RH প্রবাসী ব্লগ

RH প্রবাসী ব্লগ তোমাকে ধরে রাখার সামর্থ্য হয়তোবা আমার নেই কিন্তু তোমাকে সারা জীবন ভালবাসার সমার্থ্য আমার আছে 🤲🤲🤲

17/07/2024

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
১৭/০৭০২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ শিক্ষার্থী নিহত

30/03/2024

রমযান মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে বন্দী করে রাখা হয়।
(সহীহ মুসলিম-১০৭৯)

15/03/2024

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘোষণা দিয়ে
বিশাল আকারে গণ-ইফতারের আয়োজন করুন।
আর ঘোষণা দিয়ে বিফ খান,
এবং সেগুলো পাবলিকলি শেয়ার করুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসজিদগুলোতে কুরআনিক হালাকাহ
ও প্রোডাক্টিভ রমাদান শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করুন,
এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেগুলো শেয়ার করুন।
এগুলো প্রদর্শনেচ্ছা থেকে নয়,
বরং স্ট্রাটেজিক যুদ্ধের অংশ হিসেবে করুন।

14/03/2024
29/01/2024

আপনার আচরণ ও ব্যবহার যতো সুন্দর, কোমল হবে আপনি ততোই আপন বা পর মানুষদের কাছে প্রিয় বা ভালো হতে পারবেন। আর আপনি লাখ লাখ টাকা খরচ করে আদর আপ্যায়ণ করলেন মেহমানদের, কিন্তু একটা খারাপ বা কষ্টদায়ক আচরণ করবেন, তাহলেই শেষ। এতো আদর যত্ন করে খাওয়ানোর কথা পরক্ষণেই ভুলে যাবেন তারা। আপনার মুখ থেকে যেন এমন কোনো কথা কখনোই বের না হয় যেটা সামনের মানুষের কাছে শ্রুতিকটু বা কষ্টদায়ক মনে হয়।
যারা বদরাগী বা অল্পতেই মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে ফেলেন তারা রাগ হয়ে গেলে চুপ হয়ে যাবেন, ধৈর্য্য ধরবেন এবং পরক্ষণেই নিজের মানসিক শান্তির জন্য ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাকে মাফ করে দিবেন। মানসিক শান্তিতে থাকতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।

12/01/2024

পাপ অন্তরকে রোগাক্রান্ত করে ফেলে। যার অন্তর রোগাক্রান্ত, সে সত্যের দিকে ধাবিত হয় না। সঠিক বিষয়কে মেনে নিতে চায় না। প্রতিটি কাজে সে বক্রতার অনুগামী হয়। অন্যায়-অপরাধ তার কাছে খুব স্বাভাবিক বিষয় মনে হয়। আল্লাহর ইবাদত-আনুগত্যে সে স্বাদ পায় না। তার মনে কোনো ভালো চিন্তাও আর আসে না। খারাপ কাজ করার পরও তার অন্তর ব্যথিত হয় না। তার মধ্যে কোন অনুশোচনা কাজ করেনা। ধীরে ধীরে তার অন্তরটি একটি অসুস্থ অন্তরে বা মৃত অন্তরে পরিণত হয়। আল্লাহ ইরশাদ করেন— “সে-ই সফল যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে এবং সে ব্যর্থ হয়েছে, যে আত্মাকে কলুষিত করেছে।”। (সুরা আশ-শামস, আয়াত : ৮-৯)

09/01/2024

ভালোবাসার দোহাই দিয়ে আমরা প্রায়ই কাছের মানুষদের ছোটখাটো বা বড় ভুলেও তাদেরকে অপমান-অপদস্থ বা অসম্মান করি খুবই বাজে বা নোংরাভাবে, তারা ভুল স্বীকার করার পরেও। এটা প্রকৃতপক্ষে ভালোবাসাই না।
মানুষ ভুল করবেই এটাই তাদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু সেই ভুলকে ক্ষমা করে দেওয়া এবং যে ভুল করলো তাকে অসম্মান বা অপমানিত না করে, তাকে মায়া-মমতা দিয়ে, নিজে বুঝাবেন, নিজে না পারলে ওপর কোনো ভালো বা জ্ঞানী মানুষ দিয়ে ভদ্রভাবে বোঝানোই প্রকৃত ভালোবাসা।
তাছাড়া ইসলামও আপনাকে এই অনুমতি দেয়নি যে আপনি কারোর ভুলের গন্ধ পেয়ে নোংরাভাবে, বাজেভাবে তাকে লাঞ্ছিত করবেন। কেউ যদি অনেক বড় অপরাধও করে তাকে ভদ্রভাবে, মনে কষ্ট না দিয়ে বোঝানোর কথাই বলা হয়েছে ইসলামে।
যার নিজের আত্মসম্মান নেই, কেবল সেই অপরকে অসম্মান করে। মনে রাখবেন ভালোবাসা এবং সম্মান করা এইদুটি একই সুতোয় গাঁথা। তাই আগে সম্মান করুন, মুল্যায়ণ করুন, সেখানে ভালোবাসা এমনিই চলে আসবে। দোহাই দেওয়ার প্রয়োজন হবেনা।

09/01/2024

"বি'চ্ছেদ হবে না কেনো"....!!

মানুষের কাছে এখন ভালবাসার কদর নাই, সময়ের কদর নাই, ইমোশনের কদর নাই। কদর শুধু আছে রাগের, ইগোর, স্বা'র্থের, বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের, মোহের। মানুষ ধরে রাখার চেয়ে ছাড়তে বেশি পছন্দ করে, নিজে বদলাবার আগে অন্যের বদলাবার এক্সপেকটেশান রাখে, রাগ আর জে'দে প্রতিযোগীতা পছন্দ করে! নিজেদের সম্পর্ক সুন্দর করার চেয়ে আরো বেটার একটা খুঁজে নেওয়া বেটার মনে হয় তাদের।
সম্পর্ক টিকবে কেনো? একজনে সম্পর্ক কখনোই টিকে না। একজনের পক্ষে কিছুই সম্ভব না। একজন চাইলে অন্যজন না চাইলে কোনো ভাবেই দূর'ত্ব কমতে পারেনা। সম্পর্ক, বিয়ে জিনিস টা একজনকে দিয়েই হলে তো ২জন লাগতো না। এজন্য আজকাল সবার সম্পর্কই ঝুলে থাকে, একটু এদিক সেদিক হলেই সেই সাক্ষী আমি নিজেই___!

09/01/2024

রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন— আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে (পাপের) খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কাজে পরিণত করে কিংবা মুখে উচ্চারণ করে। [সহিহ বুখারি : ৫২৬৯]

06/01/2024

অন্যায় করে যার ছোট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, তারমধ্যে অন্যায় বোধই আসেনি, প্রকৃতপক্ষে সে অহংকারী।
ভুল করলে সেটাকে সৎভাবে মেনে নিলে কখনও ছোট হওয়ার প্রশ্নই থাকে না। নিজেকে ছোট করলে খারাপ মানুষ সেটাকে আপনার দূর্বলতা হিসেবে নিবে এবং অপমান করবে। কিন্তু জ্ঞানী বা ভালো মানুষ এই ছোট হওয়াকে সততা বা ভালোগুণ হিসেবে নিবে এবং আপনাকে বিশ্বাস করবে।
তাই অহংকারী হবেন না, ভুল করে নত হওয়া মানুষদের আল্লাহ খুবই পছন্দ করেন এবং আল্লাহই একসময় নত হওয়া মানুষদের কাছে তাঁকে সম্মানিত করেন।

22/12/2023

আল্লাহর তরফ হতে কোনো মানুষের জন্য যখন কোনো মর্যাদা নির্ধারিত হয় যা সে আমল দিয়ে লাভ করতে পারে না, তখন আল্লাহ তার শরীর, ধন-সম্পদ অথবা সন্তান-সন্ততির ওপর বিপদ ঘটিয়ে পরীক্ষা করেন।

অতঃপর সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে; শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তাকে উক্ত মর্যাদার স্তরে উপনীত করেন। [আবূ দাঊদ : ৩০৯০, সহিহ আত-তারগীব : ৩৪০৯]

11/12/2023

আপনার আশেপাশে অনেক লোক থাকবে যার কিছু অংশ মানুষ আপনাকে পছন্দ করবে আবার কিছু অংশ করবে না।
আর যারা আপনাকে অপছন্দ করে তাদের মধ্যে আবার ৩ টি ভাগ রয়েছে।
প্রথমটি হলো আপনাকে মনে মনে অপছন্দ করবে এবং আপনাকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবে।এরা আপনার জন্য ক্ষতিকর নয়।
দ্বিতীয়টি হলো আপনাকে পছন্দও করবে না,মনে মনে আপনার খারাপ চাইবে।আপনার ভালো সময় তারা সহ্য করতে পারবে না।এরা এতোটাই খারাপ চায় আপনার যে অনেকসময় আপনার দিকে বদনজরও দিয়ে বসবে।
আর তৃতীয়টি সবথেকে ভয়ঙ্কর।আপনাকে সহ্যই করতে পারবে না এবং আপনার ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লাগবে।
এই দ্বিতীয়,তৃতীয় উভয় শ্রেণীর মানুষ রূপী শত্রু থেকে নিজেকে হেফাজতে রাখবেন।অনেক সময় অনেক বড় বড় ক্ষতির সমুক্ষীণ হতে পারেন এজন্য সাবধানে থাকবেন।

অনেক পুুরুষের জীবনে বড় ধোঁকা ও ট্রাজেডি হলো — সুন্দর চেহারা দেখে, পুরো মানুষটাকেই সুন্দর মনে করে বিয়ে করে বসা।~ শায়খ আতি...
14/10/2023

অনেক পুুরুষের জীবনে বড় ধোঁকা ও ট্রাজেডি হলো — সুন্দর চেহারা দেখে, পুরো মানুষটাকেই সুন্দর মনে করে বিয়ে করে বসা।
~ শায়খ আতিক উল্লাহ (হাফি.)

08/10/2023

জায়েদ জানো, তুমি কাকে বিয়ে করেছো?...তুমি যাকে বিয়ে করেছো তিনি আমার মা!
এই গল্পটি আমাকে বারবার কাঁদিয়েছে।
নবিজী সা. এর পিতা আব্দুল্লাহ।
একদিন মক্কার বাজারে গেলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্য ।
এক জায়গায় তিনি দেখলেন,
এক লোক নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে
কিছু দাস-দাসী বিক্রি করছে ।
আব্দুল্লাহ কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেন।
দাস-দাসীদের কাতারে দাঁড়িয়ে ছিলেন
নয় বছরের একটি কালো আবিসিনিয়ার মেয়ে ।
তাকে দেখে আব্দুল্লাহর অনেক মায়া হলো
মেয়েতি একটু রুগ্ন, হালকা-পাতলা গড়নের,
কিন্তু কেমন যেন মায়াবী ও অসহায় দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে ।
আব্দুল্লাহ সদ্য বিবাহিত।
ঘরে স্ত্রী আমেন্স একাক্যী থাকেন।
ভাবলেন, স্ত্রীর একজন সঙ্গী দরকার।
এই ভেবে তিনি মেয়েটাকে কিনে নিলেন ।
মেয়েটিকে আব্দুল্লাহ ও আমেনা অনেক ভালোবাসতেন ।
খুব আদর স্নেহ করতেন ।
তারা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন যে,
তারা তাদের সংসারে
আগের চেয়ে অনেক বেশি বারাকাহ পাচ্ছেন।
তাই তারা আদর করে মেয়েটিকে নাম দিলেন "বারাকাহ"।
এই গল্প, বারাকাহ এর গল্প ।

তারপর একদিন আব্দুল্লাহ,
ব্যবসার কারণে সিরিয়া রওনা দিলেন ।
আমেনার সাথে সেটাই ছিল উনার শেষ বিদায় ।
এর দুই/এক দিন পর আমেনা স্বপ্নে দেখলেন,
আকাশের আলোকোজ্জ্বল একটি তারা
যেন তার কোলে এসে পড়লো ।
তিনি বারাকাকে স্বপ্নের কথা বললেন।
উত্তরে বারাকা মৃদু হেসে বললেন,
"আমার মন বলছে আপনার একটা সুন্দর সন্তান হবে"।
আমেনা তখনও জানতেন না,
তিনি গর্ভধারণ করেছেন।
কিছুদিন পর বুঝতে পারলেন,
বারাকার ধারণাই সত্যি ।
আব্দুল্লাহ আর ফিরে আসেন নি,
সিরিয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেছেন ।
আমেনার সেই বিরহ ও কষ্টের সময়ে,
বারাকাহ ছিলেন তার একমাত্র কাছের সঙ্গী ।
একসময় আমেনার অপেক্ষা শেষ হয়,
এবং তিনি জন্ম দিলেন শিশু মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে ।
সর্বপ্রথম প্রিয় নবীকে দেখার ও
স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়েছিল
সেই আফ্রিকান ক্রিতদাসী ছোট কালো মেয়েটির।
নিজ হাতে তিনি শিশু মুহাম্মাদকে
আমেনার কোলে তুলে দিয়েছিলেন,
আর আনন্দে ও খুশিতে বলেছিলেন,
‘আমি কল্পনায় ভেবেছিলাম তিনি হবেন চাঁদের মত,
কিন্তু এখন দেখছি, তিনি চাঁদের চেয়েও সুন্দর’।

এই সেই বারাকাহ ।
নবীজির জন্মের সময় উনার বয়স ছিল তের বছর ।
নবীজীর ছোটবেলায় তিনি আমেনার সাথে
তাঁর যত্ন নিয়েছেন,
গোসল দিয়েছেন, খাওয়াতে সাহায্য করেছেন,
আদর করে ঘুম পাড়িয়েছেন।
আমেনার মৃত্যূর সময় তিনি বারাকাহ এর হাত ধরে
অনুরোধ করেছিলেন,
তিনি যেন তাঁর সন্তানকে দেখে শুনে রাখেন ।
বারাকাহ জীবনভর তাই করেছিলেন ।
বাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে ইয়াতিম
মুহাম্মাদ (সা.) চলে আসলেন
দাদা আবদুল মোত্তালিবের তত্বাবধানে।
এবার উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি হলেন
বারাকার নতুন মনিব ।
কিন্তু তিনি একদিন বারাকাকে মুক্ত করে দিলেন,
বললেন,
‘আপনি যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারেন,
আপনি স্বাধীন ও মুক্ত’।
বারাকাহ শিশু মুহাম্মাদকে (সা.)
ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না।
রয়ে গেলেন, মায়ের ছায়া হয়ে পাশে থেকে গেলেন।
এমনকি নবীজির দাদা উনাকে বিয়ে দেয়ার জন্য
বেশ কয়েকবার চেষ্টাও করেছিলেন,
কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না।
উনার কথা ছিল,
'আমি আমেনাকে কথা দিয়েছি,
আমি কোথাও যাবো না’।
একদিন খাদিজা (রা.) এর সাথে নবীজির বিয়ে হলো।
বিয়ের দিন নবীজি (সা.) খাদিজা (রা.) এর সাথে
বারাকাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন,
বললেন, ‘উনি হলেন আমার মায়ের পর আরেক মা’।
বিয়ের পর রাসূল (সা.) একদিন বারাকাহ-কে ডেকে বললেন,
‘উম্মি ! আমাকে দেখাশুনা করার জন্য এখন খাদিজা আছেন,
আপনাকে এখন বিয়ে করতেই হবে’।
(নবীজি উনাকে উম্মি ডাকতেন, নাম ধরে ডাকতেন না)।
তারপর রাসূল (সা.) ও খাদিজা (রা.) মিলে তাকে
উবাইদ ইবনে জায়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন।
কিছুদিন পর বারাকাহ এর একজন ছেলে হলো,
নাম রাখলেন আইমান ।
এরপর থেকে বারাকাহ নতুন নামে পরিচিত হলেন,
‘উম্মে আইমান’।
একদিন বারাকাহ স্বামী উবাইদ মৃত্যু বরণ করেন।
নবীজি গিয়ে আইমান ও বারাকাহ-কে সাথে করে
নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখানেই থাকতে দিলেন ।
কিছুদিন পর নবীজি(সা.) বেশ কয়েকজন সাহাবীকে ডেকে বললেন,
‘আমি একজন নারীকে জানি, যার কোন সম্পদ নেই,
তিনি বয়স্ক এবং সাথে একটা ইয়াতিম সন্তান আছে,
কিন্তু তিনি জান্নাতি।
তোমাদের মধ্যে কেউ কি
একজন জান্নাতি নারীকে বিয়ে করতে চাও?’
এইকথা শুনে জায়েদ ইবনে হারিসা (রা.)
নবীজির কাছে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন ।
নবীজি (সা.)উম্মে আইমানের সাথে কথা বলে
বিয়ের আয়োজন করলেন ।
বিয়ের দিন রাসূল (সা.) জায়েদকে
বুকে জড়িয়ে আনন্দে ও ভালোবাসায়,
ভেজা চোখে, কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন,
জায়েদ জানো, তুমি কাকে বিয়ে করেছো?
‘হাঁ, উম্মে আইমানকে’, জায়েদ উত্তর করলেন।
নবীজী বললেন, ....
তুমি যাকে বিয়ে করেছো তিনি আমার মা!
সাহাবীরা বলতেন, রাসূল (সা.)-কে
খাওয়া নিয়ে কখনো জোর করা যেত না ।
উনি সেটা পছন্দ করতেন না ।
কিন্তু উম্মে আইমান একমাত্র নারী,
যিনি রাসূল (সা.) কে খাবার দিয়ে
"খাও".." খাও".. বলে তাড়া দিতেন।
আর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশে বসে থাকতেন।
নবীজি মৃদু হেসে, চুপ চাপ খেয়ে নিতেন ।
রাসূল (সা.) স্বিয় দুধ মাতা হালিমাকে দেখলে
যেমন করে নিজের গায়ের চাদর খুলে বিছিয়ে
তার উপর তাকে বসতে দিতেন,
ঠিক তেমনি মদিনায় হিজরতের পর
দীর্ঘ যাত্রা শেষে উম্মে আইমান যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
নবীজি তাঁর গায়ের চাদরের একটা অংশ পানিতে ভিজিয়ে,
উম্মে আইমানের মুখের ঘাম ও ধুলোবালি
নিজ হাতে মুছে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন,
‘উম্মি ! জান্নাতে আপনার এইরকম কোন কষ্ট হবে না’।
নবীজি(সা.) মৃত্যুর আগে সাহাবীদের অনেক কিছুই বলে গিয়েছিলেন।
সেই সব কথার মধ্যে একটা ছিল,
উম্মে আইমানের কথা।
তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা উম্মে আইমানের যত্ন নিবে, তিনি আমার মায়ের মত।
তিনিই একমাত্র নারী, যিনি আমাকে জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছেন,
তিনি আমার পরিবারের একমাত্র সদস্য,
যিনি সারাজীবন আমার পাশে ছিলেন’।
সাহাবীরা সেই কথা রেখেছিলেন।
গায়ের রং নয়, এক সময়ের কোন ক্রিতদাসী নয়,
তাঁর পরিচয় ছিল, তিনি নবীজীর আরেক মা।
ফলে সাহাবায়ে কিরাম আপন মায়ের মতোই
এই বৃদ্ধা নারীকে ভালোবেসে আগলে রেখেছিলেন ।
আবু বকর উমার রা. মাঝে মাঝেই তাকে দেখতে যেতেন,
আর তাঁর খোঁজখবর নিতেন।
বিভিন্ন সুত্র

30/09/2023

مُـــــحَــــمَّــــدرَّسُـــــولُ اللّٰــــــه ﷺ♥

....খুশিতে চোখে পানি এসে গেছে....আমার মুসলিম ভাই/ বোনেরা  একবার পড়ে  দেখেন, কি শান্তি আমাদের ইসলামে!জান্নাতে সর্ব প্রথম ...
29/09/2023

....খুশিতে চোখে পানি এসে গেছে....

আমার মুসলিম ভাই/ বোনেরা একবার পড়ে দেখেন, কি শান্তি আমাদের ইসলামে!

জান্নাতে সর্ব প্রথম গান শোনাবেন হুরেরা, তাতে কেটে যাবে ৭০ বছর,
জান্নাতি বাতাসে গাছের পাতার সাথে মিলিয়ে অপূর্ব এক বাজনা সৃষ্টি করবে,
আর জান্নাতের হুরদের সাথে সুর মিলাবে সুরের মুর্ছনায় গোটা জান্নাত মুখরিত হয়ে যাবে,
আল্লাহ্ তখন জান্নাতবাসীদের কাছে জানতে চাইবেন,,
----"কেমন লাগলো?
----"সকলেই জবাব দিবে, খুব ভালো,
----"আল্লাহ্ বলবেন," এর চেয়েও ভালো শোনো।

জান্নাতবাসী বলবে
"হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভালো কি,
তখন আল্লাহ্ হযরত দাউদ (আঃ) কে ডাক দিয়ে বলবেন,
---- "হে দাউদ এবার তুমি শুনাও"
দাউদ (আঃ) বলবেন,
----"হে আল্লাহ্ আমার কন্ঠ তো দুনিয়াতে ছিল যবুর শরীফে,
আল্লাহ্ বলবেন,
----তোমার কন্ঠ ফিরিয়ে দিলাম কোরআন শরীফ শোনাও।

♦ হযরত দাউদ (আঃ) কোরআনের " একটি সুরা শোনাবেন! জান্নাতবাসী মুগ্ধ হয়ে যাবে।
আল্লাহ্ আবার বলবেন,---"কেমন লাগলো?
"জান্নাতিরা বলবে,--- মারহাবা, খুব ভালো লাগলো।
আল্লাহ্ বলবেন, এর চেয়ে ভালো শোনো,
জান্নাত বাসীরা, বলবে "হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভালো কি হতে পারে, আল্লাহ্ পাক রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কে বলবেন,
----হে আমার প্রিয় হাবিব এবার আপনি ওদের শোনান!

♦রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কোরআনের হৃদয় "সুরা ইয়াসিন" তেলাওয়াত করবেন। পুরো জান্নাত আনন্দে মুখরিত হয়ে যাবে আর ধ্বনি তুলবে,"
আল্লাহু আকবার "
আল্লাহ্ আবারও জানতে চাইবেন, কেমন লাগলো?জান্নাতবাসীরা বলবেন, আল্লাহ্ সবকিছু থেকে এটাই বেশি ভালো লাগলো!

♦আল্লাহ্ বলবেন,"এর চেয়েও ভালো আছে, "জান্নাতবাসী অবাক হয়ে বলবে, আল্লাহ্ এর চেয়ে ভালো কিছু আছে,
আল্লাহ্ জবাব দিবেন,
"এর চেয়ে ভালো যা তা হলো তোমাদের রব! আল্লাহ্ বলবেন, "রিজওয়ান (একজন ফেরেস্তা) পর্দা সরিয়ে দাও, আজ আমার বান্দা আমার দীদার করবে, আমাকে দেখবে,
"আল্লাহু আকবার"! পর্দা সরে যাবে ও সবাই আল্লাহর দীদার লাভ করবে আল্লাহকে দেখার পরে বান্দা অস্থীর হয়ে যাবে তখন ----শেষে আল্লাহ পাক সুরা আর রহমান পাঠ করবেন তখন মানুষের অবস্থা কি যে হবে আল্লাহ ভাল জানেন।

জান্নাতের হুর কি,
শরাব কি,
নহর কি,
ফল কি,
সব কিছুকে মূল্যহীন মনে হবে
বান্দা বলবে, "আল্লাহ্ কিছুই চাইনা,
শুধু তোমার দীদার চাই!তোমাকে দেখতে চাই,

আল্লাহ্ আমাদের কে জান্নাতে কবুল করুন।

যারা পড়েছেন, আমিন লিখবেন, আশা করি।

আমিন!

Address

Muscat

Telephone

+96890447856

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RH প্রবাসী ব্লগ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to RH প্রবাসী ব্লগ:

Videos

Share