MD Azmul Hossain

MD Azmul Hossain Azmol Hossein

09/07/2024
13/04/2024

Send a message to learn more

ভাবী আমাদের বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার তিন মাসের মাথায় মা মারা যান। তখন আমার বয়স আট কী নয়। ক্লাস থ্রিতে পড়ি আমি।ঘরে বোন...
27/03/2024

ভাবী আমাদের বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার তিন মাসের মাথায় মা মারা যান।
তখন আমার বয়স আট কী নয়।
ক্লাস থ্রিতে পড়ি আমি।ঘরে বোন নাই।বাবা তো সেই কবে থেকেই সহ‍্যাশায়ী রোগী।সংসারটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে উঠতে চাইলো হঠাৎ।সবাই বললো, এবার ওদের সংসার ভাঙবেই ভাঙবে।সবাই যখন আমাদের সংসার ভাঙার লীলা দেখার প্রস্তুতি নিলো তখন ভাবী দেখিয়ে দিলেন উল্টো লীলা।মার মৃত্যুর পর যেন নতুন মা হয়ে ফিরে এলেন তিনি। গায়ের সাজসজ্জা,বাহারি নেলপলিশ,চুড়ি,টিপ সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে নিজের হাতে তুলে নিলেন তিনি আলমাড়ির চাবির গোছা, রান্না ঘরের হাড়ি পাতিল, আব্বার সেবা যত্ন,অষুধ খাওয়ানো, আমার পড়া তৈরি করে দেয়া, গোসল করানো,খাইয়ে দেয়া,ঘুম পাড়ানো,সব, সবকিছু।মার শোক কী জিনিস তা আমি আদৌ বুঝতে পারলাম না। অবশ্য প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগতো।মার গায়ের গন্ধ নিয়ে যে পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কেউ আসতে পারে না তাই! কিন্তু ভালোবাসা নিয়ে অনেকেই আসতে পারে।আমরা বলি না যে ইনি আমায় ঠিক ছেলের মতোই দেখেন!
ভাবী ছিলেন এরও বেশি। কতদিন আমি দুষ্টুমি করে ঘরের এটা ওটা ভেঙে দিয়েছি।এর জন্য ভাইয়া রাগ করলেও ভাবী কিন্তু মোটেও রাগ করতেন না। ভাইয়াকে বরং বুঝিয়ে বলতেন, 'ছোট সময় এমন কত কীই তো তুমি আমি করে এসেছি।নয়নও তো তেমনই। ছোট মানুষ। ওর কী এখনও বোঝ এসেছে বলো?
ভাইয়া বলতেন,'লায় দিয়ে দিয়ে তো মাথায় তুলছো বাদরটাকে।'
ভাবী হাসতেন।বলতেন,'দেখো,বাদরটা একদিন অনেক বড় হবে।'
বাবা একটু পর পর ভাবীকে ডাকতেন। একবার অষুধের জন্য, একবার মাথা গরম হয়ে গেছে বলে একটু জল ঢেলে দিতে,একটু শরবতের জন্য আরো কত কী!ভাবী হাসিমুখে সব করে দিতেন। কোনদিন তাকে আমি বিরক্ত হতে দেখিনি। কিন্তু ভাবীর মনে একটা দুঃখ ছিল। অবশ্য এই দুঃখ তিনি কখনো প্রকাশ করতেন না। মানুষ বলতো,'খেয়া, তোমার যে সন্তান সন্ততি নাই তোমার মন খারাপ হয় না এতে?'
ভাবী অবাক হয়ে বলতেন,'কে বলেছে আমার সন্তান নাই?নয়ন কী আমার সন্তান না?'
প্রতিবেশীরা বলতো,'এইসব শুধু মুখের কথাই হয় বাস্তবে হয় না।পরের সন্তান কী আর নিজের সন্তান হয় কোনদিন?'
ভাবী তখন চুপ হয়ে যেতেন। তারপর ঘরে এসে সেদিন আমায় পড়াতে বসে মাথায় বিলি কাটতে কাটতে বলতেন,'নয়ন, তুই আমার কী হস বলতো?'
আমি অনেক্ষণ ভেবে বলতাম,'ভাই।'
ভাবী তখন মুখটা কালো করে ফেলতেন। বলতেন,'আর কখনো ভাই বলবি না।বলবি সন্তান। তুই আমার সন্তান।'
আমি ডান দিকে মাথা নুইয়ে হ‍্যা বলতাম।
'
দীর্ঘদিন রোগে ভোগে বাবা মারা গেলেন। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি।ভাবীও এ বাড়িতে অনেকটা পুরনো হয়ে গেছেন। এতদিনে তার শরীরে সত‍্যিকারের মা মা একটা গন্ধ এসেছে। চেহারা থেকে বৌ বৌ রুফটা একেবারেই মিলিয়ে গেছে।এই বৌ বৌ রুফ মিলিয়ে যাওয়ায় বোধহয় ভাবীর জন্য কাল হলো। ওদিকে বাবাও নাই। আমি ছোট। এই সুযোগে ভাইয়া যেন কেমন হয়ে উঠলেন। ভাবীকে আজকাল তিনি একদম সহ্য করতে পারেন না।বন্ধ‍্যা বলে দূরে সরিয়ে রাখেন।এক খাটে শুতে পর্যন্ত যান না।ভাবী কাছে আসলে বলেন,'তুই আমার কাছে আসবি না।তোরে দেখলে আমার মাথায় আগুন ধরে।'
ভাবী অসহায়ের মতো বলতেন,'কই যাবো বলো আমি। তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে?'
'ভণিতা ছাড়।দূরে যাইয়া ভাব দেখা। আমার কাছে তোর জায়গা নাই।'
ভাবী বলতেন,'মাইয়া মাইনষের বিয়ের পর ঠিকানা একটাই।তার স্বামীর বাড়ি। এই বাড়ি ছাইড়া আমি কোথাও যাবো না।'
ভাইয়া রাগে গজগজ করতে করতে বলতেন,'যাইবি যাইবি।একশো একবার যাইবি। যাওয়ার জিনিস আনতেছি।'
ভাবী ভেবেছিলেন ভাইয়া বুঝি ওইদিন এমনিতেই এই কথা বলেছিলেন। কিন্তু কদিন পরেই দেখা গেলো এমনি এমনি নয়। ভাইয়া সত‍্যিকারেই একটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছেন।সেই বউ বাড়িতেই তুলে এনেছেন। এবার শুরু হলো বাড়িতে অন‍্য লীলা।যারা আমাদের বাড়ির সংসার ভাঙার লীলা দেখতে চেয়ে আশাহত হয়েছিল আগে এখন যেন তারা নতুন দৃশ্য দেখার জন্য একটু আড়মোড়া ভেঙেই বসলো।
'
নতুন ভাবী সাধারণ মেয়েদের মতো অত হাসিখুশির মানুষ নন। তিনি সব সময় চুপচাপ থাকেন। বাড়িতে তার যা কথা হয় ভাইয়ার সাথেই।খেয়া ভাবী হয়ে গেলেন এ বাড়ির আসবাবপত্রের মতো।তার সাথে কেউ কখনো কথাও বলে না, তার কোন প্রয়োজনের কথাও কেউ কখনো ভাবে না। ভাইয়ার সাথে কথা বলতে গেলে তার অপমানিত হতে হয়।মার খেতেও হয়েছে কতবার। কোন কারণ ছাড়াই ভাইয়া হাত উঠাতে পারেন ভাবীর উপর। স্বামীর অধিকার। স্বামীর অধিকারটা ছিল শুধু তার মারের বেলায়।অন‍্য বেলায় নয়।ভাবী ইচ্ছে করলে বাড়িতে সালিশ ডাকতে পারতেন। প্রতিবেশীরা বলতো,'সালিশ ডাকো বউ।তোমারে না জানাইয়া বিয়া করছে এর জন্য ওর কঠিন শাস্তি হওন দরকার।'
কিন্তু ভাবী মানলেন না। তিনি বললেন,'জোর খাটাইয়া আর যায় হোক ভালোবাসা আদায় হয়না।যে মানুষ আমারে দূরে সড়াইয়া দিবো তারে জোর করে কাছে রাখা যাইবো না।রাখলেও থাকবো না। একদিন দূরেই যাইবো।'
'
হঠাৎ একদিন বাড়িতে আনন্দের সংবাদ এলো। নতুন ভাবীর সন্তান হবে। ভাইয়া এতে কী যে খুশি!খেয়া ভাবীও খুশি।ঘরে সন্তান আসবে।তাকে না হোক ভাইয়াকে তো বাবা বাবা বলে ডাকার কেউ আসবে পৃথিবীতে।খেয়া ভাবী আনন্দে বাড়িতে হুজুর দাওয়াত করলেন। নানান পদের ভালো ভালো খাবার রান্না করে নিজের হাতে তাদের খাওয়ালেন। কিন্তু আনন্দে এইসব খাওয়ানো আরও কাল হলো তার জন্য। নতুন ভাবী ভাইয়ার কানে বললেন,খেয়া ভাবী নাকি তাদের অমঙ্গলের জন্য দোয়া করিয়েছেন। শুনে সাত পাঁচ না ভেবেই ভাইয়া ভাবীর উপর হাত তুললেন। ভাবীকে সে রাতে সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন,'আমি তোরে তালাক দিবো।'
ভাবী কেঁদে কেটে ভাইয়ার পা ধরলেন। বললেন,'বিশ্বাস করো,আমি মঙ্গলের জন্য দোয়া করাইছি।'
ভাইয়া বিশ্বাস করলেন না।সে রাতেই,এক তালাক, দুই তালাক,তিন তালাক বলে ভাবীর সাথে তার সমস্ত সম্পর্কের অবসান ঘটালেন ।
'
সে রাতে আমি ছিলাম প্রচন্ড ঘুমে।সেই ঘুম ভাঙিয়ে ভাবী আমার কপালে চুমু খেলেন, তারপর কান্না ভেজা গলায় বললেন,'নয়ন, আমার সব শেষ হয়ে গেল রে! আমি কোনদিন ভাবিনি তোদের ছেড়ে চলে যেতে হবে এভাবে!এই বাড়ি থেকে যে মৃত্যুর আগে বেরিয়ে যাবো তা আমার কল্পনাতেও আসেনি।'
কথাগুলো শেষ করতে পারলেন না ভাবী।কান্নায় ভেঙে পড়লেন। অনেক্ষণ পর কান্না থামিয়ে ভাবী বললেন,'তোর ভাইয়ার সাথে তো আর এখন আমার কোন সম্পর্ক নাই।সব ভেঙে গেছে। তুই কী এখন একবার আমায় মা বলে ডাকতে পারবি না নয়ন?'
আমার চোখ কেমন ছলছল করে উঠছে হঠাৎ। মুখ ভেঙে কেমন কান্না এসে যাচ্ছে। অনেক অনেক দিন পর আমার মনে হলো মায়ের কথা। স্পষ্ট মনে হলো, আমার আপন মা আমায় মা ডাক শেখাচ্ছেন। বলছেন,'খোকা, বলো তো,মা।'
আমি উচ্চারণ করতাম,'ম ম মা ম্মা।'
সেই দিনের মতো আমি ফের উচ্চারণ করলাম ভাঙা ভাঙা শব্দে‌ ,'ম ম মা ম্মা।'
'
ভাবী চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। ভাইয়া আর নতুন ভাবী তাদের মতো করে জীবন যাপন করতে লাগলেন। শুধু উল্টে গেল আমার জীবন।মা বাবার মৃত্যুর এই এতদিন পর আমার মনে হলো অনেক অনেক দিন পর আমি এতিম হয়েছি। মনে হলো এই বাড়িতে এখন আর আমার আপন কেউ নাই। আমি অপেক্ষা করতে থাকি শুধু বড় হওয়ার জন্য। আমার প্রবল বিশ্বাস,আমি একদিন বড় হবো। সেদিন ভাবীকে খুঁজে কোথাও না কোথাও পাবো। তাকে ফিরিয়ে আনবো আমার ঘরে। সেদিন অবশ্য তার আর আমার পরিচয় দেবর-ভাবীর থাকবে না।পরিচয়টা থাকবে মা -ছেলের। সেদিন আর ভাঙা শব্দে নয়, তাকে স্পষ্ট করে ডাকবো 'মা মা মা 'বলে।
'পেজ বর্তমান হাসিব ভাই এর হাতে নাই।
তাই গল্প কপি করছি এই পেজের এডমিন।
মায়ের_মতোই_ভাবি

প্লিজ পেইজটা ফলো করো
মি. হাসিব - story
এটা

কিছু মেয়ের জীবনে গঠে যাওয়া কিছু কথা সত্যিই আমার বি' য়ে' র ১বছর ৩মাস চলে। বি' য়ে' র পর পরই একবার কন্সিভ করি।কত খুশি ছিলাম...
21/03/2024

কিছু মেয়ের জীবনে গঠে যাওয়া কিছু কথা সত্যিই

আমার বি' য়ে' র ১বছর ৩মাস চলে। বি' য়ে' র পর পরই একবার কন্সিভ করি।কত খুশি ছিলাম মা হবো প্রথম বা*চ্চা।হাজবেন্ডও খুশি।যা খাইতে মন চাইতো এনে দিতো।
আনতো ঠিকই কিন্তু আমি আর খাইতে পারতাম না।আমার শাশুড়ি সব নিজের ঘরে নিয়ে রাখতো। আর পাড়ায় গল্প করে আমি কেজি কেজি ফল খাই ডিম খাই তাদের দেই না।🙂
এসব শুনে হাজবেন্ড লুকিয়ে আনতো। দিনের বেলায় আমি ঘুমালে আমার ঘর খুঁজতো।৩বেলা শুধু যতটুকু পারছি ভাত সবজি এসব খাইছি।ফল কেমন ৪মাসের পর আর চোখে দেখি নাই।🙂
ঘর ঝাড়ু দেওয়া, উঠান ঝাড়ু দেওয়া, থালাবাটি ধোয়া,রান্না করা সব করছি।ধানের সময় ধান মাড়ায়,উড়ানো,ভেজানো, সিদ্ধ করা,শুকানো সবই করছি।সাথে শাশুড়ি ছিলেন।
এরপর আসে পেঁয়াজের সময়। পেট উপরে।আমি বসতে পারিনা দাড়াতে পারিনা।তাও যতটুকু পারি করেছি।তার জন্যও শশুড় বলেছে জমিদারের বা*চ্চা কোনো কাজ পারেনা খালি খাই আর ঘুমায়।🙂
পেঁয়াজের সময় আমার শাশুড়ি আমারে ৮মাসের প্রে/গ//ন্যা/ন্ট অবস্থায় রেখে মেয়ের বাড়ি গিয়ে মেয়ের পেঁয়াজ কেটে দিয়ে আসছে।🙂
আমি সমস্ত কাজ একা করছি আর কা'ন্না করছি।গরুর ঘাস পর্যন্ত আমার শশুর আমারে দিয়ে কাটাইছে।৯মাস পর্যন্ত তাদের বাড়িতেই ছিলাম তারা আসতে দিবে না।পরে আমার আব্বু ইদের ১০দিন আগে গিয়ে জোর করে নিয়ে আসে।
খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো না হওয়ায় আমার বাবুর ওজন আসে দেড় কেজি।মায়ের কাছে এসে এই ১মাসে ১কেজি বাড়ে।গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে পেইন উঠে।ব্যা*'থা আস্তে ছিলো পরে ভোর ৪টা থেকে বেশি হয়।আব্বু জেলা শহরে নিয়ে যায়।হাজবেন্ড আর তার মা আসে।তার মা কিছুতেই সিজার করতে দিবে না।বলে বা*চ্চা ছোট নরমালে হবে।হাসপাতালের না*র্সরাও আর জোর না করে নরমালে চে*ষ্টা করতে থাকে। দুপুর ২টার দিকে আমার আব্বু সিজার করতে বললে আমার হাজবেন্ড বলে সি-জা-র করলে কাজ করতে পারবেনা।ন'রমালে চে*ষ্টা করেন।🙂
আমার শাশুড়ী আমি মৃ'*ত্যু পথযাত্রী তখনও মানুষের সাথে তুলনা করে যে অমুকের ৩দিন পর নরমালে হয়েছে তমুকের ৫দিন পর হয়েছে ওরো হবে। এরকম করতে করতে আমার বাবুটা পেটের ভিতরেই পা'য়খানা করে দেয়।তার পরে মা'*রাও যায়।যখন ব্লা'*ড ভাঙা শুরু হয় তখন সিজারের জন্য ওটিতে নেয়।ওটিতে যাওয়ার পর পরই বা*চ্চা নরমালে হয়ে যায়।কিন্তু আমার সা'ইড ছিঁড়ে যায়।সেলাই লাগে।😭😭
আমি তখনও জানিনা আমার বাবু আর দুনিয়াতে নেই।বেডে দেওয়ার পর আমার মা যখন বললো আল্লাহ তোমারে আবার বাবু দেবেন শক্ত হও তখন জানলাম আমার মেয়েটা নেই।আমি আমার বাবুরে একটা নজর দেখতেও পারলাম না।তার আগেই প্যাকেট করে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।😭😭
আজ ৫দিন হলো আমি আমার বাবুরে হারায়ছি।কত ক*ষ্ট করলাম কত অত্যা'চার সহ্য করলাম শুধু বাবুটার মুখে মা ডাক শুনার জন্য।আর আল্লাহ আমার কাছ থেকে সব কেড়ে নিলেন।আমার মেয়ে আমারে সারাজীবন কাজ করার জন্য দুনিয়ার বুকে রেখে ফাকি দিয়ে আল্লাহর কাছে চলে গেলো।😭😭😭

ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করে অন‍্যকে দেখার সুজোগ দিন

সুন্দর সুন্দর গল্প পেতে পেইজটি ফলো করুন
"
"
#সমাপ্ত

Address

Jeddah

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD Azmul Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MD Azmul Hossain:

Share