05/12/2023
#অবৈধ_সম্পর্ক
মাত্র ১১ বছরের একটি মেয়ে প্রেগনেন্সি রিপোর্টে দেখে ডাক্তার ফারজানা ভিশন অবাক হলেন।
প্রেগনেন্সি রিপোর্ট একদম পজিটিভ। রিপোর্ট অনুযায়ী মেয়েটার গর্ভে তিন মাসের একটা সন্তান বেড়ে উঠছে।
এত ছোট একটা বাচ্চার প্রেগন্যান্ট হওয়াটা ডাক্তার ফারজানাকে ভীষণ আতঙ্কিত করে। ডাক্তার ফারজানা আপন চশমাটি খুলে টেবিলের উপর রাখলেন। তারপর সামনে বসা মহিলা রিতুকে জিজ্ঞেস করলেন, মেয়েটা আপনার কি হয়?
রিতু এই মেয়েটাকে ডাক্তার ফারজানার কাছে নিয়ে আসেন! ঋতু ডাক্তার ফারজানাকে বলল,
-মেয়েটার নাম হলো টুনি ।সে আমাদের বাসার কাজের মেয়ে ডাক্তার কি হয়েছে টুনির?
ডাক্তার ফারজানা রিপোর্টটা ঋতুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, এই মেয়েটা প্রেগন্যান্ট! তার গর্ভে তিন মাসের সন্তান রয়েছে।
ডাক্তার ফারজানার কথা শুনে ঋতুর শরীরের প্রত্যেকটা লোম খাড়া হয়ে যায়। গাল বেয়ে ঘাম বেরুতে লাগলো। ঋতু জট করে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেল। রাগান্বিত কন্ঠে ডাক্তার ফারজানাকে প্রশ্ন করল,
এসব আপনি কি বলছেন ডাক্তার? আপনি ছোট একটা মেয়ের সম্পর্কে কিভাবে এমন মন্তব্যটা করতে পারেন? আপনার কি মনে একটুও ভাধলো না!! ছিঃ
ডাক্তার ফারজানা নরম কন্ঠে ঋতুকে বললেন আপনি রাগ করবেন না প্লিজ আপনি এখানে বসুন।
রিতুর রাগটা কন্ট্রোল করে চেয়ারে বসলো। ফারজানা বেগম বললেন দেখুন ঋতু, আমিও প্রথম প্রথম বিশ্বাস করতে পারিনি যে এইটুকু বাচ্চা প্রেগন্যান্ট হবে বলে। কিন্তু আপনি যখন আমার কাছে একে নিয়ে আসেন তখন তার পেট টা দেখে আমার কেমন জানি সন্দেহ হলো।
আমি তার প্রেগনেন্সির টেস্ট করলাম যার রিপোর্ট আপনার সামনে রাখা। রিপোর্ট অনুযায়ী আপনার বাসার কাজের মেয়ের টুনি তিন মাসের গর্ভবতী। আমিও প্রথম প্রথম বিষয়টা বিশ্বাস করতে পারিনি কিন্তু রিপোর্ট যা বলছে আমিও তাই বলছি!!
ঋতু এখনো বিস্ময় টা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এতো ছোট একটা মেয়ে যে প্রেগন্যান্ট হতে পারে তা সে কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারছে না। সে করুন কন্ঠে ডাক্তার ফারজানাকে জিজ্ঞেস করল,
-কিন্তু ডাক্তার এত ছোট একটা বাচ্চা কিভাবে প্রেগন্যান্ট হতে পারে?
কেন হতে পারবেনা? একটা মেয়ে নয় কি দশ বছর বয়সেই মা হওয়ার জন্য পরিপক্ক হয়ে উঠে। যদি এই বয়সে কোন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ তার সাথে সেক্সচুয়াল রিলেশন করে থাকে তাহলে সেও মা হতে পারবে।
কিন্তু ডাক্তার সাহেবা রিপোর্ট তো ভুলও হতে পারে!
হতে পারে কিন্তু খুব কম। ঋতু আপনি যদি চান তাহলে আমি টুনির আলতাসনোগ্রাফি করে দেখতে পারি এতে সবকিছু আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে আর আপনার মনের সন্দেহ টুকুও দূর হয়ে যাবে।
-হ্যাঁ এটাই করুন!
ডাক্তার ফারজানা মেয়েটার আলতাসনোগ্রাফি করলেন। আল্টাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়লো যে টুনির পেটে সত্যি সত্যি একটি বাচ্চা বেড়ে উঠছে।
আলতাসনোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে যে টুনির পেটে যে শিশুটি বেড়ে উঠছে তার নাকের হাড় এবং ঘাড়ের পেছনের দিকে পানিপুন্য থলে দেখা যাচ্ছে।
ডাক্তার ফারজানা বিষয়গুলোর রিতুকে জানালেন এবং মনিটরের বাচ্চাটার বর্তমান অবস্থাও দেখালেন। ঋতুর কাছে বিশ্বাস করা ছাড়া আর কোন উপায় রইল না।
ডাক্তার ফারজানা কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন।
-আচ্ছা মিসেস ঋতু আপনাকে আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি?
রিতু জবাব দিল,
-হ্যাঁ করুন!
মেয়েটা আপনার বাসায় কখন থেকে কাজ করছে?
গত দু'বছর থেকে!!
আপনাদের বাসায় কে কে থাকেন আপনারা কতজন থাকেন?
কাজের মেয়েকে নিয়ে?
জি!
আমরা তিনজনেই থাকি আমি আমার তিন বছরের মেয়ে আর টুনি। আগে আমার হাজব্যান্ড আমাদের সাথে থাকতেন কিন্তু জবের কারণে তিনি এখন অন্য জায়গায় থাকেন।
কতদিন হচ্ছে আপনার হাজব্যান্ড অন্য জায়গায় শিফট হয়েছেন?
চার মাস!!
আপনি আমার কথায় রাগ করবেন না আমি জানতে চাই যে আপনার হাজব্যান্ড কেমন টাইপের লোক? আই মিন উনার চরিত্র কেমন?
এই প্রশ্নটা শুনে ঋতু ভীষণ রেগে যায় আবার সে চেয়ারটা ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেল। জোর গলায় বলল আমি আপনার সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি বলে এই না যে আপনি আমার হাজব্যান্ড সম্বন্ধে বাজে মন্তব্য করবেন!!!
ডাক্তার ফারজানার রিতুকে শান্ত করে বলেন,
দেখেন মিসেস ঋতু আমি আমার ১৩ বছরের ডাক্তারি জীবনে এমন রেয়ার কেস দেখিনি যেখানে মাত্র ১১ বছরের একটা মেয়ে প্রেগন্যান্ট হতে চলেছে। আচ্ছা আপনাদের বাসায় কি অন্য কোন পুরুষ আসা-যাওয়া করতো বা করে?
না এমন কেউ আসে না আমাদের বাসায়।
আপনার আত্মীয়দের মধ্যে কেউ আসে?
না তারা অনেক দূরের শহরে বাস করেন যার কারণে অনেক বছর হয় তারা এখানে আসে না।
তাহলে টুনি কি বাহিরে কোথাও কারো সাথে মেলামেশা করে?
না সে সারাদিন ঘরেই থাকে আমার সাথে কাজে সাহায্য করে আর আমার ছোট মেয়েটার সাথে খেলে।
তাহলে তার পেটের বাচ্চাটা কার? আপনা আপনি তো বাচ্চাটার তার পেটের সৃষ্টা হয়নি! আচ্ছা টুনি কখনো আপনার কাছে কোন অভিযোগ করেছে?
কেমন অভিযোগ?
কেউ তাকে ভয় দেখায় বা কেউ তার সাথে জোরাজোরি করে এমন অভিযোগ?
না কখনো করেনি!
তাহলে এই সত্যটা একমাত্র তুমি উন্মোচন করতে পারবে। আপনি টুনিকে বাসায় নিয়ে যান আসতে দিলে তাকে একটু সুস্থ হতে দেন তারপর তাকে জিজ্ঞেস করবেন যে কেউ তার সাথে কখনো জোরাজুরি করেছে কিনা! বা কেউ তাকে ভয় দেখিয়ে তার সাথে সেক্সুয়াল রিলেশন করেছে কিনা! কারণ এখন রহস্যটা তুমি উন্মোচন করতে পারবে.......
#ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন কারণ এই প্রথম আমি গল্প লিখেছি আর গল্পটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই লাইক শেয়ার করবেন।
#পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন!
#চলবে?