05/09/2022
বিসিএস লিখিতনামা ৫: ইংলিশ (২০০)
Shastry Shohel Rahman
সুপারিশপ্রাপ্ত
সহকারী পুলিশ সুপার
৪০তম বিসিএস
শুরুতে নিজের অভিজ্ঞতা বলি। বিসিএস ইংলিশ লিখিত পরীক্ষার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, সেটা আমার কখনোই ছিল না।
না আমি ইংলিশ পত্রিকা পড়েছি, না ভোকাবুলারির কোনো বই। সাইফুর'সের একটা বই কিনেছিলাম, সেটাও অযত্নে পড়ে থাকায় এক ছোটোভাই নিয়ে গেছে। ইংলিশ লিখিত প্রশ্ন বোঝা ও প্রাকটিসের জন্য এসিওরেন্সের লিখিত ইংলিশ বইটা কিনেছিলাম। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে ৪০তম বিসিএস দেয়ার আগে অনুবাদগুলো অনুশীলন করা ও ৩৫ থেকে ৩৮তম বিসিএসের বিগত প্রশ্ন ও সেসবের সমাধান দেখা ছাড়া ঐ বই আমার আর কোনো কাজে লাগেনি। তাই ইংলিশের প্রস্তুতির জন্য আসলে কোন এপ্রোচ বেস্ট সেটা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। তবে আমি কোনো বিশেষ এপ্রোচ ছাড়াই যে পরীক্ষা দিয়েছিলাম, ব্যক্তিগতভাবে তাতে আমি সন্তুষ্ট এবং প্রত্যাশা করি নম্বরও ভালোই এসেছে।
এসব কারণেই মূলত নবীনদের জন্য আর দশজনের মত 'এটা করো ওটা করো' টাইপ পরামর্শ দেয়াটা আমার জন্য কঠিন। তবুও ইংলিশের প্রস্তুতি ও পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য যা যা করা যেতে পারে, সেসব তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১. ইংলিশ একটা বিদেশি ভাষা। প্রাথমিকের গণ্ডি থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের আবশ্যিক প্রায় দুহাজার নম্বরের ইংলিশ সিলেবাসে পড়াশুনা করে, পরীক্ষা দিয়ে এ প্লাস অর্জন করে এসেও আমরা সত্যিকার অর্থে কোনো ইংলিশই শিখতে পারি না। এটাই বাস্তবতা।
আমাদের শব্দ ভাণ্ডার সীমিত, কথা বলার গণ্ডিও সীমাবদ্ধ। মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীর অবস্থা একই! আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংলিশে অনেক তেজী, এমন মানুষের সংখ্যা দেশে খুবই কম, হাতেগোনা। তাই হতাশ হবেন না। আমরা সবাই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় নামা গাধা, সবাই গাধা। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঘোড়া খুব কম পাবেন, তাই ঘাড়বেন না।
২. দ্বিতীয় একটি ভাষায় আপনার দখল ঠিক ততটাই হবে, আপনি যত বেশি শব্দ আত্মস্থ করতে পারবেন। প্রতিটি ভাষারই শব্দ সংখ্যা সীমাবদ্ধ। তাই যত বেশি পারবেন, নিজের আত্মস্থ করা শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধির চেষ্টা করুন। সেজন্য যা যা করা আপনার জন্য সুবিধাজনক, তাই করুন! যদি মনে হয় পত্রিকাপাঠে আপনার সুবিধা, তাহলে প্রতিদিন পত্রিকাপাঠ করুন। অথবা বাজারের যেকোনো ভোকাবুলারি বই কিনে মুখস্ত করুন। আপনি পারলে ডিকশনারি মুখস্ত করুন। ইউটিউবে, টিভিতে ইংলিশ প্রোগ্রাম দেখেও অনেক শিখতে পারবেন। কোন পথে এগোবেন, সেটা আপনার মত করে ঠিক করে নিন। ভোকাবুলারিতে পর্যাপ্ত দখল আপনাকে প্রিলি ও রিটেনের সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে রাখবে।
৩. ইংলিশ শুরু করার আগে লিখিত সিলেবাস ও বিগত প্রশ্ন দেখুন। প্রশ্ন এনালাইসিসের কথা আমি বারবার বলি। আমার আজকের লেখাটাও হবে প্রশ্ন বিশ্লেষণমূলক। প্রশ্নের নাম্বার ধরে ধরে প্রস্তুতি কেন্দ্রীক আলোচনা নতুনদের জন্য সুবিধাজনক। বিগত প্রশ্ন এনালাইজ করার পরে দেখবেন যে ইংলিশে আসলে পড়ার মত কিছুই নেই। একটা পেসেজ আসবে, সেই পেসেজের উপর প্রশ্নোত্তর, শব্দার্থ, বাক্য রচনা, পেসেজের সামারি লেখা এবং পেসেজের টপিকের উপর পত্রিকার সম্পাদক বরাবর পত্র লেখা! সিম্পল।
আমার মনে হয় আমরা অযথাই এই ইংলিশ বিষয়টাকে অনেক জটিল হিসেবে চিন্তা করি।
৪. পরীক্ষার আগে পারলে কিছু মডেল টেস্ট দিন। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির যেকোনো একটি বই কিনে বিগত প্রশ্ন ও তার সমাধানগুলো দেখুন। মোটামুটি ধারণা পেয়ে যাবেন যে ঠিক কীভাবে উত্তর করতে হবে। এরপর মডেল টেস্ট অংশে নিজে নিজে চেষ্টা করুন। শেষে বইয়ে প্রদত্ত উত্তরগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন। নিজেই নিজেকে যাচাই করতে পারবেন ঘরে বসে। চাইলে হাতের কাছে কোচিং সেন্টার তো আছেই!
* লিখিত ইংলিশের সিলেবাস বলছে-
ইংলিশ পার্ট এ-এর ক্ষেত্রে দুটো অংশ। রিডিং কমপ্রিহেনশন ও গ্রামার পার্ট। দুই ভাগে ৩০+৩০
1. Reading Comprehension
An unseen passage dealing with a topic relevant to our times will be set. Candidates will be required to answer
(a) a number of thematic questions that will test their understanding of the passage (30 marks)
প্রশ্ন-১.
সাম্প্রতিক ও গুরুত্বপূর্ণ ইশুগুলো টাচ করে এমন টপিকের উপর একটি রচনা দেয়া হবে। সেখান থেকে প্রথমে দশটি প্রশ্ন থাকবে, যার উত্তর করতে হবে পেসেজ থেকে হুবহু কোনো বাক্য কপি না করেই। কিন্তু প্রশ্নগুলো এমন হয়ে থাকে যে তার উত্তর আপনি পেসেজেই পেয়ে যাবেন।
দুয়েকটা সমার্থক শব্দ জুড়ে দিয়ে একটু এদিক সেদিক করে উত্তর করলেই হয়ে যায়। তবে আপনারা চেষ্টা করবেন একান্তই নিজের ভাষায় উত্তর করার।
প্রতিটি প্রশ্নে ৩ নম্বর বরাদ্দ। আপনি বাংলা সাহিত্যে তিন নম্বরের প্রশ্নের উত্তর করেন এক থেকে দেড় পৃষ্ঠা। আর এখানে একশব্দে উত্তর করে তিন নম্বর আশা করবেন, এটা বোকামি না? উত্তর সাজিয়ে গুছিয়ে একটু বড় করে লেখার চেষ্টা করবেন, কমপক্ষে তিন-চার বাক্যে। পরীক্ষক দেখতে চান আপনি পেসেজ পড়ে কতটুকু অনুধাবন করেছেন এবং সেই অনুধাবনের কতটুকু আপনার লেখায় প্রতিফলিত হচ্ছে!
হাতে প্রশ্ন পাওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ হবে এই প্রশ্নগুলো দেখা। পেসেজ পড়ার আগেই প্রশ্নগুলো দেখে নিবেন। এতে করে পেসেজ পড়তে গিয়ে দেখবেন উত্তরগুলো খুঁজে পাচ্ছেন সহজেই। অন্যথায় যদি আগে পেসেজ পড়েন, তারপর প্রশ্ন, আপনাকে উত্তর খোঁজার জন্য আবারও পেসেজ অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হবে। তাই প্রশ্ন আগে পড়ে পরে পেসেজে গিয়ে উত্তরের অংশগুলো আলাদা আলাদাভাবে ব্র্যাকেটবন্দি করবেন। তখন গুছিয়ে উত্তর করতে সুবিধা হবে।
(b) a number of questions related to grammar and usage. (30 marks)
প্রশ্ন-২ থেকে ৫
এই অংশে এসে আপনার সরাসরি শব্দ নিয়ে খেলতে হবে। ২ নং প্রশ্ন সরাসরি শব্দার্থ লিখতে হবে, পেসেজের ক্লু ব্যবহার করে। একই শব্দ একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। আপনাকে সেই অর্থটাই এখানে লিখতে হবে, যা পেসেজে প্রয়োগ হয়েছে। পেসেজে শব্দগুলো বোল্ড করে দেয়া থাকবে। শব্দার্থের ক্ষেত্রে আপনি সরাসরি এক শব্দেও লিখতে পারেন, আবার কয়েক শব্দে অর্থ স্পষ্ট করে দিতে পারেন। অর্থ বোঝাতে পারলেই হবে, ঠিক সমার্থক কোনো শব্দ ব্যবহার করতে হবে ব্যাপারটা এমন না।
৩নং প্রশ্নে থাকে Noun, Verb, Adjective রূপান্তর। বিসিএস ইংলিশে সবচেয়ে সহজ অংশ এটা। এই ৫ নম্বর সহজেই পেয়ে যাবেন। লিখিত বই থেকে দু'চার ঘন্টার প্রাকটিসই যথেষ্ট।
৪নং প্রশ্নে একটু জটিলতা ঢুকে যাবে। এখানে Synonym বা antonyms চাইতে পারে। একেকবার একেকটা চায়। উত্তর করার আগে সতর্কতার সাথে দেখবেন কোনটা চাচ্ছে। অনেকেই ভুল করে বসে এখানে। synonym - antonym শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনাও করতে হতে পারে। প্রশ্নের নির্দেশনা অনুযায়ী করবেন।
৫নং প্রশ্নে বরাদ্দকৃত দশটি নম্বর পাওয়া ৩নং প্রশ্নের চেয়েও সহজ। এখানে বাক্য রচনা করতে হয়। সতর্কতার সাথে শুধু পেসেজ থেকে বাক্য কপি করার কাজটা করবেন না, তাছাড়া মোটামুটি একই ধরবেন বাক্য লিখে আসলেও সমস্যা নেই। এটাই একমাত্র প্রশ্ন যেখানে কোনো শব্দের অর্থ না জানলেও আপনি পেসেজে ঐ শব্দ খুঁজে বের করে একটু ভিন্নভাবে বাক্যটি লিখে দিলেও নম্বর পেয়ে যাবেন। তবে মজার ব্যাপার হলো এখানে তেমন কোনো কঠিন শব্দ দেয়া হয় না। কিছু ফ্রেইজ থাকে, সেসবের ব্যবহারিক অর্থের দিকে নজর রাখবেন। অন্যথায় অর্থের পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। প্রাঞ্জল, সহজ ও নিত্য ব্যবহার্য শব্দাবলি ব্যবহার করে বাক্য রচনা করবেন, বেশি জটিল শব্দ ব্যবহার করে জ্ঞান জাহির করাটা অনুচিত।
উপরে বর্ণিত প্রশ্নোত্তরের ৩০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ২০ এবং পরবর্তী ৩০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ পাওয়া সম্ভব। এখানে নম্বর তোলা অনেকটা অঙ্কের মতই। সঠিক উত্তরে সম্পূর্ণ নম্বর, ভুল হলেই জিরো। তাই ভালো প্রিপারেশন, ভোকাবুলারিতে দখল এবং পেসেজ বুঝে গুছিয়ে উত্তর দিতে পারলেই আপনি ৬০ নম্বরের মধ্যে ৫০+ তুলতে পারবেন, যেখানে ২০০ নম্বরের মধ্যে মোটে ৬০ পেয়ে আপনি ফেল ঠেকাবেন! তাই এই অংশের উপযুক্ত ফসল ঘরে তোলার চেষ্টা করুন।
2. Candidates will be required to write a summary of the given passage in their own words within 100 words. (20 marks)
সিলেবাসে উল্লেখিত এই অংশে লিখিত প্রশ্ন ৬নং এবং বরাদ্দ মার্ক ২০। এখানে মূলত ১০০ শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত পেসেজের সারাংশ লিখতে বলা হয়। পেসেজগুলো এমন হয় যে ১০০ শব্দে অনেক সময় শেষ করা কঠিন। এছাড়া আমরা বিষয় সংক্ষেপণ করতে গিয়েও শব্দসংখ্যা সীমা অতিক্রম করে ফেলে। এটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না। কিছু কমবেশি হলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে চেষ্টা করবেন যেন কম লিখেই সম্পূর্ণ ভাব ফুটিয়ে তোলা যায়। এই প্রশ্নের উত্তরের আগে পেসেজ আবারও পড়বেন। সর্বোচ্চ তিনটা অংশে বিভক্ত করে ফেলবেন, যেন প্রত্যেকটি অংশ একবাক্যে সংক্ষেপ করলেই পুরোটা বোঝা যায়। এতে করে শুরু শেষ সবটাই আপনার লেখাতে উঠে আসবে। যদিও এই অংশে ভালো নম্বর পাওয়া কঠিন।
3. Candidates will have to write a letter relating to the thematic issue of the given passage to the editor of an English newspaper.
(20 marks)
লিখিত ইংলিশে ৭নং প্রশ্নে একটি চিঠি লিখতে হয়। চিঠি মূলত পত্রিকার সম্পাদক বরাবর লিখতে হয়। এসিওরেন্সসহ সব বইয়ে এটার ধারণা পাবেন। ফিচার লিখতে বলতে সম্পাদক বরাবর আবেদন লেখার দরকার নাই, শিরোনাম দিয়ে লিখে ফেলবেন। সম্পাদক বরাবর পত্রিকায় প্রকাশের জন্য বললে আগে আবেদন লিখবেন, পরে পেসেজের ঐ ইশুর উপর শিরোনামসহ চিঠি বা ফিচার লিখবেন। উত্তর শুরু করবেন খাতার বাম থেকে, অবশ্যই ডানের পেজে গিয়ে খতম করবেন। তৃতীয় পৃষ্ঠায় যাবেন না।
পার্ট বি-এর ক্ষেত্রে-
1. Candidates will be required to compose an essay on a topic related to an issue of topical relevance. The essay must conform to the word limit set and must convey a candidate’s ability to express his or her ideas clearly and correctly in English as well as reflect and analyze a topic of contemporary interest. (50 marks)
দ্বিতীয় অংশে প্রথমে তিনটি essay দেয়া থাকবে। যেকোনো একটি লিখতে হবে, ১০০০ শব্দের মধ্যে। এখানেও শব্দের লিমিট নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নাই, যত পারেন লিখুন। মাথায় রাখবেন একটা রচনায় নম্বর বরাদ্দ ৫০, যেখানে সম্পূর্ণ গণিতে বরাদ্দ ৫০! গণিতে আমরা যে সময় দেই, ইংলিশ রচনায় তার একশো ভাগের এক ভাগও দেই না, এটাই বাস্তবতা। তবে একটু কৌশলী হলে ভালো প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব। যে টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ, আলোচিত সেসব বাংলা ও ইংলিশ একসাথে বুলেট পয়েন্ট আকারে নোট করবেন। এতে বাংলা ইংলিশ দুটোই একসাথে প্রস্তুতি নিতে পারবেন, যদিও কমন পাওয়ার সম্ভাবনা কম ধরেই এগোতে হবে। যদি একান্তই কমন না আসে, এখানে আপনার ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং ক্যাপাসিটি কাজে লাগাতে হবে। যে অনেক পড়ে, অনেক জানে, ঠিকঠাক কমন না পেলেও সে মোটামুটি গুছিয়ে উত্তর করতে পারে। আপনার ভালোভাবে লেখার জন্য অবশ্যই অনেক বেশি পড়তে হবে আগে। ৪০তম বিসিএসে সোসাইটি ও লিটারেচার রচনাটা লিখেছিলাম ২২ পেইজ, কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই। শব্দের সীমাবদ্ধতা আমি কখনোই হিসেব করিনি। পত্রিকা পাঠ, বিভিন্ন বইয়ের রচনা ইত্যাদি দেখা আপনাকে এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে। রুমে বসে এভাবে যেকোনো ইশুতে লেখার অভ্যাস করতে পারেন। ফুল মার্কস রচনায় কেউ পায় না, আপনি অন্তত চেষ্টা করুন ২৫-৩০ যেন আসে।
2. Translation from English into Bangla and Bangla into English
Candidates will be required to translate a short passage from Bangla into English and another from English into Bangla. (25+25=50 marks)
ট্রান্সলেশন নিয়ে আগেও লিখেছিলাম। অনুবাদের ৫০ নম্বরের মধ্যে ৩৫-৪০ তোলা অসম্ভব না। আক্ষরিক অনুবাদ পরিহার করবেন। ভাবানুবাদ করবেন। প্রয়োজনে বাক্য ভেঙে নিবেন। বাক্যের মাঝে দুয়েকটা শব্দ অনুবাদ বাদ পড়লেও সমস্যা নেই। সম্পূর্ণ ভাব যেন ঠিক থাকে। ফ্রেইজ গুলো অনুবাদের ক্ষেত্রে সাবধান, আক্ষরিক হয়ে গেলে অর্থের ব্যাপক তারতম্য হয়ে যেতে পারে। যেকোনো গাইড বই থেকে প্রাকটিস করুন নিয়মিত। আমি শুধু এসিওরেন্সে দেয়া বিগত প্রশ্ন ও সাজেশনগুলো দেখেছিলাম। আপনারা চাইলে অনুবাদবিদ্যা টাইপ বইগুলো দেখতে পারেন। অনুবাদের পাশাপাশি অনেক কৌশলও দেয়া আছে এসব বইয়ে।
সামগ্রিক যদি বলতে হয়, তবে দেখা যায় যে অনুবাদ অনুশীলন করা ছাড়া বিসিএস লিখিত ইংলিশে আর কিছুই নেই। রচনা তো আর মুখস্ত করে পার পাওয়া সম্ভব না। অন্যান্যগুলোর ক্ষেত্রে লেটারের নিয়ম ঠিক রাখা, সামারি সত্যিকার অর্থেই সংক্ষেপ করা আর ভোকাবুলারি বাড়ানো- লিখিত ইংলিশ জাস্ট এটুকুই! ভালোভাবে সময় দিলে প্রথম অংশে ৬০ নম্বরে ৪০-৪৫ পরের সামারি ও লেটারের ২০+২০ এ ২২-৩০ এবং রচনায় ৩০-৩৫ সহ সর্বমোট ১১০-১২০ পাওয়া যাবে অনায়াসেই। যারা আরও ভালো করবেন তারা ১৫০ তুললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিগত মার্কশিটগুলো দেখলেই বুঝবেন কেউ ১৫০ আবার কেউ বাকি সব বিষয়ে ভালো নম্বর তুলে ইংলিশে ফেইল!
তাই সাবধানে গুছিয়ে প্রস্তুতি নিন। ভালো করবেন ইনশাল্লাহ। শুভকামনা আপনাদের সবার জন্য।...
Group : ASAD’S BCS AID: PRELI, WRITTEN, VIVA