26/07/2024
ব্যাংকে টাকা পাঠানোর আগে লিখাটা পড়ুন ,তারপর সিদ্ধান্ত নিন🙏
রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন?
আমি যখন দেশে টাকা পাঠাই রেমিটেন্সের মাধ্যমেই পাঠাই। তাতে কিন্তু আমি প্রতি ডলারে কমপক্ষে পাঁচ টাকা করে কম পাই। যেমন ধরুন, কানাডিয়ান এক ডলার সমান যদি বাংলাদেশের টাকা ৯০ টাকা হয় তাহলে রেমিটেন্সের মাধ্যমে মানে ব্যাংকের মাধ্যমে বৈধভাবে রেমিটেন্স হয়ে যেটা যাবে সেভাবে পাঠালে পাই ধরেন ৮৫ টাকা। প্রতি ডলারে পাঁচ টাকা কম। আমি যদি দুই হাজার ডলার পাঠাই তাহলে কতো টাকা কম পাচ্ছি বুঝুন।
তারপরেও আমি কিন্তু হুন্ডি করে না পাঠিয়ে ঐ রেমিটেন্সেই পাঠাই। ভাবি যে না আমার দেশের জন্য যেটা ভালো সেটাই করা উচিত। আমি ১৮ বছরে যত ডলার পাঠিয়েছি সবগুলোর দেশে ব্যাংকে রেমিটেন্সের প্রুফ আছে।
তাহলে এই ভালো কার জন্য করি বা করেছি আমি?
যে টাকা নিয়ে, জনগণের ট্যাক্সে বেতন পেয়ে পুলিশ বিশাল বড়ো ধ**নু*ক বহন করার শক্তির জন্য চাল কিনে ভাত খায়। শক্তিশালী হয়ে রাস্তায় নেমে সোনার টুকরো, কলিজার টুকরো ছেলেদের বুক ঝাঁঝরা করে বাড়ি গিয়ে আরাম করে বউয়ের পাশে ঘুমায় সেই ভালোর জন্য রেমিটেন্স পাঠাই?
এখন থেকে ডলার আর রেমিটেন্সে পাঠাব না, না, না। টাকা মানুষের কাছে যে কোনোভাবে পৌঁছে দিলেই তো হলো। দেই তো মানুষের সাহায্যের জন্য। কুরবানির জন্য। যাকাতের জন্য। যখন যা লাগে সেই জন্য। That's it.
প্রবাসী ভাইবোনদের যদি এতোটুকু বিবেক থাকে তারা কোনো দিন রেমিটেন্সে পাঠাবেন না।
এখন তো অনেকেই গলা উঁচু করে বলবেন, দেশের মানুষের জন্য এই রেমিটেন্স। মানুষের ভালো থাকতে পারবে। মানুষকে কতো যে ভালো রাখা হচ্ছে তা তো গোটা বিশ্ব দেখেছে তাই না?
এখানে কানাডিয়ান মিনিস্ট্রিতে লক্ষ-লক্ষ প্রতিবাদ লেটার সাবমিট করা হয়েছে দেশের ছাত্রদের হ**ত্যা* থেকে রক্ষার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। কানাডা কি জানে না তাহলে কি হচ্ছে এগুলো?
আমার এখন পর্যন্ত দম বন্ধ হয়ে আসে প্রতিটা ছাত্রের মুখের ছবি ভেসে আসলে। সেসব কথা চিন্তা করলে। ওয়াশরুমে দরজা বন্ধ করে মুখের ওপরে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে চোখের পানির বাঁধ ঠেকাতে চাই। এসব ছেলেরা তো আমার কেউ না। এমনকি পরিচিতও ছিল না। তারপরেও কেন আমার দম বন্ধ হয়ে এসে চোখ ভিজে যাচ্ছে?
একেকটা কলিজার টুকরোকে যেভাবে নির্ম**মভাবে চোখের সামনে হ**ত্যা করতে দেখেছি আমি মনে করি এটা সব যুদ্ধ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা চিন্তা করছি ফি**লি*স্তিনিদের কথা। নিজেরা যে বড়ো ফি**লি*স্তিনি হয়ে গেছি সেটা একবার ভাবুন।
কোনো প্রবাসী ভাইবোনেদের শরীরে র**ক্তের মধ্যে এই মানবতার অনুভূতি খেলা না করে তারাই শুধু রেমিটেন্স পাঠাবেন। কিছু বলার নেই।
এদিকে একজন বলবেন, "আপনারা রেমিটেন্স পাঠাবেন। আপনারা যেন রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন তাই ইন্টারনেট দিয়েছি তো।" তাহলে ইন্টারনেট কেটেছিলেন কেন? কতো প্রবাসী বাড়ি ফোন করে কথা বলতে পারে নি সে কথা হুঁশ হয় নি?
আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করুন।
কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।