Nizam vai

Nizam vai Islamic guidelines

24/01/2023

শুভবুদ্ধির উদয় হোক সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর

আজ প্রায় ১৪ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকার বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এমনকি নিজ দলের অনেক নেতা কর্মীরা পর্যন্ত আওয়ামী সরকারের জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। এই ১৪ বছরে নির্যাতিত মানবতা এতটাই অতিষ্ঠ যে প্রতিটি মুহূর্ত মুক্তির প্রহর গুণছে।এমতাবস্থায় সরকারবিরোধী সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলো সোচ্চার হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। নিজ নিজ প্লাটফর্ম থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ছোট ছোট দলগুলোর সংঘবদ্ধ শক্তি অর্জনের জন্য নিজের মধ্যে জোট করেছে।চালিয়ে যাচ্ছে যুগপৎ আন্দোলন। কিন্তু এই আন্দোলন কি আদৌও ১৪ বছরের শক্ত শিকড়গাড়া সরকারের ভীতকে দুর্বল করে জনগনের যৌক্তিকদাবী কেয়ারটেকার সরকারের দাবী আদায় করতে পারবে?

যে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলো সরকার বিরোধী, যে দেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্তির গণআন্দোলনে যুক্ত হওয়ার প্রতীক্ষায় সেখানে কেন আজ এই প্রশ্ন? কারণ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে নেই পরস্পর সমন্বয়, নেই নূন্যতম পারস্পরিক কোনো সৌজন্যবোধ। ফলে আন্দোলন চলছে কিন্তু পাচ্ছেনা কোনো কার্যকর রেজাল্ট। সমালোচনা ও পর্যালোচনা শুরু হয়েছে।সকল আলোচনা ও পর্যালোচনার তীর এখন মাঠের আন্দোলনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপির দিকে। প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী দলগুলো ব্যাপারে বিএনপির আন্তরিকতা ও সৌজন্যতাবোধ নিয়ে। যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে বটে কিন্তু নেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোন শক্তিশালী লিয়াজোঁ বা সমন্বয় কমিটি।

বিএনপি নিজেরা কর্মসুচি ঘোষণা করবে আর বাকী দল বা জোটগুলো অঙ্গ সংগঠনের মতো তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে, এই আশা করলে আন্দোলন বেশিদিন চলবেনা। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে এদেশের তৃতীয় বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে গন্জে যেই দলটির মজবুত ভিত্তি রয়েছে। ইতোমধ্যেই আন্দোলন সংগ্রামে দেশের মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে প্রত্যক্ষ করেছে।স্বাধীনতার পর প্রত্যকটি জাতীয় নির্বাচনে সংসদে যাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এমনকি জামায়াতের সমর্থন ছাড়া বিএনপি এখন পর্যন্ত ক্ষমতায়(৯১ ও ২০০১ সাল) যেতে পারেনি। সেই দলের প্রতিও বিএনপির নূন্যতম সৌজন্যতাবোধ এদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করে নি।

কিছুদিন আগে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই জামায়াতের আমীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে জামায়াত লাখো জনশক্তি নিয়ে গণমিছিল করেছে। পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে, টিয়ারশেল মেরে ও লাঠিচার্জ করে জামায়াতের বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে।অনেকগুলো রাজনৈতিক সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ বিবৃতি দিলেও বিএনপি কোনো এক অজানা কারণে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। যা দেশপ্রেমিক আন্দোলনের কর্মিদের হতাশ করেছে। তারপরও দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এখন পর্যন্ত বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করছে।

অবিলম্বে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি এবং পরস্পর সমন্বয় ও সৌজন্যতাবোধ গড়ে না উঠলে এই আন্দোলন কখনোই কার্যকর হয়ে উঠবেনা। আজ সত্যিই গভীরভাবে স্মরণ করতে হয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে।অনেককেই বলতে শুনি বিএনপির মধ্যে একজনই পুরুষ আছেন আর তিনি হলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। যতদিন তিনি সুস্থ্য ছিলেন তাঁর সাহস, দৃঢ়তা, আপোষহীনতা, জোটের শরীকদের সাথে সমন্বয় ও সৌজন্যবোধের জন্য দেশপ্রেমিক জনতা তাঁকে দীর্ঘদিন স্মরণে রাখবে। বর্তমান বিএনপির নেতৃবৃন্দের জন্য এখান থেকে অনেক শেখার আছে।

আমার মতো একজন ছাত্রনেতার জন্য বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে তখনকার সময়ে প্রত্যেকটি মহাসমাবেশে ছবি দেখিয়ে কথা বলেছিলেন যা প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতাদের চোখে আঙ্গুল দেখিয়ে দেয়। এভাবেই তিনি সবাইকে নিয়ে সারা বাংলাদেশের আন্দোলনকে জাগিয়ে তুলেছিলেন যা বর্তমানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।চলমান আন্দোলনে যার প্রভাব ইতিমধ্যেই মানুষ প্রত্যক্ষ করছে।

তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর প্রয়োজনে এখনি সময় আন্দোলনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের। আর তা না হলে এদেশের নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত মানুষ হতাশ হয়ে আপনাদের থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিবে। শুভবুদ্ধির উদয় হোক সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর।

23/01/2023

সবাইকে স্বাগতম নিজাম ভাই এর পক্ষ থেকে

Address

Byblos

Telephone

+966571814994

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nizam vai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nizam vai:

Videos

Share


Other Digital creator in Byblos

Show All

You may also like