The Frame

The Frame The Frame brings the intelligent people for talk shows.

10/20/2024

মহাবিশ্বের একমাত্র পরিপূর্ণ এবং সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ আল-কোরআন নিজেদের মাতৃভাষায় পাঠ করা এবং বিশ্বব্যাপী সকল মানু.....

07/10/2024

আমরা এমন একটি বিশ্বের কল্পনা করি যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের নিজস্ব ভাষায় আল-কুরআনের গভীর জ্ঞান অনুভব করতে পারে। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাই যা এই প্রচেষ্টায় আগ্রহী সকলকে সংযুক্ত করবে এবং কুরআনের শিক্ষা গভীরভাবে হৃদয়ঙ্গম করে সে শিক্ষা মোতাবেক জীবন যাপন করতে সহযোগিতা করবে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল একটি বিশ্ব সম্প্রদায় তৈরি করা যেখানে মাতৃভাষায় কুরআন পাঠ এবং অধ্যয়ন ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়, লালন করা হয়, যার ফলে পৃথিবীর মানুষ একটি শান্তিপূর্ণ, আলোকিত বিশ্বের দিকে পরিচালিত হয় এবং পরবর্তী জীবনে মানবজাতির সম্মিলিত পরিত্রাণ মিলে

We envision a world where every individual can experience the profound wisdom of the Al-Quran in their own language. By building a unified platform that connects and supports all those interested in this endeavor, we seek to cultivate a deeper appreciation and understanding of the Quran's teachings. Our ultimate goal is to create a global community where the reading and study of the Quran in one's mother tongue are widely embraced and cherished, leading to a more harmonious and enlightened world, and combined salvation of mankind in the afterworld.

06/03/2024

তাকদীর তথা ভাগ্য
👀👀 👀 👀👀

মানুষমাত্রই চিন্তায় স্বাধীন।..এবং প্রতিটি মানুষের বিবেক সচল বা সক্রিয়।
চিন্তা করে ঠিক-বেঠিক/উচিত-অনুচিত/পাপপূণ্য নিশ্চিত হওয়া মানুষের পক্ষে সকল সময়ে সম্ভব এবং তা করাটা মানুষের দায়িত্বও।
কিন্তু মানুষ কর্মে স্বাধীন নয়।মানুষ তার জীবনে স্বাধীন নয়।তাকে সৃষ্টি করার পর তার স্নায়বিক নির্দেশনা ফরম্যাট করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সে যখন যাকিছু করতে স্নায়বিকভাবে নির্দেশিত তার সবকিছু করতে মানুষ বাধ্য।
তাকে সৃষ্টি করে তার স্নায়বিক ট্যাগিং কনফার্ম করার পরেই তার স্বাধীন চিন্তা ও সিদ্ধান্তের পর সে যা করবে তা করা হয়েছে স্হিরীকৃত।
আল্লাজ্বী খালাকা ফী-সাউয়াহা, অল্লাদ্বী কাদ্দারা ফী-হাদা…!!! এই ট্যাগড্ আর ফিক্সড্ মানুষ চিন্তা করতে পারে নিজের মত করে। বিবেক তার জাগ্রত থেকে ভালো আর উচিৎটা করতে তারে বলে দেয়।অন্যায় জুলুম আর অপকর্মে তার বিবেক তাকে বাধা দেয়।তখন সে সেটা বিবেচনা করবে কিবা করবেনা সেটা তার ইচ্ছার বিষয়।ইঁচ্ছার এই পয়েন্টে সে স্বাধীন।
মানুষের কর্ম আল্লাহ নির্ধারিত করেছেন এবং কর্মের ঝোঁক-প্রবণতা ট্যাগ করে তাকে জীবন-পথে চালিয়ে দিয়েছেন সত্য ; কিন্তু তার চিন্তা করা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা ঠিক রেখেছেন।তার বিবেককে রেখেছেন জাগিয়ে।বিবেকের তাকিদ কেয়ার করে সে ভালোটা করবে অন্যায়টা করবেনা। এটা হবে তার কৃতকার্যতা।আল্লাহর এই নির্ধারণ এই প্রকৃতির অন্যসব অস্তিত্বের সাথে টিকে থাকার প্রয়োজনেই করা হয়েছে।
তার স্নায়বিক নির্দেশনা তাকে পরিচালিত করতে থাকে, যেমন করে রিমোট-কন্ট্রোল পরিচালনা করে কোন মেশিনকে।সে কন্ট্রোল আমরা দেখতে পাইনা।
সে প্রতিটি মূহুর্তে যা করার করবে,বা করতে সে বাধ্য; এবং নির্ধারিত বলেই তাকে তা করতেই হবে। তবে সে যদি চিন্তা করে মন্দ বর্জন করে ভালো করে গ্রহণ।… শুধু এটা তার স্বাধীনতা হিসেবে রাখা হয়েছ।বাদবাকী সবকিছুই ফরম্যাটেড; একচুলও অন্যথা সে করতে পারবেনা।
এই যে গোটা জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে মানুষ যখন যাকিছু যেভাবে করবে বা করতে বাধ্য থাকবে; এটাই তকদীর।
মানুষ তার কর্ম স্বাধীনভাবে করছে বলে দেখা যায়। আসলে তা নয়। গাড়ী চলতে আমরা দেখি। আসলে গাড়ি নিজে চলেনা। তাকে কেউ চালায়।
সেই চালক হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত স্নায়বিক নির্দেশনা(স্পাইনাল কর্ডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ)।-যা তাকে প্রতিটি মূহুর্তেই নিয়ন্ত্রণ করছে।কোরআন এ কথাই বলে।পড়ে দেখুন তকদির সম্পর্কিত আয়াতগুলো।কোরআন কোথাও কোনক্রমেই মানুষের কর্মফলকে তকদীর বলেনা।
আবারো বলবো যে, কোরআন বলছে মানুষের সমগ্র জীবনে মানুষের মূহুর্তেকের কাজ আর প্রতিটি সাড়াদান কি ক্ষুদ্র কোন প্রতিক্রিয়া পর্যন্ত নির্র্ধারিত।সেটাই তকদীর।
তকদীর কোরআনের সব জায়গায় এই একটি কথাই বলা হয়েছে।কোথাও মানুষের কর্মফলকে তকদীর বলা হয়নি।
দূঃখজনক যে, কোরআনের সামগ্রিক বক্তব্য বাদ দিয়ে আন্দাজ করে দেয়া হয়েছে তকদীরের একটি অগ্ভুতুড়ে সঙ্গা।… মানুষের কর্মফল নাকি মানুষের তকদীর বা ভাগ্য।…যা সম্পূর্ণ একটি কল্পনাপ্রসূত বা আনুমানিক কথা। যার সাথে কোরআনের বক্তব্য মোটেও সম্পর্কিত নয়।
…………………………..
(মানুষের একটি হলোগ্রাফিক লাইফ ছিলো। তখন জিগেশ করা হয়েছিলঃ-
আল আসতু বি রাব্বিরুম? ….এ বিষয়েও আমাদেরকে জানত হবে)

সূরা ক্বামার/৪৯,৫০
ত্বালাক/৩
হাদীস/২২,২৩
আনআ’ম ৫৯

05/29/2024

সালাত শব্দটি যেসব অনুচ্ছেদ ও অধ্যায়ে রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগে আলোচিত হয়েছে আল্লাহর নির্দেশনা মেনে জীবনযাপনের বিষয়।তবুও সামগ্রিক বিষয়বস্তু এড়িয়ে শুধু প্রচলিত নামায ধার্য করা হয়েছে।
সালাত প্রচলিত নামাযকে অবশ্যই বুঝায়।দুপরের ও রাতের শুরুতে নামায পড়ার বিশেষ গুরুত্বের কথাও সালাত দিয়েই বলা হয়েছে।নামায মানুষকে তার সাধারণ ব্যক্তিমানে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব অর্জন করতে নিশ্চিতভাবে কার্যকর বলা হয়েছে। নামাযের জন্য অযু করে নিতে বলা হয়েছে।-যাতে জৈবনিক কার্য্যাদি থেকে নামায একটি পার্থক্যে উপনীত হতে পারে। কেননা, নামাযে নামাযী তার মনোজগতকে তৈরী করেন যে, তিনি আল্লাহর অনুগত ও বাধ্য। তিনি সর্বক্ষণ আল্লাহর কাছে বিনীত নিবেদিত ও সমর্পিত।তাঁর সার্বক্ষণিক মনোনিবেশ হবে এই যে, তিনি সকল পরিস্হিতিতে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ এবং ক্ষুদ্র ও তুচ্ছতর কোন প্রয়োজনেও তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনাকারী।এই যে এ জগতে তিনি বিরাজ করছেন,তাঁর এই জীবনের সবকিছুর জন্য এবং জগতের এই বিস্ময়কর সংস্থিতির জন্যেও তিনি আল্লাহর প্রশংসাকারী।
অযুর মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর জীবনযাপনে আল্লাহকে উপলব্ধি করা আর আল্লাহ নির্দেশিত নিয়মে সবকিছু সম্পন্ন করার জন্য তাঁর ব্যক্তিত্ব গঠন করবেন বলে নামাযের জন্য অযু করতে বলা হয়েছে।
নামায এজন্যেও যে, প্রতিটি নিঃশ্বাসে তিনি তাঁর নিজেকে আল্লাহর নির্দেশনা মেনে চলতে বাধ্য বলে মনে করতে পারবেন।ক্ষোভ ঘৃণা লোভ আর প্রলোভন এবং ক্ষমতা থাকা ও সুযোগ পাওয়া স্বত্তেও প্রতিটি মূহুর্তে তিনি সেসব পেরিয়ে বাধ্য হয়ে থাকবেন আল্লাহর।
একজন শিল্পী যত বড় শিল্পের শ্রষ্টা তাঁর প্র্যাকটিস তত বেশী।মোনালিসা আঁকতে তুলির আঁচড় প্র্যাকটিসিং ছিলো ১৬ বছর জুড়ে।খ্যাতনামা সকল শিল্পী দিনে কয়েকঘন্টা রেওয়াজ করেন বলেই তাঁরা সংগীতের তাল লয়কে সংগীতের মীড়ে গমকে আর ঝালায় করতে পারেন বাহিত।তখন সংগীতে শিল্পীর কন্ঠ উচ্চারণ আর পার্সোনাল টেকনিকগুলো দিতে পারে এ্যপার্ট ডেলিভারী।- যে কারণে ঐ শিল্পীর মত করে ঐ বিশেষ গানটি আর কেউ গাইতে পারেন মত একটি বাস্তবতা তৈরী হয়।
আমরা সকলেই আল্লাহর একেকজন বিশেষ বৈশিষ্টশীল বান্দাহ নিশ্চই।নামাযের অনুশীলনে আমাদের ভেতরের শক্তির পরিগঠন হবে।আল্লাহর ফরমাবরদার হওয়ার বিশেষ সুসমা বেরোতে থাকবে আমাদের ব্যক্তিত্বে।আমাদের পরিবার প্রতিবেশী আত্নীয় বন্ধু পরিচিতজন এমনকি সহযাত্রীরাও আমাদেরকে দেখে আল্লাহকে করবে স্মরণ; এজন্যই দেয়া হয়েছে নামায।
তবে গোটা কোরআনের এই সালাত বিষয়টির সাথে যতটা সম্পৃক্ত বা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে অন্যকিছু অতটা জড়িত নয়।
সালাতের যে অর্থময়তা উপরে হাজির করা হলো, সেটা কোরআনে উপস্হাপিত মহাপরিব্যপ্ত সালাতের ছোট্র একটি অংশ শুধু।
সালাতের সর্বব্যপকতা সম্পর্কে পরের কিস্তিতে কথা হবে ইনশাআল্লাহ। Alam Morshed

05/29/2024

কোরআনে সালাত এক মহাপরিব্যপ্ত সত্য।
নবীকে তিন দিলেন মানুষের কাছে আল্লাহর নির্দেশনা উপস্থাপনের দায়িত্ব।
নবীকে যা জানালেন নবী যেন কিছুমাত্র ব্যতিক্রম না করে মানুষকে সেসব জানিয়ে দেন, নবীকে বলে দেয়া হল।
বলা হল, পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানোর কারণ হলো মানুষকে দিয়ে সৃষ্টি করানো হবে।
মানুষের জন্মের জন্য যে ডিম্বাণু আর শুক্রাণু তাদের মিলন বা নিষেক-কালেই জন্মগ্রহণ করতে যাও মানুষের ভবিষ্যৎ সৃষ্টি-কর্মের নিদর্শন দিয়ে দিলেন।
পঁচাত্তর কোটি শুক্রাণু দা বটি শাবল কাস্তে কোদাল স্ক্রুডাইভার ছেনী বর্সা বল্লম গাঁইতি হাতে নিয়ে ছুটছে একটিমাত্র ডিম্বাণুতে ঢোকার জন্য।-যে একটিমাত্র ডিম্বানুর ভেতর একটিমাত্র শুক্রাণু ঢুকে পড়লে ডিম্বাণুটির খোলস হয়ে পড়ে সর্বৈব অভেদ্য।
শুক্রাণুদের হাতের সব অস্ত্রশস্ত্র আর যন্ত্রপাতি এমন যে, সামাজিক পারিবারিক রাষ্ট্রিক আর বৈশ্বিক পরিণত মানুষের কাজ করতে এবং আক্রমণ ও আত্নরক্ষার জন্য সেগুলো ব্যবহার করে।….. ধরে নিতে হয় যে, নাগরিক মানব কি করবে তার নির্দেশনা তার স্নায়ুমন্ডলীতে ফরম্যাটেড করা থাকে।এজন্যে যে,জীবনের পর্বে পর্বে আর পথে পথে মানুষ এগুলো যেন সৃষ্টি করতে পারে।
১৪ সপ্তা ভ্রুণবয়সে মানুষ থাকে এম্ব্রিয়নিক স্টেমসেলস। তখন সেলগুলোকে দেয়া হয় হাড় ত্বক নেপ্রন নিওরন লিভার কিডনী হার্ট মাসল আর অন্য প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সেল হিসেবে নিজেদেরকে কনভার্ট করতে।জেনারেল সেল বা এম্ব্রিওনিক স্টেমসেলরা আলাদা আলাদা সেল্স বেসিকসে নিজেদেরকে কনভার্ট করে নিয়ে শুরু করে কপি করা।কপি করে যায় গোটা প্রত্যঙ্গটি কতটুকু সাইজের হবে সে পর্যন্ত।সাইজমত কম্প্লিট করাটা তারা করে একটিও কোষ কম বা বেশি না বানিয়ে।
মানুষের সৃষ্টি ক্ষমতা আর সৃষ্টির দায়িত্ব এভাবে মানুষের ডিএনএ বেজড্।কিন্তু বাস্তবের সঙ্গী বা সতেতনা নয় এটা। মানুষ বিমান রেল হাড়িকুড়ি ঘটিবাটি সৃষ্টি করবে বা করতে বাধ্য।বাধ্য হিসেবেই সে সৃষ্ট।অর্থাৎ সৃষ্টি করতে বাধ্য, এমন বৈশিষ্ট ও প্রবণতা দিয়েই করা হয়েছে সৃষ্টি।
এই সৃষ্টি বিষয়টি একজন সাধারণ বুদ্ধির ডিম ভাজতে পারা থেকে হাবলের মহাবিশ্ব দেখতে সক্ষম টেলিস্কোপ বানানো পর্যন্ত মৌলিকত্বে একই। সবই সৃষ্টি। তবে কিছু সৃষ্টি হয়তো বিস্ময় তৈরী করে আর কি।
এই মানুষেরা মিলেমিশে বসবাস করলে পার্থিব সম্পদের/উপাদানের নতুন নতুন উপযোগ সৃষ্টির ধারা ঠিকঠাকমত চলতে পারবে।তাই একজন বিজ্ঞানীকে কিবা একজন ক্ষেতমজুরকেও দেয়া হয়েছে একই সাধারণ নির্দেশনা।
মানুষকে দিয়ে সৃষ্টি করানোর জন্য মানুষের রেখেছেন শেখার ক্ষমতা। সে কারণে মানুষ উপস্হাপিত বিষয়কে তার মস্তিস্কে সঞ্চিত তথ্যে তুলনা করে তাৎক্ষণিকভাবে। তুলনা তাকে ‘ব্যাপার’বুঝিয়ে দেয়।এটাই হলো শিক্ষা।কিন্তু আমরা মনে করি যে, শিক্ষাগুরু শিক্ষা দেন।এ বিশ্বাস বড়ই বিভ্রান্তিকর এক বিশ্বাস।মানুষের মস্তিস্ক এমনি অর্গানোগ্রাম যে, এটি চোখ কান ত্বক এসবে বাহিত তথ্য বিশ্লেষণ করে যথোপযুক্ত প্রতিস্বাড়া তৈরী করে নিতে পারে।
সৃষ্টি করার জন্য তিনি মানুষের মধ্যে আরো রেখেছেন অসুবিদা বোধের আকর। যত সুবিদাতেই থাকবেনা কেন, কিছু না কিছু অসুবিদা সে উপলব্ধি করবেই।এই কারণে সে সংস্কার করে করে ভার্সন আনবে।
অন্যদিকে সে পিঁড়িতে বসতে পেলে দখলের দিকে যাবে, এই বৈশিষ্টসম্পন্ন।কোনোমতে চলে এমনকিছু করতে পারার পর সে টেকসই করার চিন্তা করবে।তারপর করবে স্হায়ী কিছুর চিন্তা। মনে করা যায় যে , আল্লাহ এই নশ্বর বিশ্বকে অবিনশ্বর করার যে প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন সেটির ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করছে মানুষ।
মানুষ আগে ‘উন্নত জিনিসের’ কথা বলেছিলো।গত কিছুদিন থেকে বলে আসছিলো ‘টেকসই’ জিনিসের কথা। ইদানিং মানুষ গ্রাফিনের কথা বলছে।যা স্টিলের চাইতে দুইশ গুন বেশি শক্ত।
মানুষকে দিয়ে সৃষ্টির এসব ট্রায়াল করানো ছাড়া আল্লাহ আর কোন প্রকৃত গুরুত্বের কথা বলেননি; যা মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানোর উদ্দেশ্য বলে বুঝতে হতে পারে।
মানুষের সৃষ্টি করার প্রবণতা থাকবে এবং আল্লাহ মানুষের বানানো মডেল ও ডিজাইন ফলো করতে ফিরিশ্তাদের ক্ষেত্রে ডেমনস্ট্র্ট করছেন বলে মনে করার কারণ হলো, মানুষ সৃষ্টিতে তাদের আপত্তির জবাবে মানুষের ব্যপক শিক্ষাক্ষমতা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রামাণ করেছিলেন।তখনি তাদেরকে এ-ও বলে রেখেছিলেন যে, তাদেরকে দিয়ে কি হবে তা তোমরা জননা,আমি জানি।তিনি কি জানতেন তা তিনি বলেননি।কিন্তু তা বুঝতে সহায়ক বিষয়গুলো তিনি বলেছেন। সেসবকে মিলিয়ে উপরোল্লিখিত সিনথিসিসটি উঠে দাঁড়ায়।
সে যা-ই হোক, মানব জাতির সভ্যতায় অগ্রগতি আর বিবর্তন হলো সমার্থক।তেমনি বিবর্তন ঘটে যায় প্রত্যেক ব্যক্তি মানুষের জীবনটাতেও।
- জন্মের জন্য তার কোন ইচ্ছা বা পরিকল্পনা থাকার দাবী সে করতে পারবেনা। কিন্তু জন্ম তাকে নিতে হয়েছে।বর্ণে বা গঠনে সে যেমনটি, সেটির পেছনে তার হাত ছিলনা।জন্মের পর সে বয়োঃক্রম পেরোয়।দিনগুলি সে ডেকে আনেনা। কিন্তু দিন তো আসে যায়। সে কিশোর তরুন যুবক প্রৌঢ় বৃদ্ধ হয়। কিছুই সে নিজের ইচ্ছায় হয়না। আবার না হয়ে সে থেমে থাকতেও পারেনা।
অর্থাৎ বিশ্বপ্রকৃতিতে প্রযু্ক্ত এক নিয়মাবদ্ধতার মধ্যেই তার এই জীবনযাপন।এই বিশ্বপ্রকৃতিতে তাকে ঘিরে যাকিছু রয়েছে সেসব তাকে নিয়ে যাবে নিশ্চিত ধ্বংসে।তাই আল্লাহ তার জন্য দিয়েছেন নবী-মারফতে জীবনযাপনের নির্ভুল নির্দেশনা। সে নির্দেশনা নবী যতটুকু বলেন ততটুকুই শুধু। সে নির্দেশনা মানার আপ্রাণ সংগ্রাম-সাধনা হলো সালাত।অন্যকথায় ঐটাই হলো ইসলাম।
এই ইসলাম মেনে মুসলিম জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্র্যাকটিস হলো নামায।….মুসলিম মনোকাঠামো না গড়ে মুসলিম হওয়া সম্ভব না। যেমন সম্ভব না রেওয়াজ/প্র্যাকটিস বা চর্চা ছাড়া উপযুক্ত হওয়া।
আল্লাহর নির্দেশনা বা ইসলামকে জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষণে ও ক্ষেত্রে বাস্তব করাই সালাত । আবার বাস্তবায়িত করতে যে অবিকল্প রেওয়াজ যেতে হবে চালিয়ে , সেটিকেও বলা হয়েছে সালাত; যাকে আমরা নামায বলে জানি।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
Alam Morshed

05/29/2024

সালাত
👀👀
আল্লাহ নবীকে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন,দায়িত্ব প্রাপ্ত কিছু সুযোগ্য ফিরিশ্তাও হয়েছেন নবীর তত্পরতার দিকে নজর রাখার জন্য।নবীকে যারা নবী মেনে নিয়ে আল্লাহর নির্দেশনায় বিশ্বাসী তাদেরকে আল্লাহ বললেন নবী যখন যা বলেন; অবিলম্বে তা মেনে নাও।এই অবিলম্বে মেনে নেয়াও সালাত।আবার আল্লাহ স্বয়ং আর ফিরিশ্তাগণ যে নবীর উপর নজর রেখে নবীকে দেয়া নবুয়তি দায়িত্ব নবী যথাযথ পালন করছেন কিনা তা নিশ্চিত হচ্ছেন সেটাও সালাত।
কিন্তু আমরা জানি যে, বিভিন্ন দুরূদ নবীর জন্য কল্যাণ কামনা করে পড়া হয়।সে ব্যপারে বলা হয় যে, নবীর নামে দুরূদ পড়ালে আল্লাহ খুশী হন। বলা হয় যে, দুরূদ হলো বিশেষ দোয়া, যা স্বয়ং আল্লাহ নবীর জন্য পড়ে থাকেন।আরো বলা হয় যে,নবীর জন্য এই কল্যাণের বা বরকতের দোয়া করলে জীবনে কল্যাণ ও বরকত আসবে।সেজন্যে কোরআনের আয়াতে আল্লাহ নিজে নবীর জন্য কল্যাণ ও বরকত কামনা করেন বলে জানিয়েছেনঃ-আল্লাহ আর ফিরিশ্তাগণ নবীর উপর দুরূদ পড়ছেন; সুতরাং তোমরাও নবীর উপর দুরূদ পড়।
যে আয়াতে আল্লাহ নবীর উপর নজর রাখেন বলে জানিয়েছেন সে আয়াতে আল্লাহ এবং ফিরিশ্তাগণ নবীর কল্যাণ ও বরকতের জন্য দোয়া করেন বলে মনে করা হচ্ছে।তবে তা কি করে সম্ভব সেটি কেউ চিন্তাও করেনি।….ফিরিশ্তা ও মানুষেরা নবীর কল্যাণ ও বরকতের জন্য আল্লাহর কাছে দুরূদের মাধ্যমে দোয়া করতে পারে।ঠিক আছে।আল্লাহ কার কাছে করবেন নবীর কল্যাণ ও বরকতের দোয়া?
সালাত বলে কল্যাণ ও বরকতের জন্য দোয়া যেমন বুঝায়, তেমনি নামাযকেও বুঝায়।আবার কল্যাণকর্ম বা আমালে সালেহ এই সালাত দিয়েই হয়েছে বুঝানো।
ভাষার মেটাফর সালাত বলতে ঈমানদারদের ঈমানে দায়িত্ব পালনকেও নির্দেশ করে।
অযু করে মসজিদে যে নামায পড়া হয় তা-ও সালাত।
কিন্তু সেখানে আরো যত মানুষ নামাযে আসে তাদেরকে আল্লাহর বান্দাহ হিসেবে মরমের গভীর থেকে উপলব্ধি করাও সালাত।তাঁদেরও আশা আকাংখা স্বপ্নবাসনা আছে বলে মনে রাখাও সালাত।তাদের বিপদ মুসিবত দূঃখ যন্ত্রণা উপলব্ধি করা সালাত।তাদের জন্য যথাসাধ্য সবকিছু করাও সালাত।
মানুষের প্রতি কোরআনের এই সার্বিক নির্দেশনাই হলো সামগ্রিক সালাত।কোরআনের প্রতিটি আদেশ নিষেধ উপদেশ পরামর্শ আর অনুপ্রেরণা সম্মিলিতভাবে সালাত।নবীর জবান থেকে আল্লাহর আয়াত জাহির হওয়ামাত্রই মেনে নেয়া হলো সালাত।এই যে মেনে নেয়া বা মেনে চলা, এর জন্য নিজের জান ও মাল আল্লাহর কাছে বিক্রী করে দিতে আল্লাহ বলেছেন।এমনকি জান্নাত পাবার জন্য আল্লাহর সাধারণ ওয়াদা থেকে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ হলো জানমাল বিক্রী।- যাতে আছে এগিরিমেন্ট ভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক স্বীকৃতি ও নিশ্চয়তা। সেটাওতো সালাত।
নিজের জানমাল তথা সবকিছু আল্লাহর দায়িত্বে সমর্পিত করে আল্লহর প্রশংসা শুকরিয়া ও আনগত্যে নিজেকে নিজে বাধ্য রাখতে পারাইতো ইসলাম।
তাই মনে হয় ইসলাম আর আত্মসমর্পণ বা সালাত যেন একই।যদিও সালাত বলে শারীরিক কসরতে আদায় করা নামায বলে বুঝে আসছে মুসলমানরা।
Alam morshed

01/01/2024

ইমাম মাহদি
🙏🙏🙏
বিশ্বজুড়ে গতিশীল শিক্ষা বিজ্ঞান প্রযুক্তি আর্থিক-সামর্থ্য ঐক্য ইত্যাদিতে পিছিয়ে থাকাটা মুসলমানদের শতশত বছরের বাস্তবতা।
আবার কোরআনের নির্দেশনার ধারণাটুকু পর্যন্ত তাদের নেই। মুয়াবিয়া তার উমাইয়া বংশের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে কোরআনের নির্দেশনাকে হাদীসের নিচে চাপা দিয়েছিলো । পন্চাশ লক্ষের বেশি হাদীসের ৫% কোরআনের ফ্লেভারে মিশিয়ে গেলানো হয়েছে মুসলমানদেরকে। যার ফলে মুসলমানরা তথাকথিত ৭২ ফিরকায় নয় , বিভক্ত হয়েছেন লক্ষলক্ষ দল-উপদলে। পরস্পর বিরোধী দলবিভক্ত মুসলমানরা পিছেনে পড়েছে এ কারণেও।
তবে কোরআনের বিপরীত হাদীসের অনুগামিতা মুসলমানদেরকে বানিয়েছে চরিত্রহীন। অন্য যেকোনো জাতীর চাইতে অনিয়ম মিথ্যাচার দূরণীতি প্রতারণা অসহযোগিতা স্বার্থপরতা সবই মুসলমানদের চরিত্রে বেশি স্পষ্ট । এমনকি মুসলমানদের ধর্মকর্মও সন্দেহমুক্ত জিনিস নয়। তাদের শ’য়ে সাতানব্বই জন দান করে নাম করার নিয়তে।
যে কারণগুলো বলা হলো , সেগুলো কোনো জাতীর জাতীয় বৈশিষ্ট হয়ে পড়লে সে জাতিতে দরিদ্র ও অক্ষম নিরুপায় মানুষ বেশি থাকবে। মুসলমানদের ৯০% তাই বিশ্বাস করে যে, ইমাম মাহদী এসে তাদেরকে উদ্ধার করবে।
কোরআনের নির্দেশনায় ইমাম মাহদীর প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত পর্যন্ত নেই। এই ইমামের উদ্ভট আকাঙ্খার মুয়াবিয়া তার ক্ষমতা পোক্ত করার জন্য বিস্তার করেছিলো। এর গোড়ায় ইহুদী খৃষ্টানদেরকে ঢালাওভাবে শত্রু গণ্য করার প্ররোচনা ক্রমাগত দেয়া হয়েছিলো হাদীসের মাধ্যমেই।
অথচ ইমাম মাহদী বিষয়ক হাদীসটি শুধু জাল হাদীসই নয় বরং বিখ্যাত একটি মিথ্যা। যাচাই বাছাই না করে এই ভয়াবহ মিথ্যাকে সত্য ধরে নিয়ে কোরআন নির্দেশিত স্বভাব চরিত্র গঠন না করে শত্রু বিধরমীদেরকে ধ্বংস করার কুৎসিত আকাংখায় মুসলমানরা বিভোরহয়ে আছেন।
মুসলমানদের এই আকাংখা গত কয়েকশ’ বছরে পূর্ণ হয়নি। প্রতিদিন তারা ইমাম মাহদীর জন্মগ্রহণের খবর পেয়েছেন। কোনদিন ঐ ইমাম কিন্তু আসেনি।
কোরআনে ঐ ইমামের ওয়াদা না থাকায় বেচারা ইমামের জন্ম নেবার সুযোগ পর্যন্ত নেই। তবে ইমাম মাহদী হতে না পারলেও প্রতিটি মুসলমানের একেকজন ইমাম হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নিশ্চিৎভাবে রয়েছে কোরআনে। প্রত্যেক মুসলমান শিক্ষায় জ্ঞান-বিজ্ঞানে আর বাস্তবিক উন্নতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশ্বাস কোরআনে স্পস্টভাবে রয়েছে। তাদের দোষ দূর্বলতা ক্ষমা করে এমনকি ঐসব ঘাটতিকে শক্তিতে পরিণত করার ওয়াদাও রয়েছে। রয়েছে আল্লাহর অধিকতর সাহায্যের ওয়াদা।
কোরআন অনুসরণে ভেজালযুক্ত হাদীসের কিংবা কোনে ইমামের ব্যাখ্যায় নজর দেয়ার দরকার নেই। শুধুই কোরআন জানতে এবং মানতে হবে। আরবে ঐ মুসলিমরা সারাদিন কোরআনের কথামালা আওড়ায়েছিলেন। কেউ তাদের কাছে কিছুই ব্যাখ্যা বা তাফসীর করেনি। সারাক্ষণ তারা কোরআনের বাণীর যতটুকু পেরেছে উচ্চারণ করে চলেছিলেন। তাদের আ অভিনিবেশ আল্লাহকে রাজী করেছিলো। আল্লাহ তাদেরকে বিকশিত চেতনা দান করেছেন ক্রমাগত ধারায়।
কোনো মানুষ কোরআনকে বিমুক্ত রেখে মেনে চললে অক্ষম অসহায় বা দরিদ্র থাকতে পারেনা। মানুষের জন্য তা মমতা কেবল বাড়বেই। মানুষকে ঠকানোর জন্য মিথ্য দূর্ণীতি চালচালিয়াতির কথা তার মাথায় জাগবেই না।
আজ দেখুন তাকিয়ে, মুসলমানদের আলেম ওলামারা হাদীস ফিকাহ আর তাদের আকাবীরদের অনুসরণ করছেন কোরআন বাদ দিয়ে। তারাইতো ইমাম মাহদীর জন্য আপনাদেরকে অপেক্ষা করতে বলছেন। তাদের এই আশ্বাস আপনাদেরকে কোথায় নামিয়েছে? তারা নিজেরাইবা কতটা বিকট বিশ্রি অবজ্ঞা উপহাসের পাত্র হয়ে আছেন!! তারা যদি কোরআন পড়তেন তাহলে তাদের চরিত্র উদ্ভট হতোনা, আপনারাও হতেন না অক্ষম।
মনে রাখা দরকার, ইমাম মাহদী একটি ধোঁকা। শতশত বছর ধরে এই একটি ধোকা আপনি বিশ্বাস করছেন!! …. কারণ? আপনি কোরআন পড়েননা। পড়লেও পড়েন হাদীস তাফসীর এসব মিশিয়ে। হাদীস তাফসীর হলো অল্প ভালোর মোড়কে মোড়ান অন্তহীন মিথ্যাচার আর আজব সব গোঁজামিল॥

Address

New York, NY
10462

Telephone

+13474792069

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Frame posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Frame:

Share

Category