13/12/2023
নির্জন কক্ষ, স্মার্ট ফোন আর ওয়াইফাই সংযোগ বা আনলিমিটেড ডাটা বর্তমান প্রজন্ম ধ্বংসের মূল কারিগর।
— শাইখ আব্দুল মুমিন খান
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Deen Way, Digital creator, Sohar.
নির্জন কক্ষ, স্মার্ট ফোন আর ওয়াইফাই সংযোগ বা আনলিমিটেড ডাটা বর্তমান প্রজন্ম ধ্বংসের মূল কারিগর।
— শাইখ আব্দুল মুমিন খান
কিসের সাথে কি!
আমরা মানুষেরা দিন দিন নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছি!
হারাম রিলেশনে জড়িয়ে বা ছ্যাকা খাওয়ার পর কিছু সংখ্যক ছেলে-মেয়ে কুরআনের আয়াত এবং হাদিস গুলোকে এমন ভাবে উপস্থাপন করে, মনে হয় যেন ঐ আয়াত এবং হাদিস গুলো এসবের জন্যই এসেছে নাউজুবিল্লাহ!!
যেমন, " আর আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়" এসব আয়াতের তিলাওয়াত এবং ডিজাইনে সে তার গফ/বফ কে মেনশন দিয়ে কমেন্ট বক্সেই শুরু করে দেয় প্রেম!
আরো একটি হাদিস আছে " রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলছেন যে - "তুমি যাকে ভালবাস তার সাথেই হাশরের ময়দানে উপস্থিত থাকবে"
এই হাদিস যে কিসের পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে না জেনেই বিভিন্ন ভাবে হারাম রিলেশনশিপের ক্ষেত্রে এগুলোকে কাজে লাগায়!
অজ্ঞতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে!
আল্লাহ আমাদের এ সকল বিষয় হতে হেফাজত করুন এবং সঠিক জ্ঞান দান করুন, আমিন...
Show affection to each other in front of your kids so they know how to treat their spouse and family when they're older. And when you guys have arguments and disagreements, do it behind closed doors.
মানুষ খালিহাতে আসে। তারপর দুনিয়ার সবকিছু পেতে চায়। তারপর সবকিছু ছেড়ে, খালিহাতে চলে যায়। তারপর সবকিছুর জন্য হিসেবের মুখোমুখি হয়।
- শায়খ Atik Ullah হাফিঃ
হারাম থেকে বাঁচতে কলিজা লাগে....
🥰
আপনার অপেক্ষায় অপেক্ষারত আমি।
আপনার অপেক্ষায় অপেক্ষারত আমি।
আমি বেয়াদব!🥺
গায়রে মাহরাম কখনোই নিরাপদ না, যদিও সে দুনিয়ার সবচেয়ে তাকওয়াবান মানুষ হয়ে থাকে। কারণ মানুষের হৃদয় দ্রুত পরিবর্তনশীল। আর শয়তান সুযোগ-সন্ধানী।
- ইবন তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ)
[শারহুল উমদাহ: ৪/৭৮]
চক্ষু শীতলকারী সন্তান!❤️
রিমাইন্ডার 🎋
গুনাহ করি, তারপর অনুশোচনা করে তাওবা করি! ফের গুনাহ করি' অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করি! আবার শয়তানের পাল্লায় পড়ে গুনাহ করি' আবার তাওবা করি! এভাবে চলছেই!
আমি কি মুনাফিক!?
উঁহু! আমি আউয়াব (أوَّاب)!
বারবার আল্লাহর কাছে ফিরে আসা আল্লাহর প্রিয় বান্দা!!🖤
আতিক উল্লাহ হাফি!🖤
এখানে বাস্তব মাটি উদ্দেশ্য নয়, বরং এর দ্বারা
পরোক্ষভাবে মৃত্যু উদ্দেশ্য । অর্থ্যাৎ আদম সন্তানের
চাহিদার সমাপ্তি ঘটাবে একমাত্র তার মৃত্যু । মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাদের চাহিদার কোন শেষ নেই । (ফাতহুল বারী)
কবরের জীবনটা সহজ হবে না।
রাসুলুল্লাহ ﷺ কে কবরের আজাব দেখানো হয়েছিলো, ফলে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি কখনও কবরের চেয়ে ভয়াবহ দৃশ্য দেখিনি।” (১)
এজন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ কবরের আজাব এবং ফিতনা থেকে বারবার পানাহ চাইতেন। আমরা নবীজির ভাষায় এভাবে দু‘আ করতে পারি—
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
[মোটামুটি উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘উ-যুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি]
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই। (২)
◽রেফারেন্স:
(১) জামে আত- তিরমিজি, ৭১০৬
(২) সহিহ বুখারি, ৮৩২
| নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারবেন না |
বেশ ক’বছর থেকে বহুবিবাহ নিয়ে অনলাইনে বেশ ফ্যান্টাসি ছড়িয়েছে কিছু লোক, যাদের অধিকাংশই নাকি আবার অবিবাহিত। ফ্যান্টাসি এত দূর গড়িয়েছে যে, কনে দেখার সময় মাসনা সুলাসার প্রতি সম্মতি-সংক্রান্ত প্রশ্নকে পাত্রীর দীনদারীর গভীরতা পরিমাপের অব্যার্থ স্কেল হিসেবে সাব্যস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
যেকোনো প্রান্তিকতা আরেকটি প্রান্তিকতার জন্ম দেয়। তো এই মাসনা সুলাসা প্রসঙ্গে ছেলেদের প্রান্তিকতা এবার কিছু মেয়েদেরকেও অন্য রকম আরেক প্রান্তিকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তারা মেয়েদেরকে বিয়ের সময় ছেলেদেরকে ভবিষ্যতে মাসনা সুলাসা না করার শর্ত আরোপে উসকানি দিচ্ছেন।
এই লেখায় বহুবিবাহ নিয়ে কোনো সামগ্রিক আলোচনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বিশেষ ব্যতিক্রম কোনো কেইস স্টাডিও এটি নয়। আমরা এখানে শুধু দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই।
১. বিয়ের আলোচনায় কনেকে বহুবিবাহ নিয়ে প্রশ্ন করা
২. বিয়ের আলোচনায় বরকে বহুবিবাহ না করার শর্ত দেওয়া
আমরা বলতে চাচ্ছি সাধারণভাবে এ দুটোই অকালপক্ক ছেলেমেয়েদের কাজ এবং এর পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। প্রথমে আমরা ছেলেদের বিষয়টিতে বলি, আচ্ছা আমরা যদি সাহাবীদের জীবন দেখি, তবে দেখতে পাই সেখানে খুব কম সাহাবিই পাওয়া যাবে—কিংবা যাবেই না, যার একাধিক স্ত্রী ছিল না; কিন্তু এমন কোনো উদাহরণ আমাদের জানা নেই যেখানে কোনো সাহাবি বিয়ের সময় কনেকে এই প্রশ্ন করেছেন! যদি সর্বোচ্চ মাত্রার বহুবিবাহ চর্চার সমাজে এই প্রশ্ন করার প্রয়োজন না হয় তবে আপনাদের কেন এর প্রয়োজন পড়ল?
জানি উত্তর আপনাদের জিহবার আগায় এসে আছে: সেই সমাজে এটা প্রচলন ছিল, সেখানে ইসলামি আইন ছিল, সমাজব্যবস্থা ভালো ছিল। তাহলে বলি, বহুবিবাহ নিয়ে খুব বেশি ফ্যান্টাসিতে ভোগার আগে আপনারাও সেই সমাজের পুরুষদের অনুসরণে সত্যিকারে পুরুষ হন; সেই সমাজ কায়েম করুন, ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করুন, আপনাদের সমাজেও তখন এটা নরমালাইজড হয়ে যাবে। চারজন করে স্ত্রী রাখবেন, কেউ বাঁধা দেবে না; বরং সরকার হয়তো বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দেবে। একটা অনৈসলামিক শাসন ও সমাজব্যবস্থার মধ্যে থেকে যখন এমন একটা প্র্যাক্টিস করতে যাবেন তখন পশ্চিমা সেক্যুলারিজম দ্বারা প্রভাবিত নারি-পুরুষদের দ্বারা কিছুটা বাধার ও সমালোচনার সম্মুখীন হওয়া তো অস্বাভাবিক নয়। এটাকে অতটা আমলে নেওয়ার কিছু নেই--যদি আপনি সত্যিই সুপুরুষ হয়ে থাকেন।
বহুবিবাহ মানে যতখুশি বিবাহ করে কিংবা বিবাহ না করেই যত খুশি নারী সম্ভোগ তো দুনিয়াতে সব জায়গাতেই আছে এখন। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়াতে আপনারা ৪৮ বিয়ে করার খবর দেখেছেন। এটা নিয়ে কিন্তু কারও কোনো আপত্তি নেই। একই সঙ্গে বর্তমান সমাজেও আপনি যদি একাধিক নারীর সাথে বিবাহ-বহির্ভূত লিভ-টুগেদার করেন তাতেও কিন্তু সমাজ রাষ্ট্রের আইনি কোনো আপত্তি নেই। এটা তো আপনাদের আলোচ্যবিষয় নয়; আপনারা তো সেটা করবেন না। আপনাদের আলোচ্যবিষয় হলো ইসলামের বহুবিবাহ, যার সীমা একত্রে সর্বোচ্চ চার। এটা যদি নির্বিঘ্নে করতে চান তাহলে পুরুষ হন, সেই সমাজ কায়েম করুন; কেউ আপনাদের চারটা পর্যন্ত বিয়েতে বাঁধা দিতে পারবে না; বরং হয়তো উৎসাহ দিবে। তখন পশ্চিমারা আপনাদের নারীদের মগজধোলাই করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর দিকে নিয়ে যেতে পারবে না।
আর দয়া করে কনে দেখার সময় এই প্রশ্ন দিয়ে ঈমানের গভীরতা মাপা বন্ধ করুন। এর দ্বারা অকারণ বিয়েকে কঠিন করে ফেলা হয়। বিয়েকে কঠিন করা ইসলামি সামাজিক মুল্যবোধের পরিপন্থি।
জীবন-জগত সম্পর্কে সম্পুর্ণ অনভিজ্ঞ একটি মেয়েকে; হিন্দুস্তানি সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা, পশ্চিমা তথ্য সন্ত্রাসের শিকার একটি মেয়েকে; বন্ধুর একটু দাওয়াত, দুইটা নাস্তিকতা সম্পর্কিত সস্তা বই পড়ে নড়বড়ে ঈমান নিয়ে কোনোমতে দীনের ওপর চলতে চেষ্টা করা মেয়েটিকে এই প্রশ্ন করে বিব্রত করবেন না, বিপদে ফেলবেন না, নিজেও বিপদে পড়বেন না। এটা সাধারণভাবে আমরা আমাদের সালাফদের জীবনে দেখতে পাই না।
বিয়ের আলোচনায় মেয়েদের পক্ষ থেকে ছেলেদের প্রতি মাসনা সুলাসা না করার শর্ত আরোপ প্রসঙ্গে বলি।
আপনারা অনেক গলিঘুপচি ঘেটে দু-একটি ঘটনা এনে দলিল সাব্যস্ত করে নিজেদের বিরাট অধিকার কায়েম করে ফেলেছেন ভাবছেন! এটা তো নিশ্চিত এই শর্তের মাধ্যমে বিয়েকে আরও কঠিন করে ফেলা হবে। বিয়েকে কঠিন করার আলটিমেট সাফারার কারা এটা জানেন? যদি না জানেন তাহলে দয়া করে একটু স্টাডি করবেন। আপনারা গলিঘুপচি থেকে দু-একটি উদাহরণ এনে যে উসকানি মেয়েদেরকে দিচ্ছেন, অন্যদিকে ছেলেরা যে ফ্যান্টাসিতে আছে—এই দুয়ের পরিণতিতে এই উঠতি ইসলামি সমাজটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে একবারও কি ভেবে দেখেছেন? অন্য সবকিছু ঠিক থাকার পরেও কেবল এই একটা প্রশ্ন উত্থাপনের কারণে শতশত বিয়ে আলোচনাতেই ভেঙে যেতে পারে! অথচ সেই ছেলের হয়তো মাসনা সুলাসার কোনো চিন্তাই ছিল না! হয়তো জীবনে সে করতও না!
এবার আসুন এই শর্ত যদি আপনি দেনও তাতে ফলাফল কী দাঁড়াবে, সেটা একটু জেনে নিন। এর ফলাফল হলো কেবল ডিভোর্স রেইট বাড়ানো, বাকি কিছুই না। আপনি শর্ত দেওয়া মানেই এই নয় যে বর মাসনা সুলাসা করতেই পারবে না। আপনি এই শর্ত দেওয়ার পরও বরের মাসনা সুলাসার অধিকার বহালই থাকে। কেবল মেয়ের পক্ষে বিবাহ তার নিজের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চলে আসার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সাধারণভাবে খোলা তালাক নিতে গেলে স্বামীর যে সম্মতির প্রয়োজন শুধু সেটুকুই রহিত হয়।
অর্থাৎ, ধরুন আপনি বিয়ের সময় শর্ত দিলেন যে বর মাসনা সুলাসা করতে পারবে না; কিন্তু কবছর পর যদি বর মাসনা করেই ফেলে তখন বাস্তবে কী হবে? বরের মাসনা ইনভ্যালিড হয়ে যাবে? কিছুতেই না। বিয়ের শর্ত ভঙ্গের কারণে আপনি কেবল আপনার নিজের বিয়ে ইনভ্যালিড করে বাপের বাড়িতে ফেরত আসার অধিকার পাবেন। বরের মাসনার তাতে কিছুই হবে না; আইনি কোনো বিপত্তিই তার ঘটবে না।
বরং মাসনার প্রতি যদি বরের প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়, আর ওয়াহিদা যদি প্রবল বাধ সাধেন তখন অনেক ক্ষেত্রেই এমন হতে পারে যে বরই মনে মনে চাইবে, ওয়াহিদা তার অধিকার প্রয়োগ করে নিজে থেকে বিদেয় হোক। তালাক দিয়ে নিজের ঘাড়ে দায় চাপানোর দরকার নেই।
আর এক রূঢ় বাস্তবতা হলো এই অধিকার প্রয়োগ করে যখন বাবার বাড়িতে ফেরত যাবেন; নানারকম সামাজিক ও পারিবারিক নিগ্রহের শিকার হবেন তখন হয়তো এই আপনিই মাসনা সুলাসার পক্ষে প্ররাচনায় নামবেন, অন্যান্য অনেক দেশের নারীদের মতো। এই শর্ত আরোপ হয়তো কেবল এই ম্যাচিউরিটি অর্জনটাই আপনাদের জন্য সহজ করে দেবে। বস্তুত এ ছাড়া অন্য কোনো ফায়দা এই শর্ত আরোপের মধ্যে নেই।
তাই উভয়পক্ষকে বলি, বিয়ের আলোচনায় মাসনা সুলাসার প্রসঙ্গ এনে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবেন না। নিজেদের পায়ে যদি নিজেরা কুড়াল মারেন তো কেউ তা ঠ্যাকাতে পারবেও না, ঠ্যাকাতে আসবেও না। অনেক তো হলো, ছেলেমেয়ে থেকে একটু নারী-পুরুষ হওয়ার চেষ্টা তো এবার একটু করা উচিত।
ধন্যবাদ।
সিয়ান | বিশুদ্ধ জ্ঞান | বিশ্বমান
রিযিকের পেরেশানি যদি মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, আকাশের পাখির দিকে তাকাবেন। তারা জানে না কোথায় গেলে তাদের খাবার মিলবে, তারা শুধু জানে— ছুটতে হবে আল্লাহর ওপর ভরসা করে। আপনিও ছুটুন আল্লাহর ওপরে তাওয়াক্কুল করে৷ রিযিক যে মিলবে সেটা শতভাগ নিশ্চিত৷
বিয়ের আগে দাড়ি রাখুন,, ✅
দ্বীনদার স্ত্রী পেতে পারেন |
কারণ...
খারাপ মেয়েরা দাড়িওয়ালা ছেলে পছন্দ করে না |
গোপন গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়।
গোপন পাপ ধ্বংস ডেকে আনে। এর থেকে বাঁচার উপায় হলো—
১. আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি কান্নাকাটি করে দোয়া। তিনি যেন তার অবাধ্যতা, নাফরমানি ও সব ধরনের গুনাহ থেকে রক্ষা করেন।
২. নফস তথা আত্মার সঙ্গে লড়াই করা, মনের কুমন্ত্রণা দূর করা এবং আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে অন্তরকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করা।
৩. কিয়ামতের দিন গোপন গুনাহকারীদের আমলগুলো ধূলিকণার মতো উড়িয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করা। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি আমার উম্মতের কিছু মানুষ সম্পর্কে জানি, যারা কিয়ামতের দিন তিহামার (বিখ্যাত পাহাড়) শুভ্র পর্বতমালা সমতুল্য নেক আমল নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু আল্লাহ সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন। সাওবান (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তাদের পরিচয় পরিষ্কারভাবে আমাদের কাছে বর্ণনা করুন, যাতে অজ্ঞাতসারে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত না হই।
তিনি বললেন, তারা তোমাদেরই ভ্রাতৃগোষ্ঠী এবং তোমাদের সম্প্রদায়ভুক্ত। তারা রাতের বেলা তোমাদের মতোই ইবাদত করবে। কিন্তু তারা এমন লোক, যারা একান্ত গোপনে আল্লাহর হারামকৃত কর্মে (গোপন গুনাহ) লিপ্ত হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪১৮)
৪. আল্লাহ তাআলার উপস্থিতির কথা চিন্তা করা।
তিনি আমাকে সর্বদা দেখছেন এবং এ ব্যাপারে তাঁকে ভয় করা। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘...নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর পর্যবেক্ষক।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১)
৫. গুনাহ করার সময় এ কথা চিন্তা করা, কেউ কি দেখলে আমি এমন গুনাহ করতে পারতাম? এভাবে নিজের ভেতরের লজ্জাবোধ জাগ্রত করা। এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি তোমার পরিবারের কোনো প্রভাবশালী সদস্যকে যেমন লজ্জা পাও, আল্লাহকে (কমপক্ষে) তেমন লজ্জা করো।’ (মুসনাদুল বাজ্জার : ৭/৮৯)
৬. এ চিন্তা করা, গুনাহরত অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে কিভাবে আমি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব? মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তিকে (কিয়ামতের দিন) ওই অবস্থায় ওঠানো হবে, যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেছে।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২০৬)
৭. অবসরে জিকির ও ফিকিরে থাকার চেষ্টা করা। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে নিদর্শনাবলি রয়েছে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করে আর বলে, হে আমাদের রব! আপনি এগুলো নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। আপনি পবিত্র। আপনি আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯০-১৯১)।
মহান আল্লাহ আমাদের গোপন গুনাহ থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন।
জীবনে যা-ই হারান না কেন মনে রাখবেন, এর মাঝে সুখ নিহিত। আল্লাহ জীবন থেকে কিছু কেড়ে নেন, যেন পরবর্তীকালে তা আপনার জন্য দুঃখ বয়ে না-আনে।
- বই: কুড়ানো মানিক
মূল: শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীল
দুনিয়াতে বান্দার পাপের জন্য আল্লাহর একটি নগদ শাস্তি, অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া। অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়ার একটি আলামত হলো, গান শুনে কান্না আসে অথচ কুরআনের তেলাওয়াতে কান্না আসে না।
#আরবি থেকে অনুদিত: আলী হাসান তৈয়ব হাফি.
শয়তানের সংজ্ঞাই হলো সে আশাহীন, হতাশ। আর সে চায় আপনিও তার মতো আশাহীন হয়ে পড়েন, হতাশ হয়ে পড়েন । এভাবে মানুষকে সে সম্মুখভাগ থেকে আক্রমণ করে ।
একজনের দু'আ-
"আমি যতবারই কোনো মানুষকে তার প্রাপ্য মর্যাদার চাইতে বেশি সম্মান করেছি, ততবারই সে আমাকে ঠিক ততটুকু অমর্যাদা করেছে।"
ইমাম শাফেয়ী (রাহিমাহুল্লাহ)
[তারীখু ইবন ‘আসাকির: ২/১৫]
তিনি আপনার মুখ থেকেই সেগুলো শুনতে পছন্দ করেন।
'তোমরা মুসলিম হয়ে জন্মে দীন বেচে দিয়েছ, আর আমরা তোমাদের থেকে সেটা কিনেছি।'
ফ্রান্সের এক সুপারমার্কেটে এক দ্বীনি বোন কেনাকাটা করার পর বিল দিতে লাইনে দাঁড়ালেন। বিল গ্রহণের কাউন্টারে ছিল এক হিজাবহীন আরব মুসলিমা নারী। সে দ্বীনি বোনের পণ্যগুলো স্ক্যান করার পর তার দিকে তাকিয়ে দম্ভভরে বলল, 'এই দেশে এমনিতেই আমাদের অনেক সমস্যা। সেগুলোর মধ্যে তোমার নিকাবও একটা! আমরা ইমিগ্র্যান্টরা এখানে ব্যবসা করতে এসেছি; দীন প্রদর্শন করতে না। দীন মানতে হলে, নিকাব পরতে হলে তুমি আরবে ফিরে যেয়ে যা ইচ্ছা করো।'
নিকাবি নারীটি তার ব্যাগে পণ্য ঢুকানো থামিয়ে তার নিকাব উঁচু করে ধরলেন। মেয়েটা তার চেহারা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেল। এই নিকাবি ছিলেন নীলচোখা স্বর্ণকেশী। মেয়েটাকে বললেন, 'আমি ফ্রেঞ্চ নারী; আরব ইমিগ্র্যান্ট না। এটা আমার দেশ; আর এটা আমার ইসলাম। তোমরা মুসলিম হয়ে জন্মে দীন বেচে দিয়েছ; আর আমরা তোমাদের থেকে সেটা কিনেছি।'
বলা হয়ে থাকে, সত্যবাদিতার মহৎ গুণাবলির একটি হলো একজন সত্যবাদী লোক তার শত্রুর সাথেও সত্যনিষ্ঠার সাথে আচরণ করে।
কিতাব ‘উয়ূন আল-আখবার, ২/২৬
ইবনুল কাইয়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেন,
তাওহিদ একজন বান্দার জন্য কল্যাণ, সুখ, আনন্দ, আনন্দ ও প্রফুল্লতার দরজা খুলে দেয়।
জাদ আল-মাআদ, ৪/২০২
শুক্রবারে বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়া নবীজির সা. নির্দেশনা। আজ আপনি দরুদ পড়েছেন তো? না পড়লে পড়ে নিন।
صلي الله عليه وسلم
সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
Sohar
Be the first to know and let us send you an email when Deen Way posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.