10/10/2024
খিলাফত কিভাবে এই ধরণের মুদ্রাস্ফীতি ডিল করবে?
:: আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছর ::
:: টাকা ছাপিয়ে ঋণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি::
- যুগান্তর, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪
২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ১৫ বছরে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এবং সরকারের ব্যয় মেটাতে ১ লাখ ৩২ হাজার ২২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এমনকি ২০২৪ সালে ঠিক যখন মুদ্রাস্ফীতি তুঙ্গে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, তখনই সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাসের তোয়াক্কা না করে হাসিনা তার লুটেরা সরকারের পাহাড়সম ব্যয় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় ৪১,০০০ কোটি টাকা।
মোট দেশজ উৎপাদন যখন বাড়ে না কিন্তু তার বিপরীতে টাকা ছাপানো হয়, তখন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়েছে। কিন্তু এর বিপরীতে উৎপাদন বাড়েনি। ফলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, যা বিশেষ করে স্বল্প-আয়ের মানুষকে নিষ্পেষিত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে ভঙ্গুর করে তুলেছে।
এরকম ঘটনা হাসিনার জন্য যেমন নতুন না, তেমনি অনেক দেশের অনেক শাসকই এভাবেই সাধারণ মানুষের তোয়াক্কা না করে টাকা ছাপিয়েই থাকে।
খিলাফত কিভাবে এই ধরণের মুদ্রাস্ফীতি ডিল করবে?
ইসলামে কাগজের মুদ্রার (Fiat Currency) কোন স্থান নেই, যার অন্তর্নিহিত মূল্য (Intrinsic Value) নেই। খিলাফত রাষ্ট্রের মুদ্রা হল সোনার দিনার ও রূপার দিরহাম। শরীয়াহ অনুযায়ী, এক দিনার ৪.২৫ গ্রাম সোনা এবং এক দিরহাম ২.৯৭৫ গ্রাম রূপা দ্বারা গঠিত। স্বর্ণ ও রৌপ্যভিত্তিক মুদ্রা সরকারী ব্যয়ের উপর শৃঙ্খলা আরোপ করে, কারণ স্বর্ণ ও রৌপ্য দুর্লভ। আর তাই এক্ষেত্রে যেকোন কারণ দেখিয়ে সরকার টাকা ছাপাতে পারে না। এইভাবে, খিলাফতের স্থিতিশীল স্বর্ণ ও রৌপ্যভিত্তিক মুদ্রা জনগণকে সাধারণ মুদ্রাস্ফীতি থেকে রক্ষা করে।
কাগজের মুদ্রার উপর নির্ভরশীল পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে দেখা যায় মুদ্রা ক্রয় ক্ষমতা (Purchasing Capacity) হারায় কারণ তা সরকারি মদদে ক্রমাগতভাবে বেশি ছাপানো হয়। পক্ষান্তরে আজ অবধি, পৃথিবীতে উৎপাদিত প্রায় সমস্ত সোনা এবং রূপা নিরাপদ এবং স্থিতিশীল। কয়েক শতক ধরে উৎপাদনে দ্রুত ওঠানামা সত্ত্বেও, যেহেতু স্বর্ণ ও রৌপ্য স্বাভাবিকভাবে বিরল এবং মূল্যবান তাই এই মুদ্রা মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম।