04/09/2024
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সমীপে
বাংলাদেশে আগষ্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতিবাদ সমাবেশ মিছিল, র্যালি , মানববন্ধন করেছিলেন।
কিন্তু মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড , মিছিল , সমাবেশ নিষিদ্ধ। এসব দেশে আন্দোলনে সমর্থন করে মিছিল, মানববন্ধন করতে গিয়ে বাংলাদেশিরা আটক হয়েছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ, অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আপনার উদ্যোগে ৫৩ জন বাংলাদেশ কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছেন।তাদের মুক্তি না হলে, ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫৩ জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড ,১ জনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতো।
কোটি প্রবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
কিন্তু দু:খের সাথে জানাচ্ছি , ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সৌদি আরবে দোয়া মাহফিল। সেখানে অংশ নেয়ায় ৮ বাংলাদেশীকে আটক করে দেশটির পুলিশ।
গত ১৬ আগস্ট সৌদি আরবের মাহাইলে অনুষ্ঠিত এই দোয়া মাহফিলে প্রবাসীরা অংশ নেন। দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার শেষের দিকে আয়োজক আট বাংলাদেশীকে আটক করে নিয়ে যায় মাহাইল পুলিশ, সৌদিআরব।
সৌদি পুলিশের হাতে আটক হওয়া সেই প্রবাসী বাংলাদেশীরা হচ্ছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর হাফেজ রহমতুল্লাহ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সেলিম উল ইসলাম, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মোঃ খলিলুর রহমান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মাওলানা ইউসুফ, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মোহাম্মদ ওমর ফারুক, বান্দরবানের মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে আটককৃত আট বাংলাদেশীর মুক্তির জন্য সৌদি আরবের মাহাইল পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে ভুক্তভোগীর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা যোগাযোগ করলেও কোন সমাধান আসেনি।
আশংকা করছি, সৌদি আরবে শুধু ৮ জন নয় আরও বেশি মানুষ বিভিন্ন স্থানে আটক হতে পারেন। এছাড়া, কুয়েত, ওমান, বাহরাইন, কাতারেও আটকের ঘটনা থাকতে পারে।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিতে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে কোথায়, কতজন আটক হয়েছেন তা খোজ নিয়ে তাদের মুক্তির উদ্যোগ নিন।
সংগ্রহে
চৌধুরী আকবর হোসেন
সাংবাদিক