RUBEL

RUBEL হেসে গুনাহ করলে কেঁদে কেঁদে জাহান্নামে যাবে,কেঁদে কেঁদে ইবাদত করলে হেসে হেসে জান্নাতে যাবে ইনশাআল্লাহ

নারীর জন্য অপর নারী বা মাহরাম পুরুষের সামনে যা কিছু খোলা রাখা জায়েয➤ প্রশ্ন: (34745)বর্তমান যামানায় অনেক নারী পুরুষ মানু...
04/02/2024

নারীর জন্য অপর নারী বা মাহরাম পুরুষের সামনে যা কিছু খোলা রাখা জায়েয

➤ প্রশ্ন: (34745)

বর্তমান যামানায় অনেক নারী পুরুষ মানুষ না থাকলে মহিলাদের সামনে এত সংকীর্ণ পোশাক পরে থাকেন যে তাদের পিঠ ও পেটের বড় একটা অংশ খোলা থাকে। আবার অনেকে ঘরে সন্তানদের সামনে একই ধরনের শর্ট পোশাক পরে থাকেন - এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কি?

➤ উত্তর:

ফতোয়া ও গবেষণা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন:

সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। আমাদের নবী মুহাম্মদের প্রতি, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবীগণের প্রতি আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।

ইসলামের প্রথম যুগের নারীগণ আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান এবং কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণের বরকতে পুতঃপবিত্রতা, লজ্জাশীলতা ও শালীনতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছিলেন। সে সময়ে নারীগণ পরিপূর্ণ শরীর আচ্ছাদনকারী পোশাক পরতেন। নারীদের সামনে অথবা মোহরেম পুরুষের মধ্যে অবস্থানকালে তারা খোলামেলা চলতেন বা অনাবৃত থাকতেন বলে জানা যায় না। শতাব্দীর পর শতাব্দী, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, এমনকি নিকট অতীত পর্যন্ত মুসলিম নারীসমাজ এভাবেই চলে এসেছেন। এরপর নানা কারণে অনেক নারীর মধ্যে পোশাক ও চরিত্রের অবক্ষয় শুরু হয়েছে। সে বিষয়ে বিশদ আলোচনার স্থান এটি নয়।

নারীর প্রতি নারীর দৃষ্টি ও মেয়েদের উপর আবশ্যকীয় পোশাকের ব্যাপারে প্রচুর ফতোয়া আসার পরিপ্রেক্ষিতে ফতোয়া কমিটি মুসলিম নারীকুলকে এই মর্মে অবহিত করছে যে, লজ্জার ভূষণে নিজেকে অলংকৃত করা নারীর উপর ফরজ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লজ্জাকে ঈমানের শাখা আখ্যায়িত করেছেন। শরিয়তের বিধান ও সামাজিক প্রথাগত লজ্জা হচ্ছে- নারী নিজেকে ঢেকে রাখবে, শালীনতা বজায় রেখে চলবে এবং এমন চরিত্র লালন করবে যা তাকে ফেতনা ও সন্দেহ-সংশয়ের উৎস থেকে দূরে রাখবে। কুরআনের সুস্পষ্ট দলিল প্রমাণ করে- কোন নারী অপর নারীর সামনে তার দেহের ততটুকু অংশ খোলা রাখতে পারবে যতটুকু মোহরেমদের সামনে খোলা রাখা জায়েয। অর্থাৎ সাধারণতঃ বাড়িঘরে থাকাকালে ও গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে যতটুকু উন্মুক্ত হয়ে পড়ে ততটুকু। যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত বাঁদি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।”[সূরা নূর, আয়াত: ৩১]

এই হলো কুরআনের সুস্পষ্ট দলিল। সুন্নাহও এটাই প্রমাণ করে। এর উপরেই রাসূলের স্ত্রীগণ, সাহাবায়ে কেরামের স্ত্রীগণ ও তাঁদেরকে সঠিকভাবে অনুসরণকারী মুমিন নারীগণ আজ পর্যন্ত চলে আসছেন। আয়াতে যাদের সম্মুখে সৌন্দর্য প্রকাশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে- সাধারণতঃ ঘরে থাকাকালে, গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে যা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে এবং যা ঢেকে রাখা কঠিন। যেমন- মাথা, হস্তদ্বয়, ঘাড় ইত্যাদি। এর চেয়ে বেশি কিছু উন্মুক্ত রাখার পক্ষে কুরআন-সুন্নাহর কোন দলিল নেই। বরং এর চেয়ে বেশি উন্মুক্ত করলে নারীর প্রতি নারী আসক্ত হওয়ার দুয়ার খুলে যাবে; বাস্তবে এ ধরনের আসক্তির অস্তিত্ব রয়েছে এবং এ ধরনের আচরণ অন্য নারীদের জন্য খারাপ উদাহরণ তৈরী করবে। উপরন্তু এটি অমুসলিম নারী, বেহায়া ও বেশ্যাদের পোশাক অনুকরণের নামান্তর। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে অনুসরণ করে সে তাদের দলভুক্ত।”[ইমাম আহমাদ, আবু দাউদ] সহিহ মুসলিমে (২০৭৭) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার গায়ে কুসুমের রঙে (লাল রং) রঞ্জিত দুটি কাপড় দেখে বললেন: এগুলো কাফেরদের পোশাক। তুমি এগুলো পরবে না।”

সহিহ মুসলিমে (২১২৮) আরো এসেছে- দুই শ্রেণীর জাহান্নামীকে আমি দেখি নাই। এক শ্রেণীর মানুষ তাদের কাছে গুরুর লেজের মত চাবুক থাকবে যা দিয়ে তারা মানুষকে প্রহার করবে। আর এমন নারী যারা পোশাক পরা সত্ত্বেও উলঙ্গ, নিজে নষ্টা, অন্যকেও নষ্টকারিনী। তাদের মাথা উটের বাঁকা কুঁজের মত। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। যদিও জান্নাতের ঘ্রাণ এত এত দূর থেকে পাওয়া যাবে।” হাদিসে ‘এমন নারী যারা পোশাক পরা সত্ত্বেও উলঙ্গ’ এ কথার অর্থ হচ্ছে- কোন নারী এমন কোন পোশাক পরা যে পোশাক দেহকে আচ্ছাদিত করে না। তাই সে যদিও পোশাক পরেছে কিন্তু বাস্তবে সে উলঙ্গই থেকে গেছে। যেমন- এমন স্বচ্ছ পোশাক পরা যাতে তার চামড়া পর্যন্ত দেখা যায়। অথবা এমন পোশাক পরা যা তার শরীরের ভাঁজগুলো পর্যন্ত ফুটিয়ে তোলে। অথবা এত শর্ট-পোশাক পরা যা তার শরীরের সবটুকু অংশ আবৃত করে না।

তাই মুসলিম নারীর কর্তব্য হলো- মুমিনদের মাতৃবর্গ, সাহাবায়ে কেরামের স্ত্রীগণ ও তাঁদেরকে সঠিকভাবে অনুসরণকারী নারীগণের আদর্শকে আঁকড়ে ধরা। পর্দা ও শালীনতা রক্ষার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। এটি তাদেরকে ফেতনা থেকে দূরে রাখবে, মনের মধ্যে খারাপ কামনার উদ্রেক থেকে হেফাযত করবে।

অনুরূপভাবে মুমিন নারীদের উপর ফরজ হচ্ছে- আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যেসব পোশাক হারাম করেছেন, যেগুলো অমুসলিম নারীদের পোশাক বা চরিত্রহীন নারীদের পোশাকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ সেগুলো পরিহার করা। আল্লাহর আনুগত্য, তাঁর নিকট থেকে সওয়াব পাওয়ার আশা এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে এসব পোশাক বর্জন করতে হবে।

এছাড়া প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ তার অধীনস্থ নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করা। অধীনস্থ নারীদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক নিষিদ্ধ, অশ্লীল, সংকীর্ণ ও উত্তেজক পোশাক পরার সুযোগ না দেয়া। তার জেনে রাখা উচিত, কেয়ামতের দিন প্রত্যেক কর্তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।

আমরা আল্লাহর কাছে দুআ করছি তিনি যেন মুসলমানদের অবস্থা সংশোধন করে দেন। তাদের সকলকে যেন সঠিক পথে পরিচালিত করেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, নিকটবর্তী ও দুআকবুলকারী। আমাদের নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের উপর আল্লাহ রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। সমাপ্ত।

ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়া সংকলন (১৭/২৯০)

ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়া সংকলনে (১৭/২৯৭) এসেছে-

সন্তানদের সামনে ততটুকু খোলা যাবে প্রথাগতভাবে যা খোলা রাখা হয়। যেমন- চেহারা, দুই হাতের কব্জি, দুই বাহু, দুই পা ইত্যাদি। সমাপ্ত।

আল্লাহই ভাল জানেন।
সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

04/02/2024
মুসলিম পুরুষের জন্য অমুসলিম নারী এবং অমুসলিম পুরুষের জন্য মুসলিম নারীকে বিবাহ করার হুকুমপ্রশ্ন: (21380)ইসলামের ব্যাপারে ...
04/02/2024

মুসলিম পুরুষের জন্য অমুসলিম নারী এবং অমুসলিম পুরুষের জন্য মুসলিম নারীকে বিবাহ করার হুকুম

প্রশ্ন: (21380)

ইসলামের ব্যাপারে আমার কিছু সংশয় আছে। আপনি কি সেগুলো আমাকে স্পষ্ট করে দিতে পারবেন? যিনি ইসলাম ধর্মাবলম্বী তার জন্য দ্বীন ইসলামের অনুসারী নয় এমন কাউকে বিবাহ করা কি বৈধ? এমনকি যদি সে বিবাহ করার পরও ইসলাম গ্রহণ না করে?

উত্তর:

মুসলিম পুরুষের জন্য অমুসলিম নারীকে বিবাহ করা হালাল; যদি ঐ অমুসলিম নারী খ্রিষ্টান বা ইহুদী হয়। কিন্তু এই দুই ধর্মের বাহিরে অন্য কোনো ধর্মের অমুসলিম নারীকে বিবাহ করা হালাল নয়। এর পক্ষে দলীল হল আল্লাহর বাণী: “আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ বৈধ করা হল। কিতাবধারীদের খাদ্য তোমাদের জন্য বৈধ এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য বৈধ। স্বাধীনা (কিংবা সতী-সাধ্বী) মুসলিম নারীগণ ও তোমাদের পূর্বের কিতাবধারীদের স্বাধীনা (কিংবা সতী-সাধ্বী) নারীগণও (তোমাদের জন্য বৈধ); যদি তোমরা তাদেরকে মোহরানা দিয়ে বিয়ে কর; অবৈধ যৌনকর্ম কিংবা বান্ধবী গ্রহণের জন্য নয়।” [সূরা মায়েদা: ৫]

ইমাম ত্বাবারী উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন: “তোমাদের পূর্বের কিতাবধারীদের স্বাধীনা নারীগণ” অর্থাৎ যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের স্বাধীনা নারীগণ। তারা হলো ইহুদী ও খ্রিস্টানেরা, যারা তোমাদের পূর্বে প্রেরিত তাওরাত ও ইঞ্জিলে যা আছে সে ধর্ম অনুসরণ করে। আরবদের মধ্যে ও অপরাপর মানুষদের মধ্যে যারা মুহাম্মদের প্রতি ঈমান এনেছো তোমরা এ নারীদেরকেও বিবাহ করতেও পার “যদি তোমরা তাদেরকে মোহরানা দিয়ে বিয়ে কর” অর্থাৎ যদি তোমরা তোমাদের নারীদের মধ্য থেকে কিংবা তাদের নারীদের মধ্য থেকে যাকে বিয়ে করেছ তাকে মোহরানা প্রদান কর।[তাফসিরে ত্বাবারী ৬/১০৪)]

কিন্তু মুসলিম পুরুষের জন্য অগ্নিপূজারী, সাম্যবাদী, পৌত্তলিক নারী কিংবা তাদের অনুরূপ কোনো নারীকে বিবাহ করা হালাল নয়।

এর পক্ষে দলীল হল আল্লাহর বাণী: “তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। ঈমানদার ক্রীতদাসীও মুশরিক নারীর চেয়ে উত্তম; যদি সে নারী তোমাদেরকে অভিভূত করে তবুও ...” [বাকারা: ২২১]

মুশরিক নারী হলো ঐ পৌত্তলিক নারী যে পাথরের পূজা করে, হোক সে আরব কিংবা অনারব।

মুসলিম নারীর জন্য অন্য ধর্মের অমুসলিম পুরুষকে বিবাহ করা হালাল নয়। সেটা ইহুদী-খ্রিষ্টান হোক কিংবা অন্য ধর্মের কাফের হোক। তার জন্য ইহুদী, খ্রিষ্টান, অগ্নিপূজারী, সাম্যবাদী, পৌত্তলিক বা অন্য ধর্মীয় কারো সাথে বিবাহে আবদ্ধ হওয়া হালাল নয়।

এর পক্ষে দলীল হল আল্লাহর বাণী: “আর মুশরিকদের কাছে তোমরা (মেয়েদের) বিয়ে দিও না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। ঈমানদার ক্রীতদাসও মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম; যদি মুশরিক পুরুষ তোমাদেরকে মুগ্ধ করে তবুও। ওরা (মুশরিকরা) জাহান্নামের দিকে ডাকে; আর আল্লাহ তাঁর বিধান দিয়ে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে ডাকেন এবং তাঁর বিধানসমূহ মানুষকে বুঝিয়ে দেন, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।” [বাকারা: ২২১]

ইমাম ত্বাবারী বলেন: আল্লাহর বাণী “আর মুশরিকদের কাছে তোমরা (মেয়েদের) বিয়ে দিও না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। ঈমানদার ক্রীতদাসও মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদি মুশরিক পুরুষ তোমাদেরকে মুগ্ধ করে তবুও।” –এর দ্বারা আল্লাহ বুঝিয়েছেন: আল্লাহ মুমিন নারীদের জন্য মুশরিক পুরুষকে বিবাহ করা হারাম করেছেন। সেই মুশরিক যে ধরনের শির্ক করে থাকুক না কেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরা তাদের কাছে বিয়ে দিও না। কারণ এটা তোমাদের জন্য হারাম। তোমরা তাদেরকে আল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌র রাসূল ও রাসূলের আনীত বিষয়ের প্রতি ঈমানদার দাসের কাছে বিয়ে দেয়া একজন স্বাধীন মুশরিকের কাছে বিয়ে দেয়ার চেয়ে উত্তম; এমনকি সেই মুশরিক যদি অভিজাত, উচ্চ বংশের হয়, তার বংশ মর্যাদা ও কৌলিন্য তোমাদেরকে মুগ্ধ করে তবুও।

কাতাদা ও যুহরী উভয়ে আল্লাহর বাণী: “মুশরিকদের কাছে তোমরা (মেয়েদের) বিয়ে দিও না” এর ব্যাপারে বলেন: আপনার ধর্মের বাহিরে কোনো ইহুদী, খ্রিষ্টান বা মুশরিক পুরুষের কাছে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া আপনার জন্য বৈধ নয়।[তাফসীরুত তাবারী (২/৩৭৯)]

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

05/04/2023

দোয়া নুর

মাদ্রাসার এক ছোট্ট মেয়ে, বয়স সাত/আট বছর। এই বয়সে মেয়েটা দুনিয়ার হিসাব-নিকাশ কতটুকুই বা বুঝবে?এই অবুঝ মেয়েটাকে ক্লাসের এক...
24/03/2023

মাদ্রাসার এক ছোট্ট মেয়ে, বয়স সাত/আট বছর। এই বয়সে মেয়েটা দুনিয়ার হিসাব-নিকাশ কতটুকুই বা বুঝবে?
এই অবুঝ মেয়েটাকে ক্লাসের এক পর্যায়ে শিক্ষক দাঁড় করালো।
বললো,“এই শব্দটা লিখে নিয়ে আসো।”

মেয়েটা লেখা শেষ করে নিয়ে এসেছে। লেখা ঠিকঠাক দেখে আরেকটা শব্দ লেখতে বললো। মেয়েটা বললো, “মুছে আসি”। এই কথা বলে ছুটে গেল নিজের বেঞ্চের দিকে। শব্দটা মুছে, নতুন শব্দ লিখে আবার শিক্ষকের কাছে আসলো। শিক্ষক থেমে গেলেই পারতেন কিন্তু তিনি আবারও বললেন, “এবার এই শব্দটা লেখো”।
মেয়েটা আবারও “মুছে আসি” বলে দৌঁড় দিলো।

শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকের সাথে একজন অভিভাবক দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। বারবার এই “মুছে আসার” বিষয়টা দেখে কৌতুহলী হয়ে বললেন,
“বারবার কী মুছে আসো? সমস্যা কী?”
ছোট্ট মেয়েটা বললো, “আমার খাতা শেষ।”
তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে খাতা কিনতে পারো না?”

প্রশ্নের জবাবটা এমন ছিলো যেন ছোট্ট একটা ফুলের থেকে এক ভারী বস্তু তাদের হৃদয়ের দিকে সজোরে ছুটে এসে আঘাত করেছে!
মেয়েটা বললো, “বাবাও নাই, খাতাও নাই।”
এই কথা বলে ফ্যালফ্যাল করে কেঁদে দিলো।
তাকে সান্ত্বনা দেয়ার মতো যারা ছিলো তারা তো যেন আগেই পাথর হয়ে গেছে! হুজুর নিজেই তো কান্না ধরে রাখতে পারলেন না!

কাহিনীটা শুনে মনে হচ্ছিলো মেয়েটার চোখের পানি যেন উমরকে (রা.) খুঁজে বেড়ায়! বিশ টাকার একটা খাতা কেনার সাধ্য নেই এমন পরিবার এই বাংলার জমিনে আছে সেটা কি জানতাম আমরা? উমর (রা.) থাকলে তো তাকে ঠিকই খুঁজে বের করে নিতেন! অন্ধকার রাতে অলিতে-গলিতে ঘুরে বেড়ানো উমর (রা.) হয়তো এই চাঁদের টুকরাটাকে কখনো অভাব বুঝতে দিতেন না...

© মেরাজ হোসেন

17/03/2023

পারলর এই নিয়মে খাবার গ্রহন করুন....

দ্বীনের বার্তা♦১১মুস‌লিম মে‌য়ে‌রা কেন সবার সা‌থে কথা ব‌লবে না?মিস‌রের প্রখ‌্যাত গ‌বেষক আ‌লিম শাইখ শা'রাবী রহ. একবার ইং‌ল...
10/03/2023

দ্বীনের বার্তা♦১১
মুস‌লিম মে‌য়ে‌রা কেন সবার সা‌থে কথা ব‌লবে না?

মিস‌রের প্রখ‌্যাত গ‌বেষক আ‌লিম শাইখ শা'রাবী রহ. একবার ইং‌ল‌্যাণ্ড সফ‌রে গে‌লে জ‌নৈক ইং‌রেজ তা‌কে প্রশ্ন করে - আপনা‌দের মে‌য়েরা কেন সব ধর‌ণের পুরুষ‌কে সালাম দেয় না এবং সবার সা‌থে মুসাফাহা ক‌রে না?

তি‌নি বড় বিস্ময়কর জবাব দি‌লেন। বল‌লেন : তোমা‌দের ইংল‌্যা‌ণ্ডে সবাই কি রানী‌কে সালাম তথা অভিবাধন জানা‌তে পা‌রে? রানী কি সবার সা‌থে হ‌্যাণ্ড‌শেক করে?

সে বলল, না, রানী সবাই‌কে সাক্ষাত দেয় না। সবার সা‌থে হ‌্যাণ্ড‌শেক ক‌রে না! এখা‌নে আইন করা আ‌ছে, ৭ প্রকা‌রের লোক‌দের সা‌থেই ‌কেবল রানী করমর্দন ক‌রবেন!

শাইখ শা'রাবী ব‌লেন : আমা‌দের দ্বীনেও আইন করা আ‌ছে, মে‌য়েরা ১৪ প্রকার পুরু‌ষের সা‌থে পর্দা ছাড়া সাক্ষাত দি‌তে পার‌বে; এর বাই‌রে নয়। তারা হ‌লো বাবা, দাদা, স্বামী, স্বামীর সন্তান, পুত্র, ভাই, চাচা, মামা, ভা‌তিজা, ভা‌গিনা, পৌত্র (ছে‌লের ঘ‌রের নাতী), ‌‌দো‌হিত্র, (মে‌য়ের ঘ‌রের নাত‌ী)।

‌তোমরা যেমন রানীর সম্মানা‌র্থে এমন কর, তেম‌নি আমরাও নারীর সম্মানা‌র্থে এমন ক‌রি। আমা‌দের দ্বীনে মে‌য়েরা হ‌লো রানীর মত। প্রত্যেক রানীর সভাষদ আ‌ছে; যারা তা‌কে অ‌ভিবাধন জানা‌নোর অ‌নুম‌তি লাভ ক‌রে। ১৪ প্রকার পুরুষ হ‌লো নারীর সভাষ‌দের ম‌তো, অব‌শিষ্টরা সবাই হ‌লো সাধারণ পাব‌লি‌কের ম‌তো। এদের সা‌থে মে‌য়েরা বে-আব্রু সাক্ষাত দি‌তে পার‌বে না।

আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি রহম করুন। তাঁ‌কে জাযা‌য়ে খাইর দান করুন।

~উস্তায সাইফুদ্দিন গাজী (হাফি.)।

দ্বীনের বার্তা♦১০প্রশ্ন: (عَقِيْدَةٌ) আক্বীদা কাকে বলে?উত্তর: আক্বীদা (عَقِيْدَةٌ) শব্দটি আরবী। এর মূল হচ্ছে-(عَقْدٌ)।(ع...
10/03/2023

দ্বীনের বার্তা♦১০
প্রশ্ন: (عَقِيْدَةٌ) আক্বীদা কাকে বলে?

উত্তর: আক্বীদা (عَقِيْدَةٌ) শব্দটি আরবী। এর মূল হচ্ছে-(عَقْدٌ)।

(عَقْدٌ) এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- গিট দেওয়া, চুক্তি করা, প্রতিশ্রুতি দেওয়া, কোন বন্ধনকে মজবুত করা।

মূল শব্দ (عَقْدٌ) এর অনুসারে আক্বীদা (عَقِيْدَةٌ) অর্থ- দৃঢ় বিশ্বাস।

আক্বীদা (عَقِيْدَةٌ) এর পারিভাষিক অর্থ- কোন ধর্ম, আদর্শ বা মতবাদকে মনে-প্রাণে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করাকে আক্বীদা বলে। (আল-ইরশাদ ইলা সহীহিল ই’তিক্বাদ-৬, আল-আকীদাতুল ইসলামিয়্যাহ-৮)

প্রশ্ন: আক্বীদার উৎস কি?

উত্তর: আক্বীদার উৎস হলো কুরআন ও ছহীহ হাদীস। (মাজমুউল ফাতওয়া: ২৯-১৩/২৭-আকীদাতুল ইসলামিয়্যাহ-১০)

প্রশ্ন: সহীহ আক্বীদা কাকে বলে?

উত্তর: কুরআন ও সহীহ হাদিসের দলীল ভিত্তিক আক্বীদাই হলো সহীহ আক্বীদা। (আল-ইরশাদ ইলা সহীহিল ই’তিক্বাদ-৬)

প্রশ্ন: (مَنْهَجٌ) মানহাজ কাকে বলে?

উত্তর: মানহাজ অর্থ কর্মপথ, পন্থা, স্পষ্টপথ বা আদর্শ।

একজন মুসলিম যে পথ বা আদর্শ অনুসরণ করে চলে তাকে মানহাজ বলে। (আল-আজবিবাতুল মুফিদাহ-১২৫)

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

لِکُلٍّ جَعَلۡنَا مِنۡکُمۡ شِرۡعَۃً وَّ مِنۡهَاجًا

তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি একটা করে শরীয়ত ও স্পষ্টপথ নির্ধারণ করে দিয়েছি। (সূরা মায়েদা-৪৮)

প্রশ্ন: আক্বীদা ও মানহাজের মাঝে পার্থক্য কি?

মানহাজ হচ্ছে আক্বীদার চেয়ে ব্যাপকার্থবোধক বিষয়।

কোন আদর্শ বা মতবাদকে মনে-প্রাণে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করাকে আক্বীদা বলে আর একজন ব্যক্তি যে পথ বা আদর্শ অনুসরণ করে চলে তাকে মানহাজ বলে।

মানহাজ আকীদার ক্ষেত্রে যেমনি রয়েছে তেমনি আবার চাল-চলন,আদব-আখলাক,লেনদেন ইত্যাদি মুসলিম জীবনের প্রতিটি দিক নিয়েই মানহাজ রয়েছে।(আল-আজবিবাতুল মুফিদাহ-১২৫)

আকিদা বুঝতে না পারা ও মানহাযে ভুল করার কারণে নানা রকম দলমত ও মাযহাব তৈরি হয়েছে । মানুষেরা আল্লাহর পথ ভুলে গিয়ে শয়তানের পথে ধাবিত হয়েছে

অতএব আকিদা ভ্রষ্ট ও মানহায ভ্রষ্ট আলেমদের থেকে বিদ্যা নিলে জান্নাতে যেতে পারবেন না

এক শ্রেণীর আলেম আছে যারা জাহান্নামের দিকে মানুষকে ডাকছে , এরাই তারা

দ্বীনের বার্তা ♦০৯মুহাম্মদ (সা) থেকে আদি পিতা আদম (আ) পর্যন্ত পূর্বপুরুষগণের নামের তালিকাঃ০১. হযরত মুহম্মদ মুস্তাফা (স)০...
11/02/2023

দ্বীনের বার্তা ♦০৯
মুহাম্মদ (সা) থেকে আদি পিতা আদম (আ) পর্যন্ত পূর্বপুরুষগণের নামের তালিকাঃ

০১. হযরত মুহম্মদ মুস্তাফা (স)
০২. তাঁহার পিতা আব্দুল্লাহ
০৩. তাঁহার পিতা আব্দুল মোত্তালিব
০৪. তাঁহার পিতা হাসিম
০৫. তাঁহার পিতা আব্দ মানাফ
০৬. তাঁহার পিতা কুছাই
০৭. তাঁহার পিতা কিলাব
০৮. তাঁহার পিতা মুরাহ
০৯. তাঁহার পিতা কা'ব
১০. তাঁহার পিতা লুই
১১. তাঁহার পিতা গালিব
১২. তাঁহার পিতা ফাহর
১৩. তাঁহার পিতা মালিক
১৪. তাঁহার পিতা আননাদর
১৫. তাঁহার পিতা কিনান
১৬. তাঁহার পিতা খুজাইমা
১৭. তাঁহার পিতা মুদরাইকা
১৮. তাঁহার পিতা ইলাস
১৯. তাঁহার পিতা মুদার
২০. তাঁহার পিতা নিজার
২১. তাঁহার পিতা মা'দ
২২. তাঁহার পিতা আদনান
২৩. তাঁহার পিতা আওয়াদ
২৪. তাঁহার পিতা হুমাইসা
২৫. তাঁহার পিতা সালামান
২৬. তাঁহার পিতা আওয
২৭. তাঁহার পিতা বুয
২৮. তাঁহার পিতা কামওয়াল
২৯. তাঁহার পিতা ওবাই
৩০. তাঁহার পিতা আওয়ান
৩১. তাঁহার পিতা নাসিদ
৩২. তাঁহার পিতা হিযা
৩৩. তাঁহার পিতা বালদাস
৩৪ . তাঁহার পিতা ইয়াদলাফ
৩৫. তাঁহার পিতা তাবিখ
৩৬. তাঁহার পিতা জাহিম
৩৭. তাঁহার পিতা নাহিস
৩৮. তাঁহার পিতা মাখি
৩৯. তাঁহার পিতা আ'য়েফ
৪০. তাঁহার পিতা আবকার
৪১. তাঁহার পিতা উবাইদ
৪২. তাঁহার পিতা আদ দাহা
৪৩. তাঁহার পিতা হামদান
৪৪. তাঁহার পিতা সানবার
৪৫. তাঁহার পিতা ইয়াসরিবি
৪৬. তাঁহার পিতা ইয়াহজিন
৪৭. তাঁহার পিতা ইয়ালহান
৪৮. তাঁহার পিতা ইরাওয়া
৪৯. তাঁহার পিতা আইযি
৫০. তাঁহার পিতা যিশান
৫১. তাঁহার পিতা আইছার
৫২. তাঁহার পিতা আফনাদ
৫৩. তাঁহার পিতা আইহাম
৫৪. তাঁহার পিতা মুকাসির
৫৫. তাঁহার পিতা নাহিস
৫৬. তাঁহার পিতা যারিহ
৫৭. তাঁহার পিতা সামি
৫৮. তাঁহার পিতা মায্যি
৫৯. তাঁহার পিতা ইওয়াদ
৬০. তাঁহার পিতা ইরাম
৬১. তাঁহার পিতা হিদার
৬২. তাঁহার পিতা হযরত ইসমাইল (আ)
৬৩. তাঁহার পিতা হযরত ইবরাহিম (আ)
৬৪. তাঁহার পিতা তারক
৬৫. তাঁহার পিতা নাহুর
৬৬. তাঁহার পিতা সারুয
৬৭. তাঁহার পিতা রা'উ
৬৮. তাঁহার পিতা ফাহিয
৬৯. তাঁহার পিতা আবীর
৭০. তাঁহার পিতা আফরাহশাদ
৭১. তাঁহার পিতা সা'ম
৭২. তাঁহার পিতা হযরত নূহ (আ)
৭৩. তাঁহার পিতা লামিক
৭৪. তাঁহার পিতা মাতু সালিখ
৭৫. তাঁহার পিতা হযরত ঈদ্রীস (আ)
৭৬. তাঁহার পিতা ইয়ারিদ
৭৭. তাঁহার পিতা মালহালিল
৭৮. তাঁহার পিতা কিনান
৭৯. তাঁহার পিতা আনস
৮০. তাঁহার পিতা হযরত শীস (আ)
৮১. তাঁহার পিতা হযরত আদম (আ)
(সংগৃহিত)

Address

কুড়িগ্রাম

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RUBEL posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share