Unique Thought Shorts

Unique Thought Shorts সত্যের সন্ধানে সবসময় আমরা, সাপোর্ট দিয়ে সাথেই থাকুন।

10/03/2025

📍 আমি সদ্য বিবাহিত পুরুষ। আমার আগে কোন প্রেম ছিলোনা। কিন্তু আমার বউকে আমি ভা র্জি ন পাইনি। আমি জেনেশুনেই বিয়ে করেছি।

আমার বয়স ৩৮ এবং আমার স্ত্রীর বয়স, ১৭। আমার বিয়ের বয়স ১বছরের কিছুটা বেশি। আমার পারিবারিক ভাবে বিয়ে।

🎯 দুইজন দুইজনকে আগে চিনতাম না। আমরা দুইজন শুধু ঢাকায় আমার স্ত্রীর নামে থাকা ফ্ল্যাটে থাকা হয়। আমার শাশুড়ী আমাদের সাথে থাকে না। আমি এই বিয়ের পর থেকে বি র ক্ত অনেক।

কাউকে কিছু বলতে পারছি না। আমার স্ত্রী কেমন জানি অদ্ভুত। আমার স্ত্রী বিয়ের কিছু দিন পর থেকে সে আমাকে সারাটা দিন বি>র>ক্ত করে। আমি বাসায় থাকলে বা বাইরে থেকে বাসায় আসলে বা রাতে ঘুমের সময় আমাকে সে ননস্টপ চু>ম্মা দিতে থাকবে, ঝা>ড়ি দিলেও মোটেও থামে না।

বাইরে ঘুরতে গেলে বা অনুষ্ঠানে গেলে সুজগ পাইলে চু>ম্মা চু>ম্মি ঘেসা ঘেসি করবে। আমার গাল মুখ আঠা আঠা হয়ে যায়। আমাকে জ>ড়ায় ধরবে।

ছাড়তে চায় না। আমার সারা গা%৳য়ে দা&%গ করে ফেলেছে। আমি তার সাথে সংসার করে বি>র>ক্ত।

রাতে টিভি দেখার সময় এবং ঘুমের সময় আমার পেট ধরবে ছাড়ে না। আমি এই এসব থেকে মু>ক্তি চাই। কি করলে ঠিক হবে ডাক্তারের কাছে নিতে চাই কিন্তু জেতে চায় না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ডি>ভো>র্স দিলে ঝামেলামুক্ত থাকা যাবে?

>নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক

10/03/2025

আমি একজন মেয়ে অনার্স এ পড়ছি । এক বছর আগে একটা ছেলের সাথে আমার পরিচয় হয়। এরপর নিজের অজান্তে প্রেমে পড়ে যাই। সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ইদানিং আমি ছেলেটার মায়ায় পড়ে যাচ্ছি গভীর ভাবে। ছেলে যথেষ্ট ভালো। তার পারিবারিক অবস্থান আমার পরিবারের মতই। তাছাড়া ছেলে যথেষ্ট কেয়ারিং। কখনো কোনো খারাপ দিক খুঁজেও পাইনি।

ইদানিং লক্ষ্য করছি ছেলে আমার প্রতি অনেক সিরিয়াস। প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে আমার মতামত চায়। আমার কথা মতো চলে। আমি তাকে সামান্য অবহেলা করলে পায়ে ধরে কান্না করে। সে ক্যারিয়ার নিয়েও যথেষ্ট সিরিয়াস। চাকরির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করছে আমাকে পাওয়ার জন্য।

বর্তমানে যে জায়গায় চাকরি করছে সেখানে তার আয় স্বল্প। আমি যখন ব্রেকআপ করতে চাই সে পাগলের মত কান্না করে আর বলে তোমাকে পাওয়ার জন্য যা করার দরকার তাই করবো।

কিন্তু আমি সম্পর্ক থেকে মুক্তি চাই। আমার মনে হয় আমি আরো ভালো ছেলে ডিজার্ভ করি যার পারিবারিক অবস্থা আমার চেয়েও ভালো। ভালো সেলারি পায় এমন ছেলে। যে আমাকে অনেক হ্যাপি রাখতে পারবে । এই ছেলে আমার সাথে যায় না ।

ছেলেটার মনে কষ্ট না দিয়ে কিভাবে এই সম্পর্ক থেকে বের হতে পারবো
অথবা এই অবস্থায় আমার করনীয় কি ?

পাঠিয়েছেন
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক আপু

04/03/2025

আমি বিয়ে করেছি ৩ মাস আমাদের প্রেমের বিয়ে,
প্রথম রমজানে শশুর বাড়ি থেকে রোজার ইফতার দিয়েছে সাথে বাঙ্গি দিয়েছে! এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে অনেক ঝগড়া হয়েছে! আমার কথা হলো জামাই বাড়িতে কিভাবে বাঙ্গি দিতে পারে? আমাদের এলকায় একটা নাম ডাক আছে! মানুষ সমালোচনা করে যে অমুকের শশুর বাড়ি থেকে বাঙ্গি দিয়েছে! এতে আমার সম্মানে লাগছে.. তারপর ঝগড়া এক পর্যায়ে আমি আমার স্ত্রীর গা*য়ে হা*ত তুলি...পরে সে কিছু না বলে বাবার বাড়ি চলে যায়...এখন সে আর আমার সাথে যোগাযোগ করতেছে না কি করবো ?

>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

25/02/2025

বিয়ে করছি ৮ মাস, বউকে আর ভাল লাগছেনা। কোন প্রেম করি নাই জীবনে! আম্মার ইচ্ছা ছিল সাধারন সহজসরল ঘরের মেয়ে বউ করিয়ে আনবে। বয়স ২৬ চলে। স্ত্রীর বয়স ১৯ ।

সে অনেক অগোছালো! সাজগজ করে না, গা - চুল থেকে আ^শটে গ^ন্ধ করে, চা^মরা মসৃন না! হাসলে সুন্দর লাগেনা , দাতগুলো হলদেটে। এমন না যে সে সারাদিন অনেক কাজ করে , মা কাজে অনেক খা^টায়। আমার মা এখনো বলতে গেলে সম্পুর্ন কাজ করে। স্ত্রী শুধু কাজে হেল্প করে।

কিন্তু সে নিজেকে পরিপাটি রাখেনা! সবচেয়ে বি^চ্ছিরি লাগে তার কুকড়ানো চু^লগুল , বিয়ের আগে তার চুল দেখি নাই , হিজাব পরা ছিল। তার চুলগুলো ভে^ড়ার আইশের মত পাতলা , খোপাও হয়না , বেনিও হয়না।

আমি সবসময় দীঘলকেশী হাটু সমান চুল এমন কাউকে বউ হিসাবে চাইতাম। তার চুলে খোপা বেধে গাজরা লাগিয়ে দিবো , বেনি করে দিব কত স্বপ্ন ছিল আমার।

এদিকে আমি যে কম্পানিতে জব করি , সেখানে মেয়ে কলিগরা অনেক সেজেগুজে থাকে , চেহারা , চুল সাজগজ সবই সুন্দর । না চাইতেও চোখ পরে যায়। চেষ্টা করি না তাকানোর। কিন্তু বাসায় এসে বউয়ের চে^হারা দেখলে মু^ড অফ হয়ে যায়। রাতে ফেসবুকে রিলসে মেয়েদের ভিডিও দেখি, উলটাপালটা কিছুই দেখিনা , জাস্ট ভিডিও দেখি মেয়েদের।

আমার এখন কি করনীয় ?

(ইনবক্স থেকে)

24/02/2025

আমার বিয়ে হয়েছে ২ বছর চলে । হাজবেন্ড বিদেশে থাকে। এই ২ বছরে সে আমাকে কোন হাত খরচই দেয়নি। আমি মোটামুটি ধনী ঘরের ই মেয়ে। তাই কোন কিছুর লো^ভও আমার নেই। বিয়ের পরেও আমার যা লাগে সব আমার বাবার টাকা দিয়ে কিনি, ডাক্তার দেখানো বা অন্যান্য প্র‍য়োজনীয় খরচ, কোথাও গেলেও আমার মায়ের থেকে টাকা নিয়ে যেতে হয়।

আমার হাজবেন্ড প্রতিমাসে ১ থেকে ১.৫ লাখ টাকা করে তার মায়ের একাউন্টে পাঠায়। এটা নিয়ে কোনদিন
আমি তাকে কিছু বলিও নাই। ২ মাস যাবত তার মায়ের একাউন্টে স^মস্যার কারনে আমার একাউন্টে পাঠাচ্ছে। আমার সাথে তার মা ব্যাংকে যায় এবং পুরো টাকা আমি তাকে তুলে দিয়ে দিই।

রেমিট্যান্স পাঠালে ব্যাংক থেকে কিছু টাকা বোনাস দেয়। গত মাসে আমার ১টা দরকারে সেই বোনাসের ২৫০০ টাকা আমি নিজের জন্য রেখে বাকি ১লাখ টাকা তুলে ওর মায়ের হাতে দিয়ে দিই। এরপর হাজবেন্ড আমাকে বলে কেন আমি ২৫০০ টাকা রাখলাম।

সেই টাকাও কেন ওর মা কে দিলাম না। আমি বলি তোমার টাকাতে তো আমার হক আছে, এটা আমি নিতেই পারি। খুব বেশি এমাউন্ট তো নেই নাই। সে অনেক খা^রা^প আচরন করে এবং আমাকে বলে আমি যেন সেই টাকা ওর মা কে ফিরত দিয়ে দেই।

আমি খুবই ক^ষ্ট পাই তার আচরনে। এই মাসেও সে আমার একাউন্টে ১.৫ লাখ টাকা দিয়েছে। আর আমাকে ক^ড়া ভাবে বলেছে আমি যেন ১টাকাও না রাখি তাহলে নাকি আমার খবর আছে, পুরো বোনাসসহ টাকা যেন তার মায়ের হাতে তুলে দিই।

আসলে আমার বাবা মায়ের কাছে এভাবে টাকা চাইতে আমার খুব ল^জ্জা লাগে। হাজবেন্ড কে সুন্দর ভাবে সেটা বুঝিয়েছি। আমাকে দামি গহনা, ড্রেস এসব কিনে দেয়া লাগবেনা তোমার। কিন্তু প্রয়োজনীয় টুকিটাকি বা বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার জন্য সেই টাকা টা তোমার দেয়া দায়িত্ব। আর এটা আমার হক। সে উল্টা আমাকে বলে তোমার বাবার এত টাকা তোমার বাবার থেকে নিবা, আমাকে বল কেন? নাহয় নিজে ইনকাম করে খরচ করো।

আমার সব টাকা আমি আমার আম্মুকেই দিব। তাকে খুশি রাখাই আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। তুমি প্যাচ লাগাতে আসবানা। আমার সংসারে অ^শান্তি করবানা।
শুধু টাকা নিয়ে না সবকিছু নিয়ে সে এরকম করে।

সে বিদেশ থেকে আসলে কসমেটিকস বা অন্য যা আনে সব তার মা নিয়ে আলমারিতে লক করে রাখে।
১বছর আগেও সে তার মা কে দামি মোবাইল গিফট করেছে, যেটা এখনও ন^ষ্ট হয়নি। এখন নতুন করে আবার দামি ফোন পাঠাচ্ছে। তার ইচ্ছা তার মা ২টা দামি মোবাইল নিয়ে ঘুরবে। প্রকৃতপক্ষে আমার কোন দামি জিনিস এর প্রতি লো^ভ নেই, কারন ছোটবেলা থেকেই দামি জিনিস ব্যবহার করে বড় হয়েছি।

কিন্তু ১জন হাজবেন্ড হিসেবে সে আমার কোন দায়িত্বই পালন করছেনা বরং অপ^মানিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত। আর সুন্দরভাবে বুঝাতে গেলে সে খা^রাপ আচরন করে সরাসরি বলে দেয় সে আমাকে কোন টাকা দিতে পারবেনা। কেউ নেই যে তাকে বুঝাবে একটা বিবাহিত পুরুষের দায়িত্ব কি। খুব অ^সহায় লাগে আমার। এভাবে ১টা বিবাহিত মেয়ে কিভাবে সারভাইভ করবে?
আসলে আমার কি করা উচিত?

> নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

23/02/2025

সামনের কিছুদিন একটু সাবধানে থাকার চেষ্টা করুন। আগামী কিছুদিন বড় বড় শহরগুলোতে অ^প^রাধপ্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যেতে পারে। এখনই যা অবস্থা, এরচেয়ে আরও বাড়লে কি হবে তা আল্লাহ ভাল জানে।

১. সন্ধ্যের পর খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে বাসা থেকে বের না হওয়াই ভাল

২. রাতে দরজা, জানালা খুব ভালোভাবে চেক করে নেবেন, বন্ধ করেছেন কি না।

৩. এক দুই হাজারের বেশি ক্যাশ টাকা নিয়ে দিনে বা রাতে বাইরে হাঁটবেন না।

৪. আপনার ব্যাংক কার্ড একান্তই প্রয়োজন না হলে সাথে রাখবেন না।

৫. দামী ফোন, ল্যাপটপ, প্যাড, ক্যামেরা বা অন্য কোনো দামী ডিভাইস নিয়ে বের হবেন না। আপাতত এগুলো বাসায় সিকিওরড জায়গায় রাখুন।

৬. মহিলারা দামী হোক, কমদামী হোক, কোনো গহনা পরে বের হবেন না। বিশেষ করে নাক এবং কানে তো অবশ্যই না।

৭. রাস্তায় ফোন বের করে টেপাটেপি করবেন না বা কথা বলবেন না।

৮. বাসে উঠলে জানালার পাশে না বসার চেষ্টা করবেন। জানালার পাশ বসুন বা না বসুন, পকেট থেকে ফোন বের করবেন না খবরদার।
প্রাইভেট কারে থাকলে কারের জানালা বন্ধ রাখুন, একটুও ফাঁকা রাখবেন না।
উবারে এ্যাপ থেকে কল দিয়ে যাবেন, ভুলেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু লোক দামাদামি করে, ওদের সাথে রাইড নেবেন না।

৯. সিএনজিতে উঠলেও ফোন, ব্যাগ সাব^ধানে রাখুন। সিএনজির পর্দা কেটে ছিনতাই করতে দেখা গেছে অনেকগুলো।

১০. অপরচিত কারও সাথে একদম কথা বলবেন না।

১১. অপেক্ষাকৃত নির্জন রাস্তা দিয়ে কোনোভাবেই একা একা যাবেন না।

১২. যদি মনে হয় কেউ আপনাকে ফলো করছে, মানসম্মানের ভয় না করে দৌড়ে কোনো জনসমাগমে চলে যান।

১৩. ছি^ন^তাইকারীরা আপনার ব্যাগ, পার্স, ডিভাইস বা মালামাল নিয়ে টানাটানি করলে ছেড়ে দিন। জোর করতে যাবেন না। ওরা আপনাকে মে^'রে ফেলতে এক সেকেন্ডও ভাববে না। ওরা মা^নুষ না। আপনার জিনিসের চাইতে আপনার জীবন মূল্যবান।

১৪. কোনো ছিনতাইকারী আপনাকে ছিন^^তাই করে পা^লা^নোর সময় যদি তাকে চিনে ফেলেন, তবে ভুলেও বলতে যাবেন না, অমুক, তুই এই কাজ করলি? আপনি চিনে ফেলামাত্রই ওরা আপনাকে মে^'রে ফেলবে।

১৫. চিৎ^কার করে লোক ডেকে বা ৯৯৯ এ ফোন করে কোনো লাভ নেই। বিপ^দে সহজে কেউ আসে না। সবাই নীরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দেখে শুধু।

১৬. আপনার বাসা যদি ঢাকা বা বড় কোনো শহরে অপেক্ষাকৃত কম সিকিউরিটিযুক্ত এলাকায় হয় এবং আপনার বাসায় দেখতে মোটামুটি সুন্দর কোনো মেয়েলোক থাকে কিংবা মাঝবয়েসী থেকে অল্পবয়সী কোনো মেয়ে থাকে, আমার মতে আপাতত তাকে/তাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিন। চু^রি বা ছিন^তাইয়ের সময় এরাও টার্গেট থাকে। মনে রাখবেন, আপনি চিৎকার করে ম^রে গেলেও পাশের বাসা থেকে একজনও বেরিয়ে আসবে না। সবাই বরং দরজা জানালা ভালো করে বন্ধ করে দেবে।"

১৭. রাতের বেলা দূর পাল্লার বাস, কার বা ট্রেন জার্নি করা থেকে বিরত থাকুন পারলে।

উপরোক্ত কথাগুলো কাউকে আ^তং^কিত করার জন্য বলছিনা। এতে যদি একজনও উপকৃত হয়, এটাও বা কম কি!

>Humayun Kabir

20/02/2025

ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে শাহেদ তার বন্ধু ফারদিনকে নিজের বাসায় দাওয়াত করে এনেছে। ফ্যামিলি লাঞ্চে বসে শাহেদের বাসার সবার সাথে ফারদিন খুব মজার মজার গল্প করলো। চমৎকার সময় কাটিয়ে ফারদিন হাসিমুখে বিদায় নেয়ার পরে সেইদিন রাতে শাহেদ নিজের বাবা মাকে জানালো, সে তাদেরকে কিছু বলতে চায়।
শাহেদের মা হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন,
- হ্যাঁ বাপ, বল।
- ফারদিনকে কেমন লাগলো তোমাদের??

- অসম্ভব ভালো লেগেছে। এই জমানায় তো এমন চমৎকার ছেলে দেখাই যায় না। এই, তুমি কিছু বলো না কেন?? তোমার কেমন লাগলো??

ইঙ্গিতটা শাহেদের বাবার দিকে। ভদ্রলোক আনন্দিত ভঙ্গীতে বললেন, "ছেলেটার সেন্স অফ হিউমার দারুণ। অনেকদিন পর কারও সাথে গল্প করে এত মজা পেলাম।"

শাহেদ এবার কাঁচুমাচু মুখ করে তার বাবা মাকে জানালো, সে ফারদিনকে ভালোবাসে। ফারদিনও তাকে ভালোবাসে। তারা দুজন দুজনকে বিয়ে করতে চায়। বিয়ের আগে ফারদিনকে তাঁদের পছন্দ হয় কি না, সেটা জানার জন্যই আজকের দাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছিলো। যেহেতু তাঁরা ফারদিনকে পছন্দ করেছে, অনুমতি পেলে তারা দুজন আমেরিকা যেয়ে বিয়ে করে নিবে।

কথা শুনে শাহেদের মা মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে নাকের হাড় ভে^ঙ্গে ফেললেন। শাহেদের বাবার নি:শ্বাস নেয়া ব^ন্ধ হয়ে গেলো। বু^ক চে^পে ধরে মাছের মত মুখটা হাঁ করে খাবি খেতে থাকলেন।

শাহেদ সেই মুখের গহবরে ইনহেলার ঢুকিয়ে দিতে দিতে বললো, "তোমার হাঁ করা মুখ যেমন ইনহেলারটা চাচ্ছে এখন, আমার হাঁ করা মুখটাও ফারদিনের কিছু একটা চায়। অনেক ডেস্পারেটলিই চায়। তোমরা অমত করো না, রাজী হয়ে যাও। আমরা অনেক সুখী হবো!!"

শাহেদের মায়ের জ্ঞান ফিরলো দুইদিন পরে। উঠে তিনি জানলেন, তাঁর স্বামী দুইদিন যাবৎ কথা বলছেন না। তিনি নাকি বো^বা হয়ে গেছেন। শকে নাকি শো^কে, সেইটা বুঝা যাচ্ছে না। সংসারজীবনে পোড় খাওয়া এই মহিলা বুঝতে পারলেন, সব তামাশা শক্ত হাতে দমন করা যায় না। তিনি আশ্রয় নিলেন নাটকের। মেয়েমানুষের চোখের পানির ক্ষমতা ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যা&লি&স্টিক মি&সা*ই&লের চেয়েও শক্তিশালী। এবার সেই অ^স্ত্রে^র ব্যবহার করা দরকার।

তিনি এক সপ্তাহ ধরে হাউমাউ করে কাঁদলেন আর শাহেদকে বুঝালেন। শাহেদ কোনোভাবেই মায়ের চোখের পানির সামনে মাথা নত করতে রাজী হলো না। উপায় না পেয়ে শাহেদের বাবাকে দিয়ে তিনি দলিল আনিয়ে অর্ধেক সম্পত্তি শাহেদকে লিখে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন। শাহেদ যদি কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে রাজী হয়, তাহলে সেই বিয়ের দিনই এই দলিলে সাইন করা হবে। যদি সে ফারদিনকে বিয়ে করে, তাহলে তাকে ত্যাজ্যপুত্র করে দেয়া হবে, দেয়া হবে না এক কানাকড়িও।

উপায়ান্তর না পেয়ে শাহেদ শর্ত জুড়ে দিলো, মেয়েমানুষ বিয়ে করলে এই দলিলের সাথে তাকে উত্তরার পাঁচতলা বাড়িও লিখে দিতে হবে। আর তার বউকে দিয়ে দিতে হবে মায়ের সব গহনা।

বাবা মা রাজী হওয়ার তিনদিনের মাথায় শাহেদ তার গার্লফ্রেন্ড দিবা কে বাসায় এনে বাবা মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। দিবা হাসিমুখে জানালো, সে শাহেদকে বিয়ে করতে রাজী। শাহেদের বাবা মা কোনো রিস্ক নিলেন না। দিবার বাবা মা কে ডেকে নিয়ে সাথে সাথে আঙটি পরিয়ে দিলেন। বিয়ের তারিখ ঠিক হলো পরের শুক্রবারে। তাড়াহুড়োর বিয়ে, আয়োজন হবে ঘরোয়া। কাবিনে সাইন হোক আগে, পরে বড় করে অনুষ্ঠান করা যাবে।

সেদিন রাতে শাহেদ তার বন্ধু ফারদিনকে ফোন করে বললো, "মিশন একমপ্লিশড, থ্যাঙ্ক ইউ মামা। তুই আমার বন্ধু না, তুই আমার ভাই!!"

ফারদিন জবাব দিলো, "গ্রেট, এবার আমার পালা। কালকে আমার বাসায় তোর কাচ্চি ট্রিট। সময়মতো চলে আসিস কিন্তু!!"

লেখাঃ Hazat Sabbir

17/02/2025

আমি বিয়ে করেছি ১ বছর। সব কিছু ঠিক ঠাক চলছিলো। কিন্তু কিছুদিন আগে আমার wife হাসির ছলে তার প্রাত্তন এর কথা বলে ফেলে। কিন্তু আমি এইটা সহ্য করতে পারি নাই। একটু জো^র খাটালে পরে সব কিছু বলে। কিন্তু বিয়ের আগে আমি তাকে খুব ভালো ভাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কোন সম্পর্ক ছিলো কিনা। কিন্তু সে শিকার করে নাই। এখন এই ঘটনার পর তার প্রতি আমার মন উঠে গেছে। আমি চাচ্ছি তাকে ডি^ভো^র্স দিতে কারন আমার ও ছাড়া আর কেউ ছিলো না। বিষয়টা আমার জন্য নরমাল না।

আমার আর তার ফ্যামিলিকে জানিয়েছি কিন্তু তারা বেপারটাকে সাভাবিক ভাবে নিচ্ছে এবং বলতেসে মানিয়ে নিতে যা আমার পক্ষে সম্ভব না। এখন আমার কি জো^র খাটানো উচিত? বলে রাখা ভালো তার প্রাত্তনের সাথে আমার কথা হয়েছে। সে আমার wife এর নামে অনেক বা^জে কথা বলসে। তবে তাদের কোনো শা^রী^রিক সম্পর্ক ছিলো না।

> নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

15/02/2025

আমার বিয়ে হলো বাবা মা--রা যাবার এক বছর পরে।বিয়ের পাঁচ মাস পরেই আমার জন্মদিন এলো। আমার স্বামী নিলয় জন্মদিনে আমাকে গিফট দিলো একটা সোনার রিং আর একটা নীল রঙের শাড়ি। সাথে একটা কেক ও আনলো সবাই মিলে খাওয়ার জন্য।

সন্ধ্যায় উপহারের বক্স খুলতেই দেখলাম আমার শাশুড়ী আর ননদের চেহারায় যেনো আষাঢ়ের মেঘ জমেছে। নিলয় আমাকে রিং পরিয়ে দিলো। সবাই মিলে কেক খেয়ে যে যার রুমে চলে আসলাম।

রাতে খাবার জন্য আমি সেদিন ফ্রাইড রাইস,চিলি চিকেন,চিকেন ফ্রাই,ভেজিটেবল বানালাম।
খেতে বসে শাশুড়ী আম্মা আমাকে বললেন,"রাইফা,নিলয়ের আনা শাড়িটি নীলাকে দিয়ে দিও,নিলয় তোমাকে আরেকটা কিনে দিবে পরে।নীলার খুব পছন্দ হয়েছে শাড়িটি। "
মায়ের বাধ্য ছেলে হওয়ায় নিলয় ও আমাকে বললো দিয়ে দিতে শাড়িটি,হাতে টাকা হলে নিলয় আমাকে আরেকটা কিনে দিবে।

আমার চোখে ভেসে উঠলো অনেক বছর আগের সেই দৃশ্য। আমি জোর গলায় বললাম,"না মা,এই শাড়ি আমি দিতে পারবো না।এটা আমার গিফট, আমার স্বামী দিয়েছে।আপাকে ওনার ভাই না-হয় কিনে দিবে হাতে টাকা এলে।"

বি--স্ফোরিত চোখে সবাই আমার দিকে তাকালো। আমি শান্ত থেকে বললাম,"আমার বাবার দীর্ঘ দিনের শখ ছিলো মায়ের জন্য কচু পাতা কালার অরিজিনাল একটা জামদানী শাড়ির। বাবা একবার চাকরি সূত্রে টাঙ্গাইল গিয়েছিলেন। তাঁতিদের হাতে বুনা একটা কচু পাতা কালারের একটা জামদানী শাড়ি ও বাবা কিনেছিলেন মায়ের জন্য।

মায়ের গায়ের রঙ একেবারে ফর্সা। দুধে আলতা রঙ যাকে বলে। ছোট বেলায় স্নো হোয়াইটের গল্প শোনার পর আমি ভাবতাম আমার মা'কে দেখলে স্নো হোয়াইট ও ল--জ্জা পাবে।

বাবা ও তাই শখ করেই মায়ের জন্য সেই শাড়িটি কিনেছিলেন।
কিন্তু মা'য়ের ভাগ্য খারাপ অথবা বলা যায় বাবার সাহসের অভাব।
বাবা তিন ফুফুর জন্য ও তিনটি জামদানী শাড়ি এনেছিলেন। দাদী এসব শাড়ি পরে না বলে দাদীর জন্য একটা সুতি শাড়ি কিনেছিলেন।

কিন্তু দাদীর পছন্দ হলো মায়ের জন্য নেওয়া শাড়িটি। সরাসরি বলে বসলেন,"আমার জন্য এইডা কেমন শাড়ি আনছস তুই আমির?

না না, এসব শাড়ি তো মজনুর বউ পিন্দে, মজনু রিকশা চালাইয়া এরকম শাড়ি কিনে অর বউর লাইগ্যা। আমার পোলা তো রিকশা চালায় না। আমি তোর বউয়ের জন্য আনা শাড়িডা নিমু, ওইডা আমার ভাল্লাগছে।"

বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকালেন একবার, মা হাসিমুখে শাড়ির প্যাকেটটি দাদীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,"আপনি নিন আম্মা, আমাকে আপনার শাড়িটি দিন। আমার এসব শাড়ি পরতে ভালো লাগে না, অভ্যাস নেই, সুতি শাড়িতেই আরাম লাগে আম্মা। কাজ করতে সুবিধা হয়।"

বড় ফুফু টিপ্পনী কে--টে বললেন,"বাপের বাড়িতে এসব দামী শাড়ি পরলেই তো অভ্যাস থাকবে!"
বাবা বলতে পারলেন না কিছু কাউকে। তখন আমার বয়স কতো আর?
১৫ বছরের আমি স্পষ্ট দেখলাম মায়ের বিবর্ণ হাসিমুখ, অশ্রু টলটলে চোখ আর বাবার পরা--জিত মুখ।

পরের ঈদেই দাদী শাড়িটি বড় চাচীকে দিয়ে দিলেন, ওনার এসব পরতে ভালো লাগে না বলে। বাবা এ-ক্সি-ডে-ন্টে পা হা-রালেন সেই বছর। মায়ের জন্য আর জামদানী শাড়ি কেনা হলো না।

চাচী প্রায়সময় শাড়িটি পরে, সেই শাড়ি দেখলে মায়ের কেমন লাগতো জানি না কিন্তু আমার বুকের ভেতর একটা ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতো।
আমি তখন থেকে আমার দাদী, চাচীকে অপছন্দ করা শুরু করি।

বাবার ঔষধ, ছোট ভাইয়ের স্কুলের বেতন, বড় আপার বাবুর দুধ কেনা, ঘরের জন্য নামমাত্র বাজার করা-সবই তো মাস শেষে আমার টিউশনির ৩০০০ টাকা আর বড় আপার একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়িয়ে পাওয়া ৪০০০ টাকা বেতনে হতো। এই টাকার মধ্য থেকে আমার উপায় ছিলো না মা'য়ের জন্য এরকম দামী একটা শাড়ি কেনার।

মাঝেমাঝে বাবার ঔষধ শেষ হলে বাবা সবার আড়ালে আমার দুহাত চেপে ধরে বলতেন,"আমার আর ঔষধ লাগবে না রে মা,তুই কয়েক মাসের ঔষধের টাকা জমিয়ে তোর মা'কে একটা জামদানী শাড়ি কিনে দিবি মা? আমার খুব শখ ছিলো তোর মা'কে এই শাড়িতে দেখার।"

আমি বাবাকে মৃদু ধম-ক দিয়ে চুপ করিয়ে দিতাম। বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতেন,"আমি কোনোদিন তোর মা'কে কিছু দিতে পারলাম না রে মা। আমি একজন অযোগ্য স্বামী, অযোগ্য পিতা। আমার জন্য আর টাকা ন-"ষ্ট করিস না।"

বাবার কথাকে আমি পাত্তা দিতাম না। তবে বাবা ঘুমিয়ে গেলে মাঝেমাঝে বাবার পায়ের পাশে বসে বলতাম,"তুমি আমার জন্মদাতা বাবা, তোমার জন্যই তো এই পৃথিবীতে আসতে পেরেছি আমি বাবা। বুক ভরে এই পৃথিবীর তাজা বাতাস শ্বাস নিতে পারছি। তুমি অযোগ্য নও বাবা, অযোগ্য আমি বাবা। তোমার একটা ইচ্ছে আমি পূর্ণ করতে পারছি না।"

বাবা মা*-রা গেলেন সে-বছরই, সাথে করে নিয়ে গেলেন একবুক আফসোস। স্ট্রো--ক করে মা--রা গেলেন বাবা।মারা যাবার আগ মুহূর্তে আমার হাত শক্ত করে চেপে ধরে বাবা বললেন,"মা রে, একটা শাড়ি.....

বাবার সেই অব্যক্ত কথা আমি জানি। বাবা মারা যাবার পর মা নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছিলেন বিবর্ণ বস্ত্রে।
ইন্টার পাস করার পর আমার একটা ছোট চাকরি হলো। প্রথম কয়েক মাসের বেতনের টাকা জমিয়ে আমি মায়ের জন্য একটা কচু পাতা রঙের জামদানী শাড়ি কিনেছিলাম।

সেই শাড়ি বুকে জড়িয়ে ধরে মা বললেন,"এখন আর কি হবে রে মা এই শাড়ি দিয়ে?
আমাকে এই শাড়ি পরনে দেখতে চাওয়া মানুষটা তো নেই।এখন আমি অপেক্ষায় আছি কাপনের কাপড় পরার।"

আমার কান্নারা গলায় দলা পাকিয়ে আ--টকে ছিলো।
মা আর সেই শাড়ি কখনো পরে নি, আমরা আর জোর করি নি।
মাঝেমাঝে মাঝরাতে দেখতাম মা সেই শাড়িটি জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতো শুধু।

বাবা মা*রা যাওয়ার ৮ মাস পর দাদী মা*রা যান। মা'কে দেখেছি দাদীর সব দায়িত্ব পালন করতে সুষ্ঠুভাবে। কিন্তু দিনশেষে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতেন,"তোর দাদীর জন্যই তোর বাবা একটা আফসোস নিয়ে দুনিয়া ছেড়ে গেছেন। আমি কখনোই তোর দাদীর নিষ্ঠুরতার কথা ভুলবো না।

আম্মা, ভেবে দেখেন এরকম গল্প আপনার জীবনে ও আছে। আপা,আপনি ভেবে দেখেন একবার। আপনার সাথে এরকম কিছু না কিছু হয়েছে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করতে হয় নিলয়। প্রতিবাদ করতে না পারলে আমার মায়ের মতো তীব্র য--ন্ত্রণা বুকে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। ভাগ্য কখন কাকে কি করে কে জানে।

আমি চাই না পুনরায় এরকম কিছু আমার সাথে ঘটুক।"
নীলা আপা চোখের পানি মুছে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,"তোদের দুলাভাইও আমাকে এক জোড়া কানের দুল দিয়েছিলো বিদেশ থেকে আসার পর।আমাকে পরিয়ে দিয়ে বললেন,এই দুল জোড়া দেখেই আমার তোমার কথা মনে পড়েছে নীলা। তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।সবসময় এই দুলটা পরে থেকো,আমি মন ভরে দেখবো তোমায়।

কিন্তু আমার শাশুড়ীর সেটা পছন্দ হয়ে গেলো। তোর দুলাভাই ও মায়ের পছন্দ শুনে দিয়ে দিলেন,আমাকে বললেন পরের বার আসার সময় উনি আমার জন্য আরেক জোড়া দুল আনবেন।

এমন না যে আমার শাশুড়ীর জন্য উনি কিছু আনেন নি,ওনার জন্য একটা গলার চেইন এনেছিলেন।তবুও আমার শাশুড়ী আমাকে দুল জোড়া দেন নি।
পরের বার তো উনি লাশ হয়ে ফিরলেন রে রাইফা।আজও আমার মনে পড়ে আমার স্বামীর পছন্দ করে আনা সেই দুলের কথা। সেই দুল আমার শাশুড়ী তার বড় মেয়ের ঘরের বড় নাতনিকে দিয়ে দিয়েছেন।

আজও আমি মনে পড়লে আল্লাহকে বলি, আল্লাহ তুমি বিচার কইরো। আমার স্বামী শখ করে যে জিনিস আমার জন্য এনেছে,সেই জিনিস কেড়ে নিয়ে যে আমার স্বামীর শখ পূরণ করতে দেয় নাই,তার বিচার কইরো।
আমার বিরাট বড় ভুল হয়েছে,আমাকে মাফ করে দিস।"

সেদিন যদি আমার বাবা অথবা মা কেউ একজন জোর গলায় প্রতিবাদ করতো তাহলে আর বাকী জীবন দুজনকে এই আফসোস করতে হতো না।

নীলা আপার স্বামী যদি সেদিন তার মা'কে বলতে পারতেন এটা আপার জন্যই এনেছেন তবে আজ স্বামীর মৃ*ত্যুর পরেও নীলা আপার সেই আফসোস থেকে যেতো না।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিতে নেই। প্রিয় মানুষের দেওয়া কিছু ছোট ছোট জিনিস ও একান্ত ব্যক্তিগত হয়।যার ভাগ কাউকে দেওয়া যায় না। সে যতোই আপনার লোক হোক।

সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা এমনি এমনি আসে না।এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো জমতে জমতে মনে এক সময় তিক্ততার মহাসাগর বানিয়ে ফেলে।
সহজ সম্পর্ক তখন জটিল হয়ে যায় তখন।

লেখাঃ জাহান আরা

10/02/2025

আমি বাংলাদেশের একটি সনামধন্য একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি ( শেষের পথে )। আমার মাসিক ইনকাম ৭০০০০ এর মত ( টিউশনি করে)। আমার থেকে ২ বছরের ছোট এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে ৬ বছর ধরে। মেয়েটা প্রাইভেট মেডিকেল এ পড়ে।

আমি সুদর্শন । আমার প্রেমিকাও সুন্দরী । কিন্তু আমার পরিবারে সবাই ফর্সা লম্বা স্লিম । আমরা দুই ভাই । আমার বড় ভাই এর বউ মা নিজে পছন্দ করে সুন্দর লম্বা ফর্সা এনেছে । কিন্তু আমার প্রেমিকা খা^^টো শ্যাম^^লা মো^^টা হওয়ায় আমার পরিবারের কারও পছন্দ না ।

আমার প্রেমিকা যথেষ্ট ভালো একটা মেয়ে । ৬ বছর আমার প্রতি আমার একটু ও ভালোবাসা কমেনি , আমার যত্ন করে , আমাকে নিয়ে সব সময় ভাবে। আমার মা , খালা মিলে তাকে অনেক অপমান করছে কিন্তু সে অনেক ধৈয্যের সাথে নিয়েছে। ( আমার প্রেমিকাকে আমি গো^^পনে বিয়ে করি ২ বছর আগে তার সাথে আমার শা^রী^রিক সম্পর্ক ও হয়েছে অনেক বার). আমার পরিবারের অবস্থা উচ্চ মধ্যবিত্ত ।

আমার প্রেমিকার পরিবার আমাদের থেকেও বড়লোক। আমার প্রেমিকা একটাই কন্যা তাই তার বিয়ে দিয়ে দিতে চাইছে! প্রেমিকা তার বাবা মা কে আমার কথা জানায়!

তারা তাদের মেয়ের পছন্দ কে মেনে নিয়ে আমাকে তাদের বাসার পরিবার নিয়ে যেতে বলে ( মোহর করে রাখবে , পড়াশুনা শেষ হইলে উঠায় দিবে) । আমি চাকরি করিনা তাদের কোনো সমস্যা নাই কারণ অনেক সম্পদ আছে যে তারা মেয়েকে অনায়াসে চালিয়ে নিতে পারবে ।

কিন্তু আমার বাবা মা ভাই কোনো ভাবেই এই বিয়েতে রাজি না । আমার বাবা হা^র্ট এর প্রেশে^ন্ট । আমি আমার বাবা মা কে ক^ষ্ট দিতে চাইনা আবার প্রেমিকা কেও ছাড়তে চাইনা । কারণ সে আমার বিয়ে করা বউ ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক । ( বিয়ের কাগজ ছবি সব আমার কাছে )

আমি কাউকে এই বিষয়ে বলতেও পারতেছি না । সে আমার মায়ের সাথে অনেক বার কথা বলেছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি । তার নামে নিজস্ব ২ টা ফ্লাট আছে ঢাকায় । ( তার বাবা মায়ের দেওয়া)। সে আমাকে বলছে যে আমি যেন তাকে এখন বিয়ে টা করে নেই পরে থাকার সম^স্যা হইলে সেখানে উঠে যাবো ।

আমার পরিবারের মুখে চুনকালি মাখানো আমার পক্ষে সম্ভব না। আমার বাবা মা আমাকে অনেক ক^ষ্ট করে বড় করেছেন । আমার মায়ের কথা রিকশাওয়ালার মেয়ে কে বিয়ে করি তাও সম^স্যা নাই কিন্তু বউ ফ^র্সা ল^ম্বা লাগবে । ইতিমধ্যেই তারা আমার ভাবির খালাতো বোন কে আমার সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ।

যেটা তে আমি রাজি না । আমি বাসায় বলতেও পারছি না আমি ওই মেয়ে কে বিয়ে করেছি , আবার আমি আমার পরিবারের বিরু^দ্ধে যেতে পারছি না । এখন আমি কি করবো । মেয়ের পরিবার তাদের মেয়ের দিকে তাকিয়ে রাজি থাকলেও আমি আমার পরিবারের বিরু^দ্ধে গিয়ে পারিবারিক ভাবে বিয়ে আগাইতে পারতেছি না। আমি অপেক্ষা করে লাভ নাই কারণ আমার মা অন্য জায়গায় আমার বিয়ে ঠিক করতেছে । আর আমার ভালোবাসার মানুষের পরিবার ও এখনই বিয়ে দিবে। এই অবস্থায় আমি কি করবো, করণীয় কি?

>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

🎉 Facebook recognised me as a top rising creator this week!
28/01/2025

🎉 Facebook recognised me as a top rising creator this week!

26/01/2025

একটা বিষয়ে আপানাদের পরামর্শ চাচ্ছি।

আমার ছোটো বোনের বিবাহ হয়ছে ১০ বছর। দুইটা ছেলে বাবু আছে ১টা ৫ বছর আর ১টা ১.৫ বছর। আমার বোনের হাসবেন্ড সবসময় টাকার পিছোনে ছুটে ফলের দোকান, অনেক চাষবাস করে আবার বড় বড় দুইটা গরু পোষে। সব সময় আমার বোনকে খাটানোর মধ্যে রাখে তাতে কোনো সমস্যা না।

কিন্তু একটুতে এদিক সেদিক হলেই মা*র*ধর করে! বউ বাচ্চাকে কোনো পোশাক আশাক দিবে না৷ এত এত কাজের মধ্যে আমার বোন সেলাই মেশিনে কাজ করে ছেলেদের এবং নিজের পোশাক তৈরি করে।

এর আগেও প্রাই প্রাই ঝা*মেলা করেছে। কোনোবার তেমন কিছু বলা হয় না বিধাই আমার বোনের জামাই যা খুশি তাই করে।

কিছুদিন আগে আমার বোন ৫০০ টাকা নিয়েছিলো, নিয়ে ছেলেদের জামাকাপড় কিনছে পরে সেই টাকা ফেরত দেয়নি বলে সবার সামনে অনেক মা*র*ধর করছে।

আমার বোন এখন তার কাছে যেতে চাচ্ছে না। কিন্তু আমি চাচ্ছি বোনের জামাইকে একটা উচিত শিক্ষা দিতে, মা*ম*লা বা থানাই জিডি করে অথবা আমার বোনকে নিতে হলে স্টাম্পে সই করে ক্ষ*মা চেয়ে তারপর দিতে। এই বিষয় আপনারা আমাকে একটু পরামর্শ দেন কি করবো প্লিজ।

> নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

Address

Hougang, Star Of Kovan
Singapore

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Unique Thought Shorts posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share