) রাসল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ চারটি শ্রেষ্ঠ বাক্য আছে তার যে কোনোটি দিয়ে শুরু করাতে তোমার ক্ষতি নেই, সুবহানাল্লাহ (আল্লাহ মহাপবিত্র), ওয়ালহামদু লিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর) ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু (আল্লাহ ব্যাতিত কোন ইলাহ নাই) এবং ওয়াল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান)। (মুসলিম ২১৩৭। সিলসিলা সহীহাহ ৩৪৬। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৮১১)
.
(২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সুব্হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার পাঠ করা যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার নিকট অধিক প্রিয়।” (সহীহ মুসলিম ২৬৯৫)
لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
'লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।'
অর্থ : তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।'
অতপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।' (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৭)
নিয়মিত ”সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার” পড়ুন এতে অনেক ফজিলত রয়েছে।
▬▬▬▬▬▬▬💠💠💠▬▬▬▬▬▬▬
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ”
অনুবাদ এবং অর্থ: সুবহানাল্লাহ (আল্লাহ মহাপবিত্র), ওয়ালহামদু লিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর) ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু (আল্লাহ ব্যাতিত কোন ইলাহ নাই) এবং ওয়াল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান)
▪️(১) তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) অর্থ আল্লাহ মহাপবিত্র।
▪️(২) তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ) অর্থ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।
▪️(৩) তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)অর্থ আল্লাহ ব্যাতিত কোন হক ইলাহ নাই।
▪️(৪) তাকবীর (আল্লাহু আকবার) অর্থ, আল্লাহ মহান। আজ আমরা এগুলো পাঠের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
لا حول ولا قوة إلا بالله
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
অপর এক বর্ণনায় রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর ‘সুবহা-নাল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ ৩৩ বার, ‘আল্লাহু আক্বার’ ৩৩ বার, সর্বমোট ৯৯ বার এবং ১০০ বার পূরণ করার জন্য একবার لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْـحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ দাহু লা-শারী-কা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর) পাঠ করবে, তার পাপ সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমাণ হলেও মাফ হয়ে যাবে’। (সহীহ মুসলিম হা/৫৯৭; মিশকাত হা/৯৬৭)
নবী (সঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআ’লা তার প্রতি দশ বার রহমত বরষন করবেন- “আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা সাল্লায়তা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ আল্লাহুম্মা বারিক ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা বারাকতা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ এবং তিনি (সঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে ।” [তাবারানী, মাজময়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩]
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
"أَسْتَغْفِرُ ٱللَّٰهَ رَبِّي وَأَتُوبُ إِلَيْهِ