![কেউ যদি বিল্ডিং করার চিন্তা ভাবনা করে পর্তুগালে এসে যেকোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তাহলে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা কখনই সম্ভ...](https://img3.medioq.com/600/720/122232312866007207.jpg)
05/10/2024
কেউ যদি বিল্ডিং করার চিন্তা ভাবনা করে পর্তুগালে এসে যেকোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তাহলে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা কখনই সম্ভব না। পর্তুগালে মিনিমাম বেতন দিয়ে আপনার থাকা খাওয়ার খরচ এবং পরিবারের খরচ দেয়ার পর আর তেমন কোন টাকা হাতে থাকবে না। অল্প সময় এর ভিতর যদি দেশে বিল্ডিং করতে চান তাহলে আপনাকে পর্তুগালে এসেই দালালি শুরু করতে হবে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না পর্তুগালে দালালি করে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব যা আপনি কানাডা, আমেরিকা, অস্টলিয়া গেলেও ইনকাম করতে পারবেন না। পর্তুগালে লিসবনে যদি জান তাহলে দেখতে পারবেন অনেক বাংলাদেশি ভাই আছে দালালি করে প্রতিদিন অনেক টাকা ইনকাম করছে, আর তাদের বলির পাঠা হচ্ছে আমাদেরই কোন না কোন ভাই, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ অথবা অন্যান্য দেশ থেকে নতুন পর্তুগালে এসেছেন।
যেমন ধরেনঃ
👉আপনি যদি নিজে নিজে লিগ্যাল এন্ট্রি করেন তাহলে কোন টাকা লাগবে না, আর যদি দালাল এর কাছে যান আপনার থেকে ৩০-৪০ ইউরো নিবে।
👉ফিনান্স নাম্বার এর জন্য কোন টাকা লাগে না, দালাল এর কাছে গেলে ৮০ - ১০০ ইউরো নিবে ।
👉জুনটা (ঠিকানা) সার্টিফিকেট নিতে শুধুমাত্র ৩ ইউরো ৫০ সেন্ট লাগে, দালালের কাছে গেলে ৪০-৬০ ইউরো নিবে ।
👉সোশ্যাল নাম্বার বের করতে কোন টাকা লাগে না ( কাজের কন্টাক থাকলে নিজে নিজে সোশ্যাল অফিসে গিয়ে নিতে পারবেন আর দালাল এর কাছে গেলে ২৬০-৩০০ ইউরো নিবে।
👉বাংলাদেশী পুলিস ক্লিয়ারেন্স ( বাংলাদেশ এম্বাসির এটাস্টেসন, পর্তুগীজ ট্রান্সলেট এবং নোটারি সব কিছু মিলে ৪৫ ইউরোর মত খরচ হবে আর দালাল এর কাছে গেলে ৭০-১০০ ইউরো নিবে।
👉সেফ এন্ট্রি করতে কোন টাকা লাগে না আপনি চাইলে কানাই অফিসে গিয়ে করতে পারবেন অথাবা অনলাইনে নিজে নিজে করতে পারবেন আর দালালদের কাছে গেলে ৬০-১০০ ইউরো নিবে।
আপনি যদি নিজে নিজে চেষ্টা করে সব পেপার্স রেডি করেন আপনার সর্বচ্চো ৭০-৮০ ইউরো খরচ হবে, আর দালাল আপনার থেকে এই কাজের জন্য ৫০০-৬০০ ইউরো নিবে, আর যে ডকুমেন্টস গুলো আপনাকে দিবে তার ভিতর জাল ডকুমেন্টস থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশী কারন তারা কম্পিউটারে ইডিট করে আপনার নাম ও পাসপোর্ট নাম্বার পরিবর্তন করে একি জিনিস অনেককে দিচ্ছে।
অসহায় মানুষদের বিপদে ফেলে এভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তা পর্তুগালে না আসে বুঝা যেত না, দালালীর একটা লিমিট থাকা উচিত।
আফসোস লাগে ওইসব দালালদের জন্য, হয়তো এমন একদিন আসবে এই টাকা তাদের অথবা তাদের পরি