বাংলাদেশের মধ্যে আমরা কাকড়া আর শামুক খুজতাম হাসেঁর বাচ্চা আর মুরগির বাচ্চার জন্য। ওমা এখন দেখি সৌদির মানুষ কাকড়া আর শামুক খাওয়া শুরু করছে। দামও আকাশচুম্বী দুইটা কাকড়া ১৫০ রিয়াল ৩টা চিংড়ী মাছ ২৬০রিয়াল সব কাচাঁ টাকা ভাই। সৌদিয়ানরা এখন দুনিয়ার হাবিজাবি যা আছে সব খাওয়া শুরু করছে! শফিক ভাইরে বললাম একটা কাকড়া খেয়ে দেখেন টেস্ট কেমন উনি বলেন লাখ টাকা দিলেও নাকি খাবেন না। তবে বর্তমানে সৌদি আরবে অনেক জনপ্রিয় খাবার হয়ে উঠছে এইসব খাবার।
বাংলাদেশ থেকে কেউ সৌদি আরব আসার সময় যদি কিছু কাকড়া আর ঝিনুক নিয়ে আসতে পারেন তাহলে উনাকে ওজন বা পিস হিসাব করে যথাযথ সম্মানি দেওয়া হবে। দেশ থেকে অনেকেই আসার সময় বালা তেল , খেতা ,আচার ,চিড়ামুড়ি নিয়ে আসেন এইসব জিনিস না নিয়ে কয়টা লাগেজে করে কয়টা কাকড়া আর ঝিনুক নিয়ে আইসেন ঐগুলার খরচ দিয়ে দুইমাস সৌদি আরব চলতে পারবেন। কেউ পারলে কমেন্ট বক্
শুধু মাত্র আমাদের বাংলাদেশী ভাইদের জন্য স্পেশাল অফার ঘোষণা করা হলো।আজকে , রফিক ভাইয়ের একমাত্র শালির জন্মদিন তাই এ-উপলক্ষ্যে ৮০% ডিসকাউন্ট থাকবে সকল সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য।অফারটি থাকবে ৪৮ ঘন্টার জন্য তাই সময় নষ্ট না করে রিয়াদের, ৯নাম্বারে চলে আসুন।এই সুযোগ সবসময় আসেনা বছরে একবারি আসে।আর সবাই রফিক ভাইয়ের শালীর জন্য মন খুলে দোয়া কইরেন।
ইদ্রিস , রিয়াদ
সৌদি আরব প্রবাসী।
সৌদি আরবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা এইভাবে চুনা লাগাই দিয়ে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়।পরটা ছয়টা আর দুইটা ডাল সবজির বিল নিয়ে নিল ১০রিয়াল। বাংলাদেশি প্রায় ৩২২টাকার কাছাকাছি। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম সামনে মতি ভাইরে সাথে নিয়ে একটা হোটেল খুইলা দিমু। মাসে ইনকাম করতে পারবো ১থেকে দেড় লক্ষ টাকা।
সৌদি আরব একটা ভাতের হোটেল খুইলা দিলে আমেরিকা ,লন্ডনের মতো টাকা কামাইতে পারবেন।ভাবতেছি শ্বাশুড়িকে ফোন দিয়ে ভাতের হোটেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে।
সেলিম, রিয়াদ
সৌদি আরব প্রবাসী।
বাংলাদেশে আপনারা ডিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে যান কতো দিন আগের ডিম কেউ জানেন না। ৩০টা ডিম কিনলে ৫টা পচা থাকে। আর বিদেশে দেখেন কতো উন্নত সিস্টেম একটা ডিমের ৩/৪ মাস মেয়াদ থাকে তাও কতো ফ্রেশ। অথচ আমাদের দেশে বেশির হোটেলে পচা ডিম খাওয়ায়। এইতে কয়েকদিন আগে খালতো বোনের জামাই ঢাকায় কোন হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়েছিল ডিম দিয়ে পরে নাকি বাসায় যাওয়ার পরে পেট খারাপ হয়ে যায় তারপর উনাকে হসপিটালে নিয়ে যায়।আর সৌদি আরব দেখেন কতো ফ্রেশ ডিম কোনো ভেজাল নাই। দুইনম্বরি করার কোনো সুযোগ নাই এটাই হচ্ছে বিদেশ। সব উন্নতি সিস্টেম কেমিক্যাল মুক্ত খাবার। এদেশে খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে যায় না , বাসি খাবারের কোনো সুযোগ নাই। মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো জিনিস পাবেন না।
দেশের কোনো ভাইয়ের যদি ফ্রেশ , তারিখসহ ডিম দরকার হয় তাহলে সালাম ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। উনি কুরিয়ার সার্ভিসে ডিম পাঠাই দিবে।
দুই দিনের বৈরাগী ভাতেরে কয় অন্ন! মিলন ভাই বিদেশ আসছে শুক্কুরে শুক্কুরে আষ্ট দিন হয়নি এখোনি বিদেশি বিদেশি ভাব নিয়ে নিচে। ভাতের বদলে ফল দিয়ে সালাত খায় তাও নেপালী সাদিক নিয়ে। দেশে ফোন দিয়ে বলে উনি নাকি ভাত খাওয়া ছেড়ে দিসে সৌদি আরব আইসা এখানে খেপসা আর সালাত ছাড়া নাকি উনি কিছুই খায়না। কালকে অনেক অপমান করছে রফিক ভাইরে। সময়মতো সবকিছুর জবাব দেওয়া হবে এখন একটু সময় খারাপ রফিক ভাইয়ের।
রফিক , মক্কা
সৌদি আরব প্রবাসী।
আলহামদুলিল্লাহ! কফিলে নিজের গাড়িতে করে আমাকে নিয়ে আসছে সীসা খাওয়ার জন্য। বাঙালি ভাইয়েরা হিংসা করে লাভ নাই সেলিম ভাইকে আটকাতে পারবে না। কফিলের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক দেইখা আমাদের অনেক বাঙালি ভাইয়ের সহ্য হয়না, তাদের জ্বালা শরীরে জ্বালা শুরু হয়ে যায়। আমাদের বাঙালীদের সমস্যা এইখানে কেউ কাউকে উপরে যাইতে দেয়না। সবাই শুধু ধান্দায় কাকে কিভাবে নিচে নামানো যাবে। কিভাবে একজন আরেকজনের পিছনে ষড়যন্ত্র করবে এইগুলা নিয়ে পড়ে থাকে। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দিক। সঠিক বুঝ দিক।
সেলিম , রিয়াদ
সৌদি আরব প্রবাসী
মাইনাস নাকি মেয়োনেজ
সৌদি আরব আসছি একদম নতুন! কোনো কাজের অভিজ্ঞতা নাই! তারমধ্যে ঠিকভাবে ইংরেজি বলতে পারি না আরবিতো কিছুই জানিনা। যখন ইন্টারভিউ নিসে যা জিজ্ঞেস করছে সবকিছুর উত্তর দিসি বাংলাতে সাথে আরেকজন ছিল বাঙালী উনি ভালোই ইংরেজি জানেন। আমি ইংরেজি পারি না দেইখা আমাকে তারা ক্লিনার হিসেবে বেচে নিল। আর পাশের বাঙালি ভাইরে ওয়েটার হিসেবে চয়েস করলেন।ক্লিনারের কাজ করি ছয় মাসের মতো কিন্তু মাঝেমধ্যে ওয়েটারের কাজ করতাম কিচেনে ও কাজ করতাম। সৌদি কাস্টমারদের প্রায় সময় বলতে শুনি মাইনস মাইনাস বলে চিৎকার করতে তখন আমি বলি মাইনাস আবার কি জিনিস! এই মেয়োনোজ সস চিনতে আমার একমাস লাগছে। তিন সাপ্তাহ শুধু আমি মাইনাস বলতাম পরে এক লিবিয়ানি বললো এটা মাইনাস না এটা হচ্ছে মেয়োনিজ। মেয়োনেজ যা বেশির সসের সাথে থাকে।সৌদির মানুষের অনেক পছন্দ মেয়োনেজ।সস বানাতে মেয়োনিজ লাগে। বার্গারের সাথেও ব্যবহার ক
আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি। দীর্ঘ দিন পরে আজকে ব্রেড বানানোর সুযোগ পাইছি। বিশেষকরে রফিক ভাইকে ধন্যবাদ জানাই উনি অসুস্থ থাকার কারণে আজকে আমি বন বানানোর সুযোগ টা পাইলাম। আল্লাহর কাছে দোয়া করি উনি যেনো আরও তিন-চারদিন অসুস্থ থাকে যাতে করে ডিউটিতে না আসতে পারে। আশা করছি এই সুযোগে আমার ব্রেড বানানো শিখা হয়ে যাবে! ভাই বিশ্বাস করেন ডিসওয়াশের কাজ আর ভালো লাগে না! সবাই আমার জন্য দুয়া করবেন।
মতি ভাই , রিয়াদ
সৌদি আরব প্রবাসী।
কথায় আছে না বাঙালিরে খাইতে দিলে হুতি যায়! নুরু মামারে আগে অনেকবার বলা হইছে এইটা বিদেশ , যা করবেন হিসাব করে করবেন। কেউ ডিউটির সময় এইভাবে হুতি যায় আমি জীবনেও দেখি নাই। ওমা হেতে কি শুরু করছে জায়গায় জায়গায় হেতে হুতি যায়। হেতে কিচেনে ঘুমায় যায়, হাম্মামে গেলে হিয়ানো ঘুমায় যায়! আজকে কাস্টমারের চেয়ারে ঘুমায় গেছে।এটা কোন ধরনের ভীতিক আমার জানা নাই।বাঙালিরা আসলেই সব অষ্টধাতু এদেরকে দিয়ে কোনো কিছুই হবে না। এরা বিদেশ আসছে ভাতের হন মাইততো।
সফিক ভাই , রিয়াদ
সৌদি আরব প্রবাসী।
বাংলাদেশি যেই সব ভাই-ব্রাদার মেডেলিষ্টে রেস্টুরেন্ট লাইনে কাজ করবেন বা সেফ লাইনে ডুকবেন তাদের জন্য এই ভিডিওটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় আপনাকে এইধরনের অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবে। জানা থাকলে পরবর্তীতে আপনার কাজে দিবে। নুরু মামা, বাংলাদেশি ব্রাই-ব্রাদারের জন্য ভিডিওটা দিলো।
নুরু আলম , জেদ্দা।
সৌদি আরব প্রবাসী।
কার রিজিক কখন কিভাবে আসবে কেউ বলতে পারবে না!আজকে নুরু মামার সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল সারাদিন হুতি রইছে! উদের মতো শুধু এদিক সেদিক করে খাওয়ার জন্য। এমন খবিশ মানুষ জীবনে কমি দেখছি দুইদিন পরপর রান্না কইরবো তাও একবেলা তাও যে চেঙ্গ রান্ধে হলুদ-মরিচ ছাড়া কুত্তারে দিলে কুত্তাও খাইতো না। হঠাৎ করে নুরু মামারে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গেছে তার ফিলিপাইনি সাদিক জন্ডি মডাইকশেন। জন্ডির সাথে তার খাবার খাওয়ার জন্য! কেমন চাঁদ কপাল নুরু মামার।
এইখানে বিদেশি যা আছে বেশীরভাগি নুরু মামার কড়া সাদিক সব খাজ খাজ দোস্ত। কেমনে যে সিস্টেম করি বানাইলো সাদিক বাঙালি আর কেউ বানাইতে পারে নাই। মতি ভাই , যখন দেখছে নুরু মামারে ডাক দেয় উনি ভাবছিলেন উনাকেও খাওয়ার জন্য ডাক দিবে কিন্তু না শুধু নুরু মামাকেই নিয়ে গেছে। মতি মামার আজকে মাথা খারাপ হয়ে গেছে এগুলো দেইখা আফসোস করে আর বলে কেনো যে দুই কলম পড়াশোনা