23/09/2024
নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে কিছু প্রশ্ন :
৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেপাল থেকে আমদানির জন্য ২-৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ডেলিগেশন কাঠমান্ডু যাচ্ছে। ভারতীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই চুক্তি হবে। কোনো রিভিউ ছাড়াই এই চুক্তি হচ্ছে।
জলবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অত্যন্ত অল্প। সাধারনত ১-২ টাকারও কম। অথচ আমরা কিনছি সাড়ে ৭ টাকায়। এরপর ভারতের উপর দিয়ে ট্রান্সমিশনের খরচ আছে। সেটা কতো? আমরা বিবেচনায় নিয়েছি আমাদের দূর্নীতিগ্রস্ত এই সেক্টরের গড় উৎপাদন খরচের । কিন্তু আন্তর্জাতিক উৎপাদন মূল্য তো অনেক কম! এটা কি তাহলে নেপালের জন্য একটা বিশাল বিজয়?
শোনা যায় এই বিদ্যুৎ আমদানির মূল্য নির্ধারণের চুড়ান্ত সমঝোতা হয়েছে সিঙ্গাপুরে। ঢাকা কাঠমান্ডু ছেড়ে সিঙ্গাপুরে কেনো?
সরকার যেখানে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা তথা আমদানির পুরো বিষয়টি পূনর্বিবেচনা করার, সেখানে তড়িঘড়ি করে কেনো এই চুক্তি করা হচ্ছে সেটা ভেবে দেখা দরকার। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে যখন সারাদেশে আগুন জ্বলছিলো তখনো একবার এটা চুড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। সরকার পরিবর্তনের পর কেনো এই তড়িঘড়ি? অতিরিক্ত আগ্রহের কারণ কি?
এই চুক্তি যেকোনো সময় বাতিল করা যাবে কি?