প্রবাসী জীবন

প্রবাসী জীবন Assalamualaikum! 🙋Gazipur-Kapasia 🇧🇩 ⚡️Malaysia🌚👷🏻 https://youtube.com/channel/UCTgq-OzwaCdy-AOfjnyV8AA

★আবু হুরায়রা (রাঃ)বলেন,রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, কোথায় আজ সেই ব্যক্তিরা যারা আমার ইয...
12/01/2025

★আবু হুরায়রা (রাঃ)বলেন,রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, কোথায় আজ সেই ব্যক্তিরা যারা আমার ইযযতের জন্য পরস্পর ভালবেসেছিল, আজকে আমি তাদেরকে আমার ছায়ার নীচে আশ্রয় প্রদান করব, যেদিন আমার ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া থাকবে না।

----(মুসলিম হা/৬৭১৩; মিশকাত হা/৫০০৬)।

তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্...
11/01/2025

তিনি বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমি তো নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।

সূরা কাসাস ১৬]

(দু'আ কবুল হবেই ইনশাআল্লাহ)আমার একটা বেষ্ট ফ্রেন্ড আছে,ও কুয়ালালামপুরের স্থানীয়। একবার  ওর বাসায় আমার দাওয়াত ছিল,ওর বাসা...
27/12/2024

(দু'আ কবুল হবেই ইনশাআল্লাহ)

আমার একটা বেষ্ট ফ্রেন্ড আছে,ও কুয়ালালামপুরের স্থানীয়। একবার ওর বাসায় আমার দাওয়াত ছিল,ওর বাসায় যাওয়ার পর ওর রুমে আমি একটা আশ্চর্য জিনিস দেখেছি তাহলো নামাজের ডিজিটাল টাইম টেবিল। রুমের দেয়ালের সাথে অাকারে বড় নামাজের জামাতের টাইম টেবিল সাজানো...

আমি কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম এই নামাজের টাইম টেবিল তো মসজিদে থাকে তোমার বাসায় কেন??

ও উত্তর দিলো এটা দেখে আমি আর আমার মা দোয়া করি!!কারন হাদিসে আছে আজান ইকামতের মাঝখানে দোয়া করলে তা ফেরত দেওয়া হয়না!! বাবা মসজিদ থেকে জামাতের টাইম দেখে এখানে চেইঞ্জ করে দেয়...আজান দিলেই আমি আর মা দোয়া করতে বসে যাই....
এতদিন যত দোয়া এই সময়ের মধ্যে করেছি তার অধিকাংশই কবুল হয়েছে....

আমি খুব ইন্সপায়ার হলাম, এরপর কুয়ালালামপুরের অনেক জায়গায় আমি নামাজের টাইম টেবিল খুঁজেছি কিন্তু পাইনি পরে কাগজে কম্পস করে নিয়েছিলাম

আমার ভার্সিটির ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পাশে বড় এক মসজিদ আছে আর ওই মসজিদে মুয়াজ্জিনির সুমধুর কন্ঠর আজান যে কারো হৃদয়কে শান্ত করতে পারে। এখানে ছেলে মেয়ে সবার জন্য মসজিদ উন্মুক্ত আমি জেনে নিয়েছিলাম আযানের 15 মিনিট পরে এখানে জামাত হয় বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা এই 15 মিনিট আমার কাছে এখোনো মনে হয় কোটি টাকার চেয়েও দামি কারণ এই 15 মিনিট আমি যা দোয়া করতাম সবই কবুল হয়ে যেত।

একদিন আসরের আজান শেষ হওয়ার সাথে সাথে উদ্ভট এক দোয়া করে বসি!!
ওইদিনই আমাদের একটা পরীক্ষা ছিল,পরীক্ষাটা আমার মোটেই ভালো হয়নি,আমি মনে মনে দোয়া করলাম হে আল্লাহ পরীক্ষাটা যদি বাতিল হত!!(উদ্ভট একারনে বললাম কারন এর আগে কখনো শুনিনি এখানের কোন পরীক্ষা বাতিল হয়েছে)

পরদিন সকালেই নোটিশ বোর্ডে লেখা দেখলাম গতকালের পরীক্ষা অনিবার্য কারনে বাতিল করা হয়েছে!!

আজান -ইকামতের মাঝখানে একাগ্রচিত্তে আপনিও দোয়া করে দেখতে পারেন ..ইনশাআল্লাহ দেখবেন কবুল হয়ে গেছে।

#ইকামাত_কি_এবং_এর_সময়ঃ
:
দু'আ কবুলের অন্যতম সময় হলো আযান
এবং ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়টুকু।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, "আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দু'আ ফিরিয়ে দেয়া হয়না।”
(আবু দাউদ ৫২১, তিরমিজি ২১২)
অনেক বোনের জিজ্ঞাসা "ইকামাত কী?
আমরা কীভাবে বুঝব কখন ইকামাত হচ্ছে?"
মাসজিদে আযান হওয়ার ১৫/৩০ মিনিট পর জামাতে নামায শুরু হয়।
জামাতে নামায শুরুর পূর্ব মুহূর্তে আযানের বাক্যগুলো দিয়ে মাসজিদে আবার আযান দেয়া হয়, যাতে সবাই জামাতে এসে শামিল হয়।
এটাকেই ইকামাত বলে।
এটি আযানের মত এত দীর্ঘ ও উচ্চ আওয়াজে (মাইকে) বলা হয় না, বরং একটু দ্রুত বলা হয়।
ইকামাত শেষ হওয়া মাত্রই জামাতের সাথে নামায শুরু হয়ে যায়।
আযানের কতক্ষণ পর ইকামাত শুরু হয়?
১। সাধারণত ফজরের আযানের ৩০ মিনিট পর ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়ে যায়।
যেমনঃ বর্তমানে ভোর ৫:৩০-এ ফজরের আযান হয় ও ৬:০০-টায় ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়ে যায়।
২। দেশের অধিকাংশ মাসজিদে ১টায় আযান হয় এবং দেড়টায় ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়।
অনেক স্থানে আবার সোয়া একটায়ও জামাত শুরু হয়।
৩। আসরের আযানের ১৫ মিনিট পর ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়।
৪। মাগরিবের আযানের পরপরই জামাত শুরু হয়।
সাধারণত ২ থেকে ৫ মিনিট পরই জামাত শুরু হয়।
৫। ইশার আযানের ১৫ মিনিট পর জামাত শুরু হয়।
সাধারণভাবে আযান থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে দু'আ করতে পারেন নিঃসংকোচে। কারণ ১৫ মিনিট আগে কোথাও ইকামাত শুরু হয় না (মাগরিব বাদে)।
এ সময় বেশি বেশি দু'আ করুন।

দুআর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করবেন। সেটা হতে পারে সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত বা আয়াতুল কুরসির প্রথম লাইনটি (কিংবা পুরোটা)।

এরপর দুরুদে ইবরাহীম (যেটা নামাযের শেষ বৈঠকে পড়ি) পড়বেন।
এরপর নিজের মত করে দু'আ করবেন।

দু'আর মাঝে একটু পর-পর "ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু" পড়তে থাকবেন।
দু'আ ইউনুসও পড়বেন (লা ইলাহা ইল্লা আনতা... যোয়ালিমিন)।
দু'আ শেষ করবেন আগের মতই-- আল্লাহর প্রশংসা, অতপর দুরূদ এরপর "আমীন" বা "ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম" বলে দু'আ শেষ করবেন।
অথবা আল্লাহর কোন গুণবাচক নাম দিয়ে ।

বিঃদ্রঃ উযু করে দু'আ করবেন। অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে দু'আ করবেন। এটাই উত্তম পদ্ধতি।

মহান রব সকলের নেক দু'আ সমূহ কবুল করুন। আমিন
জাযাকাল্লাহ খাইরান।

প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআন মাজীদ হতে মহান আল্লাহর পরিচয় জানতে চাই । উত্তরঃ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় মহান আল্ল...
24/12/2024

প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআন মাজীদ হতে মহান আল্লাহর পরিচয় জানতে চাই । উত্তরঃ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় মহান আল্লাহর পরিচয় বর্ণনা করেছেন এর মধ্যে থেকে কয়েকটি আয়াতের অর্থ উপস্থাপন করছি ।

অর্থঃ" আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনিই সব কিছুর ব্যবস্থাপক । আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর চাবি- কাঠি তাঁরই নিকট । যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ কে অস্বীকার করে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত ।" ( সূরাঃ যুমার, আয়াত নং: 62-63 )

অর্থঃ "আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর কর্তৃত্ব তাঁরই; তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান; তিনি সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান । তিনিই আদি, তিনিই অন্ত, তিনিই জাহের, তিনিই বাতেন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে অধিক অবহিত ।" ( সূরাঃ হাদীদ, আয়াত নং: 2-3 )

অর্থঃ1." বলুনঃ আল্লাহ একক (ও অদ্বিতীয়), 2. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, ( সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী ) ; 3. তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকে ও জন্ম দেয়া হয়নি, 4. এবং কেউ তাঁর সমকক্ষ নয় ।" ( সূরাঃ ইখলাস)

"অর্থঃ তিনি আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক, সব কিছুর স্রষ্টা; তিনি ব্যতীত ( সত্য ) কোন মা'বুদ নাই, সুতরাং তোমরা কোথায় পথভ্রষ্ট হয়ে ঘুরছ?" ( সূরাঃ মু'মিন, আয়াত নং: 62 )

অর্থঃ" আল্লাহ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর নুর (জ্যোতি)।" ( সূরাঃ নূর, আয়াত নং:35 )

"অর্থঃ তিনিই জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান এবং যখন তিনি কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন তখন তিনি বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায় ।" ( সূরা মু'মিন, আয়াত নং: 68 )

অর্থঃ" নিশ্চয় তোমাদের মা'বুদ এক । যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সব কিছুর প্রতিপালক এবং প্রতিপালক সকল উদয় স্থলের ।" ( সূরাঃ সা-ফ্ফা-ত, আয়াত নং: 4-5 )

অর্থঃ" তিনি আল্লাহ তোমাদের প্রতিপালক, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সত্য মা'বুদ নাই, প্রত্যেক বস্তুরই স্রষ্টা তিনি , অতএব তোমরা তারই ইবাদত করতে থাকবে , তিনিই তোমাদের সব জিনিসের কার্যনির্বাহী ।" ( সূরাঃ আন'আম, আয়াত নং: 102 )

"অর্থঃ তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু আছে - সমস্তই সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর তিনি আকাশের প্রতি মনঃসংযোগ করেন, অতঃপর সপ্ত আকাশ সুবিন্যস্ত করেন এবং তিনি সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী ।"( সূরাঃ বাকারাহ, আয়াত নং: 29 )

"অর্থঃ আল্লাহ তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্য মা'বুদ নাই, তিনি চিরজীবন্ত ও সবার রক্ষণা-বেক্ষণকারী, তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না, নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সব তাঁরই; এমন কে আছে যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে ? তাদের সম্মুখের ও পশ্চাতের সবই তিনি অবগত আছেন; তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত তাঁর অনন্ত জ্ঞানের কোন বিষয়ই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না ; তাঁর কুরসী নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল পরিব্যক্ত হয়ে আছে এবং এতদুভয়ের সংরক্ষণে তাঁকে পরিশ্রান্ত করে না এবং তিনি সমুন্নত, মহীয়ান ।" ( সূরাঃ বাকারাহ, আয়াত নং: 255 )

"অর্থঃ তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃ'ত্যু ঘটান, আর তোমরা তারই পানে প্রত্যাবর্তিত হবে ।" ( সূরা ইউনুস, আয়াত নং: 56 )

"অর্থঃ তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত ( সত্য ) কোন মা'বুদ নেই, তিনি অদৃশ্য এবং দৃশ্যের সব কিছুই জানেন; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু ।
তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত সত্য কোন মা'বুদ নাই । তিনি অধিপতি, অতীব পবিত্র, পরিপূর্ণ শান্তিদাতা, নিরাপত্তা দানকারী, রক্ষক, পরাক্রমশালী, প্রবল, অতীব মহিমান্বিত, যারা তার শরীক স্থির করে আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান ।
তিনিই আল্লাহ সৃজন কর্তা, উদ্ভাবন কর্তা, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই । আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে । তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান ।" ( সূরা হাশর, আয়াত নং: 22-23-24 )

"অর্থঃ আল্লাহ তোমাদের কে সৃষ্টি করেছেন মৃত্তিকা হতে; অতঃপর শুক্রবিন্দু হতে, অতঃপর তোমাদের কে করেছেন জোড়া জোড়া! আল্লাহর অজ্ঞাতসারে কোন নারী গর্ভধারণ করে না এবং প্রসব ও করে না । কোন দীর্ঘায়ু ব্যক্তির আয়ু বৃদ্ধি করা হয় না অথবা তার আয়ু হ্রাস করা হয় না, কিন্তু তাতো রয়েছে কিতাবে ( লওহে মাহফুজে ) । নিশ্চয় এটা আল্লাহর জন্য সহজ ।" ( সূরা ফাতির, আয়াত নং: 11 )

"অর্থঃ আল্লাহই বায়ু প্রেরণ করে তা দ্বারা মেঘমালা সঞ্চালিত করেন । অতঃপর আমি তা মৃত ভূ-খন্ডের দিকে পরিচালিত করি , অতঃপর আমি ওটা দ্বারা যমীনকে ওর মৃ'ত্যুর পর সঞ্জীবিত করি । পুনরাত্থান এই রূপেই হবে ।" ( সূরা ফাতির, আয়াত নং: 9 )

"অর্থঃ তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করান এবং দিবসকে পবিষ্ট করান রাত্রিতে, তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে করেছেন নিয়ন্ত্রিত, প্রত্যেকে পরিভ্রমণ করে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত । তিনিই আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক । সার্বভৌমত্ব তাঁরই । আর তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো তারা তো খেজুরের আঁটির সামান্য আবরণের ও অধিকারী নয় ।" ( সূরা ফাতির, আয়াত নং: 13 )

"অর্থঃ এবং তিনিই মানুষ কে সৃষ্টি করেছেন পানি হতে; অতঃপর তিনি তার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন । তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান ।" ( সূরা ফুরকান, আয়াত নং:55 )

"অর্থঃ আল্লাহই তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন বাসোপযোগী এবং আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তোমাদের আকৃতি গঠন করেছেন এবং তোমাদের আকৃতি করেছেন উৎকৃষ্ট এবং তোমাদের দান করেছেন উৎকৃষ্ট রিযিক । এই তো আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক । কত মহান জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ ! " ( সূরা মু'মিন, আয়াত নং:64 )

"অর্থঃ আল্লাহই তোমাদের বিশ্রামের জন্য সৃষ্টি করেছেন রাত্রি এবং আলোকোজ্জল করেছেন দিবসকে । আল্লাহ তো মানুষের প্রতি অনুগ্রহ শীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না ।" ( সূরা মু'মিন, আয়াত নং:61 )

"অর্থঃ তিনিই আল্লাহ যিনি তোমাদের কে সৃষ্টি করেন দুর্বল অবস্থায়; দুর্বলতার পর তিনি দেন শক্তি, শক্তির পর আবার দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য । তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান ।" ( সূরা রুম, আয়াত নং:54 )

"অর্থঃ আল্লাহরই জন্যে পূর্ব ও পশ্চিম; অতএব তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও সে দিকেই আল্লাহর মুখ; কেননা আল্লাহ (সর্বদিক) পরিবেষ্টনকারী পূর্ণ জ্ঞানবান ।" ( সূরা বাকারাহ, আয়াত নং:115 )

"অর্থঃ তিনিই আমাকে দান করেন আহার্য ও পানীয় । এবং রোগাক্রান্ত হলে তিনিই আমাকে রোগমুক্ত করেন । আর তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর আমাকে পুনর্জীবিত করবেন ।" ( সূরা শু’আরা, আয়াত নং:79-80-81 )

"অর্থঃ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কর্তৃত্ব আল্লাহরই । তিনি যা ইচ্ছা তা-ই সৃষ্টি করেন । তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন । অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা তাকে করে দেন বন্ধ্যা, তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান ।" ( সূরা শূরা, আয়াত নং: 49-50 )

"অর্থঃ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর চাবি সমূহ তাঁরই নিকট । তিনি যার প্রতি ইচ্ছা তার রিযিক বর্ধিত করেন অথবা সংকুচিত করেন । তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ ।"( সূরা শূরা, আয়াত নং:12 )

22/12/2024
মানবজাতির প্রতি কোরআনের ১০০ উপদেশমানবজাতির প্রতি পবিত্র কোরআনের ১০০টি উপদেশ ধারাবাহিকভাবে ১০ পর্বে প্রকাশিত হয়। আজ সবগুল...
16/12/2024

মানবজাতির প্রতি কোরআনের ১০০ উপদেশ

মানবজাতির প্রতি পবিত্র কোরআনের ১০০টি উপদেশ ধারাবাহিকভাবে ১০ পর্বে প্রকাশিত হয়। আজ সবগুলো পর্ব একসাথে দেওয়া হলো।

১। সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণ করা যাবে না

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত কোরো না। এবং জেনেশুনে সত্য গোপন কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪২)

২। সৎ কাজ নিজে করে অন্যকে করতে বলো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও, আর নিজেদের বিস্মৃত হও...?’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৪)

৩। বিবাদে লিপ্ত হয়ো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘...দুষ্কৃতকারীরূপে পৃথিবীতে নৈরাজ্য সৃষ্টি কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬০)

৪। কারো মসজিদে যাওয়ার পথে বাধা দিয়ো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘তার চেয়ে বড় জালিম আর কে, যে আল্লাহর (ঘর) মসজিদে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং এর বিনাশসাধনে প্রয়াসী হয়...?’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১৪)

৫। কারো অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না

ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তাদের বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা তোমরা অনুসরণ করো; তারা বলে, না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের যাতে পেয়েছি, তার অনুসরণ করব...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭০)

৬। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো...।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ১)

৭। অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভোগ করবে না

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮)

৮। সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না

ইরশাদ হয়েছে, ‘...সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯০)

৯। আল্লাহর পথে ব্যয় করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯৫)

১০। এতিমদের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ তোমাকে এতিমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, বলে দাও, তাদের জন্য সুব্যবস্থা করা উত্তম...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২০)

১১। ঋতুস্রাবের সময় সহবাস পরিহার করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ঋতুস্রাবের সময় যৌন সঙ্গম কোরো না। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২২)

১২। শিশুকে দুই বছর বুকের দুধ খাওয়াও

ইরশাদ হয়েছে, ‘শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাও।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩০)

১৩। সৎ শাসক নির্বাচন করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘সৎ গুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)

১৪। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়

ইরশাদ হয়েছে, ‘দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)

১৫। মানুষের নিঃস্বার্থ উপকার করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রতিদান কামনা করে দান বিনষ্ট কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৪)

১৬। অন্যের বিপদে সাহায্য করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রয়োজনে সহযোগিতা করো।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৩)

১৭। সুদ পরিহার করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘সুদ গ্রহণ কোরো না।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৫)

১৮। অপারগ ব্যক্তির ওপর সদয় হও

ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮০)

১৯। হিসাব সংরক্ষণ করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘ঋণের বিষয় লিখে রাখো।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮২)

২০। আমানত রক্ষা করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘আমানত রক্ষা করো।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৩)

২১। পরনিন্দা পরিহার করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘কারো গোপন তথ্য অনুসন্ধান কোরো না এবং পরনিন্দা কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৩)

২২। সব নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘সব নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৫)

২৩। আল্লাহ চেষ্টা অনুযায়ী প্রতিদান দেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সাধ্যের বাইরে কারো ওপর বোঝা চাপিয়ে দেন না। সে তা-ই পায় যা তার অর্জন।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৬)

২৪। আল্লাহ বিচ্ছিন্নতা পছন্দ করেন না

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’

(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১০৩)

২৫। সত্যের প্রতি আহ্বানকারী থাকা চাই

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের ভেতর এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা ভালো কাজের প্রতি আহ্বান জানাবে, সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে।’

(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১০৪)

২৬। কোমলভাষী হও

ইরশাদ হয়েছে, ‘রূঢ় ভাষা ব্যবহার কোরো না।’

(সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)

২৭। সৃষ্টিজগতে আল্লাহর অনুসন্ধান করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১)

২৮। নারী-পুরুষ সবাই তার কর্মফল পাবে

ইরশাদ হয়েছে, ‘নারী ও পুরুষ উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯৫)

২৯। প্রাপ্তদের উত্তরাধিকারের সম্পদ বুঝিয়ে দাও

ইরশাদ হয়েছে, ‘মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যদের ভেতর বণ্টন করতে হবে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৭)

৩০। নারীদের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘সম্পদের উত্তরাধিকারে নারীদেরও সুনির্দিষ্ট অংশ রয়েছে।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৭)

৩১। অনাথের সম্পদ আত্মসাত্ কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘অনাথদের সম্পদ আত্মসাত্ কোরো না।’

(সুরা : নিসা, আয়াত : ১০)

৩২। নিষিদ্ধ নারীকে বিয়ে কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘যাদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে তাদের

বিয়ে কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৩)

৩৩। অন্যায়ভাবে সম্পদ হরণ কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৯)

৩৪। পুরুষ পরিবারের অভিভাবক হবে

ইরশাদ হয়েছে, ‘পরিবারের অভিভাবকত্ব ও অর্থ ব্যয়

পুরুষের দায়িত্ব।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৪)

৩৫। সদাচারী হও

ইরশাদ হয়েছে, ‘অন্যের প্রতি সদাচারী হও।’

(সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৬)

৩৬। কৃপণ হয়ো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘কার্পণ্য কোরো না এবং অন্যকে কার্পণ্য শিক্ষা দিয়ো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৭)

৩৭। বিদ্বেষ পরিহার করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘বিদ্বেষী হয়ো না।’

(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৪)

৩৮। ন্যায়বিচার করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করো।’

(সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৮)

৩৯। মানুষ হত্যা কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘পরস্পরকে হত্যা কোরো না।’

(সুরা : নিসা, আয়াত : ৯২)

৪০। বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের পক্ষপাত কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক কোরো না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০২)

৪১। সত্যের ওপর অবিচল থাকো

ইরশাদ হয়েছে, ‘ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো।’

(সুরা নিসা, আয়াত : ১৩৫)

৪২। অঙ্গীকার পূর্ণ করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ১)

৪৩। সৎকাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘সৎকাজ ও খোদাভীতির ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ২)

৪৪। সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সহযোগিতা কোরো না
ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা কোরো না।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ২)

৪৫। সত্যের অনুগামী হও
ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।’

(সুরা মায়িদা, আয়াত : ৮)

৪৬। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও
ইরশাদ হয়েছে, ‘পুরুষ চোর ও নারী চোর, তাদের হাত কেটে দাও। এটা তাদের কৃতকর্মের ফল এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক দণ্ড।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৩৮)

৪৭। পাপ ও অবৈধ জিনিসের পেছনে শ্রম ব্যয় কোরো না
ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের অনেককেই তুমি দেখবে পাপে, সীমালঙ্ঘনে ও অবৈধ ভক্ষণে তৎপর। তারা যা করে নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৬২)

৪৮। মাদকদ্রব্য বর্জন করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! নিশ্চয় মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৯০)

৪৯। জুয়া খেলো না
ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! নিশ্চয় মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৯০)

৫০। পৃথিবীতে ভ্রমণ করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন! তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো, যারা সত্যকে অস্বীকার করে তাদের পরিণাম কী হয়েছিল!’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১১)

৫১। আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়

ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কথামতো চলো, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে এবং তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে।’

(সুরা : আনআম, আয়াত : ১১৬)

৫২। সঠিক ওজনে লেনদেন করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ন্যায্য পরিমাপ ও ওজন পূর্ণ করবে।’

(সুরা : আনআম, আয়াত : ১৫২)৫৩. অহংকার পতনের মূল

ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি এই স্থান থেকে নেমে যাও। এখানে থেকে তুমি অহংকার করবে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং তুমি বের হয়ে যাও। নিশ্চয় তুমি অধমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৩)

৫৪। নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আদম সন্তান, তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করো।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)

৫৫। অপচয়কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা খাও এবং পান করো। তবে অপচয় কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)

৫৬। অন্যের ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি ক্ষমাপরায়ণ হোন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৯৯)

৫৭। যুদ্ধের ময়দান থেকে পালাবে না

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, যখন তোমরা কাফির বাহিনীর মুখোমুখি হবে তখন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন কোরো না।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ১৫)

৫৮। নিরাপত্তাপ্রত্যাশীদের নিরাপত্তা দাও

ইরশাদ হয়েছে, ‘মুশরিকদের কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দেবেন, যেন সে আল্লাহর বাণী শুনতে পারে।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৬)

৫৯। আল্লাহ পবিত্র ব্যক্তিকে ভালোবাসেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘সেখানে রয়েছে এমন মানুষ, যারা পবিত্রতা অর্জন করতে পছন্দ করে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১০৮)

৬০। আল্লাহঅনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না।’

(সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৩)

৬১। অজ্ঞতাবশত ভুল হলে আল্লাহ ক্ষমা করেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর যারা অজ্ঞতাবশত মন্দ কাজ করে তারা পরে তওবা করলে এবং নিজেদের সংশোধন করলে তাদের প্রতি তাদের প্রতিপালক অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১১৯)

৬২। ইসলাম প্রচারে কৌশলী হও

ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি আল্লাহর পথে প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো। তাদের সঙ্গে উত্তম পন্থায় বিতর্কে লিপ্ত হও। নিশ্চয় তোমার প্রভু পথভ্রষ্টদের সম্পর্কে সবিশেষ অবগত এবং সত্য পথের অনুসারীদের ব্যাপারেও সর্বোত্তম জানেন।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)

৬৩। কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না

ইরশাদ হয়েছে, ‘যে সৎপথ অনুসরণ করে সে নিজের কল্যাণের জন্য সৎপথ অনুসরণ করে এবং যে পথভ্রষ্ট হবে সে নিজের ধ্বংসের জন্যই তা করবে। কেউ কারো বোঝা বহন করবে না। আমি রাসুল প্রেরণ করার পূর্ব পর্যন্ত কাউকে শাস্তি প্রদান করি না।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ১৫)

৬৪। পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কোরো

ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করতে এবং মা-বাবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৩)

৬৫। মা-বাবার সঙ্গে মন্দ ব্যবহার কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের একজন বা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তাদের ‘উফ’ বলো না, তাদের ধমক দিয়ো না; তাদের সঙ্গে বিনম্র ভাষায় কথা বলো।’

(সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৩)

৬৬। জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তোমার হাত তোমার গ্রীবায় আবদ্ধ করে রেখো না এবং তা সম্পূর্ণ প্রসারিতও কোরো না। তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে যাবে।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৯)

৬৭। সন্তান হত্যা কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘দারিদ্র্যের ভয়ে তোমরা সন্তান হত্যা কোরো না। তাদের এবং তোমাদের আমিই জীবিকা প্রদান করি। নিশ্চয় তাদের হত্যা করা মহাপাপ।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩১)

৬৮। অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩২)

৬৯। না জেনে কোনো কিছুর অনুসরণ করবে না

ইরশাদ হয়েছে, ‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয়—এর প্রত্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩২)

৭০। নম্র ভাষায় কথা বলো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা তার সঙ্গে নম্র ভাষায় কথা বলবে। হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় পাবে।’

(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৪৪)

৭১। অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকো

ইরশাদ হয়েছে, ‘(মুমিন তারা) যারা অনর্থক ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকে।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৩)

৭২। অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে প্রবেশ কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! অন্যের ঘরে অনুমতি গ্রহণ বা সালাম প্রদান না করে প্রবেশ কোরো না। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’

(সুরা : নুর, আয়াত : ২৭)

৭৩। লজ্জা ও শালীনতার সঙ্গে চলো

ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি মুমিন পুরুষদের বলে দিন যেন তারা তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতম। তারা যা করে আল্লাহ নিশ্চয়ই তা জানেন। এবং আপনি মুমিন নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে; তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তবে ওইটুকু ব্যতীত যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২৭)

৭৪। মা-বাবার ঘরে প্রবেশের আগেও অনুমতি নাও

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের মালিকাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা এখনো বয়ঃপ্রাপ্ত হয়নি তারা যেন তিন সময় তোমাদের ঘরে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি নেয়—ফজরের নামাজের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ এবং এশার নামাজের পর। এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৫৮)

৭৫। বিনম্র হয়ে চলাফেরা করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে।’ (সুরা : ফোরকান, আয়াত : ৬৩)

৭৬। মানুষের প্রতি দয়া করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমার প্রতি যেমন অনুগ্রহ করেছেন, তুমিও তেমন অনুগ্রহ করো। পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি কোরো না।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৭৭)

৭৭। সংকটকালেও আল্লাহর পথে অটল থাকো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমার প্রতি আল্লাহর আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর তারা যেন তোমাকে কিছুতেই সেগুলো থেকে বিমুখ না করে। তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রতি আহ্বান করো এবং কিছুতেই মুশরিকদের দলভুক্ত হইয়ো না।’ (সুরা : ফোরকান, আয়াত : ৮৭)

৭৮। সমকামিতা জঘন্যতম অপরাধ

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরাই তো পুরুষে উপগত হচ্ছো, তোমরাই ডাকাতি করে থাকো, তোমরাই তোমাদের মজলিসে প্রকাশ্যে অপকর্ম করে থাকো। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল, আমাদের ওপর আল্লাহর শাস্তি নিয়ে এসো—যদি তুমি সত্যবাদী হও।’

(সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ২৯)

৭৯। সৎ কাজের আদেশ করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে পুত্র! নামাজ আদায় করো, সৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করো। বিপদে ধৈর্য ধারণ করো। এটাই তো দৃঢ় সংকল্পের কাজ।’

(সুরা : লোকমান, আয়াত : ১৭)

৮০। মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘অহংকারবশত তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ কোরো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোনো উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’

(সুরা : লোকমান, আয়াত : ১৮)

৮১। কণ্ঠস্বর নিচু রাখো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি সংযতভাবে পথ চলো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নিচু রাখো। নিশ্চয়ই গাধার স্বর সর্বাধিক শ্রুতিকটু।’

(সুরা লোকমান, আয়াত : ১৯)

৮২। নারী অশালীনভাবে নিজেকে প্রদর্শন করবে না

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ঘরে অবস্থান করো এবং পূর্ববর্তী জাহেলি (বর্বর) যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৩৩)

৮৩। অপরাধ যত বড় হোক আল্লাহ ক্ষমা করবেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন! হে আমার বান্দাগণ তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহই ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ৫৩)

৮৪। আল্লাহর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অভিমুখী হও এবং তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করো; তোমাদের ওপর শাস্তি আসার আগে, যখন তোমাদের সাহায্য করা হবে না।’

(সুরা ঝুমার, আয়াত : ৫৪)

৮৫। মন্দের বিপরীতে ভালো করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘ভালো-মন্দ কখনো সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত করো ভালোর দ্বারা। ফলে তোমার সঙ্গে যার শত্রুতা আছে, সে অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।’

(সুরা হা মিম সাজদা, আয়াত : ৩৪)

৮৬। পরামর্শ করে কাজ করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘(মুমিনরা) পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজ করে।’ (সুরা শুরা, আয়াত : ৩৮)

৮৭। আল্লাহ আপস পছন্দ করেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। সুতরাং তোমরা ভাইদের ভেতর শান্তি স্থাপন করো আর আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১০)

৮৮। কাউকে উপহাস করো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হচ্ছে সে তার চেয়ে উত্তম হতে পারে। কোনো নারী যেন অপর কোনো নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হচ্ছে সে উপহাসকারী নারীর চেয়ে উত্তম হতে পারে।’

(সুরা হুজরাত, আয়াত : ১১)

৮৯। সন্দেহপ্রবণতা ভালো নয়

ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনরা অধিক পরিমাণে সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয়ই কিছু কিছু সন্দেহ পাপতুল্য।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১২)

৯০। পরনিন্দা করো না
ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা পরস্পরের অনুপস্থিতিতে নিন্দা করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? বস্তুত তোমরা তা ঘৃণা করো। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ (সুরা হুজরাত, আয়াত : ১২)

৯১। সম্মানের ভিত্তি খোদাভীতি

ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে। অতঃপর তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব কিছুর খবর রাখেন।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩)

৯২। অতিথির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনার নিকট ইবরাহিমের সম্মানিত মেহমানদের ঘটনা বিবৃত হয়েছে? যখন তারা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম। উত্তরে তিনি বললেন, সালাম। এরা তো অপরিচিত লোক। অতঃপর ইবরাহিম তার নিকট গেল এবং একটি মাংসল গরুর বাছুর ভাজা নিয়ে এলো এবং তাদের সামনে রাখল।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ২৪-২৭)

৯৩। দাতব্যকাজে অর্থ ব্যয় করো

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করো এবং আল্লাহ তোমাদেরকে যা কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন তা থেকে ব্যয় করো। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও ব্যয় করে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ৭)

৯৪। বৈরাগ্যবাদ মানুষের সৃষ্টি

ইরশাদ হয়েছে, ‘বৈরাগ্যবাদ এটা তারা নিজেরাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রবর্তন করেছিল। আমি তাদের এই বিধান দিইনি। অথচ তারা এটাও ঠিকমতো পালন করেনি।’ (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২৭)

৯৫। আলেমদের আল্লাহ মর্যাদা দান করেছেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। তোমরা যা করো আল্লাহ তা সম্মুখ অবগত।’

(সুরা : মুজাদালা, আয়াত : ৫৮)

৯৬। অমুসলিমদের সঙ্গেও উত্তম আচরণ করতে হবে

ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা দ্বিনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে নিজ মাতৃভূমি থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেননি।’ (সুরা : মুমতাহিনা, আয়াত : ৮)

৯৭। ঋণদাতার জন্য রয়েছে পুরস্কার

ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান করো, তিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন এবং তিনি তোমাদের ক্ষমা করবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহী, ধৈর্যশীল।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ১৭)

৯৮। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ো

ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আপনার প্রতিপালক জানেন যে আপনি জাগরণ করেন কখনো রাতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধাংশ এবং কখনো এক-তৃতীয়াংশ; জাগে তোমার সঙ্গে যারা আছে তাদের একটি দলও। আল্লাহই নির্ধারণ করেন দিন-রাতের পরিমাণ।’ (সুরা : মুজাম্মিল, আয়াত : ২০)

৯৯। ভিক্ষুকদের ধমক দিয়ো না

ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তুমি ভিক্ষুককে ধমক দিয়ো না।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ১০)

১০০। আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য

ইরশাদ হয়েছে, ‘বলুন! আল্লাহ এক-অদ্বিতীয়, তিনি অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা : ইখলাস)

মানুষের কষ্ট লাঘব করার ফজিলতমানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টির প্রতি অসীম মমত্বশীল। ফলে কোনো মানুষ যখন অন্য ...
10/12/2024

মানুষের কষ্ট লাঘব করার ফজিলত

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ তাঁর সব সৃষ্টির প্রতি অসীম মমত্বশীল। ফলে কোনো মানুষ যখন অন্য মানুষের কষ্ট লাঘব করে আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করেন।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে চলাচলের পথে কাঁটাযুক্ত ডাল পেল। সে বলল, আমি অবশ্যই এটিকে উঠিয়ে ফেলে দিব, হয়তো আল্লাহ এর কারণে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর সে তা উঠিয়ে ফেলে দিল। এতে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।

----- (আহমাদ, হা/১০২৮৯)।

কুরআনের হক আদায়ের ৫টি স্তরঃ__________________________________________{১} মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করাঃ-وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآن...
06/12/2024

কুরআনের হক আদায়ের ৫টি স্তরঃ
__________________________________________
{১} মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করাঃ-
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ-
অর্থ: আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। (সূরা আ'রাফ : ২০৪)

{২} যথাযথভাবে তিলাওয়াত করাঃ-
الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تلاوَتِهِ-
অর্থ: আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা আল-বাক্বারা : ১২১)

{৩} মুখস্থ করাঃ-
بَلْ هُوَ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ فِي صُدُورِ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ-
অর্থ: বরং যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের অন্তরে ইহা (কোরআন) তো স্পষ্ট আয়াত। কেবল বে-ইনসাফরাই আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে। (সূরা আনকাবূত : ৪৯)

{৪} চিন্তা-গবেষণা করাঃ-
كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ-
অর্থ: এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে। (সূরা ছোয়াদ : ২৯)

{৫} আমল করাঃ-
الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ-
অর্থ: যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান। (সূরা আয-যুমার : ১৮)
সূত্রঃ "কুরআন ও হাদিসের আলো(ﺭﻮُﻧ)""কুরআন ও হাদিসের আলো(ﺭﻮُﻧ)"
আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে প্রতিটি স্তর সফলতার সাথে অতিক্রম করার তাওফীক দান করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন!!

তোমরা পিতা-মাতা, আত্মীয়- সজন, ইয়াতিম ও মিসকীনদের সাথে ভালো আচরণ করো।۞সুরা আন-নিসা ৩৬۞
03/12/2024

তোমরা পিতা-মাতা, আত্মীয়- সজন, ইয়াতিম ও মিসকীনদের সাথে ভালো আচরণ করো।
۞সুরা আন-নিসা ৩৬۞

"প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে রাত্রি জাগরণ" মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন- ---"নিশ্চয়ই রাত্রি জাগরণ প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে (দলনে) অধিক স...
01/12/2024

"প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে রাত্রি জাগরণ"
মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন-
---
"নিশ্চয়ই রাত্রি জাগরণ প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে (দলনে) অধিক সহায়ক, এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অধিক অনুকূল।"
_________[সুরা-মুযামমিল, আয়াত-৬]_______
~~~
আয়াতের সংক্ষিপ্ত তফসীর-
এর প্রথম অর্থ হল,
রাতের নির্জন পরিবেশে নামাযী, 'তাহাজ্জুদের নামাযে যে কুরআন পাঠ করে, 'তার অর্থসমূহ অনুধাবন করার ব্যাপারে (মুখ বা) কানের সাথে অন্তরের বড়ই মিল থাকে।
-
এর দ্বিতীয় অর্থ হল, দিনের তুলনায় রাতে কুরআন পাঠ বেশী পরিষ্কার হয় এবং মনোনিবেশ করার ব্যাপারে বড়ই প্রভাবশালী হয়।
কারণ, তখন অন্য সকল শব্দ নিশ্চুপ-নীরব হয়। পরিবেশ থাকে নিঝুম-নিস্তব্ধ।
এই সময় নামাযী যা কিছু পড়ে,
তা শব্দের গোলযোগ ও পৃথিবীর হট্টগোল থেকে সুরক্ষিত থাকে এবং তার মাঝে নামাযী তৃপ্তি লাভ করে ও তার প্রতিক্রিয়া অনুভব করে।
---------------------[তফসীর আহসানুল বয়ান]

গুরুত্বপূর্ণ ১২টি ছোট আমলযেগুলো আমরা চলাফেরার মাঝেপড়তে পারি ‌। তাসবীহ, তাহমীদ,তাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীলত !!(১) রাসূলুল্ল...
26/11/2024

গুরুত্বপূর্ণ ১২টি ছোট আমল
যেগুলো আমরা চলাফেরার মাঝে
পড়তে পারি ‌। তাসবীহ, তাহমীদ,
তাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীলত !!
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে
ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
« ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ».
(সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)
‘আমি আল্লাহর প্রশংসা পবিত্রতা
ঘোষণা করছি’, তার পাপসমূহ মুছে
ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের
ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।”
বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫
মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১
(২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত বাণীটি ১০
বার বলবে,
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ، ﻭَﻟَﻪُ
ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ ».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু
লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া
লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি
শাই’ইন ক্বাদীর)।
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো
হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক
নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও
তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর
ক্ষমতাবান।” এটা তার জন্য এমন হবে
যেন সে ইসমাঈলের সন্তানদের
চারজনকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করল।”
বুখারী ৭/৬৭ নং ৬৪০৪
মুসলিম, তার শব্দে ৪/২০৭১ নং ২৬৯৩
(৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা যবানে
সহজ, মীযানের পাল্লায় ভারী এবং
করুণাময় আল্লাহ্র নিকট অতি প্রিয়।
আর তা হচ্ছে,
« ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ، ﺳُﺒْﺤﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ».
(সুব্হানাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী,
সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম)।
‘আল্লাহ্র প্রশংসাসহকারে তাঁর
পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি।
মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা
ঘোষণা করছি’।”
বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৪
মুসলিম ৪/২০৭২, নং ২৬৯৪।
(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু
আকবার— সূর্য যা কিছুর উপর উদিত
হয় তার চেয়ে এগুলো বলা আমার
কাছে অধিক প্রিয়।”
মুসলিম, ৪/২০৭২, নং ২৬৯৫।
(৫) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“তোমাদের কেউ কি প্রতিদিন এক
হাজার সওয়াব অর্জন করতে
অপারগ?” তাঁর সাথীদের মধ্যে
একজন প্রশ্ন করে বলল, আমাদের
কেউ কী করে এক হাজার সওয়াব
অর্জন করতে পারে? নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, “যে ব্যক্তি ১০০ বার
‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে, তার জন্য এক
হাজার সওয়াব লেখা হবে অথবা
তার এক হাজার পাপ মুছে ফেলা
হবে।”
মুসলিম ৪/২০৭৩, নং ২৬৯৮।
(৬) “যে ব্যক্তি বলবে,
« ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ».
(সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম
ওয়াবিহামদিহী)।
‘মহান আল্লাহর প্রশংসার সাথে
তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা
করছি’— তার জন্য জান্নাতে একটি
খেজুর গাছ রোপণ করা হবে।”
তিরমিযী ৫/১১, নং ৩৪৬৪;
হাকেম-১/৫০১ এবং এটাকে সহীহ
বলেছেন। আর ইমাম যাহাবী তার
সাথে একমত হয়েছেন। দেখুন, সহীহুল
জামে‘ ৫/৫৩১; সহীহুত তিরমিযী
৩/১৬০।
(৭) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ওহে
আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি
জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার
সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না?”
আমি বললাম, নিশ্চয়ই হে আল্লাহর
রাসূল। তিনি বললেন, “তুমি বল,
« ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ».
(লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা
বিল্লা-হ)।
“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ
কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো
উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো
শক্তি কারো নেই।”
বুখারী, ফাতহুল বারীসহ ১১/২১৩, নং
৪২০৬
মুসলিম ৪/২০৭৬, নং ২৭০৪।
(৮) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক প্রিয়
বাক্য চারটি, তার যে কোনটি
দিয়েই শুরু করাতে তোমার কোনো
ক্ষতি নেই। আর তা হলো,
« ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ
ﺃَﻛْﺒَﺮُ ».
(সুবহানাল্লা-হি ওয়ালহাম্দু
লিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা
ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার)।
“আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-
প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া
কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ
সবচেয়ে বড়।”
মুসলিম ৩/১৬৮৫, নং ২১৩৭।
(৯) এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামের কাছে এসে
জিজ্ঞেস করল, আমাকে একটি
কালেমা শিক্ষা দিন যা আমি বলব।
তখন রাসূল বললেন, “বল,
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮﺍً،
ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜِﻴﺮﺍً، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ، ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ
ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰِ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢِ »
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু
লা শারীকা লাহু, আল্লা-হু আকবার
কাবীরান, ওয়ালহামদুলিল্লা-হি
কাসীরান, সুবহা-নাল্লা-হি
রাব্বিল আ-লামীন, লা হাউলা
ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হিল
‘আযীযিল হাকীম।)
“একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো
হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক
নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়, অতীব বড়।
আল্লাহ্র অনেক-অজস্র প্রশংসা।
সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ কতই না
পবিত্র-মহান। প্রবল পরাক্রমশীল ও
প্রজ্ঞাময় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া
(পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার)
কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার)
কোনো শক্তি কারো নেই।”
তখন বেদুঈন বলল, এগুলো তো আমার
রবের জন্য; আমার জন্য কী? তিনি
বললেন: “বল,
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲ ».
(আল্লা-হুম্মাগফির লী,
ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী,
ওয়ারযুক্বনী)
“হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন,
আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে
হেদায়াত দিন এবং আমাকে
রিযিক দিন।”
মুসলিম ৪/২০৭২, নং ২৬৯৬
আবূ দাউদ বর্ণনা করেন, ১/২২০, নং
৮৩২:
(১০) “কোনো ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ
করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে
প্রথমে সালাত শিক্ষা দিতেন।
অতঃপর এসব কথা দিয়ে দো‘আ
করার আদেশ দিতেন,
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮِ ﻟِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ، ﻭَﻋَﺎﻓِﻨِﻲ
ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲ».
(আল্লা-হুম্মাগফির লী ওয়ারহামনী
ওয়াহদিনী ওয়া ‘আ-ফিনী
ওয়ারযুক্বনী)।
“হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা
করুন, আমাকে দয়া করুন, আমাকে
আপনি হেদায়াত দিন, আমাকে
নিরাপদ রাখুন এবং আমাকে রিযিক
দান করুন।”
মুসলিম ৪/২০৭৩; নং ৩৬৯৭। মুসলিমের
অপর বর্ণনায় এসেছে, “এগুলো
তোমার জন্য দুনিয়া ও আখেরাত
সবকিছুর সমন্বয় ঘটাবে।”
(১১) “সর্বশ্রেষ্ঠ দো‘আ হল,
« ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ »
(আলহামদু লিল্লাহ)
“সকল প্রশংসা আল্লাহরই”। আর
সর্বোত্তম যিক্র হল,
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ »
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)
“আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ
নেই।”[
তিরমিযী ৫/৪৬২, নং ৩৩৮৩
ইবন মাজাহ্ ২/১২৪৯, নং ৩৮০০
আল-হাকিম, ১/৫০৩
সহীহুল জামে‘ ১/৩৬২।
(১২) “‘আল-বাকিয়াতুস সালিহাত’
তথা চিরস্থায়ী নেক আমল হচ্ছে,
« ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ،
ﻭَﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ».
(সুবহা-নাল্লা-হি,
ওয়ালহামদুলিল্লা-হি, ওয়া লা-ইলা-
হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার,
ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা
ইল্লা বিল্লা-হি)
““আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-
প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া
কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ
সবচেয়ে বড়। আর আল্লাহর সাহায্য
ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে
থাকার) কোনো উপায় এবং
(সৎকাজ করার) কোনো শক্তি
কারো নেই।”
মুসনাদে আহমাদ নং ৫১৩
মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ১/২৯৭
আস-সুনানুল কুবরা, নং ১০৬১৭

Address

Kapasia
Slim River

Telephone

+60143459168

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রবাসী জীবন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share