Rabi Ibn Safi

Rabi Ibn Safi Ashab-E-Kahf is just a name. It is named in honor of the cave history of Sura Al Kahf. And there are many mysteries in Al-Kahf. For our si

And here we will discuss Fitna, Dajjal power, Illuminati satanism, secularism and the unmasking of lies, InshaAllah.

শায়েখ হারুন ইজহারের জন্য আপনারা যতটুকু করেন অথবা করতে চান কিংবা যেভাবে তাকে মূল্যায়ন করেন অথবাআল্লামা মামুনুল হক্বের জন্...
06/04/2021

শায়েখ হারুন ইজহারের জন্য আপনারা যতটুকু করেন অথবা করতে চান কিংবা যেভাবে তাকে মূল্যায়ন করেন অথবা
আল্লামা মামুনুল হক্বের জন্য যতটুকু করেছেন/করছেন, ততটুকু কেন শায়েখ জসিমউদদীন রহমানীর জন্য করেন না? তার সিকিভাগও যদি করতেন তাও নিজেকে শান্তনা দিতে পারতাম। শায়েখ ত কখনও তাগুত্বের গোলামি করেননি আর না কখনও দালালদের মত বক্তব্য দিয়েছেন৷ তিনি ত মাদখালীও নন। বরং তিনি সেই যুদ্ধের অগ্রজ কমান্ডার যে যুদ্ধের বাস্তবতা আপনারা এখন অনুধাবন করছেন। শায়েখ জসিমউদদীন রহমানী স্পষ্ট ভাষায় সত্য উচ্চারণ করে পরিস্থিতি আর করনীয় তুলে ধরতেন৷ এটাই কি তার ভুল ছিলো? এটা ত কখনও ভুল হতে পারে না।
আল ওয়াল আল বারা কি শায়েখ জসিমউদদীন রহমানীর সময় আপনারা ভুলে যান?
আপনাদের নিকট আমি এই প্রশ্ন রেখে গেলাম...
©

26/03/2021

#এসো_জিহাদ_ফি_সাবিলিল্লাহের_ময়দানে।
আজ তথাকথিত স্বাধীনতার ৫০ দিবসে মালাউন মোদি কুকুরের জন্যে বাইতুল মোকাররমে অন্যায়ভাবে মুসল্লিদের উপর হামলা করে মালাউন মোদির কুকুরেরা।
এছাড়াও হাটহাজারী মাদ্রাসায় বেশকয়েকজন ভাইকে গুলিবিদ্ধ করা হয়।
হে ভাই! তুমি আজ খালি হাতে কেন!
তোমাকে তো রণক্ষেত্রে অস্ত্র সুসজ্জিত হয়ে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা:) এর মত বীর হয়ে থাকার কথা ছিলো।
হে ভাই দরবারের আলেমরা কি এখনও তোমাকে অন্ধ করে রেখেছে?
গনতান্ত্রিক আলেমরা কি এখনও তোমাকে বাতিলের দলে ডাকছে?
জেগে উঠো ভাই । হক্বের পথে বের হও। আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ কর জান্নাতের বিনিময়ে।
তোদের। হাতের কাছে যা পাও , এ'দাদ করো। তোমাদের কুঠার গুলো নিয়ে বের হও একসাথে । শিরচ্ছেদ করো বাতিলদের ও তাদের সাহায্যকারীদের।
আঘাত করো মুনাফিকদের। সুউচ্চে তুলে ধর তোমাদের ঝান্ডাগুলো । বের হয়ে যাও সত্য প্রতিষ্ঠার নূরের কাফেলায়।
নির্ভীকচিত্তে বের হও , আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন "তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও।"

🚫তাগুত কি❓ও এর প্রকারভেদঃ--- [Every Muslim must know about this topic] আরবি طاغوت এর মূল অর্থ সীমালঙ্ঘন করা৷ লিসানুল আরব...
04/03/2021

🚫তাগুত কি❓ও এর প্রকারভেদঃ---
[Every Muslim must know about this topic]

আরবি طاغوت এর মূল অর্থ সীমালঙ্ঘন করা৷ লিসানুল আরব অভিধান মতে-

كُلُّ مُجَاوِزِ حَدَّهُ فِي الـعِصْيَانِ طَاغِِ
"যে বা যারা আনুগত্যের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করে তারাই তাগুত৷"
তাগুত শব্দ এসেছে “তাগা” যার অর্থ “সীমা লংঘন করা”।
ঈমানের পূর্ব শর্ত সমস্ত তাগূতকে অস্বীকার করা৷

فَمن َيَّكْفُرْ بِالطَّاغُوْتِ وَيُؤْمِنْ بِاللّٰهِ فَقَدِسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوسْقٰي ـ
"সুতরাং যারা তাগুতকে অস্বীকার করবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে তারা আল্লাহর রজ্জুকে (দ্বীনকে) দৃরভাবে ধারণ করবে৷"
[সূরা বাক্বারা: ২৫৬]

এখানে প্রথমে তাগুতকে অস্বীকার করা, পরে ঈমান আনার কথা বলা হয়েছে৷ অর্থাৎ যে তাগুতকে অস্বীকার করবে সে-ই ঈমান আনবে অন্যথায় নয়।
আল্লাহ ছাড়া যা কিছুর উপাসনা করা হয় এবং যে এতে রাজি-খুশি থাকে, তাকে তাগুত বলা হয়। প্রত্যেক অনুসৃত অথবা আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য বাদ দিয়ে যাদের আনুগত্য করা হয় তাদেরকেও তাগুত বলা হয়।

মহান আল্লাহ বলেনঃ

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ اُمَّةٍ رَسُوْلًا اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ ـ
“আমি প্রত্যেক উম্মাত (জাতির) কাছেই রাসুল পাঠিয়েছি, যেন তারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাগুত থেকে বেচে থাকে। (সুরা আন-নাহলঃ ৩৬)

এখানেও তাগুতকে বর্জন করে আল্লাহর ইবাদত করতে বলা হয়েছে৷ واجتنبوا الطاغوت হলেই তাওহীদ অর্জন হবে বা ইমান অর্জন হবে, আর ইমান থাকলেই কেবল ان اعبدوا الله বা ইবাদত মনজুর হবে ৷ অন্যথায় সম্ভব নয়৷ তাগুত এবং তাওহীদ একইসাথে থাকা অসম্ভব৷
(ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য ঈমান রাখা শর্ত, ঈমানের শর্ত সমস্ত তাগুতকে বর্জণ করা৷)
মোটকথা ঈমান এবং ইবাদাতের গ্রহণযোগ্যতার জন্য সমস্ত তাগুতকে বর্জন করা শর্ত৷
অন্যথায় ঈমান আনাও হবে না, কোন ধরণের ইবাদাতও কবুল হবে না৷

⭕তাগুত অনেক প্রকারের আছে তার থেকে প্রধান ৫ প্রকার উল্লেখ করা হলোঃ-

⛔১. ইবলিশঃ সে আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদতের দিকে আহব্বান করে।

“হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
(সুরা ইয়াসিনঃ ৬০-৬১)

সুতরাং আল্লাহ ছাড়া যাকিছুর উপাসনা করা হয় এর মূলে রয়েছে ইবলিশ। সেই হচ্ছে সমস্ত শিরকের হোতা।

⛔২. আল্লাহর আইন বিরোধী শাসকঃ যে আল্লাহর বিধান পরিবর্তন করে দেয় এবং মানুষের বানানো শাসনতন্ত্র কায়েম করে। যেমন কেউ যদি বলে, “চোরের শাস্তি হাত কাটা বর্বরতা, হত্যার শাস্তি (কেসাস), জিনার শাস্তি (রজম) বর্তমান যুগে চলবেনা”... কিন্তু,
মহান আল্লাহ আল কুরআনে বলেন:-
"যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়।" (সূরা আল মায়িদাহ:-৩৮)

আল্লাহ আরো বলেছেন দেখুনঃ
“হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। হে বুদ্ধিমানগণ! কেসাসের মধ্যে তোমাদের জন্যে জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার।”
(সুরা বাকারাহঃ ১৭৮-১৭৯)

যারা আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে অন্য কারো আনুগত্য করতে নির্দেশ দেয় বা বাধ্য করে, আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে অন্য বিধান বানায় অতঃপর তা পালন করতে উৎসাহিত/বাধ্য করে এবং অন্ধকার বা গোমরাহীর দিকে আহ্বান/উৎসাহিত করে তারা তাগুত৷ যারা তাদেরকে অনুসরণ করে তারা তাগুতের অনুসারী। মহান আল্লাহ বলেন:-
"যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদানুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।"
(সূরা আল মায়িদাহ:-৪৫)

সুতরাং, মানব জীবনেরে যেকোন সমস্যায় কুরআনের ফায়সালা অনুযায়ী রাসূল (সাঃ)কে বিচারক সাব্যস্ত করে তার সমাধান করে নেয়া এবং সেমতে কাজ করা ফরয ৷ কুরআনের বাণীসমূহের উপর আমল করা মহানবী সাঃ এর যুগেই সীমিত নয় বরং তাঁর তিরোধানের পর শরীয়তের মীমাংসাই হলো তাঁর মীমাংসা৷ এবার আসুন দেখি আদৌ মানুষের ইচ্ছামতো বিধান তৈরী করার ক্ষমতা আছে কিনা ?
এবিষয়ে আল কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন:-
"আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।"
(সূরা ইউসুফ:-৪০)

[সূত্র: তাফসিরে মা'য়ারিফুল কুরআন]

এ সমর্থনে কুরানে এসেছে-
রাসূল এ উদ্দেশ্যেই প্রেরিত হয়েছে যে, আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তার আনুগত্য করা হবে৷ যখন কেউ নিজেদের প্রতি যুলুম করে তখন তারা রাসূলের নিকট আসলে, ক্ষমা চাইলে এবং আল্লাহর রাসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইলে তারা আল্লাহকেও তখন ক্ষমাশীল ওপরম দয়ালু পাবে ৷ কিন্তু না, আল্লাহর কসম! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের সৃষ্ট বিবাদ বিসম্বাদের বিচারভার রাসূল এর উপর অর্পণ না করে; অতঃপর রাসূলের সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তঃকরণে তা মেনে নেয়৷
[সূরা নিসা : ৬৪, ৬৫]

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
"তাগুত হচ্ছে ঐ সকল উপাস্য, নেতা-নেত্রী যাদের আনুগত্য করতে গিয়ে সীমালঙ্ঘন করা হয়। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে বাদ দিয়ে যাদের কাছে বিচার-ফায়সালা চাওয়া হয় অথবা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদাত করা হয়।"

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন-
ولهذا سمي من تحوكم إليه من حاكم بغير كتاب الله طاغوت.
" আর এ কারণেই যে ব্যক্তি কুরআনের নির্দেশিত বিধান ছাড়া বিচার-ফয়সালা করে, সে হচ্ছে তাগুত।"

[তাফসীরে ইবনে কাসীর: ২/২৯৪ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরূত)]
[মাজমূউল ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া: ২৮/২০১ (মাজমাউল মালিক ফাহাদ, মদীনা)]

▪️তাগুত এমন غيرالله যার নিকট বিচার ফায়সালা চাওয়া হয়৷
আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন-

يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوٓاْ إِلَى ٱلطَّٰغُوتِ وَقَدۡ أُمِرُوٓاْ أَن يَكۡفُرُواْ بِهِ.
"তারা তাগুতের নিকট বিচার ও ফয়সালা নিতে চায়; অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন তাকে অস্বীকার করে।" (সূরা নিসা, আয়াতঃ৬০)

আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. বলেন-

وقال مجاهد: الطاغوت الشيطان في صورة إنسان يتحاكمون إليه، وهو صاحب أمرهم.
অর্থাৎ মুজাহিদ রহ. বলেন, "তাগুত (মিথ্যা উপাস্য) হচ্ছে, মানুষরূপী শয়তান। যার কাছে মানুষ বিচার ফয়সালার জন্যে যায় এবং তারা তাকে অনুসরণ করে।"

▪️তাগুত এমন غيرالله যাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একদল প্রানান্তকর চেষ্টা করে৷ [সূরা নিসা : ৭৬]

হযরত ওমর রাঃ বলেন, "জ্বিবত্ অর্থ যাদু , তাগুত অর্থ শয়তান৷"
বুঝা গেল শয়তান খুশি হয়, এবং আল্লাহ নারাজ হন এমন কাজে আহ্বান করে/বাধ্য করে যে বা যারা তারাই তাগুত৷
নিশ্চয়ই ভ্রান্তি হতে সুপথ প্রকাশিত হয়েছে। অতএব যে তাগুতকে অবিশ্বাস করে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে সে দৃঢ়তর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরলো যা কখনও ছিন্ন হবার নয় এবং আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। (সুরা বাক্বারা-২৫৬ এর শেষাংশ)

আল্লাহ আরও বলেনঃ

ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟِﻰُّ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍ۟ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻬُﻢ ﻣِّﻦَ ﭐﻟﻈُّﻠُﻤَٰﺖِ ﺇِﻟَﻰ ﭐﻟﻨُّﻮﺭِ ۖ ﻭَﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭٓﺍ۟ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎٓﺅُﻫُﻢُ ﭐﻟﻄَّٰﻐُﻮﺕُ ﻳُﺨْﺮِﺟُﻮﻧَﻬُﻢ ﻣِّﻦَ ﭐﻟﻨُّﻮﺭِ ﺇِﻟَﻰ ﭐﻟﻈُّﻠُﻤَٰﺖِ ۗ ﺃُﻭ۟ﻟَٰٓﺌِﻚَ ﺃَﺻْﺤَٰﺐُ ﭐﻟﻨَّﺎﺭِ ۖ ﻫُﻢْ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺧَٰﻠِﺪُﻭﻥَ

"যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।"
(সূরা বাকারাঃ ২৫৭)

আল্লাহ অভিভাবক। তাগুতও অভিভাবক।
তাগুত জাহান্নামিদের অভিভাবক, যেখানে তারা চিরদিন থাকবে, কখনো মুক্তি পাবে না।

⛔৩. আল্লাহ যা অবতীর্ন করেছেন (কুরআন+সুন্নাহ) তা বাদ দিয়ে যে বিচারক/শাসক বা নেতাগন অন্য আইন/বিধান/সংবিধান দিয়ে ফয়সালা করে।

যেমন কুরান-হাদীস বিরোধী কোনো আইন রায়, কিয়াস, কারো ফতোয়া, অলিদের কথা, পীর মাশায়েখর কথা মানা, সংসদে আইন পাশ করে সমাজে চাপিয়ে দেয়া এবং বিজাতিদের মন গড়া সংবিধান মানা।
যেমন আল্লাহ বলেছেনঃ
“যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই কাফের”। (সুরা আল-মায়িদাহঃ ৪৪)

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম আল-হাম্বলী (رحيمه الله) বলেনঃ
"যারাআল্লাহ্‌ যা নাযিল করেছেন তা ব্যতীত অন্য কিছু দিয়ে শাসন করে তারা তাগুত।" (মাদারিজুস-সালিকিন )

শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব আল-হাম্বলী (رحيمه الله) বলেনঃ
"তাগুত হচ্ছে ঐ সকল মা’বুদ, নেতা, মুরব্বি, আল্লাহর পরিবর্তে যাদের আনুগত্য করা হয় এবং তারা এতে সন্তুষ্ট থাকে।” (মাজমাআতুত-তাওহীদ)

"সেই অত্যাচারী বিচারক, যে আল্লাহ্‌র বিচারে পরিবর্তন করে।"
[আদ-দারার আস-সুন্নিয়্যাহ, ভলিউম: ০১, পৃষ্ঠা: ১০৯-১১০]

আল্লামা শাব্বির আহমাদ উসমানি আল-হানাফী (رحيمه الله) বলেনঃ "হযরত শাহ সাহেব [মাওলানা শাহ আব্দুল কাদির দেহলাবি আল-হানাফী (رحيمه الله)] বলেন,
তাগুত হচ্ছে তারা, যারা ভিত্তিহীনভাবে নের্তৃত্বের দাবি করে। প্রতিমা, শয়তান, স্বেচ্ছাচারী শাসক সবই এর অন্তর্ভুক্ত।"
[তাফসীরে উসমানিঃ২/৫৪৫]

শাইখ মুহাম্মাদ আমিন শানকিত্বি আল-মালেকী (رحيمه الله) বলেনঃ "আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদাত করা হয় তারাই তাগুত। আর এই গাইরুল্লাহর ইবাদতের বড় অংশটাই হচ্ছে শয়তানের জন্য। কেননা শয়তানের আহবানে সাড়া দিয়ে কোন গাইরুল্লাহর ইবাদাত করা পরোক্ষভাবে শয়তানেরই ইবাদতের শামিল।"(তাফসীরে আদওয়াউল বয়ান: ১/২২৮)

মাওলানা মুহাম্মাদ মাসঊদ আযহার আল-হানাফী (دابت بركته) বলেনঃ
১.ইসলাম বিরোধী প্রত্যেক শক্তির নামই তাগুত।
২.তাছাড়া, তাগুত হলো সেইসব ব্যক্তি যারা মানুষকে সত্য দ্বীন থেকে বিপথগামী করে-হোক সে মানুষ অথবা জ্বীন।
৩.যারা ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে-সেই ধরনের প্রত্যেক ব্যক্তিই তাগুত।
৪.তাগুত হলো সেইসব সিস্টেম বা পদ্ধতি যার ছত্রছায়ায় কুচক্রী মানুষগুলো একত্রিত হয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষরযন্ত্রে লিপ্ত থাকে অথবা যুদ্ধ করে।
৫.আরো, তাগুত হচ্ছে সেইসব প্রতিষ্ঠানের নাম যেখানে সত্য দ্বীন বিরোধী নিত্য-নতুন বিভাগ ও ফিরকার উদ্ভব ঘটে।

শয়তান এবং মিথ্যা উপাস্যগুলোকে (হোক মানুষ অথবা জ্বিন) তাগুতের প্রধান অর্থ বুঝালেও, এর পাশাপাশি তাগুত হচ্ছে পৃথিবীর সেইসকল ক্ষমতাসীন মানুষ যারা তাদের সমস্ত বাতিল শক্তির মাধ্যমে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে, ইসলামি শরীয়তের আইনের বাস্তবায়নকে রুদ্ধ করে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সাহায্য করে। (আল্লাহই ভালো জানেন)
[ফাতহুল জাওয়াদ ফী মা’আরিফ আয়াতুল জি (হা) দ, পৃ: ৩৭৫-৩৭৬]

⛔৪. যে “ইলমে গায়েব” বা অদৃশ্য জ্ঞানের দাবী করে সে তাগুত।
এদের মাঝে রয়েছে জ্যোতিষী, গণক, রাশি-চক্র ইত্যাদি।

যেমন আল্লাহ বলেনঃ
“তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানেনা। স্থলে ও জলে যা আছে, একমাত্র তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না, কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না, কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে”। (সুরা আনআ’মঃ ৫৯)

⛔৫. আল্লাহ ছাড়া সকল মাবুদই তাগুত। আল্লাহ ছড়া যার ইবাদত/পূজা/উপাসনা করা হয়, এবং এতে যে রাজী-খুশি থাকে সে তাগুত। এদের মাঝে রয়েছে সেইন্ট, ঠাকুর, পীর-ফকির, ধর্মীয় গুরু, নেতা ইত্যাদি যাদেরকে পূজা করা হয়। যেমন আল্লাহ বলেনঃ
“তাদের মধ্যে যে বলে যে, তিনি (আল্লাহ) ব্যতীত আমিই উপাস্য, তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দেব। আমি জালেমদেরকে এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি”। (সুরা আল-আম্বিয়াঃ ২৯)

মালিক ইবনে আনাস রাঃ বলেন,
"আল্লাহ ব্যতীত যে সকল জিনিসের উপাসনা করা হয় সে সবই তাগুত৷"

তাগুত এমন غيرالله যাকে একনিষ্ঠ অনুসরণ করা হয় , অথচ তা হারাম ও নিষিদ্ধ ৷
[সূরা যুমার : ১৭]

তাগুত এমন غيرالله যার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করা হয়৷ [সূরা নিসা: ৫১]

বিঃ দ্রঃ
"তাগুত তাগুতই- সব যুগেই তার এই একই চরিত্র।
কেবল নাম ও ধরনটা পাল্টায়- চেতনা ও মানসিকতায় পরিবর্তন আসে না।"
বই: নবীজির( ﷺ) সাথে

নিজেকে ঈমানদার বলে দাবী করতে হলে সবার আগে তাগুতকে অস্বীকার করতে হবে!
ওয়াল্লাহি! তাগুতকে অস্বীকার করা ব্যতীত, কেউ মুসলিম হতে পারে না।

মূলঃ শায়খুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহহাব (রাহিমাহুল্লাহ)
(ঈষৎ সংযোজিত)

22/02/2021

"যে বলে ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা, সে দুই ইলাহের ইবাদতকারী।

তার এক ইলাহ আসমানের ওপর, আরেক জন জমিনে।"....
- শাইখ আব্দুল আযীয আত-তারীফি

⭕রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তিকারীর ব্যাপারে বিভিন্ন মাযহাবের বক্তব্য:-🟥[হানাফী মাযহাব]হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব ‘আল ...
21/02/2021

⭕রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তিকারীর ব্যাপারে বিভিন্ন মাযহাবের বক্তব্য:-

🟥[হানাফী মাযহাব]

হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব ‘আল বাহরুর রায়েক শরহু কানজুদ দাকায়েক’ কিতাবে বলা হয়েছে-
"যে ব্যক্তি রাসূল (সা.) কে গালি-গালাজ করবে সে অবশ্যই মুরতাদ। ইসলামী শরিয়তে মুরতাদের যে বিধান তার ব্যাপারে সেই বিধানই প্রযোজ্য হবে। মুরতাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয় তার ব্যাপারে সেই আচরণই করা হবে।"
"রাসূল (সা.) কে গালি-গালাজকারী মুরতাদ।"-

ইমাম আবু হানীফা (র.) থেকে যারা এই ফতোয়া বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন
কাজী ইয়াজ রহ.। তিনি তার ‘আল শেফা’ নামক কিতাবে বলেন- " আবু বকর ইবনুল মুনযির রহ. বলেছেন, অধিকাংশ আলেমগণ ঐক্যমত পোষণ করেন যে, 'যে বা যারা রাসূল (সা.) কে গালি-গালাজ করবে তাকে বা তাদেরকে হত্যা করা হবে।"
এ মত যারা পোষণ করেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, মালেক ইবনে আনাস রহ., লাইস রহ., আহমদ রহ., ইসহাক রহ. এবং এটাই "ইমাম শাফেয়ী" রহ. মাযহাব।
কাজী আবুল ফজল রহ. বলেন-
এটাই আবু বকর সিদ্দীক (রা.) এর বক্তব্যের মর্মকথা। তিনি বলেছেন এ ধরণের লোকদের তওবা গ্রহণযোগ্য হবে না।"
একই ধরণের মন্তব্য করেছেন ইমাম আবু হানীফা (র.) এবং তার মতের অনুসারীরা ঐ সকল লোকদের ব্যাপারে যারা রাসূল (সা.) কে
হেয় প্রতিপন্ন করলো অথবা গালি-গালাজ করলো অথবা রাসূল (স.) থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করলো।
(আল বাহরুল রায়েক ১৩/৪৯৬; অধ্যায় : মুরতাদদের বিধি বিধান)
হানাফী মাযহাবের আরেকটি প্রসিদ্ধ কিতাব 'ফাতাওয়ায়ে শামী'তে বলা হয়েছে-
"যারা রাসূল (সা.) কে কটাক্ষ বা গালী-গালাজ করবে তাদের হত্যা করার ব্যাপারে সমস্ত ওলামায়ে কিরাম একমত।"
ইমাম মালেক রহ.,লাইস রহ.,আহমদ রহ.,ইসহাক রহ., ইমাম শাফেয়ী রহ., ইমাম আবু হানীফা (র.) ও তার সাথীবর্গ এবং ইমাম আওযায়ী রহ. সকলেই একমত পোষণ করেন...।
(ফাতওয়ায়ে শামী ৪/৪১৭)
হানাফী মাযহাবের প্রসদ্ধি আলেম কাজী ইয়াজ (রহ.) বলেন-
"উম্মতের ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, রাসূল (সা.) কে গালি দেওয়া বা তাকে অসম্মান করার শাস্তি হচ্ছে হত্যা করা। এ ব্যাপারে সকলের ইজমা হয়েছে যে, যে ব্যাক্তি রাসূল (সা.) কে গালি দিবে বা তার অসম্মান করবে সে কাফের হয়ে যাবে এবং তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।"
(আস সারিমুল মাসলূল ১/৯)

🟥[শাফেয়ী মাযহাব]

শাফেয়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম ইবনুল মুনযির (রহ.) বলেন-
"যে ব্যক্তি সরাসরি রাসূল (সা.) কে গালি-গালাজ করবে তাকে হত্যা করা ওয়াজীব এবং এ ব্যাপারে সকলেই একমত।"
(কিতাবুল ইজমা ইমাম ইবনে মুনযির ১/৩৫)
শাফেয়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আবু বকর আল ফারেসী তার 'আল ইজমা' নামক কিতাবে বলেন-
"যে ব্যক্তি রাসূল (সা.) কে এমন কোন গালি দেয় যাতে অপবাদের বিষয় রয়েছে সে স্পষ্ট কুফুরি
করলো। সে তওবা করা সত্বেও তার হত্যার বিধান রহিত হবে না। কেননা রাসূল (সা.) কে অপবাদ দেওয়ার শাস্তি হলো হত্যা যা তওবা করা সত্বেও রহিত হয় না"
(আল মাজমূ’ লিন নাবাবী ১৯/৩২৬)
ইমাম খাত্তাবী রহ. বলেন-
"যারা রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটাক্ষ বা গালি-গালাজ করে তাদের হত্যা করা ওয়াজীব। এ ব্যাপারে কারো কোনো
দ্বিমত আছে বলে আমার জানা নেই।"
(আস সারেমুল মাসলূল ১/৯)

🟥[মালেকী মাযহাব]

"কোনো মুসলমান যদি রাসূল (সা.) কে কটাক্ষ বা গালি-গালাজ করে তাকে অবশ্যই হত্যা করা হবে তার তওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যদি
কোনো কাফের ঐ একই অপরাধ করে এবং পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করতে চায় সে ক্ষেত্রে দুটি মতামত রয়েছে। একটি হলো: সে ইসলাম
কবুল করলে তাকে ক্ষমা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, যদি ধরা পড়ার পূর্বেই নিজে সেচ্ছায় ধরা দেয় এবং তওবা করে। আরেকটি হলো: না! তাকেও ক্ষমা করা হবে না বরং হত্যা করা হবে।
(আত তালকীন ফী ফিকহিল মালেক ২/৫০৭)

"যে ব্যক্তি রাসূল (সা.) কে গালি-গালাজ করবে সে মুসলমান হোক বা জিম্মি (কাফের) হোক তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করা হবে। এ দুটি মতই ইমাম মালেক (র.) থেকে ইবনুল হাকাম ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন।’
(আল কাফী ফী ফিকহি আহলিল মাদিনাহ। অধ্যায় : মুরতাদদের প্রকাশ্য বিধান সংক্রান্ত অধ্যায়ে)
"যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহকে অথবা আল্লাহর রাসূলকে অথবা অন্যকোনো নবী-রাসূলকে গালি দেয় তাকে ইসলামের নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী হত্যা করা হবে। সে যদি তওবা করে তা সত্বেও তার এই শাস্তি রহিত হবেনা।"
(আয যাখীরাহ ফী ফিকহিল মালেকী ১১/৩০২)

🟥[হাম্বলী মাযহাব]

হাম্বলী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম ইমাম ইবনে কুদামা রহ. বলেন -
"যে ব্যক্তি রাসূল (সা.) কে গালি দেয় তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে।"
(আশ শারহুল কাবীর লি ইবনি কুদামাহ ১০/৬৩৫)
'আস সারেমুল মাসলূল' নামক কিতাবে ইমাম আহমদ রহ. এর বর্ণনা সম্পর্কে ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন-
"ইমাম আহমদ (র.) একাধিক জায়গায় বলেছেন, যে সকল লোক রাসূল (সা.) কে গালি-গালাজ করে অথবা কটাক্ষ করে তারা মুসলমান হোক বা কাফের হোক তাদেরকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। আমি মনে করি তাদেরকে তওবার সুযোগ না দিয়ে হত্যা করা হোক।"
(আস সারেমুল মাসলূল আ’লা শাতিমির রাসূল ১/১০)
উসূলুস সুন্নাহ কিতাবের বক্তব্য-
সঠিক সিদ্ধান্ত হলো এই যে, জিন্দীক মুনাফেক এবং যারা রাসূল (সা.) কে অথবা সাহাবীদের গালি দেয় অথবা আল্লাহ, আল্লাহর কিতাব
অথবা রাসূল (সা.) কে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল− করে এবং যারা জাদুকর এবং যাদের মুরতাদ হওয়া বারংবার প্রমাণিত এদের সকলের ব্যাপারে ইসলামের বিধান হলো, কোনো প্রকার তওবা করার সুযোগ দেয়া ছাড়াই তাদের হত্যা করতে হবে। যাতে তাদের অন্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং অন্যেরা এ ধরণের অন্যায় করতে সাহস না পায়।"
(উসলূস সুন্নাহ ১/৪৯২)

🛑[ শায়খ বিন বায ও ইমাম আলবানীর রহ. বক্তব্য]
___
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নাসীরদ্দীন আলবানী রহ.
' হাকীকাতুল ঈমান' নামক কিতাবে বলেন-
"শায়খ বিন বায বলেছেন, মানুষ কখনো মুখে অস্বীকার না করেও বিভিন্ন কারণে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে কাফের হয়ে যায়, যার বিস্তারিত বিবরণ আলেমগণ নিজ নিজ কিতাবের 'মুরতাদের বিধান' অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো, ইসলামকে নিয়ে অথবা রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটাক্ষ করা অথবা আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল অথবা আল্লাহর কিতাব অথবা আল্লাহ প্রদত্ত শরিয়তের কোনো বিষয় নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করা। কেননা আল্লাহ (সুব.) বলেছেন-
" বল! তোমরা কি আল্লাহর সাথে ও আল্লাহর আয়াত ও আল্লাহর রাসূলের সাথে তুচ্ছ-তাচ্ছিল ও উপহাস করছো? তোমরা আর কোনো ওজর পেশ করো না। নিশ্চয়ই তোমরা ঈমান আনার পরে কুফরী করেছো (সূরা তাওবা, আয়াত ৬৫ , ৬৬)।"
(হাকীকাতুল ঈমান আশ শায়খ আলবানী ১/৩২)
🛑[মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহ্হাব রহ. ফতোয়া]
আদ দুরার“স সানিয়্যাহ নামক কিতাবে শায়খ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহ্হাব (র.) এর বর্ণিত ‘ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ’ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন-
"যে ব্যক্তি আল্লাহর দ্বীনের কোনো বিষয়কে নিয়ে অথবা সাওয়াবের বিষয় নিয়ে অথবা শাস্তির বিষয় নিয়ে উপহাস ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল করে সে কাফের হয়ে যায়।"
দলীল পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেন-
"তোমরা কি আল্লাহর সাথে ও আল্লাহর আয়াত ও আল্লাহর রাসূলের সাথে তুচ্ছ-তাচ্ছিল ও উপহাস করছো? তোমরা আর কোনো ওজর পেশ করো না। নিশ্চয়ই তোমরা ঈমান আনার পরে কুফরী করেছো।"
(আদ দুরার“স সানিয়্যাহ ২/২৬৬)

আশা করি কারো আর সন্দেহ রইলো না ইনশাআল্লাহ

আলেম-উলামারা চুপ কেন ???
20/02/2021

আলেম-উলামারা চুপ কেন ???

কুত্তা মালাউন অভিজিৎ হত্যার মামলায় আজ আমাদের কালিমার টুকরা মুসলিম ভাইদের ৫ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে,আর ১জনকে যাবজ্জীবন সাজ...
16/02/2021

কুত্তা মালাউন অভিজিৎ হত্যার মামলায় আজ আমাদের কালিমার টুকরা মুসলিম ভাইদের ৫ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে,আর ১জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে তাগুতের পোষা কুকুরগুলো।
এরা জানে না তারা কেনো হাসে। তাদের হাসি থেকেই আমার দ্বীনের জন্যে জীবন বিলাতে উৎসাহ পাই।
আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকবে আমাদের ভাইদের স্মৃতি। সফলকাম ভাইদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।
ইনশাআল্লাহ একদিন আল্লাহ তাগুত দের ধ্বংস করবেন। আল্লাহর সাহায্য খুব নিকটে।

সত্যের উপর যদি তুমি একজনও হও, তবে তুমি একাই একটি দল।
16/02/2021

সত্যের উপর যদি তুমি একজনও হও, তবে তুমি একাই একটি দল।

🌖"চাঁদের নিজস্ব আলো নেই" - এই ধারণা কবেকার? এই বিষয়টি কবে দুনিয়ার মানুষ জানতে শুরু করল? নিশ্চয়ই বলবেন খুব সাম্প্রতিক ...
14/02/2021

🌖"চাঁদের নিজস্ব আলো নেই" - এই ধারণা কবেকার?

এই বিষয়টি কবে দুনিয়ার মানুষ জানতে শুরু করল? নিশ্চয়ই বলবেন খুব সাম্প্রতিক কালে হয়তো কোন বিজ্ঞানী বা মহাকাশ সংস্থার গবেষণায় এটি উঠে এসেছে..। আর কিছু বিজ্ঞান ভজনা করা কতিপয় মুসলিম দাবিকারী গণ এটাও দাবি করে বসে যে কুরআনে নাকি ১৪০০ বছর আগেই এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেক বিদ্বান এই নিয়ে কথার ফুলঝুরি ফোটাতে পারঙ্গম হন।
তাহলে এবার মূল প্রসঙ্গে আসি, উপরিক্ত বিষয়ে যা জানেন সবটাই আগাগোড়া মিথ্যা।

বিজ্ঞান বা কোন মহাকাশ সংস্থা এটি গবেষণা করে বেরও করে নি, আর আসমানী কোন কিতাবেও এই কথা বলা হয় নি যে চাঁদের আলো নিজস্ব নয়।
চাঁদের আলো নিজস্ব। চাঁদের মাঝে যাবতীয় ক্ষমতা রয়েছে আলো নির্গত করার, পূর্ণিমা,অমাবস্যা, চন্দ্রগ্রহণ, রেড মুন, ব্লু মুন ইত্যাদি নিদর্শন সংগঠিত করার।ইহা আল্লাহর কর্তৃত্বের একটি নিদর্শন।

এই বিষয়ে খুব ভাল করে ব্যাখা করে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এখানে যেই বিষয়টি নিয়ে স্রোতের বিপরীতে দাড় টানবো তা হচ্ছে কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী চাঁদের নিজস্ব আলো আছে এবং আলো নেই এটি বর্তমান কালের কোন বিজ্ঞানের তত্ত্ব নয় বরং এটি গ্রিকদের থেকে আগত। আর গ্রিকরা শিখেছে মিশর থেকে, মিশর শিখেছে ইহুদীদের থেকে,ইহুদীরা নিয়ে আসে ব্যাবিলনের নিষিদ্ধ বিদ্যা থেকে। যেখানে আল্লাহ্ তায়ালা তার দুই ফেরেশতা পাঠিয়েছিলেন মানব জাতির পরীক্ষার জন্যে।

বলে রাখা ভালো যে যাদুর অনেকগুলো ধাপ আছে।আমরা সচরাচর যেসব শুনে বা দেখে থাকি সেগুলো সাধারণ শ্রেণীর যাদু। যাদুর উচ্চতর শাখা হচ্ছে কাব্বালিস্টিক্ ও হার্মেটিকস বিদ্যা। এখানে রীতি মত গাণিতিক সূত্রাবলী দিয়ে এইসব চর্চা করা হয়।

যাদুর একটি মৌলিক নীতি হল বাস্তব বিষয়ের কোন বিপরীত কথা বলা,যা না , মিথ্যা, অসম্ভব এমন কিছু কথামালা দ্বারা কার্য সম্পাদন করা।

এখন আসি কুরআন ও হাদীসে এই চাঁদের বিষয়ে কি কি বলে;
সূরা ইউনুস আয়াত ৫
সূরা আল-ফুরকান আয়াত ৬১
সূরা নূহ আয়াত নং ১৬
সুরা আল-আহযাব আয়াত ৪৬
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ আয়াত ৮
সূরা ইউনুস আয়াত ৫

অনুবাদসমূহঃ
তিনিই সূর্যকে করেছেন দীপ্তিময় এবং চাঁদকে আলোময়… । -(আল বায়ান ফাউন্ডেশন, )
তিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত, আর চন্দ্রকে করেছেন আলোকময়… -(তাইসিরুল)
আল্লাহ এমন, যিনি সূর্যকে দীপ্তিমান এবং চাঁদকে আলোকময় বানিয়েছেন… -(মুজিবুর রহমান)
তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়, আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে… (Muhiuddin Khan)
সূরা আল-ফুরকান আয়াত ৬১
অনুবাদসমূহঃ
বরকতময় সে সত্তা যিনি আসমানে সৃষ্টি করেছেন বিশালকায় গ্রহসমূহ। আর তাতে প্রদীপ ও আলো বিকিরণকারী চাঁদ সৃষ্টি করেছেন। -(আল বায়ান ফাউন্ডেশন)
কতই না কল্যাণময় তিনি যিনি আসমানে নক্ষত্ররাজির সমাবেশ ঘটিয়েছেন আর তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ আর আলো বিকিরণকারী চন্দ্র। -(তাইসিরুল)
কত মহান তিনি, যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করেছেন তারকারাজি এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ ও জ্যোতির্ময় চাঁদ! -(মুজিবুর রহমান)
কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে রেখেছেন সূর্য ও দীপ্তিময় চন্দ্র। (Muhiuddin Khan)
সূরা নূহ আয়াত নং ১৬
অনুবাদসমূহঃ
আর এগুলোর মধ্যে চাঁদকে সৃষ্টি করেছেন আলো আর সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন প্রদীপরূপে’। -(আল বায়ান ফাউন্ডেশন)
আর তাদের মাঝে চাঁদকে বানিয়েছেন আলো এবং সূর্যকে করেছেন প্রদীপ। -(তাইসিরুল)
এবং সেখানে চাঁদকে স্থাপন করেছেন আলোক রূপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপ রূপে; -(মুজিবুর রহমান)
এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।(Muhiuddin Khan)

তিনটি আয়াতে যে দুটি শব্দ চাঁদের আলো বর্ণনায় ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো হল আরবি শব্দ “নূর” (যার অর্থ হলো আলো অনেক ক্ষেত্রে আলোর উৎস ) ও “মুনির” যার অর্থ উজ্জ্বল, দীপ্তিমান, জ্যোতির্ময় ( প্রতিফলিত আলো নয় )। এখানে এই শব্দ দুটির কোনটিই চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত আলো হিসাবে ব্যাখ্যা করে না বরং নূর শব্দের দ্বারা এটাই উল্টো প্রমানিত হয় যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে। কারণ আল্লাহর ৯৯টি নামের একটি হলো “আন্-নূর” যার অর্থ “আলো”। যা কোনভাবেই প্রতিফলিত আলো হতে পারে না।
২৪ নং সূরা নূর এর অনুবাদকৃত বাংলা নাম “আলো” ও ইংরেজি নাম“The Light.”
মুনির” শব্দের মাধ্যমে অনেকে চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত প্রমান করতে চান। মুনির শব্দের অর্থও কোন ভাবেই প্রতিফলিত আলো না। প্রতিফলিত আলো দাবি করার জন্য নুর বা মুনির শব্দের আগে প্রতিফলিত, ধার করা কিংবা এসম্পর্কিত অর্থে কোন শব্দ থাকা প্রয়োজন যা কোরআনে উল্লেখ করা হয়নি। সুরা ৭১ নুহ এর ১৬ নং আয়াতে নূর শব্দের আগে থাকা “ফিহিন্না” শব্দের অর্থ (তারমধ্যে বা তারমাঝে) যা তাদের ভ্রান্ত দাবির বিপক্ষে যায়। মুনির শব্দের অর্থও যে প্রতিফলিত আলো হয় না সেটি সূরা আল-আহযাব ৩৩ এর ৪৬ নং আয়াতের অনুবাদগুলো লক্ষ্য করলেই নিশ্চিত হওয়া যায় যেখানে মুনির শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। মূলত এ আয়াতে বলা হয়েছে “ ওয়া সিরাজান মুনিরা“। উল্লেখ্য “সিরাজ” শব্দের অর্থ বাতি, প্রদীপ বা ল্যাম্প এবং প্রদীপের আলো কখনো প্রতিফলিত আলো হয় না কারন প্রদীপ বা বাতি সরাসরি আলোর উৎস।

দেশের প্রখ্যাত বাংলা অনুবাদগুলোর মধ্যে কোথাও চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত বা ধার করা আলো বলা হয়নি। অন্যদিকে কোরানের প্রখ্যাত এবং পুরনো ইংরেজি অনুবাদক ( Yusuf Ali, Pickthall, Shakir,Sarwar) সহ কেউই চাঁদের আলোকে প্রতিফলিত আলো অনুবাদ করেন নি, কিন্তু তুলনামূলক নতুন এবং সাম্প্রতিক অনুবাদকSahih International তার অনুবাদে “নুর” শব্দের অনুবাদ করেছেন (derived light -10:5) এবং(reflected light – 71:16) যা একটি ভুল এবং অসাধু অনুবাদ। হযরত জাকির নায়েকও একই ধরনের দাবি করেন। তাদের দাবি অনুযায়ী “নুর” শব্দটিকে(Reflected Light) বা প্রতিফলিত আলো অনুবাদ করলে ২৪ নং সুরা নুর এর ৩৫ নম্বর আয়াত এর ইংরেজি অনুবাদ দাড়ায়,

Allah is the (Reflected Light) of the heavens and the earth
বাংলা অনুবাদ দাড়ায়
“আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিফলিত আলো” ( নাউজুবিল্লাহ)।
উল্লেখ্য, Sahih International এই আয়াতে “নুর”কেReflected Light অনুবাদ করেনি।

এমনকি এই সম্পর্কিত তিনটি আয়াতের তাফসিরে কোন তাফসির কারক এই দাবি করেননি যে চাঁদের নিজস্ব আলো নেই।
সূরা আল-ক্বিয়ামাহ আয়াত ৮
এবার দেখুন কোরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা প্রমান করে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।

অনুবাদসমূহঃ
আর চাঁদ কিরণহীন হবে, -(আল বায়ান ফাউন্ডেশন)
চাঁদ হয়ে যাবে আলোকহীন -(তাইসিরুল)
চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে।(Muhiuddin Khan)
Sahih International: And the moon darkens.
এই আয়াতের অনুবাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই আয়াতের তাফসীরে একটি ব্যাপার খুবই লক্ষনীয় এই যে, সকল তাফসীরকারকগন একমত যে কেয়ামতের পূর্বে চন্দ্রকে জ্যোতিহীন বা আলোকহীন করে নেয়া হবে। পরের আয়াতেই বলা হচ্ছে যে চন্দ্র এবং সূর্যকে একত্রিত করা হবে। তাফসীরকারক বলেছেন সূর্যও আলোকহীন হয়ে যাবে এবং তাদেরকে একত্রে লেপটিয়ে দেয়া হবে বা একত্রিত করা হবে যার বর্ণনা সহিহ হাদীসেও আছে । অর্থাৎ এই আয়াতের তাফসীরে এই বিষয়টি স্পষ্ট যে কেয়ামতের পূর্বে প্রথমে চাঁদকে আলোকহীন করা হবে যা সরাসরি প্রমান করে যে কোরআন অনুযায়ী চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
সহীহ্ হাদীস থেকেও প্রমান করা যায় যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।

গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [2973]
অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১৯৮৬. চন্দ্র ও সূর্য উভয়ে নির্ধারিত কক্ষপথে আবর্তন করে। এর জন্য মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, উভয়ের আবর্তন চাকার আবর্তনের অনুরূপ। আর অন্যেরা বলেন, উভয় এমন এক নির্দিষ্ট হিসাব ও স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা তারা অর্থাৎ চন্দ্র ও সূর্য লঙ্ঘন করতে পারে না।حُسْبَانٌ হল حِسَابٍ শব্দের বহুবচন, যেমন شِهَابٍ এর বহুবচন شُهْبَانٍ – ضُحَاهَا এর অর্থ জ্যোতি।أَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ চন্দ্র সূর্যের এক্তির জ্যোতি অপরটিকে ঢাকতে পারে না, আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। سَابِقُ النَّهَارِ রাত দিনকে দ্রুত অতিক্রম করে। উভয়ে দ্রুত অতিক্রম করতে চায়।نَسْلَخُ আমি উভয়ের একটিকে অপরটি হতে বের করে আনি আর তাদের প্রতিটি চালিত করা হয় وَاهِيَةٌ এবং وَهْيُهَا এর অর্থ তার বিদীর্ণ হওয়া।أَرْجَائِهَا তার সেই অংশ যা বিদীর্ণ হয়নি আর তারা তার উভয় পার্শ্বে থাকবে। যেমন তোমার উক্তি عَلَى أَرْجَاءِ الْبِئْرِ কূপের তীরেأَغْطَشَ وَجَنَّ অন্ধকার ছেয়ে গেল। হাসান বসরী বলেন كُوِّرَتْ অর্থ লেপটিয়ে দেয়া হবে, যাতে তার জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। আর বলা হয়ে থাকেوَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ এর অর্থ আর শপথ রজনীর এবং তার যে জীবজন্তু একত্রিত করল। اتَّسَقَ বরাবর হল। بُرُوجًا চন্দ্র সূর্যের কক্ষ ও নির্ধারিত স্থান। الْحَرُورُ গরম বাতাস যা দিনের বেলায় সূর্যের সাথে প্রবাহিত হয়। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, حَرُورُ রাত্রিবেলার আরسَمُومُ দিনের বেলার লু হাওয়া। বলা হয় يُولِجُ অর্থ প্রবিষ্ট করে বা করবে وَلِيجَةً অর্থ এমন প্রতিটি বস্তু যা তুমি অন্যটির মধ্যে ঢুকিয়েছ।
২৯৭৩। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন চন্দ্র ও সূর্য় উভয়কে লেপটিয়ে দেয়া হবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

বিষয়টি নিশ্চিত যে কেয়ামতের দিন চন্দ্র এবং সূর্যকে লেপটিয়ে দেওয়া হবে যাতে তাদের উভয়ের আলো নিঃশেষ হয়ে যাবে যা আবার প্রমান করে যে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে ।এই হাদিসের ব্যাখায় হাসান বসরি (রহ) একইভাবে ব্যাখ্যাটি করেন।

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় আরেকটি বিষয় বলা হচ্ছে যে চন্দ্র এবং সূর্য একটির জ্যোতি অপরটিকে ডাকতে পারে না আর তাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এই দাবিটিও প্রমান করে যে চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের জ্যোতি রয়েছে কারন সেটা না হলে চন্দ্রের জ্যোতি সূর্যকে ডাকতে পারে না এ দাবিটি করা হতো না। আর আমরা বাস্তবিকই দেখি সূর্যের আলো চাঁদকে ঢাকতে পারে না।
বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “নসরুল বারী শরহে সহীহ বুখারী” (খন্ড ৭ পৃষ্ঠা ৩৪৫ পরিচ্ছেদ ১৯৮৮) তে বলা হচ্ছে (চাঁদ সূর্য) উভয়টির আলো অপরটির আলোকে গোপন করতে পারে না আর না তা করা উভয়ের তরে যতাচিত্ত। এই দাবিটিও আগের দাবির মতোই যা প্রমান করে চাঁদের আলো সূর্যের আলোকে গোপন করতে পারে না। অর্থাৎ চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
তাফসীর ইবনে কাসিরের সুরা ইউনুস এর (১০ঃ৫-৬) আয়াতের তাফসিরেও একই রকম দাবী করা হচ্ছেঃ

সুতরাং কোরআন ও হাদীসের চারটি দাবি প্রমান করে চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।
১) চাঁদের আলো বর্ণনায় নূর শব্দের ব্যাবহার (১০:৫) (৭১:১৬)
২) কেয়ামতের দিন চাঁদ এবং সূর্যকে একত্রিত করার পূর্বেই চাঁদকে জ্যোতি হীন করে নেয়া হবে।(৭৫ঃ৮-৯)
৩) চন্দ্র এবং সূর্য উভয়ের জ্যোতি নিঃশেষ হয়ে যাবে। বুখারী (ইফাঃ) ২৯৭২
৪) চন্দ্রের জ্যোতি সূর্যকে ঢাকতে পারে না। (হাদীসটির ব্যাখ্যায় বর্ণিত তথ্যসূত্র)
চাঁদ হচ্ছে আমাদের দিন/তারিখ নির্ধারণের জন্য
,সমুদ্র,মরুভূমিতে পথ চিনতে দিক নির্দেশনা পাওয়ার উপলক্ষ্য হিসেবে শীতল আলো দায়ী আসমানি সৃষ্টি।
هُوَ الَّذِى جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَآءً وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُۥ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ ۚ مَا خَلَقَ اللَّهُ ذٰلِكَ إِلَّا بِالْحَقِّ ۚ يُفَصِّلُ الْءَايٰتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই সূর্যকে করেছেন দীপ্তিময় এবং চাঁদকে আলোময় আর তার জন্য নির্ধারণ করেছেন বিভিন্ন মনযিল, যাতে তোমরা জানতে পার বছরের গণনা এবং (সময়ের) হিসাব। আল্লাহ এগুলো অবশ্যই যথার্থভাবে সৃষ্টি করেছেন। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য তিনি আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন।(১০:৫)

তাহলে এবার আসি তাহলে চাঁদের আলো নেই এই ভ্রান্ত কথা কোথা থেকে আসলো:
গ্রিকদের কিছু লোকের যারা নিষিদ্ধ বিদ্যার চর্চা করত তারা এই কথা প্রচার করে যাদুর স্বার্থে। এমনকি এইসব যাদুকরদের বিকৃত রুচির বিভিন্ন রিসুয়াল পালন, নরবলি দিতে হত। সৃষ্টি জগতের বিপরীত বিশ্বাস লালন করতে হত। এইসবই তাদের পূজনীয় অভিশপ্ত আত্মার অর্থাৎ শয়তানের জন্যে করত।
সাধারণ মানুষের মধ্যে এসব প্রচলিত ছিল না।
কিছু উদাহরণ তুলে ধরছি:
Thales (585 BC):
The moon is lighted from the sun. 29; 360. Thales et al. agree with the mathematicians that the monthly phases of the moon show that it travels along with the sun and is lighted by it, and eclipses show that it comes into the shadow of the earth, the earth coming between the two heavenly bodies and blocking the light of the moon (Doxographi on Thales, Aet. ii. 1 ; Dox. 327) (6).
Anaxagoras (500-428 BC) considered the moon be to a false-shining star (255).
The Doxographist elaborate further on this:
The moon is below the sun and nearer us. The sun is larger than the Peloponnesos. The moon does not have its own light, but light from the sun (The Doxographists on Anaxagoras, Hipp. Phil. 8 ; Dox. 561) (260-1).
Empedocles (490-430):
As sunlight striking the broad circle of the moon. 154. A borrowed light, circular in form, it revolves about the earth, as if following the track of a chariot (Empedocles, translations of the fragments I) (177).
Lucretius (100-50 BC):
How then, if the sun is so small, can it give of such a flood of light (p.189)?
The moon, too, whether it sheds a borrowed light upon the landscape in its progress or emits a native radiance from its own body. What then of the moon? It may be that it shines only when the sun’s rays fall upon it. Then day by day, as it moves away from the sun’s orb, it turns more its illuminated surface towards our view till in its rising it gazes down face to face up the setting of the sun and beams with lustre at the full. Thereafter, it is bound to hide its light bit by bit behind it as it glides around heaven towards the solar fire from the opposite point of the zodiac (192-193) (Lucretius, The Nature of the Universe).

আশা করি, সবার কাছে বিষয়টা পরিষ্কার যে চাঁদের আলো নিজস্ব ।

CREDIT: Jahangir Alam Srabon

Address

Damascus

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rabi Ibn Safi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category


Other Publishers in Damascus

Show All

You may also like