ASAD's BCS AID: Preli, Written, Viva

ASAD's BCS AID: Preli, Written, Viva Online education portal

05/09/2022

বিসিএস লিখিতনামা ৫: ইংলিশ (২০০)

Shastry Shohel Rahman
সুপারিশপ্রাপ্ত
সহকারী পুলিশ সুপার
৪০তম বিসিএস

শুরুতে নিজের অভিজ্ঞতা বলি। বিসিএস ইংলিশ লিখিত পরীক্ষার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, সেটা আমার কখনোই ছিল না।

না আমি ইংলিশ পত্রিকা পড়েছি, না ভোকাবুলারির কোনো বই। সাইফুর'সের একটা বই কিনেছিলাম, সেটাও অযত্নে পড়ে থাকায় এক ছোটোভাই নিয়ে গেছে। ইংলিশ লিখিত প্রশ্ন বোঝা ও প্রাকটিসের জন্য এসিওরেন্সের লিখিত ইংলিশ বইটা কিনেছিলাম। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে ৪০তম বিসিএস দেয়ার আগে অনুবাদগুলো অনুশীলন করা ও ৩৫ থেকে ৩৮তম বিসিএসের বিগত প্রশ্ন ও সেসবের সমাধান দেখা ছাড়া ঐ বই আমার আর কোনো কাজে লাগেনি। তাই ইংলিশের প্রস্তুতির জন্য আসলে কোন এপ্রোচ বেস্ট সেটা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। তবে আমি কোনো বিশেষ এপ্রোচ ছাড়াই যে পরীক্ষা দিয়েছিলাম, ব্যক্তিগতভাবে তাতে আমি সন্তুষ্ট এবং প্রত্যাশা করি নম্বরও ভালোই এসেছে।

এসব কারণেই মূলত নবীনদের জন্য আর দশজনের মত 'এটা করো ওটা করো' টাইপ পরামর্শ দেয়াটা আমার জন্য কঠিন। তবুও ইংলিশের প্রস্তুতি ও পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য যা যা করা যেতে পারে, সেসব তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

১. ইংলিশ একটা বিদেশি ভাষা। প্রাথমিকের গণ্ডি থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের আবশ্যিক প্রায় দুহাজার নম্বরের ইংলিশ সিলেবাসে পড়াশুনা করে, পরীক্ষা দিয়ে এ প্লাস অর্জন করে এসেও আমরা সত্যিকার অর্থে কোনো ইংলিশই শিখতে পারি না। এটাই বাস্তবতা।
আমাদের শব্দ ভাণ্ডার সীমিত, কথা বলার গণ্ডিও সীমাবদ্ধ। মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীর অবস্থা একই! আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংলিশে অনেক তেজী, এমন মানুষের সংখ্যা দেশে খুবই কম, হাতেগোনা। তাই হতাশ হবেন না। আমরা সবাই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নামা গাধা, সবাই গাধা। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঘোড়া খুব কম পাবেন, তাই ঘাড়বেন না।

২. দ্বিতীয় একটি ভাষায় আপনার দখল ঠিক ততটাই হবে, আপনি যত বেশি শব্দ আত্মস্থ করতে পারবেন। প্রতিটি ভাষারই শব্দ সংখ্যা সীমাবদ্ধ। তাই যত বেশি পারবেন, নিজের আত্মস্থ করা শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। সেজন্য যা যা করা আপনার জন্য সুবিধাজনক, তাই করুন! যদি মনে হয় পত্রিকাপাঠে আপনার সুবিধা, তাহলে প্রতিদিন পত্রিকাপাঠ করুন। অথবা বাজারের যেকোনো ভোকাবুলারি বই কিনে মুখস্ত করুন। আপনি পারলে ডিকশনারি মুখস্ত করুন। ইউটিউবে, টিভিতে ইংলিশ প্রোগ্রাম দেখেও অনেক শিখতে পারবেন। কোন পথে এগোবেন, সেটা আপনার মত করে ঠিক করে নিন। ভোকাবুলারিতে পর্যাপ্ত দখল আপনাকে প্রিলি ও রিটেনের সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে রাখবে।

৩. ইংলিশ শুরু করার আগে লিখিত সিলেবাস ও বিগত প্রশ্ন দেখুন। প্রশ্ন এনালাইসিসের কথা আমি বারবার বলি। আমার আজকের লেখাটাও হবে প্রশ্ন বিশ্লেষণমূলক। প্রশ্নের নাম্বার ধরে ধরে প্রস্তুতি কেন্দ্রীক আলোচনা নতুনদের জন্য সুবিধাজনক। বিগত প্রশ্ন এনালাইজ করার পরে দেখবেন যে ইংলিশে আসলে পড়ার মত কিছুই নেই। একটা পেসেজ আসবে, সেই পেসেজের উপর প্রশ্নোত্তর, শব্দার্থ, বাক্য রচনা, পেসেজের সামারি লেখা এবং পেসেজের টপিকের উপর পত্রিকার সম্পাদক বরাবর পত্র লেখা! সিম্পল।
আমার মনে হয় আমরা অযথাই এই ইংলিশ বিষয়টাকে অনেক জটিল হিসেবে চিন্তা করি।

৪. পরীক্ষার আগে পারলে কিছু মডেল টেস্ট দিন। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির যেকোনো একটি বই কিনে বিগত প্রশ্ন ও তার সমাধানগুলো দেখুন। মোটামুটি ধারণা পেয়ে যাবেন যে ঠিক কীভাবে উত্তর করতে হবে। এরপর মডেল টেস্ট অংশে নিজে নিজে চেষ্টা করুন। শেষে বইয়ে প্রদত্ত উত্তরগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন। নিজেই নিজেকে যাচাই করতে পারবেন ঘরে বসে। চাইলে হাতের কাছে কোচিং সেন্টার তো আছেই!

* লিখিত ইংলিশের সিলেবাস বলছে-
ইংলিশ পার্ট এ-এর ক্ষেত্রে দুটো অংশ। রিডিং কমপ্রিহেনশন ও গ্রামার পার্ট। দুই ভাগে ৩০+৩০

1. Reading Comprehension
An unseen passage dealing with a topic relevant to our times will be set. Candidates will be required to answer

(a) a number of thematic questions that will test their understanding of the passage (30 marks)

প্রশ্ন-১.
সাম্প্রতিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইশুগুলো টাচ করে এমন টপিকের উপর একটি রচনা দেয়া হবে। সেখান থেকে প্রথমে দশটি প্রশ্ন থাকবে, যার উত্তর করতে হবে পেসেজ থেকে হুবহু কোনো বাক্য কপি না করেই। কিন্তু প্রশ্নগুলো এমন হয়ে থাকে যে তার উত্তর আপনি পেসেজেই পেয়ে যাবেন।
দুয়েকটা সমার্থক শব্দ জুড়ে দিয়ে একটু এদিক সেদিক করে উত্তর করলেই হয়ে যায়। তবে আপনারা চেষ্টা করবেন একান্তই নিজের ভাষায় উত্তর করার।

প্রতিটি প্রশ্নে ৩ নম্বর বরাদ্দ। আপনি বাংলা সাহিত্যে তিন নম্বরের প্রশ্নের উত্তর করেন এক থেকে দেড় পৃষ্ঠা। আর এখানে একশব্দে উত্তর করে তিন নম্বর আশা করবেন, এটা বোকামি না? উত্তর সাজিয়ে গুছিয়ে একটু বড় করে লেখার চেষ্টা করবেন, কমপক্ষে তিন-চার বাক্যে। পরীক্ষক দেখতে চান আপনি পেসেজ পড়ে কতটুকু অনুধাবন করেছেন এবং সেই অনুধাবনের কতটুকু আপনার লেখায় প্রতিফলিত হচ্ছে!

হাতে প্রশ্ন পাওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ হবে এই প্রশ্নগুলো দেখা। পেসেজ পড়ার আগেই প্রশ্নগুলো দেখে নিবেন। এতে করে পেসেজ পড়তে গিয়ে দেখবেন উত্তরগুলো খুঁজে পাচ্ছেন সহজেই। অন্যথায় যদি আগে পেসেজ পড়েন, তারপর প্রশ্ন, আপনাকে উত্তর খোঁজার জন্য আবারও পেসেজ অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হবে। তাই প্রশ্ন আগে পড়ে পরে পেসেজে গিয়ে উত্তরের অংশগুলো আলাদা আলাদাভাবে ব্র‍্যাকেটবন্দি করবেন। তখন গুছিয়ে উত্তর করতে সুবিধা হবে।

(b) a number of questions related to grammar and usage. (30 marks)

প্রশ্ন-২ থেকে ৫
এই অংশে এসে আপনার সরাসরি শব্দ নিয়ে খেলতে হবে। ২ নং প্রশ্ন সরাসরি শব্দার্থ লিখতে হবে, পেসেজের ক্লু ব্যবহার করে। একই শব্দ একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। আপনাকে সেই অর্থটাই এখানে লিখতে হবে, যা পেসেজে প্রয়োগ হয়েছে। পেসেজে শব্দগুলো বোল্ড করে দেয়া থাকবে। শব্দার্থের ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি এক শব্দেও লিখতে পারেন, আবার কয়েক শব্দে অর্থ স্পষ্ট করে দিতে পারেন। অর্থ বোঝাতে পারলেই হবে, ঠিক সমার্থক কোনো শব্দ ব্যবহার করতে হবে ব্যাপারটা এমন না।

৩নং প্রশ্নে থাকে Noun, Verb, Adjective রূপান্তর। বিসিএস ইংলিশে সবচেয়ে সহজ অংশ এটা। এই ৫ নম্বর সহজেই পেয়ে যাবেন। লিখিত বই থেকে দু'চার ঘন্টার প্রাকটিসই যথেষ্ট।

৪নং প্রশ্নে একটু জটিলতা ঢুকে যাবে। এখানে Synonym বা antonyms চাইতে পারে। একেকবার একেকটা চায়। উত্তর করার আগে সতর্কতার সাথে দেখবেন কোনটা চাচ্ছে। অনেকেই ভুল করে বসে এখানে। synonym - antonym শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনাও করতে হতে পারে। প্রশ্নের নির্দেশনা অনুযায়ী করবেন।

৫নং প্রশ্নে বরাদ্দকৃত দশটি নম্বর পাওয়া ৩নং প্রশ্নের চেয়েও সহজ। এখানে বাক্য রচনা করতে হয়। সতর্কতার সাথে শুধু পেসেজ থেকে বাক্য কপি করার কাজটা করবেন না, তাছাড়া মোটামুটি একই ধরবেন বাক্য লিখে আসলেও সমস্যা নেই। এটাই একমাত্র প্রশ্ন যেখানে কোনো শব্দের অর্থ না জানলেও আপনি পেসেজে ঐ শব্দ খুঁজে বের করে একটু ভিন্নভাবে বাক্যটি লিখে দিলেও নম্বর পেয়ে যাবেন। তবে মজার ব্যাপার হলো এখানে তেমন কোনো কঠিন শব্দ দেয়া হয় না। কিছু ফ্রেইজ থাকে, সেসবের ব্যবহারিক অর্থের দিকে নজর রাখবেন। অন্যথায় অর্থের পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। প্রাঞ্জল, সহজ ও নিত্য ব্যবহার্য শব্দাবলি ব্যবহার করে বাক্য রচনা করবেন, বেশি জটিল শব্দ ব্যবহার করে জ্ঞান জাহির করাটা অনুচিত।

উপরে বর্ণিত প্রশ্নোত্তরের ৩০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ২০ এবং পরবর্তী ৩০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ পাওয়া সম্ভব। এখানে নম্বর তোলা অনেকটা অঙ্কের মতই। সঠিক উত্তরে সম্পূর্ণ নম্বর, ভুল হলেই জিরো। তাই ভালো প্রিপারেশন, ভোকাবুলারিতে দখল এবং পেসেজ বুঝে গুছিয়ে উত্তর দিতে পারলেই আপনি ৬০ নম্বরের মধ্যে ৫০+ তুলতে পারবেন, যেখানে ২০০ নম্বরের মধ্যে মোটে ৬০ পেয়ে আপনি ফেল ঠেকাবেন! তাই এই অংশের উপযুক্ত ফসল ঘরে তোলার চেষ্টা করুন।

2. Candidates will be required to write a summary of the given passage in their own words within 100 words. (20 marks)

সিলেবাসে উল্লেখিত এই অংশে লিখিত প্রশ্ন ৬নং এবং বরাদ্দ মার্ক ২০। এখানে মূলত ১০০ শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত পেসেজের সারাংশ লিখতে বলা হয়। পেসেজগুলো এমন হয় যে ১০০ শব্দে অনেক সময় শেষ করা কঠিন। এছাড়া আমরা বিষয় সংক্ষেপণ করতে গিয়েও শব্দসংখ্যা সীমা অতিক্রম করে ফেলে। এটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না। কিছু কমবেশি হলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে চেষ্টা করবেন যেন কম লিখেই সম্পূর্ণ ভাব ফুটিয়ে তোলা যায়। এই প্রশ্নের উত্তরের আগে পেসেজ আবারও পড়বেন। সর্বোচ্চ তিনটা অংশে বিভক্ত করে ফেলবেন, যেন প্রত্যেকটি অংশ একবাক্যে সংক্ষেপ করলেই পুরোটা বোঝা যায়। এতে করে শুরু শেষ সবটাই আপনার লেখাতে উঠে আসবে। যদিও এই অংশে ভালো নম্বর পাওয়া কঠিন।

3. Candidates will have to write a letter relating to the thematic issue of the given passage to the editor of an English newspaper.
(20 marks)

লিখিত ইংলিশে ৭নং প্রশ্নে একটি চিঠি লিখতে হয়। চিঠি মূলত পত্রিকার সম্পাদক বরাবর লিখতে হয়। এসিওরেন্সসহ সব বইয়ে এটার ধারণা পাবেন। ফিচার লিখতে বলতে সম্পাদক বরাবর আবেদন লেখার দরকার নাই, শিরোনাম দিয়ে লিখে ফেলবেন। সম্পাদক বরাবর পত্রিকায় প্রকাশের জন্য বললে আগে আবেদন লিখবেন, পরে পেসেজের ঐ ইশুর উপর শিরোনামসহ চিঠি বা ফিচার লিখবেন। উত্তর শুরু করবেন খাতার বাম থেকে, অবশ্যই ডানের পেজে গিয়ে খতম করবেন। তৃতীয় পৃষ্ঠায় যাবেন না।

পার্ট বি-এর ক্ষেত্রে-

1. Candidates will be required to compose an essay on a topic related to an issue of topical relevance. The essay must conform to the word limit set and must convey a candidate’s ability to express his or her ideas clearly and correctly in English as well as reflect and analyze a topic of contemporary interest. (50 marks)

দ্বিতীয় অংশে প্রথমে তিনটি essay দেয়া থাকবে। যেকোনো একটি লিখতে হবে, ১০০০ শব্দের মধ্যে। এখানেও শব্দের লিমিট নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নাই, যত পারেন লিখুন। মাথায় রাখবেন একটা রচনায় নম্বর বরাদ্দ ৫০, যেখানে সম্পূর্ণ গণিতে বরাদ্দ ৫০! গণিতে আমরা যে সময় দেই, ইংলিশ রচনায় তার একশো ভাগের এক ভাগও দেই না, এটাই বাস্তবতা। তবে একটু কৌশলী হলে ভালো প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব। যে টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ, আলোচিত সেসব বাংলা ও ইংলিশ একসাথে বুলেট পয়েন্ট আকারে নোট করবেন। এতে বাংলা ইংলিশ দুটোই একসাথে প্রস্তুতি নিতে পারবেন, যদিও কমন পাওয়ার সম্ভাবনা কম ধরেই এগোতে হবে। যদি একান্তই কমন না আসে, এখানে আপনার ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং ক্যাপাসিটি কাজে লাগাতে হবে। যে অনেক পড়ে, অনেক জানে, ঠিকঠাক কমন না পেলেও সে মোটামুটি গুছিয়ে উত্তর করতে পারে। আপনার ভালোভাবে লেখার জন্য অবশ্যই অনেক বেশি পড়তে হবে আগে। ৪০তম বিসিএসে সোসাইটি ও লিটারেচার রচনাটা লিখেছিলাম ২২ পেইজ, কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই। শব্দের সীমাবদ্ধতা আমি কখনোই হিসেব করিনি। পত্রিকা পাঠ, বিভিন্ন বইয়ের রচনা ইত্যাদি দেখা আপনাকে এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে। রুমে বসে এভাবে যেকোনো ইশুতে লেখার অভ্যাস করতে পারেন। ফুল মার্কস রচনায় কেউ পায় না, আপনি অন্তত চেষ্টা করুন ২৫-৩০ যেন আসে।

2. Translation from English into Bangla and Bangla into English
Candidates will be required to translate a short passage from Bangla into English and another from English into Bangla. (25+25=50 marks)

ট্রান্সলেশন নিয়ে আগেও লিখেছিলাম। অনুবাদের ৫০ নম্বরের মধ্যে ৩৫-৪০ তোলা অসম্ভব না। আক্ষরিক অনুবাদ পরিহার করবেন। ভাবানুবাদ করবেন। প্রয়োজনে বাক্য ভেঙে নিবেন। বাক্যের মাঝে দুয়েকটা শব্দ অনুবাদ বাদ পড়লেও সমস্যা নেই। সম্পূর্ণ ভাব যেন ঠিক থাকে। ফ্রেইজ গুলো অনুবাদের ক্ষেত্রে সাবধান, আক্ষরিক হয়ে গেলে অর্থের ব্যাপক তারতম্য হয়ে যেতে পারে। যেকোনো গাইড বই থেকে প্রাকটিস করুন নিয়মিত। আমি শুধু এসিওরেন্সে দেয়া বিগত প্রশ্ন ও সাজেশনগুলো দেখেছিলাম। আপনারা চাইলে অনুবাদবিদ্যা টাইপ বইগুলো দেখতে পারেন। অনুবাদের পাশাপাশি অনেক কৌশলও দেয়া আছে এসব বইয়ে।

সামগ্রিক যদি বলতে হয়, তবে দেখা যায় যে অনুবাদ অনুশীলন করা ছাড়া বিসিএস লিখিত ইংলিশে আর কিছুই নেই। রচনা তো আর মুখস্ত করে পার পাওয়া সম্ভব না। অন্যান্যগুলোর ক্ষেত্রে লেটারের নিয়ম ঠিক রাখা, সামারি সত্যিকার অর্থেই সংক্ষেপ করা আর ভোকাবুলারি বাড়ানো- লিখিত ইংলিশ জাস্ট এটুকুই! ভালোভাবে সময় দিলে প্রথম অংশে ৬০ নম্বরে ৪০-৪৫ পরের সামারি ও লেটারের ২০+২০ এ ২২-৩০ এবং রচনায় ৩০-৩৫ সহ সর্বমোট ১১০-১২০ পাওয়া যাবে অনায়াসেই। যারা আরও ভালো করবেন তারা ১৫০ তুললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিগত মার্কশিটগুলো দেখলেই বুঝবেন কেউ ১৫০ আবার কেউ বাকি সব বিষয়ে ভালো নম্বর তুলে ইংলিশে ফেইল!

তাই সাবধানে গুছিয়ে প্রস্তুতি নিন। ভালো করবেন ইনশাল্লাহ। শুভকামনা আপনাদের সবার জন্য।...
Group : ASAD’S BCS AID: PRELI, WRITTEN, VIVA

04/09/2022

ক্যাটরিনা কাইফ আর বিসিএস ক্যাডার ক্যান্ডিডেট স্বামী!
😀😀😀😀😀😀😀😀


সরকারী বিসিএস চাকরি পাওয়ার আশাবাদী টিউশন মাস্টারমশাই টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে নদীর ওপর ছোট্ট সাঁকো পার হচ্ছিলেন।‌ ক্লান্ত হয়ে মাঝপথে বসে নতুন কেনা পেন দিয়ে খাতার উপর কিছু লিখতে গিয়ে আকস্মিক ভাবে মাস্টার মশাই এর হাত থেকে পেনটা পড়ে যায় নদীর জলে। মাস্টার মশাই হায় হায় করে উঠলেন, আজ সকালেই নগদ পাঁচ টাকা দিয়ে কিনে ছিলেন। এরমধ্যেই মাস্টার এর বিলাপ শুনে নদীর জলে প্রবল ঢেউ উঠতে শুরু করেছে, তারপর মুহুর্তে নদীর বুক চিরে জলদেবতা উঠে এলেন এবং মাস্টার মশাই এর বিলাপ কারন জানতে চাইলেন, মাস্টার মশাই জানতে চাইলেন তিনি কে ? উত্তরে আগন্তুক বললেন যে তিনি জলদেবতা!
এরপর সব কিছু শুনে জলদেবতা জলে ডুব দিলেন ও কিছুক্ষণ পরে উঠে এলেন এবং মৃদু হেসে মাস্টার কে একটা পেন দেখিয়ে বললেন যে এটা তার কি না ?মাস্টারের কাঠুরিয়ার গল্প মনে গেল, তাই বললেন প্রভু আমি সামান্য মাস্টার, রুপোর পেন কোথায় পাবো ? জলদেবতা মুচকি হেসে আবারও জলে ডুব দিলেন খানিক পরেই উঠে এলেন একটি দামী পাথর খচিত সোনার পেন নিয়ে।ভালো করে দেখে নিয়ে মাস্টার বললেন হে জলদেবতা আপনি এক সামান্য শিক্ষকের সাথে কেন রসিকতা করছেন, এটাতো সোনার পেন, আমার সাধ্যের বাইরে। জলদেবতা আবার জলে ডুবে গেলেন, এইবার মাস্টারের নতুন কেনা জেল পেনটি নিয়ে উঠে এলেন। মাস্টারমশাই বলে উঠলেন, প্রভু এটাই আমার পেন। জলদেবতা ধন্য হলেন শিক্ষকের সততায়, মুগ্ধ হয়ে তিনটি পেনই দিয়ে দিলেন তাকে।বললেন তুমি বাস্তবিক অর্থেই গুরু হবার যোগ্যতম ব্যক্তি।

খুশিতে ডগমগ হয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে সবকথা খুলে বললেন, কিন্তু স্ত্রী কিছুতেই তার কথা মানতে চায় না! শেষে বাধ্য হয়ে ঘটনাস্থলে স্ত্রীকে নিয়ে এসে কি হয়েছে তার বিবরণ দিচ্ছেন, আর স্ত্রী পাকা গোয়েন্দাদের মতো সমস্ত ঘটনা একে একে জোড়া লাগিয়ে বুঝতে চাইছে! এমন সময় হঠাৎ ঝপাং করে পা পিছলে সাঁকো থেকে মাস্টারনি জলে তলিয়ে গেল...............!
আবার সেই একইভাবে জলে প্রবল ঢেউ উঠল, জলদেবতা উঠে এলেন এবং সব শুনে জলে ডুব দিলেন, এবং সোজা ক্যাটরিনা কাইফকে নিয়ে উঠে এলেন। শিক্ষককে দেখিয়ে জানতে চাইলেন যে এটি তার স্ত্রী কিনা? শিক্ষক কিছুক্ষন ভেবে নিয়ে মহা উৎসাহে বলে বসল, হ্যাঁ প্রভু এটাই আমার স্ত্রী !! জলদেবতা রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গিয়ে বললেন নরাধম, পাপী দুশ্চরিত্র মাস্টার, আমি তোকে অভিশাপ দিচ্ছি!!! মাস্টারমশাই দুই হাত জোড় করে বলল, আমার অপরাধ নেবেন না প্রভু, দয়া করে একটু আমার কথাটা শুনুন, আমি অন্যায় কিছুই করিনি, আগের বারে খুশি হয়ে তিনটি পেনই আমাকে দিয়ে দিয়েছেন, এবারও যদি আমি ক্যাটরিনা কে দেখে না বলতাম আপনি আবার ডুব দিয়ে প্রিয়াংকা চোপড়া কিংবা ঐশ্বরিয়া রাইকে তুলে আনতেন, তারপর না বলতেই আমার স্ত্রী কে!!! প্রভু আপনি খুশি হয়ে যদি তিন তিনটিকেই আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেন, আমিতো মরার আগেই মরে যেতাম। চাকরি হইনি, টিউশনে খুব সামান্য টাকা রোজগার। দোকানে অনেক বাকি, নিয়োগ দূর্নীতিতে চাকরীটা হয় কিনা জানিনা। তাই একটাতেই নাভিশ্বাস উঠবে।
তিনটে সামলাতে পারবো না! অনেক ভেবে অগত্যা ক্যাটরিনাতেই রাজি হয়েছি। 🤣🤣🤣


সংগৃহীত ও ইডিটেড।
our group :
ASAD’S BCS AID: PRELI, WRITTEN, VIVA

03/09/2022

বিসিএসে পরীক্ষা–পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে পিএসসি
03/09/2022
দৈনিক প্রথম আলো

মোছাব্বের হোসেন, ঢাকা

বিসিএসের পরীক্ষাপদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। গত কয়েকটি বিসিএসের ফল মূল্যায়ন করার পর দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বেশি প্রশ্ন করা হচ্ছে। এ কারণে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষায় বেশি সুবিধা পাচ্ছেন।

ভবিষ্যতে পিএসসির অধীনে যত প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে, সেসব পরীক্ষায় প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে ‘ভারসাম্য’ রাখা হবে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা হবে। এর ফলে কোনো একটি বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা বেশি সুবিধা পাবেন না। শিগগির এ পরিবর্তন প্রয়োগ করা হবে। পিএসসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ৪০তম বিসিএসের ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা বেশি সুবিধা পেয়েছেন। কারণ, প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় বিজ্ঞানের নানা বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। এতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আসা চাকরিপ্রার্থীরা যতটা ভালো করেছেন, সে তুলনায় মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে আসা চাকরিপ্রার্থীরা ততটা ভালো করতে পারেননি।

৪০তম বিসিএসের পর দেখা গেছে, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরাই ভালো ক্যাডার পাওয়ার দিক থেকে এগিয়ে। তাঁরা ১৫টি ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। শুধু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকেই প্রশাসন ক্যাডারে ৫০ জন চাকরি পেয়েছেন। এভাবে একচেটিয়াভাবে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা যেন বেশি সুবিধা করতে না পারেন, সে জন্য পরীক্ষাপদ্ধতিতে ওই পরিবর্তন আনছে পিএসসি। এটি করার আগে একটি তদন্ত কমিটি হয়।

মৌখিক পরীক্ষায় প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। এখানে ২০০ নম্বর বরাদ্দ আছে। যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন, তাঁরা এ পরীক্ষায় অংশ নেন।

বর্তমান পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের ঢালাওভাবে নম্বর দেওয়ার বিধান আছে। এখানেই পরিবর্তনটা আসছে।

মৌখিক পরীক্ষা কমিটিতে আছেন, এমন একজন পিএসসি সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ৪১তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর জন্য বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর ভাগ করে দেওয়া থাকবে। সঠিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার হার কত, পোশাক পরিচ্ছদে কেমন, মানসিক দক্ষতা কেমন, আত্মবিশ্বাস কতটা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা কতটা—এসব বিষয়ে আলাদা নম্বরের ঘর থাকবে। সেখানে প্রত্যেক পরীক্ষক আলাদা করে প্রার্থীকে নম্বর দেবেন। শেষে সবার নম্বর যোগ করে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর নির্ধারণ করা হবে। আগের মতো ঢালাওভাবে নম্বর দেওয়া হবে না।

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, বিসিএসকে আরও যুগোপযোগী করার অংশ হিসেবে পরীক্ষাপদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সব পরীক্ষায় সবাই সমানভাবে সুযোগ পাক, সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
Group
ASAD’S BCS AID: PRELI, WRITTEN, VIVA

02/09/2022

৪৪ তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

বাংলাদেশ বিষয়াবলী

ফাইজুল করীম আদর
৪০ তম বিসিএস পুলিশ(সুপারিশপ্রাপ্ত,মেধাক্রম-০১)
সাবেক সহকারী পরিচালক,এনএসআই

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে সবাই ভাল প্রিপারেশন নিয়ে যায় কিন্তু তারপরও প্রাপ্ত নাম্বারের তারতম্য ঘটে খাতার উপস্থাপনা ও টাইম ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতার কারণে।
যেহেতু লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই ক্যাডার নন ক্যাডার নির্ধারণ হয়ে যায় সেহেতু আপনাকে চেষ্টা করতে হবে অন্যদের তুলনায় আপনার উত্তরে বৈচিত্র এবং ভিন্নধর্মী উপস্থাপনা নিয়ে আসার।বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে অনেকের ১৪০+ পায় আবার অনেকে ১২০ এর কম ও পায়। আজকের পোষ্টে আলোচনা করবো কিভাবে খাতায় উত্তর করলে আপনি অন্যদের থেকে এভারেজে বেশি নাম্বার নিশ্চিত করতে পারবেন।

★বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিচিতি

@এই অধ্যায়ের উত্তর করার সময় আপনাকে বাংলাদেশের মানচিত্রের উপযুক্ত ব্যবহার করতে হবে।

@বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান যখন মানচিত্রে দেখাবেন তখন অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ,কর্কটক্রান্তি রেখা দেখাবেন।

@যদি ভৌগোলিক গুরুত্ব আসে সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দেখাবেন।

@ ব-দ্বীপ আসলে এর মানচিত্র ভালভাবে দিবেন।ভূমিরূপ দেখে যাবেন।

@সুন্দরবন,প্রবাল দ্বীপ,বঙ্গোপসাগর,বরেন্দ্র অঞ্চল,পার্বত্য চট্টগ্রাম এই রিলেটেড প্রশ্ন আসলে লেখার পাশাপাশি মানচিত্র একে চিহ্নিত করবেন।

কোটেশানঃ এই চাপ্টারের প্রশ্নগুলোর সাথে প্রাসঙ্গিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার মহোদয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উক্তি আছে।ইন্টারনেট থেকে কালেক্ট করে নিবেন।
যেমন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেন "আমরা ভাটির দেশ তাই আমাদের পরিকল্পনা এমনভাবে করতে হবে যেন আমরা ভৌগোলিক কারনে কোন দেশ এর মুখাপেক্ষি না হই।"[সোর্স উল্লেখ করবেন]

★বাংলাদেশের জনসংখ্যা

@ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রসঙ্গ আসলেই সংবিধান, জাতিসংঘের Indigenous and Tribal Populations Convention,1957(No. 107) এ উল্লেখিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সজ্ঞা এবং অধিকার থেকে রেফারেন্স নিবেন।

@ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অবস্থান চিহ্নিত করতে বাংলাদেশের মানচিত্র একে দেখিয়ে দিবেন।

@পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বিষয়ক প্রশ্ন আসলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং,আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এর কোটেশান ব্যবহার করবেন।

@পাহাড়ে এবং সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারে নেওয়া পদক্ষেপগুলো নোট করবেন।যেমনঃ ২০১৯ সালে সমতল অঞ্চলের ২৯ জেলার ২১০টি উপজেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে থাকা অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ৩৫২ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।আপনার উত্তরে এ বিষয়গুলো নিয়ে আসবেন।

@পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাসঙ্গিক অনেক তথ্য পাবেন।ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০,নিজ ভাষায় পাঠদানের মত বিষয়গুলো তুলে আনবেন।

@ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড আসলে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি) এর সজ্ঞা, আর মাননীর স্পিকারের এরকম কোটেশান ইউজ করবেন। "জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনের বয়সভিত্তিক জনসংখ্যা অংশে ১৫ থেকে ২৯ বছরের তরুণদের শতকরা হার লক্ষনীয়ভাবে বেশি। তাই আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছি।"-মাননীয় স্পিকার।

@এটাকে কাজে লাগাতে সরকার কি কি পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়েছে ভাল করে পড়বেন।জনসংখ্যা নীতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নে গৃহিত পদক্ষেপ একই সাথে পড়া হয়ে যাবে।

@জনশুমারী ও গৃহগণনা- ২০২২ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য পড়ে নিবেন।

★বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি

বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখে যান।বিশেষ কোন টপিক নেই।

★বাংলাদেশের সমাজ,অর্থনীতি,সাহিত্য ও সংস্কৃতি

@সবথেকে বড় চাপ্টার কিন্তু বেশী নাম্বার পাওয়ার সুযোগও এই চাপ্টারেই।

@আগে টপিকগুলো বুঝে নিন।

@দারিদ্র্য বিমোচন,মেগা প্রজেক্ট,রেমিট্যান্স,রপ্তানি বানিজ্য,গার্মেন্টস সেক্টর,জিডিপি,শিল্প উন্নয়ন,সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, অর্থনীতি বিকাশে সরকারের সল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ,জনশক্তি,বাংলাদেশের কৃষি,খাদ্যনিরাপত্তা,বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সরকারের পদক্ষেপ,মানবসম্পদ কাজে লাগিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি,মৎস্য সম্পদ,প্রাণী সম্পদ,পর্যটন,টেকসই উন্নয়নে সরকারের কৌশল,গ্রীন ইকোনমি, ব্লু ইকোনমি,বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলা,পল্লী উন্নয়নে সরকারে পদক্ষেপ,আমার গ্রাম আমার শহর ইত্যাদি,এসডিজির প্রতিটি লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সরকারের রিলেটেড পদক্ষেপ(এটা ভাইভাতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ)।

@সাধারণ ঘুরে ফিরে এই টপিকগুলো থেকেই প্রশ্ন আসবে।এছাড়া বাংলাদেশ বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা কিভাবে কাটিয়ে উঠবে সে ব্যাপারে সরকারের পলিসি জেনে নিবেন।

@এক্ষেত্রে প্রতিটা টপিক আলাদাভাবে নোট করবেন।উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি কিভাবে নোট করবেন।
যেমনঃ জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে নোট
১| অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে ডাটা নেন।
২| জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নেন।
৩| মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এর প্রাসঙ্গিক জেনারালাইজড কোটেশান কালেক্ট করুন ইন্টারনেট থেকে যেটা আপনি এই টপিকের যে কোন প্রশ্নে ব্যবহার করতে পারবেন।
৪| জনশক্তি রপ্তানিতে বাধা

@ এরকম শর্ট নোট করা শেষ করে প্রতিটি টপিক যে কোন রেফারেন্স বই থেকে চোখ বুলিয়ে নেন।এভাবে পড়লে আপনার পড়াটা মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদিভাবে থাকবে।
@টপিকের সাথে করেসপন্ডিং মন্ত্রানালয়ের ওয়েবসাইটের সাহায্য নিবেন শর্ট নোটের জন্য।এছাড়া অমর্ত্য সেন,বান কি মুন সহ উন্নয়ন সহযোগী আন্তর্জাতিক সংস্থা(এডিবি,ওয়ার্ল্ড ব্যাংক) এর প্রধানরা বাংলাদেশ সম্পর্কে যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সেসব কোটেশান সংগ্রহ করবেন।

★বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

@এই চাপ্টারটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পড়ার কৌশল আগেরটার মতই।প্রথমে টপিকগুলো বুঝে নিন।

@দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের পদক্ষেপ,বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ,টেকসই উন্নয়নে পরিবেশের ভূমিকা,বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ইফেক্ট/উন্নয়নের অন্তরায়,ডেল্টা প্ল্যান।

@এ বছর পরিবেশ দিবসে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় যে প্রোগ্রাম করেছে সেটা ইউটিউবে বা বিটিভির আর্কাইভ থেকে দেখে নিন।সরকারের অনেক পদক্ষেপ সেখানে আলোচনা করা হয়েছে।

@পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় এর ওয়েবসাইট থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করুন।এই চাপ্টারের জন্য এই ওয়েবসাইট আপনার সবথেকে বড় রিসোর্স।

@জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভূমিকা,বাংলাদেশের গৃহিত পদক্ষেপগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে জাতিসংঘে মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তাবিত জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রস্তাব ,রোহিঙ্গাদের কারনে বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয় এরকম টপিকগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিবেন।

@ওয়েবসাইট থেকে পরিবেশ,বন,বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ,নদী রক্ষা এই রিলেটেড আইনগুলোর সাল ও প্রয়োগ নিয়ে হালকা ধারণা রাখবেন।না আসলেও রেফারেন্সে ব্যবহার করতে পারবেন।

★বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ
@বর্তমানে বৈশ্বিক জ্বালানী সংকটে এই চাপ্টারটা খুবই প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ।

@জ্বালানী সংকট মোকাবিলায় সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ,সরকারের জ্বালানী নীতি,বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনা,গ্যাস সংকট কাটাতে এলএনজি আমদানি,উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নবায়নযোগ্য শক্তি ও বাংলাদেশ এসব বিষয়ে ধারণা নিয়ে যাবেন।

@এই চাপ্টারের কোটেশন এর জন্য ড. ম তামিম,এসডিজি বিষয়ক সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ,ড. ইজাজ হোসেন এর কোটেশান কালেক্ট করবেন।

@অর্থনৈতিক সমীক্ষাতেও এই রিলেটেড ডাটা আছে।

★বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকারের অঙ্গসমূহ

@সবার কমন প্রশ্ন থাকে যে সংবিধান এর আর্টিকেল হুবুহু লিখতে হবে কিনা। এক্ষেত্রে আপনি চেষ্টা করবেন আর্টিকেল এর স্বাতন্ত্র‍্য বজায় রেখে নিজের ভাষায় লেখার।

@সংশোধনীগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন।বাহাত্তরের সংবিধানের কনসেপ্ট বুঝতে হবে।প্রস্তাবনা ও তফসিল।সংবিধান এর সংশোধনীগুলোর জন্য কোটেশান এর ক্ষেত্রে প্রয়াত পার্লামেন্টেরিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত,আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ এর কোটেশান কালেক্ট করবেন।

@সংবিধানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,সংবিধানের বেসিক স্ট্রাকচার ডকট্রিন,বেসিক স্ট্রাকচার সংশোধনের চেষ্টায় শাস্তি,সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি,মৌলিক অধিকারের মধ্যে(মৌলিক চাহিদা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্টিকেল,ধর্মীয় স্বাধীনতা,আইনের দৃষ্টিতে সমতা এগুলো গুরুত্বপূর্ণ)। এছাড়াও নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য,সুযোগের সমতা,পরিবেশ -জীব বৈচিত্র‍্য সংরক্ষণ এগুলা পড়ে যাবেন।সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও পদসমূহ বিস্তারিত পড়বেন।

@সংবিধানের পঞ্চম,ষষ্ঠ ও সপ্তম ভাগের সাথে সিলেবাসের অষ্টম অধ্যয় সরকারের অঙ্গসমূহ মিলিয়ে পড়বেন।

of Business ৫৫(৬), Rules of Procedure,Rules of Allocation of Business, Rules of Transaction of Business, জাতীয় সংসদের অর্থনৈতিক ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত কার্যাবলি,বিচার সংক্রান্ত/নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাবলি,আইন প্রণয়ন পদ্ধতি আর্টিকেল ৮০(১)-৮০(৫),অর্থবিল,স্থায়ী কমিটির প্রকারভেদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা,কার্যাবলি,সুপ্রিম কোর্টের গঠন,কার্যপ্রণালি ও এখতিয়ার(আদি,আপীল,উপদেষ্টামূলক,বিবিধ),অধনস্ত আদালত,কোর্ট অফ রেকর্ড,এটর্নি জেনারেল এসব টপিকগুলো বিস্তারিত পড়বেন।

বাকি চাপ্টারগুলো নিয়েও এনালাইসিস করার ইচ্ছা ছিল।কিন্তু এর জন্য সময় ও সুযোগের প্রয়োজন।তাই আমার ইচ্ছা আছে রিটেনের সব সাবজেক্ট নিয়ে লাইভ ক্লাস নেওয়ার।যদি পারি তাহলে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
ASAD’S BCS AID: PRELI, WRITTEN, VIVA
সবার জন্য শুভকামনা।।

আপনাদের কি মতামত?
01/09/2022

আপনাদের কি মতামত?

পুরনো আমলের পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে ফেঁসে গেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। সময়মতো খাতা জমা না দেওয়ায় ৪১তম বিসিএ.....

01/09/2022

৪১তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নির্দেশনা
বিসিএস লিখিত পরীক্ষা যতটা না পরিশ্রমের তার চেয়ে বেশি কৌশলের।এখানে কিছু টপিক আছে যা ক্যাডারপ্রাপ্তির জন্য ট্র্যাম্পকার্ডের মত কাজ করে।প্রস্তুতির প্রারম্ভেই আপনাকে সেই ট্র্যাম্পকার্ডগুলো খুঁজে বের করতে হবে।লিখিত প্রস্তুতির সময় আমি কিছু টপিকের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব ও সময় দিয়েছিলাম যা ক্যাডারপ্রাপ্তিতে আমাকে প্রভূত সাহায্য করেছে ।
🔹লিখিত পরীক্ষায় এমন কিছু বিষয় আছে যেখানে পরীক্ষক চাইলেও আপনাকে মনগড়া নম্বর দিতে পারবে না।ভাল করলে অবশ্যই ভাল নম্বর দিতে হবে।এটা আপনার প্রাপ্য।এক্ষেত্রে প্রথমেই ম্যাথ ও বিজ্ঞানের প্রসঙ্গ চলে আসে।এই দুটি বিষয়ের জন্য মার্কস বরাদ্দ আছে ২০০।আপনি এই ২০০ এর মধ্যে যেভাবেই হোক ম্যাথে ৮০ ও বিজ্ঞানে ৭০ পেতে চেষ্টা করুন।আর এর বেশি পেলে তো এই দুই সাবজেক্ট দিয়েই মাঠ কাঁপিয়ে দিয়ে আসতে পারবেন।
🔹সিলেবাস লক্ষ্য করলে দেখবেন বাংলাদেশ বিষয়াবলীতে প্রায় প্রতি বিসিএসে সংবিধানের উপর ৪০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় আর ইংরেজি গ্রামার ও অনুবাদে মোট(৩০+৫০) ৮০,বাংলা সাহিত্য,ব্যাকরণ ও অনুবাদে মোট ৭৫(৩০+৩০+১৫) এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ আছে ৪০ মার্কস।
🔹সংবিধান ভাল করে লিখতে পারলে ৪০ এ ৩০ আপনি পাবেনই।ইংরেজি গ্রামারে নম্বর কাটার সুযোগ নেই তাই চেষ্টা করুন এখানে যেন ৩০ এ অন্তত ২৫ রাখতে পারেন আর অনুবাদ একটু ভাল করে করতে পারলে ৫০ এর মধ্যে ৪০ আপনি আশা করতেই পারেন।
🔹প্রশ্ন যেমনই হোক যদি সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন তবে বাংলা সাহিত্যে ৩০ এ ২৫ ও ব্যাকরনের ৩০ মার্কসের মধ্যে ২৫ পেতে আপনাকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।কারন এ অংশ দুটি আপনি প্রিলিমিনারিতেই অনেকটা কাভার করে এসেছেন।সাহিত্যের জন্য যদিও একটু বাড়তি পড়তে হবে তবে ব্যাকরণ অনেকটা প্রিলির মতই পাবেন।বাংলা ২য় পত্রে অনুবাদ একটু সহজই হয়,এখানে ১৫ তে ১০ পাবেন আশা রাখি আর আন্তর্জাতিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ধারনা থেকেও মোটামুটি লিখে আসতে পারলে ৪০ এ ২৫ পাওয়া সম্ভব।
🔹পরিকল্পনামাফিক পরিশ্রম করতে পারলে গনিত,বিজ্ঞান ও বিভিন্ন বিষয়ের শর্টকাট টপিকসগুলোর উপর মোট ৪৩৫ এর মধ্যে আপনি ৩৩০ কিংবা এর বেশিও পেতে পারেন।আর গনিত ও বিজ্ঞানে আরো ভাল করতে পারলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট।
🔹৯০০ মার্কসের বাকী ৪৬৫ মার্কস প্রায় পুরোটাই থিওরিটিক্যাল।এগুলোর জন্য লিখতেও হবে বেশি, নম্বরও উঠবে কম।বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী,বাংলা ও ইংরেজির এসব তত্ত্বীয় টপিকগুলোর জন্য প্রতিদিন ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এর অভ্যাস গড়ে তুলুন,মুখস্থ করতে যাবেন না কখনোই।
🔹তত্ত্বীয় বিষয়ের যে টপিকটি পড়বেন তার শুধু হিন্টসগুলো মনে রেখে বাকী অংশটুকু ভাল করে বুঝে বুঝে ৩/৪ বার করে রিডিং পড়ুন। আর যে জিনিষটা পড়া হয়েছে রাতে ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে সেটা কয়েকবার চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে যান।পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসার আগে আবার ঐ টপিকটা নিয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা করুন।এতে বিষয়টা সম্পর্কে আপনার একটা সম্যক আইডিয়া তৈরি হয়ে যাবে।এভাবে রেগুলার চালিয়ে যেতে থাকলে কয়েকদিন পর দেখবেন ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এ আপনার পুরোপুরি সক্ষমতা চলে আসছে।তখন কমন পড়ুক আর না পড়ুক পরীক্ষার হলে যেকোন বিষয়ই আপনি খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখে আসতে পারবেন।
🔹আমার বিশ্বাস কমন না পড়লেও ধারনা থেকে মোটামুটি গুছিয়ে লিখে আসতে পারলে বাংলাদেশ বিষয়াবলীর বাকী ১৬০ এর মধ্যে ৮৫,আন্তর্জাতিকে ৬০ এ ৩০,বাংলায় ১২৫ এ ৭৫ এবং ইংরেজিতে ১২০ এর মধ্যে ৬০ আপনি পাবেন ইনশাআল্লাহ। অবশ্য বিসিএসে কোন প্রশ্নই আপনি সরাসরি কমন পাবেন না।নিজের ধারনা থেকেই প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত দিয়ে বানিয়ে লিখে আসতে হবে।তথ্য,উপাত্ত,উদ্ধৃতির জন্য একটা হ্যান্ডনোট করুন।যে প্রশ্নের উত্তরেই সুযোগ পাবেন সেখানেই এগুলো কাজে লাগিয়ে দিবেন।
🔹যাইহোক আপনি যদি তত্ত্বীয় বিষয়গুলোতে এভাবে মোট ২৫০ মার্কস তুলতে পারেন তবে ঐ ৩৩০ সহ ৯০০ এর মধ্যে আপনার সর্বমোট লিখিত নম্বর গিয়ে দাড়াবে ৫৮০ তে।আর লিখিততে এই নম্বর পেলে ভাইবা পাশ করলেই আপনি ক্যাডার পাবেন এটা একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়।পথটা জটিল হওয়ায় এভাবে একটু হিসেবনিকেশ করে পরিশ্রম করার ফলেই আল্লাহর রহমতে এই ক্যালকুলেটেড নম্বরের চেয়েও লিখিত পরীক্ষায় আমার মোট নম্বর আরো কিছুটা বেশি এসেছিলো।পরিশ্রম সবাই ই করবে তবে একটু কৌশলী হয়ে যারা এগোবে শেষ পর্যন্ত তারাই জয়লাভ করবে।অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত তাই হয়ে আসছে,ভবিষ্যতেও তাই হবে।
সবশেষে বলবো আপনি যদি দিনে ১২ ঘন্টা সময় ব্যয় করেন পড়াশোনার জন্য তবে অবশ্যই ৭/৮ ঘন্টা বরাদ্দ রাখুন ঐ ৪৩৫ নম্বরের জন্য কারন শেষ সময়ে বিজয়ের হাসি হাসতে চাইলে আপনাকে যে এই অংশটুকুতে ভাল মার্কস তুলতেই হবে।আর কথা না বাড়িয়ে এখানেই শেষ করছি।সবাই ভাল থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।সকলের শুভকামনায়-
দিদার নূর
এএসপি(৩৭তম বিসিএস)

গ্রুপে জয়েন করুনঃ
ASAD’S BCS AID: PRELI, WRITTEN, VIVA

01/09/2022

যেসব কারণে একজন চাকুরী প্রার্থীর ওপর VIVA বোর্ড বিরক্ত হতে পারে জেনে রাখুন।

যে যে কারণে VIVA বোর্ড একজন চাকুরী প্রার্থীর ওপর বিরক্ত হয় যেসব কারণ চিহ্নিত করে আজকের পর্বটি সাজানো হয়েছে। যারা ব্যাংক বা যেকোনো চাকুরী পরীক্ষার ভাইবা দিতে যাবেন তারা অবশ্যই লেখাটি একবার পড়বেন। আশা করি লেখাটি আপনাদের সহায়ক হবে।

নিজের পরিচয় দেওয়া : VIVA বোর্ড পরীক্ষার্থীর কাছে অনেক সময় পরিচয় বা একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে চান।পরিচয় দেয়ার সময় একজন পরীক্ষার্থী যদি ঠিকমত বা ক্রমানুসারে নিজের পরিচয় উপস্থাপন করতে না পারে তখন বোর্ড বিরক্ত হতে পারে।এ সময় যে ইস্যুটা প্রথমে বলা দরকার সেটা পরে বা পরের ইস্যু আগে বললে বোর্ড বিরক্ত হয়।কাজেই এ বিষয়টির সঠিক উপস্থাপনের জন্য পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন।

সিদ্ধান্তহীনতা : VIVA বোর্ডের কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে ইতস্তত বা সিদ্ধান্তহীনতায় বোর্ড বিরক্ত হতে পারে। প্রশ্ন এমন হতে পারে–একজন ব্যাংক অফিসার হিসেবে গ্রাহক সেবায় আপনার ভূমিকা রাখার সুযোগ কতটুকু?এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে যদি পরীক্ষার্থী কারণ ছাড়াই সময় নেন বা ইতস্তত বোধ করেন অথবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন সেক্ষেত্রে বোর্ড বিরক্ত হতে পারে। এতে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

মুদ্রা দোষ : VIVA পরীক্ষার্থীর মুদ্রাদোষ থাকলে বোর্ডের বিরক্তি উদ্রেক হতে পারে । কথা বলার সময় তোতলামি , চোখ , হাত , মুখের দ্বারা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি , পা নাড়ানো , কিছুক্ষণ পর পর হাত দিয়ে চুল ঠিক করা , নখ কাটাসহ অনেক অবাঞ্চিত আচরণ ব্যাংক কর্মকর্তার শোভা পায় না।মোটকথা , VIVA বোর্ডে আপনার Aproach টা হবে একজন ব্যাংক কর্মকর্তার মতো। বোর্ড সদস্যরা সার্বিকভাবে আপনার মাঝে প্রকৃত ব্যাংক কর্মকর্তার অবয়ব দেখতে চান । যদি কারো মধ্যে সেটি ফুটে উঠে তখন বোর্ড তাকে চাকরি দেয়ার ব্যাপারে দৃশ্যত: পছন্দ করে ফেলেন । কাজেই মুদ্রাদোষ বর্জনীয়।

পারিপার্শ্বিক জ্ঞান : পরীক্ষার্থীর পারিপার্শ্বিক জ্ঞান না থাকলে বোর্ড বিরক্ত হতে পারে । পরীক্ষার্থীর নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা হলের নাম বা ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক বা অনার্স/মাস্টার্সে পঠিত বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন উঠা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এসব সাধারণ বিষয়ে পরীক্ষার্থীর অপারগতা প্রকাশ দূষণীয়। ডিপার্টমেন্টের বিখ্যাত কোনো শিক্ষকের কৃতিত্ব তাৎক্ষণিক না বলতে পারা পরীক্ষার্থীর দুর্ভাগ্য। ব্যাংক কর্মকর্তারা হবেন সবদিকে সচেতন ও চোখ- কান খোলা রাখা একজন পরিপূর্ণ মানুষ।

প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর না দেওয়া/To the Point উত্তর না দেওয়া : বোর্ড পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে To The Point উত্তর আশা করে। প্রশ্নের উত্তরে যা চাওয়া হয়েছে তার অতিরিক্ত বলা বা কম বলা দুর্বলতার পরিচায়ক । আর উত্তর না জানা থাকলেও জানার ভান করলে বোর্ড বিরক্ত হয়। আবার উত্তরটাকে বেশি সময় নিয়ে বলার জন্য একই বিষয় ঘুরে ফিরে পুনরুক্তি করলে বোর্ড বিরক্ত হয় । তাই পরীক্ষার্থীদের কম শব্দে কম কথায় To The Point -এ উত্তর দেওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

অনার্স / মাস্টার্স পাস করা ব্যক্তির যা জানা উচিত তা না জানা : বোর্ড চায় ,একজন পরীক্ষার্থীর সব জানা উচিত নয় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সব ইস্যুতে কিছু কিছু জানা উচিত । অর্থাৎ Jack of All trade but master of None হওয়া উচিত। একজন ছাত্রের এদেশের সাধারণ ইতিহাস , সংবিধান , অর্থনীতি , সংস্কৃতি , ধর্ম সম্পর্কে কিছু কিছু জানা উচিত। এ ক্ষেত্রে সাধারণ জ্ঞানের ধারণা না থাকলে বোর্ড বিরক্ত হয় । বোর্ড ধারণা করে যে , এ ধরনের ছেলে ব্যাংক অফিসার হিসেবে ভালো করতে পারবে না।

দেশ বিদেশ সম্পর্কে ABC জ্ঞান না রাখা : পরীক্ষার্থীর দেশ বিদেশের বর্তমান হালহকিকত সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। দেশ বিদেশের রাজনীতি সম্পর্কে Follow up কারো যদি না থাকে তবে বোর্ড তাকে অসচেতন প্রার্থী হিসেবে ধরে নেয়। কাজেই আন্তর্জাতিক ,অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং বিষয়গুলোতে প্রার্থীদের সম্যক ধারণা থাকতে হবে।

অন্যান্য কারণ : অনেকে প্রশ্নকারীর প্রশ্নে অমনোযোগী থাকেন কিংবা কি প্রশ্ন করছেন তা না খেয়াল করে শুনতে না পাওয়ার অজুহাতে চুপ করে বসে থাকেন , এতে বোর্ড বিরক্ত হন। কাজেই প্রার্থীর সবসময় চোখ কান খোলা রাখা উচিত। কিছু কিছু চাকরিপ্রার্থী বোর্ডকে তার ভালো রেজাল্টের কথা শুনিয়ে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করতে চেষ্টা করেন যেটা বিরক্তি উদ্রেকের অন্যতম কারণ।কেউ ভাল রেজাল্ট করলেই তাকে বোর্ড পছন্দ করবে না।অনেক সময় দেখা যায় , ভাল রেজাল্ট অর্জনকারীরা ভাল ব্যাংকার হতে পারেন না।তাই এমন Tendency পরিবর্তন করা উচিত পরীক্ষার্থীদের। VIVA বোর্ডে অনেক পরীক্ষার্থী চাকরির জন্য কাকুতি মিনতি করে চাকরি দাবি করে বসে,আবার অনেকে কোন চাকরিতে চাকরিরত থাকলে নিজেকে বোর্ডের সামনে Dashingly উপস্থাপন করেন , যেন বোর্ডকে তারা কিছুই মনে করেন না , এমন দুই আচরণই বোর্ডের চরম বিরক্তির কারণ।এ ব্যাপারে বোর্ডের সামনে পরীক্ষার্থীদের কথা বলার সময় সতর্ক থাকা উচিত।
Group: ASAD’S BCS AID: PRELI, WRITTEN, VIVA

Address

Barishal

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ASAD's BCS AID: Preli, Written, Viva posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ASAD's BCS AID: Preli, Written, Viva:

Videos

Share


Other Media/News Companies in Barishal

Show All