𝙱𝚄𝙳𝙳𝙷𝙸𝚂𝙼 in 𝙱𝙰𝙽𝙶𝙻𝙰𝙳𝙴𝚂𝙷

10/06/2022

চিৎমরম সত্য বুদ্ধ।
শেয়ার করে অন্যকে দেখা সুযোগ করে দিন।

02/02/2021

ভিয়েতনাম এর নান্দনিক বিহার।

17/01/2021

বার্মার স্বর্ণ মন্দির।

16/01/2021

❣️❣️❣️

14/12/2020

পরম পূজ্য বনভান্তের দেহ ধাতু।

10/12/2020

্তের_দৃষ্টি?

দৃষ্টি বলতে সম্যক দৃষ্টিকে বুঝায় কিন্তু সাধারণ চোখের দৃষ্টি এবং জ্ঞানের দৃষ্টির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যার দৃষ্টি যেমন তেমন করে দেখে বা কলম দিয়ে লেখে। রঙিন চশমা পরিধানকারীর রঙিনই দৃষ্টি হবে। জনডিস রোগীরা স্বাভাবিক না দেখে সকল বস্তু হলুদ বর্ণ দেখে। একজন ছোট শিশু টাকাকে তার খাওয়ার বিনিময় বা খেলনার বিনিময় হিসেবে দেখে। একজন সাধারণ লোকের নিকট টাকা তার সংসার চালানোর উপকরণ মাত্র। কিন্তু রাষ্ট্র প্রধান টাকাকে আন্তর্জাতিকভাবে দেখে থাকেন। সুতরাং দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টি ও জ্ঞানের পরিধি। ব্রহ্মজাল সূত্রে বর্ণিত ৬২ প্রকার মিথ্যা দৃষ্টি পরিহার করে সম্যক দৃষ্টি উৎপন্ন হলে লোকোত্তরে উন্নীত হওয়া যায়। এখানে বন ভন্তে দৃষ্টি সম্বন্ধে বিভিন্ন সময়ে যা ব্যক্ত করেছেন তা লিপিবদ্ধ করা হল।
(১) শ্রদ্ধেয় বনভন্তে দিঘীনালা এবং লংগদুর তিনটিলায় থাকতে পর্দা ব্যবহার করতেন। তিনটিলায় আমি নিজেও দেখেছি তার কামড়ায় উপাসক ব্যতীত উপাসিকারা বাহিরে অবস্থান করে বন্দনা এবং তার দেশনা শুনতেন। এখন অনেকে প্রশ্ন করেন বন ভন্তে পর্দা ব্যবহার করেন না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বন ভন্তে বলেন-“আগে আমি পিচ্ছিল জায়গায় ছিলাম। সবসময় পতনের আশংকা ছিল। কিন্তু এখন শক্ত এবং নিরাপদ জায়গায় আছি। উপমায় আরো বলেন- “খারাপ রাস্তা দিয়ে গাড়ী চালানো বিপদ। কোন সময় গাড়ী পড়ে যায় ঠিক নাই। এখন তিনি খারাপ রাস্তা পার হয়ে বিপদ মুক্ত রাস্তায় আছেন, সুতরাং এখন ও ভবিষ্যতে তার পতনের কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি আরো পরিস্কার ভাবে বলেন-তার দৃষ্টিতে শুধু নারী কেন পুরুষও নেই। বর্তমানে তিনি নারী পুরুষকে আগুন, পানি, মটি ও বায়ু বা চতুর্মহাভূত হিসাবে দেখে থাকেন। .
(২) একদিন দেশনায় বলেন-এই পৃথিবীতে তিনি রাজা-প্রজা, ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, পন্ডিত-মূর্খ, ভিক্ষু-শ্রমণ সকলকে প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় দেখেন। এ কথার প্রকৃত অর্থ হল শীল, সমাধি ও প্রজ্ঞারূপ বস্ত্রহীনতা।
(৩) আর একবার ভোটের সময় বন ভন্তে দেশনায় বলেন-সকল শ্রেণীর লোকদেরকে তিনি শিশুর মত দেখেন। শিশুরা ধূলাবালি অথবা নানা ধরনের খেলনা নিয়ে খেলায় রত থাকে। মধ্যে মধ্যে মারামারি ও নানা বিবাদে লিপ্ত হয়। এর অর্থ কামভোগী গৃহীরা বিষয় সম্পত্তি নিয়ে মত্ত থাকে এবং কলহ বিবাদে রত থাকে।
(৪) চতুরার্য সত্য সম্বন্ধে দেশনা করার সময় একদিন বন ভন্তে বলেন, অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে যা দেখা যায়, খালি চোখে তা দেখা যায় না, তেমনি তিনিও আমাদের অসংখ্য দুঃখরাশি দেখতে পান। তিনি আরও বলেন-একশত ভাগের এক ভাগ সুখ ভোগ করে আমরা হাসিতে খুশিতে জীবন কাটাই কিন্তু একশত ভাগের নিরানব্বই ভাগ দুঃখের বোঝা কোথায় আছে জানিনা। তার দৃষ্টিতে আমরা শুধু দুঃখের বোঝা বহন করেই চলেছি।
(৫) দেশনা প্রসঙ্গে একদিন বন ভন্তে বলেন-কোন এক গ্রামে একজন লোক এম, এ পাশ করে গ্রামের অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিতদিগকে যে ভাবে দর্শন করে থাকে, সেরূপ তিনিও আমাদেরকে দর্শন করে থাকেন।
(৬) মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, বৃষ্টিতে ভিজে এবং কড়া রোদ সহ্য করে কাঠুরিয়া কাঠ কেটে বাজারে বিক্রির জন্য রাস্তা দিয়ে গান গেয়ে গেয়ে কাঠ নিয়ে যায়। তখন ডি,সি কাঠুরিয়াকে যে ভাবে দেখে থাকেন, সেরূপ ভন্তে ও কামভোগীদেরকে ডিসির মত দেখে থাকেন।
উপরোক্ত ছয়টি উপমামূলক বনভন্তের মুখঃনিসৃত বাণী লিপিবদ্ধ করে উপাসক উপাসিকাদের নিকট ব্যক্ত করলাম।

স্কন্ধের উদয় ব্যয়ে স্ত্রী পুরুষ নাই।
ভয় স্কন্ধের বিলীন হয় নির্বাণেতে যাই।
( সংগৃহীত)

09/12/2020

চিৎমরম সত্য বুদ্ধ

এই পবিত্র বুদ্ধমূর্তিটি কাপ্তাই চিৎমরম বৌদ্ধ বিহারে পূজিত এবং সংরক্ষিত। এই পবিত্র বুদ্ধমূর্তিটির পিছনে রয়েছে শত বছরের পুরনো কতই-না কল্পকাহীনি। লোকমূখে প্রচলিত “সত্য গঙই” নামে। বহুকাল হতে মানুষের মনষ্কামনা পরিপূরণে জন্য দর্শন লাভের প্রত্যাশা বা পূজার জন্য উৎসুখ এই মূর্তিটি। আর দর্শন লাভেচ্ছুক মানুষের সমাগম এখনো কমতি নেই। কল্পকাহীনি যতই থাকুক না কেন, বাস্তব সত্য একটাই- সত্যবুদ্ধ।
সকলের মন ভাসনা পূর্ণ হউক জগতের সকল প্রাণী সুখি হোক।।
সাধু সাধু সাধু

03/12/2020

#যে_কেউ_স্বর্গে_যেতে_পারেন
যে-কেউ
যে-কেউ বলতে আমরা কী বোঝাতে চেয়েছি? বৌদ্ধধর্ম কি এ কথা বলে না যে, বৌদ্ধরাই শুধু মৃত্যুর পর পুরস্কৃত হয়ে থাকেন?
বৌদ্ধধর্ম মতে, আমরা মৃত্যুর পর কোথায় জন্ম নেবো সেটি আমাদের ধর্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে না। আসল কথা হচ্ছে, মৃত্যুর পর উন্নত জীবন লাভের জন্য নির্দিষ্ট কারো কাছে প্রার্থনা করার, নির্দিষ্ট কাউকে ভক্তি নিবেদন করার, অথবা এমনকি বুদ্ধের প্রতি বিশ্বাস রাখার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
মৃত্যুর পর আমাদের জীবনে কী ঘটবে বা কী হবে সেটি নির্ভর করছে বর্তমান জীবনে আমরা কী কর্ম করছি বা কেমন আচরণ করছি তার ওপর।
শুধু শ্রদ্ধা জানিয়ে বা সম্মান জানিয়ে স্বর্গে যাওয়া যায় না; স্বর্গে যাওয়া যায় মন্দ কাজ ত্যাগ ও ভালো কাজ করার মাধ্যমে।
বুদ্ধ কখনো এমনটি বলেননি যে, "আমাকে ভক্তি করো, সম্মান করো; তুমি পুরস্কৃত হবে।" তিনি তাঁকে ভক্তি না করার জন্য বা তাঁর শিক্ষা-উপদেশ না মানার জন্য কখনো কাউকে শাস্তির হুমকি দেননি।
তিনি বলেছিলেন যে, তাঁর প্রতি সন্দেহ পোষণ করা বা প্রশ্ন তোলা দোষের কিছু না। অনেক লোকই তাঁর শিক্ষা-উপদেশগুলো বুঝতে বেশ সময় নেবে, এটাই স্বাভাবিক।
বরং তিনি জোর দিয়েছিলেন, প্রত্যেককেই নিজে নিজে সত্যকে খোঁজা উচিত, বুঝা উচিত, উপলব্ধি করা উচিত এবং সাক্ষাৎ করা উচিত। কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অন্ধবিশ্বাস থাকা উচিত নয়।
খ্রিষ্টান, হিন্দু, মুসলিম, ইহুদি, বৌদ্ধ, তাওবাদী, এমনকি ধর্ম-অবিশ্বাসী তথা নিরীশ্বরবাদী সকলেই মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভ করতে সক্ষম। তবে অবশ্যই তাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা একেকজন ভালো মানুষ ছিলেন।
স্বর্গ
স্বর্গ বলতে আমরা কী বুঝিয়ে থাকি?
বলা যেতে পারে, স্বর্গ হচ্ছে এমন এক জায়গা যেখানে আমরা মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম নিতে পারি। অবশ্য, এটি একটি মানসিক অবস্থাও হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, মেজাজি ব্যক্তির মেজাজ সব সময় খারাপ অবস্থায় থাকতে পারে এবং খুব সহজেই রাগে ফেটে পড়তে পারে। এমন মেজাজি ব্যক্তি তার চারপাশে থাকা ব্যক্তিদের মেজাজও বিগড়ে দেয় এবং এমন কিছুতে নিজেকে যুক্ত করে যা সব সময় শোচনীয়, দুঃখদায়ক ও হতাশাব্যঞ্জক হয়ে থাকে। অন্যদিকে, এমন একজনের কথা ধরুন, যে শান্তশিষ্ট ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। শান্ত মন নিয়ে সে নিজেও সব সময় শান্তিতে অবস্থান করে এবং অন্যদেরও শান্তিতে থাকতে দেয়।
মেজাজি ব্যক্তির জীবন তার মনের এই খারাপ অবস্থার কারণেই তার নিজের কাছে ও তার চারপাশে অবস্থান করা অন্যদের কাছে অনেকটা নরকের মতো মনে হবে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, শান্তশিষ্ট ঠাণ্ডা মাথার মানুষ ও তার চারপাশে অবস্থান করা অন্য ব্যক্তিরা উপভোগ করবে সুখময় স্বর্গীয় জীবন।
বুদ্ধের শিক্ষাগুলো আমাদের কীভাবে সুখময় মানসিক অবস্থা অর্জন করা যায় সেটি দেখিয়ে দেয় এবং এই পৃথিবীতেই স্বর্গীয় অভিজ্ঞতার অনুভূতি এনে দেয়।
মানসিক অবস্থা ছাড়াও বৌদ্ধরা বিশ্বাস করে যে, এই মহাবিশ্বে কতগুলো সুখ ভোগের জায়গা এবং কতগুলো দুঃখ ভোগের জায়গা আছে। ঐতিহ্যগতভাবে বৌদ্ধরা বিশ্বাস করে যে, দুঃখ ভোগের জায়গা হচ্ছে নরক প্রভৃতি; আর সুখ ভোগের জায়গা হচ্ছে মনুষ্যলোক ও অন্যান্য স্বর্গীয় দেবলোক।
আমরা কোন ভূমিতে বা কোন জায়গায় জন্ম নেবো সেটি নির্ভর করে এই জীবনে বা আগের জন্মে আমরা নিজেরা কোন কোন কর্ম অথবা কী কী কর্ম সম্পাদন করেছি তার ওপর। এই কর্ম হচ্ছে আমাদের অভ্যাসগত কাজ ও আচরণের ফল।
পৃথিবীর জনসংখ্যা মোটেই স্থিতিশীল ও সুনির্দিষ্ট নয়, যেহেতু সত্ত্বগণের পুনর্জন্ম কেবল মনুষ্যলোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। মনুষ্যলোক ছাড়াও এই মহাবিশ্বে অন্য অনেক ভূমি বা জায়গা আছে যেখানে আমরা জন্মাতে পারি, অথবা যেখান থেকে কেউ এখানে জন্মাতে পারে।
অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ হীন জায়গায় জন্মালে সেখানে কি তাকে চিরকাল থাকতে হবে?
বৌদ্ধরা বিশ্বাস করে যে হীন জায়গায় তথা দুঃখময় চার অপায়ে থাকার সময়সীমা নির্ভর করবে সে কী পরিমাণ খারাপ কাজ করেছে তার ওপর।
সেখানে কারো জন্যই অনন্ত দুঃখের মতো কোনো জিনিস নেই। কে কী পরিমাণ খারাপ কাজ করেছে সেটি কোনো ব্যাপার না।
এমনকি যদিও খারাপ কাজের ফলস্বরূপ দুঃখ শেষ হয়ে আসতে অনেক দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
বৌদ্ধধর্ম সীমিত খারাপ কাজের জন্য কাউকে অনন্ত কাল ধরে শাস্তি ভোগ করতে হবে এমন অন্যায় ধারণাকে সমর্থন করে না।
বৌদ্ধধর্ম কম-বেশি যেকোনো ধরনের শাস্তির কথা বলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের হুমকি-ধামকি দেয় না। প্রত্যেকেরই নিজেদের পছন্দমতো ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে।
আমরা কি স্বর্গে চিরকাল অবস্থান করি? স্বর্গই কি আমাদের পরম লক্ষ্য?
যারা ভালো কাজ করেছে তারা স্বর্গে জন্মগ্রহণ করতে পারে। এখনো কেউ যদি নির্বাণ লাভ করতে সক্ষম না হয়, তার জন্য বুদ্ধ আমাদের সবাইকে ন্যায়পরায়ণ ও সচ্চরিত্রসম্পন্ন হয়ে জীবন যাপন করতে উৎসাহিত করেছেন, যাতে করে আমরা এর চাইতে ভালো জায়গায় জন্মাতে পারি এবং তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমরা যাতে নিজেদের দুঃখপূর্ণ হীন জায়গায় জন্মানোটা ঠেকাতে পারি।
স্বর্গে অবস্থানের সময়সীমাটা অবশ্যই অত্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে, তবে কোনোভাবেই তা চিরকালের জন্য নয়। স্বর্গের দেবতারা কোনো একসময় তাদের ভালো কাজের ফল শেষ হয়ে এলেই কেবল সেখান থেকে চ্যুত হবে এবং কোথাও পুনর্জন্ম নেবে।
অতএব বৌদ্ধরা কখনো স্বর্গে জন্মানোটাকে পরম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করে না। অধিকাংশ বৌদ্ধের পরম লক্ষ্যই হচ্ছে নির্বাণ লাভ করা।
বুদ্ধের সৎভাই নন্দের কথাই ধরা যাক। প্রব্রজ্যার প্রতি তার কোনো আগ্রহই ছিল না। তিনি বুদ্ধকে বলেছিলেন, তিনি প্রব্রজ্যা ত্যাগ করতে চান। তার পর বুদ্ধ তাকে স্বর্গে নিয়ে গিয়ে স্বর্গের যাবতীয় সুখ ও আনন্দ-ফূর্তি দেখিয়েছিলেন। বুদ্ধ তাকে কথা দিয়েছিলেন যে, তিনি যদি খুব ভালো করে ধর্মচর্চা করেন তাহলে এই সমস্ত স্বর্গীয় সুখ ও আনন্দ-ফূর্তি উপভোগ করতে পারবেন। এটি নন্দকে ভালোভাবে ধর্মচর্চা করতে উৎসাহিত করেছিল। তার পর থেকে তিনি কঠোরভাবে ধর্মচর্চা শুরু করেছিলেন যাতে করে তিনি স্বর্গে জন্মাতে পারেন।
ধর্ম চর্চা করতে করতে একসময় নন্দ ক্রমান্বয়ে নির্বাণ উপলব্ধি করেছিলেন যা স্বর্গসুখের চাইতেও অনেক বেশি মহৎ, অনেক বেশি শ্রেষ্ঠ। তার পর তিনি বুদ্ধকে তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে দায়মুক্তি দিয়েছিলেন।
তাহলে নির্বাণ কী?
ইতিপূর্বে বৌদ্ধধর্ম চর্চা না করলে ও বুদ্ধের নির্দেশিত পথে না হাঁটলে নির্বাণের ধারণাটা বুঝা বা উপলব্ধি করা বড়ই কঠিন ঠেকতে পারে। এটি অনেকটা অন্ধের কাছে রং ব্যাখ্যা করতে যাওয়ার মতো, অথবা বধিরের কাছে শব্দ ব্যাখ্যা করতে যাওয়ার মতো। প্রচলিত ভাষায় নির্বাণের যথার্থ বর্ণনা দেওয়া বলতে গেলে প্রায় অসম্ভব। নির্বাণকে বুঝতে হলে প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ করতে হবে।
যাই হোক, সংক্ষেপে এটুকু বলা যায়, নির্বাণ হচ্ছে সকল প্রকার তৃষ্ণা ও দুঃখের নিরবশেষ অনুপস্থিতি। নির্বাণ তিনিই অর্জন করেন যিনি যাবতীয় লোভ-দ্বেষ-মোহ নিঃশেষে ক্ষয় করেছেন। নির্বাণ হচ্ছে চিরস্থায়ী সুখের অবস্থা, যেখান থেকে আর পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না।
বুদ্ধ আমাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, কীভাবে বহুরূপী লোভ-দ্বেষ-মোহকে আস্তে আস্তে কমাতে হয় এবং ক্রমান্বয়ে নিরবশেষ ক্ষয়সাধন করতে হয়। এটি সম্ভব হতে পারে কেবল দান, দয়া, ধৈর্য, করুণা, শীল ও প্রজ্ঞা অনুশীলনের মাধ্যমে।
বৌদ্ধধর্ম সঠিকভাবে চর্চার মাধ্যমেই কেবল আমাদের যে-কারো পক্ষে নির্বাণসুখ ও নির্বাণশান্তি প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করা সম্ভব হবে, এমনকি আমাদের এই বর্তমান জীবনেই। অতএব নিজে নিজেই বুদ্ধের শিক্ষাগুলো গবেষণা করে দেখুন, পরীক্ষা করে দেখুন এবং ব্যবহার করে দেখুন।
মৃত্যুর জন্য অপেক্ষমাণ থাকার কোনো প্রয়োজন নেই,
এই জীবনেই আপনি স্বর্গ অনুভব করুন।
স্বর্গ তো এখানেই, একদম আপনার সামনেই,
আর স্বর্গই হচ্ছে এই জীবনে নির্বাণের স্বাদ।
(সংগৃহীত)

13/05/2020

buddhang saranang gacchami

11/05/2020

10/05/2020

শুভ সন্ধ্যা
Good Evening

10/05/2020

অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত বৌদ্ধ মন্দির।
ऑस्ट्रेलिया में स्थित एक बौद्ध मंदिर।
オーストラリアにある仏教寺院。
Một ngôi chùa Phật giáo nằm ở Úc.
'N Boeddhistiese tempel in Australië.

সারাবিশ্বে বুদ্ধের জ্ঞানের আলো চারিদিকে ছড়িয়ে দিন।
পেইজে লাইক, কমেন্ট,শেয়ার দিয়ে পাশে থাকুন।

Spread the light of Buddha's wisdom all over the world.
Stay tuned with likes, comments, shares on the page.

仏陀の知恵の光を世界中に広めましょう。
ページ上のいいね、コメント、共有をお楽しみに。

Truyền bá ánh sáng trí tuệ của Đức Phật trên khắp thế giới.
Hãy theo dõi với lượt thích, bình luận, chia sẻ trên trang.
पूरे विश्व में बुद्ध के ज्ञान का प्रकाश फैलाओ।
पेज पर लाइक, कमेंट, शेयर के साथ बने रहें।