Cine View

Cine View Follow Our Page For Watch Movies/Tv Series �

02/26/2024

হেকমতে চীন, হুজুগে বাংগাল 😅

ড.সলিমুল্লাহ স্যার।

02/26/2024

পাঠ্য বই এবং ভাষা শহীদদের কে নিয়ে যা হচ্ছে।

ড.সলিমুল্লাহ স্যার।

কে কোথায় গিয়ে নুসরাত ফারিয়ার "সুরংগ" দেখবেন?
06/27/2023

কে কোথায় গিয়ে নুসরাত ফারিয়ার "সুরংগ" দেখবেন?

Art Direction Of "Surongo" Just Wow 🔥
06/24/2023

Art Direction Of "Surongo" Just Wow 🔥

Suriya Anna অভিনীত আপকামিং প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা   এর ফ্যানমেইড পোস্টার।জোশ না? 🔥
06/05/2023

Suriya Anna অভিনীত আপকামিং প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা এর ফ্যানমেইড পোস্টার।

জোশ না? 🔥

1 Year of Powerful Comeback of The Greatest Actor of All Time "Kamal Hasan"Career Best Direction by "Lokesh Kanagaraj"an...
06/05/2023

1 Year of Powerful Comeback of The Greatest Actor of All Time "Kamal Hasan"

Career Best Direction by "Lokesh Kanagaraj"

and Anirudh BGM Just Nailed It🔥

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বলতেই হচ্ছে, স্রেফ অবিশ্বাস্য!ভিএফএক্স মানেই কিন্তু শুধু গাড়ি ব্লাস্ট করা বা গ্রিন স্ক্রিন শ্যুট ক...
06/04/2023

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বলতেই হচ্ছে, স্রেফ অবিশ্বাস্য!

ভিএফএক্স মানেই কিন্তু শুধু গাড়ি ব্লাস্ট করা বা গ্রিন স্ক্রিন শ্যুট করা না। এখানে অনেক ডিটেইলিং আছে, অনেকগুলো লেয়ারে কাজ হয়। ঢাকা অ্যাটাক আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে পাথব্রেকিং কমার্শিয়াল কপ থ্রিলার। সেখানে ভিএফএক্সের প্রচুর বিউটিফিকেশনের কাজ ছিল। হাসপাতালের সেটের নানান খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে গিরগিটির পাসিং শট কিংবা মাকড়সার জাল তৈরি করা। আর বোমব্লাস্টের দৃশ্য তো ছিলই।

অপারেশন সুন্দরবনের বাঘের শটের জন্য দীপন থাইল্যান্ড ছুটে গিয়েছেন, সেখানে আলাদা করে বাঘের শ্যুট করে সেটি ভিএফএক্সে বসিয়েছেন। সুন্দরবনে আর যাই হোক, রাতে তো শ্যুটিং করা সম্ভব না। তাই দিনে শ্যুট করা অসংখ্য দৃশ্য পরিণত হয়েছে রাতের দৃশ্যে। এখন এডিটিং প্যানেলে ফিল্টারে ফেলে দিলে দিন কিন্তু রাত হয়ে যায় ঠিকই। তবে আলাদা করে ভিএফএক্সের কাজ কেন? কারণ দর্শকের সাথে অনেস্টি! কারণ, টেমপ্লেটে শুধু ফেলে দিলেই হয় না; এখানে আকাশের তারার কৌণিক অ্যাঙ্গেল আছে, মেঘের কার্ভের ডিটেইলিং আছে। আরও কত কিছু!

ঢাকা অ্যাটাক আর অপারেশন সুন্দরবন সিনেমাতেই যদি ভিএফএক্সের এত ব্যবহার হয়, তাহলে অন্তর্জাল যে অনেক বেশি ভিএফএক্সহেভি সিনেমা হবে, সেটিই স্বাভাবিক। সাধারণত বাংলাদেশী সিনেমায় আগে শ্যুটিং শেষ হয়, তারপর পোস্ট-প্রোডাকশনে গিয়ে ভিএফএক্স টিমের সাথে যোগাযোগ হয়, তারপর তারা ইনভল্বড হয়। কিন্তু অন্তর্জাল সিনেমাতে স্ক্রিপ্টিং পর্যায়েই ভিএফএক্স টিম তৈরি হয়ে যায়। তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মেনেই দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। আড়াই ঘন্টা সিনেমার এক ঘন্টাই হচ্ছে ভিএফএক্স! অন্তর্জাল এর ভিএফএক্স কোয়ালিটি মেইন্টেন করতে পারলে সিনেমাটি নতুন একটা মাইলফলকই তৈরি করে ফেলবে নিশ্চিত!

‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ফিল্মমেকার হিসেবে দীপংকর দীপনের আলাদা একটি পরিচিতিই তৈরি হয়েছে। এত বড় বড় অ্যারেঞ্জমেন্টের প্রজেক্ট ডিল করেন দীপন, যা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সত্যিই বিরল। দীপনের জন্য অনেক শুভকামনা।

Credit:- Cinegolpo

700Million Done👍What do you think? It can be Gross 1Billion or Not?
05/29/2023

700Million Done👍

What do you think? It can be Gross 1Billion or Not?

কথা কিন্তু সত্য😅
05/28/2023

কথা কিন্তু সত্য😅

05/27/2023
05/27/2023

We are waiting for alarm....

If DC Universe were made in Bangladesh😅
05/26/2023

If DC Universe were made in Bangladesh😅

অনুষ্ঠানে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগ...
05/20/2023

অনুষ্ঠানে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

Movie:- Bilal: A New Breed of HeroImdb: 7.6/10Personal: 8.6সবার আগে একটা কথা বলে নেই, এই চলচ্চিত্রটিকে ঠিক ধর্মীয় চলচ্চি...
04/05/2023

Movie:- Bilal: A New Breed of Hero
Imdb: 7.6/10
Personal: 8.6

সবার আগে একটা কথা বলে নেই, এই চলচ্চিত্রটিকে ঠিক ধর্মীয় চলচ্চিত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। এটি অনেকটাই ইসলামের একজন নায়কের জীবনীর একাংশের উপর ভিত্তি করে নির্মিত অনুপ্রেরণামূলক চলচ্চিত্র। এতে একবারের জন্যও ইসলাম ধর্ম অথবা হযরত মুহাম্মদ (সা) এর নাম উচ্চারণ করা হয়নি। ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবকে এখানে শুধু একটি ‘নতুন মুভমেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত আবু বকর (রা)-কে দেখানো হলেও তার নামও সরাসরি উচ্চারণ না করে তাকে তার উপাধি সিদ্দীক এবং ‘লর্ড অব মার্চেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

★পূর্ব আফ্রিকার দেশ আবিসিনিয়া, বর্তমান ইথিওপিয়ার একাংশ। রাজকন্যা হামামা দাঁড়িয়ে আছেন তার বাড়ির উঠোনে। অদূরেই খেলা করছে তার ফুটফুটে দুই সন্তান বিলাল এবং গুফায়রা। হঠাৎ করেই দিগন্তে দেখা দিল ধুলোর ঝড়। ঘোড়ার ক্ষুর ছুটিয়ে এগিয়ে আসতে লাগলো একদল অশ্বারোহী। বিপদ টের পেয়ে হামামা তার দুই ছেলেমেয়েকে লুকিয়ে ফেললেন মাটির নিচের প্রকোষ্ঠে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। ডাকাতদল তাকে হত্যা করে তার দুই সন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে গেল হাজার মাইল দূরের মরুময় এক নগরীতে। দাস হিসেবে বিক্রি করে দিল আরবের মক্কা নগরীর বিশিষ্ট মূর্তি ব্যবসায়ী উমাইয়া বিন খালাফের কাছে।

ঘটনাটি প্রাক-ইসলামি যুগের, ষষ্ঠ শতকের শেষ ভাগের। আর দাস হিসেবে বিক্রি হওয়া বালকটি আর কেউ নন, স্বয়ং বিলাল বিন রাবাহ আল-হাবশি। সুকণ্ঠের অধিকারী বিলাল বিন রাবাহ ছিলেন ইসলাম ধর্মের প্রথম মুয়াজ্জিন, যিনি আমাদের কাছে হযরত বিলাল (রা) নামেই বেশি পরিচিত। হযরত বিলালের জন্ম এবং শৈশব সম্পর্কে ইতিহাসে বিভিন্ন ধরনের বিবরণ পাওয়া যায়। উপরের বিবরণটি তার মধ্যে একটি, যেটি উঠে এসেছে তার জীবনীর একটি দিক নিয়ে নির্মিত (Bilal: A New Breed of Hero) অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে।

সপ্তম শতকে ইসলামের আবির্ভাব ছিল বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এর পরবর্তী সহস্রাধিক বছর ধরে মুসলমানরা শাসন করেছে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের বিশাল ভূখন্ড। কিন্তু সেই তুলনায় ইসলাম ধর্মের প্রাথমিক দিকের নায়কদের নিয়ে চলচ্চিত্র প্রায় নেই বললেই চলে। আর শিশু-কিশোরদের উপযোগী আন্তর্জাতিক মানের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র তো একেবারেই নেই। সেই শূন্যস্থান পূরণ করার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে আসে দুবাই ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বারাজুন এন্টারটেইনমেন্ট। প্রযোজক আইমান জামালের ৭ বছরের প্রচেষ্টার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র হিসেবে ২০১৫ সালে মুক্তি পায় বিলাল: এ নিউ ব্রিড অব হিরো।

বিলাল অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটির কাহিনী খুবই সরল এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সুপরিচিত। বিলাল এবং তার বোন গুফায়রা বেড়ে উঠতে থাকে অত্যাচারী এবং লোভী ব্যবসায়ী উমাইয়া পরিবারের দাস-দাসী হিসেবে। উমাইয়ার পুত্র সাফোয়ানের অত্যাচারে তাদের জীবন ছিল অতিষ্ঠ, কিন্তু দাস হওয়ায় তাদের প্রতিবাদ করার কোনো উপায় ছিল না। তারপরও বিলাল সবসময়ই তার মায়ের শেষ কথাগুলো স্মরণ করতো- “মহৎ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অর্থ হচ্ছে শেকল ছাড়া বেঁচে থাকা।” আর সেটা করতে গিয়েই কখনো কখনো তাকে সইতে হতো স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি নির্যাতন।

বিলাল যখন ত্রিশ বছর বয়সী যুবক, তখন মক্কার বুকে লাগে নতুন বিপ্লবের দোলা। পুরাতন ধ্যান-ধারণার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সগৌরবে মক্কার আরবদের মন জয় করে নিতে থাকে নতুন একটি ধর্ম, যে ধর্মের বাণী এসে পৌঁছে বিলালের কানেও। একেশ্বরবাদের পাশাপাশি নতুন এই ধর্মে বলা হয়, মানুষে মানুষে সমান অধিকারের কথা, দাসদেরকেও দেওয়া হয় বিরল সম্মান, যা সে সময়ের বাস্তবতায় ছিল অকল্পনীয়। সারা জীবন দাস হিসেবে অপমান আর অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা বিলাল এই নতুন ধর্মের মধ্যে খুঁজে পায় দাসত্বের শৃঙ্খলা মুক্তির গান, খুঁজে পায় বেঁচে থাকার অর্থ। সে আলিঙ্গন করে নেয় নতুন এই ধর্ম ইসলামকে।

স্বাভাবিকভাবেই বিলালের মনিব উমাইয়া তার ক্রীতদাসের এই নতুন ধর্মগ্রহণকে মেনে নিতে পারেনি। ফলে বিলালের উপর নেমে আসে অবর্ণনীয় নির্যাতন। শেষপর্যন্ত অবশ্য বিলালকে ক্রয় করে মুক্ত করে দেন রাসূলের (সা) ঘনিষ্ঠ সাহাবী হযরত আবুবকর (রা)। পরবর্তীতে বিলাল মদিনায় হিজরত করেন এবং সেখানে যখন ইসলামের প্রথম মসজিদ স্থাপিত হয়, তখন মানুষকে নামাযে আহ্বান করার জন্য বিলালকেই ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ করা হয়। বদরের যুদ্ধে বিলালের অংশগ্রহণ এবং পরবর্তীতে মক্কা বিজয়ের পর পবিত্র কাবা ঘরের উপরে উঠে আযান দেওয়ার দৃশ্যও চিত্রায়িত হয় চলচ্চিত্রে।

বিঃদ্রঃ- Moviepagol. Com এই ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে, ভিজিট করুন এবং দেখে নিন ইতিহাসের অন্যতম একটি অধ্যায়ের ভীন্ন এক চিত্রায়ণ।

★অর্জনঃ বিলাল চলচ্চিত্রটির সবচেয়ে বড় অর্জন এর চমৎকার দৃশ্যায়ন। মক্কা নগরীর ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্যস্ত বাজারে মূর্তি কেনাবেচা, বিদেশ থেকে আমদানি করা রং-বেরংয়ের কাপড়ের প্রদর্শনী, বিশাল মূর্তি সমেত কাবা ঘর, ধু-ধু মরুর বুকে বিলালের ঘোড়ায় চড়ে ছুটে যাওয়া- এসব দৃশ্য দর্শককে সহজেই নিয়ে যাবে দেড় হাজার বছর অতীতে। অধিকাংশ চলচ্চিত্র সমালোচকই বিলালের থ্রিডি এনিমেশনের প্রশংসা করেছেন।

চলচ্চিত্রটি এশিয়ার সবচেয়ে সম্মানজনক চলচ্চিত্র পুরস্কার ‘এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড‘ এ বেস্ট অ্যানিমেটেড ফিচার ফিল্ম বিভাগে মনোনীত হয়েছিল। ২০১৬ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবের এনিমেশন ডেতে চলচ্চিত্রটিকে ‘বেস্ট ইনস্পায়ারিং মুভি‘ বিভাগে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও ব্রডকাস্ট প্রো মিডলইস্ট অ্যাওয়ার্ডে এটি ‘বেস্ট ইনোভেটিভ মুভি’ হিসেবে পুরস্কার অর্জন করে।

চ্যামেলীর পেটে বাচ্চা, চ্যামেলীর পেটে বাচ্চা। কিন্তু চ্যামেলী নিজেও বলতি পারে  না এই বাচ্চার আসল বাপ কেডা??আবু তাওহীদ হি...
04/04/2023

চ্যামেলীর পেটে বাচ্চা, চ্যামেলীর পেটে বাচ্চা। কিন্তু চ্যামেলী নিজেও বলতি পারে না এই বাচ্চার আসল বাপ কেডা??

আবু তাওহীদ হিরণ পরিচালিত সিনেমার 'আদম' ট্রেলার রিলিজ হয়েছে। ২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড দীর্ঘ ট্রেলারে উঠে এসেছে আশির দশকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামীণ জনপদে ঘটে যাওয়া কঠিন বাস্তবতা আর জীবনবোধ। প্রেম-ভালোবাসা, সাসপেন্স, থ্রিলার সব মিলিয়ে দুর্দান্ত মনে হয়েছে।

পর্দায় ইয়াশ রোহান, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, এ্যালেন শুভ্র, মনিরা মিঠু, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহীদুজ্জামান সেলিম সহ সবারই উপস্থিতি ছিল বেশ চমৎকার।লোকেশন, কালার গ্রেডিংও বেশ ভালো লেগেছে। আশা করছি ঈদে ভালো একটি সুন্দর গল্পের সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে বসে উপভোগ করবেন দর্শক।

ট্রেলারঃ- https://youtu.be/67s81CsIwOQ

If Super Heroes Attend Iftar Party😊
03/25/2023

If Super Heroes Attend Iftar Party😊

দীর্ঘ অনেকটা সময় অপেক্ষার পর অবশেষে দেখে নিলাম,সময়ের আলোচিত ও প্রশংসীত পরিচালক "রায়হান রাফির" সিনেমা "দামাল"। লেখাটা একট...
03/18/2023

দীর্ঘ অনেকটা সময় অপেক্ষার পর অবশেষে দেখে নিলাম,সময়ের আলোচিত ও প্রশংসীত পরিচালক "রায়হান রাফির" সিনেমা "দামাল"।

লেখাটা একটু বড়, তাই অনুরোধ রইলো হাতে একটু সময় নিয়ে পুরো লেখাটি পড়বেন।

আসলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে বাংলাদেশের সিনেমায় এমন কিছু দেখতে চাই, যা আগে দেখা যায়নি। এমন কিছু অনুভব করতে চাই, যা আমাদের শেকড়ের কথা বলে, আমার অস্তিত্বের কথা বলে। এমন কিছু সারাজীবন বয়ে বেড়াতে চাই, যা আমাকে বিনোদিত করবে, সেই সাথে আলোড়িত করবে। ‘দামাল’ সেই অংকে অবশ্যই রায়হান রাফীর এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ সিনেমা। এবং এই সিনেমা আমাকে আমার শেকড় চিনিয়েছে।

এই সিনেমা আমাকে আমার অস্তিত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। এই সিনেমা আমাকে ৭১ এর বর্বরোচিত্ব নিজ চোখে দেখার সুযোগ করিয়ে দিয়েছে।

ডিউটি শেষ করে আমরা রুমমেট সবাই মিলে আমার কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখতে বসেছিলাম এই সিনেমাটি। এবং এটি দেখা শেষ করে আমার ঘোলা চোখে আশেপাশে বসে থাকা সবাইকেই অশ্রুসিক্ত হতে দেখেছি।
এই চোখের পানি যেনো এদেশের জন্য। এই চোখের পানি বাংলা সিনেমায় এমন নবজাগরণের জন্য। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, ফুটবল বা অন্য কোনো খেলা নিয়ে বাংলাদেশের সিনেমায় মানের দিকে আপস না করে এত গতিশীল কাজ এর আগে দেখিনি। ‘দামাল’ টিমকে এজন্য টুপি খোলা অভিনন্দন। প্রযোজক ইমপ্রেস টেলিফিল্মকে এ ধরনের সিনেমা পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরেকটা কথা:- দামাল মুভিটি ডাউনলোড এর জন্যে ভিজিট করুন Moviepagol. Com

আমরা যারা শৈশবে বিটিভিতে পাড়ার মানুষ নিয়ে এক ঘরে বসে সিনেমা দেখেছি- ‘বাবা কেন চাকর’, ‘মরণের পরে’ কিংবা ‘কন্যাদান’ জাতীয় আবেগী সিনেমা দেখার সময় চোখ ভিজে যাওয়া দৃশ্যগুলোতে লজ্জায় থাকতাম। এই বুঝি কেউ দেখে ফেলল। এরপর সারা সপ্তাহ সিনেমা দেখার সময় কান্না করার ‘অপরাধে’ সবার সামনে পচানি সহ্য করতে হবে।

আমার মতো দুষ্টু ছেলে-মেয়েরা আবেগী দৃশ্যে চাচী-দাদীদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকত। চোখ ভেজার সঙ্গে সঙ্গে রুমের সবাইকে জানিয়ে সমস্বরে বলে উঠত- ‘দাদী, কান্না করবেন না; এটা বাস্তব না, সিনেমা। আলমগীর সত্যি মারা যায়নি। পরের সপ্তাহেই আরেকটা সিনেমায় দেখতে পাবেন।’ রুমে হাসির রোল পড়ে যেত। এই সুযোগে অন্যরা চোখ মুছে নিত।

বয়স আর সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আবেগের উৎসেরও পরিবর্তন হয়। এই বাক্যটাকে সত্য মেনে ধরেই নিয়েছিলাম নায়িকার অনত্র বিয়ে, নিজের বাড়ি থেকে বাবাকে বের করে দেওয়া কিংবা চার-পাঁচটা সন্তান থাকার পরও মৃত্যুর সময় একটু পানি মুখে দেওয়ার কেউ না থাকার দৃশ্যগুলো এখন আর আমাদের সেই অর্থে আলোড়িত করতে পারবে না।

আরও ধরে নিয়েছিলাম বাংলা সিনেমা দেখিয়ে দর্শকের চোখ ভেজানোর মতো দিন আর নেই। কেননা শৈশবের শেষের দিকে আমরা জেনেছি ‘দিন বদলায়া গেছে’।

দিন আসলেই বদলে গেছে। এখন আর ত্যাগ, বিসর্জন কিংবা মন ভাঙার দৃশ্যে সে অর্থে কান্না আসে না। কান্না আসে হঠাৎ কিছু পেয়ে গেলে। কিছু পাওয়ার জন্য কারো মনে-প্রাণে চেষ্টা করা দেখলে। নিজের কথা চিন্তা না করে অন্যের জন্য কিছু করতে দেখলে।

বহুদিন পর শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো ফিরিয়ে আনল দামাল। রায়হান রাফীর এই সিনেমায় নতুন কিছু নেই। যা আছে তা প্রতিটি সচেতন মানুষের জানা। পাকিস্তানীদের শোষণ, অত্যাচার, ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চের কালোরাত, খুন, আগুন, ধর্ষণ। এগুলো নতুন করে জানানোর কিছু নেই। নতুন করে জানানোর কিছু নেই দেশের সর্বস্তরের মানুষের রুখে দাঁড়ানো; শোক, রাগ, ঘৃণা আর জয়ের নেশায় একটা জাতীর অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার গল্পও। আর মুক্তিযুদ্ধের অর্থের যোগান দিতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অবদান।

তারপরও দামাল হাজির হলো পুরাতন একটা গল্প নিয়ে নতুন একটি সিনেমারূপে।
কারণ হিসেবে বলা যায় গল্প বলার ধরন, শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, সিয়াম আহমেদ, শাহনাজ সুমী, রাশেদ মামুন অপুদের চরিত্র হয়ে ওঠা, নাজিম উদ দৌলা আর রাফীর চিত্রনাট্যের জোরে।

ফুটবল নিয়ে রাজের উম্মাদনা নব্বই দশকে জন্ম নেওয়া অসংখ্য তরুণের প্রতিচ্ছবি। কারো কারো ক্ষেত্রে শুধু ফুটবলের সঙ্গে যোগ হবে ক্রিকেট। যার কারণে হাস্যরসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে আবেগী দৃশ্যগুলো। গাছ থেকে পড়তে থাকা ডাবকে ফুটবল ভেবে বাইসাইকেল কিক করতে গিয়ে পা ফোলানো রাজের সঙ্গে গাছ থেকে আম-পেয়ারা ক্যাচ ধরতে গিয়ে ঠোঁট কাটা অনেক তরুণ নিজেকে মিলিয়ে ফেলবেন নিমিষেই। ফলে দৃশ্যটা যেমন ততক্ষনাৎ হাসির জোগান দেবে, একটু পরেই চোখ ভিজিয়ে দেবে ৩০-৪৫ বছর বয়সী দর্শকদের।

খেলার মাঠে সিয়ামের বিভৎস দৃশ্যগুলো সামনে আসা, খেলায় মনযোগ দিতে না পারা এবং দুর্দান্ত প্রাতাপে ফিরে আসার দৃশ্যগুলো গায়ের লোম দাঁড় করিয়ে দেয়। একইভাবে রাজের প্রতিটি সফল পাস, সফল ড্রিবলিংয়ের সময় রাজ আর দর্শক একাকার হয়ে যায় নিমিষেই।

★দামালের মুন্সিয়ানা★

আমার মতে, দামালের শক্তিশালী দিক হলো চরিত্র বাছাই। প্রতিটি চরিত্র সময়ের সঙ্গে এতটাই খাপ খাইয়ে গেছে যে, স্টার সিনেপ্লেক্সের বড় পর্দাটাকে কখনোই শুধু পর্দা মনে হয়নি। বেশিরভাগ সময় মনে হয়েছে একাত্তরের বাংলাদেশ। দর্শকের সামনে থাকা পর্দার দূরত্ব ‘ভ্যানিশ’ করে দেওয়ার ক্ষমতার অভাব এদেশের নির্মাতাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বলে আমার মনে হতো। রাফী সেই দুর্বলতা শুধু কাটিয়েই ওঠেন নাই; বরং স্টার মার্কস পেয়েছেন বলা যায় নির্দ্বিধায়। রাফীকে নোট-খাতা জুগিয়ে প্রতিটি ফ্রেমে সাহায্য করে গেছেন রাজ, মিম, সিয়ামরা।

প্রিওডিক্যাল সিনেমার ক্ষেত্রে খুব বেশি ক্যামেরার মুনশিয়ানা দেখানোর সুযোগ থাকে না। এক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল সেটে লম্বা ফ্রেমে শট নেওয়াটা হয় অনেক বিপজ্জনক। এদিকটায় রাফী খুব বেশি সেই চেষ্টাই করেন নাই। তারপরও যখন যেটুকু দরকার ছিল অত্যান্ত সচেতনভাবে তা নিয়েছেন। বিশেষ করে রেল লাইনের দৃশ্যগুলো, তবে এ ক্ষেত্রেও রাফী সফল। ক্যামেরার কাজের সঙ্গে কালার কারেকশন ছিল চোখে আরাম দেওয়ার মতো। কোথাও রঙের আধিক্য চোখ ধাঁধিয়ে দেয়নি। সদ্য প্রেমে পড়া তরুণ চোখের সামনে দিয়ে স্কুলড্রেস পরে হেঁটে যাওয়া প্রেমিকার দিকে যে আরাম নিয়ে তাকিয়ে থাকে, পর্দার দিকে সেই আরাম নিয়ে তাকিয়ে থাকা গেছে সিনেমার পুরোটা সময়।

খুবই মিষ্টি ছিল গানগুলোর দৃশ্যায়ন ও সংগীতায়োজন। কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে দেখে যে স্বাদ পাওয়া যায়নি। সিনেমার সঙ্গে দারুণভাবে মিশে গেছে। আরোপিত মনে হয়নি একটি গানও। তবে গান নিয়ে আরো ভাবার সুযোগ ছিল। টাইটেল ট্র্যাক ছাড়া বহুবার শোনার মতো মনে হয়নি কোনো গান।

অভিনয়ে রাজ, সিয়াম, মিম, সুমী, অপুরা একে অপরের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গেছে। শুরু থেকে শেষ পর্র্ন্ত সবাই নির্দিষ্ট একটি মাপ বজায় রেখেছেন। কোথাও খাপ ছাড়া মনে হয়নি। শুধু পৌঢ় বয়সে ইন্তেখাব দিনারের মেকআপে ফিনিশিংয়ের ঘাটতি চোখে লেগেছে। কখনো কখনো চোখে লেগেছে তার অভিনয়ও।

দামাল নির্মাণের পরিকল্পনা হয় ২০১৮ সালে। ২০২০ সালে শুটিং শুরু হয়। অথচ ঘটনা সংযোগ করা হয়েছে নারী দলের সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে। স্বল্প সময়ে রাফীর বুদ্ধিদীপ্ত বিবেচনা এবং ইম্প্রোভাইজেশন প্রশংসার দাবিদার।

গল্প শক্তিশালী হলেও বর্তমানের সঙ্গে একাত্তরের কানেক্ট করার সিনগুলোতে হঠাৎ হঠাৎ ঘটে গেছে যেন। সিনেমার ব্যাপ্তি ঠিক রাখতে বেশ তাড়াহুড়ো করেছেন নির্মাতা। ৭ মার্চও চলে এসেছে প্রায় হঠাৎ করে। আরেকটু ডিটেইল অ্যান্ড এক্সেপ্লেনেশন গল্প আরো ওপরে নিয়ে যেতো।

সেট ডিজাইন ও চরিত্রগুলোর গেটআপ-মেকআপ ছিল ঠিকঠাক। চরিত্রে সঙ্গে মিল রেখে মেকআপ, গেটআট; রাজ ফুল মার্ক পেয়েছেন। রাজাকার চরিত্রে রাশেদ মামুন অপু চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছেন। এই বয়সী ঠান্ডা মাথার ভয়ংকর রাজাকার নির্বাচন রাফীর আরেকটি মুনশিয়ানা। আমরা রাজাকার হিসেবে সাদা চুলের বৃদ্ধদের দেখে আসছি এতদিন। যদিও ফুটবল, মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান সময়কে এক ফ্রেমে ধরার ফলে কম পেয়েছেন অপু।

অসংখ্য হাততালি দেওয়ার দৃশ্য আছে এমন মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা আমরা আগে দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা মানে শীতল বেদনা আর প্রতিশোধ। গত বছর মুক্তি পাওয়া ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ যার বড় উদাহরণ। সে জায়গা থেকে রাফি এক লাফে ঘুরে গেছেন ১৮০ ডিগ্রি। প্রতিশোধের বড় হাতিয়ার যখন ফুটবল, তখন একটা গোল মানে লাখো মানুষের উল্লাস। যে উল্লাসে যোগ দিতে মাল্টিপ্লেক্সে সাড়ে তিনশ টাকা টিকেট কেটে দেখা ‘ভদ্র’ দর্শকও কুণ্ঠাবোধ করেন না। দামাল মাল্টিপ্লেক্স পেরিয়ে যখন জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে তখন দর্শকের কী পরিমাণ তালি আর হইচই অর্জন করবে তা বলে দিতে বোদ্ধা হওয়া লাগে না।

কেননা, পাবজি-ফ্রিফায়ারের যুগেও গ্রামে একটি ভালো ফুটবল ম্যাচ দেখতে গ্রামের দর্শক টিনের চাল ভেঙে ফেলেন। সেই দর্শক যখন বড় পর্দায় মুন্নার বাইসাইকেল কিক আর দুর্জয়ের ইতিহাস বদলে দেওয়া ফ্রিকিক দেখবেন, তখন মুক্তিযুদ্ধ ও ফুটবলপ্রেমী বাঙালিকে চেয়ারে বসিয়ে রাখা মুশকিলই হবে।

দামাল মাল্টিপ্লেক্সের ভদ্র দর্শকদের সঙ্গে বসে দেখার চেয়ে বা নিজ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখার চেয়ে, জেলা-উপজেলা শহরের সিনেমা হলে দেখার মজা নিশ্চয় বেশি হবে। দামাল আমার আরেকবার দেখতে হবে। ঘাম আর সিগারেটের গন্ধে মৌ মৌ করা উপজেলা শহরের কোনো এক সিনেমা হলে বসে।

আরো অনেকটা উপকৃত হতাম, যদি এটিকে মালায়শিয়ার প্রত্যেকটা সিনেমা হলে মুক্তি দেয়া যেতো। কারণ গত ৫বছর যাবত, দেশীয় কোনো সিনেমা সিনেপ্লেক্স বা অন্যকোনো সিংগেল স্ক্রিনে দেখার সৌভাগ্য হয় নি😔।

এই ঈদে শুভমুক্তি পাবে, আমাদের সবার প্রিয় জায়েদ ব্রো এর নতুন মুভি। সবাই সিনেমা হল এ গিয়ে উপভোগ করবেন আশা করি 🥴
03/16/2023

এই ঈদে শুভমুক্তি পাবে, আমাদের সবার প্রিয় জায়েদ ব্রো এর নতুন মুভি। সবাই সিনেমা হল এ গিয়ে উপভোগ করবেন আশা করি 🥴

সম্প্রতি (হৈচৈ) এ মুক্তি পাওয়া "বুকের মধ্যে আগুণ" নিয়ে কিছু কথা, যেগুলি সবারই জানা উচিৎ বলে আমি মনে করি। জনপ্রিয় নায়ক সা...
03/05/2023

সম্প্রতি (হৈচৈ) এ মুক্তি পাওয়া "বুকের মধ্যে আগুণ" নিয়ে কিছু কথা, যেগুলি সবারই জানা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ এখনও বেঁচে আছেন সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয়ে। আজও তার অভাব বোধ করে ঢালিউড। অকাল প্রয়াত এই নায়ক কি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিলো? এ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই।

কয়েকদিন আগে জানা গিয়েছিল, সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর মতোই একটি গল্প উঠে আসছে ওয়েব সিরিজে। ‘বুকের মধ্যে আগুন’ নামের এই সিরিজটি নির্মাণ করছেন তানিম রহমান অংশু।

তবে অংশু এই সিরিজটিকে সালমান শাহ এর গল্প বলতে নারাজ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘জিনিসটা দেখতে হয়তো একইরকম লাগবে কিন্তু এটি একটি ফিকশন। তার (সালমান শাহ) সঙ্গে হয়তো কিছুটা মিলে যাবে কিন্তু এটি তার ঘটনা নয়।’

অংশুর এই বক্তব্য সে সময় মনমতো হয়নি সালমান শাহর পরিবারের। তারা সাধারণ ডায়েরির পাশাপাশি সিরিজের নির্মাতাকে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন। ফলস্বরূপ, সিরিজটি ১৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তির কথা থাকলেও পেছানো হয়। সেসময় জানানো হয়েছিল, কাজ শেষ হয়নি ‘বুকের মধ্যে আগুনে’র।

এরপর সিরিজটি নিয়ে আর কোনো তথ্য জানা যায়নি। ফলে অনেকে ভেবেছিলেন হয়তো অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল ‘বুকের মধ্যে আগুনে’র প্রকাশ। এই যখন অবস্থা তখন গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে চুপিসারে মুক্তি দেওয়া হয় এ সিরিজ।

অন্যান্য ফিল্ম বা সিরিজের ক্ষেত্রে মুক্তির তারিখ ঘোষণার পাশাপাশি ট্রেলার প্রকাশ করা হলেও এই সিরিজের ক্ষেত্রে কোনোটাই করা হয়নি। তাই মুক্তির পর নেটিজেনদের অনেকেই সমালোচনা করছেন সিরিজ সংশ্লিষ্টদেরকে নিয়ে, অনেকে আবার প্রশংসাও করছেন। এরইমধ্যে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে এ সিরিজের ইতিবাচক রিভিউ দিচ্ছেন।

হইচই সিরিজটি মুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে বানানো সিরিজে আপত্তি তোলেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ও মামা আলমগীর কুমকুম।

সিরিজটি প্রচার বন্ধের দাবিতে আইনজীবী ফারুক আহমেদের মাধ্যমে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন এ নায়কের মা। সালমান শাহর নামে গান, নাটক, সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার আবেদন জানান তিনি।

এছাড়া ‘বুকের মধ্যে আগুন’ নামে ওয়েব সিরিজ নির্মাতা, কলাকুশলী ও অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে অচিরেই ফরমান জারির কথাও জানান নীলা চৌধুরী।

এরপর সালমানের মামা আলমগীর কুমকুম ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট জজ কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মইনুল ইসলামের মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিস পাঠান হইচইকে।

সেখানেও বিচারাধীন মামলার বিষয় নিয়ে ওয়েব সিরিজ নির্মাণে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিরিজটি প্রচার বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

এদিকে ঘটনার মিল থাকলেও এই সিরিজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন শিল্পী ও কলাকুশলী গ্লিটজকে বলেছেন, সিরিজের কোথাও নায়ক সালমান শাহর নাম উল্লেখই করা হয়নি।

আচ্ছা! এত এত নিষেধাজ্ঞা কেনো?

★কারা এবং কতবড় শক্ত হাত ছিলো সালমান হত্যাকান্ডের পেছনে?

পুরো রিপোর্টটি পড়ার আগে জেনে নিন, উক্ত সিরিজটি কোথায় পাবেন? Google বা Chrome Browser এ গিয়ে লিখুন Moviepagol. Com তারপর সেই সাইট ভিজিট করে উক্ত সিরিজ এর নাম লিখে সার্চ করুন, আপনার কাংখিত কন্টেন্টটি পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ। আচ্ছা যাই হোক, এখন বাকি ঘটনায় আসা যাক।

ময়না তদন্ত রিপোর্টে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট এখনও খোলেনি; যদিও একের পর এক সংস্থা তদন্ত করে গেছে ২৬ বছর ধরে। আর পরিবার বরাবরই বলে আসছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন এই চিত্রনায়ক।

তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে পারিবারিক কলহ আর স্ত্রী সামিরা হকের কারণে মা নিলুফা চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরীকে ছেড়ে থাকার মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেই অভিমানী সালমান শাহ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে মারা যান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে সে সময় তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে।

ছেলের মৃত্যুর পর প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। কিন্তু পরে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান তিনি।

তখন অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে সিআইডি জানায়, সালমান শাহ ‘আত্মহত্যা’ করেন।

সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত।
দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সেই প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। তাতেও হত্যার অভিযোগ নাকচ করা হয়।

সালমান শাহের বাবার মৃত্যুর পর তার মা নীলা চৌধুরী মামলটি চালিয়ে যান। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে ‘নারাজি’ দেন। তিনি ১১ জনের নাম উল্লেখ করে দাবি করেন, এরা তার ছেলেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

★তবে দিনশেষে এটির আজও কোনো সুরাহা হলো না। কারণ খুজতে গেলে অনেকই পাওয়া যাবে। রাজনীতিবিদগণ,বন্ধু,পরিবার,স্ত্রী, আবার হয়তো তখনকার সময়ের সিনে ইন্ডাস্ট্রির সবাই জড়িত ছিলো।

তবে একটা কথা কি জানেন? অতি আকাঙ্ক্ষা এবং সেটি প্রাপ্তির পর আরো বেশি পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা,ফলাফলস্বরূপ চারিদিকে শত্রুর জন্ম নেওয়া। এবং পরিশেষে সবকিছুই নিঃশেষ। এজন্যে আমাদের উচিৎ, অল্পতেই তূষ্ট থাকা এবং সদা সর্বদা তাহার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা।

ভালো থাকবেন এবং আশেপাশের সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা করবেন।

02/27/2023

হেলো সবাইকে! দয়া করে পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়ুন।

আপনি জানেন কি? বর্তমান সময়ে মুভি সিরিজ দেখা কতটা খরচ বহন করে? বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স,জি৫,হৈচৈ,এমাজন,চরকি,বিঞ্জে,বায়োস্কপ এসব ওটিটি গুলিতে সাবস্ক্রিপশন চার্জ প্রতি মাসে কতটাকা করে দিতে হয়? আপনার কোনো ধারণা আছে? আচ্ছা ধারণাটি আমি দিচ্ছি

নেটফ্লিক্সঃ- 1.Netflix এর Mobile প্ল‍্যান
এটি Netflix এর সবচেয়ে সস্তা প্ল‍্যান। এই প্ল‍্যানের সাবস্ক্রিপশনের জন্য ইউজারদের মাসে 199 টাকা করে দাম দিতে হয়। এই প্ল‍্যানটি একটি মাত্র মোবাইল বা ট‍্যাবলেট ডিভাইসে 480 পিক্সেল রেজলিউশনে উপভোগ করা যায়।

2.Netflix এর Basic প্ল‍্যান

নেটফ্লিক্সের এই দ্বিতীয় প্ল‍্যানের জন্য মাসে 499 টাকা খরচ করতে হয়। এই প্ল‍্যানটিও একটি মাত্র ডিভাইসে ব‍্যবহারযোগ‍্য, তবে মোবাইল ও ট‍্যাবলেটের পাশাপাশি এই প্ল‍্যানটি ল‍্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং টিভিতেও উপভোগ করা যায়। এই প্ল‍্যানের ক্ষেত্রেও কন্টেন্টের সর্বোচ্চ রেজলিউশন 480 পিক্সেল।

3.Netflix এর Standard প্ল‍্যান

জনপ্রিয় ওটিটি প্ল‍্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের এই প্ল‍্যানটির সাবস্ক্রিপশনের জন্য জন্য প্রতি মাসে 649 টাকা করে দিতে হয়। এই প্ল‍্যানটি যে কোনো দুটি ডিভাইসে একসঙ্গে ব‍্যবহার করা যায়। জানিয়ে রাখি এই প্ল‍্যানের কন্টেন্ট সর্বোচ্চ 1080 পিক্সেল অর্থাৎ ফুল এইচডি রেজলিউশনে দেখা যায়।

4.Netflix এর Premium প্ল‍্যান

এটি নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে দামি প্ল‍্যান। এই প্ল‍্যানটি উপভোগের জন্য প্রতি মাসে ইউজারদের থেকে 799 টাকা করে সাবস্ক্রিপশন চার্জ দিতে হয়। এই প্ল‍্যানটি একসঙ্গে মোবাইল ফোন, ট‍্যাবলেট, ল‍্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং টিভি যে কোনো চারটি ডিভাইসে উপভোগ করা যায়। এই প্ল‍্যানটি সাবস্ক্রাইব করলে ইউজার‍রা সমস্ত শো এবং মুভি 4K+HDR রেজলিউশনে উপভোগ করতে পারবেন।

এমাজন প্রাইমঃ- পুরানো প্ল্যানের কথা বললে, আপনি ১৭৯ টাকা মাসিক চার্জে Amazon Prime কিনতে পারবেন। একই সময়ে ৪৫৯ টাকায় ব্যবহারকারীরা তিন মাসের জন্য সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান পাবেন। এর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের কাছে ১৪৯৯ টাকার সাবস্ক্রিপশনের বিকল্পও রয়েছে। এতে ব্যবহারকারীরা এক বছরের জন্য অ্যামাজন প্রাইমের সাবস্ক্রিপশন পাবেন।

জি৫ঃ- সাপ্তাহিক প্যাকেজ মূল্য ১২৫টাকা
মাসিক প্যাকেজ মূল্য ৩৫০টাকা।
বাৎসরিক প্যাকেজ মূল্য ২০০০টাকা।

হৈচৈঃ- সিংগেল স্ক্রিন এর জন্য প্রতিমাসে ৫০০টাকার উপর।
দুই স্ক্রিন প্রতি বছর, ৪০০০টাকা।

আচ্ছা,এখন আমি যদি বলি.. এসব ওটিটির কন্টেন্ট আপনি জাস্ট এক জায়গায় পাবেন। তাও এর থেকে অনেক অনেক কম খরচে!

আমাদের প্যাকেজ এর সুবিধাসমূহঃ-

১. একটি আনলিমিটেড শেয়ারড ড্রাইভ পাচ্ছেন, আনলিমটিটেড,বুঝতে পারছেন? যতখুশি তত সংখ্যক,যত খুশি তত রেজুলেশনের ফাইল রাখতে পারবেন।

২.আপনি যেকোনো মুভি/সিরিজ রিকুয়েষ্ট করবেন,আর তার কিছুক্ষণের মধ্যে সেটা আপনার ড্রাইভ এ দিয়ে দেওয়া হবে। এখন আপনি সেটা ডাউনলোড করেও দেখতে পারেন,অথবা অনলাইনে স্ট্রিম করেও।

৩.উপরোক্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির সব কন্টেন্ট পাবেন,আমাদের প্যাকেজ এ। তাও আবার শুধুমাত্র একটি সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমে।

বিঃদ্রঃ- আমার মনে হয়না.. অন্য কেউ এর থেকে ভালো সুবিধা দিতে পারবে। মাত্র ১০০ টাকার প্যাকেজ এ আনলিমিটেড ড্রাইভ,এবং পছন্দের সব মুভি সিরিজ। আচ্ছা যাই হোক, যারা এই প্যাকেজটি নিতে চান, শুধুমাত্র তারাই এই গ্রুপে জয়েন হোন। অথবা ডিরেক্ট আমাকে ইনবক্স করুন।

https://t.me/+bDYwpf70e5RjMDk1

Avatar: The Way of Water  (Review) বহুল প্রতীক্ষিত হলিউড সিনেমা 'অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার " যার জন্য সবাই অপেক্ষা ...
12/27/2022

Avatar: The Way of Water (Review)

বহুল প্রতীক্ষিত হলিউড সিনেমা 'অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার " যার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিল, অতঃপর ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার অসংখ্য সিঙ্গল স্ক্রিন আর মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে।

২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া অবতার ছবিটি দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ভালবাসা পেয়েছিল। যার দ্বরূন ১৩ বছর পর 'অ্যাভেটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার' ছবির দ্বিতীয় অংশ নিয়ে সবার মধ্যেই যথেষ্ট কৌতুহল ছিল।

উক্ত সিনেমায় পাঁচটি উপাদানের আভাস দিয়েছেন পরিচালক।

'অবতার'-এ জেমস ক্যামেরন ২১৫৪ সালে প্যান্ডোরার কাল্পনিক জগতের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়েছেন। যেখানে নীল রঙের মানুষের জনবসতি, তাঁদের সমাজ-সভ্যতা দেখানো হয়েছে। পরিচালক যার নাম রেখেছেন নাভি।

এরা দেখতে মানুষের মতো হলেও, এরা মানুষ নয়। একই সঙ্গে সিনেমার দ্বিতীয় পর্বে পানির নিচের অজানা এক স্বপ্নের জগৎ দেখিয়েছেন পরিচালক। 'অবতার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার'-এ দেখানো হয়েছে কীভাবে নাভিরা জলে বাস করে আর গভীর জলের প্রাণীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, মিলেমিশে এক বৃহৎ সংসার গড়ে তুলেছে।

প্লটঃ-পরিচালক উক্ত পর্বে, সুলির পরিবার ও প্যান্ডোরা গ্রহে তাদের জীবনযাপনের পরবর্তী অধ্যায় তুলে ধরেছেন। কিন্তু এই পর্বে আকাশবাসীরা সুলির পরিবারকে আবার খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করেছে। এখন সুলির পরিবারে তার ৪ সন্তান রয়েছে, দুই ছেলে আর দুই মেয়ে। কিন্তু এখন পুরনো শত্রুরা ফিরে এসেছে এবং আকাশবাসীরা তাদের আক্রমণ করেছে। এই অবস্থায়, তার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য, সুলি এবং তার পরিবার তাদের নির্দিষ্ট এলাকা ছেড়ে উপকূলীয় এলাকার অন্য গ্রামে চলে যায় এবং সেখান থেকে তাদের জলযাত্রা শুরু হয়।

গল্পে যদিও আহামরি তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি।
তবে এটার Ex*****on? Just Wow.
স্ক্রীনপ্লে আর ভিজুয়ালাইজিশন দেখতে দেখতেই ৩ঘন্টা চলে যাবে। মানে বুঝতেই পারবেন না, আসলেই কি এতক্ষণ সময় যাবত পর্দার সামনে বসেছিলেন?

★ছবির প্রতিটি দৃশ্য দেখে আপনি সেই গ্রহের সৌন্দর্যে, সেই অজানা জগতে হারিয়ে যাবেন। কোথাও কিছুই কাল্পনিক বলে মনে হবে না। ভিএফএক্স-এর দুর্দান্ত কাজে 'অ্যাভাটার ২' আবার একটি স্বপ্নময় অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করতে চলেছে। ছবির অ্যাকশন দৃশ্যগুলো অসাধারণ। জলের নিচের লড়াই হোক বা হাওয়ায় উড়ে যাওয়া পাখির সঙ্গে নৌকার লড়াই— প্রতিটি দৃশ্যই দর্শকের মন জয় করে নেবে।

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক 'অবতার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার' ছবিটির ভিএফএক্স-এর কাজে মুগ্ধ, বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। যাঁরা কয়দিন পর দেখবেন বলে ভাবছেন, Don't Be Late Dude! এখনি যান।
সম্পূর্ণ একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চলেছেন।


এই জগতটি পঞ্চতত্ত্বের একটি উপাদানের উপর ভিত্তি করে দেখানো হয়েছে। এটা কতটুকু সত্য? জানিনা 🤷‍♂️ তবে অনেকেই বলে থাকেন এটি নাকি ভারতীয় পৌরাণিক গ্রন্থে পানিতে বসবাসকারী বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি (ক্যামেরুন) নাকি অবতার ছবিটি ভারতীয় প্রাচীন দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করেছিলেন। বলিউড অভিনেতা গোবিন্দাও বছর খানেক আগে একটা সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তাঁর মুখে অবতার শব্দটা শুনেই এই ছবির নাম রাখেন ক্যামেরন।😄 আচ্ছা যাই হোক। তারপর আসি... ও হ্যা

Avatar The Way Of Water এর PreHdRip পাচ্ছেন এখন "Moviepagol. Com) এ তো ভিজিট করুন আর দেখে নিন,সময়ের আলোচিত সিনেমা (Avatar 2)

★আপনি জানেন কি? এটি ৩৮০০টিরও বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে, ইতোমধ্যে যা এটিকে হলিউডের সবচেয়ে বড় রিলিজ এর তকমা দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ছবিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কৌতুহল ও উৎসাহ তৈরি হয়েছে দর্শকমনে।
তবে ছবিটি কিন্তু ৩ ঘণ্টা ১৩ মিনিটের। এতক্ষণ হলে দর্শকদের বসিয়ে রাখাটা বেশ বড় চ্যালেঞ্জ এর। তবে পুরো সিনেমা দেখার পরও কেনো যেনো মনে হচ্ছিলো.. আরো কিছুক্ষণ পর্দার সামনে থেকে যাই, দেখি আরো কিছু আছে কি না? 😑 জেমস ক্যামেরনের কাল্পনিক জগৎ মানুষের মনে এতোটাই ছাপ রেখেছে যা যতোই দেখি যেনো মন ভরছে না।

ডার্ক সিরিজ জুড়ে ছিলো রহস্যের ছড়াছড়ি। তা মেলাতে গিয়ে অনেক অডিয়েন্সেরই মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। কে কারা, সম্পর্কের মারপ্যা...
11/20/2022

ডার্ক সিরিজ জুড়ে ছিলো রহস্যের ছড়াছড়ি। তা মেলাতে গিয়ে অনেক অডিয়েন্সেরই মাথাব্যথা শুরু হয়ে যায়। কে কারা, সম্পর্কের মারপ্যাঁচ, সময়ের মারপ্যাঁচ সব মিলাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় খুব।

সেই মেকাররা আবার আরেকটি সিরিজ নিয়ে আসলো ১৮৯৯. জার্মান সিরিজ ১৮৯৯ এর টিজার রিলিজ এর পর পরই অনেক হাইপ ক্রিয়েট হয়েছিলো। তার কারণ এটা বারমুডা ট্রায়েংগেল এর সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু তবুও অনেকেরই হয়তো একটা ভাবনা, ডার্কের মতো এমন প্যাঁচানো সিরিজ আর হবে?
উত্তরটা হলো হ্যা অবশ্যই। যেহেতু পরিচালক Baran Bo Odar রয়েছেন এই সিরিজ নির্মানে,সেহেতু Christopher Nolan এর মতো একটু মারপ্যাঁচ তো থাকবেই।

টিজার থেকেই বোঝা গিয়েছিলো জার্মানি এই সিরিজের মেকিং ও দারুণ হবে। বিশেষ করে আগের মতোই ক্যামেরা ওয়ার্ক আর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর পাবে অডিয়েন্স। এখন আসুন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।

কালের কন্ঠ, প্রথম আলো, যুগান্তর এসব পত্রিকার ম্যাগাজিন সংগ্রহ এবং টুকটাক নানান ম্যাগাজিন পড়ার অভিজ্ঞতা আমাদের যাদের আছে, আমরা ছোটবেলা থেকেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে অবগত।

সেই সাথে সেবা প্রকাশনীর সাথে সখ্যতা থাকলে তো কোনো কথাই নেই! রীতিমতো দারুণ রোমাঞ্চকর গল্প ও হয়ে যায় রকিব হাসানের কিশোর থ্রিলার "অপারেশন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল" , শামসুদ্দিন নওয়াবের "বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল" এর মাধ্যমে। যাই হোক, আজকে যারা জানেন না তারা এই সিরিজের জন্য হলেও সংক্ষেপে জেনে নিতে পারেন।

তার আগে বলে দেই যে... এটা কোথা থেকে দেখবেন? গুগল বা ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে টাইপ করুন Movieszonebd. Com
তারপর সেই সাইটে ভিজিট করে ডাউনলোড করে নিন। নয়তো ইনবক্সে নক দিতে পারেন।

★বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল হলো আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশে ত্রিভুজাকৃতির একটি বিশেষ অঞ্চল। এর এক কোণে বারমুডা দ্বীপ আর অন্য দুই প্রান্তে মায়ামি বিচ ও পুয়ের্তে রিকোর সান জুয়ান।

সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর পাঁচটি টিভিএম অ্যাভেঞ্জার উড়োজাহাজ এবং একটি উদ্ধারকারী উড়োজাহাজ রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়। সেই থেকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্য কথাটার চল। এরপরও বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ সেখানে নিখোঁজ হয়েছে।

গত ১০০ বছরের ইতিহাসে এখানে প্রায় ৭৫টি বিমান হারিয়ে গিয়েছে এবং বিমানে থাকা ১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিঁখোজ। কয়েক দশক ধরে এক অজানা রহস্যময় স্থান হিসেবে শীর্ষ স্থানে ছিল বিশ্বের এই বিতর্কিত অঞ্চল বারমুডা ট্রায়েঙ্গেল। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় স্থান।

বলা হয় যে সমুদ্রের এই রহস্যময় অঞ্চলের উপর দিয়ে যা কিছু যায় তা একটি অদৃশ্য শক্তি টেনে নিয়ে যায়। গত ১০০ বছরের ইতিহাসে এখানে প্রায় ৭৫টি বিমান হারিয়ে গিয়েছে এবং বিমানে থাকা ১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিঁখোজ। কয়েক দশক ধরে এক অজানা রহস্যময় স্থান হিসেবে শীর্ষ ছিল বিশ্বের এই বিতর্কিত অঞ্চল বারমুডা ট্রায়েঙ্গেল।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল ঘিরে নানান লোক কথা প্রচার হতে হতে রহস্যময় এই স্থান ধীরে ধীরে 'ডেভিলস ট্রায়াঙ্গেল' নামেও পরিচিতি পেয়েছে। বিশ্বের এটি এমন এক স্থান- যাকে ঘিরে মানুষের মনে এক মারাত্মক কৌতুহলের তৈরি হয়েছে।

মূলত লেখকদের কারনেই বারবার বারমুডা রহস্য ছড়াতে থাকে। একদিকে দূর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ে ব্যর্থ, অপরদিকে লেখকদের নানান লেখা। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের বিষয়ে বিভিন্ন লেখক রেফারেন্স হিসেবে সর্বপ্রথম ক্রিস্টোফার কলম্বাসের কথা উল্লেখ করেছেন।

কলম্বাস লিখেছিলেন যে তাঁর জাহাজের নবিকেরা এ অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি, আকাশে ধোঁয়া দেখেছেন। এছাড়া তিনি এখানে কম্পাসের উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশনার কথাও বর্ণনা করেছেন।

এখন আসুন এবারে দেখা যাক কখন থেকে মূলত এ রহস্যের পুরো পৃথিবীর গোচরে আসে।

ফ্লাইট ১৯, ৫টি টিভিএম আভেঞ্জার টর্পেডো বোমারু বিমানের একটি, যেটি প্রশিক্ষণ চলাকালে ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়।

বিমানবাহিনীর ফ্লাইট পরিকল্পনা ছিল ফোর্ট লডারদেল থেকে ১৪৫ মাইল পূর্বে এবং ৭৩ মাইল উত্তরে গিয়ে, ১৪০ মাইল ফিরে এসে প্রশিক্ষণ শেষ করা। বিমানটি আর ফিরে আসেনি। নেভি তদন্তকারীরা নেভিগেশন ভুলের কারণে বিমানের জ্বালানীশূন্যতাকে বিমান নিখোঁজের কারণ বলে চিহ্নিত করে।

বিমানটি অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য পাঠানো বিমানের মধ্যে একটি বিমান পিবিএম ম্যারিনার ১৩ জন ক্রুসহ নিখোঁজ হয়। ফ্লোরিডা উপকূল থাকা একটি ট্যাঙ্কার একটি বিস্ফোরণ দেখার রিপোর্ট করে ব্যাপক তেল দেখার কথা বলে কিন্তু উদ্ধার অভিযানে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা শেষে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠে। সূত্র মতে, সমসাময়িক কালে বাষ্প লিকের কারণে পুরো জ্বালানী ভর্তি অবস্থায় বিস্ফোরণ ঘটার ইতিহাস ছিল।

এ রহস্যের শেষ না হতেই USS Cyclops, Douglas DC-3 রহস্য এসে জুটে। ব্যাস! আর পায় কে? এমনকি এলিয়েনের আস্তানার খেতাব ও জুটে যায়।

নানান রংবেরং থিওরি এসে জুটে। হারানো শহর আটলান্টিসের গল্প এসে জুড়ে যায়। যদিও এখন এই রহস্য নিয়ে অনেক গুছিয়ে পয়েন্ট তৈরি হচ্ছে। দাবী করা হয় এ রহস্যের সমাধান হয়ে গেছে।

এবারে রহস্য তো জানলেন। কিন্তু যেখানে এ রহস্য গোচরে আসে ১৯৪৫ সালে সেখানে এ সিরিজের সময়কাল ১৮৯৯!

এবারে আসি কলম্বাসে। যেখানে কলম্বাসের জীবনাবসান ১৫০৬ সালে সেখানে এ সিরিজের সময়কাল ১৮৯৯!

তাহলে?...

রহস্য!

রহস্যে ঘেরা ১৮৯৯ এর প্রতিটা চরিত্র, স্টোরি টেলিং,ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক,সিনেমাটোগ্রাফি, এসবই ছিলো আউট অব দা বক্স👍

Address

Washington Mall
Washington D.C., DC
20004

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Cine View posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Cine View:

Videos

Share

Nearby media companies