08/11/2016
বড় হামলার প্রস্তুতি, জেএমবি ও এবিটির ৬ সদস্য আটক
-----------------------
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জেএমবি পরিচালিত “আত-তামকীন” জঙ্গি সাইটের এ্যাডমিন
ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান@সিফাত(২৭), ও জেএমবির স্লিপার সেল এর ০৫ সদস্যসহ সর্বমোট ০৬ জনকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ আটক করা হয়েছে।
মূলত ‘‘আত-তামকীন’’ জেএমবি কর্তৃক পরিচালিত একটি জঙ্গি ওয়েব সাইট। এদেশীয় জঙ্গীরা তাদের বিভিন্ন জঙ্গী হামলার সংবাদ ও ছবি "আত-তামকীন” নামক একটি সাইট এর মাধ্যমে প্রকাশ করে। বিভিন্ন হামলা সংগঠনের পর অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলা সংক্রান্ত সংবাদ ও ছবি “আত্ধসঢ়;-তামকীন” এ আপলোড করে থাকে। এছাড়াও এ সাইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক
সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রচার-প্রসার এর জন্য আইএস কর্তৃক সংগঠিত বিভিন্ন
হামলার সংবাদ বাংলায় অনুবাদ করে নিয়মিতভাবে প্রচার করে থাকে। আইএস এর বরাত
দিয়ে দায় স্বীকারের উদ্দেশ্য মূলত প্রচার বেশি পাওয়া এবং ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা।
জানা যায় যে, এবিটি (অইঞ) এবং জেএমবি (ঔগই) এর শীর্ষ নেতাদের
নেতৃত্বহীনতার কারণে তারা নিজেদের মধ্যে এক রকমের সমঝোতায় আসে এবং
“দাওলাতুল ইসলাম” এর ব্যানারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এক্ষেত্রে
“আত-তামকীন” এই সংগঠনের মিডিয়ার কাজ করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
অতি সম্প্রতি জেএমবির দুটি গ্রুপ দাওলাতুল ইসলামের ব্যানারে হলি
আর্টিজান রেস্তোরা ও শোলাকিয়ায় নাশকতা সংগঠিত করে এবং পরবর্তীতে
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত আলামত নিয়ে কাজ শুরু করে র্যাব।
র্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, জেএমবি’র এরকম আরও বেশ কিছু গ্রুপ
নাশকতার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে এবং যেকোন স্থানে তারা নাশকতামূলক
কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। এই প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত
০৯ আগস্ট ২০১৬ তারিখ রাত ১০.০০ ঘটিকার সময় বিমান বন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে (১)
জাহিদ আনোয়ার @ পরাগ (২২), পিতা-মৃত জলিলুর রহমান, সাং-জোনাইল, থানা-
মাদারগঞ্জ, জেলা-জামালপুরকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে পরাগের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে
আরও দুইটি অভিযান পরিচালনা করে রাত ০২ টায় গাবতলী আল-আরাফাত খাবার হোটেল
থেকে (২) মোঃ তাজুল ইসলাম @ তাজুল (২৯), পিতা-মোঃ আব্দুর রহমান হাওলাদার,
সাং-পশ্চিম রামভদ্রপুর, থানা-ভেদেরগঞ্জ, জেলা-শরীয়তপুর (৩) জাহিদ হাসান @ মাঈন
(২১), পিতা-মৃত খলিলুর রহমান হাওলাদার, সাং-রামভদ্রপুর, থানা-ভেদেরগঞ্জ, জেলা-
শরীয়তপুরকে গ্রেফতার করে এবং অদ্য ১০ আগস্ট ২০১৬ তারিখ ভোর ৫টায় শাহআলী
মাজারের পিছনের একটি ভাড়া বাসা (বাসা নং ১২, রোড-২, উত্তর বিসিল, ওয়াড-৮,
ব্লক-খ, থানা-শাহআলী, মিরপুর-১) থেকে (৪) দাওলাতুল ইসলামের মুখপাত্র “আত-
তামকীন” জঙ্গি সাইটের এ্যাডমিন (৪) ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর
রহমান@সিফাত(২৭), পিতা-একেএম মোশায়ক হোসেন, সাং-খোন্তকাটা লক্ষীপুর,
থানা-বেতাগী, জেলা-বরগুনা (৫) মোঃ জিয়াবুল হক @ জিয়া (২৪), পিতা-মোঃ নবী
হোসাইন @ ছন্না, সাং-মজাহারদী, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহ, এবং (৬)
মোঃ নয়ন হোসেন (২১), পিতা-মোঃ মোতাহার আলী, সাং-টেবিলা, থানা-সুজানগর, জেলা-পাবনা
দেরকে গ্রেফতার করে। যারা ইতোমধ্যে আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রস্তুত বলে জিজ্ঞাসাবাদে
জানা যায়। তাদেরকে তল্লাশী করে ০২টি পিস্তল, ০২টি ম্যাগাজিন, ০৭ রাউন্ড গুলি,
১৩টি ডেটোনেটর, ৩৪টি সার্কিট, ০৪টি চাপাতি, ০৫টি ছোট চাকু, ০১টি
করাত, ০৯টি আইডি, ০৫টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ০৬টি মোবাইল, ১২টি চকলেট
বোম্ব, ১০০ গ্রাম বারুদ, ০৪ গ্রাম পাওয়ার জেল, ০৮ গ্রাম সাদা গান পাউডার, ০৫
গ্রাম লাল গান পাউডার, ০২টি মানি ব্যাগ, ০১টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, ০১টি তমা
ট্রেনিং স্কুল কার্ড, ০৪টি ব্যাগ এবং নগদ ১১৩৭ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, এই ০৫ জন সদস্য জেএমবির
সাথে সম্পৃক্ত ও ০১ জন অইঞএবং ইতোমধ্যে তারা আত্মঘাতী হামলার জন্য পূর্ণ
প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তাদের আমীরের নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো স্থানে
যেকোনো সময় নাশকতার জন্য অপেক্ষমাণ আছে।
সমগ্র বাংলাদেশে এই জঙ্গি সংগঠনের স্লিপারসেল এর বেশ কিছু সদস্য
বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নাশকতার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন-ফেইসবুক, রসড় ইত্যাদির মাধ্যমে
এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যগণ যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
অনুসন্ধানে এই দলে নারী সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। জঙ্গি হামলার পর
“আত-তামকিন” নামক ওয়েব সাইটের মাধ্যমে মিডিয়াতে নিজেদেরকে ওঝ
হিসাবে সম্প্রচার করে। জঙ্গি হামলা সংগঠনের পর আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন
ওঝ ব্যানারে প্রকাশ করার মূল উদ্দেশ্য জঙ্গি হামলাকে আলোচনার
কেন্দ্রবিন্দুতে আনা। তবে বাংলাদেশের এ সকল জঙ্গি সংগঠনের সাথে আন্তর্জাতিক
জঙ্গি সংগঠনের এখন পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগের কোন প্রমান পাওয়া যায় নাই।
এ ক্ষেত্রে “আত-তামকীন” এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কতগুলো গ্রুপে কাজ করে
থাকে। এর মধ্যে একটি গ্রুপ অনুবাদের কাজ করে, একটি গ্রুপ ফটোশপ এর কাজ
করে, একটি গ্রুপ ভিডিও এডিটিং এর কাজ এবং অবশিষ্ট গ্রুপ প্রচার এর কাজে
নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন সময় হত্যাকান্ডের পর পর “আত-তামকীন” আইএস এর
পক্ষে বাংলায় দায় স্বীকার করে। তবে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,
তারা মূলত জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম
এর সদস্য। জেএমবি এর সদস্যরা নিজেদেরকে “দাওলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ”
এর সদস্য বলে দাবি করে। জানা যায় দাওলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ এর সদস্য কর্তৃক
এখন পর্যন্ত ১১টি হামলা পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে সংগঠিত জঙ্গি হামলা,
মাদারীপুরে শিক্ষকের উপর সংগঠিত জঙ্গি হামলা আন্তর্ভুক্ত।
এই সকল জঙ্গি সংগঠন প্রথমত দাওয়াতের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করে থাকে।
এক্ষেত্রে দাওয়াত দুই রকম হতে পারে। সরাসরি ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দাওয়াত
অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (ফেইসবুক) দাওয়াত। দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে
উক্ত ব্যক্তির মনোভাব যাচাই করা হয়। এটা হতে পারে উক্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি কথা বলে
অথবা উক্ত ব্যক্তির ফেইসবুকে কোন ধরনের পোস্ট পছন্দ করে তার উপর ভিত্তি করে। প্রাথমিক
যাচাই শেষে উক্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। যদি ফেইসবুকে পরিচয়
হয় তবে তাকে গ্রুপের সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হয় এবং গ্রুপে ইসলাম,
জিহাদ, ওঝওঝ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি দেওয়া হয় এবং সদস্যদের উক্ত তথ্যাদি অন্যান্য
ফেইসবুক সাথে করতে বলা হয়। যখন সদস্যগণ সক্রিয়ভাবে এ সকল
কার্যে অংশগ্রহণ করে তখন নেতৃস্থানীয় অশযর (ভাইগণ) তাদের সাথে স্বশরীরে, ফোনে
অথবা অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ করেন এবং প্রয়োজনে এ সকল লোকদের জন্য
আর্থিক সুবিধা এমনকি চাকুরির ব্যবস্থা করা হয়। সদস্যগণ যখন এই
রূপ সক্রিয় অবস্থানে থাকে তখন তাদেরকে ঞবষবমৎধস নামক সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যমে ঝবপৎবঃ এৎড়ঁঢ় এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উক্ত গ্রুপে অন্তর্ভূক্তির
পূর্বে সদস্যদেরকে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আকিদাগত তথ্যাদি দিতে হয়। পরবর্তীতে
উক্ত তথ্যসমূহ পর্যালোচনার ভিত্তিতে সদস্যদেরকে টেলিগ্রাম গ্রুপে অন্তর্ভূক্ত করা
হয়। উক্ত গ্রুপে ওঝওঝ, দ্বীন, জিহাদ ইত্যাদি সম্পর্কে ঢ়ড়ংঃ ও ভিডিও দেওয়া হয়। একই
সাথে উক্ত গ্রুপের সদস্যগণ অডিও ক্লীপ এর মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। তবে
এখানে গ্রুপের সদস্যগণ সবসময় একাধিক ছদ্মনাম ব্যবহার করেন এবং একজন
অপরজন এর পরিচয় সম্পর্কে অবগত নন। গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিগণ সদস্যদের
গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন এবং যখন কোন সদস্যকে অত্যন্ত বিশ¡স্ত মনে হয় তখন
তাকে ঞযৎববসধ নামক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অপর গোপনীয় গ্রুপে
অর্ন্তভুক্ত হয়। যখন কোন সদস্য জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তখন উক্ত সদস্যকে
পর্যবেক্ষণ রেখে বিশ¡স্ততার ভিত্তিতে ঞযৎববসধ’তে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত
সদস্যর সাথে গ্রুপের আমির বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ যোগাযোগ করেন এবং
তাকে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। প্রশিক্ষণের উপর নির্ভর করে তাকে আত্মঘাতী
হামলার/জিহাদের জন্য মনোনীত করে। এরপরই সে মিশনে বেরিয়ে পড়ে যাকে তারা হিযরত
নামে অভিহিত করে। সে হিযরতে বেরিয়ে গেলেই ঙভভষরহব হয়ে যায়। অর্থাৎ আমীর সহ
সকলের সাথেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মিশন শেষে সে নিরাপদে ফিরতে
পারলে কিছুদিন পর পুনরায় দলের সাথে যোগাযোগ করে।
সাধারণত তারা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে অথবা হিতাকাঙ্খিদের কাছ থেকে
ইয়ানত সংগ্রহ করে সংগঠন পরিচালনা করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, ধরা
পড়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে তারা তাদের আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়াটি ব্যাংক
অথবা বিকাশের মাধ্যমে সম্পন্ন করে না। এক্ষেত্রে তারা নতুন পদ্ধতি যেমন-স্বর্ণ-
চোরাকারবারী প্রক্রিয়ায় অর্থ সংগ্রহ করে। এর সুবিধা হলো যদি কেউ কখনো
আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তবে তাকে জঙ্গি হিসেবে নই চোরাকারবারী
হিসেবে চালিয়ে দেয়া সহজ হয়। সাধারণত আমীর’ই তাদের আর্থিক কর্মকা-
নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন।
মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক এর উপর জঙ্গি হামলায় আবরার, নিরব এবং ওসামা নামক
তিন ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রাপ্ত তথ্য মতে আবরার, ওসামা, আব্দুর রহমান ও
নিরব নামক ব্যক্তিসহ মোট ০৪ জন উক্ত অপারেশনের জন্য সিলেটে একত্রে মিলিত হয় এবং
উক্ত জঙ্গী আক্রমনের পরিকল্পনা করেন। এক্ষেত্রে প্রথমে ওসামা, আবরার ও নিরব সিলেটে
অবস্থান করেন। আব্দুর রহমান বিশেষভাবে গ্রুপের আমির কর্তৃক নির্বাচিত হয়
এবং ওসামা, আবরার ও নিরবের নিকট যোগাযোগ করতে বলা হয়। সুনির্দিষ্ট দিনে
আব্দুর রহমান উক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে এবং বলে যে, সে সাদা প্যান্ট, সাদা
শার্ট পরিহিত অবস্থায় সিলেটে পৌছাবে। উক্ত কথোপকথনের পর আব্দুর রহমান
মোবাইল বন্ধ করে দেয় এবং মোবাইল হতে সিম কার্ডটি খুলে ফেলেন। আব্দুর রহমান
একতা নামক বাসে করে সিলেটে পৌছায় এবং উপরোল্লিখিত তিন ব্যক্তির সাথে
যোগাযোগ করেন। নিরাপত্তার সার্থে তারা কোন হোটেলে অবস্থান করেনি। উক্ত চার
ব্যক্তি হযরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজারে এবং মাজারের আশে পাশে ঘোরাঘুরি করে সময়
অতিবাহিত করেন। পরবর্তীতে নিরাপত্তার খাতিরে আমিরের নির্দেশে আব্দুর রহমানকে
উক্ত অপারেশন হতে সরিয়ে নেয়া হয় এবং তাকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য নির্দেশ
দেয়া হয়। আব্দুর রহমানকে অন-লাইনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেওয়া
হয় এবং পরবর্তী হিজরতের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় যে,
আব্দুর রহমান এর প্রকৃত নাম জিয়াবুল হক, সে ময়মনসিংহ জেলার তাঁরাকান্দা থানার
বাসিন্দা। সে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করে এবং পরবর্তীতে সংসারে অভাব
অনটনের কারণে ঢাকায় আসে এবং পোষাক কারখানায় কাজ নেয়। সে পূর্ব হতেই
জসিমউদ্দিন রহমানীর ভক্ত এবং জসিমউদ্দিন রহমানীর জিহাদী ভাষন দ্বারা উদ্দীপ্ত। জিয়াবুল
হক মোবাইল অ্যাপস্ধসঢ়; চালনায় অত্যন্ত দক্ষ এবং জানা যায় যে, যে কোনো কাজ একবার
দেখিয়ে দিলে তা পারদর্শিতার সাথে করতে সক্ষম। নিরব এবং ওসামা কলেজ শিক্ষকের উপর
জঙ্গি হামলার পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, নিরব সিলেটে
আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারদর্শী।