Jahirul Islam Feni

Jahirul Islam Feni I am muslim السلام عليكم ورحمه الله
ইবনুল জাওযী রহঃ বলেন, যে ব্যাক্তি মরার পরেও তার আমল জারি রাখতে চায় সে যেন জ্ঞান (ইলম) প্রচার করে যায়।
( التذكرة في الوعظ ٥٥)

29/07/2024
আর তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগীতা করো, অসৎকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরে সহযোগীতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় করো , ...
27/07/2024

আর তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগীতা করো, অসৎকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরে সহযোগীতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় করো , নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর ।
সূরা আল মায়িদা - ০২

আপনার কি মন খারাপ - তাহলে একটু হেসে নিন
27/07/2024

আপনার কি মন খারাপ - তাহলে একটু হেসে নিন

রেমিটেন্স বয়কট এর বিধান : ইয়ামামাবাসীদের সরদার ছুমামা ইবনে উছাল রা.-কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার কয়েকদিন পর রাসূলুল্লাহ ﷺ ত...
27/07/2024

রেমিটেন্স বয়কট এর বিধান :
ইয়ামামাবাসীদের সরদার ছুমামা ইবনে উছাল রা.-কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার কয়েকদিন পর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে মুক্ত করে দিলে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর উমরা আদায়ের জন্য মক্কায় গমন করেন। মক্কার কাফেররা তাকে উত্ত্যক্ত করে।
এর জবাবে তিনি তাদেরকে বলেন-
وَلاَ وَاللهِ، لاَ يَأْتِيكُمْ مِنَ اليَمَامَةِ حَبَّةُ حِنْطَةٍ، حَتَّى يَأْذَنَ فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আল্লাহর কসম! রাসূল ﷺ এর অনুমতি ছাড়া ইয়ামামা থেকে আর একটা শস্যদানাও তোমাদের কাছে আসবে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৩৭২
হযরত ছুমামা রা. নিজ শহরে ফিরে গেলেন এবং মক্কায় শস্য রফতানী বন্ধ করে দিলেন। মক্কার সকল খাদ্যশস্যের যোগান হতো ইয়ামামা থেকে। ফলে কুরাইশরা দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হল।
তখন তারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে চিঠি লিখল। ছুমামা কর্তৃক খাদ্যশস্য বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তাদের উপর নেমে আসা কষ্টের কথা জানাল। আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে ছুমামাকে খাদ্য সরবরাহের জন্য চিঠি লিখতে অনুরোধ করল।
রাসূলুল্লাহ ﷺ ছুমামাকে চিঠি লিখলেন- তিনি যেন মক্কায় খাদ্য রফতানি জারি করে দেন। (দ্রষ্টব্য : মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭৩৬১; সুনানে কুবরা, বায়হাক, হাদীস ১৮০৩১)
শায়েখ হুসামুদ্দীন আফফানা বলেন-
وما قام به ثمامة بن أثال رضي الله عنه يعتبر نوعاً من المقاطعة الاقتصادية وقد أقره النبي صلى الله عليه وسلم على تلك المقاطعة الاقتصادية واستمرت تلك المقاطعة إلى أن طلب الرسول صلى الله عليه وسلم من ثمامة بن أثال وقفها.
ছুমামা রা. যা করেছেন তা এক প্রকার অর্থনৈতিক বয়কট। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার এ পদক্ষেপে বাধা দেননি। তার উপর কোনো আপত্তি করেননি। এ বয়কট অব্যাহত ছিল- রাসূলুল্লাহ ﷺ তা উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি লেখা পর্যন্ত। (ফাতাওয়া ইয়াসআলুনাক ১১/২৪)
সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিবাদ হতে পারে অর্থনৈতিক, সামাজিক বা অন্য যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
ইবনুল কায়্যিম রাহ. বলেন-
فالطرق التي تتضمن نفع المسلمين والذب عن الدين ونصر المظلومين وإغاثة الملهوفين ومعارضة المحتالين بالباطل ليدحضوا به الحق من أنفع الطرق وأجلها.
যত পন্থা ও পদক্ষেপ (অর্থনৈতিক, সামাজিক বা অন্য যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ যা) মুসলমানদের উপকারে আসে, দ্বীন ও শরীয়তের উপর আগত যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করে, মজলুম ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করে এবং বাতিলপন্থীদের হক-বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র নস্যাতের কাজ দেয়- তা উত্তম ও মর্যাদাশীল পদক্ষেপের অন্তর্ভুক্ত।
(ইগাছাতুল লাহফান ২/৭৬৫)

27/07/2024

রেমিটেন্স বয়কট শরিয়ত কি বলে :
ইবনুল কায়্যিম রাহ. বলেন:- যত পন্থা ও পদক্ষেপ ( অর্থনৈতিক, সামাজিক বা অন্য যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ ) যা মুসলমানদের উপকারে আসে, দ্বীন ও শরীয়তের উপর আগত যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করে, মজলুম ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করে এবং বাতিলপন্থীদের হক-বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র নস্যাতের কাজ দেয়- তা উত্তম ও মর্যাদাশীল পদক্ষেপের অন্তর্ভুক্ত।

فالطرق التي تتضمن نفع المسلمين والذب عن الدين ونصر المظلومين وإغاثة الملهوفين ومعارضة المحتالين بالباطل ليدحضوا به الحق من أنفع الطرق وأجلها.

(ইগাছাতুল লাহফান ২/৭৬৫)

রেমিটেন্স বয়কট এর বিধান : ইয়ামামাবাসীদের সরদার ছুমামা ইবনে উছাল রা.-কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার কয়েকদিন পর রাসূলুল্লাহ ﷺ ত...
27/07/2024

রেমিটেন্স বয়কট এর বিধান :
ইয়ামামাবাসীদের সরদার ছুমামা ইবনে উছাল রা.-কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার কয়েকদিন পর রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে মুক্ত করে দিলে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর উমরা আদায়ের জন্য মক্কায় গমন করেন। মক্কার কাফেররা তাকে উত্ত্যক্ত করে।

এর জবাবে তিনি তাদেরকে বলেন-
وَلاَ وَاللهِ، لاَ يَأْتِيكُمْ مِنَ اليَمَامَةِ حَبَّةُ حِنْطَةٍ، حَتَّى يَأْذَنَ فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আল্লাহর কসম! রাসূল ﷺ এর অনুমতি ছাড়া ইয়ামামা থেকে আর একটা শস্যদানাও তোমাদের কাছে আসবে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৩৭২

হযরত ছুমামা রা. নিজ শহরে ফিরে গেলেন এবং মক্কায় শস্য রফতানী বন্ধ করে দিলেন। মক্কার সকল খাদ্যশস্যের যোগান হতো ইয়ামামা থেকে। ফলে কুরাইশরা দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হল।

তখন তারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে চিঠি লিখল। ছুমামা কর্তৃক খাদ্যশস্য বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তাদের উপর নেমে আসা কষ্টের কথা জানাল। আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে ছুমামাকে খাদ্য সরবরাহের জন্য চিঠি লিখতে অনুরোধ করল।

রাসূলুল্লাহ ﷺ ছুমামাকে চিঠি লিখলেন- তিনি যেন মক্কায় খাদ্য রফতানি জারি করে দেন। (দ্রষ্টব্য : মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭৩৬১; সুনানে কুবরা, বায়হাক, হাদীস ১৮০৩১)

শায়েখ হুসামুদ্দীন আফফানা বলেন-
وما قام به ثمامة بن أثال رضي الله عنه يعتبر نوعاً من المقاطعة الاقتصادية وقد أقره النبي صلى الله عليه وسلم على تلك المقاطعة الاقتصادية واستمرت تلك المقاطعة إلى أن طلب الرسول صلى الله عليه وسلم من ثمامة بن أثال وقفها.
ছুমামা রা. যা করেছেন তা এক প্রকার অর্থনৈতিক বয়কট। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার এ পদক্ষেপে বাধা দেননি। তার উপর কোনো আপত্তি করেননি। এ বয়কট অব্যাহত ছিল- রাসূলুল্লাহ ﷺ তা উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি লেখা পর্যন্ত। (ফাতাওয়া ইয়াসআলুনাক ১১/২৪)

সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিবাদ হতে পারে অর্থনৈতিক, সামাজিক বা অন্য যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

ইবনুল কায়্যিম রাহ. বলেন-
فالطرق التي تتضمن نفع المسلمين والذب عن الدين ونصر المظلومين وإغاثة الملهوفين ومعارضة المحتالين بالباطل ليدحضوا به الحق من أنفع الطرق وأجلها.
যত পন্থা ও পদক্ষেপ (অর্থনৈতিক, সামাজিক বা অন্য যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ যা) মুসলমানদের উপকারে আসে, দ্বীন ও শরীয়তের উপর আগত যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করে, মজলুম ও বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করে এবং বাতিলপন্থীদের হক-বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র নস্যাতের কাজ দেয়- তা উত্তম ও মর্যাদাশীল পদক্ষেপের অন্তর্ভুক্ত।

(ইগাছাতুল লাহফান ২/৭৬৫)

27/07/2024

তথ্য সূত্র অনুযায়ী দেশের ৩২ টি ব্যাংক দেউলিয়া, যাদের টাকা ব্যাংকে আছে উঠিয়ে
নিবেন।

27/07/2024

মন্ত্রী পলকের মিথ্যা বানী
ডাটা সেন্টারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন

27/07/2024

শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হওয়ার প্রধান কারন হলো রেমিট্যান্স না আসা
আর তাদের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন খাতে ধ্বস নামা।

জনগন স্বৈরচার রাজাপাকসে পরিবারের পতন চেয়েছিল ( ১২ বছর ধরে শাসন করছিল তারা) । ফলে বন্ধ হয়েছিল রেমিট্যান্স পাঠানো। তারপর ঘটনা সবারই জানা।

আবার সরকার পতনের পর এত দ্রুত শ্রীলঙ্কা নিজের জায়গায় ফিরে এলো কিভাবে জানেন? সেটাও রেমিট্যান্স।

এই বিষয়টা বলার কারন আশাকরি বলার দরকার নেই।

27/07/2024

মানুষ খুন করা পাতি নেতা এখন পোষ্ট করে হুন্ডিতে টাকা পাঠানো হারাম।

27/07/2024

মাহফিলে বাঁধা দেওয়া পাতি নেতা এখন পোষ্ট করে হুন্ডিতে টাকা পাঠানো হারাম।

আপনার কথাবার্তা, লেখাজোকা যদি কোন না কোনভাবে যালিমের পক্ষে যায়, আপনার আচার- আচরণ, চাল-চলন কিংবা কার্যকলাপে যদি মাযলুমরা ...
26/07/2024

আপনার কথাবার্তা, লেখাজোকা যদি কোন না কোনভাবে যালিমের পক্ষে যায়, আপনার আচার- আচরণ, চাল-চলন কিংবা কার্যকলাপে যদি মাযলুমরা ব্যথিত হয়— তাহলে জেনে রাখুন আপনি একদিন জনরোষে পড়বেন, অপমানিত হবেন, আস্থা হারাবেন, একঘরে হয়ে যাবেন।
আর এমনও হতে পারে আপনি শেষমেশ নিজের অজান্তে যালিমের সহযোগী কিংবা যালিমদেরই একজন হয়ে উঠবেন। সেটা হতে পারে চাকুরীর দোহাই দিয়ে, উপরের মহলের আদেশ মান্য করতে যেয়ে, কোন বেনিফিট ছাড়াই কিংবা স্রেফ অওর স্রেফ নিজের কিছু স্বার্থ হাসিল করতে যেয়ে।

এক কারারক্ষী একবার ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ)-র কাছে জানতে চাইলেন কে বা কারা যালিমের সহযোগী ?

তখন তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) তাকে একটা হাদীস শোনালেন যাতে নবী কারীম (ﷺ)
সাহাবী কা'ব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে বলেন,
"আল্লাহ তোমাকে নির্বোধ (শাসকদের) শাসনকাল থেকে আশ্রয় দিন।
"কা'ব বললেন, নির্বোধ (শাসকদের) শাসনকাল কী?' নবী কারীম (ﷺ) উত্তরে বলেন,
"আমার পরবর্তীকালে এক শ্রেনীর শাসক আসবে, যারা আমার আদর্শে আদর্শবান হবে না এবং আমার পদাঙ্কও অনুসরণ করবে না। সুতরাং যারা তাদেরকে মিথ্যাুক হওয়া সত্ত্বেও সত্যবাদী মনে করবে এবং অত্যাচারে (সেটা লিখনী, বক্তব্য কিংবা প্রশাসনে যোগ দিয়েও হতে পারে) তাদেরকে সহযোগিতা করবে—
তারা আমার দলভুক্ত নয় এবং আমিও তাদের দলভুক্ত নই। আর তারা আমার হাউসে কাউছারের পানি পাবে না।"

তখন কারারক্ষী জিজ্ঞেস করলেন; "তাহলে আমার বিধান কী, আমিও কি যালিমের সহযোগী?"
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) তাকে আশ্বস্ত করে বলেন,
আরে, না! তুমি যালিমের সহযোগী নও।
যালিমের সহযোগী হলো তারা— যারা তাঁর চুল আঁচড়ানো, পোশাক ধুয়ে দেওয়া ও তার সেবা-যত্ন ইত্যাদি করে। তুমিতো নিজেই যালিমদের একজন।"
— [মানাকিবুল ইমাম আহমাদ' লি ইবনুল জাওযী:
১/১৩১]।

🔷সব জালিমের শাস্তি দুনিয়াতে হয় না।▪️আয়েশা (রাঃ)-এর উপর মিথ্যা অপবাদ দানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছিল মুনাফিক আব্দ...
26/07/2024

🔷সব জালিমের শাস্তি দুনিয়াতে হয় না।

▪️আয়েশা (রাঃ)-এর উপর মিথ্যা অপবাদ দানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছিল মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই।

সাথে আরও তিনজন ছিল—যাদেরকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার কারণে আশিটি করে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে বেত্রাঘাত করা হয়নি।

কিন্তু প্রশ্ন হল: কেন তাকে শাস্তি দেওয়া হয়নি❓

জবাবে আল্লাহ বলেনঃ
الَّذِیۡ تَوَلّٰی کِبۡرَہٗ مِنۡہُمۡ لَہٗ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ
“আর ঐ কাজে তাদের মধ্যে যার বড় ভূমিকা আছে তার জন্য রয়েছে (আখিরাতে) বিরাট শাস্তি।"[সূরাতুন নূর:11]

▪️ অতএব, এমন কিছু জালিম আছে যাদের ক্রাইমের পরিমাণ এত যে, সব ক্রাইমের শাস্তি দেওয়া আদৌ দুনিয়াতে সম্ভব নয় বরং জাহান্নামই তাদের জন্য উপযুক্ত। আর তাই শাস্তিটা জাহান্নামে যাওয়ার আগ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়।

❝মাজলুম হয়ে মারা যাও তবুও অন্যায় ভাবে কাউকে ম্যাচের কাঠি দিয়েও আঘাত করিও না। করলে সেই কাঠির আগুনেই তোমাকে জ্বলতে হবে। জালিম হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মাজলুম হয়ে মৃত্যুবরণ করা অনেক অনেক ভালো।❞

আমিন বিন ইউসুফ
Amin Bin Yousuf

যুগে যুগে নিজেকে অতিশয় পরাক্রমশালী ভাবা অনেকের শেষকাল খুবই কষ্টে কেটেছে। কেউ মরেছে মাজহুল কারো হাতে, কেউ মাছি-মশার আক্রম...
26/07/2024

যুগে যুগে নিজেকে অতিশয় পরাক্রমশালী ভাবা অনেকের শেষকাল খুবই কষ্টে কেটেছে। কেউ মরেছে মাজহুল কারো হাতে, কেউ মাছি-মশার আক্রমণে, কেউবা রোগে-শোকে। কেউ পানিতে, কেউবা বাথরুমে। মরার আগে এইসকল হৃদয়হীন হায়েনারা ম্যাসাকার চালিয়েছে অনেক। ইতিহাসবিদগণ এঁদের ব্যাপারে বলতে গিয়ে থমকে গিয়েছেন বারবার, লিখতে গিয়ে আটকে গিয়েছিল তাদের কলম। যারা রক্ত দেখলে ভয় পান তাদের উদ্দেশ্যে বলি— দ্বাদশ শতাব্দী বা তারও আগে এমন একটা সময় ছিল যখন আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিলনা, রাস্ট্রীয় কোন যোগাযোগ ছিলনা, ইন্টারনেট-ফেইসবুক ছিলনা, আপনার চিৎকার শোনার মতো মানুষ ছিলনা, সেসময় কয়েক লাখ মঙ্গোলী লাখ লাখ উট, ঘোড়া, তলোয়ার উঁচিয়ে একসাথে ধেয়ে আসে দুনিয়ার বুকে । তাদের উট-ঘোড়ার পায়ের ধূলোয় অন্ধকার হয়ে যায় দুনিয়ার একাংশ।

কল্পনা করুন সেই সময়ের কথা যখন মঙ্গোলরা সাপ, বিচ্ছু, গিরগিটিসহ সামনে যা পেতো তা-ই খেয়ে ফেলত! পুরুষ কিংবা নারী— উভয়ের সাথেই সংগমে লিপ্ত হত। ওঁরা মানুষের রক্ত দিয়ে সমুদ্রের পানি লাল করে ফেলতো। মানুষ মারার ক্ষেত্রে তাদের একটা পদ্ধতি ছিল পিষে ফেলা পদ্ধতি। আব্বাসীয় খলিফা আল-মুস্তাসিম বিল্লাহকে শুইয়ে তারউপর ঘোড়া চালিয়ে একদম পিষে মেরে ফেলে। এতটা হিংস্র আর মারমুখী ছিল যে তখনকার মানুষজন ধরেই নিয়েছিল মঙ্গোলরা হাদীসে বর্ণিত সেই ইয়াজুজ-মাজুজ। মঙ্গোল সেনাপতি চেঙ্গিস খান (নামের শেষে খান দেখে আবার মুসলিম ভাববেন না, সে মুলত টেংরিজমের অনুসারি) এর ভয়ে মানুষজন দূর-দূরান্তে পালিয়ে যায়। ১২১৮ সালে সে বুখারায় আক্রমণ করে রক্তের বন্যা বইয়ে নিজের কবজায় নেয়ার পর মুসলিমদের তিরস্কার করে বলে (যেমনটা দুনিয়ার কোথাও নির্যাতিত হলে আজকেও কেউ কেউ বলে)— “তোমরা অনেক বড় পাপী, তোমরা যদি এত বড় বড় পাপ না করতে, তাহলে সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমার মতো এক আজাবকে তোমাদের কাছে পাঠাতেন না!” একথা সে দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলত। অবশ্য হিজড়াদের ভিঁড়ে কিছু বীর মুসলিম ওঁদেরকে ইয়াজুজ-মাজুজ মনে না করে যুদ্ধে নেমে যায় প্রাপ্তি কিংবা ফলাফলের কথা না ভেবেই। তারিখের কিতাবাদীতে সেসময় মুনাফিক-কাপুরুষদের স্রেফ দুনিয়ালোভ, আপসে দ্বন্ধ, আর নির্দয়তার গল্পই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

পৃথিবীর ইতিহাসে যত ধ্বংসলীলা হয়েছে এবং হবে (দাজ্জাল ব্যতিত) তার সব কিছুকে ছাড়িয়ে যাবে এঁদের ধ্বংসযজ্ঞ। প্রাচ্যে এমন কোন দেশ ছিলনা যা চেঙ্গিস খানের হাতে রঞ্জিত হয়নি। কত শহরকে জ্বালিয়ে ছাই করে দিয়েছে হিসেব ছাড়া। ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ এঁদের ইতিহাস বলতে গিয়ে বলেছেন, "মনে হচ্ছিল যেন ইসলাম ও মুসলিমরা দুনিয়া থেকে পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।"

কিন্তু আজ কোথায় সেই চেঙ্গিস খান? কোথায় হালাকু খান? মাটি কী তাদের স্পর্শ করেনি? দেহ কি তাদের পঁচে নি? দম্ভোক্তি কি ধূলিসাৎ হয়নি? আল্লাহর এই বাণী কী সত্য হয়নি— "আমি হঠাৎ করে তাদেরকে ধরে বসলাম; তখন (যাবতীয় কল্যাণ থেকে) তারা নিরাশ হয়ে গেল।" অত:পর যারা যুলম করেছিল তাদের শিকড় কেটে দেওয়া হল"!? সুতরাং বিশ্বাসীরা হতাশ না হই, আল্লাহ একদিন সকল যালিমের শিকড় কেটে দিবেন, আজকের দম্ভোক্তি সেদিন ধূলোয় বিলীন হয়ে যাবে। ইতিহাস নির্দয়-কাপুরষদের ভুলে যায়, কেবল বীরদের মনে রাখে ।

এই দুনিয়াতে প্রথম ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী ছিল নমরূদ।  আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করার জন্য একটি মশা পাঠান। সেটি তার নাকে প্রবেশ ...
26/07/2024

এই দুনিয়াতে প্রথম ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী ছিল নমরূদ। আল্লাহ তাকে শায়েস্তা করার জন্য একটি মশা পাঠান। সেটি তার নাকে প্রবেশ করে। মশার জ্বালা থেকে বাঁচার জন্য তার মাথায় হাতুড়ি বা জুতা দিয়ে আঘাত করা হত। সে যেমন ৪০ বছর পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল তেমনি আল্লাহ তাকে ৪০ বছর এই আযাবে রাখেন। অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করে।

— [তাফসীরে ইবনে কাসীর: ২/৮৭৮]। অন্য বর্ণনায় এসেছে— আল্লাহ তাকে চারশো বছর আজাব দিয়েছেন। এরপর মৃত্যু দিয়েছেন।— [তাবারী: ১৪ / ২০৪]।

ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী প্রত্যেকের জন্য এই উপমাই যথেষ্ট,
আর পরকালের শাস্তির বিষয়টাতো আছেই।

26/07/2024

হে জালেম/জুলুমকারী সাবধান!!
রাসূল(সাঃ) বলেছেন,"দুটি পাপের শাস্তি আল্লাহ তাআলা আখিরাতের পাশাপাশি দুনিয়াতেও দিয়ে থাকেন। তা হলো, জুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার শাস্তি।" [তিরমিজি, হাদিস : ২৫১১]

25/07/2024

রেমিট্যান্স + বাংলাদেশ বিমান
বয়কট।

23/07/2024

"কিয়ামতের দিন অধিকার সম্পর্কিত ব্যাপারে সর্বপ্রথম হিসেব নেয়া হবে অন্যের রক্ত জড়ানো বা হত্যাকাণ্ডের। "

(বুখারী: ৬৮৬৪; মুসলিম : ১৬৭৮)

22/07/2024

অবশ্যই আমি তোমাদের আগে বহু জাতিকে ধ্বং'স করে দিয়েছি যখন তারা জু'লুমে লিপ্ত ছিল।
(সূরা ইউনুস ১৩ আয়াত)

22/07/2024

‘অচিরেই জালিমরা জানতে পারবে, তাদের প্রত্যাবর্তনস্থল কোথায় হবে।’
(সুরা : শুআরা, আয়াত : ২২৭)

22/07/2024

নিজ সম্প‌দের হিফায‌তে করণীয়, আবু হুরায়রা (রাঃ) থে‌কে ব‌র্ণিত,
তি‌নি ব‌লেন: এক ব‌্যক্তি রাসুল (সাঃ) এর কা‌ছে বলল: আল্লাহর রাসূল, য‌দি কেউ আমার সম্পদ নি‌য়ে নি‌তে চায়?
নাবী (সাঃ) বল‌লেন: দি‌বে না।

সাহাবী (রাঃ) বল‌লেন: য‌দি আমার সা‌থে মারাম‌রি ক‌রে? রাসূল (সাঃ) বল‌লেন: তুমিও তার সা‌থে মারামা‌রি কর‌বে,

সাহাবী (রাঃ) বল‌লেন: য‌দি আমাকে হত‌্যা ক‌রে‌ ফে‌লে? রাসূল (সাঃ) বল‌লেন: তাহ‌লে তু‌মি শহীদ ব‌লে গন‌্য হ‌বে।

সাহাবী (রাঃ) বল‌লেন: আর আ‌মি য‌দি আমি তাকে হত‌্যা ক‌রে ফে‌লি? রাসূল (সাঃ) বল‌লেন: সে জাহান্না‌মে যা‌বে।

وعنْ أَبي هُريرة، رضي الله عنه ، قالَ: جاء رجُلٌ إِلَى رَسُول اللَّه ﷺ فَقَال: يَا رسولَ اللَّه أَرأَيت إنْ جاءَ رَجُلٌ يُرِيدُ أَخْذَ مَالِي؟ قَالَ: فَلا تُعْطِهِ مالكَ قَالَ: أَرأَيْتَ إنْ قَاتلني؟ قَالَ: قَاتِلْهُ. قَالَ: أَرأَيت إنْ قَتلَني؟ قَالَ: فَأنْت شَهيدٌ قَالَ: أَرأَيْتَ إنْ قَتَلْتُهُ؟ قَالَ: هُوَ فِي النَّارِ. رواهُ مسلمٌ.

(সহীহ মুস‌লিম)

19/07/2024

আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে রংপুর চেকপোস্ট এর মিছিল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ,
ছাড়াতে গিয়ে জনতার সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় পুলিশের।

19/07/2024

হে আল্লাহ আমাদের যুব সমাজ কে উত্তম ভাবে কবুল করুন!

19/07/2024

অসংখ্য মাজলুমের রক্তের উপর বিজয়ের হাতছানি হয়ত অত্যাসন্ন। জুলুম মুক্ত একটি সকালের অপেক্ষায় আমরা ,
ইনশাআল্লাহ।

Address

`Ar`ar

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jahirul Islam Feni posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jahirul Islam Feni:

Videos

Share