Yavi HATER SADAI is an Online Shop

উত্তরা এবং নিকুঞ্জবাসীদের জন্য হাটের সদাই নিয়ে এসেছে দারুণ সুখবর!! দেশীয় খাঁটি গরুর দুধ পেয়ে যাচ্ছেন এখন আমাদের কাছে। খা...
10/30/2020

উত্তরা এবং নিকুঞ্জবাসীদের জন্য হাটের সদাই নিয়ে এসেছে দারুণ সুখবর!!

দেশীয় খাঁটি গরুর দুধ পেয়ে যাচ্ছেন এখন আমাদের কাছে। খাঁটি গরুর দুধ হোম ডেলিভারি পেতে যোগাযোগ করুন পেইজের ইনবক্সে।

🍁তাল🍁তাল কচি ও পাকা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। তাল যেমন নানাভাবে খাওয়া যায়, তেমনি তালের পুষ্টিগুণও অনেক।🔵 তাল শাঁসের পুষ্টি...
09/03/2020

🍁তাল🍁
তাল কচি ও পাকা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। তাল যেমন নানাভাবে খাওয়া যায়, তেমনি তালের পুষ্টিগুণও অনেক।

🔵 তাল শাঁসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাঃ
পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে-

🔹 খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি
🔹 জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম
🔹 আমিষ .৮ গ্রাম
🔹 চর্বি .১ গ্রাম
🔹 শর্করা ১০.৯ গ্রাম
🔹 খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম
🔹 ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম
🔹 ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম
🔹 আয়রন ১ মিলিগ্রাম
🔹 থায়ামিন .০৪ মিলিগ্রাম
🔹 রিবোফ্লাভিন .০২ মিলিগ্রাম
🔹 নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম
🔹 ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম

তাল কিভাবে খাবেন?
🔹 তালসত্ত্বঃ তালের রস ও চিনি দিয়ে বানানো হয় তালসত্ত্ব।
🔸 তালের জুসঃ তালের রস, দুধ, চিনি দিয়ে জুস বানানো যায়। ডায়াবেটিক ও হৃদরোগীরা চিনি না দিয়ে খেতে পারবেন।
🔹 তালের পিঠাঃ তালের গোলার সঙ্গে ডিম, চালের গুঁড়া, গুড় বা চিনি এবং কখনো নারিকেল দিয়ে তালের পিঠা বানানো হয়।
🔸 তালের কেকঃ কেকের সব উপকরণের সঙ্গে তালের রস মেশানো হয়। তালের কেকের মধ্যে চিনি কম এবং ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে ডায়াবেটিক ও হৃদরোগীদের জন্য ভালো খাবার হতে পারে। কাঁচা তালের রসের বরফিও তৈরি করা হয়। শুধু তালের শাঁস আলাদাভাবেও খাওয়া যায়।

🔵 উপকারিতাঃ
🔹 তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষায়ও তাল ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে।
🔹 তাল ভিটামিন বি-এর আধার। তাই ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল ভূমিকা রাখে।
🔹 তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক।
🔹 কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল ভূমিকা রাখে।

❗ যারা তাল খাবেন নাঃ
👉 যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা ডিমের কুসুম ও দুধ থাকে এমন তালের খাবার খাবেন না।
👉 যাদের ডায়াবেটিস কিংবা কোলেস্টেরল বেশি তারা তালের পিঠা খাবেন না।

🍁কাঁচা কলা🍁কলার মধ্যে পরিচিত একটি নাম কাঁচা কলা। এ কলা আমরা মূলত তরকারি হিসেবেই ব্যবহার করি। কাঁচাকলা ভাজা, ঝোল, শুক্তো,...
09/02/2020

🍁কাঁচা কলা🍁
কলার মধ্যে পরিচিত একটি নাম কাঁচা কলা। এ কলা আমরা মূলত তরকারি হিসেবেই ব্যবহার করি। কাঁচাকলা ভাজা, ঝোল, শুক্তো, ডালনা, কোফতা, বড়া, ভর্তা ইত্যাদি রেধে খেতে খুবই টেস্ট। পাকলে এ কলা এমনিতেই খাওয়া যায়। এটি কাঁচা অবস্থায় গাছ থেকে তোলা হয় তরকারির জন্য। সারাবছরই এ সবজি আমরা পেয়ে থাকি। প্রতি ১০০গ্রাম কাঁচা কলায় রয়েছে-
🔹 প্রোটিন১.৪ গ্রাম
🔹 ক্যালসিয়াম ১০ মিগ্রাম
🔹 কার্বোহাইড্রেট ১৪.০ গ্রাম
🔹 ফসফরাস ২৯ মিগ্রাম
🔹 ভিটামিন ‘এ’ ৩০ আই.ইউ
🔹 লৌহ ৬.২৭ মিগ্রাম
🔹 ফ্যাট ০.২ গ্রাম
🔹 আঁশ ০.৭ গ্রাম
🔹 পটাশিয়াম ১৯৩ মিগ্রাম
🔹 অক্সালিক এসিড ৪৮০মিগ্রাম
🔹 ভিটামিন ‘সি’ ২৪ মিগ্রাম
🔹 রিবোফ্লেবিন .০২ গ্রাম
🔹 থায়ামিন .০৫ মিগ্রাম

🔶 কাঁচা কলার উপকারিতাঃ

🔸 অনেক মানুষ মনে করেন গাছের শেকড়ের রসের সঙ্গে ঘি ও চিনি মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের অসুখ থেকে রক্ষা পাবেন।
🔸 পেটের অসুখে, যাদের আমাশয় ও রক্ত আমাশয় হয় তাদেরকে কাঁচাকলা সিদ্ধ করে টাটকা টক দইয়ের সঙ্গে মেখে খেতে দিতে হবে।
🔸 মেয়েদের প্রদর রোগের ওষুধ হিসেবে একেবারে কচি কলাপাতা মিহি করে বেটে দুধ মিশিয়ে ঘন ক্ষীরের মতো করে খাওয়ালে মেয়েদের প্রদর রোগে উপকার হয়।
🔸 কলা গাছের শুকনো শেকড় গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিত্ত রোগ ভালো হয়ে যায়। রক্তস্বল্পতায় একটি কার্যকরী ওষুধ এই কাঁচাকলা।
🔸 যৌন রোগের ওষুধ হিসেবে কাঁচাকলা শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যৌন ব্যাধি সেরে যায়। প্রস্রাবের অসুখ ও শ্বেতপ্রদর ভাল হয়।
🔸 আমাশয় রোগের ওষুধ হিসেবে একটি কাঁচাকলা খোসাসহ চাক চাক করে কেটে প্রতি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে ঐ পানি পান করলে কঠিন আমাশয় রোগ ভালো হয়ে যায়।
🔸 কাঁচাকলা শরীরের বল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

কাঁচা কলা এমন একটি সব্জী, যা সহজলভ্য ও শরীরের জন্য অনেক বেশী উপকারী। যদিও অনেকে এই সবজীটিকে অবহেলা করে থাকেন, হয়তোবা এর গুনাগুন জানেন না বলেই।

তাই আজ থেকেই আপনার রান্নায় রেগুলার যুক্ত হোক কাঁচা কলা।

🍁কলার মোচা🍁বাংলাদেশের বারমাসী সবজিগুলোর মধ্যে মোচা হলো কলা জাতীয় সবজি। এই কলা গাছ আমাদের দেশের সব অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং এ...
09/02/2020

🍁কলার মোচা🍁
বাংলাদেশের বারমাসী সবজিগুলোর মধ্যে মোচা হলো কলা জাতীয় সবজি। এই কলা গাছ আমাদের দেশের সব অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং এর ফলনও সহজেই হয়। তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় না। একটু থাকার জায়গা পেলেই সে নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারে।

আমরা যারা গ্রামে কিংবা শহরে বসবাস করি সকলেই খুব ভালভাবে কলা গাছের থোড় ও কাঁচা কলা চেনেন। গাছে থাকা কলার কাঁদির একেবারে শেষ প্রান্তে থাকা না ফোটা ফুলে কুঁড়ির নাম হলো ‘মোচা’। মোচার অগ্রভাগ সূঁচালো। মোচা বাইরে থেকে পরপর খোলার দ্বারা ঢাকা থাকে। এ খোলাটি দেখতে গাঢ় লাল। কলার মোচা ও রঙিন সবজিতে পুষ্টি উপাদান বেশি। মোচা সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে একে সারাবছরই বাজারে পাবেন।

🔵 কলার মোচার পুষ্টিগুণঃ
মোচা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও সুস্বাদু। আবার পুষ্টিতেও অতুলনীয়। প্রতি ১০০ গ্রাম মোচায় রয়েছেঃ
🔹 প্রোটিন ১.৭ গ্রাম
🔹 ক্যালসিয়াম ৩২ মিগ্রাম
🔹 কার্বোহাইড্রেট ৫.১ গ্রাম
🔹 ফসফরাস ৪২ মিগ্রাম
🔹 ভিটামিন ‘এ’ ২৭ আই.ইউ
🔹 লৌহ ১.৬ মিগ্রাম
🔹 ফ্যাট ০.৭ গ্রাম
🔹 পটাশিয়াম ১৮৫ মিগ্রাম
🔹 রিবোফ্লেবিন .০২মিগ্রাম
🔹 ভিটামিন ‘সি’ ৪২০ মিগ্রাম
🔹 আঁশ ১.৩ গ্রাম
🔹 থায়ামিন .০৫ মিগ্রাম

🔶 কলার মোচার উপকারিতাঃ
🔸 মোচা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দেহ গঠনের কাজে সাহায্য করে।
🔸 মোচায় লৌহ থাকায় এটি খেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ সহায়তা করে।
🔸 মোচার মধ্যে যেই পরিমাণে আঁশ পাওয়া যায় তাতে সহজে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
🔸 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মোচায় ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় এটি শিশুদের দাঁত ও হাঁড়ের লম্বাটে মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
🔸 প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে মোচা খেলে হাই ব্লাডপ্রেসার কমে।

কলার মোচা আমাদের দেশে সারা বছরই সবজির দোকানে চোখে পড়ে। গ্রামের মানুষ অবহেলা করে কলার মোচা খেতে অপছন্দ করেন দামে সস্তা বলে। অথচ কলার মোচার পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ অনেক বেশি। তাই আজ থেকেই কলার মোচা নিজে খান ও পরিবারের সবাইকে কলার মোচা খেতে উৎসাহিত করুন।

🍁লাল তেঁতুল🍁তেঁতুল খেতে কে না পছন্দ করে? ছোট বড় সবার, তেঁতুল দেখলেই জিভে জল চলে আসে। আচ্ছা, কখনো কি দেখেছেন এমন এক তেঁতু...
08/19/2020

🍁লাল তেঁতুল🍁

তেঁতুল খেতে কে না পছন্দ করে? ছোট বড় সবার, তেঁতুল দেখলেই জিভে জল চলে আসে। আচ্ছা, কখনো কি দেখেছেন এমন এক তেঁতুল যার রং লাল? সত্যিই অবাক করার মতোই লাল রঙা তেঁতুল। আমরা সাধারণত তেঁতুলের ভেতরের অংশ সাদা রঙেরই দেখে থাকি। লাল রঙা তেঁতুলের বাইরের দিকটাও সাধারণ তেঁতুলের মতোই। তবে তা ভাঙলেই লাল টকটকে তেঁতুল। বিষ্ময়কর এই তেঁতুল নিয়ে মানুষের জল্পনা কল্পনারও শেষ নেই। আর তাইতো একদল মানুষ এই সিঁদুর রঙা তেঁতুলের অলৌকিক গুণ রয়েছে বলে ভাবে। তাদের ধারণা, এই তেঁতুল পরম সৌভাগ্যের প্রতীক। মনোবাসনা পূরণে এই তেঁতুল কার্যকরী!

🍁 কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার হিজলাবট গ্রামেই দেখা মিলবে লাল তেঁতুল গাছের। এলাকাবাসীর মতে, গাছটির বয়স ২০০ বছর কিংবা তারও বেশি। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন তেঁতুল গাছ এটি। যার তেতুঁলের রং টকটকে লাল। এই লাল রঙা তেঁতুল গাছটি দেখলেও অবাক হতে হয়!

🍁বটগাছের মতো বিশালাকার এই তেঁতুলগাছ। আকারে প্রায় ২৫ ফুট ব্যাসার্ধ ও লম্বায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট। এই গাছের জন্ম কবে তাও কারো জানা নেই। স্থানীয়দের মতে, সেখানে রয়েছে নীলকুঠি। ধারণা করা হয়, এই গাছটির বয়স নীলকুঠির চেয়েও বেশি। সেখানে তিনটি গাছ রয়েছে। তার মধ্যে একটি গাছের তেঁতুলের রং ভিতরে সাদার বদলে লাল।

🍁 এই লাল তেঁতুল গাছ আমাদের দেশে দুর্লভ। ওই গ্রামের স্থানীয় বয়ষ্করাও ছোটবেলা থেকেই এই গাছগুলোকে একই রকমের দেখে আসছেন। তাদের মতে, এই গাছগুলোর বয়স ২০০ বছর বা তারও বেশি। ঝড়ে ভেঙ্গে গিয়ে বড় গাছটি এখন ছোট হয়ে গিয়েছে আগে আরো বেশি বড় ছিল।

🍁 অবাক করা বিষয় হলো, স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা লাল তেঁতুল গাছকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে। তারা এর পূজা করে। জানা যায়, অনেকেই এই গাছের তেঁতুল মনোবাসনা পূরণ হবার জন্য খায়। রহস্যজনক বিষয় হলেও সত্যিই যে, যদি কেউ এই গাছের ক্ষতি করে তার নাকি বিপদ হয়। তাই এলাকাবাসী এই রক্তলাল তেঁতুল গাছের ডাল কাটতে এমনকি পাত ছিঁড়তেও ভয় পায়। অনিষ্ঠ হয় তাই কেউ এই গাছের ডাল কাটতেও ভয় পায়। আরো অবাক করার বিষয় হলো, এই চারাও অন্য কোথায় ফলে না। কোথা থেকে এই তেঁতুল গাছ এসেছে তা কারো জানা নেই। তবে বাংলাদেশে বোধ হয় এমন লাল রঙা তেঁতুল গাছ একটিও নেই। ভারতে এমনই একটি গাছ রয়েছে। যেটা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাট এলাকায়।

🍁 সেখানকার স্থানীয়দের মতে, ওই লাল তেঁতুল গাছটির বয়স প্রায় ৫০০ বছর। ওই গাছটিকেও অলৌকিক ভাবা হয়। গাছটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে একজন মুসলিম পীরের কাহিনী। সেই পীর নাকি এই লাল রঙা তেঁতুল দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতেন। শুধু তাই নয় কবিরাজ হিসেবে পানি, তেল পড়া দিয়ে তিনি নাকি বহু মানুষের রোগ নিরাময় করেছিলেন।

🍁 সেখানকার আশপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে এই পীরবাবার কথা। শুধু মুসলিম নয়, দূরদূরান্ত থেকে নানা ধর্মের মানুষ আসতে শুরু করেন তার কাছে। পীরবাবার মৃত্যু হলে তেঁতুল গাছের নীচেই তাকে সমাহিত করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এরপর থেকে সেই গাছে লাল তেঁতুলের ফলন শুরু হয়।

🍁 এরপর থেকে সেখানকার নাম দেয়া হয় আজগুবি তলা। লাল তেঁতুল খেতেও নাকি চমৎকার। এর টক-মিষ্টি স্বাদ অন্যান্য তেঁতুলের থেকেও শতগুণ ভালো। এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। ভারতের ওই লাল তেঁতুল গাছ থেকে যদি তেঁতুল মাটিতে পড়ে তবেই নাকি তারা সেটি খায়।

🍁 গাছ থেকে পাড়ার অনুমতি নেই কারো। এই নিয়ম মেনে চলেন এলাকার সবাই। প্রতি শুক্রবার দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা তীর্থযাত্রীরা মনোবাসনা পূরণে কেউ ঢিল বাঁধেন, কেউ গরুর দুধ দিয়ে পুজা দেন। ধারণা করা হয়, নদীয়া থেকে সেই পীরের কোনো মুরীদের মাধ্যমেই খোকসার হিজলাবটের লাল তেঁতুলের আগমন ঘটে।

🍁 এই লাল তেঁতুলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা খুবই ভালো। কারণ খাদ্য ও ওষুধ শিল্পে এই লাল বায়ো কালারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণে ও কনফেকশনারিতেও এই লাল রংটি ফুড কালার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

🍁 বিজ্ঞানীদের দাবি, এর বীজ থেকে তৈরি তেল টেক্সটাইল ও পেইন্ট শিল্পে বেশ কার্যকরী। এই গাছের চাষে বেশি পানিরও প্রয়োজন হয় না। খরাপ্রবণ অঞ্চলেও এই লাল তেঁতুল গাছের ভালো ফলন হয়ে থাকে। এদিকে বিজ্ঞানীরা অবশ্য লাল তেঁতুলের অলৌকিকতা মেনে নেননি।

🍁 ভারতের কৃষি বিজ্ঞানী জয়ন্ত তরফদার জানিয়েছেন, তেঁতুল লাল হওয়ার কারণ এর ভিতরে থাকা বিশেষ লাল রঞ্জক বা পিগমেন্ট। ঠিক যেমনটা বীটরুটের মধ্যে থাকে। তাই এই গাছের তেঁতুল ফল লাল রঙের হয়ে থাকে। তবুও এই বিষয়ে বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

(সংগ্রহীত)

🍁জাফরান/Saffron🍁আমরা সবাই জাফরান সম্পর্কে জানি। কেউ কেউ ব্যবহারও করি। কিন্তু এটি এতোটাই ব্যয়বহুল যে সবার পক্ষে ব্যবহার ...
08/19/2020

🍁জাফরান/Saffron🍁

আমরা সবাই জাফরান সম্পর্কে জানি। কেউ কেউ ব্যবহারও করি। কিন্তু এটি এতোটাই ব্যয়বহুল যে সবার পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু অল্প পরিমাণ জাফরান ব্যবহার করেই এর উপকারিতা পাওয়া যায়।

🔶 জাফরানের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

🔸 জাফরানে রয়েছে বিস্ময়কর রোগ নিরাময় ক্ষমতা। মাত্র ১ চিমটি জাফরান আপনাকে প্রায় ১৫টি শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদপিণ্ডের সমস্যাজনিত রোগ দূর করে।

🔸 হজমে সমস্যা এবং হজম সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে জাফরান।

🔸 জাফরানের পটাশিয়াম আমাদের দেহে নতুন কোষ গঠন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে।

🔸 এর নানা উপাদান আমাদের মস্তিষ্ককে রিলাক্স করতে সহায়তা করে, এতে করে মানসিক চাপ ও বিষন্নতা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

🔸 জাফরানের ক্রোসিন নামক উপাদানটি অতিরিক্ত জ্বরকমাতে সহায়তা করে।

🔸 নিয়মিত জাফরান সেবনে শ্বাস প্রশ্বাসের নানা ধরনের সমস্যা যেমন অ্যাজমা , পারটুসিস, কাশি এবং বসে যাওয়া কফ দূর করতে সহায়তা করে।

🔸 মেয়েদের মাসিকের অস্বস্তিকর ব্যথা এবং মাসিক শুরুর আগের অস্বস্তি দূর করতে জাফরানের জুড়ি নেই।

🔸 জাফরানের রয়েছে অনিদ্রা সমস্যা দূর করার জাদুকরী ক্ষমতা। ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে সামান্য জাফরান মিশিয়ে পান করলে অনিদ্রা সমস্যা দূর হবে।

🔸 সামান্য একটু জাফরান নিয়ে মাড়িতে ম্যাসাজ করলে মাড়ি, দাঁতএবং জিহ্বার নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

🔸 গবেষণায় দেখা যায় জাফরান দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং চোখের ছানি পড়া সমস্যা প্রতিরোধেও কাজ করে।

🔸 জাফরানের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান বাতের ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা এবং দুর্বলতা দূর করতে অব্যর্থ ঔষুধ।

🔸 অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে সামান্য একটুখানি জাফরান।

🔸 জাফরান দেহের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

🔸 মস্তিস্কের গঠন উন্নত করতে জাফরানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তা ক্ষমতা উন্নত করতে এটি খুবই কার্যকরী।

🔸 এটি আলজাইমার এবং পার্কিনসন রোগ থেকে দূরে রেখে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বাঁচায়।

🔸 কিডনি, যকৃৎ এবং মুত্রথলির রোগ থেকে মুক্তি দেয় জাফরান। ক্যান্সার ও টিউমার নিরাময়েও জাফরান খুবই কার্যকরী।

এছাড়াও আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিদিন ১ গ্লাস দুধের সাথে কয়কটি জাফরান মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এতে আমাদের অজানা অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ১ গ্লাস জাফরান মিল্ক আপনার বাচ্চারমস্তিষ্ক সক্রিয় করতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।

🍁আদা🍁আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে একটি হচ্ছে আদা। মহৌষধ নামে খ্যাত এ আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভেষজ গুণ। এই...
08/15/2020

🍁আদা🍁

আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে একটি হচ্ছে আদা। মহৌষধ নামে খ্যাত এ আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভেষজ গুণ। এই ভেষজ গুণের দ্বারা আদা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যরক্ষার সাথে সাথে ত্বকের কাজ করে থাকে।

নিত্য প্রয়োজনীয় এ আদায় রয়েছে-ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক, লবণ, পটাশিয়াম, ভোলাটাইল, অয়েল ইত্যাদি। এটি একটি ভেষজ ওষুধ। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরিতে, আচার, ওষুধ ও সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আদা শুকনো অথবা ভেজা দুভাবেই খাওয়া যায়। কেউ কেউ আদার সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন।

🔵 আদার গুণাগুণঃ
🔹 আদা আপনাকে পেটের অস্বস্তিদায়ক যন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যাতেও আদা বেশ কার্যকর।

🔹 আদা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর হয়।
🔹 আদাতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক যা শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
🔹 হাজার বছর ধরে আদা এশিয়া মহাদেশে ঠান্ডা এবং কফজনিত অসুখ নিরাময়ে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
🔹 আদা খেলে কোলন ক্যান্সার এবং জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
🔹 আদা প্রাকৃতিক পেইন কিলার যা ব্যথানাশকের কাজ করে। বাতজনিত গাঁটে ও মাথাব্যথায় আদা বেশ কার্যকর।
🔹 আদায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগজীবাণু ধ্বংস করে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
🔹 আদা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।
🔹 সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ বোধ করলে আদা খেতে পারেন, এতে সমস্যা আস্তে আস্তে কেটে যাবে।
🔹 ক্ষুধামন্দা ভাব থাকলে খাওয়ার আগে একটু আদা খেয়ে নেন, তা কমে গিয়ে বমিভাবও কমে যাবে।
🔹 নিয়মিত আদা খেলে শরীরের হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।
🔹 আদা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আদার নির্যাস শরীরের কোষে গ্লুকোজের শোষণক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে দীর্ঘমেয়াদে সুগারের স্তর ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে এবং কোষগুলোতে নির্বিগ্নে ইনসুলিনের চলাচল ঠিক রাখে।
🔹 রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর।
🔹 গর্ভধারণের প্রথম দিকে গর্ভবতী মায়ের শরীর সকালবেলা খারাপ লাগতে পারে। এ সময়ে অল্প অল্প কাঁচা আদা খাওয়ার অভ্যাস করলে সুস্থ থাকা যায়।
🔹 আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদার রসে খুব উপকার পাওয়া যায়।

🔹 আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে।

🔹 আদা দেহের ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। আদায় নিহিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট যে কোনো কাটাছেঁড়া বা ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে।
🔹 আদা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে রক্ত পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, রক্তনালী প্রসারিত করে। ফলে শীতকালেও শরীর গরম রাখে।
🔹 আদার রস রক্তশূন্যতা দূর করে।
🔹 আদায় ভিটামিন-ই এবি ও সি থাকার কারণে চুল পড়া রোধ করে। নিয়মিত কাঁচা আদা খাওয়ার অভ্যাস চুলের গোড়াকে মজবুত করে।
🔹 আদা পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে, এটি আবার ত্বকের জন্যও উপকারী।
🔹 নিয়মিত আদা খেলে ত্বকের ব্রণ ওঠা বন্ধ হয় এবং ত্বক পরিষ্কার ও মশ্রিণ রাখে।
🔹 যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা আর লবণ খুবই উপকারী।
🔹 বাতব্যথা একটি নিত্য সমস্যা, বিশেষ করে আমবাত হলে- ১ চামচ আদার রস ও ১০ গ্রাম পুরনো আখের গুঁড় মিশিয়ে প্রতিদিন রোজ সকালে ১ বার করে ১ মাস খেলে সেরে যাবে।
🔹 জটিল আমাশয় হলে আদা শুকিয়ে গুঁড়া করে ১ গ্রাম পরিমাণ ইষৎ উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন দু’বার করে ভালো না হওয়া পর্যন্ত খেতে হবে।
🔹 হিক্কা বা হেঁচকির জন্য এককাপ ছাগলের দুধের সাথে ১ চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে সঙ্গে সঙ্গে ঘন ঘন হেঁচকি সমস্যা কমে যাবে।
🔹 বসন্ত গুটি হলে ১ চামচ আদার রস ও ১ চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে দু’বার খেলেই বসন্তের গুটি বের হয়ে যাবে।
🔹 মাইগ্রেনের ব্যথা, কিডনির জটিলতা দূর করতে আদার ভূমিকা অপরিসীম।
🔹 বমি বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খান।
🔹 অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আদা সাহায্য করে।
🔹 আদা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
🔹 আদা মল পরিষ্কার করে।
🔹 আদার রস শরীরকে শীতল রাখে।
🔹আদা লিভারের শক্তি, কৃমি নিঃসরণ করে, নাক, কান, গলাজনিত রোগের উপশম করে।
🔹 আদা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
🔹 শরীরের পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার ক্ষেত্রে আদা কোষসমূহের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
🔹 আদায় থাকা কিছু উপাদান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
🔹 অনেকে গাড়িতে উঠলে বমি হয় কিংবা বমির ভাব হয়। এ সমস্যা এড়াতে ভ্রমণের আগেই এক টুকরা আদা মুখে ফেলে দিন।
🔹 আদা খেলে মহিলাদের মাসিকের সময় তল পেট ব্যথা ও শারীরিক অস্বস্তি দূর হয়।
🔹আদা কোলন ক্যান্সার রোধে উপকারী।
🔹 প্রতিদিন মাত্র ১ ইঞ্চি পরিমাণের আদা কুচি খাওয়ার অভ্যাস সাইনাসের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
🔹 প্রতিদিন কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করলে সহজে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না। আদার মধ্যে যে অ্যান্টিএইজিং উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা দেহের টক্সিন দূর করে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে।
🔹 আদা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কার্যকরভাবে কমাতে সাহায্য করে।
🔹 ক্লান্ত মাংসপেশি ও শীতে কুচকে যাওয়া ত্বকের চিকিৎসায়, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করার জন্য আদার রসের ভূমিকা অতুলনীয়। গরম পানিতে চার টেবিল চামচ আদাকুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। সেই পানিতে গোসল করলে ক্লান্ত মাংশপেশি, কুচকে যাওয়া ত্বক ও রক্ত সঞ্চালন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
🔹 ডায়রিয়ার ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও আদার বিকল্প নেই।
🔹 বার বার আদার রস খেলে ফুড পয়জনিং ও পেটের সমস্যা খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে।
🔹 অপারেশনের পর কাঁচা আদা খান। দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
🔹 আদা বাটা দিনে তিন থেকে চারবার লাগান শ্বেতি রোগ ভালো হয়ে যাবে। একই নিয়মে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাবেন।

🔶 আদা খাওয়ার কয়েকটি পদ্ধতিঃ

🔸 আদায় সামান্য পানি দিয়ে থেতলে নিন। আদার রস ও আদা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। চা বানানোর জন্যে এই পানি ব্যবহার করুন। 🔸 আদা ছুলে, সামান্য লেবুর রস মেশান। হজমে এই মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।
🔸 সারা দিনে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন। পাউডারড জিঞ্জার আদা চামচ করে দিনে ৩ বার খেতে পারেন। আদা সরু লম্বা করে চিকন করে কেটে নিন। সামান্য লবণ, গোলমরিচ মেশান।
🔸 পানি ফুটিয়ে নিন। এবারে দুধ, মসলা, আদার রস, চা পাতা দিয়ে আরো একবার ফুটিয়ে নিন। কাপে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন। ওপরে সামান্য এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।
🔸 হজমে সাহায্য করার জন্যে আদা দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। জিরে গুঁড়ো, বিট নুন, আদার রস, লেবুর রস, ঠান্ডা জল একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তৈরি আদার সিরাপ। দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই সিরাপ খেতে পারেন।
🔸 ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন। খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন। তাই আসুন, আল্লাহর দেয়া মহৌষধ আদার সুষ্ঠু ব্যবহার করে দৈনন্দিন জীবনে সুস্থতার ধারা অব্যাহত রাখি।

(সংগ্রহীত)

🍁আতা ফল🍁আতা অ্যানোনেসি পরিবারভুক্ত এক ধরনের যৌগিক ফল। এটি শরিফা, শরীফা এবং নোনা নামেও পরিচিত। এই ফলের ভিতরে থাকে ছোট ছোট...
08/13/2020

🍁আতা ফল🍁

আতা অ্যানোনেসি পরিবারভুক্ত এক ধরনের যৌগিক ফল। এটি শরিফা, শরীফা এবং নোনা নামেও পরিচিত। এই ফলের ভিতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। প্রতিটি কোষের ভেতরে থাকে একটি করে বীজ, বীজকে ঘিরে থাকা নরম ও রসালো অংশই খেতে হয়। পাকা ফলের বীজ কালো এবং কাঁচা ফলের বীজ সাদা। আতাফলের আদি নিবাস পূর্ব আমেরিকা। বহু বছর আগে এ ফলটি পূর্ব আমেরিকা থেকে ভারতবর্ষে আসে। এখন পুরো উপমহাদেশে এই ফল দেখা যায়।

খাবারের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে আতা ফলে থাকা ফসফরাস অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এর খাদ্যআঁঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে। তাই যাদের হজমের সমস্যা তারা এই আতা ফল খেলে অনেক উপকার পাবেন।

এছাড়া এতে রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি আছে। আর এই ভিটামিন উপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। সেক্ষেত্রে আতা ফল অনেক সহায়ক। যাদের চোখের সমস্যা তারা আতা ফল খাবেন, এতে আপনার চোখের উপকার হবে।

হাড় মজবুত করতে ভূমিকা রাখে আতা ফল। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। আর শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে সক্ষম এই ফল।

তাই হাড় মজবুত করতে আতা ফল খাওয়া উচিত। অন্যদিকে, আতা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রক্ষা করে।

আতাফলের ঔষধি গুণ:

🔸 আতাগাছের শেকড়ের ছাল আমাশয়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
🔸 আতাফলের শাঁসের রস রক্তের শক্তি বৃদ্ধিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
🔸 অপুষ্টিজনিত সমস্যায় আতাফলের রসের সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
🔸 যে ফোঁড়া পাকেও না আবার বসেও না, এমন ফোঁড়ায় আতার বীজ বা পাতা বেটে সামান্য লবণ মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে পুঁজ বের হয়ে যায়।
🔸 পাতার রস উকুননাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

🍁ডেউয়া🍁ডেউয়া (ইংরেজি : Artocarpus lacucha) ('ঢেউয়া', 'ডেলোমাদার', 'ডেউফল' বা 'ঢেউফল') গ্রামাঞ্চলে এটি অত্যন্ত পরিচিত এ...
08/13/2020

🍁ডেউয়া🍁

ডেউয়া (ইংরেজি : Artocarpus lacucha) ('ঢেউয়া', 'ডেলোমাদার', 'ডেউফল' বা 'ঢেউফল') গ্রামাঞ্চলে এটি অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল হলেও শহরাঞ্চলে এটি একটি অপ্রচলিত ফল।

দিন দিন দেশে অপ্রচলিত ফলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে এসব ফলের পুষ্টি ও ভেষজ গুণের কথা। বিদেশেও এসব ফল রফতানি হচ্ছে।মার্চ মাসে ডেউয়ার প্রায় পাতাহীন ডালপালায় ফুল আসে আর আগস্ট মাসে ফল পাকে।ডেউয়া ফলে কাঁঠালের মতো ছোট ছোট কোষ থাকে। পাকা ফলের কোষের রং হয় লালচে হলুদ বা লালচে কালো। এই ফল পুরোপুরি গোলাকার হয় না। ফলটির গা উঁচু-নিচু হয়। কাঁচা টক টক স্বাদ। কিন্তু পাকলে সেটা তখন অন্য স্বাদ।

🔵 ডেউয়ার পুষ্টিগুণ:

🔹খনিজ- ০.৮ গ্রাম
🔹খাদ্যশক্তি- ৬৬ কিলোক্যালরি
🔹আমিষ- ০.৭ গ্রাম
🔹শর্করা- ১৩.৩ গ্রাম
🔹ক্যালসিয়াম- ৫০ মিলিগ্রাম
🔹লৌহ- ০.৫ মিলিগ্রাম
🔹ভিটামিন বি১- ০.০২ মিলিগ্রাম
🔹ভিটামিন বি২- ০.১৫ মিলিগ্রাম
🔹ভিটামিন সি- ১৩৫ মিলিগ্রাম
🔹পটাশিয়াম- ৩৪৮.৩৩ মিলিগ্রাম

🔶 ডেউয়া ফলের উপকারিতা ও ভেষজ গুণাবলী:

🔸স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়:
ডেউয়াতে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্ত চলাচলে সহায়তা করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

🔸কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের কারণে পেটব্যথা কমাতে সহায়তা করে ফলটি। এছাড়া যকৃতের নানা অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে ডেউয়া।

🔸মেদ কমানো:
মেদভুঁড়ি কমাতে ডেউয়া ফলের রস এক থেকে দেড় চামচ ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে রোজ একবার করে এক মাস খেলে উপকার পাবেন।

🔸মুখে রুচি আনতে:
দু-তিন চামচ ডেউয়ার রস ও সঙ্গে একটু লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দুপুরবেলা ভাত খাওয়ার আগে খেলেই মুখে রুচি আসবে।

🔸ত্বকের রুক্ষতা দূর করে:
ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে ডেউয়া গাছের ছালের গুঁড়ো ত্বকের রুক্ষতা দূর করে এবং ব্রণের দুষিত পুঁজ বের করে দেয়।

🔸বমি বমি ভাব দূর করতে:
বমি বমি ভাব দূর করতে দূর করতে ডেউয়া খান অচিরেই বমি বমি ভাব দূর হবে।

🔸পেটে বায়ু জমলে:
পেটে বায়ু জমলে পাকা ডেউয়ার রস দেড় চামচ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে অল্প চিনি দিয়ে প্রতিদিন একবার এক সপ্তাহ খেলে সমস্যা পুরোপুরি দূর হবে।

এছাড়াও ডেউয়ার ভিটামিন সি ত্বক, চুল, নখ, দাঁত ও মাঢ়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে।

(সংগ্রহীত)

🍁বাকরখানি (পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী)🍁যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন। খাবারের ধরনে এসেছে আধুনিক...
08/12/2020

🍁বাকরখানি (পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী)🍁

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন। খাবারের ধরনে এসেছে আধুনিকতা। যা কখনো কখনো ইতিবাচক, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক। তবে অঞ্চল ও খাবারের স্বাদ ভেদে এখনো অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবার টিকে আছে। পুরান ঢাকার বাকরখানি এর মধ্যে অন্যতম।

প্রায় আড়াই শ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যের ধারক এ বাকরখানি আর কাপভর্তি চায়ের মাধ্যমেই জেগে ওঠে পুরান ঢাকাবাসী। এত বছর পুরনো হয়েছে সত্য, তবে বাকরখানির চাহিদা কমেনি বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে। এমনকি আধুনিক সময়ে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাকরখানি বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার বিখ্যাত এই বাকরখানি আজ রপ্তানি হচ্ছে কুয়েত, শ্রীলঙ্কা, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

🔵 বাকরখানি'র ইতিহাসঃ

পুরান ঢাকার ইতিহাস থেকে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী এই বাকরখানি তৈরির পেছনে রয়েছে এক অমর প্রেমকাহিনী। এর নামকরণের গল্পটা বেশ দারুণ। আগা বাকের নামে তুর্কিস্তানের এক বালক ক্রীতদাস হয়ে এসেছিল এ দেশে।

তখনকার বাংলার সুবেদার নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ সুদর্শন এ বালককে কিনে নিয়েছিলেন। আগা বাকেরের বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ হয়ে নবাব তার পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন। আগা বাকের প্রথমে চট্টগ্রামে ফৌজদারের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি বাকলা চন্দ্রদ্বীপের শাসনকর্তা ছিলেন। তার নামানুসারেই বাকেরগঞ্জ জেলার নামকরণ হয় যাকে আমরা এখন বরিশাল নামে চিনি। আগা বাকের ভালোবেসেছিলেন সুন্দরী নর্তকী খনি বেগমকে। তার প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্ব্বী ছিলেন কোতয়াল জয়নুল খাঁ। এই নর্তকীকে ঘিরে আগা বাকের ও জয়নুল খাঁর দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ এই দ্বন্দ্বের কারণে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বাকেরকে এক বাঘের খাঁচায় নিক্ষেপ করেছিলেন। শক্তিধর বাকের বাঘকে হত্যা করে খাঁচা থেকে বীরের মতো বেরিয়ে এসেছিলেন। ততক্ষণে খনি বেগমকে অপহরণ করে দুর্গম চন্দ্রদ্বীপের গহীনে পালিয়ে গিয়েছিলেন জয়নুল খাঁ। আগা বাকের প্রেমিকাকে উদ্ধারে চন্দ্রদ্বীপে উপস্থিত হলে জয়নুল খাঁ খনি বেগমকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। খনি বেগমকে না পেলেও প্রেমের স্মৃতি চিরজাগরুক রাখতে আগা বাকের নতুন ধরনের শুকনো রুটি তৈরি করিয়ে তার নাম দিয়েছিলেন 'বাকেরখনি'।

পুরান ঢাকার প্রখ্যাত লেখক নাজির হোসেনের ‘কিংবদন্তির ঢাকা’ গ্রন্থেও বলা হয়েছে এ কথা। সাধারণ মানুষের উচ্চারণে যা আজ 'বাকরখানি' হয়ে গেছে। নবাবদের এই খাবার বাকরখানি তৈরি হতো মালাই-মাখন দিয়ে অতীতে ময়দার সঙ্গে দুধের মালাই ও মাখন মিশিয়ে খামির তৈরি করে বাকরখানি বানানো হতো। সে সময় এটা ছিল নবাব আর আমিরদের প্রিয় খাবার। মালাই-মাখনের বাকরখানি এখন আর তৈরি হয় না। তবে ঢাকার অনেক পুরনো খানদানি পরিবার বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য আগাম অর্ডার দিলে মালাই-মাখনের বাকরখানি এখনো সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আগে ঢাকার বনেদি পরিবার নিজেদের বাড়িতেই বাকরখানি তৈরির আয়োজন করতেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে দুধের মালাইয়ের পরিবর্তে বাকরখানিতে ডালডা ও তেল ব্যবহারের প্রচলন হয়।

🔶 প্রস্তুত প্রণালীঃ

🔸 এটি তৈরির জন্য প্রথমেই একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় ময়দা, সামান্য পানি এবং ডালডার সমন্বয়ে খামির তৈরি করা হয়।

🔸এবার তৈরিকৃত খামির থেকে কেটে ছোট ছোট গোলাকার কোয়া তৈরি করা হয়।

🔸এবার বেলুন দিয়ে কাঠের পিঁড়িতে কোয়াটি দিয়ে গোলাকার কাঁচা রুটি তৈরি করা হয়।

🔸কাঁচা রুটির মাঝখানে ছুরি দিয়ে লম্বা করে তিনটি দাগ কেটে দেওয়া হয়।

🔸এবার এর একপাশে পানির সামান্য প্রলেপ দিয়ে তন্দুরের দেয়ালে আটকে দেওয়া হয়।

৫ থেকে ৭ মিনিটে তৈরি হয়ে যায় বাকরখানি।

🔵 বি-ভিন্নতাঃ
আবার ঘি দিয়েও বিশেষ যত্নের সঙ্গে এই বাকরখানি তৈরি করা হয়ে থাকে।

🔹নোনতা, কাবাব, ছানা, পনির, চিনি, কিমা ও নারিকেলের সংমিশ্রণেও তৈরি করা যায় বাকরখানি।

🔹এ ছাড়া গরু ও খাসির মাংস দিয়েও এক ধরনের বাকরখানি তৈরি করা যায়।

এই ধরনের বাকরখানি সাধারণত ঈদের সময় স্পেশাল অর্ডার দিয়ে তৈরি করা হয়। নোনতা বাকরখানি সাধারণত ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়।

🔶 প্রাপ্তি স্থানঃ
লালবাগ কেল্লার কাছেই প্রথম বাকরখানির দোকান গড়ে উঠেছিল। এরপর সেখান থেকে ধীরে ধীরে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল, আগা নবাব দেউড়ি, কোতোয়ালি, চকবাজার, বংশাল, হাজারীবাগ ও সূত্রাপুর এলাকায় বিস্তার লাভ করে। পুরনো ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের দুই পাশেও রয়েছে বাকরখানির অনেক দোকান। এসব দোকানের বাকরখানি স্বচ্ছ পলিথিনের প্যাকেটে ভরে ধানমন্ডি, উত্তরা, বনানী, গুলশানসহ রাজধানীর এলাকার সাধারণ দোকানে ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে সরবরাহ করা হয়। বাকরখানি চায়ের সঙ্গে খাওয়ার প্রচলন পুরান ঢাকায় বেশি। এ ছাড়াও গরু, খাসি, মুরগির মাংসের সঙ্গেও বাকরখানির স্বাদ অতুলনীয়। অনেক জায়গায় ক্ষীর ও পায়েসের সঙ্গেও পরিবেশন করা হয় বাকরখানি। বাকরখানি মূলত কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

(সংগ্রহীত)

ই.এইচ.মুক্ত
স্বত্বাধিকারীঃ "হাটের সদাই"

🍁জামরুল🍁গ্রীষ্মকাল হলো ফলের মৌসুম। এসময় বাজারে প্রচুর ফলের দেখা মেলে। তেমনই একটি রসালো জামরুল ফল । জামরুল দেখতে অনেকটা ...
08/11/2020

🍁জামরুল🍁

গ্রীষ্মকাল হলো ফলের মৌসুম। এসময় বাজারে প্রচুর ফলের দেখা মেলে। তেমনই একটি রসালো জামরুল ফল । জামরুল দেখতে অনেকটা নাশপাতির মতো, মোমের মতো সাদা। তবে আজকাল লাল, সবুজ নানা রঙের জামরুলের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। দেশি জামরুল আকারে ছোট, স্বাদে পানসে। দেশে এখন কয়েক জাতের থাই জামরুল পাওয়া যায়।

এক জাতের থাই জামরুলের রঙ মোমের মতো সাদা, মুখের কাছে গোলাপি আভা। অন্য এক জাতের থাই জামরুলের রঙ সবুজাভ সাদা, অন্যটির রঙ দুধের মতো সাদা। তবে সব জাতের সেরা বড় আকার সাদা রঙের মিষ্টি থাই জামরুল জনপ্রিয় বেশি। গ্রীষ্মের প্রথম থেকে ফল ধরতে শুরু করে, বর্ষাতেও ফল ধরে। বছরে দু-তিন দফায় ফল ধরে। তবে বর্ষার জামরুলের স্বাদ কম হয়।
জামরুল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

🔶 উপকারিতাঃ

🔸 দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে জামরুল উপকারী।
🔸 ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ণ রাখে।
🔸 জামরুলের নিয়াসিন উপাদান ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল মাত্রা বৃদ্ধি করে।
🔸 জামরুল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী।
🔸 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় জামরুল ফল বেশ কাজ করে।
🔸 জামরুল মস্তিষ্ক ও লিভারের যত্নে টনিক হিসেবে কাজ করে।
🔸 জামরুলে আছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে জামরুল চমত্‍কার একটি ফল।
🔸 জামরুল ভেষজগুণ সমৃদ্ধ ফল। বাত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়।
🔸 চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেও জামরুলের ভূমিকা অনন্য।
🔸 জামরুলে আছে ভিটামিন সি এবং ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
🔸 ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান সমৃদ্ধ জামরুল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
🔸 প্রতিদিন একটি তাজা জামরুল খেলে আপনার পুষ্টিহীনতা কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব।
🔸 লোকজ এবং ভেষজ চিকিত্‍সায় জামরুলের পাতা, ফুল, কাণ্ড প্রভৃতি বিভিন্ন অংশের ব্যবহার হয়।

🍁বাঁশ কোড়ল🍁বান্দরবানসহ পার্বত্যাঞ্চলের আদিবাসীদের অন্যতম ‍জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার ‘বাঁশ কোড়ল’। 🔹মারমারা একে বলে ‘মহ্ই’🔹ত্...
08/11/2020

🍁বাঁশ কোড়ল🍁

বান্দরবানসহ পার্বত্যাঞ্চলের আদিবাসীদের অন্যতম ‍জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার ‘বাঁশ কোড়ল’।

🔹মারমারা একে বলে ‘মহ্ই’
🔹ত্রিপুরাদের কাছে ‘মেওয়া’
🔹চাকমা ভাষায় বলা হয় ‘বাচ্ছুরি’

মূলত বাঁশের গোঁড়ার কচি নরম অংশকে বলা হয় বাঁশ কোড়ল।

পার্বত্যাঞ্চলের প্রায় সব স্থানেই মেলে এ সবজি। দেশের বিভিন্ন স্থানেও এটি এখন জনপ্রিয় একটি খাবার।

🔶 মৌসুমঃ
বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত এ সবজির ভরা মৌসুম থাকে। পার্বত্য বিভিন্ন অঞ্চলে মুলি বাঁশ, ডলু বাঁশ, মিতিঙ্গ্যা বাঁশ, ফারুয়া বাঁশ, বাজ্জে বাঁশ, কালিছুরি বাঁশসহ বেশ কয়েক প্রজাতির বাঁশ কোড়ল পাওয়া যায়।

🔶 উৎপত্তিঃ
বর্ষার শুরুতে বৃষ্টির পানিতে মাটি নরম হলে এটি বাড়তে শুরু করে। মাটি হতে ৪-৫ ইঞ্চি গজিয়ে উঠলে এটি খাওয়ার উপযোগী হয়। বিভিন্ন জাতের বাঁশ কোড়ল স্বাদে ভিন্ন। তবে মুলি বাঁশ কোড়ল সবচেয়ে সুস্বাদু হওয়ায় সবার কাছে এটি জনপ্রিয়। ফলে বাজারে এর চাহিদা ও দাম কিছুটা বেশি।

প্রায় প্রতিদিন বিকেলে জেলা শহরের মার্মা বাজারে আদিবাসী ব্যবসায়ীরা বাঁশ কোড়ল নিয়ে আসেন। এখানে কোড়ল কিনতে আসেন সব জাতি-গোষ্ঠীর ক্রেতারা।

বর্তমানে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে এ সবজি। পার্বত্যাঞ্চলে ঘুরতে আসা পর্যটকদেরও অন্যতম আকর্ষণ এটি। এ সবজি বিক্রি করে সাবলম্বী হচ্ছে পাহাড়ের বিভিন্ন দূর্গম পল্লীর বহু মানুষ। দূর-দূরান্ত থেকে মাথায় থ্রুং (বিশেষ ঝুড়ি) বেঁধে বাজারে আনা বাঁশ কোড়লের পসরা সাজিয়ে বসেন আদিবাসী নারীরা। পাহাড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক কারণেও বাঁশবন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে চাহিদার তুলনায় বাঁশ কোড়ল এখন অপ্রতুল। বান্দরবান পাহাড়িদের পাশাপাশি বাঙালিদের কাছেও এ সবজি বেশ জনপ্রিয়।

বান্দরবানে কয়েক প্রজাতির মূল্যবান বাঁশ জন্মায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডলু, কাতি, মিতিঙ্গা, মুলি, কালী ও ছোটিয়া। মূলত বছরের জুন-আগস্ট মাসে বর্ষা মৌসুমে বাঁশের বংশ বৃদ্ধি হয়। এ সময় পাহাড়ের গায়ে মাটি ভেদ করে উঠতে শুরু করলে পাহাড়িরা তা সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন।

🔶 ভোজন পদ্ধতিঃ
স্যুপ, মুন্ডি, মাংস দিয়ে রান্না ও ভাজি করে খাওয়া যায় বাঁশ কোড়ল।

🍁আনারস🍁আনারস একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু ফল। বর্ষাকালে আনারস বেশি দেখা গেলেও প্রায় সব ঋতুতে আনারস পাওয়া যায়। টক ও মিষ্টি স...
08/11/2020

🍁আনারস🍁

আনারস একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু ফল। বর্ষাকালে আনারস বেশি দেখা গেলেও প্রায় সব ঋতুতে আনারস পাওয়া যায়। টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত এসব আনারসের চাষ হয় পাহাড়ি অঞ্চলে। আনারসের খেতে খুব সুস্বাদু। এর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতাও। আনারসে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য উপাদান। এক গ্লাস আনারসের জুস খেলে ঠান্ডা কাশির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি।

আনারসে থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বেটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। আনারসে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে এবং এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যাথা কমাতে কার্যকর।

আনারসে থাকা ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান ত্বকের কালো দাগ দূর করে, দাঁতের সুরক্ষা করে, জীবাণু ধ্বংস করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন কমায়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আনারসে বহু গুণে গুণান্বিত একটি ফল। জেনে নিন আনারসের আরো কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

🔵 আনারসের ব্যবহারঃ
একেক জন একেকভাবে আনারসকে ব্যবহার করে। অনেকে নাস্তায় আনারস খায়। আবার অনেকে আনারস দিয়ে কাপ কেক, বিস্কিট, বার, আইসক্রিম, পুডিং, দই ও বিভিন্ন ডেজার্ট তৈরি করে।

এছাড়া আনারসের জুস অনেক সুস্বাদু ও উপকারী পানীয়। কাঁচা আনারসের চাটনি তৈরি করা যায়। অনেকে আনারসের চাটনি তৈরি করে টিনজাত করে সংরক্ষণ করে। এছাড়া জ্যাম, জেলি ইত্যাদি তৈরিতেও আনারস ব্যবহার করা হয়।

🔶 আনারসের পুষ্টিগুণঃ
আনারসের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, বি৫, বি৬, খনিজ লবণ, ব্রোমোলিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চিনি ও ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম।

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আনারসে কোনো শর্করা নেই এমনকি এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

🔵 আনারসের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল আনারসের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।

নিম্নোক্ত আলোচনায় তা ব্যাখা করা হলো।

🔸রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আনারসঃ
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে আনারস দারুণ কার্যকরী। আনারসে বিদ্যমান ভিটামিন সি হলো এসকরবিক এসিডের উত্তম উৎস। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে, দূর্বলতা প্রতিরোধ করে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

🔸ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
আনারস ত্বক, মুখ, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ব্রোমোলিন, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ম্যাঙ্গানিজ। এই উপাদানগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

🔸হজমশক্তি বৃদ্ধিঃ
আনারস হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে ব্রোমোলিন থাকার কারণে বদহজম হয় না এবং হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পেটের বিভিন্ন সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়ায় দারুণ কাজ করে আনারস। কৃমিনাশক হিসেবে আনারসের দারুণ খ্যাতি রয়েছে। ক্ষুদ্রান্ত্রের জীবাণু ধ্বংসে আনারস খুব কার্যকরী।

🔸ওজন কমাতে আনারসঃ
আনারস ওজন কমাতে সহায়তা করে। আনারসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও অনেক কম ফ্যাট। যার ফলে স্বাস্থ্যের জন্য আনারস উপকারী। সকালের নাস্তার সাথে এক গ্লাস আনারসের জুস খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খেতে পারেন।

🔸সর্দি কাশিতে আনারসঃ
আনারসে প্রচুর ব্রোমোলিন থাকায় সর্দি কাশি প্রতিরোধে এটি ভূমিকা রাখে। ঋতু পরিবর্তন ও অন্যান্য কারণে যেকোনো সময় সর্দি কাশিতে যেকেউ আক্রান্ত হতে পারে। এই সময়ে আনারস খেলে অতি দ্রুত সর্দি কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

🔸হাড় গঠনেঃ
আনারসে রয়েছে প্রয়োজনীয় পরিমানের ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এই উপাদানদ্বয় হাড় গঠনে ও হাড় মজবুত করায় অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আনারস খেলে হাড়ের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই পরিবারের সকলের বেশি করে আনারস খাওয়া উচিত।

🔸হাঁপানি দূরীকরণঃ
আনারসের গুনাগুণের শেষ নেই। আনারস হাঁপানি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আনারসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ব্রোমোলিন, বিটা ক্যারোটিন যা হাঁপানি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই বেশি করে এই সুস্বাদু ফলটি খান এবং সুস্থ থাকুন।

🔸ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ
আনারসে ফাইবার থাকে। ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। মিষ্টি স্বাদযুক্ত আনারসে আবার সুগার বেশি থাকে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের নির্দিষ্ট মাত্রায় আনারস খেতে হবে। অবশ্য চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের আনারস খেতে নিষিদ্ধ করেন না। তবুও যতটা পারা যায় নিরাপদ থাকা ভালো।

🔸উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ
হৃদস্পন্দন ও হৃদপেশীর বিভিন্ন কার্যপক্রিয়া সম্পাদন করে পটাশিয়াম। আর আনারসে পটাশিয়াম রয়েছে। তাই আনারস হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

🔸রক্ত জমাটে বাঁধাঃ
আনারস শরীরে সঠিকভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধে না। শিরা ধমনির রক্তবাহী নালীতে কোনো প্রকার ঝামেলা হয় না আনারস খেলে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে এবং হৃদপিন্ডকে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

🔸ত্বকের যত্নে আনারসঃ
আনারসে ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান বিদ্যমান থাকার কারণে আনারস খেলে ত্বক থাকে সুন্দর ও মসৃণ। ত্বকের কালো দাগ দূর করে, বলিরেখা দূর করে আনারস। এছাড়া চুলের জন্যও আনারস উপকারী।

🔺 আনারসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

আনারসের অনেক গুনাগুণ থাকা সত্ত্বেও কিছু অপকারিতা রয়েছে। জেনে নিন আনারসের অপকারিতা সম্পর্কেঃ
▪আনারসে বিদ্যমান ব্রোমালিন ঋতুস্রাবকে প্রভাবিত করে, এতে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

▪আনারস খেলে অনেকের অ্যালার্জি বেড়ে যায়। তাই আনারস কেটে লবণ দিয়ে ধুয়ে নেয়া উচিত।

▪অতিরিক্ত আনারস খেলে বাতের ব্যথা হতে পারে।

▪কাঁচা আনারস কিংবা জুস খেলে বমির প্রবণতা দেখা যায়। মুখের ভেতরে ও গলায় শ্লেষ্মা তৈরি করে। অনেক সময় পেটে ব্যথাও হতে পারে।

▪দাঁতে যাদের ক্যাভেটিস আছে তাদের আনারস না খাওয়া ভালো।

▪আনারসে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। তাই বেশি আনারস খেলে ওজন বাড়া এবং ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

(সংগ্রহীত)

Address

400 High Street
Orange, NJ
07050

Telephone

+19736753336

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Yavi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

About Us:

গ্রাম্য হাটের ঐতিহ্যবাহী সকল পণ্যের অনলাইন শপ " হাটের সদাই.কম" ।