সুফিবাদী জ্ঞানের শহর

সুফিবাদী জ্ঞানের শহর Thanks for visiting my page ❤️

ভাই, ছাগলটি কি এখন জাহান্নামে যাবে? 🤕
10/18/2024

ভাই, ছাগলটি কি এখন জাহান্নামে যাবে? 🤕

10/18/2024

মাজার কে ঘৃণা করে যারা খোদার দুশমন তারা | সূফী তত্ত্বের গায়ক এ আর জসিম খান | Mazar Sharif Song
––––––––––––––––––––––––––––

মহান আল্লাহ পক্ষ থেকে যারা বিশেষ ভাবে নেয়ামত প্রাপ্ত তাদের প্রত্যেকের মাজার শরীফ আছে। "পৃথিবীজুড়ে অনেক মাজার এবং রওজা শরীফ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অল্প সংখ্যক মাজার ও রওজা শরীফ এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে।"

––––––––––––––––––––––––––––
"Those who have been specially blessed by Almighty Allah each have sacred shrine."There are many shrines and Rawza Sharifs all over the world. Among them few shrines and Rawza Sharif are shown in this video

গানের লিংক : https://youtu.be/3aGlxQx-qto?si=0D9mTWcStd8Lu0hj

Singer of Sufism Channel link :
https://www.youtube.com/

====================================
Mazar Sharif Song.

Artist : Singer of sufism A r Jashim khan.

Song : Mazar Ke Ghrina Kore jara ...

Lyrics : A R Jashim khan.

Music Director & Producer by :

A R Jashim khan.

Rhythm Director : A R Saif Khan

Percussion : Shanto Ahammed.

Tobla : Akash Ahammed.

Harmoni : Robin Sarker.

Flute : MD Suman Ahammed.

Keyboard : Johirol Islam.

Basse : Md Ajad .

Acoustic Guitar : Md Apon.

Chorus : A R Juhan , A R Eshila ,A R Jidan,

A R Elma A R Ekra . A R Sourav.A R Rabbi Sarkar, A R Rajon

Audio Mix & Master : A R Saif Khan.

Cemera : A R Alom .A R Arafat Hussain.Md Rinco.

Video edit : A R Saif Khan.

Studio : Singer Of Sufism.

10/13/2024

ক্ষমতার লোভ মানুষকে পশুতে পরিণত করে ইসলামিক দল গুলো তার স্বাক্ষী,,, ইসলামিক দল গুলো কাফের ও মূর্তি পূজারী হয়ে গেছে ওলি-আউলিয়াদের মাজার জিয়ারত করাকে পূজা বলে গালি দিতে দিতে আল্লাহ তাদের মূর্তি পূজারী বানিয়ে দিলো 😁

10/06/2024

যদি শিয়ালের কাছে ধর্ম শিক্ষা নেন,তবে মুরগী চুরিকে মহান পেশাই মনে হবে।

এজিদের অনুসারী মোল্লাদের চরিত্র...
10/05/2024

এজিদের অনুসারী মোল্লাদের চরিত্র...

এই ওহাবী সালাফি এজিদের বিরুদ্ধেআজকের প্রথম আলো পত্রিকায়।
10/03/2024

এই ওহাবী সালাফি এজিদের বিরুদ্ধে
আজকের প্রথম আলো পত্রিকায়।

গত কাল রাতে যারা কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরী ভাইয়ের বাড়িতে হামলা করেছে। এদের কে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। সি স...
10/03/2024

গত কাল রাতে যারা কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরী ভাইয়ের বাড়িতে হামলা করেছে। এদের কে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। সি সি টিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা করার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট বিনীত অনুরোধ করছি।
জয় হউক সুফিবাদের, জয় হউক বিশ্ব মানবতার।

10/03/2024

এজিদের অনুসারী মোল্লা ধর্মের নামে নতুন মুরগী ব্যবসা শুরু হয়েছে 🤣

তোমরা কে?কোথা থেকে উড়ে এসে জুরে বসে বাংলাদেশের শান্তি নষ্ট করছো?এটা বাংলাদেশ। এদেশে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষের বাস।এই দেশ...
10/03/2024

তোমরা কে?কোথা থেকে উড়ে এসে জুরে বসে বাংলাদেশের শান্তি নষ্ট করছো?এটা বাংলাদেশ। এদেশে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষের বাস।এই দেশ কোন মুসলিমের না কোন হিন্দুর না বা কোন ধার্মিকের না।এই দেশে আস্তিক নাস্তিক সবার ই সমান ভাবে বেচে থাকার অধিকার আছে।তোমরা যদি এই দেশকে জ*ঙী বা ইসলামী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাও তবে চেষ্টা করতে থাক।এদেশে সবাই থাকবে বাঙ্গালী হবার কারণে।বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য কে দূরে ঠেলে কোন আরব‍্য ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি কে বাস্তবায়ন করতে চাইলে পাকিস্তানের মত ই তোমাদের তাড়ানো হবে।এদেশে আরব‍্য খারিজী জাহিলিয়াতের অনুসারীদের থাকতে দেয়া হবেনা।আমি সকল বাঙ্গালীদের অনুরোধ করছি ধর্মীয় গোড়ামীতে না ডুবে থেকে এ দেশকে আফগান অথবা পাকিস্তান হওয়া থেকে বাচান।

সুফিবাদের অন্যতম বক্তা - কাজী জাবেরআল জাহাঙ্গীর সাহেব | গত রাতে ২০২৪সালের নতুন স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেছেন |উনার নিজ ব...
10/03/2024

সুফিবাদের অন্যতম বক্তা - কাজী জাবের
আল জাহাঙ্গীর সাহেব | গত রাতে ২০২৪
সালের নতুন স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেছেন |

উনার নিজ বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে
কয়েক হাজার টুপি ওয়ালা জাবের সাহেবের
বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করছে | উনার
ফ্যামিলির বেশ কিছু মানুষ রক্তাক্ত হয়েছে |

প্রিয় বক্তা - কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর
সাহেবের বাড়িতে রাতের আঁধারে এই জঙ্গি
হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি |

10/03/2024

যাদের হাতে ইসলামের আগমন ও বাংলাদেশের পুর্ব পুরুষরা হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছে...

এজিদের অনুসারী....
10/03/2024

এজিদের অনুসারী....

07/16/2024

হায় হোসাইন হায় হোসাইন
ইয়া হোসাইন মাওলা হোসাইন.....
১০ই মহরম ইমাম হোসাইন আ: কিভাবে শহীদ হয়েছিলেন....

আমরা মনে করি দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর যুগ থেকে তাসাউফটা এসেছে। আহলে সুফফা অর্থাৎ মসজিদে নববীর বারান্দা থেকেই মহান আল্লাহকে জা...
04/26/2024

আমরা মনে করি দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর যুগ থেকে তাসাউফটা এসেছে। আহলে সুফফা অর্থাৎ মসজিদে নববীর বারান্দা থেকেই মহান আল্লাহকে জানার বিজ্ঞানটা এসেছে। এজন্যই কিতাবে লিখেছে সউফ ধাতু থেকে তাসাউফ এসেছে। যারা পশমি কাপড় পড়তেন, যারা বারান্দার অধীবাসী তারাই হলেন সুফী।

আবার বিরোধিতা করতে গিয়ে বলেছে, হিন্দুদের বৈরাগীবাদ থেকে সূফীবাদ এসেছে। যারা সাধনা করতে বন-জঙ্গলে যেতেন, গাছের পাতা খেতেন, সংসারত্যাগী হতেন, ছালারচট পড়তেন তারাই সূফীবাদ প্রচার করেছেন। আচ্ছা, হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে আমাদের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী-রাসূলগন কোন জঙ্গলে গিয়েছিলেন❓অথচ সকল নবী ও রাসূলগন সমাজে থেকে, মানুষের কাছাকাছি থেকেই মহান আল্লাহর কথা নিজ নিজ জাতির কাছে তুলে ধরেছেন।

অতএব বিরোধিতা করতে হলে যোগ্যতা লাগে এই জ্ঞান যাদের হয়নি তাদেরকেই আমরা বলি, যারা বেশি অজ্ঞ তারাই হয়েছে ধর্মের বিশেষজ্ঞ। এই বিশেষজ্ঞরাই কিন্তু ধর্ম ডুবিয়েছে।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন_ ওয়াল্লামাল আদামাল আছমাহা কুল্লাহা ছুম্মা আরদাহুম... অর্থাৎ হযরত আদম (আঃ) যে বিশেষ জ্ঞান লাভ করেছিলেন সেটাই ছিলো তাসাউফ। মহান আল্লাহ হযরত আদম (আঃ)-কে একটি লাল ও একটি কালো ষাড় গরু দিয়েছিলেন। তিনি এই দুইটি গরু দিয়ে জমিন আঁচড়ে গম চাষ শুরু করেন। অথচ বিজ্ঞান আজও বলতে পারেনি এই গম কোথা থেকে এসেছে। আবার হযরত নূহ (আঃ) গাছ কেটে তক্তা বানিয়ে নৌকার আবিস্কার করেছেন এবং হযরত সোলাইমান (আঃ) তামা গলিয়ে তৈজসপত্র বানিয়েছিলেন। তাহলে তো বোঝাই যায় সৃষ্টির আদিমতম বিজ্ঞানকেই তাসাউফ বলা হয়েছে। এই তাসাউফ সরাসরি মহান আল্লাহ থেকেই দয়াল রাসূল (সাঃ) পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে এসেছে। কেউ এলমে ক্বালব বলে, কেউ এলমে মুকাশেবা বলে অথবা কেউ ক্বাশফে নফস বলে। যে যেভাবেই বলুক, বিদ্যা দুইটি।

একটি হলো মানুষের রচিত বিদ্যা আর অপরটি হলো মহান আল্লাহকে জানার বিদ্যা। অতএব জাহেরি বিদ্যা দিয়ে বাতেনি বিদ্যা মাপতে আইসেন না। কারন দুইটি দুই জগতের বিদ্যা।

সারাবিশ্বে তরিকার লোকদের সাথে শরিয়ত পন্থীদের বিরোধিতা আছেই। যারা মহান আল্লাহ ও দয়াল রাসূল (সাঃ)-কে বাস্তব জিবনে পাওয়ার জন্য তাসাউফের গুরুত্ব দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে। এটা কিন্তু শুরু থেকেই। তারা ধরেই নিয়েছে ঊর্ধ্ব জগৎ ছাড়া মহান আল্লাহকে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মানুষ মরবে, জান্নাতে যাবে তারপর মহান আল্লাহর সাথে দেখা হবে। হাশরেও তিনি ৭০ হাজার নুরের পর্দার আড়ালে থাকবে। আর এভাবেই চলছে বাকির আশায় মানুষের ধর্ম-কর্ম করা। তরিকা যদি আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ)-কে পাওয়ার পথ হয় তাহলে মানুষের উচিত সেই পথ খুজে বের করা এবং বাস্তব বিদ্যাটা অর্জন করা।

মানুষ যদি বাস্তব ধর্মের খোজ করতো তাহলে এই ধর্মটাই আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ)-কে পাওয়ার জন্য সবার আগে সাহায্য করতো।

হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) বড়পীড় ছিলেন। উনি তো তরিকা করেই বড়পীর হয়েছেন। যারা কঠোর সাধনা করে ওই স্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে তাদের বিদ্যাটাই সমাজে প্রকাশ হয়েছে এবং সেই পথেই মানুষ মহান আল্লাহ ও দয়াল রাসূল (সাঃ)-কে পেয়েছে। আবার, হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহঃ) তার চিন্তা-চেতনা দ্বারা যে মতবাদটা নিয়ে এসেছেন সেটাই চিশতিয়া তরিকা হিসেবে সমাজে প্রকাশ পেয়েছে। মূলে এই দুটি বিদ্যা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু থেকে এসেছে। মোজাদ্দাদিয়া ও নকশবন্দিয়া তরিকা দুটি এসেছে হযরত সালমান ফারসি (রাঃ) থেকে।

বর্তমানের খানকাহ শরীফ ও দরবারগুলোর সেজরা শরীফে ১ম নাম হযরত আবু বকর লিখে রেখেছে যা সম্পুর্ন ভুল। তিনি ১ম খলিফা ছিলেন, তাই বড় দেখাতে গিয়ে প্রথমে তার নামটাই লিখে রেখেছে।

হযরত সালমান ফারসি (রাঃ) জিবনের প্রথম অবস্থায় দীর্ঘদিন বিভিন্ন গির্জায় গিয়ে প্রকৃত পাদ্রীদের সাথে থেকে তাসাউফ শিখেছিলেন। উনি যার কাছে তাসাউফ শিখতেন সে মৃত্যুর আগে আরেক জনের নাম বলে দিতেন। হযরত সালমান ফারসি (রাঃ)-এর শেষ পাদ্রী যিনি ছিলেন তিনি বলেছিলেন_আমি তো তোমাকে পরিপূর্ণ করতে পারলাম না, তবে আখেরী জামানায় মোহাম্মদ (সাঃ) নামের একজন নবী মদীনায় আসবেন। তিনি আহম্মদ হিসেবে প্রকাশ পাবেন আর তার নাম থাকবে মোহাম্মদ (সাঃ)। অতএব, তুমি তার কাছেই তরিকা গ্রহন করবে। তিনি সেই ওসিয়ত মেনে তার যাবতীয় ধন-সম্পদ নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। যাওয়ার পথে যাযাবর ডাকাতদের হাতে লুট হলেন। ডাকাতরা তাকে বন্দি করলো এবং এক ধনী ব্যবসায়ীর কাছে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দিলো। যেহেতু ক্রীতদাস হয়ে গেছেন, তাই ওই ব্যবসায়ী তাকে খেজুর বাগান দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি একদিন গাছে উঠলেন খেজুর কাটার জন্য। গাছ থেকে শুনলেন কোনো এক পথিক হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর কথা বলছে।

তিনি তো দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর কাছে তরিকা গ্রহনের উদেশ্যেই মদীনায় এসেছিলেন। দয়াল রাসূল (সাঃ) যখন মক্কা থেকে হিজরত করে মদীনায় আসলেন তখন তো সবার কাছে প্রকাশ হয়ে গেলেন।

তিনি ওই পথিকের কথা শুনে দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর দরবারে রওনা দিলেন। যাওয়ার পথে খেজুর বাগান হতে তিনি দুই প্রকারের খেজুর নিলেন। এর কারন হলো, হযরত সালমান ফারসি (রাঃ)-এর শেষ মোর্শেদ বলেছিলেন, মোহাম্মদ (সাঃ)-এর কাছে যখন যাবে তখন তঔফা বা নজরানা নিয়ে যাবে কারন তিনি জাকাত, ছদকা, দান করা কিছু গ্রহণ করেন না; আর তার পৃষ্ঠদেশে থাকবে নবুয়াত প্রাপ্তির নুরের মোহর। হযরত সালমান ফারসি (রাঃ) সেটাই পরিক্ষা করার জন্য এক প্রকার খেজুর ছদকা হিসবে নিলেন। যখন সেটা দিলেন দয়াল রাসূল (সাঃ) গ্রহন করলেন না। এরপর যেটা তঔফা হিসেবে দিলেন সেটাই দয়াল রাসূল (সাঃ) গ্রহন করলেন। এরপর সালমান ফারসি (রাঃ) দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর পৃষ্ঠ মোবারকের কথা জিজ্ঞেস করলেন। দয়াল রাসূল (সাঃ) তার জামা মোবারক উঠিয়ে পিঠ মোবারকে নবুয়ত প্রাপ্তির সেই নুরময় মোহর দেখালেন। হযরত সালমান ফারসি (রাঃ) দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর হাত ও কদম মোবারকে চুমু খেলেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেন।

ইনি সেই সালমান ফারসি (রাঃ), যিনি ৩৫০ বছর জীবিত ছিলেন। তিনি ওই সাহাবী যিনি দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর সাথে থেকে খন্দকের যুদ্ধে বিশেষ ভুমিকা পালন করেছিলেন।

কারবালার পর দুরাচার এজিদের ৮৯ বছর উমাইয়া খেলাফত আর আব্বাসিওদের ৫০৮ বছর ক্ষমতায় থাকার কারনে তাসাউফের অবশিষ্ট কিছুই তারা আর রাখেনি। যারাই তাসাউফের কথা বলেছে তাদেরকেই হত্যা করা হয়েছে এবং কৃত্রিম একটা ধর্ম সাজিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রচার করে গেছে। দুরাচার এজিদ বাহিনী মক্কা ও মদীনার সাহাবী এবং সাধারণ মানুষদের যেভাবে কচুকাটা করেছিলো তা রোমানদেরকেও হার মানিয়েছিলো। রোমান অ্যাম্পায়ার❗যারা একসময় বিশ্ব শাসন করেছে, যারা দুই লক্ষেরও বেশী সৈন্য নিয়ে চীন আক্রমণ করেছিলো। জেরুজালেম ও বায়তুল মুকাদ্দাস মসজিদের আশেপাশে যত ইহুদীরা বসবাস করতো তারা রোমানদের অধীনেই ধর্ম-কর্ম করতো।

বনী ইসরাইল জাতি❗যাদের মাথার উপর মহান আল্লাহ তুর পাহাড় তুলে ধরেছিলেন। যারা মৃত থেকে জিবিত হওয়ার পরও হযরত মূসা (আঃ)-কে মিথ্যাবাদী বলেছে। যারা ওয়াদা ভঙ্গ করে স্বর্নের বাছুর বানিয়ে ইবাদত করেছে।

এরাই সেই বনী ইসরাইলদের বংশধর। এরাই হযরত মূসা (আঃ)-এর দোহাই দিয়ে গির্জায় গির্জায় ফতোয়া দিতো আবার হযরত ঈসা (আঃ)-এর আগমনি বার্তা নিয়ে সারা শহর দৌড়ে বেড়াতো। হযরত ঈসা (আঃ) জন্মগ্রহন করে মায়ের কোলে কথা বললে এরাই কিন্তু সবার আগে পালিয়েছে। রোমান সাম্রাজ্য পতনের যে ভয়টা ছিলো তা নতুন নবীকে নিয়েই ছিলো। যেহেতু রোমানরাও হযরত ঈসা (আঃ)-কে হত্যার চক্রান্ত করতো; অতএব তাদের উপরেও মহান আল্লাহ অসুন্তুষ্ট হলেন।

মহান আল্লাহ দেখালেন আসহাবে কাহাফ অর্থাৎ গুহাবাসীদের মোজেজা। আর এই অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমেই রোমান সাম্রাজ্য পতন করে দিলেন।

হযরত ইসা (আঃ)-এর প্রতি চরম হিংসা করা, তাকে সবসময় হত্যার চিন্তা করা এবং তাকে নবী না মানার কারনেই নির্ধারিত সময়ের পর মহান আল্লাহ হযরত ঈসা (আঃ)-কে নিজের কাছে উঠিয়ে নিলেন। কারন যারা বনী ইসরাইলের বংশধর তাদের স্বভাব মহান আল্লাহর ভালো করেই জানা। যাদের স্বভাব হলো সত্যকে অস্বীকার করা, যাদের চরিত্র ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা ও নবী-রাসূলদের হত্যা করা। অতএব মহান আল্লাহ দেখিয়ে দিলেন তাদের স্বভাব, চরিত্রের মোজেজা। যে লোকটা পরিকল্পনা করে হযরত ঈসা (আঃ)-কে হত্যা করতে দলবল ভাড়া করেছিল; মহান আল্লাহ তাকেই হযরত ঈসা (আঃ)-এর হুবহু চেহাড়া দিয়ে দিলেন। ভাড়া করা দল হেরেই রশি দিয়ে বান দিলো, পিটাইলো এবং শুলে চড়ালো। চেহাড়া তো একদম হযরত ঈসা (আঃ)-এর মতই। কেউ তো জানে না যে, অলৌকিক ঘটনা একটা ঘটে গেছে।

অতএব, এখন সারা শহর দৌড়াও আর হযরত ঈসা (আঃ) ক্রুশবিদ্ধ হয়েছে এবং খ্রিস্টানরাই একমাত্র স্বর্গে যাবে বলে ফতোয়া দাও কোনো অসুবিধা নাই।

দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর যে শান্তির বাণী রোমানরাসহ অন্য রাজা-বাদশাহরা শুনেছিলো, কুচক্রী মুয়াবিয়া ক্ষমতায় বসেই রোমসহ আশেপাশের সব জায়গায় যুদ্ধ বাজিয়ে সেই শান্তির ইসলামটা ধ্বংস করে দিলো। এজন্যই ইতালির মানুষ মুসলমানদের চরম ভাবে ঘৃণা করে। বর্তমানে তারাই মনে হয় শান্তিতে আছে। কোন ঝগড়াতে নাই, কোনো মারামারি-কাটাকাটিতেও নাই। অথচ এরাই রোমান❗যাদের ছিলো বিশাল সাম্রাজ্য এবং যাদের ছিলো সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী। পরবর্তীতে তারা বিজ্ঞানে মনোযোগ দিলে সমুদ্রের বিশাল অংশ তাদের দখলে চলে আসে এবং মজবুত অর্থনৈতিক খুটি দাঁড় করিয়ে ফেলে। আর এদিকে মুসলমানরা তো গেছেই।

এর আগেও কুচক্রী মুয়াবিয়া যখন সিরিয়ার গভর্নর ছিলো তখনও সিফফিনের যুদ্ধ বাজিয়েছিলো। এই কুচক্রী মুয়াবিয়ার কারনেই হাজার হাজার সাহাবীদের জিবন দিতে হয়েছে।

দুরাচার এজিদের পর মারোয়ান, মারোয়ান হের বিবির হাতে হত্যা হওয়ার পর, তার পোলা ২য় এজিদ ক্ষমতায় বসে। হের নামও এজিদই। ২য় এজিদ ক্ষমতায় বসার পর হের গনক ফতোয়া দিলো রাষ্ট্রীয়ভাবে ছবি হারাম ঘোষণা করার। হের গনকের ফতোয়া ছিলো_ আপনি যদি ছবি হারাম করতে পারেন, তাহলে আপনার রাজত্ব বাড়বে আরো ৩০ বছর। ২য় এজিদ প্রাচীন আমলের অসংখ্য ছবিসহ নবী-রাসূলগনের যত ছবি সংরক্ষিত ছিলো সব ধ্বংস করে দিলো। এরপর দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর নাম দিয়ে একটা কৃত্রিম হাদিস বানালো। নবী-রাসূলগনের ছবিগুলো মহান আল্লাহ হযরত আদম (আঃ)-এর কাছে প্রেরণ করেছিলেন এবং পর্যায়ক্রমে ওই পর্যন্ত গিয়েছিলো। তাদের এই কৃত্রিম হাদিসের কারনেই একসময় মানুষ বিনাবাক্যে ছবিকে হারাম বলতো।

তবে এখন আর হারাম বলে না, প্রয়োজনে জায়েজ বলে। ছবি জায়েজ এই কথা শুনলে মানুষ এখনো চমকে উঠে। এই ক্ষমতার লোভেই তারা তাসাউফ শেষ করেছিলো।

প্রায় ৬০০ বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাসাউফ না থাকার কারনে মুসলমানরা মহান আল্লাহ থেকে দুরে সরে গিয়েছিলো। তারাই কিন্তু মহান আল্লাহকে নিরাকার বানিয়েছে। কৃত্রিম ধর্ম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মহান আল্লাহকে অস্বীকার করেছে। মনগড়া তাফসীর ও দয়াল রাসূল (সাঃ)-এর দোহাই দিয়ে যতসব মিথ্যা ও বানোয়াট হাদীস চালু করেছে। এরপর কিতাবের মাধ্যমে আরো শক্তিশালী করেছে। মুসলমানরাই যখন ওই স্বভাব, চরিত্র ধারন করে নিয়েছে, তাই মহান আল্লাহ তাসাউফটা পুনরুদ্ধার করে দিলেন উসমানী খেলাফতের মাধ্যমে। আর্তুগ্রুল গাজি নামের এক মহান যোদ্ধা থেকেই এই সাম্রাজ্যের শুরু। প্রথম অবস্থায় তিনি ছোট একটি সাম্রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন যার আশপাশে ছিলো সেলজুক সাম্রাজ্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ও আনাতোলিয়া সাম্রাজ্য সহ বিভিন্ন অংশ। এরপর তারই ছেলে উসমান গাজি মসুলমানদের সঠিক খেলাফত উদ্ধার করে আনলেন।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে পূর্ব ইউরোপ পর্যন্ত ছিলো বিশাল উসমানী সাম্রাজ্য। ১ম উসমান থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে শেষের দিকে আসলেন সুলতান সুলেমান। তারা ক্ষমতায় ছিলো ৬০০ বছরের অধিক সময়।

অনেকে মনে করে সুলতান সুলেমান তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তার দুই ছেলেকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন। সবার মতে তার দুই ছেলে তারই মত সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ছিলো। তার ভুল বিবেচনা এবং অযোগ্য খেলাফতের কারনেই উসমানী সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিলো। সুলতান সুলেমান খেলাফত দিয়ে যান শাহজাদা সেলিমকে। পরবর্তীতে আসে ২য় সেলিম ও ৩য় মুরাদ। এরপর আসলো ৩য় মাহমুদ ও ২য় আহমেদ। এই ৩য় মাহমুদ তার ১৫ থেকে ২০ জন ভাইকে শুধু হত্যাই করেছে। তাহলে বোঝা যায় খেলাফত নিয়ে তারা কতটা হিংস্র হয়ে গিয়েছিলো। যাইহোক, অনেক লম্বা ঘটনা। উসমানী খেলাফতের পর আসলো বৃটিশরা। আমরা তাদের গোলামি করলাম ২০০ বছর।

আমরা মানি আর না মানি ধর্মের, বিজ্ঞানের এবং রাজনৈতিক শিক্ষা আমরা তাদের থেকেই শিখেছি। শিখেছি নির্বোধ হওয়া।

উসমানী খেলাফত পতনও করলো আবার কিভাবে ব্যঙ্গ করতে হয় তাও মুসলমানদের শিখিয়ে দিলো। নাম দিলো অটোমান অ্যাম্পায়ার। আমরা নির্বোধরাই মনে করি অটোমান হলো ইংরেজি নাম। আমরা যদি বোধ ওয়ালা প্রাণী হতাম তাহলে বুঝতাম মানুষের নামের কখনো বাংলা ইরেজি হয় না। একজন মানুষের নাম উসমান। অথচ তার নাম ব্যঙ্গ করে বলছি অটোমান। তারা আমাদের অজ্ঞ, বোকা ও মূর্খ বানিয়ে গেছে আর আমরাও সফল হয়েছি। বলতে পারবো নির্বোধ হওয়ার সর্বশেষ ক্লাস পর্যন্ত তো আমরা ছাত্র হতেই পারি। তারা আমাদের কি শিখাবে❓

অতএব এরা তারাই, যারা এবার বিজ্ঞানের শক্তি নিয়ে এসেছে। এরাই রোমান, ইহুদি ও খ্রিস্টান।

আমরা মনে করি তাদের রাজত্ব শেষ। সাম্রাজ্যবাদ অথবা উপনিবেশ নিয়ে যারা দুই কলম লিখছে তারা বুঝতেই চায় না, বিজ্ঞানের শক্তি কিন্তু তাদের হাতেই। তারা যতটুকু চেয়েছে এবং মানুষ কতটুকু শিখবে সেটা তারাই সেট করে রেখেছে টুইটার, গুগল অথবা উইকিপিডিয়াসহ সুন্দর সব নাম দিয়ে। তারা কিন্তু এখনো বলে আমরা যদি অপরাধ করি, নাফরমানি করি অথবা তোমাদের নবীদের নামে মন্দ কথা বলি; তাহলে তোমাদের স্রষ্টাকে বলো আমাদের ধ্বংস করে দিতে❗আমরাও নির্বোধের মত স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি। যখন কাজ হয় না, তখন আমরা স্রষ্টার ক্ষমতার ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ি। আবার অনেকে এটাও ভেবে নিয়েছে যে, স্রষ্টাকে বিশ্বাস না করে তারা হয়তো ভালোই করেছে। এগুলো নতুন কথা নয়। যারা বাস্তব ধর্ম পালন করে তারা জানে স্রষ্টার প্রতিটা কাজ কত নিখুঁত।

স্রষ্টা মানুষকে ধ্বংস করার জন্য সৃষ্টি করেন নাই। চরম বিপর্যয় সৃষ্টি ছাড়া স্রষ্টা কোনো অবাধ্য জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেন না।

সকল নবী ও রাসূলগনের প্রার্থনা এটাই ছিলো যে, কোনো কাফেরও যেনো আজাবে পতিত না হয়। এজন্যই যেসব জনপদে ওলী-আউলিয়ারা অবস্থান করেন, মহান আল্লাহ সেখানে আযাব-গজব দিতে চান না। বাস্তব ধর্ম থেকে দুরে সরে যাওয়ার কারনেই মানুষ মহান আল্লাহকে বিশ্বাস করতে পারছে না। যারা ওই স্বভাব ধারন করেছে তারাই এসব উল্টো পাল্টা ও ভুলভাল কথা বলে। আর যারা সত্য অস্বীকার করছে পবিত্র কুরআনে তাদেরকে কাফের নাম দেওয়া হয়েছে। তাদের গল্প বলেন, লিখেন কোনো অসুবিধা নাই। তবে নির্বোধের মত তাদের স্বভাব ধারণ কইরেন না।

ফতোয়া একসময় তারাও দিয়েছে। যখন থেকে ফতোয়া ছেড়ে দিয়েছে তখনই তারা রাজত্ব পেয়েছে।

অতএব ফতোয়া দেন আর যাই করেন, এই কৃত্রিম ধর্ম থেকে বের হতে না পারলে মহান আল্লাহকে কখনোই সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। মহান আল্লাহকে অসুন্তুষ্ট করে সাহায্য চাওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই না। কৃত্রিম ধর্ম পালন করে যত সাহায্য চাইবেন তত গজব পড়বে। মুসলমানদের উপর মহান আল্লাহ চরমভাবে অসুন্তুষ্ট বাস্তব জীবনে আমরা কমবেশি সবাই দেখছি। আমরা পশ্চিমাদের গোলামি করছি একমাত্র তাসাউফ ছেড়ে দেওয়ার কারনে। আমরা যেই মহান মালিকের কথা বলছি, সাহায্য চাইছি; বাস্তবে সেই মহান মালিককেই অস্বীকার করছি। অতএব যার মালিক নাই তার কোনো রাজত্ব নাই।

কপি ইফতেখার আহম্মেদ। ১৮/৮/২০২৩

ইতিহাসের অমোঘ সত্য কথাটি মুসলিম জাতিকে জানতে এবং মানতেই হবে। (ধারাবাহিক পোস্ট নং ২০৫)। হযরত ওসমান দীর্ঘ ১২ বছর শাসন করেন...
04/26/2024

ইতিহাসের অমোঘ সত্য কথাটি মুসলিম জাতিকে জানতে এবং মানতেই হবে। (ধারাবাহিক পোস্ট নং ২০৫)।

হযরত ওসমান দীর্ঘ ১২ বছর শাসন করেন। হযরত ওসমান ছিলেন বনু উমাইয়া গোত্রের লোক। এই বনু উমাইয়া গোত্র চিরকাল দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) এর ঘোরতর শক্র ছিলেন। তাদের সাথেই দয়াল রাসূল পাক ( সাঃ) ২৭টি যুদ্ধ করেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন মোয়াবিয়ার পিতা আবু সুফিয়ান। আর দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) এবং মাওলা আলী ছিলেন কুরাইশ বংশের হাশেমি গোত্রের। এই হাশেমী গোত্র এবং উমাইয়া গোত্রের মধ্যে যুগ যুগ ধরে দ্বন্দ্ব এবং যুদ্ধ লেগেই থাকতো। দয়াল রাসূল (সাঃ) এর দাদা হযরত আবদুল মুত্তালিবের পিতার নাম ছিলো আবুল হাশেম, তার নামানুসারেই হাশেমী গোত্রের নাম প্রচলন হয়। অপরদিকে আবু সুফিয়ানের দাদার নাম ছিলো উমাইয়া, তার নামানুসারেই উমাইয়া গোত্রের নাম প্রচলন হয়। এই উমাইয়া ছিলো একজন মূর্তি পূজারী, দয়াল রাসূল (সাঃ) ও ইসলামের ঘোরতর শক্র এবং আশেকে রাসুল হযরত বিল্লাল ( রাঃ) এর নির্যাতনকারী মনিব। দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) এর আগমনের ( জন্ম) বহু পূর্ব থেকেই হাশেমী এবং উমাইয়া গোত্রের মধ্যে ক্বাবাঘর ও মক্কার শাসন ব্যবস্হা নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং যুদ্ধ লেগেই থাকতো। যার শেষ পরিনতি দাঁড়ায় কারবালার মতো নির্মম মর্মান্তিক ঘটনা। উমাইয়া ও আবু সুফিয়ান ছিলো দয়াল রাসূল পাক ( সাঃ) এর শক্র, মোয়াবিয়া ছিলো মাওলা আলীর শক্র এবং ইয়াজিদ ছিলো মাওলা ইমাম হোসাইনের শক্র। এটা বংশ পরম্পরায় যুগ যুগ ধরে দ্বন্ধটা চলে আসছিলো। অবশেষে মক্কা বিজয়ের পর উমাইয়া গোত্রের প্রায় সবাই নিজেদের জান এবং মাল বাঁচাইতে নিরুপায় হয়ে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে অন্তরে মোনাফেকি রেখে ইসলাম গ্রহণ করলো। শুরু হলো ইতিহাসের ভয়ংকর কালো অধ্যায়। আগে ছিলো কাফের এবং পরে নামেমাত্র ইসলাম গ্রহণ করে কৌশলে মোনাফেকি শুরু করে দেয়। এই উমাইয়া গোত্রের মোনাফিকির কারণেই কারবালার প্রান্তরে দয়াল রাসূল পাক ( সাঃ) এর রেখে যাওয়া মোহাম্মদী ইসলাম রাষ্টীয় ব্যবস্হা থেকে চিরতরে ধূলিসাৎ হয়ে যায়। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পর ইয়াজিদের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্হাপনায় নতুন ইসলামের সূচনা লাভ করে। যা এখন পর্যন্ত বলবৎ রয়ে গেছে। তখন থেকেই ইয়াজিদের ইসলামে ঢুকে যায় জ*ঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখল, ইলমে তাসাউফ বিহীন ইসলাম, মারামারি-হানাহানি, সূক্ষ্ণ সুকৌশল দয়াল রাসূল ( সাঃ) এবং আহলে বাইতকে অপমান করা ইত্যাদি। অথচ দয়াল রাসূল পাক ( সাঃ) এর ইসলাম ছিলো প্রেমের, মানবতার, সততা, ন্যায়নীতি, ইলমে তাসাউফ এবং উত্তম চরিত্রের। এইসব সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে আমরা নতুন ইসলামের সাথে ধীরে ধীরে পরিচিত হতে থাকি এবং যার পূর্ণাঙ্গ রুপ বর্তমানে দেখতে পাই।

হযরত ওসমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে মোয়াবিয়াকে ছয়টি দেশের প্রাদেশিক গর্ভণর নিযুক্তি করা হয়। এর আগে হযরত ওমর মোয়াবিয়াকে প্রথম সিরিয়ার গর্ভণর নিযুক্ত করে। মোয়াবিয়া ছয়টি দেশের গর্ভণর নিযুক্তি হওয়ার পর বিশাল ক্ষমতার অধিকারী হন। মোয়াবিয়ার কুপরামর্শে হযরত ওসমান রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্হায় সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদে বনু উমাইয়া গোত্রের লোকদের বসানো হয়। মোয়াবিয়ার সুপারিশেই দয়াল রাসূল পাক ( সাঃ) এর ঘোরতর দুশমন মারওয়ানকে হযরত ওসমান তার রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ করে। এই পদটি ছিলো খুবই গুরুত্ব এবং তাৎপর্যপূর্ণ। এই মারওয়ানকে দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। হযরত আবু বকর ও ওমরের শাসনামলে এই মারওয়ান মক্কায় এবং মদিনায় ঢুকতে পারিনি। সেই কুচক্রী মারওয়ানকে হযরত ওসমান মোয়াবিয়ার অনুরোধে সরাসরি তার রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ করে। যে মারওয়ানের দেশে প্রবেশ করার অনুমতি ছিলো না, সেই মারওয়ান ঘটনাচক্রে মসনদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে বসে। শুরু হয় ষড়যন্ত্রের নতুন করে চূড়ান্ত বুনোজাল। এই মারওয়ান পরবর্তীতে মোয়াবিয়া এবং ইয়াজিদের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে যায়। এই মারওয়ানের কুপরামর্শেই ইয়াজিদ কারবালায় মাওলা ইমাম হোসাইনকে নির্মমভাবে শহীদ করে। মূলত কাফের ইয়াজিদ ছিলো মারওয়ানের নিকট নাচের পুতুল। মারওয়ানের পরামর্শ ছাড়া ইয়াজিদ একবিন্দু পথ চলতে পারতো না। ইয়াজিদ মারা যাওয়ার পর এই মারওয়ান ইয়াজিদের স্ত্রীকে বিবাহ করে রাষ্টীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। একবছরের মাথায় স্বীয় স্ত্রীর দ্বারা মারা যায়।

হযরত ওসমানের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় খেলাফতের সকল জায়গায় বনু উমাইয়া গোত্রের লোকজন পাকাপোক্ত শক্ত ঘাঁটি স্হাপন করে বসে। আর দয়াল রাসূল পাক ( সাঃ) এর হাশেমী গোত্রের মানুষকে মূলত রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্হা থেকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এটাই ইতিহাসের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। মিরজাফর যেমন শুধুমাত্র নামেমাত্র নবাব ছিলো, মূলত শাসন ব্যবস্হা পরিচালনা করতো ইংরেজরা। ঠিক তেমনিভাবে হযরত ওসমান ছিলো নামেমাত্র খলিফা, মূলত মোয়াবিয়ার আদেশেই খেলাফতের শাসন ব্যবস্হা পরিচালিত হতে থাকে। হযরত ওসমান কার্যত মোয়াবিয়ার নাচের পুতুলে পরিণত হয়। হযরত ওসমান কুচক্রী মারওয়ান এবং মোয়াবিয়ার পরামর্শেই পরিচালিত হতে থাকে। ফলে হাশেমী গোত্রের মানুষ এবং মাওলা আলীর একনিষ্ঠ ভক্তরা মোয়াবিয়া ও বনু উমাইয়া শাসকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। তাছাড়া হযরত ওসমানের শাসনামলে মোয়াবিয়া, মারওয়ান এবং বনু উমাইয়া গোত্রের প্রাদেশিক গর্ভণররা দূর্ণীতির আখড়া বানিয়ে ফেলে এবং মাওলা আলী ভক্তদের উপর নির্যাতমের স্টিমরোলার চালায়। ফলে মাওলা আলীর একনিষ্ঠ ভক্ত মুমিন সাহাবী এবং সাধারণ প্রজারা হযরত ওসমানের শাসন ব্যবস্হার উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে। তাঁরা মোয়াবিয়াসহ সকল দূর্ণীতি পরায়ণ প্রাদেশিক গর্ভণরের বিরুদ্ধে হযরত ওসমানের নিকট বিচার দেয়। তখন হযরত ওসমান মোয়াবিয়াসহ সকল দূর্ণীতিবাজ প্রাদেশিক গর্ভণরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সম্মত হয়। কিন্তু কুচক্রী মারওয়ান হযরত ওসমানের সীলমহর ব্যবহার করে সবকিছু ঘোলাটে করে ফেলে। জীবনের শেষ সায়াহ্নে বৃদ্ধ অবস্থায় হযরত ওসমান কুচক্রী মোয়াবিয়া এবং মারওয়ানের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে। ফলে নতুন করে জলিল কদর বিখ্যাত মুমিন সাহাবী হযরত মালেক আসতার এবং হযরত আবু ওবায়দের নেতৃত্ব নতুন করে আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। হযরত মালেক আসতার এবং আবু ওবাায়েদ সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলীর প্রধান সেনাপতি ছিলো। সিফফিনের যুদ্ধে হযরত আবু ওবায়েদ মোয়াবিয়া বাহিনীর হাতি উঁচু করে ছুঁড়ে মেরেছিলো। হাযরত আবু ওবায়েদের ছেলে মুখতার সাকাফি এবং হযরত মালেক আসতারের ছেলে ইব্রাহিমের নেতৃত্বে মাওলা ইমাম হোসাইনের হ*ত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করে। মোয়াবিয়া এবং মারওয়ান যখন বুঝতে পারে তাদের ক্ষমতা নিশ্চিত চলে যাবে, তখন মোয়াবিয়ার নির্দেশে মারওয়ান প্রাসাদে তার নিজস্ব অনুচর দিয়ে ১২ই জিলহজ্ব হযরত ওসমানকে হ"ত্যা করে। মারওয়ান কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে হযরত ওসমানের হ"ত্যার দায়ভার মাওলা আলীর উপর চাপিয়ে দেয়। নতুন করে ঘটনার মোর ভিন্নদিকে ধাবিত হতে থাকে।

দয়াল রাসূল পাক ( সাঃ) ওফাত হওয়ার পর বনু সকিফায় হযরত আবু বকর বনু উমাইয়া গোত্রের সমর্থনে খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মাওলা আলী রাষ্টীয় খেলাফত ব্যবস্হা থেকে সম্পূর্ণ দুরে সরে যায়। একাকী নিরিবিলিতে ইবাদত বন্দেগিতে দিন পার করে এবং রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্হায় না আসার জন্য ঘোষণা করে। কিন্তু হযরত ওসমান মারা যাওয়ার পর সকল মুমিন সাহাবী এবং সাধারণ মানুষের অনুরোধে মাওলা আলী খলিফা হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে। মাওলা আলী খলিফা হওয়ার ফলে মোয়াবিয়ার সকল আশা ধূলিসাৎ হয়ে যায়। কারণ মোয়াবিয়া জানতো এবং বিশ্বাস করতো মাওলা আলী খলিফার দায়িত্বভার গ্রহণ করবে না। ফলে ওসমানকে হ*ত্যা করতে পারলে নিশ্চিত মোয়াবিয়া খলিফা হয়ে যাবে। মাওলা আলী খলিফার হওয়ার সাথে সাথে মোয়াবিয়া মা আয়েশাকে ভুল বুঝিয়ে মাওলা আলীর সাথে জঙ্গে জামাল যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই মাওলা আলীর বাণী মোবারক শুনে মা আয়েশা যুদ্ধ ত্যাগ করে এবং মাওলা আলী তাকে স্বসম্মানে বাড়ীতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু মোয়াবিয়া মাওলা আলীর সাথে যুদ্ধ চালিয়েই যায়। মোয়াবিয়া যখন বুঝতে পারে নিশ্চিত পরাজয়, তখন সে যুদ্ধের মাঠ থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কিছুদিন পর মোয়াবিয়া আবারও মাওলা আলীর সাথে সিফফিন নামক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। এবারও মোয়াবিয়া চূড়ান্ত পরাজয়বরণ করে যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যায়। মোয়াবিয়া এবং মারওয়ান তখন নতুন করে মাওলা আলীকে হ*ত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। মারওয়ানের পরামর্শে মোয়াবিয়ার নির্দেশে কোরআনের হাফেজ মোনাফেক সাহাবী আবদুর রহমান মুলজিমকে দিয়ে নামাজরত অবস্থায় মাওলা আলীকে হ*ত্যা করায়। মাওলা আলী শহীদ হওয়ার পর সকলের মতামতের ভিত্তিতে মাওলা ইমাম হাসান খলিফা হয়। এবারও মোয়াবিয়া এবং মারওয়ানের সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মোয়াবিয়া এবার খেলাফতের ছয়মাসের মাথায় মাওলা ইমাম হাসানের সাথে যুদ্ধ করে খেলাফত কেঁড়ে নেয়। মাওলা ইমাম হাসান মুসলিম বিশ্বের শান্তির জন্য মোয়াবিয়ার সাথে সন্ধি চুক্তি করে। সন্ধি চুক্তি অনুযায়ী মোয়াবিয়ার মৃত্যুর পরে মাওলা ইমাম হোসাইনের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। পরবর্তীতে মোয়াবিয়া ষড়যন্ত্র করে মাওলা ইমাম হাসানকে স্বীয় স্ত্রীর মাধ্যমে বিষ প্রয়োগে হ"ত্যা করে। মোয়াবিয়া মৃত্যুর আগ মুহুর্তে মারওয়ানের পরামর্শে চুক্তি ভঙ্গ করে ইয়াজিদকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে যায়। কিন্তু মক্কা এবং মদিনার গর্ভণর ইয়াজিদকে খলিফা হিসাবে মেনে নেয় না। আর সকল প্রাদেশিক গর্ভণর ইয়াজিদের নিকট বায়াত গ্রহণ করে এবং খলিফা হিসাবে মেনে নেয়। মাওলা ইমাম হোসাইন ইয়াজিদকে খলিফা হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করে, ফলে ইয়াজিদ কারবালার মাঠে মাওলা ইমাম হোসাইনকে শহীদ করে। তখন থেকেই শুরু হয় ইসলামের ইতিহাসের ভয়ংকর কালো অধ্যায়। অধম পাপী কেঁদে বুক ভাসায় নয়ন জলে, মাওলা আলী ঠাঁই দিও তোমার চরণতলে। যতোদিন বাঁচবো তোমার গোলামি করেই বাঁচবো। আর যখন মরবো, তখন তোমার নাম নিতে নিতেই মরবো।

সকল আহেল বাইতের গোলাম বিনা অনুমতিতে এই পোস্ট কপি করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

প্রচারে: "আহলে বাইত (আ:) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ" একটি অনলাইন ভিত্তিক গোলামি সংগঠন। আপনি অনলাইনে আহলে বাইতের গোলামি করতে চাইলে মেসেঞ্জারে নক দিন।।

Address

New York, NY
10029

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সুফিবাদী জ্ঞানের শহর posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সুফিবাদী জ্ঞানের শহর:

Videos

Share

Nearby media companies