03/03/2023
প্রবাসীর এক আত্ন কাহিনি
সেদিন ছিল আমাদের জীবনের এক অন্ধকার ক্ষন। তখন প্রায় ৫:৫০/৫৫ pm হবে, যা আমি কখনোই কল্পনা করিনি।
নিমিষেই সব কিছু যেন শেষ হয়ে গেল। তার পর আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো তাদের মহলে।
সেখানে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা থাকার পর, আবার অন্য জায়গায় হস্তান্তর করে।
তখন প্রায় রাত এগারোটা হবে হয়তো ।
সেখানে তাদের কার্যক্রম শেষ হলে প্রায় রাত ২-১ হবে, তখন আমাদের বিশ্রাম এর জন্য রাখা হল।
পরের দিন সকাল ১১টা নাগাদ আমাদের হস্তান্তর করে অন্য এক জায়গায়।
আর হা আমাদের যে জায়গায় বিশ্রামের জন্য রাখা হইছিল, সেটা আমাদের জন্য
#কবর
বললে ভুল হবে না।
কারণ সেখানে প্রাকৃতিক কোন আলো-বাতাস যাওয়ার কোন ব্যবস্তা নাই। যাই হক, আমাদের যেখানে হস্তান্তর করা হলো সেখানে আমাদের ১৮/০২/২৩ থেকে আজ ০৩/০৩/২৩ পর্যন্ত রাখা হইছিল।
সেখানে তাদের নিয়ম অনুযায়ী খাবার এর ব্যবস্থা ছিল। ঘুমানোর কোন সমস্যা ছিল না।
আর হ্যাঁ অসুস্থ হলে চিকিৎসার সুব্যবস্থা ছিল।
আর হ্যাঁ, সেখানে না ছিল কারো সাথে যোগাযোগ, না ছিল যোগাযোগ করার মতো কোন মাধ্যম।
আর হ্যাঁ ১৭/০২/২৩ এই আমাদের মোবাইল ফোন সীল করা হইছিল।
এই কয় দিনের মধ্যে আমাদের মুক্তির কার্যক্রম এর জন্য ২/৩ বাহিরে বের করেছিল।
এভাবেই আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায় এই কয়েকটি দিন।
যা কখনও ভুলবার নয়🥲
ওখান থেকে আজকে আমাদের ৯-১০ টা নাগাদ বের করে মুক্তির জন্য।
তার পর কার্যক্রমানয়ে ধাপে ধাপে সময় অতিবাহিত হতে হতে , আলহামদুলিল্লাহ আজ বিকাল ৩টা নাগাদ মুক্তি পাই আমরা।