Emin

Emin Stay connected

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ... ধন্যবাদ ডঃ ইউনুস...মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই মিলেই একটি সুন্দর বাংলাদে...
06/12/2024

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ... ধন্যবাদ ডঃ ইউনুস...
মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই মিলেই একটি সুন্দর বাংলাদেশ..





05/12/2024

টেনশন!!! এই মুহূর্তে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ লাগলে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটি কাদের পক্ষে থাকবে??

06/11/2024

এসব ঘুটিকুরানিদের বস্তা পচা রাজনীতি করার সুযোগ বাংলাদেশে আর নাই....
ক্লাস ফাইভ ফেল মন্ত্রী নিয়োগ দেবে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের এই সকল ফাউল সিস্টেম এই জেনারেশন চলতে দেবে না... ইনশাআল্লাহ

24/10/2024

সকল ক্যাম্পাসে দলীয় ক্যাডার ভিত্তিক ছাত্র #রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি?

Ten Unknown Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.

3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and hybrid powertrains.

4. Performance and Motorsport Heritage: BMW has a strong heritage in motorsport, particularly in touring car and Formula 1 racing. The brand's M division produces high-performance variants of their regular models, known for their precision engineering and exhilarating driving dynamics.

5. Global Presence: BMW is a global automotive Company

6. Luxury and Design: BMW is synonymous with luxury and distinctive design, crafting vehicles that blend elegance with cutting-edge technology and comfort.

7. Sustainable Practices: BMW has committed to sustainability, incorporating eco-friendly materials and manufacturing processes into its vehicles, as well as advancing electric vehicle technology with models like the BMW i4 and iX.

8. Global Manufacturing: BMW operates numerous production facilities worldwide, including in Germany, the United States, China, and other countries, ensuring a global reach and localized production.

9. Brand Portfolio: In addition to its renowned BMW brand, the company also owns MINI and Rolls-Royce, catering to a diverse range of automotive tastes and luxury segments.

10. Cultural Impact: BMW's vehicles often become cultural icons, featured in fi

🔹️নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার উপায়🔹️✍ এস. আমিন প্রত্যেকটি মানুষের মানবিক গুন সমূহ বিকাশের  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  এক একটি ...
17/10/2024

🔹️নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার উপায়🔹️
✍ এস. আমিন

প্রত্যেকটি মানুষের মানবিক গুন সমূহ বিকাশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক একটি ধাপ হচ্ছে নিজের ভেতরে ন্যায় অন্যায়ের নৈতিক মূল্যবোধ তৈরি করা।

নৈতিক মূল্যবোধ (Moral Values) মানুষের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সহায়ক। এটি ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং মানুষের মধ্যে সততা, দায়িত্ববোধ ও সহানুভূতির মতো গুণাবলী তৈরি করে। কিন্তু অত্যন্ত চাহিদাপূর্ণ এবং চরম প্রতিযোগিতামূলক সমাজে নৈতিকতা গড়ে তোলা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ; এর জন্য তীব্র ইচ্ছাশক্তি এবং সচেতন প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নৈতিক মূল্যবোধ কীভাবে গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো।

১. পরিবারে নৈতিকতার ভিত্তি স্থাপন

একটি শিশুর নৈতিক শিক্ষা শুরু হয় তার পরিবার থেকেই। বাবা-মায়ের আচরণ ও মূল্যবোধ শিশুর ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। সন্তানদের সামনে ভালো উদাহরণ স্থাপন, তাদের সত্য কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা, এবং সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বোঝানো অত্যন্ত জরুরি। শিশুরা যা দেখে, তাই শিখে—তাই পরিবারের সদস্যদের উচিত সততা, সহানুভূতি এবং শৃঙ্খলা মেনে চলা।

২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষার প্রয়োগ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। শুধু পাঠ্যবই নয়, শিক্ষকদের ব্যক্তিত্বও ছাত্রছাত্রীদের জীবনে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ, এবং সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি, পাঠ্যসূচিতে নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যা শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হতে অনুপ্রাণিত করবে।

৩. ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা

ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে সঠিক পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে এবং নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তি তৈরি করে। প্রতিটি ধর্মেই সততা, ধৈর্য, সহানুভূতি এবং পরোপকারের কথা বলা হয়েছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও আধ্যাত্মিক চর্চা মানুষের মধ্যে শান্তি এবং ন্যায়পরায়ণতার মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করে।
ধর্মহীনতা মানুষকে বেপরোয়া আগ্রাসী এবং আত্মকেন্দ্রিক করে তোলে। তাই অবশ্যই ধর্মহীনতা পরিহার করা উচিত। এই মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছেন যিনি আমাদের অহেতুক তৈরি করেননি। অতএব আমাদের প্রত্যেকটি ভালো কাজ খারাপ কাজের একটা নির্ণয় এবং বিচার হবে এটা অবশ্যই একটি যৌক্তিক ভাবনা।

৪. বন্ধুত্ব ও সামাজিক সম্পর্কের উন্নয়ন

ভাল বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষ তার আশপাশের মানুষের আচরণ থেকে অনেক কিছু শেখে। সহানুভূতিশীল ও নৈতিক বন্ধুদের সাথে মেলামেশা একজনকে সৎ ও দায়িত্বশীল হতে সহায়তা করে। তাই এমন কিছু মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত যাদের নৈতিক মূল্যবোধ উন্নত। সমাজে খুব অল্প কিছু সংখ্যক মানুষকে দেখা যায় যাদের মধ্যে ন্যায় অন্যায়ের অনুভূতি অত্যন্ত প্রকট এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে এরা যথেষ্ট প্রতিবাদী এবং সক্রিয়। এই ধরনের মানুষগুলোর সাথে বন্ধুত্ব আপনার নৈতিক মূল্যবোধ উন্নত করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

৫. আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ব্যক্তিগত উন্নয়ন

নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণের বিকাশ অপরিহার্য। মানুষের আবেগ ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সৎ ও ন্যায়সংগত আচরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত আত্মবিশ্লেষণ এবং ভুল সংশোধনের চর্চা করলে ব্যক্তিগতভাবে নৈতিক গুণাবলী উন্নত হয়। কেউ সমালোচনা করলে তাৎক্ষণিক উত্তেজিত না হয়ে কোথাও নিজের ভুল আছে কিনা সে ব্যাপারে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।

৬. সমাজের ভূমিকা ও দায়িত্ব

একটি নৈতিক সমাজ গড়ে তুলতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সামাজিক নিয়মকানুন মেনে চলা, প্রতিবেশীদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং দুর্বলদের সহায়তা করা—এসব অভ্যাস নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সহায়ক। পাশাপাশি, সমাজের নেতাদের উচিত নৈতিকতার মাপকাঠি হিসেবে নিজেদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।

উপসংহার

নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা সহজ কাজ নয়, তবে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্ম এবং সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষ নিজের মধ্যে সৎ, দায়িত্বশীল ও সহানুভূতিশীল মনোভাব তৈরি করতে পারে। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনে নৈতিকতার চর্চা মানুষকে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করে।

6,500 বছর পুরনো  বিশ্বের প্রাচীনতম সোনার গহনা সহ অভিজাত একটি পুরুষের সমাধি!!!!
11/10/2024

6,500 বছর পুরনো বিশ্বের প্রাচীনতম সোনার গহনা সহ অভিজাত একটি পুরুষের সমাধি!!!!

চেতনা 2024
11/10/2024

চেতনা 2024

মৃত্যুর পর কি ভয়াবহ অবস্থা, শাস্তি অথবা আজাব রয়েছে?এই পৃথিবীতে অপরাধী পাকড়াও করার পর আদালতে পাঠানোর আগেও অপরাধীদেরকে ...
30/09/2024

মৃত্যুর পর কি ভয়াবহ অবস্থা, শাস্তি অথবা আজাব রয়েছে?

এই পৃথিবীতে অপরাধী পাকড়াও করার পর আদালতে পাঠানোর আগেও অপরাধীদেরকে থানায় আটক রেখে সাময়িক শাস্তি দেয়া হয়। এরপর আদালতে তাদের বিচার সম্পাদন হওয়ার পর তারা বিচারক প্রদত্ত শাস্তি ভোগ করে, অতঃপর মুক্ত হয়।

Quran 23:99
"যখন তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলেঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে পুনরায় প্রেরণ করুন"

Quran 23:100
যাতে আমি সৎ কাজ করতে পারি যা আমি করিনি। কক্ষনো না, এটা তো তার একটা কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত।

সতর্ক উপলব্ধি:
উপরের আয়াতগুলো থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি মৃত্যুর পর থেকে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত একটা সময় রয়েছে যেটাকে বলা হয় "بَرْزَخٌ বারজাখ"।
এ থেকে আরো বোঝা যায় মৃত্যুর সময় অথবা এরপর অবিশ্বাসীদেরকে এমন ট্রিটমেন্ট দেয়া হয় যাতে সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পৃথিবীতে ফিরে আসতে চায়।

ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস আমাদের দেশের গর্ব ❤️Ten Unknown Facts About   1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke...
28/09/2024

ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস আমাদের দেশের গর্ব ❤️

Ten Unknown Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.

3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and hybrid powertrains.

4. Performance and Motorsport Heritage: BMW has a strong heritage in motorsport, particularly in touring car and Formula 1 racing. The brand's M division produces high-performance variants of their regular models, known for their precision engineering and exhilarating driving dynamics.

5. Global Presence: BMW is a global automotive Company

6. Luxury and Design: BMW is synonymous with luxury and distinctive design, crafting vehicles that blend elegance with cutting-edge technology and comfort.

7. Sustainable Practices: BMW has committed to sustainability, incorporating eco-friendly materials and manufacturing processes into its vehicles, as well as advancing electric vehicle technology with models like the BMW i4 and iX.

8. Global Manufacturing: BMW operates numerous production facilities worldwide, including in Germany, the United States, China, and other countries, ensuring a global reach and localized production.

9. Brand Portfolio: In addition to its renowned BMW brand, the company also owns MINI and Rolls-Royce, catering to a diverse range of automotive tastes and luxury segments.

10. Cultural Impact:

ডক্টর ইউনুস তার সমালোচনা শুনতে চান চাটুকারীরা নয়
26/09/2024

ডক্টর ইউনুস তার সমালোচনা শুনতে চান চাটুকারীরা নয়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকার দেশে মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার নিউইয়র্কের একটি হোটেলে কয়েকটি শীর্ষ বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরে ভাই ইলিশ তো একটা মাছ মাত্র যেটা পেতে আমাদের কোন কিছু খরচ হয় না... ছোটকালে আমরা দেখতাম সিজনে প্রচুর ইলিশ মাছ অবশিষ্ট...
26/09/2024

আরে ভাই ইলিশ তো একটা মাছ মাত্র যেটা পেতে আমাদের কোন কিছু খরচ হয় না... ছোটকালে আমরা দেখতাম সিজনে প্রচুর ইলিশ মাছ অবশিষ্ট থেকে যেত যেগুলো খাওয়ার লোক থাকত না পচে যেত... এখন জেলেদের সিন্ডিকেট এবং কোল্ড স্টোর এর মালিক রা ইলিশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে.... এটা যখন এত দামি হয়েছে এটাকে নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, অতএব ইলিশ দিয়ে রাজনৈতিক লেনদেন আমাদের জন্য অত্যন্ত উত্তম একটি সুযোগ... ভারতের সাথে অনেক সমস্যার সমাধান এই ইলিশ দিয়েই সমাধান হতে পারে....
আপনারা অহেতুক ইলিশ নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন এবং দেশের ক্ষতি করছেন

অনেক ধন্যবাদ

আজ সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশকে দেখছে
25/09/2024

আজ সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশকে দেখছে

্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের মঞ্চে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৩ শিক্ষার্থী | Dr Yunus | Desh TVWelcome to the Official YouTube Chan...

Indian Army is Providing Training to Terrorist Groups of Hill Area in BANGLADESHভারতীয় আর্মি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পার্ব...
24/09/2024

Indian Army is Providing Training to Terrorist Groups of Hill Area in BANGLADESH
ভারতীয় আর্মি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দিচ্ছে.

24/09/2024

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ভূখণ্ড, এখানে বসবাসরত ১৩ টি ক্ষুদ্র জাতি এরা কেউ পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী নয়, আশ্রয়প্রাপ্ত অবাঙালি মেহমান।

মেহমানরা যদি বাড়িঘর দখল করতে চায় তাহলে কি করা উচিত??
***********************************************

বিস্তারিত:
দেশ গঠনে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-আঞ্চলিক অখণ্ডতা সুসংহতকরণে, সর্বোপরি জাতীয় ঐক্য ও সমৃদ্ধি অর্জনে তথা জাতিকে দিকনির্দেশনা প্রদানে একটি দেশের শিক্ষিত সমাজ বিশেষত বুদ্ধিজীবী কিংবা আমলারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। এগুলো তাদের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ অনেক ক্ষেত্রে তাদের এসব দায়িত্ব পালনে বিবেকের কাছে যে দায়বদ্ধ তা তারা ভুলে যান বলেই মনে হয়। অভিযোগ রয়েছে, এদের মধ্যে কেউ কেউ নাকি সুবিধাবাদী চরিত্রের। এরা যেদিকে স্রোত যায় সেদিকেই ভেসে বেড়ান। কিংবা যে পক্ষে কথা বললে কিছু প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকে সেদিকেই কথা বলেন। এরা খেয়াল রাখেন কোন ধরনের কথা বললে তাদের স্বদেশি-বিদেশি প্রভুরা খুশি হবে। এরা মনে করেন, স্বদেশি-বিদেশি প্রভুদের খুশি করার মতো কথা না বললে তাদের চাকরিও চলে যেতে পারে। তাই এরা সব সময়ই মনে রাখেন সত্যি হলেও এমন কোনো কথা বলা যাবে না, যাতে বিদেশি প্রভুরা রেগে যায়, তা দেশের যত ক্ষতিই হোক না কেন।

এ কারণে তারা ইতিহাসকে রাতারাতি অস্বীকার করেন কিংবা নিজেরাই একটা ইতিহাস তৈরি করেন, যা অসত্য এবং বাস্তব ইতিহাসের সঙ্গে কেবল সাংঘর্ষিকই নয়, বরং উল্টো। কোনো রকমে একটা পদ পেয়ে গেলেই হলো। তখন সুবিধাবাদী কিংবা ইতিহাস উল্টে দেয়ার বেসাতি শুরু করেন। সত্যকে মিথ্যে দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এ দলে সর্বশেষ নাম লিখিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। ইতিহাস ও বাস্তবতাকে অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতিদের আদিবাসী না বললে নাকি আইনের লঙ্ঘন হয়। ‘দৈনিক প্রথম আলো’র ২ আগস্ট (২০১৩) তারিখে প্রকাশিত ড. মিজানুর রহমানের বক্তব্যটি ছিল এ রকম : ‘দেশের আদিবাসীরা তাদের আদিবাসী বলতে পছন্দ করে, তাদের সেই নামে অভিহিত না করাটা অন্যায়। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি আনুগত্য ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের যে বিধান আছে, সেটিরও লঙ্ঘন।’ প্রথম আলো জানায়, ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার নাম কী হবে, সেটি আমি ঠিক করব। আপনি আমার নাম ঠিক করে দেয়ার কেউ নন।’

গত ১ আগস্ট ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে চূড়ান্ত পরিণতিতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী এক অনুষ্ঠানে ড. মিজানুর রহমান এসব মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্য, কিংবা সবার জন্য সম-অধিকারের প্রশ্নে, বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি কোনো অঞ্চলে আরেকটি সমান্তরাল সরকার কতখানি শাসনতন্ত্রসম্মত কিনা, কী কী কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি শাসনতন্ত্র, গণতন্ত্র ও মানমাধিকারের পরিপন্থী, এসব বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কিছুই বলেননি। এসব ব্যাপারে তিনি ভাবছেন বলে মনে হয় না। কিন্তু যারা আদতেই আদিবাসী নয়, সেই বহিরাগত উপজাতিদের আদিবাসী না বললে কীভাবে তা আমাদের সংবিধান কিংবা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে, তার কিছুই তিনি বলেননি। আগে তো দেখতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা আসলে ওই অঞ্চলের আদিবাসী কি না। তারা বাস্তবেই পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম মানব না হলে তাদের কেন আদিবাসী বলতে হবে? তাছাড়া দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রশ্নটি গুরুত্ববহ না কি পার্বত্য চট্টগ্রামের বহিরাগত ও আশ্রয়প্রাপ্ত উপজাতিদের অন্যায় আবদারটি বড়।
শুধু ড. মিজানুর রহমানই নন, বিদেশনির্ভর আরও কিছু বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিক এ ধরনের মন্তব্য করে কেবল সত্য ও ইতিহাসকেই অস্বীকার করছেন না, বাংলাদেশের জন্য চরম বিপদ ডেকে আনছেন। উপজাতিদের জন্য তাদের এ অমূলক আনুকূল্য তথা ফতোয়ার পেছনে কোনো ঐতিহাসিক দলিল তারা উপস্থাপন করতে পারবেন না যে, পার্বত্য উপজাতিরা ওই অঞ্চলের আদিবাসী।
আদিবাসী প্রত্যয়টির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘অ্যাবঅরিজিন’ (aborigine) এবং এর বিশেষণ হলো ‘অ্যাবঅরিজনাল’ (aboriginal)| ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী সম্পাদিত বাংলা একাডেমী ইংরেজি-বাংলা অভিধান অনুযায়ী ‘aboriginal’-এর বাংলা হলো (জাতি, গোষ্ঠী বা জীবিত প্রাণী সম্পর্কে) আদিম, কোনো এলাকার প্রাচীনতম কাল থেকে কিংবা ওই এলাকা পরিচিতি লাভের সময় থেকে বর্তমান (পর্যন্ত বসবাসকারী)। ‘ধনড়ত্রমরহব’-এর বাংলা হলো আদিবাসী, যেমন অস্ট্রেলীয় আদিবাসী। ইউরোপীয়দের আমেরিকা আবিষ্কার ও দখলের আগে ওই ভূখণ্ডে বসবাসকারীদের আদিবাসী না বলে সাধারণত ‘নেটিভ’ (হধঃরাব) মানে ‘স্থানীয়’ (অধিবাসী) বলা হয়। অক্সফোর্ড অ্যাডভ্যানস্ড লারনার্স অভিধানে (OXFORD Advanced Learner’s Dictionary)-এ অ্যাবঅরিজিনাল বলতে বোঝানো হয়েছে, কোনো জনগোষ্ঠীর এমন সব সদস্য যারা একটা দেশে বসবাসকারী আদি মানুষ, বিশেষত অস্ট্রেলিয়া বা কানাডার আদিবাসীরা (Sixth Edition, Edited by Salley Wehmeier : OXFORD University Press : 2001-2003)| ‘ওয়েবস্টার নিউ ওয়ার্ল্ড’ অভিধান অনুযায়ী আদিবাসী অর্থ ‘কোনো জায়গায় প্রথম থেকে বসবাসকারী মানবগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।’ (P. 3 : Webster’ New World Dictionary : Basic School Edition : 1983)। অর্থাত্ যে জায়গা আগে কখনোই কারও অধিকারে বা দখলে ছিল না, এমন স্থানে যারা প্রথমে বসতি নির্মাণ করেছিল তারাই হলো আদিবাসী। আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ানরা আমেরিকাতে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃত কেননা তারাই এ অঞ্চলে সর্বপ্রথম বসতি নির্মাণকারী মানবসন্তান। এসব বিবরণী থেকে সহজেই বোঝা যায় ষোড়শ শতাব্দী থেকে পরবর্তীকালে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে আশ্রয় নেয়া বহিরাগতরা কোনোভাবে এ অঞ্চলে সর্বপ্রথম বসতি নির্মাণকারী তথা আদিবাসী নয়।

আমি আগেই উল্লেখ করেছি, মৌর্য যুগেও পার্বত্যাঞ্চল বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। অর্থাত্ প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই আমাদের পূর্বপুরুষ পার্বত্যাঞ্চলের বাসিন্দা তথা মালিক ছিলেন বলেই তারাই ছিলেন ওই অঞ্চলের প্রথম মানব। সুতরাং বহিরাগত ও আশ্রিত ১৩টি উপজাতির কোনোটিই বাংলাদেশে বর্তমানের বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা তথা সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম কিংবা সাবেক চট্টগ্রামের আদিবাসী নয়। আমি আমার রচিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম : স্বরূপ সন্ধান’ নামক গ্রন্থে অন্যান্য সূত্র তো বটেই এমনকি চাকমা ঐহিহাসিক ও গবেষকদের গ্রন্থ ও গবেষণা উদ্ধৃত করে প্রমাণ করেছি, ১৩টি জাতির কোনোটিই পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র কিংবা আদিবাসী নয়। যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের আশ্রিত ও বহিরাগতদের কথিত আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিকে সমর্থন করছেন কিংবা সে অনুকূলে ফতোয়া দিচ্ছেন, তাদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি, তারা তাদের মতলবি ফতোয়ার সপক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য দলিল হাজির করতে পারবেন না। আরও মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রামে দখলি স্বত্বে মালিক নয়, ঐতিহাসিকভাবেই এটা আমাদের দেশের ভূখণ্ডভুক্ত। তবে মাঝে মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য চট্টগ্রাম (১৮৬০ সালের আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল চট্টগ্রামের অন্তর্ভুক্ত) আরাকান রাজার দখলে যায়, আবার কখনও কখনও আরাকান রাজ্যও বাংলাদেশের শাসক-সুলতান-রাজাদের দখলে আসে। মৌর্য যুগে বাংলার হরিকেল জনপদের অন্তর্ভুক্তিই প্রমাণ করে, পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১২০৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দিনের বঙ্গ বিজয়ের পথ ধরে বাংলায় রাজনৈতিকভাবে মুসলিম যুগের সূচনা হলেও এর বহু আগেই চট্টগ্রাম, নোয়াখালী তথা বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে মুসলমানদের আগমন ঘটে। ঐতিহাসিক মারওয়াজি (Muhaddis Imam Abadna Marwazi) তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করেছেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই নোয়াখালী-চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আরব বণিকদের মাধ্যমে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে পড়ে। তিনি লিখেছেন, মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবদ্দশায় ৬১৮ খ্রিস্টাব্দে আবু ওয়াক্কাস ইবনে ওহাব, কায়েস ইবনে সাঈরাদি, তামীম আনসারী, ইউরাহ্ ইবনে আস্সা, আবু কায়েস ইবনে হারেছাসহ একদল সাহাবি চট্টগ্রামে এসে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন। বাংলাদেশের বর্তমান অধিবাসী মুসলমানরা তাদেরই উত্তরপুরুষ কিংবা ইসলামে দীক্ষিতদের উত্তরসূরি এবং হিন্দু-বৌদ্ধদের উত্তরপুরুষ, যারা ইসলামের আগমনের বহু আগে থেকেই এ অঞ্চলে বসবাস করতেন।

অন্যদিকে পার্বত্যাঞ্চলের ১৩টি উপজাতির প্রথম আশ্রয় নেয়া শুরু হয় ষোড়শ শতাব্দী বড়জোর পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে। সুতরাং চট্টগ্রামের অন্তর্ভুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী যে চাকমা কিংবা অন্য কোনো উপজাতি নয়, তা আর প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের বিক্রি হয়ে যাওয়া কিছু বুদ্ধিজীবী কিংবা এনজিও ব্যবসায়ী স্বার্থ ও প্রাপ্তির বিনিময়ে চাকমাদের আদিবাসী হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করলেই ইতিহাস ঘুরিয়ে দিতে পারবেন না।
ষোড়শ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ থেকে বহিরাগত ১৩টি উপজাতি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চলে প্রবেশ করে। ভারতীয় সাংবাদিক বিজি ভার্গিস (BG Verghese) লিখেছেন, ‘পার্বত্য (চট্টগ্রামের) উপজাতিরা ষোড়শ ও ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে বিদেশের মাটি থেকে এ অঞ্চলে আশ্রয় নেয় এবং উপকূলীয় সমতল ভূমিতে বাঙালিদের সঙ্গে বসতি স্থাপন করে। (ইএ ঠবত্মযবংব, ঘড়ত্ঃয ঊধংঃ জবংঁত্মবহঃ : কড়হধত্শ চঁনষরংযবত্ং, ঘব িউবষযর, ওহফরধ, ১৯৯৬, ঢ়. ৩৭৪.)। এক্ষণে আমরা দেখব এ উপজাতির কোনটি কোন সময়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
মারমা : বর্তমানে মারমা নামে পরিচিত উপজাতি এক সময়ে আমাদের দেশে মগ নামে পরিচিত ছিল। এদের আদি নিবাস সাবেক বার্মায় (বর্তমান মিয়ানমার)। মারমা শব্দটি ‘মাইমা’ (গধরসধ) থেকে এসেছে। মিয়ানমার, মাইমা কিংবা মারমা মূলত সমার্থক শব্দ। এক সময় মগরা প্রায়ই বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে হামলা চালিয়ে লুটপাট করত। সুগত চাকমা লিখেছেন : মগরা মোগল আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে আরাকানে আশ্রয় নেয়। এক সময় তাদের একটি অংশ আরাকান থেকে আবার ফেরত এসে ১৭৭৪ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলের রামু, ঈদঘর, মাতামুহুরী উপত্যকায় বসবাস শুরু করে। ১৮০৪ সালে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে প্রবেশ করে বসতি স্থাপন করে। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে এখনও কক্সবাজার, পটুয়াখালী অঞ্চলে দেখা যায়। (সুগত চাকমা : পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি ও সংস্কৃতি : রাঙামাটি, বাংলাদেশ, পৃ : ৪০)
ত্রিপুরা : এ উপজাতির নাম থেকেই প্রমাণিত হয়, এরা ভারতের ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সুগত চাকমা মনে করেন, ত্রিপুরা উপজাতির পূর্বপুরুষরা তাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে ত্রিপুরা থেকে চলে আসেন। (সুগত চাকমা : পৃ : ৫৭)। সুগত চাকমা জানান, ১৬৬১ সালে রাজা গোবিন্দ মানিক্যের অনুসারী ও আত্মীয়-স্বজন প্রতিপক্ষের আক্রমণে টিকতে না পেরে বর্তমানের পার্বত্যাঞ্চলে আশ্রয় নেন এবং তারা আর স্বদেশে ফেরত যাননি।
লুসাই : এরা পার্বত্য চট্টগ্রামের পূর্ব-সীমান্তে মিজোরামের লুসাই উপজাতিভুক্ত এবং তাদের একটা অংশ প্রায় ১৫০ বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করে। (সুগত চাকমা : পৃ. ৫৭)
মুরং : ডঃ মিজানুর রহমান শেলী জানান, অনেকের কাছে ‘ম্রো’ নামে পরিচিত মুরংরা আরাকান বা বার্মা থেকে কয়েকশ’ বছর আগে প্রধানত বান্দরবানে বসতি নির্মাণ করে। (উত্. গরুধহঁত্ জধযসধহ ঝযবষষু : ঞযব ঈযরঃঃমড়হম ঐরষষ ঞত্ধপঃং ড়ভ ইধহমষধফবংয : ঞযব টহঃড়ষফ ঝঃড়ত্ু : পৃষ্ঠা ৫৩)। সুগত চাকমার মতে মুরংরা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমাংশে উত্তর বার্মা থেকে চট্টগ্রামে প্রবেশ করে। (সুগত চাকমা : পৃ. ৫৭)
খুমি : খুমিরা মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চল থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে চট্টগ্রামের পার্বত্যাঞ্চলে হিজরত করে। (শেলী : পৃঃ ৫৮)। ক্যাপ্টেন টিএইচ লেউনকে উদ্ধৃত করে সুগত চাকমা জানাচ্ছেন, খুমি ও ম্রোদের মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্রথমে পরাজিত ম্রোরা পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয় নেয় এবং পরবর্তীকালে খুমিরাও তাদের প্রতিপক্ষের চাপের মুখে ম্রোদের অনুসরণ করে। (সুগত চাকমা : পৃ. ৮১)
বোম : বর্তমানে বোমরা বান্দরবান জেলার রামু অঞ্চলে বসবাস করে। সুগত চাকমার মতে, ১৮৩৮-৩৯ সালের দিকে তাদের গোত্রপ্রধান (খরধহশঁহম)-এর নেতৃত্বে ওই অঞ্চলে আশ্রয় নেয়।
খিয়াং : ড. মিজানুর রহমান শেলীর মতে, খিয়াংরা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আরাকান পাহাড়ের উমাতাংগং-এ বসবাস করত। (শেলী : পৃ. ৬২)। বান্দরবান থেকে প্রকাশিত ‘গিরি নির্জর’ (৩য় সংখ্যা, ১৯৮৩) নামক সাময়িকীতে প্রদীপ চৌধুরী ‘খিয়াং উপজাতি’ শীর্ষক নিবন্ধে লোককথার ওপর ভিত্তি করে লিখেছেন, খিয়াংদের রাজা একটি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বার্মা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয় নেন। পরবর্তীকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে তার স্বদেশে ফেরত যাওয়ার সময় তার কনিষ্ঠ রানী গর্ভবতী থাকায় তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামেই রেখে যান। পার্বত্য চট্টগ্রামের খিয়াংরা মনে করেন, তারা ওই রাজা ও রানীর বংশধর।
চাক : চাকদের আদি নিবাস হলো বার্মার সীমান্তবর্তী চীনের উনান প্রদেশ। তারা কোন সময়ে চীন থেকে আরাকানে কিংবা আরাকান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তার কোনো সময়-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত এখনও পাওয়া যায়নি। (সুগত চাকমা : পৃ: ৬৪)
পাঙ্খো : সুগত চাকমার মতে, পাঙ্খোরা মিজোরামের লুসাই হিল থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পাঙ্খোরা বিশ্বাস করেন, মিজোরামে পাঙ্খোয়া নামক একটি গ্রামে তাদের পূর্ব-পুরুষরা বাস করতেন । (সুগত চাকমা : পৃ. ৮৫)
তনচৈংগা : তনচৈংগারা চাকমা উপজাতির একটি গোত্র হলেও তারা নিজেদের চাকমাদের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে এবং নিজেদের পৃথক উপজাতি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে।
১৩টি উপজাতির মধ্যে শেকড়হীন অর্থাত্ আদি পরিচয়বিহীন হলো চাকমা। রূপকথা, উপকথা, লোকগাথা ছাড়া তাদের কোনো ইতিহাস নেই। তাদের আদিবাস ঠিক কোথায় তাও তারা জানে না। তবে তাদের দাবি, চম্পকপুরী হলো তাদের আদিবাস। চম্পক থেকেই নাকি চাকমা নামটি এসেছে। কিন্তু এ জায়গাটি বিশ্বের কোথায় ছিল কিংবা আছে, আজ পর্যন্ত চাকমা পণ্ডিতরা তা বের করতে পারেননি। ওই নামটিও কল্পকাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হওয়াতেই এমনটি হয়েছে। চাকমা বুদ্ধিজীবী সতীশ চন্দ্র ঘোষ, অশোক কুমার দেওয়ান, বিরাজ মোহন দেওয়ান, সুগত চাকমা প্রমুখ তাদের আদিবাসের সন্ধান করতে গিয়ে হিমালয়ের পাদদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, বার্মার কথা উল্লেখ করলেও কোনো সুনির্দিষ্ট স্থানের উল্লেখ করতে পারেননি। বিরাজ মোহন দেওয়ান চাকমা জাতির ইতিহাস (নতুন রাঙামাটি, ১৯৬৯, পৃ: ৯৪) শীর্ষক ৭৬ পৃষ্ঠার গবেষণাধর্মী গ্রন্থে লিখেছেন, ‘এটা সুস্পষ্ট যে চাকমারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র নয়।’ বিরাজ মোহন স্বীকার করেছেন, ‘চাকমারা পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দা নয় এবং পঞ্চদশ শতাব্দীতে সুলতানের সহযোগিতা পেয়ে বাংলার পার্বত্যাঞ্চলে প্রবেশ করে।’ সি. আর. চাকমা নামের আরেকজন বুদ্ধিজীবী তার গ্রন্থে স্বীকার করেছেন, (C. R. Chakma : The Chakma Nation in the Evolution of Age (Middle Age), Liluya, Hawra, West Bengal : India, 1988, p. 67) পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে চাকমা প্রজারা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে আশ্রয় নিতে শুরু করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা কেন বাংলাদেশে আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান, এমনকি আমাদের প্রতিবেশী ‘সাতবোন’ নামে পরিচিত মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুনাচল প্রদেশের অধিবাসীরা যে অর্থে আদিবাসী—পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৩টি উপজাতির কোনোটিই সে অর্থে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী নয়। আদিবাসী কারা তা অনুধাবন করতে আমরা আমেরিকা কিংবা আমাদের প্রতিবেশী সাতবোনের দিকে তাকাতে পারি।
ইউরেশিয়া (ইউরোপ-এশিয়া) থেকে মানবগোষ্ঠীর যে অংশ ব্রেরিং প্রণালীতে অতীতে বিদ্যমান স্থলসেতু পেরিয়ে আমেরিকান ভূখণ্ডে সর্বপ্রথম বসতি স্থাপন করে, তারাই আমেরিকার আদিবাসী। ব্রেরিং প্রণালীর স্থলসেতু এখন থেকে ১২০০০ বছর আগ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। সুতরাং রেড ইন্ডিয়ানদের আমেরিকার আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া অতীব বাস্তব ও ইতিহাসনির্ভর। আমাদের প্রতিবেশী সাতবোনের আদিবাসীরাও ওই অঞ্চলের ভূমিপুত্র। ১৮২৬ সালে ব্রিটিশদের জবরদখলের আগে ওই সাতবোন (ত্রিপুরা বাদে) কখনোই বর্তমান ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সুতরাং ওইসব অঞ্চলের অধিবাসীরাই হলো আদিবাসী।
বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলের ১৩টি উপজাতির সবগুলোই বহিরাগত, নবাগত; কোনোভাবেই আদি ভূমিপুত্র নয়। এরা ষোড়শ শতাব্দী থেকে বার্মা (মিয়ানমার), বর্তমানে ভারতের অধীনস্থ সাতবোন, থাইল্যান্ড, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে আমাদের পার্বত্যাঞ্চলে প্রবেশ করেছে, যে অঞ্চল মৌর্য শাসনের সময়ও বাংলার হরিকেল জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বর্তমান চট্টগ্রাম জেলার একটি মহকুমা ছিল। বহিরাগত চাকমাদের কথ্য ভাষার ৮০ ভাগ শব্দই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার শব্দ। অর্থাত্ স্থানীয় চট্টগ্রামের অধিবাসীরা চাকমাদের এ অঞ্চলে আগমনের আগ থেকেই ওই অঞ্চলে বসবাস করত বিধায় চাকমাদের কথ্য ভাষার সিংহভাগ শব্দ স্থানীয়দের ভাষা থেকে এসেছে। চাকমাদের ভাষাই প্রমাণ করে, চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিবাসীরা অর্থাত্ বাংলাভাষীরা পার্বত্যাঞ্চলের আদি অধিবাসী, যখন ওই অঞ্চলে কোনো আদিবাসী ছিল না। এ কারণে ব্রিটিশদের কোনো রেকর্ডেই এদের এ্যাবঅরিজিন বা আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। বরং ট্রাইবাল অর্থাত্ উপজাতি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আদিবাসী প্রশ্নে আন্তর্জাতিক আইন বাংলাদেশের উপজাতিদের ক্ষেত্রে কেন প্রযোজ্য নয়, তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার প্রধান ও মূল দায়িত্ব হলো সরকার ও বুদ্ধিজীবীদের। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন বলে মনে হয় না।
বহিরাগত পার্বত্য উপজাতিরা বাংলাদেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতাবিরোধী চক্রান্তকে সামনে রেখেই আমাদের দেশে আশ্রিত হওয়া সত্ত্বেও আমাদেরকেই (বাংলাভাষীদের) বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করে পার্বত্যাঞ্চল থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সেনাবাহিনীবিরোধী প্রচারণা কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও একই উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। এসব ব্যাপারে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব তিমুর কিংবা সুদানের আদলে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে। বহু এনজিও দোকানি তাদের হয়ে কাজ করছে।
যেসব স্বার্থান্বেষী মহল কিছু বৈষয়িক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে বহিরাগত পার্বত্য উপজাতিগুলোকে আদিবাসী হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের বিবেক ও জ্ঞানকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য উপরোক্ত তথ্য-প্রমাণাদি ওষুধ হিসেবে কাজ করলে খুশি হব।
শিক্ষিত বিশেষত বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিকে সত্যের সন্ধান দেয়া, জাতির বিপদাপদ সম্পর্কে আগাম বিপদ সঙ্কেত দেয়। কিন্তু আমাদের বুদ্ধিজীবীরা এর উল্টো দিকে হাঁটছেন। তারা তাদের বক্তব্যে-কর্মকাণ্ডে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন না। তাদের বুদ্ধি কিংবা সততায় অথবা দেশপ্রেমে ঘাটতি আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা : কোনো কিছু প্রাপ্তির বিনিময়ে তারা এমন কোনো মন্তব্য করবেন না যাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা কোনোভাবে দুর্বল কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

(সংগৃহীত)

Stay connected

এরাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান.... এরা  নিজেদেরকে ছাত্রলীগ বলুক ছাত্রদল  অথবা ছাত্রশিবির অথবা ভিনগ্রহের থেকে আসা এলিয়েন.... ...
24/09/2024

এরাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান.... এরা নিজেদেরকে ছাত্রলীগ বলুক ছাত্রদল অথবা ছাত্রশিবির অথবা ভিনগ্রহের থেকে আসা এলিয়েন.... তাতেও কোন সমস্যা নেই...

আমি বলি, এরা হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ বাহিনী যাদেরকে আল্লাহ অন্তর পরিবর্তন করে বিশুদ্ধ মানুষে পরিণত করেছেন, অশুভ শক্তিকে দমন করার জন্য...
ভালো করে দেখুন এই ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ কি করে এত সাহসী হয়ে উঠলো কে তাদের এত শক্তি দিল ট্যাংক এর সামনে বন্ধুকের নলের সামনে বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়ে যায়????

23/09/2024

২০২৪ এর আন্দোলনের (সমন্বয়ক) ছেলে-মেয়ে গুলো জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ: এদেরকে রাজনৈতিক খোরাক বানানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।
***********************************************
২০২৪ এর এই আন্দোলনে সবচেয়ে ভরাডুবি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর... 15 বছর লাগাতার মিছিল মিটিং ধর্মঘট অবরোধ জ্বালাপোড়াও করে ক্ষমতাসীনদের চুলটাও ছিঁড়তে পারেনি, কিন্তু নির্ভীক ছাত্র জনতা তা ১৫ দিনে সেরে ফেলেছে...
এখন এই রাজনৈতিক দলগুলো যেকোনো মূল্যে সমন্বয়কদের রিক্রুট করে নিজেদের দলে ভিরানোর চেষ্টা করছে...😛

ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা সমন্বয়ক ছিল তাদের পূর্বে কোন রাজনৈতিক সমর্থন বা সম্পৃক্ততা থাকলেও ওই মুহূর্তে তারা সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিল নৈতিকতার স্বার্থে জনগণের স্বার্থে বিবেকের তাড়নায়... যে কারণে জনগণ তাদের সাথে একাত্ম হয়েছে...

অতএব যারা এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলন এর ফসল কেটে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা অফ যান.. কারণ জনগণ আপনাদের চিনে ফেলেছে...😛

Hint: কিছু বোকা মানুষ বলার চেষ্টা করে এই আন্দোলন জামাত শিবিরের মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই আন্দোলন যদি জামাত শিবির এর অর্জন হতো তাহলে তারা কখনোই ডক্টর ইউনুস কে উপদেষ্টা বানাতো না, কারণ ডক্টর ইউনুসকে তারা বরাবরই সুদখোর আখ্যা দিয়ে এসেছে. সারজিস তো এক্স-ছাত্রলীগ এই আন্দোলনের পাওয়ার হাউজ। আর দু একটা এক্স বিএনপি জামাত কিংবা অন্য কোন দল থাকলেও থাকতে পারে। তারা হয়তো আর কখনো নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা সমর্থন প্রকাশ করবেনা। কারণ এটা তাদের জন্য মারাত্মক বোকামি এবং ডিসক্রেডিট হবে। বাংলাদেশের মানুষ ভালো সৎ সাহসী এবং সহানুভূতিশীল নেতা দেখতে চায়, রাজনীতিবিদ নয়।

*** যা দেখার আছে: যদি ডক্টর ইউনুস দেশ সংস্কার করতে বেশি সময় নেন তাহলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো দেখা যেতে পারে বিএনপি +জামাত+আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি করে ডঃ ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবে।

এ ব্যাপারে দেশের সাধারণ জনগণ এবং ছাত্র-জনতাকে সজাগ থাকতে হবে যাতে ক্ষমতায় যাওয়ার পিছনের দরজাগুলি বন্ধ এবং ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার খুঁটিগুলো নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ডক্টর ইউনুস নির্বিঘ্নে কাজ করে যেতে পারেন।
তা না হলে যেই লাউ সেই কদু আর জনগণের কপালে ভোগান্তি।

-----------------------------------------
মুক্তির জন্য নিশ্চিত করতে হবে
------------------------------------------
*সংবিধান সংশোধন
*বিচার বিভাগ আইন বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন এর স্বাধীনতা এবং স্বায়ত্ব শাসন
*ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরন
*একই ব্যক্তির বারবার ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ বন্ধ
* ডিজিটাল ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডিপ্লয় করতে হবে





Address

Wakra
80720

Telephone

+97455209710

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Emin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Emin:

Videos

Share