা দিয়ে নিজেকে আপ্যায়িত করবেন।

এখন জানতে চাইতে পারেন কেন?

STRESSED শব্দটাকে উল্টো করে লিখে দেখুন উত্তরটা পেয়ে যাবেন, STRESSED কে উল্টো করে লিখলে সেটা DESSERTS ই হয়।

আপনি কি কখনও ইংরেজি বর্ণমালা নিয়ে ভেবে দেখেছেন, যদি না ভাবেন তবে দেখে নিন ইংরেজি বর্ণমালা আপনাকে কী পরামর্শ দিচ্ছেঃ

১. A B C = Avoid Boring Company =বিরক্তিকর সহচার্য এড়িয়ে চলুন।

২. D E F =Don't Entertain Fools = মূর্খদের গুরুত্ব দিবেন না।

৩. G H I = Go for a High Idea = উচ্চ ধারণার খোঁজ করুন ।

৪. J K L M = Just keep a friend like Me = নিজের মতো বন্ধু বানান।

৫. N O P = Never Overlook the Poor= দরিদ্র এবং পীড়িতদের কখনো অবজ্ঞা করবেন না।

৬. Q R S = Quit Reacting to Silly tales= অযথা বাজে কথায় প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।

৭. T U V = Tune Yourself (Urself) for your Victory = নিজেকে বিজয়ের জন্য প্রস্তুত করুন।

৮. W X Y Z = We Expect (Xpect) You to Zoom ahead in life = আমরা আশা করি তুমি জীবনে এগিয়ে যাবে।

চাঁদের দিকে তাকালে আপনি স্রষ্টার তৈরী সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। সুর্যের দিকে তাকালে আপনি স্রষ্টার শক্তিমত্তা দেখতে পাবেন। আর আয়নার দিকে তাকালে আপনি স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি দেখতে পাবেন। তাই সবসময় নিজের উপরে আস্থা এবং বিশ্বাস রাখবেন।

জীবনের লক্ষ যদি এমন হয় তবে কেমন হবে ৯৮৭৬৫৪৩২১০

৯ = প্রতিদিন ৯ গ্লাস পানি পান করুন।
৮ = প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমান।
৭ = পরিবার নিয়ে ৭ আশ্চর্য ঘুরে আসুন।
৬ = ৬ ডিজিটের আয় রোজগার করুন।
৫ = ৫ কর্ম দিবসের সপ্তাহ তৈরি করুন।
৪ = ৪ চাকার একটি গাড়ি কিনুন।
৩ = ৩ বেড রুমের একটা ফ্লাট কিনুন।
২ = ২ টা ফুটফুটে বাচ্চার অভিভাবক হন।
১ = ১ প্রেয়সী গড়ুন।
০ = দুশ্চিন্তাকে শুন্যের কোটায় নামিয়ে ফলুন।

সংগৃহীত

 #৭৭সালের_পর্যটন_হোটেল_উপলের_রুম_ভাড়া*
07/06/2024

#৭৭সালের_পর্যটন_হোটেল_উপলের_রুম_ভাড়া*

 #সাউথ_ইন্ডিয়ান_সিনেমার_সুপারষ্টার_রজনীকান্তের কোলে বসে থাকা ছোট্ট শিশুটির নাম - ইয়াসিন। ইয়াসিন তামিলনাড়ুর ইরোডের বাসিন্...
07/06/2024

#সাউথ_ইন্ডিয়ান_সিনেমার_সুপারষ্টার_রজনীকান্তের কোলে বসে থাকা ছোট্ট শিশুটির নাম - ইয়াসিন। ইয়াসিন তামিলনাড়ুর ইরোডের বাসিন্দা।

স্কুলে যাওয়ার পথে ইয়াসিন ৫০ হাজার টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ কুড়িয়ে পায়। টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে সে স্কুলের শিক্ষক ভী-জয়ন্তীর কাছে নিয়ে যায়। শিক্ষক মহাশয় তাকে নিয়ে জেলার SP শক্তি গণেশনের কাছে উপস্থিত হন। SP সাহেব ইয়াসিনের সততা দেখে তাকে এক হাজার টাকা পুরস্কার দিতে চান।

ইয়াসিন সেটা পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করে।
SP সাহেব তাকে তখন মনের যে কোনো একটা ইচ্ছা ব্যক্ত করতে বলেন। ইয়াসিন বলে, সে রজনীকান্তের সঙ্গে দেখা করতে চায়। প্রশাসন যোগাযোগ করে রজনীকান্তের সঙ্গে। রজনীকান্ত সমস্ত ঘটনা শুনে তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে যান।

এরপর নির্দিষ্ট দিনে রজনীকান্ত নিজে ইয়াসিনের বাড়িতে উপস্থিত হন। বাড়ির সকলের সঙ্গে বেশ কিছুটা মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেন এবং যাওয়ার সময় ইয়াসিনের গলায় উপহার স্বরূপ সোনার চেন পরিয়ে দেন।

রজনীকান্ত ইয়াসিনের পড়াশোনার সমস্ত দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। ইয়াসিন যতদূর পর্যন্ত পড়তে চাইবে, রজনীকান্ত সমস্ত খরচ-খরচা বহন করবেন।

স্যালুট সুপারষ্টার!❤️

নেগেটিভিটির এই দুনিয়ায় এই ছোট ছোট পজিটিভ খবরগুলি ছড়িয়ে দিন সকলের মাঝে, শেয়ার করুন সকলের সাথে। ❤️

আরো এমন ভালো পোস্টের জন্য ফলো করে রাখুন পেজটি।😊🌻

*Collected*

 :
02/06/2024

:

31/05/2024

গুটি কয়েক 'বাস' 🚌 মালিকের মুনাফা লোভী স্বার্থের কাছে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিশাল গণ-পরিবহন ভান্ডার "ট্রেন"🚆কিভাবে বারবার পরাজিত হচ্ছে?

 েকে_১৩৯_বছর_আগের_পৃথিবী। তখনও বিশ্বযুদ্ধ হয়নি একটিও। মানুষ চাঁদে যাওয়ার যোগ্য হবে এর আরও ৮৪ বছর পরে। এম্পায়ার এস্টেট বি...
31/05/2024

েকে_১৩৯_বছর_আগের_পৃথিবী। তখনও বিশ্বযুদ্ধ হয়নি একটিও। মানুষ চাঁদে যাওয়ার যোগ্য হবে এর আরও ৮৪ বছর পরে। এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিং নির্মিত হতে আরও ৪৫ বছর। নেলসন ম্যান্ডেলার জন্মাতে আরও ৩৩ বছর লাগবে, মাইকেল জ্যাকসনের প্রয়োজন ৭৩। জগদ্বিখ্যাত আবিষ্কার পেনিসিলিন উদ্ভাবিত হবে এর আরও ৪৩ বছর পরে; এর উদ্ভাবক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং-ই মাত্র ৪ বছরের শিশু তখন, খেলছেন স্কটল্যান্ডের বাড়িতে। এবং, ওসময়, ওই স্কটল্যান্ডেই, আরও বেশ ক'বছর পরে ভারতবর্ষ থেকে পড়তে আসা একজন রসায়নবিদ্যার ছাত্র, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ইউনিভার্সিটি অভ এডিনবরায় অধ্যয়নরত, ২৪ বছর বয়সী একজন তরুণ মাত্র, যে-ছাত্র, আরও বেশ ক'বছর পরে জগদ্বিখ্যাত একজন বিজ্ঞানী হয়ে উঠবেন।

হ্যাঁ, ছবিটি সেই বছরই তোলা, ১৩৯ বছর আগে, ১৮৮৫ সালে। অক্টোবরের ১০ তারিখে।

ছবিটিকে 'বিশ্ব-নারীর ক্ষমতা ও জ্ঞানের আদর্শ ছবি' বলা হয়। শিরোনাম─ women in medicine. ছবিতে ৩ জন তরুণীকে দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসাশাস্ত্রের ছাত্রী। তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মার্কিনদেশের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরের 'women's medical college of philadelphia'য় তোলা হয়েছিলো ছবিটি। ছবিটিকে বৈশ্বিক ছবি বলার কারণ─ ছবির তিন ছাত্রী পৃথিবীর সুদূরবর্তী এশিয়ার তিন ভিন্ন দেশের মানুষ। ছবির বাঁয়ে, বসা─ ডাক্তার আনন্দাবাই জোশী, ভারতের সেরানিসোরের (কল্যাণ); মাঝখানে, দাঁড়ানো─ ডাক্তার কেই ওকামি, জাপানের টোকিওর; এবং ডানে, বসা─ ডাক্তার তাবাত এম. ইসমবুলী সিরিয়ার দামেস্কের, অধিবাসী। ওই সময়ে, পড়তে এবং ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছেয় পৃথিবীর প্রায় উল্টোপিঠের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়াটা, এক শব্দে─ অকল্পনীয়! এখনকার মানবাধিকারের মডেল যে-দেশটিতে, নারীদের ভোটাধিকার পেতে লেগে যাবে এই ছবিটির পরের আরও ৩৫ বছর! অহ্!

আপনারা, মানবেতিহাসের তিনজন শ্রেষ্ঠতম মেধাবী ও জেদি জিনিয়াস মস্তিষ্কের নারীকে দেখতে পাচ্ছেন, তাঁদের স্ব-স্ব দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরনে, যাঁরা তৎকালীন সমাজের (বলতে গেলে এখনকারও) সমস্ত সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, তাচ্ছিল্য, প্রতিবন্ধকতা ভেঙে দিয়ে ও ডিঙিয়ে, নিজেদের জ্ঞান ও ক্ষমতাকে, জগতের ও জীবনের সর্বোচ্চ শিখরে তুলে নিয়েছিলেন।

অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন সাত সমুদ্র তেরো নদী। আপনি কী করছেন?

* "Collected"

 #কিং_খানের_হাতে_তৃতীয়বারের_মতো_IPL_ট্রফি🏆
27/05/2024

#কিং_খানের_হাতে_তৃতীয়বারের_মতো_IPL_ট্রফি🏆

 #ইমাম_বুখারীর_শেষ_কিছুদিন*ইমাম বুখারী নিশাপুরে ঠাঁই পেলেন না। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখে চারদিকে কিছু হিংসুক তৈরি হ...
24/05/2024

#ইমাম_বুখারীর_শেষ_কিছুদিন*

ইমাম বুখারী নিশাপুরে ঠাঁই পেলেন না। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা দেখে চারদিকে কিছু হিংসুক তৈরি হল। হিংসুকের হিংসা এবং ভ্রষ্ট শাসকের জুলুমি সিদ্ধান্ত তাঁকে আর থাকতেই দিল না নিশাপুরে। রাষ্ট্রীয় ফরমান জারি হল, "ঠিক এখনই নিশাপুর ত্যাগ করুন।"

শাসকের ক্ষোভের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল, রাজদরবারে গিয়ে তার ছেলেকে পড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া। রাষ্ট্রীয় এই প্রস্তাবের জবাবে তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেছিলেন, "জ্ঞান মজলিসে বসেই নিত হয়, ঘরের দরজায় গিয়ে বিলি করা হয় না।"

ইমাম বুখারী রাহি. কিতাবাদি গুছিয়ে যাত্রা শুরু করলেন নতুন গন্তব্যের দিকে। যাবেন নিজ এলাকা বুখারাতে। তিনি বুখারাতে যখন পৌঁছলেন সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে শহরের মূল প্রবেশদ্বারে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন। মানুষের ঢল নেমেছিল সেদিন। সেই কি উচ্ছ্বাস, আনন্দ! বহুদিন পর যেন হারানো ধন খুঁজে পেলেম তারা। হঠাৎ যেন কী একটা হয়ে গেল বুখারায়। মানুষের দৃষ্টি একদিকেই। জনগণের এই পরিবর্তিত আচরণ নীতিনির্ধারকদের অনেকেই সইতে পারল না। হিংসায় জ্বলে উঠল। হিংসার সেই তাপ লাগল দরবারেও।

এদিকে নিশাপুরের গভর্নর আরো বেসামাল। তার ক্ষোভ যেন কিছুতেই কমছে না। বুখারাতে ইমাম আশ্রয় নিয়েছেন—এই সংবাদ পেয়ে বুখারার গভর্নরের কাছে পত্র লিখল। পত্রের সারমর্ম ছিল এমন, "লোকটাকে নিশাপুর থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আপনার রাজ্যের কল্যাণের জন্য ওকে বুখারা থেকেও বহিষ্কার করুন।"

বুখারার গভর্নরের রাগে যেন ঘি পড়ল। জ্বলে উঠল ছ্যাঁৎ করে। সঙ্গেসঙ্গে রাজকীয় পিয়নের মাধ্যমে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হল। সেখানে লেখা ছিল, "ঠিক এই মুহূর্তে বুখারা ছাড়ুন।"

বাধ্য হয়ে ইমাম বুখারী রাহি. বুখারা ত্যাগ করলেন। কোথায় যাবেন তখন, তাঁর জানা ছিল না। যেখানেই যাচ্ছিলেন সেখান থেকেই বের করে দেওয়া হচ্ছিল। তিনি বুখারা থেকে বের হয়ে নির্জন প্রান্তরে তাঁবু টানিয়ে তিনদিন অবস্থান করেছিলেন, যাতে সব কিতাবাদি সংগ্রহ করে সাথে করে নেওয়া যায়। কারণ, এই জন্মস্থানে তো আর আসা হবে না। তাঁর একান্ত সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ইবরাহীম বিন মাকীল।

হঠাৎ ইমামের মনে হল, সমরকন্দের খারাতনাক গ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের বসবাস। সেখানে চলে গেলে মন্দ হবে না। জীবনের বাকিটা সময় অপরিচিত সেই গ্রামের নির্জনতায় কাটিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিইবা করার আছে!

চললেন আত্মীয়ের বাসার দিকে। চলতে চলতে পৌঁছে গেলেন সমরকন্দের অন্তর্ভুক্ত খারাতনাক গ্রামে অবস্থিত আত্মীয়ের বাসায়। তাঁরা ইমামকে খুশিতে বুকে টেনে নিলেন। গ্রামের মানুষ বেজায় খুশি।

এদিকে হিংসুকদের দৃষ্টিও ইমামের পিছনে পিছনে চলতে লাগল। সংঘবদ্ধ চক্র খবর রাখছিল, ইমাম বুখারী কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেয়৷ যেখানেই আশ্রয় নেবে সেখান থেকেই তাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সমরকন্দের শাসকের কাছে রাষ্ট্রীয় চিঠি চালাচালি করে ইমামের অবস্থান শনাক্ত করে সেখান থেকে বহিষ্কার করার অনুরোধ জানাল। সমরকন্দের শাসক চিঠির হুকুম তামিল করল। রাষ্ট্রীয় বার্তাবাহক বহিষ্কারাদেশ ফরমান নিয়ে হাজির হল অজপাড়া সেই গ্রামে।

তখন ঈদের রাত। রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। চিঠিটাও লিখছিল সেভাবেই। "এখনই বের হোন, ঈদের পরে নয়।" এটা পড়ে ইমাম একমুহূর্ত অবস্থান করার চিন্তা করলেন না। তিনি নিজের জীবনের চেয়ে আশ্রয়দাতা আত্মীয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বেশি। ভাবলেন, যদি এখনই অর্থাৎ ঈদের রাতেই ত্যাগ না করি তাহলে বাড়ির কর্তাদের ওপর জুলুম করা হতে পারে।

আবার চললেন ইমাম বুখারী। বের হয়ে বিশ কদম এগুতে পারলেন না। ক্লান্ত হয়ে গেলেন খুব। এতটাই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলেন যে, তাঁর স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। ইবরাহীম বিন মাকীলকে বললেন, যাতে সে তাঁকে একটু বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেয়। ইবরাহীম বিন মাকীল তড়িঘড়ি করে তাঁর শায়খকে রাস্তার পাশেই বসিয়ে দিলেন। ইমাম বুখারী বসা থেকে শুইয়ে চোখদুটো বন্ধ করে দিলেন। বিন মাকীল মনে করলেন শায়খ আমার ঘুমুচ্ছেন। তিনি যাত্রা শুরু করার জন্য কিছুক্ষণ পর ইমামের মাথায় আলতো করে হাত রেখে ডাকতে থাকলেন। না, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এবার আরেকটু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন, ইমাম আর এই দুনিয়াতে নেই। তিনি তাঁর রবের সাক্ষাতে বের হয়ে গেছেন।

ইমাম বুখারী রাস্তার পাশে মারা গিয়েছিলেন।
ঈদের রাতে ঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন।
২৫৬ হিজরীর পহেলা শাওয়ালে মারা গিয়েছিলেন।
তিনি যেসময় ছন্নছাড়া হয়ে এই শহর থেকে ওই শহরে ঘুরছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৬২ বছর।

১২০০ বছর পর আজ ইমাম বুখারীর নাম সবার মুখেমুখে। কিন্তু যেই শাসক এবং হিংসুকরা তাঁর পিছনে লেগেছিল তাদের নাম পর্যন্ত আজ অবশিষ্ট নেই। ইমাম বুখারীকে পড়বে, জানবে এবং রিসার্চ করবে কিয়ামত পর্যন্ত। বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ ইমামের জ্ঞান থেকে ইস্তেফাদা নেবেন। তিনি উলুমুল হাদীসের রাজ্যে রাজাই থাকবেন। আর যারা তাঁর পিছনে লেগে তাঁকে চরম কষ্ট দিয়েছিল তারা কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে সেই কবে!

শিক্ষা:
চরম ত্যাগ ছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অনুসরণীয় অনুকরণীয় আদর্শ হওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই।

*Collected from Mr. Nazrul*

 #প্রখ্যাত_ভারতীয়_কার্টুনিস্ট_ইসমাইল_লাহারির আঁকা এ ছবিটি ক'দিন আগে আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে বেড়...
21/05/2024

#প্রখ্যাত_ভারতীয়_কার্টুনিস্ট_ইসমাইল_লাহারির আঁকা এ ছবিটি ক'দিন আগে আন্তর্জাতিক মাতৃদিবসে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে বেড়াতে দেখেছি। শুধু একটি কার্টুন ছবির মাধ্যমে তিনি যেন একজন অসহায় মায়ের সামনে তার সন্তানদের মোবাইলের চোরাবালিতে ডুবে যেতে দেখিয়েছেন। আমি নিজেও মনে করি আমাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের সামনে মোবাইল, নেট... একটা সামাজিক সমস্যা। লেখা পড়ার বাইরে যেটুকু সময় তারা পায় মোবাইলে ডুবে থাকে। এর ক্ষতিকর দিক বাবা মা'রা বোঝেন না এমন নয়। কিন্তু তারা যেন অসহায়। একজন শিক্ষক হিসাবে এমন অভিজ্ঞতাও হয়েছে অভিভাবক আমাদের অনুরোধ করছেন তার ছেলেমেয়ে যেন মোবাইল ব্যবহার না করে সেটা একটু বুঝিয়ে বলতে। তারা বাবা মা হয়ে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে শিক্ষকের শরণাপন্ন হচ্ছেন! এটা অসহয়তা নয়।

এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় রামকৃষ্ণ মিশনের ছ জন কৃতি ছাত্র আছেন৷ মিশনের মহারাজ একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন, তাদের মিশনে যদি মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি থাকত তাহলে হয়তো তার কৃতি ছাত্ররা তালিকায় থাকতে পারত না।

আমাদের ছোটবেলায় যখন মোবাইল স্বপ্নেও ছিল না, তখন পড়ার বাইরে আমাদের খেলা ছিল। আর ছিল গল্পের বই পড়া। আমি ক্লাসে যারা ভালো রেজাল্ট করে তাদেরও জিজ্ঞাসা করে দেখেছি, পড়ার বই এর বাইরে কোন বই তারা পড়ে না। চাঁদের পাহাড়, সবুজ দ্বিপের রাজা, ফেলুদা, ব্যোমকেশ ছাড়াই, শুধু মোবাইলকে সঙ্গী করে স্কুল জীবন পেরিয়ে কলেজে পৌঁছে গেল।

পৌঁছে গেল, কিন্তু কোথাও যেন একটা ফাঁক থেকে গেল। সে ফাঁকটা সব থেকে বেশি বুঝতে পারছেন একজন মা। তিনি যেন ডুবতে দেখছেন সন্তানদের কিন্তু তিনি যেন অসহায়।

এই অসহয়তা থেকে মুক্তির উপায় আমার জানা নেই। কিন্তু ভাবতে হবে সবাইকে।

*

১) #নুসরাত_ফাতেহ_আলী_খান_১৯৮০_সালে_প্রথম ভারত সফর করেন! মূলত সেটাই ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর। রাজ কাপুর তার ছেলে ঋষি কাপুর...
19/05/2024

১) #নুসরাত_ফাতেহ_আলী_খান_১৯৮০_সালে_প্রথম ভারত সফর করেন! মূলত সেটাই ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর। রাজ কাপুর তার ছেলে ঋষি কাপুরের বিয়েতে গান গাওয়ার জন্য খান সাহাবকে আমন্ত্রণ জানান! সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে বলিউডের সব বড়ো বড়ো গায়ক ও গায়িকারাও উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল, নুসরাত ফাতেহ আলী খান ৩০ মিনিট গান গাইবেন! কিন্তু নুসরাত যখন গান শুরু করলেন তখন রাজ কাপুর, ঋষি কাপুরসহ উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন! রাজ কাপুর এতোটাই মুগ্ধ হলেন যে, নুসরাত সাহাবকে অনুরোধ করে পুরো চার ঘন্টা গান শুনলেন!

২)দুই:

নুসরাত ফাতেহ আলী খানের তখন বিশ্বজোড়া নাম। ফ্রান্সের একটি কালচারাল ক্লাব নুসরাত সাহাবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানায়! নুসরাত সাহাব চিন্তা করলেন, ফ্রান্সের মানুষজন তো উর্দু বুঝবে না। তাই গানগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিয়ে যান।

নুসরাত সাহাব যখন বললেন, তিনি ইংরেজিতে গান গাইবেন তখন উপস্থিত দর্শকরা আপত্তি জানালেন। তারা বললেন, আপনি আমাদের সাথে জুলুম করবেন না। আপনি উর্দু ভাষাতেই গান গাবেন! আমরা গানের সুরে গানের কথা বুঝে নিবো!

৩)তিন:

একবার এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান বলেছিলেন, '৯২ এ বিশ্বকাপ জেতার পেছনে নুসরাত ফাতেহ আলী খানেরও অবদান আছে। ৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তান প্রথম দিকের ম্যাচগুলোতে হারতে থাকে। দলের সবাই আপসেট, আমিও আপসেট! হোটেল রুমে নুসরাত সাহাবের গান শুনছিলাম। যখনই নুসরাত সাহাবের 'আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ...' গান শুনলাম, আমার ভিতরে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে লাগল। পরের ম্যাচে নামার আগে আমি দলের সবাইকে নিয়ে নুসরাত সাহাবের 'আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু' গান শুনলাম। তারপর লক্ষ্য করলাম সবাই উজ্জীবিত ও আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। আমরা ফাইনালের দিনও গানটা শুনেই মাঠে নেমেছিলাম। '

তারপর ইমরান খান বলেন, 'নুসরাত সাহাবের গানে ও কণ্ঠে এমন কিছু একটা আছে, যা ব্যাখ্যাতীত! তার গান শুনে পাগল হবে না, এমন লোক দুনিয়ায় পাওয়া যাবে না!'

৪)চার:

১৯৯৩ সালের কথা! ভারতের রাজস্থান থেকে এক বয়স্ক লোক নুসরাত সাহাবের বাড়িতে আসলেন! নুসরাত সাহাবের সাথে দেখা করে বললেন, 'আমার মেয়ে বিয়েতে আমার থেকে কোনো উপহার নিতে চাচ্ছে না। তবে একটি আবদার করেছে। তার বিয়েতে আপনি গান গাইবেন-এই আবদারটুকু করেছে!'

পাশেই নুসরাত সাহেবের সেক্রেটারি বসা ছিল। সেক্রেটারি বয়স্ক লোকটার কাছে ১ লাখ টাকা চাইল। তাহলে নুসরাত সাহাব আপনার মেয়ের বিয়েতে গান গাইবে!

তখন নুসরাত সাহাব বললেন, 'না! একটাও দিতে হবে না। আমি বিনা পয়সাতেই আপনার মেয়ের বিয়েতে গান গাইতে যাবো!'

বিয়ের দিন নুসরাস সাহাব ঠিকই তার দলবল নিয়ে উপস্থিত হলেন। বিয়েতে গান গাইলেন! গানের আসর শেষে ফেরার পথে নুসরাত সাহাব সেই মেয়েকে বিয়ের উপহার হিসেবে ৫০ হাজার টাকা উপহার দিয়েছিলেন!

গান শুনলে কারোর কান্না আসে কিনা জানি না! তবে নুসরাত সাহাবের গান শুনলে চোখ দুটো ছলছল হয়ে যায়! নুসরাত সাহাবের গানে কী জাদু আছে, কেউ কি বলতে পারবে.......।

 েকে_৬০_বছর_আগের_পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল তথা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের রেলের একটি বিজ্ঞাপন দেখুন!১৯৬৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ...
18/05/2024

েকে_৬০_বছর_আগের_পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল তথা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের রেলের একটি বিজ্ঞাপন দেখুন!১৯৬৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে উদ্বোধন হওয়া পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ের 'উল্কা' ট্রেনের বিজ্ঞাপন!

ইন্টারেস্টিং দিক হলো ট্রেনের টাইমিং।

সময়ের সাথে সাথে জ্ঞান-গরিমায়, প্রযুক্তিতে-বিজ্ঞানে মানুষ এত অ্যাডভান্স হয়েছে! অথচ সেই ৬০ বছর আগে সময়ের হিসাবে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব যা ছিল আজও তা রয়ে গেছে!!!

১৯৬৬ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা পথে ট্রেনের পরিচালনা সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে ছয় ঘন্টা!

এখন ঢাকা-চট্টগ্রামের যে রেলপথ এখন আছে তখনও এটাই ছিল। এখন অবশ্য ডাবল লাইন করা হয়েছে।

তখন ঢাকা স্টেশন ছিল গুলিস্তানের অদূরে ফুলবাড়িয়ায়। এখন সেখানে রেলওয়ের একটা যাদুঘর আছে।

আশ্চর্যজনক হলো ১৯৬৬ সালে ট্রেন চলতে যত সময় নিত এখনো একই সময় নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনগুলো!

এখন বিরতিহীন সূবর্ণ এবং সোনার বাংলা ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে পরিচালিত বাকি সব ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে ৬ থেকে সাড়ে ৬ ঘন্টা সময় নেয়!

*

 #কফিহাউজ_গানের_জন্ম_কাহিনী*কফিহাউজ গানটি নিয়ে মান্না দে সবসময় নিজের চেয়েও বেশি কৃতিত্ব দেন গীতিকার সুরকারকে। তিনি শুধু ...
15/05/2024

#কফিহাউজ_গানের_জন্ম_কাহিনী*

কফিহাউজ গানটি নিয়ে মান্না দে সবসময় নিজের চেয়েও বেশি কৃতিত্ব দেন গীতিকার সুরকারকে। তিনি শুধু গানটা গেয়েছিলেন মাত্র।
তার মতে, হেমন্ত গাইলে গানটা সুপারহিট হতো আর শ্যামল মিত্র গাইলে তো হিট। তবে মান্নার কণ্ঠে যে গানটি চিরকালীন পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন গানটির সুরকার সুপর্ণকান্তি।
তবে মান্না দে এ গানটির দ্বিতীয় অংশ হিসেবে ‘স্বপ্নের কফি হাউস’ শীর্ষক একটি গান প্রথম গানটির ঠিক কুড়ি বছর বাদে গেয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যময় কারণে সেটি শোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বাঙালি।
কফি হাউসের সেই আড্ডাটা গানটির গীতকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের কথায় সুর দিয়েছিলেন নচিকেতার পুত্র সুপর্ণকান্তি ঘোষ। মান্না দের মতে, গৌরীবাবু লিখেছিলেন দুর্দান্ত।
সুরকার সুপর্ণকান্তি অসাধারণ কাজ করেছিলেন। এই গানটির জন্ম কাহিনীটি বেশ গল্পের মতো।
সময়টা ১৯৮৩ সাল। গীতিকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদার তখন আশা ভোঁসলেকে নিয়ে প্রচুর হিট প্রেমের গান লিখে চলেছেন। কিন্তু পূজার গান মান্না দের জন্য তিনি লিখতে পারছেন না। সবই লিখছেন পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে আক্ষেপ ছিল গৌরী প্রসন্নের মনে। এ সময় একদিন নচিকেতা ঘোষের নিউ আলিপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন গৌরী প্রসন্ন। উদ্দেশ্য ছিল শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে একটি গান তোলা।
সেই সময় সেরা জুটি ছিলেন নচিকেতা ও গৌরী প্রসন্ন। সেই সূত্রে নচিকেতার ছেলে সুপর্ণকান্তির সঙ্গেও বেশ ভাল সম্পর্ক। তবে বাড়িতে আসার অনেকক্ষণ পরে সুপর্ণকান্তিকে দেখতে পেয়ে গৌরী প্রসন্ন মজা করেই বলেন, `কী বাইরে আড্ডা মেরে সময় কাটাচ্ছ? এর উত্তরে সুপর্ণকান্তি তার গৌরী কাকাকে বলেন, `কী সব গদগদে প্রেমের গান লিখছো। একটা অন্যরকম গান লিখে দেখাও না। এই আড্ডা নিয়েও তো গান লিখতে পারো। `
এবার গৌরী প্রসন্ন বলেন, তুমি তো অক্সফোর্ডের এমএ হয়ে গিয়েছো। আড্ডা নিয়ে বাংলা গান গাইবে? সুপর্ণ এবার বলে, কেন নয়। কফি হাউসের আড্ডা নিয়েও তো একটা গান লিখতে পারো। গৌরী প্রসন্ন এবার বলেন, তোমার বাবা (নচিকেতা ঘোষ) কি আর সে গান গাইবেন? তর্ক চলছে বটে কিন্তু গৌরী প্রসন্ন এরই মধ্যে মনে মনে তৈরি করে ফেলেন দুটি লাইন।
এরপরেই সুপর্ণকান্তিকে বললেন, লিখে নাও- ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই/ কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই। ’ সুপর্ণও সঙ্গে সঙ্গে দুটো লাইনেই সুর দিয়ে শুনিয়ে দেন। উপস্থিত শক্তি ঠাকুর সেবার পূজায় গানটা গাওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেও সুপর্ণ রাজি হননি। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক করে নিয়েছিলেন মান্না দের কথা।
কিন্তু গানের বাকি লাইনগুলো? পরের দিন সকালেই গৌরী প্রসন্নের স্ত্রী সুপর্ণকান্তিকে ফোন দিলেন । সারা রাত জেগে বহুদিন পরে গান লিখেছেন অসুস্থ গৌরী প্রসন্ন। তখনই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। দু’দিন পরে গানটা নিয়ে হাজির। কিন্তু শেষ স্তবক যোগ করার পক্ষপাতী ছিলেন না গৌরী প্রসন্ন। সুপর্ণকান্তি চান যোগ করুন একটি স্তবক।
শেষ পর্যন্ত রাজি হন। লেখেন দুর্দান্ত সেই লাইন- ‘সেই সাতজন নেই, তবুও টেবিলটা আজও আছে। ’ কিন্তু শেষ তিনটি লাইন তিনি লিখেছিলেন চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে বসে একটি সিগারেটের প্যাকেটের উল্টো পিঠে। এক চেনা লোকের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেন সুপর্ণকান্তির কাছে।
তারপর সুপর্ণকান্তির সুরে মুম্বইয়ে গানটি রেকর্ড করেন মান্না দে। তৈরি হয়ে যায় একটা ইতিহাস। তবে কফি হাউসের দ্বিতীয় অংশ হিসেবে পরবর্তী সময়ে ‘স্বপ্নের কফি হাউস’ নামে একটি গান রেকর্ড করেছিলেন মান্না দে। একটি নতুন রেকর্ড কোম্পানিই রেকর্ড করিয়েছিল গানটি। কিন্তু সুপর্ণকান্তি জানিয়েছেন, সেই গানের অরিজিনাল স্পুলটি পাওয়া যায়নি। ফলে অন্য স্পুল দিয়ে কাজ করতে হয়েছিল। নিখিলেশ, মইদুলদের নিয়ে দ্বিতীয় গানটি লিখেছিলেন শমীন্দ্র রায় চৌধুরী। প্রথম গানের স্কেলেই গানটা করেছিলেন মান্না দে। দ্বিতীয় গানটি প্রথমটির থেকেও সুরের বৈচিত্রের বিচারে অনেক ভাল হয়েছিল। কিন্তু কোথায় গেল সেই স্বপ্নের কফি হাউস কেউ জানে না। মান্না দেও হতাশ। তিনি শুধু বলেছেন, বাঙালি তো জানতেই পারল না সেই গানের কথা।
কফি হাউজ নিয়ে মান্না দের দুটি গান আছে। দুটি গান এখানে তুলে ধরা হল বাংলানিউজ পাঠকদের জন্য...
শিল্পী- মান্না দে
কথা- গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
সুর- সুপর্ণ কান্তি ঘোষ
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই
আজ আর নেই...........................। ।
নিখিলেশ প্যারিসে মইদুল ঢাকাতে নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যান্ড এর গীটারিষ্ট গোয়ানিস ডি সুজা ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছে রমা রায়
অমলটা ধুক্ছে দুরন্ত ক্যান্সারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়। ।
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে শুনেছি তো লাখপতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে গাড়ী বাড়ি সব কিছু দামি তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে ডি সুজাটা বসে শুধু থাকতো। ।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘণ্টা চারমিনার ঠোঁটে জ্বলতো
কখনো বিষ্ণুদে কখনো যামিনী রায় এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুট্তাম
চারটেতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম। ।
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার কোথাও হলোনা ছাপা পেলো না সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোসালে এমেচার নাটকে রমা রায় অভিনয় করতো
কাগজের রিপোর্টার মইদুল এসে রোজ কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো। ।
সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে সাতটা পেয়ালা আজো খালি নেই
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি শুধু সেই সেদিনের মালী নেই
কত স্বপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজে কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এলো গেলো কতজনই আসবে, কফি হাউজটা শুধু থেকে যায়। ।
কফি হাউজ-২
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে
এখানেই পুজোটা কাটাবে
কী এক জরুরি কাজে ঢাকার অফিস থেকে
মইদুলকেও নাকি পাঠাবে
একটা ফোনেই জানি রাজি হবে সুজাতা
আসবেনা অমল আর রমা রায়
আমাদের ফাঁকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে
ওদের কখনো কি ভোলা যায়?
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
ওরা যেন ভালো থাকে একটু দেখিস তোরা
শেষ অনুরোধ ছিল ডিসুজার
তেরো তলা বাড়িতে সবকিছু আছে তবু
কিসের অভাব যেন সুজাতার
একটাও তার লেখা হয়নি কোথাও ছাপা
অভিমান ছিল খুব অমলের
ভালো লাগে দেখে তাই সেই সব কবিতাই
মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
নাম যশ খ্যাতি আর অনেক পুরস্কার
নিখিলেশ হ্যাপি থেকে গিয়েছে
একটা মেয়ে বলে সুজাতা বিয়েতে তার
দুহাত উজার করে দিয়েছে
সবকিছু অগোছালো ডিসুজার বেলাতে
নিজেদের অপরাধী মনে হয়
পার্ক স্ট্রীটে মাঝরাতে ওর মেয়ে নাচে গায়
ইচ্ছে বা তার কোন শখে নয়
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
কার দোষে ভাঙলো যে মইদুল বলেনি
জানি ওরা একসাথে থাকেনা
ছেলে নিয়ে মারিয়ম কোথায় হারিয়ে গেছে
কেউ আর কারো খোঁজ রাখেনা
নাটকে যেমন হয় জীবন তেমন নয়
রমা রয় পারেনি তা বুঝতে
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষ দিন
হারালো সে চেনা মুখ খুঁজতে
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই
দেওয়ালের রঙ আর আলোচনা পোস্টার
বদলে গিয়েছে সব এখানে
তবুও প্রশ্ন নেই,
যে আসে বন্ধু সেই
আড্ডা তর্ক চলে সমানে
সেই স্বপ্নের দিনগুলো বাতাসে উড়িয়ে ধুলো
হয়ত আসছে ফিরে আজ আবার
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে
ডিসুজার ফেলে যাওয়া সে গীটার
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই,
আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই,
আজ আর নেই।।
(তথ্যসূত্রঃ গুগল, ছবিঃ গুগল)

 ়াল_২৯শে_এপ্রিল*
29/04/2024

়াল_২৯শে_এপ্রিল*

 #তীব্র_গরমে_আপনার_করণীয়*
26/04/2024

#তীব্র_গরমে_আপনার_করণীয়*

ঘটনা ভারতের একটা শহরের। পঞ্চম শ্রেণিতে স্কুলের এক শিক্ষিকা যাঁর অভ্যাস ছিল ক্লাস শুরু হওয়ার আগে রোজ তিনি "আই লাভ ইউ অল" ...
19/04/2024

ঘটনা ভারতের একটা শহরের। পঞ্চম শ্রেণিতে স্কুলের এক শিক্ষিকা যাঁর অভ্যাস ছিল ক্লাস শুরু হওয়ার আগে রোজ তিনি "আই লাভ ইউ অল" বলতেন। কিন্তু তিনি জানতেন, তিনি সত্য বলছেন না। তিনি জানতেন ক্লাসের সবাই কে এক রকম ভাবে তিনি ভালবাসেন না। রাজু নামে একটা বাচ্চা, ক্লাসে যাকে তিনি মোটেও সহ্য করতে পারতেন না। রাজু ময়লা জামা-কাপড় পড়ে স্কুলে আসতো। তার চুলগুলো থাকত উষ্কো-খুষ্কো, খোলা থাকে জুতার বকলেস,শার্টের কলারে ময়লা-দাগ, ক্লাসে পড়া বোঝানোর সময়ও সে থাকে খুব অন্যমনস্ক। মিস এর বকুনি খেয়ে চমকে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতো সে। কিন্তু তার শূন্য দৃষ্টি দেখে স্পষ্ট বোঝা যেত যে, রাজু শারীরিক ভাবে ক্লাসে উপস্থিত থাকলেও তার মন অন্য কোনখানে উধাও হয়ে গেছে, রাজুর প্রতি ধীরে ধীরে মিসের মনে ঘৃণার উদ্রেক হলো।

রাজু ক্লাসে ঢুকতেই, মিসের সমালোচনার শিকার হতো। সব রকম খারাপ কাজের উদাহরণ রাজুর নামে হতে থাকতো। বাচ্চারা তাকে দেখে আর খিলখিল করে হাসে, মিসও তাকে অপমান করে আনন্দ পান। রাজু যদিও এইসব কথার কোন উত্তর দিতো না। মিসের তাকে নিষ্প্রাণ পাথর বলে মনে হতো, যার মধ্যে অনুভূতি নামে কোন জিনিস ছিলোনা। সমস্ত ধমক, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ আর শাস্তির জবাবে সে শুধু নিজের ভাবনায় শূন্য দৃষ্টিতে তাঁকে দেখতো, আর মাথা নীচু করে নিতো। এই ভাবে সে মিস এর অত্যন্ত বিরাগভাজন হয়ে উঠলো।

প্রথম সেমিস্টার শেষ হয়ে রিপোর্ট বেরোনোর সময় হলে মিস রেজাল্ট কার্ডে তার সম্পর্কে সব খারাপ কথা লিখে দিলেন l মা -বাবাকে দেখানোর আগে রিপোর্ট কার্ড হেড মিস্ট্রেসের কাছে পাঠাতে হতো। তিনি রাজুর রিপোর্ট দেখে মিসকে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন, "মিস, রিপোর্ট কার্ডে কিছু তো অনুপ্রেরণার কথা লেখা উচিত। আপনি তো যা কিছু লিখেছেন তার থেকে রাজুর বাবা একদম নিরাশ হয়ে যাবেন।" মিস বললেন, "আমি মাফ চাইছি, কিন্তু রাজু তো একেবারে খারাপ আর নিষ্কর্মা বাচ্চা, আমার মনে হয়না আমি ওর সম্পর্কে ভাল কিছু লিখতে পারবো।" মিস ঘৃণার সাথে এই কথা বলে সেখান থেকে উঠে এলেন।

হেড মিস্ট্রেস অদ্ভুত একটা ব্যাপার করলেন, তিনি চাপ রাশির হাত দিয়ে মিসের ডেস্কের ওপরে রাজুর আগের বছরের রিপোর্ট কার্ড রেখে দিলেন। পরেরদিন যখন মিস অফিসে ঢুকলেন তখন রিপোর্টের ওপরে নজর পড়তেই উল্টে দেখেন সেটা রাজুর রিপোর্ট কার্ড ! ভাবলেন আগের বছরও নিশ্চয়ই সে এইরকম আচরণ করেছে ! ভাবার সাথে সাথেই তৃতীয় শ্রেণীর রিপোর্টটা খোলেন, রিপোর্টের মন্তব্য পড়ে ওনার আশ্চর্যের সীমা রইলো না, রাজুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় রিপোর্ট কার্ডটি ভরা, তাতে লেখা আছে, "রাজুর মতো বুদ্ধিমান বাচ্চা আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি। অতি সংবেদনশীল বাচ্চা এবং নিজের সহপাঠী আর শিক্ষকের প্রতি সম্মান এবং সহযোগিতা করে। অন্তিম সেমিস্টারেও রাজু প্রথম স্থান আধিকার করে নেয়। অস্থির ভাবে মিস চতুর্থ শ্রেণীর রিপোর্ট খোলেন, সেখানে লেখা আছে "রাজুর লেখা পড়ার ওপর তার মায়ের অসুখের গভীর প্রভাব পড়ছে, পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগী হয়ে উঠছে। রাজুর মা মারা গেছে এবং সঙ্গে রাজুর জীবনের যাবতীয় আশা ভরসা আর সুন্দর ভবিষ্যতের আলোও নিভে গেছে কিন্তু তাকে বাঁচাতে হবে। আরও দেরী হয়ে যাওয়ার আগে, মিস এর মাথায় যেন অত্যন্ত ভারী বোঝা চেপে আছে, কাঁপা হাতে তিনি রিপোর্ট কার্ড বন্ধ করেন। তার নয়ন অশ্রুসজল হয়ে উঠলো, টপ টপ করে চোখের জল ঝরতে লাগলো।

পরের দিন যখন ক্লাসে ঢুকলেন তাঁর নিজের চির অভ্যস্ত বাক্যের পুনরাবৃত্তি করলেন, "আই লাভ ইউ অল।" কিন্তু বুঝতে পারছিলেন আজও তিনি সত্যের অপলাপ করছেন। কারণ, এলোমেলো চুলে এই ক্লাসে বসে থাকা বাচ্চাটা, রাজুর প্রতি যে স্নেহ তিনি হৃদয়ে অনুভব করছিলেন, তা ক্লাসের অন্য বাচ্চাদের জন্য হওয়া সম্ভবই ছিল না। পড়া বোঝানোর সময় রোজের দিনচর্চার মতো রাজুর দিকে একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, আর রাজুও রোজের মতো মাথা নীচু করে নিলো। যখন বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত মিস এর ধমক বা শ্লেষাত্মক কথার কোনটাই বা সহপাঠীদের সম্মিলিত হাসির শব্দ কানে এলো না তখন সে আচমকা মাথা উঁচু করে তাঁর দিকে চেয়ে রইলো। অপ্রত্যাশিতভাবে তার মাথা আজ মুন্ডিত, কেশহীন ছিলো। তাঁর মুখে মৃদু হাসি। তিনি রাজুকে কাছে ডাকলেন এবং প্রশ্নের উত্তর বলে দিয়ে তা আওড়াতে বললেন। রাজু তিন-চারবার চেষ্টার পর অবশেষে বলতে পারলো। তার জবাব দেওয়ার সাথে সাথে মিস খুশি হয়ে শুধু নিজে তালি দিলেন না, বরং অন্য সব বাচ্চাদের দিয়েও তালি দেওয়ালেন। তারপরে এটা প্রত্যেক দিনের দিনচর্চা হয়ে গেলো। মিস সব উত্তর নিজের থেকে দিতেন, তারপর সস্নেহে রাজুকে বাহবা দিতেন। সব ভালো কাজের উদাহরণে রাজুর নাম বলা হতে লাগলো। ধীরে ধীরে বিষণ্ণতার কবর ফুঁড়ে রাজু বেরিয়ে আসলো। এখন থেকে আর মিস কে প্রশ্নের সাথে উত্তর বলে দেওয়ার প্রয়োজন হতো না। সে রোজ সঠিক উত্তর দিয়ে সবাই কে প্রভাবিত করতো এবং নতুন নতুন প্রশ্ন করেও হয়রানও করতো। তার চুলগুলো এখন অনেকটা পরিপাটি থাকে, জামাকাপড়ও যথেষ্ট পরিষ্কার থাকে, হয়তো সে নিজেই কাচঁতে শুরু করেছিল। দেখতে দেখতে বছর শেষ হয়ে গেল, রাজু দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হলো।

বিদায় কালীন সমারোহে সব বাচ্চারা মিস এর জন্য সুন্দর সুন্দর উপহার নিয়ে এলো, আর মিস এর টেবিলের ওপর একের পর এক পাহাড় জমে গেলো। এত সুন্দর ভাবে প্যাক করা উপহারের মধ্যে পুরানো কাগজে অগোছালো ভাবে মোড়া একটা উপহার পড়ে ছিলো। বাচ্চারা তাই দেখে হাসতে লাগলো। কারও জানতে বাকি রইলো না যে, উপহার হিসেবে সেটা রাজুই এনেছে। মিস উপহারের এই ছোট পাহাড় থেকে সেটা বার করে আনলেন, খুলে দেখলেন তার ভিতরে মহিলাদের আতরের অর্ধেক ব্যবহার করা একটা শিশি আর এক হাতে পরার মতো বড় একটা বালা যার বেশির ভাগ মোতি ঝরে গিয়ে ছিলো। মিস চুপচাপ শিশি থেকে নিজের গায়ে আতর দিলেন এবং বালাটা হাতে পরে নিলেন। বাচ্চারা এই দৃশ্য দেখে খুব অবাক হয়ে যায়। রাজু নিজেও, শেষ পর্যন্ত রাজু থাকতে না পেরে মিসের কাছে এসে দাঁড়িয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ পর সে থমকে থমকে মিসকে বলল, "আজ আপনার গা' থেকে আমার মায়ের মতো গন্ধ আসছে।

সময় পাখা মেলে উড়তে লাগলো। দিন সপ্তাহে, সপ্তাহ মাসে আর মাস বছরে বদলাতে আর কতো সময় লাগে ? কিন্তু প্রত্যেক বছরের শেষে রাজুর কাছ থেকে একটা চিঠি নিয়মিত ভাবে আসতো, যাতে লেখা থাকে, "এই বছর অনেক নতুন টিচারের সংস্পর্শে এসেছি। কিন্তু আপনার মতো কেউ ছিলো না। তারপর রাজুর স্কুল পর্ব শেষ হয়ে গেলো এবং চিঠির ধারাবাহিকতা শেষ হলোনা।
কয়েক বছর পর মিসও অবসর জীবনে গেলেন। একদিন তাঁর নিজের মেলে রাজুর চিঠি পেলেন যাতে লেখা ছিলো, "এই মাসের ২৬ তারিখে আমার বিয়ে, আপনাকে ছাড়া বিয়ের কথা ভাবতেই পারি না, আরেকটা কথা, জীবনে আমি অনেক লোকের সাথে মিশেছি, আপনার মতো কেউ নেই, শেষে উপাধি ডক্টর রাজু। মেইলের সাথে প্লেনে যাওয়া-আসার টিকিটও খামের মধ্যে দিয়েছিলো।

মিস নিজেকে কিছুতেই আটকে রাখতে পারছিলেন না। তিনি স্বামীর থেকে অনুমতি নিয়ে অন্য শহরে যাওয়ার জন্য রওনা দিলেন। বিয়ের দিনে যখন বিয়ের আসরে উপস্থিত হলেন, তখন খানিকটা দেরী হয়ে গিয়েছিলো। তাঁর মনে হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান নিশ্চয়ই শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু পরের ঘটনা দেখে তাঁর আশ্চর্য হওয়ার সীমা ছিলো না। শহরের বড় বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, বিজনেসম্যান, এমন কি বিয়ে দেবেন যিনি সেই পণ্ডিতজীও অপেক্ষায় ক্লান্ত হয়েছিলেন এই ভেবে যে, এখনও এমন কার আসা বাকি আছে? কিন্তু ডক্টর রাজু বিয়ের অনুষ্ঠানে মণ্ডপের বদলে গেটের দিকে চোখ লাগিয়ে সানন্দে তাঁর আসার অপেক্ষা করছিলো। তারপর বন্ধুরা সবাই দেখে ছোটবেলার সেই মিস গেটের ভিতরে ঢুকতেই রাজু হুমড়ি খেয়ে মিসের হাত ধরেছে, যে হাতে তিনি এখনও সেই খারাপ হয়ে যাওয়া বালাটা পরেছিলেন-গায়ে আতরের সৌরভ। তাঁকে সসম্মানে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হলো। মাইক হাতে নিয়ে ডক্টর রাজু বললো, " শ্রদ্ধাভাজন এবং বন্ধুরা, আপনারা সবসময় আমাকে আমার মায়ের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। আর আমি আপনাদের সবার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, খুব শিগগিরই সবাইকে তাঁর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো, ইনিই আমার মা।"

*Collected*

Address

SK. MUJIB Road, ARGABAD, CTG
Chittagong
4100

Telephone

+8801973638000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Chittagong Lovers posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Chittagong Lovers:

Videos

Share

Category